Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: সুড়ঙ্গের পর কুলতলির সাদ্দামের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ মিলল, বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র-মূর্তি

    South 24 Parganas: সুড়ঙ্গের পর কুলতলির সাদ্দামের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ মিলল, বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র-মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলির সেই সাদ্দাম সর্দারের নতুন বাড়ির হদিশ মিলল। বুধবার রাতে তাঁর পয়তারহাটের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আরও কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। তার আগে সাদ্দামকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তদন্তে যে নতুন তথ্য উঠে আসে, তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অস্ত্রের পাশাপাশি কয়েকটি ধাতব মূর্তিও সাদ্দামের (Saddam Sardar) বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছিল সাদ্দামের বাড়িতে (South 24 Parganas)

    প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগে সম্প্রতি কুলতলির (South 24 Parganas) জালাবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের পয়তারহাটে সাদ্দামের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো সোনার মূর্তি দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। পুলিশ অভিযানে যেতেই সাদ্দামের বাড়ির পাশাপাশি পড়শি মহিলারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, তখন পুলিশ অফিসারদের মারধরও করা হয়। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি ছিল, গুলি কারও গায়ে না লাগলেও স্থানীয়দের মারধরে তিন জন পুলিশ অফিসার জখম হয়েছিলেন। সেই সুযোগেই পালিয়ে যান সাদ্দাম ও সাইরুল। এর পরেই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তল্লাশি চলে সাদ্দামের বাড়িতে। সেই সময় বাড়ির ভিতরে বেডরুমের নিচে মেলে সুড়ঙ্গ। বাইরে থেকে গ্রিলের দরজা দেওয়া। দরজা খুলে ওই কংক্রিটের সুড়ঙ্গে নেমে পুলিশ দেখে, হাঁটুজল জমে আছে। সুড়ঙ্গটি শেষ হয়েছে পাশের খালে। সেই খাল আবার গিয়ে পড়েছে পাশের মাতলা নদীতে। গত ১৭ জুলাই গভীর রাতে কুলতলিকাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দামকে (Saddam Sardar) গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বারুইপুরের (South 24 Parganas) পুলিশ সুপার (এসপি) পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাদ্দাম-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদ্দামের ভাই সাইরুল-সহ আরও বেশ কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সাদ্দামের আরও একটি বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মূর্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের, মালদায় শোরগোল

    Malda: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের, মালদায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে এক ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভয়ানক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদার (Malda) গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। হামলাকারী যুবক ছাত্রীর ওপর হামলা চালানোর পর পরই নিজের গলায় ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আর সমস্ত ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে। ফলে, বিশ্ববিদ্যালের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ছাত্রীর নাম তনুশ্রী চক্রবর্তী। তিনি অঙ্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সম্প্রতি দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। এদিন বিজ্ঞান বিভাগের করিডরে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়েরই (Malda) প্রাক্তন পড়ুয়া অলোক মণ্ডল আচমকা এসে তাঁর ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর ওপর বসে তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। এরইমধ্যে তিনি নিজের গলায় ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করেন। প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্র বলেন, আমরা ওই যুবকের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু, তাঁর হাতে ধারাল অস্ত্র থাকায় আমরা যেতে পারিনি। পরে, একজন বাঁশ নিয়ে পিছন দিক থেকে ওই যুবককে মারে। এরপরই ছাত্রীকে ফেলে ওই যুবক দোতলায় উঠে পড়েন। সেখানে গিয়ে ফের গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে, অন্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছছে পুলিশ। ওই যুবক ও যুবতীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল, না অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।  

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    উস্কে দিল বহরমপুরে ছাত্রী খুনের স্মৃতি

    এই ঘটনা কার্যত আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে মুর্শিদাবাদের সুতপা চৌধুরীর কথা। ২০২২ সালের মে মাসে বহরমপুরে সুতপা নামের এক ছাত্রীকে মেসের সামনে পরপর কোপ মেরে খুন করা হয়েছিল। সেই রকমই ঘটনারই কি পুনরাবৃত্তি ঘটল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে? বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gourbanga University) ভিতরে কীভাবে অস্ত্র নিয়ে ঢুকল এক বহিরাগত সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gourbanga University) ডেভেলপমেন্ট অফিসার রাজীব পুততুণ্ড বলেন,”পড়ুয়াদের থেকে শুনেছি, একটি ছাত্র ছুরি নিয়ে একটি ছাত্রীকে হামলা চালিয়েছে। আমাদের প্রথম চেষ্টা উভয়কেই বাঁচানো। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: চোপড়ায় দাপাচ্ছেন জেসিবি বাহিনীর জব্বার, টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত পাওনাদার

    Uttar Dinajpur: চোপড়ায় দাপাচ্ছেন জেসিবি বাহিনীর জব্বার, টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত পাওনাদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের জেরে তৃণমূল নেতা জেসিবি এখন জেলে রয়েছেন। তাতে কী হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ায় এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জব্বার। জব্বার আবার জেসিবি বাহিনীর অন্যতম সদস্য। ফলে, তাঁর সামনে কথা বলার এখন কারও সাহস নেই। জব্বারের এই দাপাদাপিতে বেজায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তাঁরা চাইছেন, জেসিবির মতো জব্বারের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। প্রসঙ্গত, জেসিবি নিজের মতো করে সালিশি বসিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালাতেন। কিছুদিন আগে চোপড়ায় একজন মহিলা এবং পুরুষকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Uttar Dinajpur)

    জানা গিয়েছে, কালিকাপুরের (Uttar Dinajpur) মনসুর আলম নামে এক শ্রমিক জব্বারের দাদা জামশেদের সঙ্গে সিকিমে কাজ করতে গিয়েছিলেন। জামশেদ শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদারির কাজ করেন। সেই সুবাদে জামশেদের কাছে থেকে মনসুর প্রায় ১৪ হাজার টাকা পান। বছর খানেক হল তাঁকে সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সেই টাকা চাইতে যান তিনি। টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার জব্বারের নেতৃত্বে হামলা হয়। হামলায় পাঁচজন জখম হন। তাঁদের চোপড়ার দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে চোপড়া থানায়। তবে, দুদিন হতে চলল এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    আক্রান্তের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত ব্যক্তি মনসুর  আলম বলেন, “আমি শ্রমিকের কাজ করি। প্রায় পাঁচ থেকে ছ’মাস আমায় কোনও টাকা দেয়নি। আমি সেই টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। তখনই মারধর করা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আসলে ওরা এলাকায় শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ কিছু করবে না, সেটা জানে বলেই ওদের এত বাড়বাড়ন্ত। আমি চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তবে নামেই! হয় তাঁর কোনও ক্ষমতা নেই, নয়তো ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফুটো বোজাতে গিয়ে সময় দিতে পারছেন না রাজ্য চালানোয়। এই (Project Management) দুই সম্ভাবনারই ছাপ স্পষ্ট নবান্নের তরফে জারি করা সরকারি এক (Nabanna) নির্দেশনামায়।

    নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন (Nabanna)

    রাজ্য প্রশাসনের প্রধান হলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। তাঁরা রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সদ্য জারি করা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব দফতরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নজরদারি ও পরিচালনা করবেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন। মুখ্যসচিবের কাজ কেন পঞ্চায়েত সচিব করবেন, ইতিমধ্যেই উঠেছে সে প্রশ্ন। আধিকারিকদের একাংশেরও প্রশ্ন, তবে কি পঞ্চায়েত সচিবের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করে থাকতে হবে বাকি দফতরগুলির সচিব এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের? কাজের গুণমান ঠিক না হলে দায় পড়বে কার ঘাড়ে?

    প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট

    সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের (Nabanna) মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। তাতে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (PMU) গঠন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকার নির্যাস, কেবল দফতরগুলিই নয়, চাহিদা মতো পিএমইউ-কে তথ্য পাঠাতে ও সহযোগিতা করতে কার্যত বাধ্য থাকবে সব জেলা প্রশাসনও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথনই পিএমইউ-কে নেতৃত্ব দেবেন। সেই শাখার বাকি আধিকারিকদের নিয়োগ করবে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোতেও রাজনীতি শাসকের! সজলের পুজোকে চিঠি পুলিশের

    নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জরুরি প্রকল্পগুলি সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক রূপায়ণ করতে গেলে বিভিন্ন দফতর, জেলা প্রশাসন, প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তাই প্রত্যেক দফতর, জেলা প্রশাসন ও সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নির্বাচিত প্রকল্পগুলির গতি, সমস্যা ইত্যাদি সবই দেখভাল করবে পিএমইউ। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করবে তারাই। প্রকল্পগুলির অবস্থা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে সরকারকে রিপোর্টও দেবে পিএমইউ।

    রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী চলছেন ভাইপো তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে। তার জেরে রাজ্যে হয়ে গিয়েছে অতিমুখ্যসচিব। যাঁর মাধ্যমে নবান্নে আদতে কায়েম হচ্ছে ‘ভাইপোরাজ’। তাই দিন দিন (Project Management) মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পড়ছেন ঠুঁটো। ব-কলমে রাজ্য চালাচ্ছেন ভাইপোই (Nabanna)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার! পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই চাইছে পরিবার

    South 24 Parganas: জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার! পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই চাইছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে দুই বোনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঢোলাহাট থানার গুরুদাসপুরে। তিন মাস আগের সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা গৌরহরি মাল সহ কয়েকজনের। মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বাদ দিয়ে লোকদেখানো দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দুজনেই আবার মৃতের আত্মীয়। পুলিশ তদন্তে অসহযোগিতা করছে অভিযোগ তুলে সরব হলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

    সিবিআই তদন্তের দাবি! (South 24 Parganas)

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢোলাহাট থানার (South 24 Parganas) গুরুদাসপুরে মৃত দুই বোনের নামে জমি রয়েছে। সেই সম্পত্তি জোর করে দখল করে রেখেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌরহরি মাল। সেই জায়গা তিনি ছাড়তে চাইছেন না। গত মে মাসে খুনের ঘটনার দুদিন আগে তৃণমূল নেতা গৌড়হরি মাল জোরপূর্বক তাঁদের জায়গার একটি গাছ কেটে নেয়। আর তা নিয়ে ওই দুই বোনের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল নেতা ওই দুই বোনকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। এই খুনের পিছনে ওই তৃণমূল নেতার বড় হাত রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেনি। মৃতের এক আত্মীয় প্রসেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূল নেতার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। প্রকৃত অভিযুক্ত (Trinamool Congress) এখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই, খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা গৌরহরি মাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যে জমি নিয়ে বিবাদের কথা বলা হচ্ছে, মৃত দুই বোনের বাবা বেঁচে থাকতে আমি এই জায়গা কিনেছি। কাগজে সমস্ত কিছু লেখা আছে, তবে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। দীর্ঘ বহু বছর ধরে আমি তা দখলে রেখেছি। তাই, ওই জমি আমার নামে লিখে দেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোতেও রাজনীতি শাসকের! সজলের পুজোকে চিঠি পুলিশের

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোতেও রাজনীতি শাসকের! সজলের পুজোকে চিঠি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রং লেগেছে দুর্গাপুজোতেও। বঙ্গে মন্ত্রীদের বড় বাজেটের পুজো আর বাহারি থিম, যেন একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু এখন বিরোধীরাও কম যাচ্ছেন না। তাই রাজনীতির চাপ এসেছে বিরোধী শিবিরের পুজোতেও। যেমন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square)। এবছর (Durga Puja 2024) তাঁদের থিম লাস ভেগাসের ‘দা স্ফিয়ার’। তবে এবার আয়োজকদের চিঠি ধরিয়েছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, যেহেতু এই পুজোয় প্রতিবছর বাঁধভাঙা ভিড় হয়, তাই শর্তসাপেক্ষ পুজো করতে হবে কমিটিকে। জানাতে হবে থিমের বিষয়বস্তু। আয়োজনের খুঁটিনাটি।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by LENSOGRAPHY | Kolkata (@lensographyofficial)

    পুলিশের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের চাপা উত্তেজনা (Santosh Mitra Square)

    সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো লেবুতলা পার্কের পুজো নামেও পরিচিত। গত বছরও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পুলিশের চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ভিড় বেশি হচ্ছে, এই অজুহাতে পুলিশ দুই কিলোমিটার ঘুরপথে লেবুতলায় আসার ব্যবস্থা করেছিল। তাতেও রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে কলকাতার রাম মন্দিরে দর্শক কমানো যায়নি। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, যাতে মানুষকে বিরক্ত করে দেওয়া যায় এবং তাঁদের মধ্যে অনীহা সৃষ্টি হয়, সেই কারণেই পুলিশের বাড়তি উদ্যোগ। গত বছর এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। থিম হয়েছিল রাম মন্দির। পুজোর মূল উদ্যোক্তা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের দাবি, সেই কারণেই শাসকের গোঁসা হয়েছিল। আর গত বছরের রেশ শেষ হয়নি এবারও। সজল ঘোষ বলেন, “পুলিশ এবার যেসব শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হুমকির মত। আমরা যে কোন আলোচনায় যেতে রাজি। কিন্তু হুমকি দিলে মানব না। আর পুলিশ এমন সব শর্ত দিয়েছে। যা মানা সম্ভবই নয়। পুলিশ বেশ কয়েক বছর ধরে গা-জোয়ারি শুরু করেছে। এবছর ওরা চাইছে, পুজো একেবারে বন্ধ করে দিতে। কিন্তু সেরকম হলে, আমরা রুখে দাঁড়াব। মানুষ রুখে দাঁড়াবে।”

    অতীতের স্মৃতি

    প্রসঙ্গত আজ থেকে নয় বছর আগে ২০১৫ সালে শাসক দলের রোষে পড়েছিল দেশপ্রিয় পার্ক। সবচেয়ে বড় দুর্গার মুখ ঢেকে দিয়েছিল পুলিশ। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বড় পুজোগুলির উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর থিম ‘সবচেয়ে বড় দুর্গা’ সে বছর তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শাসকদলের রোষে বোধনেই হয় বিসর্জন। অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে এই অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ পুজো বন্ধ করে দেয়। পরে এই ঘটনা নিয়ে কিছুটা কল্পনা মিশিয়ে ‘অসুর’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়। বিরোধীদের পুজোতে পুলিশের চাপ নতুন কিছু নয়।

    আরও পড়ুন: বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজো কোন রাজা প্রচলন করেছিলেন জানেন?

    আর সজল ঘোষের পুজো মানে ‘সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার’ (Santosh Mitra Square)  এ এবছর মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা নেবে না বলে ঘোষণা করেছেন। মনে করা হচ্ছে অনুদান নিতে অনীহা দেখানোর প্রতিদান পাচ্ছে ‘‘সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার’’।

    পুলিশের দাবি (Durga Puja 2024)

    শহর কলকাতা নামকরা পুজোগুলির মধ্যে একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) । প্রতিবছর এখানে মানুষের ঢল নামে। গত বছর রাম মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল এবং অসাধারণ লাইট এন্ড সাউন্ড শো করার দর্শকদের ঢল নেমেছিল। এমনিতেই এখানে প্রবেশ পথ সংকীর্ণ। এক সময় এমন পরিস্থিতি হয়, যে কিছুক্ষণের জন্য প্রবেশ বন্ধ করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে ,তার জন্যই সতর্ক করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: “দুদিন অনাহারেই কেটেছে বাংলাদেশে’, দেশে ফিরে বললেন গলসির মৌসুমী

    Bangladesh Protest: “দুদিন অনাহারেই কেটেছে বাংলাদেশে’, দেশে ফিরে বললেন গলসির মৌসুমী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। দেশ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। পুলিশের গুলিতে শতাধিক পড়ুয়ার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। পূর্ব বর্ধমানে গলসির (Galsi) মৌসুমী মণ্ডল আরও অনেকের সঙ্গে এই ক’দিন রাত জেগেই কাটিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

    দুদিন অনাহারে রাত কাটিয়েছি (Bangladesh Protest)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী গলসি ১ ব্লকের (Galsi) রাইপুরের (Bangladesh Protest) বাসিন্দা। তাঁর বাবা জাহির আব্বাস মণ্ডল একজন রাজনৈতিক কর্মী। খুলনা শহরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মৌসুমী। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বাংলাদেশে রয়েছেন তিনি। দেশে ফেরার পর তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তিনি পরিবারের সকলকে বলেছেন। তিনি বলেন,”এত বছরে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। ইন্টারনেট বন্ধ। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। বহু এলাকায় খাবার ছিল না। টানা সাত দিন হস্টেলে বন্দি। তার পরে হস্টেল থেকেও বলে দেওয়া হয় দ্রুত শহর ছাড়তে। কিন্তু, ফিরব বললেই তো আর ফেরা যায় না। কোনওরকমে আরও ১৫০ জন ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে বাসে করে  পেট্রোপোল সীমন্ত দিয়ে দেশে ফিরি। প্রথমদিকে হোটেল থেকে রান্না করা খাবার পাচ্ছিলাম। শেষ দু’দিন কার্ফু জারি হওয়ায় পর আমাদের কাছে সামান্য কিছু শুকনো খাবার, বিস্কুট ছিল। আর আমরা অনেকে ছিলাম। বলা যেতে পারে, দুদিন অনাহারেই রাত কাটিয়েছি। আমাদের হস্টেলের পাশের ভবনেই ভারতীয় হাই কমিশনার থাকেন। ওই বাড়িটা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছাই আমরা।”

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    মৌসুমীর বাবা জাবির আব্বাস বলেন, “আর কয়েক মাস গেলেই মেয়ে চিকিৎসক ডিগ্রি পেত। জানি না কি হবে। তবে মেয়েকে ফিরে পেয়ে শান্তি। মেয়ে ফিরে আসার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: ‘উত্তরবঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হোক উত্তর-পূর্বের সঙ্গে’, মোদিকে আবেদন সুকান্তর

    North Bengal: ‘উত্তরবঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হোক উত্তর-পূর্বের সঙ্গে’, মোদিকে আবেদন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য ভাগ না করে উত্তরবঙ্গকে (North Bengal) উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব রাখলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumder)। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁর আবেদন  উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করা হোক। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করলে উত্তরবঙ্গ আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে।

    সুকান্তর আর্জি

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত (Sukanta Mazumder) উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের মিল আছে। সুকান্ত জানান, উত্তরের ৮ জেলা পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবে থাকলেও উত্তর-পূর্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব কি না, তা জানতে চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অংশ হিসেবে ধরা হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে সুবিধা হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেও মনে করেন তিনি।  সুকান্ত বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন এত দিন ঠিক ভাবে হয়নি বলেই বারংবার বিভিন্ন দাবি ওঠে। এখন প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। সে জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দও রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গকে নতুন মর্যাদা দিলে উন্নয়নে গতি আসবে।’’ সুকান্তের এটাও দাবি যে, ‘‘এর ফলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করি। কারণ, আদতে রাজ্যেরই উন্নতি হবে।’’

    আরও পড়ুন: নন-স্টিক কুকওয়্যারে রান্না করেন! আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ‘টেফলন ফ্লু’, কী এটা?

    কেন এই আবেদন

    রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সুকান্ত শিক্ষা মন্ত্রকের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রী। এই মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে মোদির কাছে প্রস্তাব নিয়ে একা সুকান্তই গিয়েছিলেন। এ থেকেই মনে করা হচ্ছে নিজের দফতরের এলাকা বাড়ানোর লক্ষ্যেই সুকান্তের (Sukanta Mazumder) এই উদ্যোগ। তাঁর লোকসভা এলাকা বালুরঘাটও উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। সেই দিক থেকে তাঁর মন্ত্রকের অধীনে উত্তরবঙ্গকে আনতে পারলে নিজের এলাকার উন্নয়নেও কাজ করতে পারবেন সুকান্ত। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সুকান্তের একান্ত বৈঠকে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: রাস্তা খারাপ নিয়ে প্রশ্ন করতেই লাঠি-রড দিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার

    Bankura: রাস্তা খারাপ নিয়ে প্রশ্ন করতেই লাঠি-রড দিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পথশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। ঘটা করে এই প্রকল্প চালু করা হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না তা বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়া থানার মাইলি গ্রামের হতশ্রী রাস্তার অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে। অল্প বৃষ্টিতেই গ্রামের ওই রাস্তার অবস্থা বেহাল। রাস্তায় জমে রয়েছে কাদা। রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে বাসিন্দাদের চরম নাকাল হতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে রাস্তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত। রাস্তার হাল এত খারাপ কেন? স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে এমন প্রশ্ন করায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    লাঠি-রড দিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম পিন্টু সিংহ মহাপাত্র। বেহাল রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীরা (Bankura) ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রাজকুমার সিংহ মহাপাত্র এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাই, কেউ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বলার সাহস দেখাননি। বিজেপি কর্মী সাহস করে বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে নালিশ জানিয়েছিলেন। আর তাতেই চটে যান ওই পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হলেও পরে ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দুই ভাই পিন্টুর ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন। লাঠি ও রড দিয়ে পিন্টুকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বিজেপি কর্মী। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, অন্যায় করলেও তৃণমূলকে (Trinamool Congress) কিছু বলা যাবে না। পঞ্চায়েত সদস্যকে রাস্তা সংস্কার করে দেওয়ার জন্য যে কেউ বলতে পারেন। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে ওই বিজেপি কর্মী নালিশ জানিয়েছিলেন। তারজন্য এই হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল (Trinamool Congress) অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বিষয়টিকে পারিবারিক ঝামেলা বলে দাবি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: রাজ্যের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! নিয়োগে লাগাম টানার বার্তা দিল নবান্ন

    Nabanna: রাজ্যের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! নিয়োগে লাগাম টানার বার্তা দিল নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! তাই আপাতত নিয়োগে লাগাম টানার বার্তা দিল মমতা সরকার (Nabanna)। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য, পূর্ত, পুলিশ- এই সমস্ত সরকারি দফতরগুলিতে নতুন করে প্রয়োজন ছাড়া কোনও নিয়োগ করা হবে না, এর পাশাপাশি কোনও সরকারি ভবনও নতুন করে তৈরি করা হবে না, সম্প্রতি মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকার নেতৃত্বে সরকারি দফতরে গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের নিয়ে এমপাওয়ার্ড কমিটির (Nabanna) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেই এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিতে বহু শূন্যপদ পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই (Nabanna)

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিতে বহু শূন্যপদ পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন দশ লাখ চাকরি প্রস্তুত রয়েছে! কিন্তু তা নাকি মামলার কারণেই শুরু করা যাচ্ছে না! মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণা যে কতটা ফাঁকা আওয়াজ, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে উচ্চপদস্থ আমলাদের নিয়ে মুখ্য সচিবের এমন বৈঠকেই (Nabanna)। সূত্রের খবর বৈঠকে এও বলা হয়েছে, বিভিন্ন দফতরে যে সংখ্যায় নিয়োগ করা দরকার তার তালিকা তৈরি করতে হবে, তা পেশ করতে হবে। একান্ত প্রয়োজন হলেই সেই তালিকা থেকে ৫০ শতাংশ নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু তার বেশি কখনও নয়।

    সরব বিজেপি 

    রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এ নিয়ে সরব হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, কোষাগারে যদি এতই টান তখন পূজো কমিটিগুলিকে মোট ৩৬৫ কোটি টাকা অনুদান কীভাবে দেওয়া হচ্ছে? বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “৬০০ কোটি টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রযান বানিয়ে চাঁদে পাঠিয়ে ভারতের পতাকা পুঁতে এসেছেন। আর উনি গত দু’বছরে ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এই বছর পৌনে চার কোটি টাকা খরচ করছেন। একবার ভেবে দেখুন এই টাকা দিয়ে কত মানুষের চাকরি হত?”

    কর্মীদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে গিয়েও চাপ বেড়েই চলেছে রাজ্যের ওপরে

    সূত্রের খবর, কর্মীদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে (Reins on Recruitment) গিয়েও চাপ বেড়েই চলেছে রাজ্যের ওপরে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মী নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরকে সতর্ক করলেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘বুঝে কর্মী নিয়োগ করতে হবে (Reins on Recruitment)। শূন্য পদ হলেই লাফিয়ে নিয়োগ করতে হবে এমনটা নয়। যতটুকু প্রয়োজন, যতটুকু না হলে নয় ততটুকু নিয়োগ করুন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share