Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Incident: ‘‘সিট গঠন করে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাবেন?’’, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    RG Kar Incident: ‘‘সিট গঠন করে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাবেন?’’, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে এবার আরজি কর মেডিক্যালে উঠল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। আর তার তদন্তে এবার সিট (SIT) গঠন করল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের সিট গঠনের বিষয়টিকে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচানোর পদক্ষেপ বলেই অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। 

    ঠিক কী জানা গিয়েছে? (RG Kar Incident) 

    জানা গিয়েছে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায়, ২০২১ সাল থেকে, ব্যাপক কারচুপি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আরজি কর মেডিক্যালে। এবার তাঁর তদন্তে অফিসার প্রণব কুমারের নেতৃত্বের ৪ সদস্যের সিট গঠন করল স্বরাষ্ট্র দফতর। দলের বাকি সদস্যরা হলেন ডিআইজি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ ওয়াকার রাজা, ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটকে। নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে সব আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার পুরোটাই তদন্ত করে দেখবে এই সিট।   

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে আসল ঘটনার থেকে দৃষ্টি সরানো এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বাঁঁচানোর চেষ্টা বলে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ এবং মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক ট্যুইটার) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য সিট (SIT) গঠন করেছে৷ এটি সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজ্য পুলিশ ঠিক সময়েই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করবে, যাতে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ না করলে ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar Incident) অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। তাঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ABVP Protest March: দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র সল্টলেক

    ABVP Protest March: দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র সল্টলেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Doctor Rape-Murder) জেরে উত্তাল রাজ্য। প্রবল চাপে মমতা সরকার। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। ঘন ঘন দাবি উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের। ঠিক এই আবহে মঙ্গলবার বিধাননগরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। এখানেও দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এবিভিপির আন্দোলনকে (ABVP Protest March) দমাতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড দেখা গেল শহরে। বৃহস্পতিবার একই দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ আটকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভ কীভাবে তারা সামলায় সেটাই এখন দেখার! নারী নিরাপত্তার ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য, ঠিক এই আবহে বিজেপির বিক্ষোভেও ব্যাপক জমায়েত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আন্দোলনের জোয়ারে ভাঙল ব্যারিকেড (ABVP Protest March)

    অভিযানের আগে এদিন সিটি সেন্টারে জমায়েত করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। মিছিল আটকাতে এদিন ব্যারিকেড করে পুলিশ তবে আন্দোলনের জোয়ারে তা মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে। এর পরেই শুরু হয় অশান্তি। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয় সংঘর্য। ছাত্রদের সঙ্গে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকজন এবিভিপি কর্মীকে (ABVP Protest March) আটক করে প্রিজন ভ্যানের তোলে পুলিশ। অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ এনেছেন এবিভিপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য লাঠিচার্জের ঘটনায় আহত বলেও জানিয়েছে এবিভিপি নেতৃত্ব।

    কী বলছেন এবিভিপির (ABVP) রাজ্য নেতা?

    এবিভিপির (ABVP Protest March) রাজ্য নেতা সঙ্গীত ভট্টাচার্যর কথায়, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই স্বাস্থ্যভবন অভিযান করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের উপরে লাঠি না চালালেই পারত।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা ভাঙচুর চালাতে যাইনি। রাজ্যের যে পরিস্থিতি তাতে নিখোঁজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খুঁজতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আক্রমণ করল। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Doctor Rape-Murder) যারা ভাঙচুর চালাল তাদের যা খুশি তাই করতে দিল পুলিশ।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানালেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আরজি করের ঘটনা নিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) ডাকঘর মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এতদিন বিরোধীরা বিরোধিতা করলেও বর্তমানে সমাজের সকল অংশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। আরজি করকাণ্ড সহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের দুই-একজন ভালো মানুষ, যারা মুখ খুলেছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাঙা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের একটি অংশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে দলীয় কর্মীদের হাতে বিরোধীদের পতাকা ধরিয়ে আক্রমণ করানো হয়েছে। আর এ সমস্ত নাটক বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।’’

    ‘‘মমতার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল…’’

    এর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আগামীদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওনার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল বাংলাদেশ। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন, এবার হয়তো সেই শখ পূরণ হতে চলেছে। তবে এ বাংলায় নয়, বর্তমানে অরাজকতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গিয়ে জামাত, মৌলবীদের সঙ্গে মিলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তিনি। তবে, আমরাও কথা দিচ্ছি ভারতবর্ষ তথা বাংলা থেকে বিতাড়িত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য না হয় স্লোগান দেব ‘জয় বাংলা’। সঙ্গে গান করব এক্কেবারে মানাইছে না রে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: নারী সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বিজেপির, আসানসোলে চালু হল ‘প্রহরী’ অ্যাপ

    Asansol: নারী সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বিজেপির, আসানসোলে চালু হল ‘প্রহরী’ অ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। হাসপাতালের একেবারে ভিতরে চিকিৎসকদের বিশ্রাম করার জায়গায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা নিয়ে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। এই অবস্থায় নারী সুরক্ষায় এগিয়ে এল বিজেপি। শুধু কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, নারী সুরক্ষায় আসানসোল (Asansol) শহরের জন্য ‘প্রহরী’ নামে অ্যাপ চালু করল বিজেপি। আর এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকও রয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে ‘প্রহরী’ অ্যাপ? (Asansol)

    সোমবারই কাটোয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ পুরুষদের উদ্দেশে বলেছিলেন, হাতে রাখি পরিয়ে মা-বোনেদের সুরক্ষিত রাখার শপথ নিন। মূলত, রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা করে লাভ নেই বলেই এবার নারী সুরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে অ্যাপ চালু করতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    এই প্রহরী অ্যাপে দুটি হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। নম্বর দুটি হল-৯১৪৪৪৯৯৯০৮ এবং ৯১৪৪৪৯৯৯০৯। আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপের সূচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে, রাজ্যে নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। রাস্তাঘাটে তো বটেই কর্মক্ষেত্রেও কেউ সুরক্ষিত নয়। তাই, আমরা এবার নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আসানসোল (Asansol) শহরের জন্য এই অ্যাপ চালু করা হল।

    জানা গিয়েছে, ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন এই প্রহরীতে। যদি কোনও মহিলা বিপদে পড়েন আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে প্রহরীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে মহিলাদের সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেবে। ২৪ ঘণ্টা এই হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। স্বেচ্ছাসেবকরা সব সময় নজরদারি চালাবে। বিশেষ নম্বরে যোগাযোগ করলেই সাহায্য মিলবে। এখন আমরা আসানসোল দিয়ে এই প্রকল্প শুরু করলাম। আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রহরী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘সত্যি সবার সামনে আসুক’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে সঙ্গীতশিল্পীরা

    RG Kar Incident: ‘‘সত্যি সবার সামনে আসুক’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে সঙ্গীতশিল্পীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের কলকাতা কি মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়? কেন নাইট ডিউটি বন্ধের বদলে শহরের রাস্তায় রাতে মেয়েদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করছে না সরকার? কেন ফের পিছনের দিকে হাঁটা? আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে পথে নেমে এমনই প্রশ্ন তুলল বাংলার সঙ্গীত মহল। সোমবার সন্ধ্যায় আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নামেন কলকাতার সঙ্গীত শিল্পীরা। তাতে পা মেলালেন রূপম ইসলাম, অনুপম কর, কৌশিকী চক্রবর্তীরা। কথা মতোই ব্যাটারি চালিত মোমবাতি নিয়েই পথে নামলেন তাঁরা। গাইলেন গান, চাইলেন বিচার।

    রাতের রাজপথ

    এদিন মিছিল থেকে মেয়েদের নাইট ডিউটি (RG Kar Incident)  না দেওয়ার ‘ফতোয়া’ যুক্তিহীন বলে দাবি করলেন সঙ্গীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন রাতে যদি কোনও কাজ বা শো পড়ে তাহলে কি তিনি সেখানে যাবেন না? নাইট ডিউটি বাতিল করার বদলে কেন মেয়েরা রাতে বেরোলে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলেও প্রশ্ন তোলেন কৌশিকী। একটা সময়ে মানুষের মধ্যে এই ধরনের ধারণা ছিল, যে রাত নটার পর মেয়েরা বাইরে থাকবে না। কিন্তু যুগের সঙ্গে মানুষ বুঝতে পেরেছে, রাতে মেয়েদের কাজ করতে হতে পারে। তাহলে ফের কেন পিছন দিকে হাঁটা, প্রশ্ন তোলেন বহু শিল্পী।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    মিছিল ঘিরে বিতর্ক

    এদিন একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে যেখানে ১৯ অগাস্ট গায়কদের মিছিলে যাঁরা অংশ নিতে চলেছেন তাঁদের জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী লেখা থাকতে দেখা যায়। সেখানে লেখা ছিল এদিন দক্ষিণ কলকাতার একটি প্রথম সারির স্কুল থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়ে চলবে গোলপার্ক মোড় পর্যন্ত। কাউকে কোনও রকম মিডিয়া বাইট দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল কেবল লোপামুদ্রা মিত্র এবং অঞ্জন দত্ত মতামত রাখতে পারেন। কোনও রাজনৈতিক প্ল্যাকার্ড বা স্লোগান দেওয়া যাবে না। কেবল গানের কোট লেখা হবে প্ল্যাকার্ডে। গাওয়া হবে মাত্র দুটি গান তুমি রবে নীরবে এবং আগুনের পরশমণি।

    কিন্তু মিছিল যত এগোল মৌন মিছিল হল প্রতিবাদ মুখর। গানে গানেই আওয়াজ তুললেন শিল্পীরা। দেবজ্যোতি মিশ্র, রূপম ইসলাম, ইমন চক্রবর্তী, অনুপম রায়, লোপামুদ্রা মিত্র, কৌশিকী চক্রবর্তী, উজ্জ্বয়িনী মুখোপাধ্যায়, সপ্তক সানাই দাস, অনীক ধর, সাহেব চট্টোপাধ্যায় গানের পরিবর্তে স্লোগান তুললেন, ‘সব শিল্পীর এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’। প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, মনোময় ভট্টাচাৰ্য, অন্তরা চৌধুরী, পটা, রথীজিৎ ভট্টাচাৰ্য, অন্বেষা দত্তগুপ্ত এবং আরও অনেকে। প্রশ্ন রাখতেই প্রতিবাদী আওয়াজ শোনা গেল, “সত্যি সবার সামনে আসুক। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সামনে নয়। আমরা জানতে চাই, প্রকৃত ঘটনা কী? আর চাই সব স্তরের মেয়েদের নিরাপত্তা। কেউ যেন আর অত্যাচারের (RG Kar Incident) শিকার না হন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puja Donation: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    Puja Donation: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। রাজ্যজুড়ে মেয়েদের রাত জেগে আন্দোলন দেখেছেন দেশবাসী। এবার আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল প্রত্যন্ত গ্রামেও। পুজোর অনুদানের (Puja Donation) জন্য আবেদনই করবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদা জননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। কার্যত, রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদানকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    দুর্গামণ্ডপে ‘অভয়া’কে স্মরণ! (Puja Donation)

    গতমাসেই বাংলায় পুজো কমিটিগুলির জন্য সরকারি অনুদান ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Incident) নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফেরাতে শুরু করেছে একের পর এক পুজো কমিটি। উত্তরপাড়ায় শক্তি সংঘের পর হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটি পুজোর অনুদান নেবে না। গত বছর সরকারি অনুদান নিলেও, ২২তম বছরে হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন, এবার তাঁরা রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান (Puja Donation) নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন না। মেয়ের বিচারের দাবিতে মায়ের পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করলেন তাঁরা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদা জননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই পুজো কমিটি আবার মহিলা পরিচালিত। ফি বছর যেখানে দুর্গামণ্ডপ হয়, দশভূজাকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো হয়, সোমবার সেখানেই ‘অভয়া’কে স্মরণ করলেন পুজো কমিটির সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    কী বললেন পুজো উদ্যোক্তারা?

    এবার পাঁচ বছরে পা দিল মহিলা পরিচালিত এই পুজো। সরকারের কাছে অনুদানের (Puja Donation) জন্য আবেদন করেছিল এই পুজো কমিটি। তবে ‘অভয়া’র নির্মম পরিণতির পর অনুদান নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, বলছেন কমিটির সদস্যরা। বদলে তাঁরা বলছেন, ‘বিচার চাই’। চৈতালি জানা নামে এক সদস্য বলেন, ‘‘আমাদের ঘরেও তো মেয়ে, বোন আছে। এটুকু নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে কীভাবে বেরোবে ওরা। সঠিক বিচার পেলে আমরা অনুদানের জন্য না হয় আবার আবেদন করব।’’ রুমা ধাড়া পুজো পরিচালনার দায়িত্বে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুজোমণ্ডপ যেখানে হয়, যেখানে মা দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি, সেখানে দাঁড়িয়েই আজ আমরা ‘অভয়া’র বিচার চাইলাম (Puja Donation)। মেয়েটা (RG Kar Incident) ডাক্তার হত, ও ওর অদৃশ্য দশ হাতে কত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়েছিল। অথচ এভাবে নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হল। আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আমরা সেটাই চাই। ডাক্তারটা আমাদের কাছে ভগবানের মানসরূপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি করে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার মৃতদেহ ‘লুট’ করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তদন্ত করতে পুলিশ ‘ভয়’ পাচ্ছিল, তাই এত দ্রুত দেহ সৎকার করা হয়। এবার সেই নিয়ে একই প্রশ্ন তুললেন মৃতার বাবা। তাঁর দাবি, পানিহাটি শ্মশানে যখন মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময় সেখানে আরও তিনটি মৃতদেহ ছিল। কিন্তু সবকিছু থামিয়ে রেখে আগে নির্যাতিতার দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে পুলিশ। কেন এত তাড়াহুড়ো? কী লুকোত চেয়েছিল পুলিশ? ভয় ছিল দেহ থাকলে ফের ময়নাতদন্ত বা ফরেন্সিক হতে পারে, যাতে বিপদে পড়তে পারেন কেউ কেউ?

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

    আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনার পরে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে তাড়াহুড়ো করে মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মর্গে পৌঁছে দেহ আটকে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানায়, দেহ সৎকারে তাদের কোনও হাত ছিল না, যা করার করেছে মেয়েটির পরিবারই। যদিও সম্প্রতি নির্যাতিতার বাবা জানান, গত ৯ অগাস্ট রাতে শ্মশানে তাঁর মেয়ের দেহ দাহ করতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর কথায়, ‘‘শ্মশানে পৌঁছে গিয়ে আমরা দেখি, আমাদের আগে তিনটে বডি রয়েছে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ের দেহ আগে সৎকার করে দেয়। তখন আমরা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। মাথা কাজ করছিল না। ফলে সৎকারে বাধা দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি।’’

    দেহ সৎকারে পারদর্শী পুলিশ

    শুধু মৃতার বাবা নন, ওইদিন দেহ সৎকারে পুলিশের তৎপরতার কথা জানিয়েছে পানিহাটি এলাকায় শ্মশানের কর্মীরাও। যে শ্মশানে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়, সেখানকার এক কর্মী ভোলানাথ বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার একটি মেয়ের মৃত্যুর খবর সকাল থেকেই চলছিল। রাত ১২টার পর লাশ শ্মশানে আনা হয়। পুলিশ আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে একটি মেয়ের লাশ আসছে এবং তার সঙ্গে বিশাল জনসমাগমও আসবে। এলাকাটি খুব জনাকীর্ণ ছিল, ১০টিরও বেশি পুলিশের গাড়ি ছিল। লোকজনের আসা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এবং যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশ দ্রুত শেষকৃত্য করার নির্দেশ দেয়। বিপুল জনসমাগম এবং পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল।’’ ভোলানাথ জানান, ওই সময় শ্মশানে থাকা আরও ৩ মৃতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশই সব ব্যবস্থা করে। স্বাভাবিক, সদ্য কন্যাহারা তা-ও অকস্মাৎ, মর্মান্তিক, বাবা-মার পক্ষে বাধা দেওয়ার মতো মানসিক জোরই ছিল না। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার দেহ দখল করার অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে মধ্যমগ্রামের এক নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ দখল করে দাহ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) আগেই প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে ফের প্রশ্ন উঠছে, কেন দেহ দাহ করতে এত তৎপর ছিল পুলিশ? কিছু কি লুকানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের? এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাতেও ‘সন্তুষ্ট নন’ মৃত চিকিৎসকের বাবা, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু যে সব সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি করছেন, তাঁদের তিনি জেলে ভরার চেষ্টা করছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সন্তুষ্ট নই। ওঁর দেওয়া কোনও ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরস কাণ্ডের কথা মনে আছে? ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি দলিত তরুণীটিকে গণধর্ষণের পর একটি মাঠে ফেলে পালায়। পরে, নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদার এসপি নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজি করের ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে। নাম সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন সীমা। এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) নিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন মহিলা। একজন কলকাতার অফিসার। 

    কে এই মহিলা আধিকারিক? (CBI)

    আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই জানা গেল, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমাকে আরজি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।

    সীমার প্রশংসা সিবিআইয়ের অন্দরে
    সিবিআই আধিকারিক সীমা এক সময় গাজিয়াবাদে কর্মরত ছিলেন, অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয়। হাথরস তো বটেই, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সিবিআই আধিকারিক হিসেবে তাঁর কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা। সাহসী এবং নির্ভীক অফিসার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। হাথরস-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ১৪ সদস্যের বিশেষ দলের নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও হিমাচল প্রদেশের গুতি মামলার তদন্তের ভার ছিল তাঁর ওপর। সংশ্লিষ্ট মামলার সমাধান করেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, আরজি করে যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে যাবেন সীমা। নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই, এরপর কি সন্দীপ?

    CBI: আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই, এরপর কি সন্দীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি এসে গিয়েছে। সোমবার সিবিআই-কে সেই অনুমতি দিল শিয়ালদা কোর্ট। কবে সেই টেস্ট হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এদিন আদালতে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই। এটি মূলত একটি মানসিক পরীক্ষা। হার্ট রেট, রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিযুক্ত সত্যি বলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। যে টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, কেউ মিথ্যা বলছে কিনা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তাঁরও পলিগ্রাফ টেস্ট করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে, গোটাটাই হবে দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর।

    পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বললেন? (CBI) 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় যখন কোনও প্রশ্ন করা হয়, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হার্টের পালস, রক্তচাপ, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বিভিন্ন শারীরিক মানদণ্ড পরিমাপ করা হয়। যখন কেউ মিথ্যে কথা বলে, তখন সাধারণত সেইসব মাপদণ্ডের হেরফের হয়ে থাকে। সেটার মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মিথ্যে বলছে কিনা। যদিও সব সময় পলিগ্রাফ টেস্ট পুরোপুরি নির্ভুল হয় না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) বলেন, “কোনও ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন তার মস্তিষ্ক থেকে পি ৩০০ নামে একটি বিশেষ সংকেত বের হয়। সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওই স্নায়বিক সংকেতের জন্যই তার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর গোটা বিষয়টি আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়। সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় ן”‎

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    এই পলিগ্রাফ টেস্টের ঠিক কী নিয়ম?

    অভিযুক্তকে এই পরীক্ষায় মত দিতে হয়। অভিযুক্ত মত দিলে তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আদালতকে জানাবে। আদালত অনুমতি দিলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে পলিগ্রাফি টেস্ট। অভিযুক্তর সামনে টেস্ট করার আগে সমস্ত আইনি দিক ব্যাখ্যা করা হবে। পলিগ্রাফ টেস্টেরই একটি প্রকারভেদ হল লাই ডিটেকশন (মিথ্যা কথা ধরার উপায়) বা ব্রেন ম্যাপিং টেস্ট। মূলত পলিগ্রাফ টেস্টের সময়, অভিযুক্তর রক্তচাপের পরিবর্তন, পালস রেটের পরিবর্তন, ত্বকের উপরিভাগে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না, এইসব সূক্ষ্ম বিষয়ের ওপর নির্ভর করে বুঝতে হয় যে অভিযুক্ত সঠিক বলছে কি না।

    সন্দীপকে ম্যারাথন জেরা সিবিআইয়ের

    ইতিমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সূত্রের খবর, সন্দীপের থেকে জানতে চাওয়া হয় যে কেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা’কে হাসপাতালে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছিল? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে আরও একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সূত্রের খবর, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর শোনার পরে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল, কার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন, সেমিনার হলের (যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল) কাছে আচমকা কেন সংস্কারের কাজ শুরু হল, সেই প্রশ্নও করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল ১৮ অগাস্ট! তিনদিন পর কেন জানেন?

    Nadia: নদিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল ১৮ অগাস্ট! তিনদিন পর কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) এবং মুর্শিদাবাদের একটি বড় অংশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৮ অগাস্ট। এবারও নদিয়ার শান্তিপুরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ১৮ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তোলেন সেখানকার মানুষ। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন তিনদিন পর জাতীয় পতাকা উঠল এই জেলায়, তা ব্যাখ্যা করেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নদিয়া (Nadia), কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ পড়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে। সাংসদ তথা পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্রর প্রচেষ্টায় তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজেশ্বরী দেবী, পণ্ডিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে দরবার করেছিলেন। স্বাধীন ভারতের সদ্য ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তাঁরা দেখা করে সমস্ত বিষয়টি জানান। নবদ্বীপ, শান্তিপুর সহ শ্রীচেতন্য মহাপ্রভু এবং বৈষ্ণবকূলচূড়ামণি অদ্বৈত আচার্যের স্মৃতি বিজড়িত নদিয়া জেলাকে ভারতের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে না পারলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়টিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারের বিষয়টি বলা হয়। এরপর ১৭ অগাস্ট রাতে ঘোষণা করা হয়, এই বিস্তীর্ণ এলাকাগুলি ভারতের। ১৫ অগাস্ট সেই সময়কার পাকিস্তানের মুসলিম লিগের পতাকা উঠেছিল। কিন্তু, মাত্র তিনদিনের মধ্যেই দ্বিতীয়বার আবারও কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই দুই পতাকা সুরক্ষিত রয়েছে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি সংগ্রহশালায়।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

    ১০ বছর আগে শান্তিপুরের (Nadia) বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে কাজ করা অমিতাভ মৈত্র বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এই অন্তর্ভুক্তি দিবস পালন করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। যদিও শান্তিপুরের বিশিষ্টজনদের সহযোগিতায় জটিলতা কাটে। এরপর থেকে ভারতভুক্তি হিসেবে শান্তিপুরে ১৮ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। এদিনের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সুশান্ত মঠ, উদ্যাপন কমিটির অমিতাভ মৈত্র, রজত প্রামাণিক, সঞ্জিত কাষ্ঠ, বিশ্বজিৎ রায় সহ বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঘটনার প্রসঙ্গে উঠে আসে আলোচনায়। উদ্যোক্তারা বলেন, যদি সেই সময় পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই উদ্যোগ গ্রহণ না করতেন, তাহলে আজ আমাদের পরিস্থিতিও ওই ভয়াবহতার মধ্যে দিয়েই কাটত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share