Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। মঙ্গলবার সাত সকালে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। প্রায় ৪০ জন অফিসারের একটি টিম নিয়ে তল্লাশি চলছে। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টিমে রয়েছেন মহিলা অফিসারও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজে ৬টি এসইউভি গাড়ি (ED)

    এদিন সকালে দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাইটেক রাইস মিলে  হানা দেয় ইডি (ED)। রাইসমিলের বাইরে এবং ভিতর ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। রাইস মিলের সঙ্গেই রয়েছে রাইস মিলের মালিকের সাদা রঙের বিলাসবহুল বাড়ি। সেই বাড়ির গায়েই আবার দেগঙ্গা-১ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের কাছে বিদেশ ও মুকুল নামে দু’জনের নাম উঠে আসছে। এলাকার লোকজন বলছেন, তাঁরা দুই ভাই। বিদেশের ভালো নাম আনিসুর রহমান। তিনিই দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়াও তাঁদের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তাঁরা বাকিবুর রহমানের মামাতুতো ভাই। বিলাসবহুল বাড়ির নিচে রয়েছে বিশাল গ্যারাজ। তার ভিতরে ৬টি এসইউভি গাড়ি রয়েছে। হুন্ডাই আলকাজ়ার, টয়োটা ফরচুনার, মিৎসুবিশি পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি সুজুকি জেন লাইন দিয়ে সাজানো রয়েছে। কোটি টাকার ওপর গাড়ির সম্ভার এই গ্যারাজে। সবথেকে বড় চমক হল, টয়োটা ফরচুনার গাড়িতে নেমপ্লেট তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরই। পিজি হাইটেক রাইসমিলের মালিক আলিফ নূর মুকুল ও আনিসুর রহমানের গ্যারাজে রাখা গাড়ি সার্চ করে ইডি। গ্যারাজের এত গাড়ি কার কার নামে রয়েছে? গাড়ি কেনার উৎস কী? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।

    খাদ্য দফতরের ট্রাক রয়েছে রাইস মিলে!

    এদিন ইডি (ED) আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের রাইস মিলে একাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাতে লেখা ‘অন ডিউটি গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড সাপ্লায়ার্স’। ফলে, রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে এই রাইস মিলের যোগের একটা সম্ভাবনা এখন আরও জোরাল হচ্ছে। রাইস মিলের কর্মীদের জেরা করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই রাইস মিল থেকে চাল যায় সরকারি গোডাউনে। ফলে, এই রাইস মিল থেকে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন।

    বসিরহাটে ইডি

    বসিরহাটের (North 24 Parganas) সংগ্রামপুরে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার নাম জড়ায় তাঁর। সোনা পাচার মামলায় ১০ বছর আগে আব্দুল বারিক বিশ্বাস গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, প্রাসাদোপম তাঁর বাড়িতে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুরো বাড়ি চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে বিএসএফ। ঠিক ভোর ৫টায় তাঁর বাড়িতে ঢোকে ইডি। বাড়ির পাশেই সংগ্রামপুর অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি রাইস মিল রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TET Case: ‘টেটের শংসাপত্র দিন’, পর্ষদ-সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    TET Case: ‘টেটের শংসাপত্র দিন’, পর্ষদ-সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে যাতে আবেদনকারীরা টেটের (TET Case) শংসাপত্র পান, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সোমবার টেট মামলায় এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি সিবিআইকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাইমারি টেটে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী শংসাপত্র না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র পাননি তাঁরা। সিবিআই ও পর্ষদের দ্বন্দ্বের কারণে আটকে ছিল বিষয়টি। সেই দ্বন্দ্বের গেরোই কাটল এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে।

    পর্ষদের বক্তব্য (TET Case)

    প্রাইমারি টেট মামলার শুনানিতে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। পর্ষদ জানায়, টেটের কোনও শংসাপত্র তাদের কাছে নেই। এই শংসাপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সব নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআই অবশ্য গত সপ্তাহেই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, সব নথিই পর্ষদকে দেওয়া হয়েছে।

    আদালতের প্রশ্ন

    এদিন আদালতের প্রশ্ন, এরা পাশ করেছে, আর বোর্ডের কাছে কোনও তথ্য নেই! বোর্ড কী করে বুঝতে পারছে যে এরাই পরীক্ষার্থী? এদিন নির্দেশে বিচারপতি সিনহা আদালতকে জানান, সিবিআইকে অবিলম্বে ওই সব শংসাপত্র পর্ষদের হাতে তুলে দিতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তারা সেই সব শংসাপত্র তুলে দেবে আবেদনকারীদের হাতে। বিচারপতির নির্দেশ, ২০১৪ সালের টেটের ১ লাখ ২৬ হাজারের শংসাপত্র পর্ষদকে ফের দিতে হবে সিবিআইকে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ (TET Case) শেষ করতে হবে সিবিআইকে। তার পর দুসপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের সব শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য থেকেই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, সিবিআই জানিয়েছে, ওরিজিনাল কপি দিলে (Calcutta High Court) তদন্ত বাধা পেতে পারে। তাই ওয়ার্কিং কপি দেওয়া হবে (TET Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে জুতোপেটা করে শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে

    Titagarh: প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে জুতোপেটা করে শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা তৃণমূলের কাউন্সিলর। স্বাভাবিকভাবে ছেলে নিজেকে ‘বেতাজ বাদশা’ ভাবে। আর সেই ক্ষমতার দম্ভে এক স্কুল ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় (Titagarh) পুরসভা এলাকায়। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের ছেলেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাহুল সোনকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের (Titagarh) এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে কাউন্সিলরের ছেলের পরিচিত এক কিশোরীর পড়াশুনার কোনও একটি বিষয় নিয়ে গন্ডগোল বাধে। দুই স্কুল ছাত্রীর মধ্যে বচসা হয়। হাতাহাতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটে যায়। এরপরই বিষয়টি কাউন্সিলরের ছেলেকে সমস্ত বিযয়টি ওই কিশোরী বলে। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে রাহুল বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপরই তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের কতটা ক্ষমতা তা দেখাতে দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে হাজির হয়। ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে প্রকাশ্যে জুতো দিয়ে মারতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী বাধা দিতে গেলে তার জামা ছিঁড়ে দেয়। পরে, এক প্রতিবেশী যুবক নিজের জামা খুলে ওই ছাত্রীকে দেন। এক প্রতিবেশী বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে বলেই কী ও যা খুশি তাই করবে। সকলের সামনে ওই মেয়েটাকে মারল। তার শ্লীলতাহানি করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    নির্যাতিতার কী বক্তব্য?

    নির্যাতিতা (Titagarh) ছাত্রী বলে, পড়াশুনা নিয়ে সামান্য গন্ডগোল। বচসা চলাকালীন আমাকে গালিগালাজ করে। আমিও তাকে গালিগালাজ করি। তারপর মিটে যায়। আমি বাড়ি ফিরে আসার পর কয়েকজন দল বেঁধে এসে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। কাউন্সিলরও ছিল। তাঁর ছেলে আমার ওপর চড়াও হয়। সকলের সামনে আমাকে জুতোপেটা করে। আমার দাদা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার জামা ছিঁড়ে দেয়। সামান্য গন্ডগোলের জন্য আমার সঙ্গে এভাবে আচরণ করবে তা ভাবতে পারছি না।

    তৃণমূল কাউন্সিলরের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর রাজেন্দ্র সোনকার বলেন, দুজন ছাত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কী কারণে ঝামেলা তা আমি জানি না। তবে, এই গন্ডগোলের সঙ্গে আমার ছেলের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। এরপরই পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এতে আমার কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: “লক্ষ্মীর ভান্ডারের হাজার টাকায় কি সংসার চলে?” দোকান গুঁড়িয়ে দিতেই ক্ষিপ্ত নাসিমা বিবি

    Barasat: “লক্ষ্মীর ভান্ডারের হাজার টাকায় কি সংসার চলে?” দোকান গুঁড়িয়ে দিতেই ক্ষিপ্ত নাসিমা বিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো ফুটপাথ জবরদখল করে থাকা দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে (Barasat)। বুলডোজার দিয়ে ফুটপাথ জবর দখল করে থাকা সব দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আর রহস্যজনকভাবে এই উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়ল না তৃণমূলের পার্টি অফিস। ভাঙা পড়ল তৃণমূল পার্টি অফিস সংলগ্ন সব দোকান। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barasat)

    বারাসত দক্ষিণপাড়া মোড় থেকে হরিতলা হয়ে বড়বাজার মোড় পর্যন্ত সোমবার উচ্ছেদ অভিযানে নামে বারাসত (Barasat) পুরসভা। রাস্তার ওপর দখল করে থাকা বেআইনি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। দোকানের পাশে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূলের বারাসত ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অফিস। আশপাশের সমস্ত দোকান ভেঙে দেওয়া হলেও ওয়ার্ড অফিস ভাঙার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ল না। কয়েকদিন আগে বারাসত পুরসভা থেকে উচ্ছেদ নোর্টিশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার শেষ দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই উচ্ছেদ অভিযানে নামে বারাসত পুরসভা।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকায় কি সংসার চলে?

    নাসিমা বিবি নামে এক দোকানদার বলেন, “আমার দোকানটি তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিস থেকে অনেকটাই ভিতরে ছিল। ভেবেছিলাম, পার্টি অফিস ভাঙার পর আমার দোকানে হাত পড়বে। কিন্তু, দেখলাম, পার্টি অফিসে কোনও হাত পড়ল না, তারপরও আমার দোকান ভাঙা হল। ৫০ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। আমার দোকানের সব কিছু নষ্ট করে দিল। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকায় কি সংসার চলে?” দোকান ভাঙচুর হওয়ার পর এদিন পার্টি অফিসের (Trinamool Congress) সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় বেশ কয়েকজন মহিলাকে। তাঁরা বলেন, “পার্টি অফিস না ভেঙে আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে, আমরা কীভাবে সংসার চালাব? বাচ্চাদের নিয়ে বিষ খেয়ে মরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না আমাদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কলেজের মধ্যে পিস্তল হাতে তৃণমূল ছাত্র নেতা! ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল

    Nadia: কলেজের মধ্যে পিস্তল হাতে তৃণমূল ছাত্র নেতা! ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিস্তল হাতে কলেজ ইউনিয়ন রুমের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সভাপতি! ভিডিও ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে শাসক দল। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের একটি কলেজে। এই ঘটনা জানাজানি হতে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল ছাত্র নেতার এই আচরণে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Nadia)

    ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কৃষ্ণনগরের (Nadia) দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের একটি ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূল ছাত্র নেতা-কর্মী বসে রয়েছেন। এরমধ্যে একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তিনি কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইমরান শেখ। আর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর শহর ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, “যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওতে আমি নেই। বোঝাই যাচ্ছে এটা পুরোটাই বিরোধীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। যে বা যারা এই ভিডিওটি ভাইরাল করে আমার নামে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি

    এই প্রসঙ্গে নদিয়া (Nadia) জেলা উত্তরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সম্রাট পাল বলেন, “ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে সেটা আমাদের শহর সভাপতি ইমরান শেখ নয়। তাছাড়া, প্রথমে জানতে হবে, পিস্তলটি আসল কি না। এখন ফ্লিপকার্টেও এই ধরনের খেলনা পিস্তল পাওয়া যাচ্ছে। এটা পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত। আর যিনি এই ভিডিওটি ছেড়েছেন তিনি বিজেপি নেতা রাজশ্রী লাহিড়ী। তিনি প্রমাণ করুন,এই পিস্তলটি আসল। আমরা আইনজীবীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব।” ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে দেখে নিন।

    <

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার। তিনি বলেন, “এটা তৃণমূলের কালচার। এখানে যা কিছু হয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় হয়। যে ছাত্রের হাতে খাতা কলম থাকার কথা, সেই ছাত্রের হাতে রয়েছে পিস্তল। সেই কারণেই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের বলব, আপনারা তৃণমূল (TMCP) থেকে নিজের ছেলে-মেয়েকে সরিয়ে আনুন। এরা আপনার ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেবে। অবিলম্বে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani AIIMS: রাজ্য সরকারের বন্ডের গেরো! কল্যাণী এইমস হাসপাতালে মিলছে না চিকিৎসক

    Kalyani AIIMS: রাজ্য সরকারের বন্ডের গেরো! কল্যাণী এইমস হাসপাতালে মিলছে না চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমস (Kalyani AIIMS) হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকেই রোগীরা ভিড় করছেন। বাংলাদেশ থেকেও বহু রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসছেন। দিন দিন রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে চিকিৎসক পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, চিকিৎসক সংকটে ভুগছে এই হাসপাতাল। বিজ্ঞাপন দিয়েও মিলছে না সাড়া।

    আউটডোরে প্রতিদিন আসেন আড়াই হাজার রোগী! (Kalyani AIIMS)

    হাসপাতাল (Hospital) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে আউটডোর ইউনিট চালু হয়। আর চলতি বছরে ২৫ ফেব্রুয়ারি গুজরাত থেকে কল্যাণী এইমস-এর (Kalyani AIIMS) ইন্ডোর পরিষেবার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গোড়ায় আউটডোরে রোগীর সংখ্যা দিনে একশোও হত না। এখন দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার রোগী হাসপাতালে আসেন। বেডের সংখ্যা ৯৬০। চিকিৎসকদের জন্য ২৫৯টি পদ রয়েছে। কিন্তু, শূন্যপদের সংখ্যা একশোরও বেশি। বিজ্ঞাপন দিয়েও ভিনরাজ্যের চিকিৎসকদের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি। এর ফলে সীমিত লোকবলে পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অবস্থানগত কারণে চিকিৎসক পদে ভিনরাজ্যের আবেদনকারীর সংখ্যা কম। তাছাড়া বাংলা থেকে দক্ষ চিকিৎসক পেতেও সমস্যা হচ্ছে। মূলত, নতুন চিকিৎসকদের জন্য সরকার ৩ বছরের বন্ড চালু করেছে। তাই তাঁরা চাইলেও আবেদন করতে পারছেন না।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    কল্যাণী এইমস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কী বললেন?

    কল্যাণী এইমস-এর (Kalyani AIIMS) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং বলেন,”চিকিৎসকদের সংখ্যা কম। এই মুহূর্তে হাসপাতালে (Hospital) ১৫৭ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ফলে, আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। যেখানে শূন্যপদের সংখ্যা ২৫৯। সম্প্রতি আমরা বিজ্ঞাপন দিয়েছি। কিন্তু, আবেদনকারীর সংখ্যা যেমন কম, তেমনই যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে। আর এখানকার চিকিৎসকরা রাজ্য সরকারের বন্ডের নিয়মে আবেদন করতে পারছেন না। বাংলার মানুষকেই আমরা পরিষেবা দিচ্ছি। তাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলে চিকিৎসা পরিষেবা আরও ভাল হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Crocodile: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

    Crocodile: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার মুখে নদীতে অনেকবার মাছ ধরার গল্প শুনেছিল বারো বছরের কিশোর। নিজের চোখে মাছ ধরা দেখবে বলে বাবার কাছে বায়না করেছিল সে। এরপর বাবার হাত ধরে নদীতে গিয়ে যে এরকম ঘটনার সাক্ষী হতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ওই খুদে। আস্ত কুমির (Crocodile) মাঝ নদীতে টেনে নিয়ে চলে যায় মৎস্যজীবীকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথর প্রতিমা সত্যদাসপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম আব্বাসউদ্দিন শেখ (৪৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা। তাঁরা ওই মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Crocodile)

    ছোটো ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বিকালে মাছ ধরতে ডিঙি নৌকয় গিয়েছিলেন আব্বাসসাহেব। নদীতে সবেমাত্র জাল ফেলেছিলেন। তখনই খপাৎ করে নদীর বুক চিরে উঠে আসে কুমির। করাতের মতো দাঁত তখন কামড় বসিয়েছে আব্বাসের হাতে। বাবার হাতের মাংস খুবলে গিয়েছে। দশ-বারো বছরের ছেলেটা ভয়ে পিছ-পা হয়নি। সেই কুমিরের হা-মুখের ভিতরেই হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল সে, বাবাকে বাঁচাতে। চোয়াল শক্ত করে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা রেখেছিল কুমিরের। আব্বাস চিৎকার করছিলেন, ছোট ছেলেকে বলেছিলেন, লোক ডেকে আনতে। নদীতে সাঁতরে লোকও ডেকে আনে, কিন্তু ততক্ষণে আব্বাসকে মাঝ নদীতে নিয়ে উধাও হয়ে যায় কুমির। একটি স্পিডবোটে করে জগদ্দল নদীতে (South 24 Parganas) তল্লাশি অভিযান চলছে। রাত পর্যন্ত ওই আব্বাসের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে নদীতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    কুমিরের দাঁতের পাটিতে হাত ঢুকিয়েও লাভ হল না

    আব্বাসের ছোট ছেলে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সে বলে, “কুমিরটাকে (Crocodile) আগে দেখতে পাইনি। নদীতে জাল ফেলতেই কুমিরটা বাবার হাত ধরে। হাত দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছিল। আমি কী করব তা বুঝতে পারছিলাম না। বাবাকে বাঁচাতে আমি এসে কুমিরের দাঁতের পাটিতে হাত ঢুকিয়ে টানছি। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হল না। কুমিরটা বাবাকে নদীর দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বাবা বলল, যা লোক ডেকে আন, একা পারবি না, আমি এই দিকটা দেখছি। আমি লোক ডাকতে গিয়েই এসে দেখি সব শেষ।” বাবা আর নেই, বলেই সে কাঁদতে শুরু করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purulia: আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! খেলার মাঠ দখলের চেষ্টা, শোরগোল

    Purulia: আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! খেলার মাঠ দখলের চেষ্টা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! গ্রামের খেলার মাঠ দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা থানার তুলিন এলাকায়। ইতিমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Purulia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলিন (Purulia) গ্রামের পাশে ইউনাইটেড ক্লাবের মাঠ। প্রায় দেড় একর জমি এখানে। সেই জমিই দখল করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ- সভাপতি শেখ সুলেমানের দিকে। এলাকার লোকজনের দাবি, প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন এই মাঠ। এখানে দিনের পর দিন এলাকার বাচ্চারা খেলাধূলা করে। এলাকার তিনটি প্রাথমিক স্কুলের খেলার মাঠ নেই। তাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও একমাত্র মাঠ এটিই। সেটাই দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইউনাটেড ক্লাবের সদস্য যজ্ঞেশ্বর মাহাত বলেন, “মাঠটা ১০০ বছরের পুরানো। হঠাৎ শুনলাম তৃণমূল নেতা শেখ সুলেমান নিজের নামে জমি রেকর্ড করে নিয়েছে। এটা দখলের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। আমাদের মারধর করার চেষ্টা করে। এরপর এলাকার লোকজন রুখে দাঁড়াতেই ওরা চলে যায়। মাঠ তো আমরা ছাড়ব না।”

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা শেখ সুলেমান বলেন, ” দু’বছর আগে জমিটা কিনেছি। যখনই জমির মাপজোক করতে যাই আমাকে বাধার মুখে পড়তে হয়। খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়। বলে, অনেকদিন ধরে জমি দখল করে আছি, ছাড়ব না। আমি ঝালদার আইসি, বিডিও অফিস, বিএলআরও অফিসে চিঠিও দিয়েছি। জমি মাপজোক করতে গিয়ে দেখি, গ্রামের লোকজন লাঠি, শাবল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি বললাম, আমার রেকর্ডভুক্ত জমি, মাপ তো করবই। তোমরা বাধা দিচ্ছ কেন? আমি কোনও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাইনি। এসব মিথ্যা অভিযোগ।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “এই সরকার (Trinamool Congress) মাফিয়াদের ওপরই চলছে। জমি, বালি, কয়লা, চাকরি মাফিয়ারা এ সরকারের স্তম্ভ। গ্রামবাসীরা বলছেন, এই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চারা খেলাধূলা করে। অনুষ্ঠান হয়। সেই জমি নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দখল করতে চাইছেন তৃণমূল নেতা। এসব হতে পারে না। এই অন্যায়ের প্রতিরোধ হওয়া দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalna: বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড়! ভাইরাল ভিডিও, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Kalna: বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড়! ভাইরাল ভিডিও, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালনার (Kalna) শ্বাসপুর দেবনাথ পাড়া এলাকায় একটি জায়গাতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে, এক মহিলা সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদেরকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তেওয়ারি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন ওঁই মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়াতে মারধরের এই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এরপর তৃণমূল নেতাকে (TMC leader) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার রাতেই তাঁকে কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    নির্যাতিতার বক্তব্য (Kalna)

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছ, একজন মহিলাকে ব্যাপক ভাবে চড়-থাপ্পড় মারছেন তৃণমূল নেতা (TMC leader)। পুরো বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন দেবনাথ পাড়া এলাকার আক্রান্ত গৃহবধূ সুজাতা পাল। এদিন শনিবার কালনার (Kalna) হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে বলেছেন, “আমাদের বাড়ির পাশে একটি জমি রয়েছে সেই জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি বিবাদ বাধে। এরপর তৃণমূল নেতা গোপাল তিওয়ারি এবং তাঁর দলবল শনিবার আমার শাশুড়িকে খুব মারধর করেন। পরের দিন রবিবার সকালে আবার বাড়িতে ঢুকে আমাকে বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে। পুরো বিষয়টি নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    যদিও তৃণমূল নেতা গোপালকে তেওয়ারি বলেছেন, “আমার কেনা জায়গায় পাঁচিল দিয়েছিলাম আর সেই ওয়ালকে ওঁরা ভেঙে দিয়েছিল। এমনকী আজ সকালে বলতে গেলে আমাকেই উল্টে মারধর করেছেন তাঁরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে থানার দারস্থ হবো।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেছেন, “আইন কারো হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। যে দোষী তাঁকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া! পুরুলিয়াতেই ১৬৬ জন আক্রান্ত, আতঙ্ক

    বিজেপির বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা (Kalna) সহ-সভাপতি সুভাষ পাল বলেছেন, “যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। তৃণমূল নেতাদের এই ধরনের দাদাগিরিতে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন। রাজ্যের মহিলারা সুরক্ষিত নন।” সম্প্রতি তৃণমূল নেতাদের নারী নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। চোপড়ায় জেসিবি, আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং, সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান, সোনারপুরের জামালউদ্দিন সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নারী নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় শাসক দল চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: কল্যাণী গান্ধি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের ‘দাদাগিরি’! রক্ত ঝরল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের

    Kalyani: কল্যাণী গান্ধি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের ‘দাদাগিরি’! রক্ত ঝরল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীদের ‘দাদাগিরি’। যার জেরে রক্ত ঝরল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার কল্যাণী (Kalyani) গান্ধি মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কল্যানীর ওই হাসপাতালের কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত সরকারি আধিকারিকের নাম সুশান্তকুমার বালা। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্তবাবুর বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। শুক্রবার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের ভাই উকিল বালাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সুশান্তবাবু অসুস্থ ভাইকে দেখতে  হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু, তাঁদের হাসপাতালের গেটেই আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আর হাসপাতালে ঢোকা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। এরপর সুশান্তবাবুর এক আত্মীয়কে ধরে হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীরা মারধর করেন। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকরা। হাসপাতাল থেকে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    আক্রান্ত সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    হাসপাতালে (Kalyani) নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে মার খাওয়ার পর আক্রান্ত সুশান্তবাবু বলেন,  ভাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা শুধু ভাইকে দেখতে চেয়েছিলাম। ওরা এভাবে রক্তপাত করল। আমি জখম হয়েছি। যা বলার পুলিশ-প্রশাসনকে বলব। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হাসপাতালে ঢোকা নিয়ে বচসা হচ্ছিল। আচমকাই মারধর করা শুরু হয়ে যায়। তবে, হাসপাতালের (Hospital) মধ্যে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    নিরাপত্তারক্ষীরা কী সাফাই দিলেন?

    হাসপাতালে (Hospital)  নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য, রোগী দেখার সময় ওরা আসেনি। ওরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল। আমরা বাধা দিয়েছি। কোনও হামলা করিনি। ওরা মারধর করেছে। কারও গায়ে আমরা হাত দিইনি। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share