Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dacoits: ভরদুপুরে মালদার ব্যাঙ্কে ডাকাতি, বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ক্যাশিয়ার, পুলিশ-দুষ্কৃতী গুলিবৃষ্টি

    Dacoits: ভরদুপুরে মালদার ব্যাঙ্কে ডাকাতি, বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ক্যাশিয়ার, পুলিশ-দুষ্কৃতী গুলিবৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া, বারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির পর এবার মালদার (Malda) গাজোলে দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কে ডাকাতি (Dacoits) ঘটনা ঘটল। চলল গুলি। সঙ্গে বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ হলেন সমবায় ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার। আর বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। যদিও পরে পুলিশ ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করে। রাস্তায় গুলি বিনিময় হয়। পরে, দুজন দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)

    ইতিমধ্যেই ঘটনার হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়ায় গাজোলের কেষ্টপুর সমবায় সমিতির ব্যাঙ্কের সামনে। মুহূর্তেই গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নামে ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতী। প্রত্যেকের মুখেই কাপড় বাঁধা। বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ে ব্যাঙ্কের মধ্যে। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। চলে লুটপাট। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের (Dacoits) আটকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন হিসাবরক্ষক যোগেশ্বর মণ্ডল। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। তাঁকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। পরে, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, প্রায় ছ’লক্ষ টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতী দলটি। এই ঘটনার পরেই এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ব্যাঙ্কের এক কর্মী বলছেন, “কেষ্টপুর বাসস্ট্যান্ডে আমাদের সমবায় ব্যাঙ্ক। জনবহুল এলাকা। সেখানে এরকম ঘটনা ঘটল। চরম আতঙ্কিত আমরা। পুলিশের আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার।” শুধু ব্যাঙ্কের কর্মী নন, সাধারণ মানুষও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের গুলি বিনিময়

    পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির (Dacoits) পরেই চারচাকা গাড়িতে করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ। পিছু ধাওয়া করছে দেখে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়েছিল তারা। এরপর ভাবুক অঞ্চলের মন্দিলপুর এলাকায় গাড়ি রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সেই সময়েই গুলি চালায় পুলিশও। একজনের পায়ে গুলি লাগে। আর একজনের কোমরে। গুলি লাগতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তারা। তাদের ওই অবস্থায় ফেলে রেখেই বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের এক জনের বাড়ি মালদার (Malda) চাঁচলে, অন্যজনের গাজোলের কৃষ্ণপুর এলাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: দক্ষিণ দিনাজপুরে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আক্রান্ত ১৩৬

    Dengue: দক্ষিণ দিনাজপুরে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আক্রান্ত ১৩৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় জমছে জল। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে আবার বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

    ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ১৩৬ জন (Dengue)

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জন ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। গত দুদিনে ১৫ জন জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখন ডেঙ্গি পরীক্ষার পরিমাণ বেড়েছে। তাই আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এবার আরও সজাগ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। গতবছর কুমারগঞ্জ ব্লকের নানা প্রান্ত ও বালুরঘাটের বেশ কিছু এলাকা ডেঙ্গির হটস্পট জোন ছিল। এবারও বালুরঘাট, তপন, কুমারগঞ্জ সহ হিলি ব্লকে ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়েছে। তুলনামূলকভাবে গঙ্গারামপুর মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। মূলত সচেতনতামূলক প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্ষার মধ্যে ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়লেও কোনও মৃত্যুর খবর নেই। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরকে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    স্বাস্থ্য দফতরের কী বক্তব্য?

    জেলার আটটি ব্লকেই ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ ও হিলি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে দফতর সূত্রে খবর। ফলে, সচেতনতার পাশাপাশি পরীক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “গতবারের তুলনায় এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। তবে, মৃত্যুর কোনও খবর নেই। গতবারের তুলনায় এবার জেলা হাসপাতালের সঙ্গে বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ডেঙ্গির পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর অনেকটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।” যদিও বালুরঘাট পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, “বালুরঘাট (South 24 Parganas) শহরে নতুন করে কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়নি। আমরা সব জায়গায় নজর রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Price:  তিনদিন পর হুঁশ ফিরল তৃণমূল সরকারের, ধর্মঘট তুলে নিলেন আলু ব্যবসায়ীরা

    Potato Price: তিনদিন পর হুঁশ ফিরল তৃণমূল সরকারের, ধর্মঘট তুলে নিলেন আলু ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মঘটের জেরে রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছিল। আলুর (Potato Price) লাগাম ছাড়া দামের কারণে তৃণমূল সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই এবার ধর্মঘট তুলতে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য সরকার। আলোচনা থেকে বেরিয়ে এল সমাধান। তিন দিন পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। বুধবার হুগলির (Hooghly) হরিপালে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তারপরই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা জানালেন ব্যবসায়ীরা।

    জ্যোতি ৪৫, চন্দ্রমুখী ৫০ টাকায় বিক্রি! (Potato Price)

    বুধবার কোনও বাজারে ৪০, কোথাও ৪৫ টাকা কিলো দরে জ্যোতি আলু (Potato Price) বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রমুখী হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে। দোকানদারদের মধ্যে যে যেমন পারছেন, দাম নিচ্ছেন। আলুর দাম জিজ্ঞাসা করেই ঢোঁক গিলছেন ক্রেতারা। কয়েক দিন আগেই যে আলু ৩২ টাকা ছিল, সেটাই এখন ৪৫ টাকা কেজি! খুচরো বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পাইকারি বাজারে আলু নেই। এই অবস্থায় তাঁরা ‘অসহায়’। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কয়েক দিন ধরে বাজারে বাজারে যে টাস্ক ফোর্সের অভিযান দেখা যাচ্ছিল, তারও দেখা মিলছে না। তবে, এদিন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় আশা করা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে আলুর জোগান আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ফলে আলুর ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে যে নাভিশ্বাস উঠেছিল আমজনতার, সেখান থেকে এ বার রেহাই মিলবে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কী বলেন?

    হুগলিতে (Hooghly) মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “বৃহত্তর স্বার্থে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হল। আমরা সরকারের পাশে আছি। তবে, রাজ্য থেকে যে আলু বাইরে যায়, সেই রফতানির বিষয়টিও যেন সরকার খেয়াল রাখে। মন্ত্রী আমাদের বিবেচনা করে দেখবেন বলেছেন। আমাদের দাবিদাওয়া লিখিতভাবে সরকারের কাছে জানাচ্ছি।” পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ডস্টোর অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে পতিতপাবন দে বলেন, “আমরা সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের রাজ্যে ১১০ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়। এত আলু আমাদের রাজ্যে খাওয়া যায় না। তাই ভিন রাজ্যে পাঠাতেই হয়।”

    কী বললেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রী বেচারাম মান্না বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন, “আমাদের দিক থেকে যা যা সাহায্য করা যায়, সেটা বলেছিলাম। সরকার পক্ষ সাড়া দিয়েছে। তাই ব্যবসায়ীরাও কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছেন। বৈঠকের পর সবাই আশাবাদী। আলোচনা সদর্থক। এ বার হিমঘর থেকে ২৬ টাকা দরে আলু (Potato Price) পাঠানো হবে বিভিন্ন বাজারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত সচিবকে গলা টিপে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত সচিবকে গলা টিপে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের দাদাগিরি। এবারে সরকারি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রশ্ন উঠছে, একজন শাসকদলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হয়ে যদি এইভাবে সরকারি কর্মীর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করতে পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    গত ২০ জুলাই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে উপ-প্রধানের (Trinamool Congress) সঙ্গে পঞ্চায়েতের (South 24 Parganas) সচিব ভিক্টর মিশ্রের বিবাদ বাধে। এরপরই পঞ্চায়েত সচিবকে উপ প্রধান গলা টিপে ধরে বেধড়ক মারধর করে। হামলার সেই সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে, সেই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিওটিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাবির মোল্লা দলবল নিয়ে এসে ওই পঞ্চায়েত সচিব ভিক্টর মিশ্রর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাবির মোল্লার বিরুদ্ধে ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, ওই আধিকারিক নিজেই মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের চাপেই কি মুচলেকা দিয়ে সমস্ত কিছু তুলতে হল সরকারি আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিডিও (South 24 Parganas) সৌরভ গুপ্তা বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে অবশ্যই নিন্দনীয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের ওই সরকারি কর্মী একটি মুচলেকা দিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, যাতে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের (Trinamool Congress) কুলপি ব্লকের (South 24 Parganas) সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার বলেন, মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র ঠেলাঠেলি হয়েছে। আর সেখানে হাত চলাটা স্বাভাবিক। উপপ্রধানকে ১৫ দিন অঞ্চলে আসতে না বলা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে জেলার বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের সম্পাদক স্বপন হালদার বলেন, এটা শুধু কুলপিতে নয়, গোটা রাজ্যে আইনের শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আজ সেখানে পঞ্চায়েতের কর্মী মার খেয়েছেন, কালকে বিডিও মার খেতে পারেন। এটা নিয়ে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতন ইস্যুতে বুধবার সকাল থেকে তপ্ত বিধানসভা (West Bengal Legislative Assembly) অধিবেশন। এরই মধ্যেই নিজের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “বিধানসভার মধ্যেও আমরা নিরাপদ নই!”

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরু থেকেই নারী নির্যাতন ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি পাল্টা বলেন, “নারী নির্যাতন ঘটনা ঘটলে সবার আগে বাংলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। ক্রিমিন্যাল জাস্টিস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে রাজ্যের হাত থেকে।” আর সে ইস্যুতে তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেন শাসক বিধায়করাও। প্রথম পর্বের অধিবেশন শেষ হয়। এরপর বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগ, সেই সময়েই বিধানসভার ভেতরে শুভেন্দুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই বাগ্‌বিতণ্ডার সময়েই তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে হেনস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে ৮২ রানে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত

    বিরোধী দলনেতার মন্তব্য  

    এ প্রসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ”বিধানসভার লবিতে আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, তখন পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চান। বিজেপি এমএলএ-রা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাইরে রাখার অর্ডার রয়েছে। আমি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, লিখে পাঠাচ্ছি এখনই।” স্পিকারকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধানসভার মধ্যে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করা হল। একবার হাউসের ভিতরে করেছেন, আজকে লবিতে করলেন। আমি বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছি। কোনও বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হলে, তার দায় স্পিকারের।” স্পিকার হিসেবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও চিঠিতে স্পষ্টভাবে লিখেছেন শুভেন্দু। 
    একই সঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। যদিও শুভেন্দুর আনা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের  সুজালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মজিবুর রহমান (৬০)। তাঁর বাড়ি সুজালি গ্রামে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় তৃণমূল নেতা শেখ ফরাজুলসহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল নিহত ওই তৃণমূল কর্মী মজিবুর রহমানের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যা হুসনেরা খাতুনের স্বামী শেখ ফরাজুলের মধ্যে। মজিবুরের নামে কয়েক বিঘা জমি ছিল। ক্ষমতার জোরে সেই জমি জোর করে দখলে রেখেছিলেন ফরাজুল। পরে, মজিবুর সেই জমি নিজের দখলে আনার চেষ্টা করলে বিবাদ (TMC Conflict) শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ফরাজুল দলবল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মজিবুর একাই তাঁদের বাধা দেন। জমির মধ্যেই তৃণমূল নেতা ফরাজুলের নেতৃত্বে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর (North Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে একটি বিবাদ চলছিল। মজিবুর রহমান একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। বুধবার সেই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষ হয়। তাতে মজিবুর রহমানকে খুন করা হয়। আমরা দলগতভাবে এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে (North Dinajpur) জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: প্যারিস অলিম্পিক্সে পর্যটকের সংখ্যা কমের আশঙ্কা! হোটেল ভাড়া ক্রমশ নিম্নমুখী

    Paris Olympics 2024: প্যারিস অলিম্পিক্সে পর্যটকের সংখ্যা কমের আশঙ্কা! হোটেল ভাড়া ক্রমশ নিম্নমুখী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জুলাই অলিম্পিক্স গেমস প্যারিসে (Paris Olympics 2024) শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু তার আগে হোটেল (Hotel Rent) ব্যবসায় বিরাট মন্দার ইঙ্গিত মিলেছে। শহরের পর্যটন বোর্ড প্যারিস জে টাইম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজধানীতে অলিম্পিক্সের সপ্তাহে ১ কোটি ১৩ লক্ষ দর্শকদের সমাবেশ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র ১৫ লক্ষ দর্শকেদের নিশ্চয়তা পাওয়া গিয়েছে। ফলে হোটেল, ট্র্যাভেল, পর্যটন কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একটি রিপোর্টে কী বলেছে আসুন জেনে নিই।

    প্রত্যাশার ৮০% কম দর্শক (Paris Olympics 2024)!

    প্যারিসের (Paris-2024-Olympic) স্টেডিয়ামগুলিকে কেন্দ্র করে হোটেল, এয়ারলাইনস এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলির মধ্যে প্রবল আশার সঞ্চার হয়েছিল। স্পোর্টস ট্র্যাভেল ফার্ম ১৪ এসবির মালিক অ্যালান বাচন্দ বলেছেন, “অতীতে বড় প্রতিযোগিতা যেমন-সুপার বোল, ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ, অলিম্পিক্স-এর জন্য ব্যাপক চাহিদায় টিকিট বিক্রি করেছিলাম। চড়া মূল্যের টিকিট নিতে দর্শক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। আমরা ভালো প্যাকেজের ব্যবসা করেছিলাম। এই বারের বুকিং আগের অলিম্পিক্সে গেমগুলির তুলনায় প্রত্যাশার ৮০% কমে গিয়েছে। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমরা ৩০ মাস আগে বুক করা হোটেল রুমকে কম টাকায় দিতে বাধ্য হচ্ছি। সাধারণ প্রতিযোগিতা শুরুর এক বছর আগে থেকেই যাওয়া-আসার টিকিট এবং হোটেল (Hotel Rent) বুকিং শুরু হয়। আমাদের হোটেলগুলিতে প্রতি রাতে খরচের মূল্য ছিল ১০০০ ডলার। যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪০০ ডলারে।”

    ২৬ জুলাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর ঠিক তার আগে খুব কম সময় বাকি থাকায় হোটেলগুলি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কম ভাড়া এবং ন্যূনতম থাকার প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল শহরের হোটেলগুলি পরিষেবা দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। ওরসো হোটেলের ডিরেক্টর অফ অপারেশন গিলস লে ব্রাস বলেছেন, “ইউরোপে রেকর্ড পরিমাণে পর্যটকরা এই প্যারিসে আসেন। বছরে আন্তর্জাতিক দর্শক হিসাবে আমেরিকানদের আগমনে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে ৮০০ বিলিয়ন টাকার অবদান থাকে। অন্যান্য প্যারিসের হোটেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমরাও দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত চাহিদা কমে গিয়েছে।”

    ২০১২, ২০১৬ সালের তুলনায় অনেক কম

    বুটিক গ্রুপের ফোর-স্টার রেটেড ওয়ালেস জানিয়েছেন, প্রতিদিন তাঁদের হোটেলের রুম ভাড়া ছিল প্রায় ৪৪৬ ডলার। এই স্থানটি অলিম্পিক্সের খেলার (Paris Olympics 2024) স্টেডিয়ামের কাছাকাছি উপস্থিত। এবার চাহিদা কমে যাওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ভাড়া নির্ধারিত করা হয়েছে ৩৪০ ডলারে। আরেকটি চার-তারা হোটেল, ‘হোটেল ডেমি ডেস আর্ট’ যা ল্যাটিন কোয়ার্টারে অবস্থিত। ২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে যেকোনও দিন থাকার জন্য ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

    আবার ২৬ জুন প্রকাশিত কোস্টার-এর তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্যারিসের হোটেল বুকিং মাত্রা প্রায় ৮০%-এর কাছাকাছি ছিল। যা লন্ডনের ২০১২ এবং রিও-র ২০১৬ সালের হোটেল বুকিং ছিল গড়ে ৮৮.৬% এবং ৯৪.১%। এই বার প্যারিসে অনেক উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    দুর্দশা বিমান পরিষেবার সংস্থাতেও

    বিমানপরিষেবা সংস্থাগুলোও একই ধরনের দুর্দশার মধ্যে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১১ জুলাই, ডেল্টা এয়ার লাইনস ইনক অনুমান করে জানিয়েছে, এই বার ১০ কোটি ডলার লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে। মূল কারণ পর্যটকরা অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) সময় ফ্রান্সকে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনও অনেকগুলি টিকিট বিক্রি হয়নি। একই পরিস্থিতিতে রয়েছে এয়ারফ্রান্স লাইনেও। খেলার সময়ে মার্কিন শহরগুলি থেকে প্যারিসে যাওয়ার জন্য বিমানপরিষেবা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। আবার মূল কোম্পানি এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম এখনও পর্যন্ত জুলাই এবং আগস্ট মাসে কমপক্ষে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি ডলারের রাজস্ব ক্ষতির কথা জানিয়েছে। বহু টিকিট বিক্রি হয়নি, তাই টিকিটের দাম কমে গিয়েছে। আবার ব্যবসায়ী গিলবার্ট অট জানিয়েছেন, “নিউইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা এবং এলএ-র মতো প্যারিসে বিমান পরিষেবা রয়েছে। এমন শহরগুলিতে প্যারিস অলিম্পিক্সের সময় জুলাইয়ের শেষের দিকে এবং আগস্টের মধ্যে এখনও চোয়াল-ড্রপিং রিওয়ার্ড ফ্লাইটের পরিষেবাও রয়েছে।”

    ট্র্যাক-এন্ড-ফিল্ড এবং সাঁতারের মতো সবচেয়ে কাঙ্খিত খেলাগুলিতে টিকিট বুকিং করার জন্য সাধারণত কয়েক মাস পরিকল্পনার প্রয়োজন হতো। কিন্তু হঠাৎ করে স্বতঃস্ফূর্ত পর্যটকদের চাহিদা কম হওয়ায় বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে। অ্যাথলিটদের পরিবার এবং বন্ধুরা কিছু কিছু বুকিং করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digha: তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভাসল তাজপুরের হোটেল-দোকান, পার্কিং জোন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Digha: তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভাসল তাজপুরের হোটেল-দোকান, পার্কিং জোন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিকে কোটাল, তার সঙ্গে নিম্নচাপ এবং পুবালি হাওয়ার দাপটে তীব্র সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিচ্ছে দিঘা (Digha)-সহ পার্শ্ববর্তী উপকূল এলাকাগুলিতে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাজপুর। ফলে, তাজপুরে ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের মন খারাপ।

    তাজপুরে ভাসল ২০ টি হোটেল-দোকান (Digha)

    দিঘার (Digha) পাশাপাশি মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও চোখে পড়ার মতো ভিড় হচ্ছে। ইট-পাথরের জঙ্গলের বাইরে কয়েক দিন কাটানোর জন্য পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা তাজপুর। অন্য সমুদ্র সৈকতের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি এই পর্যটন স্থানে দিন কয়েক ঘুরে যান অনেকেই। এই এলাকার পর্যটকদের রসনা তৃপ্তি করতে সমুদ্রতটে অস্থায়ী কিছু হোটেল-দোকানপত্র রয়েছে। গত দুই-তিন দিনে এমনই প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি অস্থায়ী দোকানের অস্তিত্ব সঙ্কটে। মঙ্গলবার জলের তোড়ে ভাসল তাজপুরে (Tajpur) কুড়িটির বেশি হোটেল এবং দোকান। যার ফলে ব্যাপক ভাঙনের কবলে তাজপুর পর্যটনকেন্দ্র। এমনকী সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস এবং ভাঙনের জেরে তাজপুরের সৈকত আসা পর্যটকদের গাড়ি রাখার জন্য যে পার্কিংয়ের জায়গা ছিল, সেটিও ভেঙে গিয়েছে। এখন গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা কোথায় হবে, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    পর্যটকরা কী বললেন?

    কলকাতা থেকে তাজপুরে (Tajpur) বেড়াতে আসা মনোজ বিশ্বাস নামে এক পর্যটক বলেন, জলের দাপটে এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে। তাজপুরের বেশ কিছুটা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। চরম অব্যবস্থা। তাজপুরে আনন্দ করতে এসে মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এখানে থাকতে ভয় লাগছে। মন্দারমণিতে মেরিন ড্রাইভ-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিকে যে ভাবে বাঁধানো হয়েছে, সে ভাবেই তাজপুরের সৈকত বেঁধে দেওয়া হলে এই ভাঙন কিছুটা প্রতিরোধ করা যাবে।

    প্রশাসনের কর্তারা কী বললেন?

    সমুদ্র পাড়ে ভাঙনের খবর পেয়ে এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন রামনগর-১ ব্লকের বিডিও-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন প্রতিরোধ করতে কাঠের বল্লি, বোল্ডার, বালির বস্তা ইত্যাদি ফেলা হয়েছিল। তবে জলের তোড়ে সে সবই ভেসে গিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ভাঙন প্রতিরোধে তাজপুর থেকে একেবারে মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রপাড়ের বিপজ্জনক অংশটি কংক্রিট দিয়ে বাঁধাতে হবে। সেচ দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্বামীর নিথর দেহতে মাথা রেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হল স্ত্রীর, শোকে পাথর গ্রাম

    Murshidabad: স্বামীর নিথর দেহতে মাথা রেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হল স্ত্রীর, শোকে পাথর গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই ডিভোর্স। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আবার অনেকে ৬০ বছরে বয়সে এসে স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে একেবারে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরবাসী। পাঁচ দশক ধরে এক ছাতার তলায় কাটানো দম্পতি, জীবনের শেষবেলায় এসেও মৃত্যুও আলাদা করতে পারল না তাঁদের। স্বামীর মৃত্যুর কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর বুকে মাথা দিয়ে মৃত্যু হল স্ত্রীর। হয়তো এরই নাম ভালোবাসা। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানা এলাকার ভোলতা গ্রামের বাসিন্দারা চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে কার্যত থ হয়ে গিয়েছেন।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Murshidabad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম শঙ্কর মণ্ডল (৮৫) এবং  তাঁর স্ত্রী নিয়তি মণ্ডল (৬৮)। ছেলেপুলে, নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। একসঙ্গে দু’জনে ভরতপুরের (Murshidabad) ভোলতা  গ্রামে কাটিয়ে ফেলেছেন ৫০টা বছর। দীর্ঘদিন থেকেই শঙ্করবাবু ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। কয়েকদিন আগে তাঁকে ভরতপুর (Bharatpur) গ্রামীণ হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ফের শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ৬ দিন আর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। অবশেষে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। সবে তখন বাড়িতে উঠেছে কান্নার রোল। গ্রামের লোকজনও বাড়িতে এসে ভিড় জমান। বৃদ্ধ স্ত্রীকে অনেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৫০ বছর ধরে এক সঙ্গে পথ চলার সাথীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধের স্ত্রী। স্বামীর বুকের ওপর মাথা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এক সময় থেমে যান। কিছুক্ষণ পর পাড়ার লোকজন লক্ষ্য করেন, শঙ্করবাবুর বুক থেকে আর মাথা তুলছেন না নিয়তিদেবী। চুপচাপ হয়ে রয়েছেন। এ দৃশ্য দেখে সকলে ততক্ষণে ভেবেছেন হয়তো শোকের ধাক্কায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু, কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনও কাজ হয়নি। কিছু সময় পর দেখা গেল তাঁর নিথর দেহ পড়ে গেল মাটিতে। খবর গেল গ্রামের চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক এসে জানালেন স্বামীর মৃত্যুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর। স্বামীর মৃত্যু শোক সামলাতে না পেরেই বোধহয় স্ত্রী নিজেও মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন বলে মনে করছেন সকলে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    গ্রামবাসীরাও হতহবাক

    একযোগে মা-বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর সন্তান-সন্ততি থেকে নাতিনাতনিরাও। নতুন করে নিয়তি দেবীর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই একেবারে গোটা গ্রাম (Bharatpur) ভেঙে পড়ে মণ্ডল বাড়িতে। গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যান। তাঁরা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দারুন মিলছিল। গ্রামে সকলে দাদু-ঠাকুমা বলত। কিন্তু, দুজনেই এভাবে একসঙ্গে চলে যাবে তা ভাবতেই পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে চলত জুয়া-সাট্টার কারবার। আর এলাকায় এসব কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদ করেছিলেন অনিল রায় নামে যুবক। আর সেই প্রতিবাদী  যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুরের (Barrackpore) মোহনপুরে। আক্রান্ত যুবকের বাড়ি চক কাঁঠালিয়া এলাকায়। তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর (Barrackpore) এলাকায় খাস জমিতে বেশ কয়েকটি দোকানঘর রয়েছে। সেখানে অনিল রায় নামে স্থানীয় এক যুবক দোকান ঘর করার পরিকল্পনা করেন। ওই জমির ওপর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ মুন্নার, মোশারেক আলিদের নজর ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই অনিল দোকান ঘর তৈরির কাজ করছিলেন। সোমবার শেখ মুন্না, মোশারেক আলি দলবল নিয়ে অনিলের ওপর হামলা চালান। বাঁশ দিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অনিলের এক আত্মীয় বলেন, এলাকায় তৃণমূলের নামে করে মুন্নারা যা খুশি করে বেড়ায়। এই এলাকায় সাট্টার কারবার চালায় তৃণমূল কর্মীরা। অনিল তার প্রতিবাদ করেছিল। সেই রাগ ছিল। এবার দোকান করার সময় পুরানো রাগ ওরা মিটিয়ে নিল। আমরা চাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কারণ, অনিল সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। তাই, তৃণমূলের (Trinamool Congress) ওই কর্মীরা তাকে সহ্য করতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ৮ জন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কী কারণে হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share