Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Incident: একজনের কাজ নয়, দাবি চিকিৎসকদের! আরজি কর কাণ্ডে কাকে আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে?

    RG Kar Incident: একজনের কাজ নয়, দাবি চিকিৎসকদের! আরজি কর কাণ্ডে কাকে আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যেরকম এবং যে পরিমাণের ইনজুরি বা আঘাতের উল্লেখ রয়েছে, তাতে তা একজনের কাজ নয়, কমপক্ষে ২ বা তিনজন রয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) এমনই দাবি চিকিৎসকদের। আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Rape and Murder) প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের একাংশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধৃত সঞ্জয় রায় একাই পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছে ৷ তবে, চিকিৎসক মহলের একাংশ সেই দাবি নস্যাৎ করেছে ৷ পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং নিহত চিকিৎসকের পড়ুয়ার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সহমত নন চিকিৎসকদের একাংশ৷

    পুলিশের দাবিকে মান্যতা নয়

    গত শুক্রবার আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের দেহ। আর সেই মৃত্যুই কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। দেহ উদ্ধার হওয়ার দিন রাতেই একজনকে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাক্তার শংকর নাথ ঝা সংবাদমাধ্যমেকে বলেন, “আমি পুলিশের এই অনুমানকে একেবারে নস্যাৎ করছি৷ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ ওই চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ যে অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল এবং তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে আমি বলতে পারি, যে এই ঘটনা একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়৷ এই ঘটনায় কমপক্ষে দু-তিনজন যুক্ত রয়েছে ৷ কারণ, মেয়েটির চোখ, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে ৷ তাঁর গলার হাড় ভেঙে রয়েছে৷ গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে ৷ তা একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় ৷”

    ধর্ষণ করেই খুন

    পুলিশের একটি অংশের তরফে বলা হচ্ছে, ওই পড়ুয়াকে আগে খুন এবং তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ এই বিষয়টিকেও সরাসরি নস্যাৎ করেন চিকিৎসক শংকর নাথ ঝা৷ তিনি বলেন, “পুলিশের এই ধারণা পুরোপুরি ভ্রান্ত ৷ যখন মৃতদেহের ধর্ষণ করা হয়, সেই ক্ষেত্রে ওই মেয়েটির শরীরে যে ক্ষতের চিহ্ন আছে, তা আসবে না৷ এছাড়াও তাঁর শরীরে বিশেষ বিশেষ কয়েকটি জায়গার হাড় ভাঙা অবস্থায় রয়েছে৷ মৃত একজনের সঙ্গে ধর্ষণ করলে যতটা রক্তক্ষরণ হয় এবং জীবিত একজনের সঙ্গে বলপূর্বক ধর্ষণ করলে, যে পরিমাণ রক্ত বার হয়, তা সমান নয়৷ মৃত্যুর আগের ইনজুরি এবং মৃত্যুর পরের ইনজুরি পুরোপুরি আলাদা৷ এটা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দেখছেন ৷ এটি অবশ্যই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা৷”

    একাধিক ব্যক্তি যুক্ত, দাবি বাবার

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সেমেনিক ফ্লুইড স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে যৌন নিগ্রহ করেছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, যাঁরাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখছেন, সবাই একই কথা বলছেন। ডাক্তার ফোরাম থেকে শুরু করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, সবাই বলছেন, ‘এটা একজনের কাজ নয়, একার পক্ষে এরকম ঘটনা সম্ভব নয়।’ পুলিশের ওপর আস্থা রাখলেও তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আরজি কর হাসপাতালে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে যারা আছে, তাদের সবাইকেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছি।”

    অপরকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ

    চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, “যারা এই প্রকারের ঘটনা ঘটায়, তাদের আমরা ডাক্তারি ভাষায় বলি সাইকোপ্যাথ ৷ এরা সাধারণ মানুষ নয় ৷ এরা অপরকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায় ৷ আমাদের সব থেকে বড় ভয় হল, এরা যে ধরনের মানুষ, আগেও একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং পরবর্তীকালেও এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে৷ এরা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে ৷ এরা সাধারণ মানুষের মতো নয় ৷ এরা সাধারণ সমাজে বাস করার যোগ্য নয়৷ এদেরকে চিহ্নিত করে, অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি৷ সে বা তারা যত বড়ই প্রভাবশালী হোক বা চিকিৎসক ফেটারনিটির কেউ হন, সে ক্ষেত্রেও তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    কেন আড়ালের চেষ্টা

    আরজি কর (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষের থেকে কিছু আশা করা যায় না। তারা প্রকৃত ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করছে এমনই দাবি, আরজি করে পড়ুয়াদের একাংশের। এক ছাত্রের কথায়, “যেখানে অভিযুক্ত লুকিয়ে রয়েছে, সেখানে আমাদের থেকে কিছু আশা করো না। বাইরের সকলকে অনুরোধ, আপনারা নিজেদের মতো আন্দোলন করে যান। যেখানে জেনারেল বডির বৈঠকে কিছু সুরাহা করা হচ্ছে না। যেখানে জেনারেল বডির বৈঠক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। আবার প্রিন্সিপাল এসে বলছেন, কেন রাতে ওখানে ঘুমাবে? সেমিনার রুম কি ঘুমানোর জায়গা। যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ লোপাট হয়ে যাচ্ছে। যেখানে পুলিশ এসে প্রথমে বলছে আত্মহত্যা। যেখানে কাউন্সেলিং কমিটিতে সাইকিয়াট্রিক ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে রাখা হয়েছে, এটা প্রমাণ করতে যে মৃত চিকিৎসক (RG Kar Rape and Murder) মনোরোগী ছিল। সেখানে সত্য আড়াল করার ঘটনা স্পষ্ট।” আর এক পড়ুয়ার কথায়, “এটা একটা চক্রান্ত। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এক ইন্টার্ন। সেই ইন্টার্নের যথেষ্ট রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। তাঁকে নিরাপত্তা দিতেই এতগুলো গেম খেলা হচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandip Ghosh: ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হচ্ছেন ‘প্রভাবশালী’ সন্দীপ, ঘরে তালা ঝোলালেন পড়ুয়ারা

    Sandip Ghosh: ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হচ্ছেন ‘প্রভাবশালী’ সন্দীপ, ঘরে তালা ঝোলালেন পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই পদত্যাগ করেন আরজি করের (RG Kar Medical) অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা সামনে আসে, যেখানে দেখা যায় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যালের (National Medical College) অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি হয়েছেন তিনি। এরপরে ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ আন্দোলনে নামেন, তাঁরা তালা লাগিয়ে দেন অধ্যক্ষের জন্য নির্ধারিত ঘরে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের একটাই দাবি, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হিসেবে মানবেন না।

    প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বিবৃতি, চাপে নয়! স্বেচ্ছায় এমন পদত্যাগ। সকালে পদত্যাগ বিকালে আবার নতুন করে নিয়োগের ঘোষণা। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা প্রভাবশালী সন্দীপ ঘোষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থাকা অজয় কুমার রায়কে নিমেষের মধ্যে বদলি করা হয় স্বাস্থ্য ভবনে। কারণ সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হতে হবে। কোনও কোনও মহল বলছে, ‘‘এখানেই বোঝা যাচ্ছে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ঠিক কতটা প্রভাবশালী! তাঁর জন্য বর্তমান অধ্যক্ষকেও বদলি করা হয়।’’

    বদলির ২১ দিনের মাথায় ফের আরজি করে (RG Kar Medical)

    তবে এই প্রথম নয়। সন্দীপ (Sandip Ghosh) ঠিক কতটা প্রভাবশালী, তা বোঝা যায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনায়। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন ও দুবাই সফরে গিয়েছিলেন। তার আগে, সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অস্থি বিভাগে বদলি করা হয়। ২১ দিনের মাথায় কোনও এক জাদুবলে তিনি ফের ফিরে আসেন আরজি করে (RG Kar Medical)। এমন বদলি কার্যত নজিরবিহীন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় না। প্রসঙ্গত আরজি করে নৃশংস কাণ্ড ঘটার পর থেকেই আন্দোলনকারীরা নিশানা করছেন সন্দীপ ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠছে যে হাসপাতালে নানা দুষ্কর্মের মদত দেন তিনি। বেআইনি নিয়োগও করান। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় সন্দীপের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেন না। 

    উনি ইস্তফার নাটক করছেন! ফৌজদারি তদন্তের দাবি সন্দীপের বিরুদ্ধে

    আরজি কর (RG Kar Medical) কাণ্ড সামনে আসতেই নানা অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে, বাড়িতে ফোন করে বলার নেপথ্যেও সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) রয়েছেন বলে দাবি করে আন্দোলনকারীরা। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এমন ক্ষোভ অবশ্য শুধুমাত্র জুনিয়র ডাক্তারদেরই নয়, বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনেরও রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ‘‘উনি ইস্তফার নাটক করছেন! তার নাকি খুব দুঃখ হয়েছে, ওঁকে কোথাও বদলি নয়, ওঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী তদন্ত করতে হবে। উনি ঘটনার তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছেন।’’

    স্বাস্থ্য ভবনে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন

    প্রভাবশালী সন্দীপ (Sandip Ghosh) স্বাস্থ্য ভবনে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেন অনেকে। সন্দীপের দাপট-প্রভাবের সামনে টিকতে পারে না কেউই। কোনও ডাক্তারি পড়ুয়া তাঁর অপছন্দের হলে তাঁকে ফেল করিয়ে দিতেন নাকি সন্দীপ, এমন অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। আবার আরজি কর (RG Kar Medical) হাসপাতালে দুর্নীতি, অনিয়ম, বেনিয়ম যে রয়েছে তার পিছনে থাকতেন সন্দীপ, এমনটাই অভিযোগ। একাধিক বার তাঁকে বদলি করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী সন্দীপ বরাবরই ফিরে আসেন আরজি করের অধ্যক্ষ হয়ে। সমালোচকরা বলছেন, ‘‘আরজি করে কী আছে! সেটা হয়তো সন্দীপই বলতে পারবেন, এই হাসপাতালের প্রতি কেন সন্দীপের এত মোহ!’’

    সন্দীপের (Sandip Ghosh) দাবি

    একবার সন্দীপ ঘোষের বদলে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সনৎ ঘোষকে আরজি করে আনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ফের সন্দীপ আবার ফিরে আসেন আরজি করে (RG Kar Medical)। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তাঁকে ‘কুকর্মের মাস্টারমাইন্ড’ বলছেন। তবে সন্দীপ দাবি করেন, তিনি দুষ্কর্ম রুখে দিয়েছেন! আরজি করে তিনি কেমন দুষ্কর্ম রুখেছেন তা সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সামনে আসার পরই বোঝা যাচ্ছে, নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সন্দীপ দাবি করেন, আরজি কর ছিল ঘুঘুর বাসা, তোলাবাজি চলত দেদার এবং তাতে নাকি নেতাদের মদতও ছিল। তিনি এসে সবকিছু বন্ধ করেছেন। এখন নাকি আরজি করে তোলাবাজি হয় না, ঘুষ দিতে হয় না এবং রোগীরদের পরিষেবা যথেষ্ট! সন্দীপ আরজি কর কেমন নিজের হাতে সাজিয়েছেন? জুনিয়র চিকিৎসরা বলছেন, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে অধ্যক্ষের রুমে ঢোকেন তিনি।

    সন্দীপের বিরুদ্ধে অনেকের ক্ষোভ, বলছেন তৃণমূল বিধায়কই 

    সন্দীপ (Sandip Ghosh) যে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, একথা সকলেই জানেন। শাসক দলের বদান্যতায় তাঁর এত প্রভাব-প্রতিপত্তি। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন এন্টালির তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণ কমল সাহা। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে। জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ আগে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এমএসভিপির দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময়ে চিকিৎসক থেকে অনেক মহলই তাঁর ওপরে ক্ষুব্ধ থাকত বলে দাবি স্বর্ণকমলের। কারণ তিনি নিজের মতো করে চলেন, সহজে যে কোনও চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। অ্যাপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কেউ দেখা করতে এলে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বাইরে বসিয়ে রাখা হত। এরকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে চলতে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। সন্দীপকে (Sandip Ghosh) ন্যাশনালে বদলির বিষয়ে স্বর্ণ কমল সাহা রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন সাংবাদিকদের সামনেই। তাঁর মতে, ন্যাশনালের নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে আরজি করের (RG Kar Medical) মতো দুর্ঘটনা এখানে না ঘটে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    RG Kar Incident: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতা। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) উদ্দেশে হাঁটলেন কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে ‘ধিক্কার পদযাত্রা’। প্রতিবাদ মিছিলে (Protest Rally) হাঁটার কথা রয়েছে অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র-সহ শহরের বিশিষ্টজনদের। সময় গড়াচ্ছে যত, ততই তীব্র হচ্ছে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন এবার ছড়িয়ে পড়ল স্কুলের চৌহদ্দিতেও।

    আজ কোথা থেকে মিছিল

    মঙ্গলবার, শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মিছিল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। আরজি করের আন্দোলনকারী (RG Kar Incident) চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের সেই সন্দেহের কথা উড়িয়ে দেননি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। পুলিশের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি তাঁদের কারও উপর সন্দেহ থাকে, সেটা যেন পুলিশকে জানানো হয়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা তো বটেই আন্দোলনে সামিল হন অন্য কলেজের পড়ুয়ারাও। এমনকী, দেখা যায় দিদিমণিদের পাশে নিয়ে মিছিলে হাঁটছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। বাগবাজার থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মিছিলও পৌঁছে গেল আরজি কর হাসপাতালে। 

    আরও পড়ুন: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?

    ঘরে-বাইরে চাপ

    মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ, আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমেই বাংলার সীমানা ছাপিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, কর্নাটক-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দিল্লি এইমসের সামনেও পোস্টার হাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের। সোমবার আরজি করের (RG Kar Incident) সামনে নাগরিক মিছিল (Protest Rally) আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতার রাস্তায় ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, চৈতি ঘোষাল, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের। আন্দোলনকারীদের সুরেই মিছিলে যোগ দেওয়া সমাজকর্মীরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে হবে। যাঁরা এর জন্য দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। পরিবেশ উত্তপ্ত বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেবেন তিনি। কিন্তু এতদিন আরজি করে যে অরাজকতা চলছিল সে বিষয়ে নীরবই থেকেছেন মমতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনের বেলায় রোগীর ভিড়, ট্রলির আওয়াজ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততার ছবিটা সূর্যাস্তের পরেই দ্রুত বদলে যায়! রাত বাড়লেই একেবারে ভিন্ন ছবি! রাতের অন্ধকারে যেন এক অজানা হাসপাতাল চত্বর! এবার এমনই কথা জানালেন আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক কুকীর্তি জানার জেরেই নিগৃহীতার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আরজি করকাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ উঠছে। আর সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার একাধিক পথ থাকলেও পুলিশ কেন দেরি করছে! আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার জেরেই কি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন?

    যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনও ত্রুটি থাকবে না। দ্রুত সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশ তদন্তের (Police Investigation) দায়িত্ব থেকে সরে যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘটনার পরে ১০দিন পেরিয়ে গেলে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট‌ হয়ে যাবে। তাই দশ দিন পরে অন্য তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নিলে কতটা তথ্য জোগাড় করতে পারবে, সে নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানাচ্ছে হাসপাতালের একাংশ? (R G Kar Hospital)

    আরজি কর হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের হাসপাতাল চত্বরে চলে একাধিক বেআইনি কাজ। নানান নিষিদ্ধ ওষুধ পাচার থেকে যৌন কেলেঙ্কারির মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাতে কর্তব‌্যরত একাধিক চিকিৎসকের নজরেও পড়ে সেই ঘটনা। কলেজের ইন্টার্ন থেকে স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক, রাতে পরিষেবার দায়িত্বে থাকা একাধিক পড়ুয়ার‌ চোখের সামনেই ঘটে এমন নানান অবৈধ ঘটনা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নানান ঘটনার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাই অবাধে চলত বেআইনি কাজ। 
    কলেজের এমবিবিএস-র শেষ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) শাসক দলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, মাস দুয়েক আগে থেকেই প্রভাবশালী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে নিগৃহীতার বচসা শুরু হয়। নিগৃহীতা একাধিকবার তাদের কাজের প্রতিবাদ জানান। তাকে নানা রকম হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, নিগৃহীতা তাঁর বাবা-মাকে বারবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাঁর মুখ বন্ধ করতেই এমন ভয়ানক অপরাধ ঘটল বলেও মনে করছেন আরজি কর হাসপাতালের অন্দর মহলের অনেকেই।

    তদন্ত নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল?

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলেই নানান প্রশ্নের জট খুলে যাবে। ঘটনার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ (R G Kar Hospital)। চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানান, মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সিমেন স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক-শিক্ষক বলেন, ঘটনার রাতে সেমিনার রুমের আশপাশে জনা চারেক ইন্টার্ন যাতায়াত করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ পুলিশের তদন্ত (Police Investigation) নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল কল্যাণী এইমসে, দুর্ভোগে রোগীরা

    RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল কল্যাণী এইমসে, দুর্ভোগে রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Protest) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে উত্তাল অবস্থা। রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। হাসপাতাল চত্বরেই চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। প্রতিবাদ মিছিল। নিন্দার ঝড়় উঠেছে দেশজুড়ে। সকলেই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। সোমবার বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হলেন কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বন্ধ রাখলেন আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবাও। আর অধিকাংশ হাসপাতালে কর্মবিরতি হওয়ার কারণে রোগীরা চরম নাকাল হলেন।

    সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল এইমস হাসপাতালে (RG Kar Protest)

    এদিন কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। এদিন হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকরা দল বেঁধে প্রতিবাদ মিছিল করেন। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা বজায় রয়েছে। তবে, অন্য চিকিৎসা আমরা বন্ধ রেখেছি। আসলে ডিউটিরত অবস্থায় আমাদের সহকর্মীকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। যত দিন না পর্যন্ত সঠিক বিচার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এদিন এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে দূর দূরান্ত থেকে বহু রোগী এসেছিলেন। পরিষেবা না পেয়ে সকলেই ফিরে যান। তবে, রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা দরকার।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শান্তিপুরেও কর্মবিরতি

    অন্যদিকে, এদিন শান্তিপুর স্ট্রেট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা হাতে প্ল্যাকার্ড এবং কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ (RG Kar Protest) প্রতিবাদে সামিল হন। হাসপাতাল চত্বরে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। আন্দোলনকারীরা এই ঘটনার নির্মমতা প্রসঙ্গেও ধিক্কার জানান। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের গ্রেফতার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আন্দোলনে ডায়মন্ড হারবার-কাকদ্বীপ

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে এদিন সকাল থেকে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের কর্মবিরতি চলছে। একই সঙ্গে কাকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। যার জেরে এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়়ে ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালটি মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। আন্দোলনের জেরে আউটডোর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চিকিৎসা করতে এসে পরিষেবা না পেয়ে শতাধিক রোগী ফিরে যান। একই ঘটনা ঘটে কাকদ্বীপ হাসপাতালেও।

    আন্দোলন চলাকালীন দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা!

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলন চলাকালীন দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মদ্যপ ওই যুবককে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আন্দোলন চলার সময় দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তার দুপুরের খাবার খেতে ক্যান্টিনে যান। ক্যান্টিনে ভিড় থাকায় তাঁরা দুজন বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় এক মদ্যপ যুবক এসে তাঁদের দেখে অশালীন আচরণ করতে থাকে। এই দেখে ওই দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তার বিষয়টি এড়িয়ে চলে যেতে চাইলে তাঁদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। এই দেখে স্থানীয় মানুষেরা হাসপাতাল ভিতরে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই মদ্যপ যুবককে আটক করে নিয়ে যায় ফাঁড়িতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম জীবন রাজবংশী। অভিযোগকারী মহিলা জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “আমরা সহকর্মীর খুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু, আমরা লক্ষ্য করলাম দিনের বেলায় আরজি কর কেন, এই হাসপাতালের মধ্যেও আমাদের নিরাপত্তা নেই। আমরা আমাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। এদিন আন্দোলনের জেরে এই হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। বহু রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Care Leave: পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ ৩০ থেকে বেড়ে ৭৩০ দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Child Care Leave: পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ ৩০ থেকে বেড়ে ৭৩০ দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মরত মহিলাদের মত এবার পুরুষরাও সন্তানদের দেখাশোনার জন্য (Child Care Leave) সমানভাবে ছুটি নিতে পারবেন। চাইল্ড কেয়ার লিভের ক্ষেত্রে পুরুষরাও মহিলাদের মত ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর ছুটি পাবেন। এক শিক্ষকের করা মামলায় বিচারপতি অমৃত সিনহার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    সন্তান পালনে বৈষম্য দূর হবে (High Court)

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে মায়ের পাশাপাশি বাবারও সমান দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন? তাঁরাও সমান (Child Care Leave) ছুটি পাওয়ার অধিকারী। এ বিষয়ে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশ রয়েছে, মনে করিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কর্তব্যরত মহিলারা সন্তানদের দেখাশোনার জন্য ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর চাইল্ড কেয়ার লিভ পেয়ে থাকেন। পুরুষদের জন্য ওই ছুটি এতদিন মাত্র ৩০ দিনের ছিল। চাইল্ড কেয়ার লিভের জন্য পুরুষ বা মহিলা কারও বেতন কাটা যেত না। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ছুটি নিলে অবশ্য বেতন কেটে নেওয়া হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের ছুটির পার্থক্যকে চ্যালেঞ্জ করে এক শিক্ষক মামলা করেছিলেন আদালতে। আদালতের নির্দেশ, এ বিষয়ে (Child Care Leave) তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নির্দেশিকা জারি করতে হবে।

    আরও পড়ুন: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দেশিকা জারি হয়ে গেলে মহিলাদের মত পুরুষরা ও সমান ছুটি পাবেন।

    ২০১৮ সালের নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে দিল আদালত (Child Care Leave)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল মহিলাদের মত পুরুষরাও ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর (Child Care Leave) ছুটি পাওয়ার অধিকারী, তবে কেবলমাত্র সিঙ্গল প্যারেন্টরাই এই সুবিধে পাবেন বলে জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল চাইল্ড কেয়ার লিভের দ্বিতীয় বছরে মূল বেতনের ২০ শতাংশ কম পাবেন আবেদনকারীরা। প্রথম দুটি সন্তানের ক্ষেত্রেই এই ছুটি পাওয়া যাবে। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শ্রাবণের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ঢল

    Nadia: শ্রাবণের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। রাজ্যজুড়ে এই দিন শিবের মাথায় জল ঢালতে সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে মন্দিরে। তারকেশ্বর মন্দিরে তো লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তদের ভিড়ে পিছিয়ে নেয় নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দির। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়়ে।

    কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ (Nadia)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ১৭৫৪ সালে নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস গ্রামে (Shibnibas) শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শিবমন্দিরসহ তিনটি মন্দির তিনি তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি শিবের মন্দির রয়েছে। আর একটি রাম-সীতার মন্দির। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৯ ফুট। স্থানীয়ভাবে বুরো শিব বা পুরাতন শিব নামে পরিচিত। শিবনিবাস গ্রামের নামটি এলাকায় শিব মন্দিরের প্রাচুর্য থেকে এসেছে। কলকাতার বিশপের নথি অনুসারে, রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালে ঢাকায় যাওয়ার সময় শিবনিবাসকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে গ্রামে চারটি শিব মন্দির ছিল বলে জানা যায়। যদিও এই বিষয়ে এলাকার মানুষের কাছে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    ভক্তরা কী বললেন?

    এদিন শিবনিবাসের (Shibnibas) শিবের মাথায় জল ঢালতে দূর-দুরান্ত থেকে এদিন হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসে রয়েছে শিব মন্দির। রবিবার রাত বারোটা বাজতেই ভিড় সামলাতে খুলে দেওয়া হয়েছে শিব মন্দিরের গেট। পুরানো ঐতিহ্য মেনে নবদ্বীপ থেকে বাঁকে করে হাজার হাজার ভক্ত গঙ্গার জল নিয়ে শিবনিবাসে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। অগণিত ভক্তগণের লম্বা লাইন মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছে বহুদূর পর্যন্ত। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সচেষ্ট। মন্দির এলাকার নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৭০০ পুলিশ কর্মী। পুণ্যার্থী সুমিত্রা বিশ্বাস বলেন, আমি করিমপুর থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এসেছি। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এত বড় শিবলিঙ্গ আমি কোনওদিন দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, সুরক্ষার দাবিতে বর্ধমানে প্রতিবাদ মিছিল সনাতনীদের

    Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, সুরক্ষার দাবিতে বর্ধমানে প্রতিবাদ মিছিল সনাতনীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Protest Rally) হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পথে নামলেন বর্ধমান-২ নম্বর ব্লকের সনাতনী সমাজের মানুষেরা। এই মিছিল কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে করা হয়নি। সাধারণ মানুষ অসহায় হিন্দু বাংলাদেশিদের সুরক্ষার দাবিতে পথে নামেন। অধিকাংশের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। শুধুমাত্র ওপারের হিন্দুদের অধিকার রক্ষার তাগিদে এদিনের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    মিছিলে পা মেলালেন মহিলারাও (Bangladesh Protest Rally)

    বর্ধমানের স্বস্তিপল্লি ফুটবল ময়দান থেকে শুরু হয়ে পুরো এলাকা ঘুরে আবার স্বস্তিপল্লি গিয়ে শেষ হয় এই মিছিল। বাড়ির মহিলারাও মিছিলে (Bangladesh Protest Rally) পা মেলান। মিছিল থেকে মুসলিম মৌলবাদীদের হাত থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিও তোলা হয়। এর আগে, আসানসোলের রাজপথে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার কর্মী-সমর্থক প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। বারাসতেও দুদিন আগেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। ফলে, রাজ্য জুড়েই বাংলাদেশের নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হচ্ছেন এপার বাংলার হিন্দুরা।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    সনাতনী সমাজের পক্ষে শতীশচরণ সমাদ্দার বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে, তাতে ভারত সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি অত্যাচার বন্ধ না হয় তাহলে ভারত সরকারকে যা যা ব্যবস্থা করার দরকার অবিলম্বে তা ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের পর দিন, রাতের অন্ধকারে শয়ে শয়ে লোক হিন্দুদের বাড়িতে ডাকাতি করছে, মেয়েদের ওপর অত্যাচার করছে, তারই প্রতিবাদের আমাদের এই প্রতিবাদ। এই ধরনের অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ওপার বাংলার হিন্দুদের একটাই বার্তা দিতে চাই, আপনাদের পাশে আমরা সবসময় আছি। যে কোনও পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর। শুধু বর্ধমান (Burdwan) নয়, আর এই ধরনের আন্দোলন (Bangladesh Protest Rally) সংগঠিত করার জন্য সকলের কাছে আমরা আবেদন রাখছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। গত জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পর লাগামছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত। এই আবহের মধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছেড়ে ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অসহায় মানুষদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে দেখা গেল এক বিএসএফ আধিকারিকের। শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে বিএসএফ কর্মকর্তাদের ভিডিও শেয়ার করেছেন। একজন বিএসএফ (BSF) কর্তা কীভাবে শান্তভাবে অসহায় বাংলাদেশিদের বোঝাচ্ছেন তা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই ভিডিও মনজয় করেছে নেটিজেনদের।

    বাংলাদেশিদের বিএসএফের কর্মকর্তা ঠিক কী বলেছেন? (BSF)

    কোচবিহারের শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। সেখানেই বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশিরা যখন নদী পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করেন, সেই সময় এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক বলেন,  “আমার কথা শুনুন, আমি যা বলছি তা শুনুন। আপনারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সারা বিশ্ব জানে। এর জন্য আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমরা এমনভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারি না। আমরা চাইলেও আপনাকে সীমান্ত পার হতে দিতে পারি না।” এরপরও কয়েকজন বাংলাদেশি চিৎকার করে ভারতে ঢুকতে দেওয়ার আর্জি জানান। তখন এই বিএসএফ আধিকারিক বলেন, “দয়া করে আমার কথা শুনুন, চিৎকার করে কিছুই বের হবে না। গোটা বিশ্ব এই সমস্যার কথা জানে। তবে এখনও এটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। একবার সেই আলোচনাগুলি হয়ে গেলে, আমরা আপনার স্থিতি এবং সুরক্ষা সম্পর্কে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারব।” এরমধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, “দয়া করে আমাদের ভারতের ভিতরে যেতে দিন, আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলবে এবং আমাদের নির্যাতন করবে।” এরপরই বিএসএফের এক কর্মকর্তা তখন শরণার্থীদের বলেন, “সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা ভারতে প্রবেশ করতে চায় তাদের অভিযোগ শোনা হবে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শিবসেনা নেতা ভিডিও শেয়ার করে কী বললেন?

    শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা একটি ভিডিও শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “এই পরিস্থিতির মধ্যে বিএসএফের (BSF) ওই আধিকারিক নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে অসহায় বাংলাদেশিদের বুঝিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য।

    বিএসএফের মুখপাত্র কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) মুখপাত্র বলেন, বিএসএফ এডিজি (পূর্ব কমান্ড) রবি গান্ধী ১০ অগাস্ট বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সীমান্তে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করার জন্য একটি বৈঠক করেন। বৈঠকের একদিন পরে ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছে। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা আরও বাড়ানোর জন্য বিশদ আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার প্রতিরোধের জন্য ভালো সাড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে এডিজি-র অধীনে একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?  

    RG Kar Hospital: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ। কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ, কখনও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তাই তাঁর বিরুদ্ধে নানান গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন! গত দু’বছরে একাধিকবার তাঁকে নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি। এমনকী বদলিও করা হয়নি। গত শুক্রবার থেকে ফের তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই সব কিছু নিয়ে তিনি ভাবতে নারাজ ছিলেন! তিনি আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ (RG Kar Hospital) সন্দীপ ঘোষ। অবশেষে অবশ্য প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বলা যায়, ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

    কী অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে? (RG Kar Hospital) 

    আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির পাহাড়। এমনই অভিযোগ তুলছেন ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মীদের একাংশ। হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেলের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ, কয়েক বছর আগে এমন অভিযোগ তুলেছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। এ নিয়ে অধ্যক্ষকে (Principal) অভিযোগ জানাতে গেলে, তিনি দু্র্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগও ওঠে! এরপরেই বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও শাসক দলের তৎপরতায় বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের নানান শাস্তি দেওয়া হয় বলেই তাদের অভিযোগ।

    আরজিকর হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী সুপারদের একাংশ। স্বাস্থ্য ভবনে দেওয়া তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হাসপাতালের নানান যন্ত্রপাতি কেনা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপালের (RG Kar Hospital) অবৈধ লেনদেন চলত। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হত, সেখানেও অনিয়ম চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    বছর খানেক‌ আগেই স্বাস্থ্য ভবনের উদ্যোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স বিভাগের তদন্ত চলে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষের বদলি হয়ে যায়। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বদলির নির্দেশ দেওয়ার দেড় দিনের মধ্যে ফের বদলে যায় নির্দেশ‌। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নয়া নির্দেশ জারি করে জানানো হয়, তিনি আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্বেই থাকবেন।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? (RG Kar Hospital) 

    শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা কতখানি, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। চিকিৎসক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ (Principal) এই ঘটনায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে পারেন কি? চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রিন্সিপাল রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার একাধিক সুবিধা নিচ্ছেন। আর তার জেরেই নানান অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ক্ষমতায় বসে আছেন।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সন্দীপ ঘোষ? 

    আরজি কর হাসপাতালে শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Hospital) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। তার আলাদা করে কিছুই বলার নেই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে অবশ্য তিনি ইস্তফা দিয়ে জোর গলায় বলেন, স্বেচ্ছায় তিনি এই কাজ করলেন। কেউ তাঁকে জোর করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share