Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Potato Price: ধর্মঘট উঠলেও দাম কমেনি আলুর! হেলদোল নেই রাজ্যের, ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যবাসীর

    Potato Price: ধর্মঘট উঠলেও দাম কমেনি আলুর! হেলদোল নেই রাজ্যের, ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ঘটা করে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্মঘট তোলার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যবাসীর আশা ছিল, এবার হয়তো আলুর দাম (Potato Price) নাগালে আসবে। কিন্তু, দুদিন হতে চলল আলুর দাম কমার কোনও নাম গন্ধ নেই। তৃণমূল সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যবাসীর।

    আলুর কেজি প্রতি দাম ৪০-৫০ টাকা (Potato Price)

    বুধবার, কৃষি দফতরের সচিব, জেলাশাসক ও পুলিশকর্তাদের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, “হিমঘরে ২০ শতাংশ আলু রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। সেই শতাংশ আলু বাজারে (Market) এনে আলুর জোগান বাড়াতে হবে। এরপরও প্রয়োজন হলে, রাজ্য সরকার ২৬ টাকা কিলো দরে আলু কিনে সুফল বাংলা ও সেলফ হেল্প গ্রুপের মাধ্যমে বিক্রি করবে।” কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খোলা বাজারে শুক্রবারও রাজ্যের বহু জায়গাতেই কিলো প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ঘুরছে। আর চন্দ্রমূখীর দাম ৪৫-৫৫ টাকার আশপাশে রয়েছে। অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে চড়া দামে আলু বিক্রি করছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। সরকারের কোনও হেলদোল নেই।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    ১০০টি আলু বোঝাই গাড়ি আটক

    পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় শ’খানেক আলু বোঝাই ট্রাক আটক করেছে পুলিশ। মূল্যবৃদ্ধির (Potato Price) রুখতে ভিন রাজ্যে আলু ট্রাক যাওয়ার সময় আটকে দিল পুলিশ-প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বামুনপুকুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকগুলিকে আটকে দেওয়া হয়। প্রায় শতাধিক আলুর ট্রাক চলে যাচ্ছিল ভিনরাজ্যে। আলুর এই নেই-নেই পরিস্থিতিতেও যদি চুপিসাড়ে অন্য রাজ্যে পাচার হয়ে যায় আলু, তাহলে বাজারে দাম আরও চড়বে। গাড়ি চালকরা জানান, চন্দ্রকোনা থেকে গাড়িতে আলু তোলা হয়। রাতেই তারা দাঁতনে আসেন। দাঁতন থানার পুলিশ আটক করেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের বাজারে (Market) জেলাশাসক অভিযানে নামেন। আলুর দাম চড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আসানসোলের মতো রাজ্যের সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে দাম কমানো দরকার। কারণ, এদিনও চড়া দামেই আলু বিক্রি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ১০ বছরেও মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাট্টার জমি! তৃণমূলের ওপর চটে লাল ভূমিহীন পরিবার

    Bankura: ১০ বছরেও মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাট্টার জমি! তৃণমূলের ওপর চটে লাল ভূমিহীন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পাট্টার কাগজ নেওয়ার পর এই হাল হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড়ের বহু ভূমিহীন পরিবার। গত ১০ বছরেও তাঁরা হাতে জমি না পাওয়ায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর অসহায় এই ভূমিহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    জানা গিয়েছে, সালটা ছিল ২০১৩ এবং ২০১৬। সেই সময় বাঁকুড়া জেলায় পৃথক দু’টি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ঘটা করে বেলিয়াতোড়ের (Bankura) মোট ১৮ জন ভূমিহীনের হাতে সরকারি পাট্টার জমির নথিপত্র তুলে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমির এই পাট্টা তুলে দেওয়ার আগে সরেজমিনে কয়েকদফা সমীক্ষা করা হয়। ভূমিহীন উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ঠিক কোন এলাকায় জমি দেওয়া হবে তা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও সেরে ফেলা হয়। এরপর ভূমিহীনদের হাতে পাট্টার নথি হিসাবে যে বন্দোবস্তপত্র তুলে দেওয়া হয় তাতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে মৌজার নাম, জে এল নম্বর, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও জমির পরিমাণ। যে ১৮ জন ভূমিহীন পরিবারের হাতে পাট্টার নথি তুলে দেওয়া হয়েছিল তাতেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয় পাট্টা প্রাপকরা ওই জমির দখল নিতে গেলে। অভিযোগ, যে সরকারি জমির পাট্টার নথি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, সেই জমি আগে থেকেই জবর দখল হয়ে যায়। বাস্তবে জমির দখল নিতে পারেননি পাট্টা প্রাপকরা। এক পাট্টা প্রাপক বলেন, “২০১৩ সালে পাট্টা পেয়েছিলাম। এখনও চোখে দেখিনি জমি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। জেলা প্রশাসনের কর্তারা সব জানেন। তবে, এখনও জমি পাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থেকে পাট্টা নেওয়ার পর এভাবে প্রতারিত হব তা ভাবিনি। আদৌ জমি পাব কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভূমিহীনদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বিজেপি (BJP) নেতা সোমনাথ কর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দেন। কাজের কাজ কিছুই করছেন না। তিনি শুধু ভাতা দেওয়ার রাজনীতি করেন। অপরদিকে, বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক  অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের পাট্টা দিয়েছেন তাঁরা সকলে জমি পেয়েছেন। তবে এটা ব্যতিক্রম। আমি খতিয়ে দেখব বিষয়টি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) অবশেষে ‘স্বস্তি’ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় দায়ের করা একটি পুরনো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ, দায়ের করা এই মামালকে খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।

    মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালে (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত মানিক বাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ আন্দোলেন ভাষণ দিয়েছিলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এই সভা থেকে থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর এই বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছাড়ানো, মারধর এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে এফএইআর দায়ের করেছিল থানার পুলিশ। সৌমিত্র যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাঁর মামলা এতদিন শুনানি চলছিল বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালতে। এই মামলায় একাধিকবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত ৯ জুলাই ছিল হাজিরার নির্দেশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    আগেও মামলা দায়ের হয়েছিল

    এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবার আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় পুলিশ বেআইনি অস্ত্র মামলা এবং বালি পাচার মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেয়ছিলেন। তবে সৌমিত্র পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে শাসক দল তৃণমূলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির (Siliguri) খড়িবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার সকালে খড়িবাড়ির চক্করমারি শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জগদীশ রায় (৬৫)। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিশিষ্ট লোকশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

     ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    জানা গিয়েছে, এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন ও জটিলতা দেখা দেওয়ায় অভিভাবকরা তাকে চেপে ধরতেই ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। তারপর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা খড়িবাড়ি থানায় (Siliguri) অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতার নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। মূলত, ওই তৃণমূল নেতা লোকশিল্পী ছিলেন। সেই সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে তিনি গান শেখাতেন। সেখানেই ওই ছাত্রীকে চাকরির টোপ দিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার  সকালে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছে?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাস চারেক আগে ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা এই অপকর্ম করেন। এতদিন পর জানাজানি হতেই অভিযোগ থানা (Siliguri) পর্যন্ত গড়ায়। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না ভেবেই ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মালদা-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    Murshidabad: মালদা-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মালদা-মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত করার দাবি তুললেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। কারণ, স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে জেলায় কীভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে তা তিনি আঁচ করেই আগেও এই দাবির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এমনকী বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও এই বিষয় নিয়ে জোর সওয়াল করেছেন। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এবার সেই একই দাবি আরও একবার শোনা গেল বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্করের গলায়।

    কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? (Murshidabad)

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালেই এই একই দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “এই দাবি অনেক আগেই  আমি তুলেছিলাম। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলাম, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) -মালদায় যেভাবে অনুপ্রবেশ ঘটছে, তাতে আগামীদিন দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। যে শক্তি ভারতকে আবারও ভাঙতে চায়, বাংলাদেশ থেকে তারা মুর্শিদাবাদ-মালদা হয়ে ভারতে ঢুকছে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন দলদাসের মতো কাজ করে। এই রাজ্যের শাসকদল শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের নিরাপত্তার কথা তারা ভাবে না। তাই আমি বলেছিলাম, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে মালদা-মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়খণ্ড-বিহারের কিছু অংশ নিয়ে যদি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা যায়, তাহলে দেশকে সুরক্ষিত রাখা যাবে। আশা করি, আগামীদিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবিকে প্রাধান্য দেবেন এবং এই দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করে দেশকে সুরক্ষিত করবেন।” আর বিজেপি সাংসদের মাধ্যমে লোকসভায় বিষয়টি ওঠায় সেই দাবি অনেকটাই মান্যতা পেল বলে মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তিপুরে (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সরাসরি ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। সেখানে দাঙ্গা লাগার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিজেপির (BJP) জেলা নেতাদের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের কারণে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে। আর বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করায়, অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্য সরকার মুখ খুলছে না। ফলে, বিজেপি (BJP) সাংসদ লোকসভায় যে দাবি করেছেন, তার দাবি মেনে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দুই জেলার মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে মোবাইল চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে গণপিটুনি, পুলিশ কী করছে?

    Birbhum: বীরভূমে মোবাইল চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে গণপিটুনি, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও ছেলেধরা, কখনও চোর সন্দেহে রাজ্যজুড়ে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সবক্ষেত্রেই কমবেশি গাছে বেঁধে হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরও এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে এক কংগ্রেস কর্মীকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর (Mallarpur) থানার কোটগ্রামে মোবাইল চুরির সন্দেহে এক যুবককে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম রমজান শেখ। মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রমজানকে  দক্ষিণগ্রাম (Birbhum) থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন প্রতিবেশী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। কেন তাঁকে নিয়ে গেল তা পরিবারের লোকজন জানতেন না। নিমগাছে বেঁধে লাঠি, এমনকী লোহার রড দিয়ে তাঁকে  মারধর করা হয়। বিষয়টি জানার পরই পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুরানো কোনও আক্রোশ থেকেই মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে এভাবে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছে। এমনই দাবি পরিবারের।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    জখম যুবকের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    রমজানের বাবা নোসেউদ্দিন শেখ বলেন, প্রতিবেশীদের (Mallarpur) সঙ্গে পুরানো বিবাদ ছিল। কিন্তু, তারজন্য আমার ছেলেকে এভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হামলা চালাবে তা ভাবতে পারছি না। যদি আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনা করে থাকে, পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। সেখানে অভিযোগ করতে পারত। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করত। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কী করছে? প্রকাশ্যে গাছে বেঁধে এভাবে মারধর মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সোনারপুরে জামালকে নিয়ে পুলিশি অভিযান, বাড়িতে খোঁজ মিলল বিশাল চেম্বারের

    South 24 Parganas: সোনারপুরে জামালকে নিয়ে পুলিশি অভিযান, বাড়িতে খোঁজ মিলল বিশাল চেম্বারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতুলির সাদ্দাম সর্দারের বাড়িতে পুলিশ হানা দেওয়ার সময় তাঁর বেড রুমের নিচে পাওয়া গিয়েছিল সুড়ঙ্গ। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার শুক্রবার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। জামালকে সঙ্গে করেই পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। এদিন সকালে তাঁর বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় উপচে পড়ে।

     বিশাল চেম্বারের হদিশ পেল পুলিশ (South 24 Parganas)

    সালিশি সভা ডেকে মহিলাকে মারধরের অভিযোগে গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছিল জামালকে। তারপর এদিন সকালে জামালের বাড়িতে (South 24 Parganas) অভিযান চালায় পুলিশ। সকাল ৬টা নাগাদ জামালকে সঙ্গে নিয়েই তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গোটা বাড়ি (Sonarpur) জুড়ে চলে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, যেখানে সালিশি সভা বসত, যেখানে শিকল বাঁধার হুক ছিল, সেখানেই মাটির তলায় একটি চেম্বারের হদিশ মিলেছে। কী কারণে ওই চেম্বারটি ব্যবহৃত হত, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, জামাল দাবি করেছেন জলের ট্যাঙ্ক হিসাবে মাটির তলার ওই চেম্বারটিকে ব্যবহার করতেন তিনি। শুক্রবার সকালে জামালের বাড়িতে পুলিশ ঢোকার পর, বাড়ির ভিতর থেকে কিছু ভাঙাভাঙির শব্দ ভেসে আসছিল। পুলিশি অভিযানের সময় সাক্ষী হিসাবে জামালের বেশ কয়েক জন প্রতিবেশীকে বাড়ির ভিতরে ডাকা হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, জলের ট্যাঙ্কটিই ভাঙাভাঙির কাজ চলছিল। মাটির তলায় ওই চেম্বারটির মধ্যে কিছু রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখতেই পুলিশ সেটি ভাঙচুর চালিয়েছিল। তবে, সেখান থেকে কিছু মেলেনি। এছাড়া জামালের বাড়ি থেকে আধার কার্ড-সহ বেশি কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন পুলিশকর্মীরা।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    প্রতিবেশীরা কী বললেন?

    জামালের বাড়িতে তল্লাশির জন্য বারুইপুর মহকুমা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সকালে সোনারপুরে (Sonarpur) জামালের বাড়িতে অভিযান চালান পুলিশকর্মীরা। সোনারপুরের জামালের বাড়িতে মাটির তলার এই ‘চেম্বার’ নিয়ে এলাকায় নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, বাড়ির ভিতরে অতবড় চেম্বার রয়েছে তা আমরা জানতামই না। আমরা চাই, ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপে সাগর এখনও উত্তাল! গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে বাড়ানো হল নিষেধাজ্ঞা

    Weather Update: নিম্নচাপে সাগর এখনও উত্তাল! গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে বাড়ানো হল নিষেধাজ্ঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে শনিবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আপাতত ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ দিকে হেলে থাকায় শুক্র ও শনিবার ভালই বৃষ্টি হবে। এদিকে নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাবে সমুদ্র এখনও উত্তাল হয়ে রয়েছে। মৎস্যজীবীদের (Fishermen) জন্য সতর্কতার সময় বৃদ্ধি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর এবং পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে ঝোড় হাওয়া বইছে। তাই আপাতত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। অপরে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Weather Update) জন্য উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগরে ঝোড় বাতাসের প্রকোপ চলছে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে এই হাওয়ার গতিবেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এই রকম পরিস্থিতি আরও আগামী ৩৬ ঘণ্টা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই জন্য গভীর সমুদ্রে মাছ (Fishermen) ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি

    তবে এই নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাব পড়েছে স্থলভাগের উপরেও। গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। আকাশ বেশিরভাগ সময়ে থাকছে মেঘলা। কখনও ঝেপে বৃষ্টি হচ্ছে আবার কখনও ঝিরিঝির বৃষ্টি হচ্ছে। এই রকম আবহাওয়ায় শুক্রবার সব জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে চার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত

    একই ভাবে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির (Weather Update) সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টিপাত চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, আগামী সোম-মঙ্গলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে শুক্রবার কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি কম।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Ranaghat: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাটে প্রকাশ্যে সোনার দোকানে ডাকাতির পর এবার (Ranaghat) ভরসন্ধ্যায় জোড়া খুন (Murder)। এই ঘটনায় রানাঘাটের আনুলিয়া মনসাতলা এলাকা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রূপক দাস (৩৮) এবং সুমন চক্রবর্তী (৪০)। সুমনবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর গাড়ির চালক ছিলেন রূপক। দুজনের বাড়ি রানাঘাট পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনবাবুর কাছে বৃহস্পতিবার ফোন এসেছিল। সেই ফোন পেয়েই রূপকবাবুকে নিয়ে বাইকে করে ওই ব্যবসায়ী বেরিয়েছিলেন। তবে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা বাড়িতে বলে যাননি। আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ পরিবারের লোকজন খবর পান, নির্মীয়মাণ বাড়িতে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁদের দুজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, চক্রান্ত করে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত রানাঘাট। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে রানাঘাট থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    নিহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় কী বললেন?

    নিহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় মেঘনাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুমন পেশায় ব্যবসায়ী ছিল। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নেই। পরিবারের কাছে এই ধরনের আশঙ্কার কথাও ও বলেছে বলে আমার জানা নেই। এদিন সন্ধ্যায় আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। যেটুকু জেনেছি, কোনও ফোন পেয়ে সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সঙ্গে গাড়ির চালক ছিল। দুজনকে এভাবে কুপিয়ে খুন (Murder) করা হবে তা ভাবতে পারছি না। পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ফলে, এই ঘটনার পর আমরাও আতঙ্কিত। আমাদের দাবি অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপির এলাকায় উন্নয়ন বন্ধ করেছে তৃণমূল! দিনভর আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    Bankura: বিজেপির এলাকায় উন্নয়ন বন্ধ করেছে তৃণমূল! দিনভর আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা বিধানসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি। ওন্দার মেদিনীপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও একাধিক বুথে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেছে গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, ভালো ফল করার জন্য বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকায় উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য? (Bankura)

    এদিন অবস্থান বিক্ষোভে মেদিনীপুর পঞ্চায়েতের ৬ জন, ওন্দা (Bankura) পঞ্চায়েত সমিতির ২ জন যোগ দেন। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের দলের যে সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য আছেন, সেখানে উন্নয়নমূলক কাজের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামের রাস্তাঘাটের সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে কোনওরকম কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এমনকী পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত আলোচনা সভা ডাকা হচ্ছে, সেখানেও আমাদের ডাকা হচ্ছে না। তাই, এলাকার মানুষের স্বার্থে আমরা বাধ্য হয়ে এদিন আন্দোলনে নেমেছি। এরপরও পঞ্চায়েতের টনক না নড়লে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ওন্দার (Bankura) বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে। আমরা এটা মেনে নেব না। আমাদের দাবি পূরণ না হলে মেদিনীপুর পঞ্চায়েত চাবি দিয়ে বন্ধ করে দেব। তৃণমূলের ওন্দা ব্লকের সভাপতি উত্তম বিট বলেন, কাউকে কোনও বঞ্চনা করা হয়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। সব এলাকায় একসঙ্গে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। আসলে যে এলাকায় কাজ দেওয়ার দরকার সেখানে কাজ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিজেপি (BJP) সদস্যদের এলাকায় কাজ দেওয়া হবে। আসলে এসব করে ওরা নাটক করছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share