Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sonarpur: স্বামীর কাছে ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে জামাল, কঠোর শাস্তি চাইছেন প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী

    Sonarpur: স্বামীর কাছে ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে জামাল, কঠোর শাস্তি চাইছেন প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের কাছে এখন ‘পলাতক’ সোনারপুর (Sonarpur) থানায় জামালউদ্দিন সর্দার। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার জামালের আরও এক কীর্তি সামনে এল। যা জানাজানি হতে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sonarpur)  

    জানা গিয়েছে, সোনারপুরের (Sonarpur)  তাড়দহ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অতীন্দ্র মণ্ডলের থেকে প্রতারণা (Fraud) করে ৬৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জামালের বিরুদ্ধে। পারিবারিক জমি বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই বিপুল টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, ২০২০ সাল থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে জামাল। অতীনবাবুর স্ত্রী বলেন, টাকার চিন্তায় অকালে মৃত্যু হয়েছে আমার স্বামীর। ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। আমার স্বামী তো আরও কিছুদিন বাঁচতো। কিন্তু, টাকার চিন্তাই ওকে শেষ করে দিল। এখন বাড়িতে একা, সুবিচারের আশায় দিন গুনছি। জানা গিয়েছে, প্রথমে সোনারপুর থানা পরে হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। শিক্ষকের সঙ্গে প্রতারণার কেসে বর্তমানে জামিন নিয়ে বাইরে রয়েছেন জামাল।

    আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    সুইমিং পুলে কচ্ছপ

    জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকায় (Sonarpur) জমিজমা সংক্রান্ত কোনও বিতর্ক দেখা দিলে তাতে নিজে থেকে তিনি ঢুকে পড়তেন। তাঁকে এড়িয়ে এলাকার কোনও জমি কেনাবেচা হত না। প্রতারণা (Fraud) করেই ক্রমশ ‘ধনকুবের’ হয়ে ওঠেন জামাল। প্রায় এক বিঘার বেশি জমির উপর ২০১৬ সালে তৈরি করেন বিশাল বাড়ি। সেই বাড়ির নিরাপত্তার জন্য ৫০টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসান তিনি। জামালের বাড়ির পাশে গ্যারাজে দামি গাড়ি, বাইক রয়েছে। সম্প্রতি একটি ঘোড়াও কেনেন তিনি। বেঁধে মারধরের বিতর্ক সামনে আসার পর বাড়িতে পড়ে থাকা শিকল নিয়ে জামালের দাবি ছিল, ঘোড়া এবং গরু বাঁধতে কাজে লাগে সেটা। এখন জামালের বাড়ির সুইমিং পুলে মিলেছে কচ্ছপও। বাড়িতে এই ভাবে কচ্ছপ রাখা বেআইনি। এ নিয়ে বন দফতরের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল। জামালের বিরুদ্ধে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন’ আইনে মামলা রুজু করা হবে। এলাকার মানুষের প্রশ্ন, এতদিন বন দফতর কোথায় ছিল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Price Hike: বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই টাস্ক ফোর্সের, কবুল ‘নিধিরাম’দের

    Price Hike: বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই টাস্ক ফোর্সের, কবুল ‘নিধিরাম’দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধারাম সর্দার! এক কথায়, এই হচ্ছে রাজ্য সরকারের তৈরি টাস্ক ফোর্সের (Task Force) অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। তাতে কাজও হচ্ছে। তবে, সেটা সাময়িক। টাস্ক ফোর্সের লোকজনকে দেখলেই কাঁচা আনাজের দাম (Price Hike) কমিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। টহলদারি শেষে তাঁরা যখন ফিরে যাচ্ছেন, তার পরের দিনই ফের অগ্নিমূল্য শসা-বেগুন-সহ বিভিন্ন সবজির দাম। কোনও কোনও বাজারের ক্রেতাদের আবার অভিযোগ, টাস্ক ফোর্স বাজার ছাড়লেই যে পাঁচ-দশ টাকা দাম কমানো হয়েছিল, সেই দামই ফের নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।

    অগ্নিমূল্য কাঁচা আনাজের দাম

    সপ্তাহ দুয়েক ধরে অগ্নিমূল্য কাঁচা আনাজের দাম। ঝিঙে-ঢেঁড়শের মতো মরশুমি সবজির দামও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে রাশ টানতে ৯ জুলাই বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ দিনের মধ্যে দাম কমানোর নির্দেশ দেন তিনি। ঠিক হয়, বাজারে হানা দেবে টাস্ক ফোর্স। গড়া হয় ফোর্সও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে হানাও দিচ্ছেন তাঁরা। তার পরেও কাঁচা আনাজের দর কমছে কই? ১৯ জুলাই, শুক্রবার শেষ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সেই সময়সীমা। তার মধ্যেই রাতারাতি সবজির দাম চলে আম-আদমির নাগালের মধ্যে, এমনটা ভাবতে পারছেন না বাজার বিশেষজ্ঞরাও।

    নিধিরাম সর্দার

    তাঁদের একটা বড় অংশের মতে, বাজারের এই অগ্নিমূল্যের কারণ খুচরো বিক্রেতাদের বেশি লাভের (Price Hike) চাহিদা। তাঁদের দাবি, সেই কারণেই পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারের জিনিসপত্রের দামের ফারাক বিস্তর। বাজারে হানা দিলেও, তাঁদের হাতে যে কোনও ক্ষমতাই নেই, তাঁরা যে আক্ষরিক অর্থেই ‘নিধিরাম সর্দার’, তা মেনে নিচ্ছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও। টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার ক্ষমতা আমাদের নেই।” অতএব, কাঁচা আনাজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন খুচরো বিক্রেতারা। তার জেরে নিত্যদিন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সবজি।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস

    রবিবার একুশে জুলাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে টাস্ক ফোর্স গড়ে সবজির দাম কমিয়ে ‘হিরো’ হতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা যে সহজ নয়, তা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীও। কারণ টাস্ক ফোর্সের হানার জেরে দর কমলে খবর পেতেন তিনিও। শুক্রবার টাস্ক ফোর্সকে (Task Force) বেঁধে দেওয়া তাঁর সময়সীমা শেষ হলে, তিনি কী করেন, এখন সেটাই দেখার (Price Hike)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    South 24 Parganas: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargansas) কুলতলির সোনা পাচার চক্রের মাথা সাদ্দাম সর্দার। গা ঢাকা দিয়েছিলেন একটি মাছের ভেড়িতে। পুলিশের নাকের ডগায় তিনি আত্মগোপন করে থাকলেও গত তিনদিন পুলিশ তাঁর হদিশ পায়নি। অবশেষে সাদ্দামকে পুলিশ গ্রেফতার করল। জানা গিয়েছে, কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বানীরধল এলাকা থেকে গ্রেফতার হলেন সাদ্দাম। বুধবার রাতে একটি মাছের ভেড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাদ্দামের পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    কীভাবে ধরা পড়লেন সাদ্দাম? (South 24 Pargansas)

    সাদ্দামের খোঁজে তল্লাশির সময় প্রথম তাঁর শোয়ার ঘরের নীচে একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করে পুলিশ। সেটি বাইরে একটি খালের সঙ্গে যুক্ত। কিছু দূর এগিয়েই এই খাল গিয়ে মিশেছে মাতলা নদীতে। ফলে কোনও রকম বেগতিক বুঝলে প্রতারণার কারবারে অভিযুক্তদের পক্ষে এই সুড়ঙ্গপথে পালানো অনেকটাই সহজ। সুড়ঙ্গ থেকে এক বার খালে নেমে এলেই, ডিঙি নৌকায় চেপে সবার অলক্ষে মাতলা নদী হয়ে পালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেই পথে পালিয়েছিলেন সাদ্দাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সিপিএম নেতা মান্নানের মাছের ভেড়িতে আশ্রয় নেন সাদ্দাম। সাদ্দাম পালিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের থানাকে (South 24 Pargansas) জানানো হয়। চারিদিকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরপর পুলিশ জানতে পারে, মাছের ভেড়িতে গা ঢাকা দিয়েছেন সাদ্দাম। বুধবার গভীর রাতে পুলিশের বিশাল বাহিনী সেখানে হানা দেয়। ভেড়ির আলাঘরেই ছিলেন তিনি। চারিদিক ঘিরে ধরে পুলিশ। পরে, সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, সাদ্দামের ভাই সাইরুল এখনও অধরা।

    কে এই সাদ্দাম?

    কুলতলিতে  (Kultuli) Nপ্রতারণাচক্রের পান্ডার ডেরায় হানা দেওয়ার পর সাদ্দামকে নিয়ে কৌতূতল তৈরি হয় রাজ্যবাসীর। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম সোনার ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু, তিনি আসল সোনার মূর্তির ছবি দেখিয়ে নকল মূর্তি বিক্রি করতেন। বিগত ১৫ বছর ধরে নকল সোনা বিক্রির ব্যবসা করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই মূলত নকল সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ ফেলতেন। মূল টার্গেট ছিল ব্যবসায়ীরাই। নির্জন জায়গায় ডেকে, নকল মূর্তি দিয়ে বা স্রেফ ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন সাদ্দাম ও তাঁর শাগরেদরা। ১২ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে সাদ্দামের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে  ডাকাতি, নানা কুকীর্তির অভিযোগ রয়েছে।

     আগেই গ্রেফতার সাদ্দামের স্ত্রী

    সোনার মূর্তি ও সোনা পাচার চক্রের খোঁজেই কুলতলির (Kultuli) পয়তারাহাটে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সাদ্দামের বাড়ির কাছে পৌঁছতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে গুলি। শুরু হয় ঝামেলা-হট্টগোল। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালান বলে অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান সাদ্দাম এবং সাইরুল। সাদ্দামের স্ত্রী রাবেয়া সর্দার এবং মাসুদা সর্দার নামে আরও এর মহিলাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কুলতলিতে পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    South 24 Parganas: কুলতলিতে পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargansas) কুলতলির সোনা পাচার চক্রের মাথা সাদ্দাম সর্দার। গা ঢাকা দিয়েছিলেন একটি মাছের ভেড়িতে। পুলিশের নাকের ডগায় তিনি আত্মগোপন করে থাকলেও গত তিনদিন পুলিশ তাঁর হদিশ পায়নি। অবশেষে সাদ্দামকে পুলিশ গ্রেফতার করল। জানা গিয়েছে, কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বানীরধল এলাকা থেকে গ্রেফতার হলেন সাদ্দাম। বুধবার রাতে একটি মাছের ভেড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাদ্দামের পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    কীভাবে ধরা পড়লেন সাদ্দাম? (South 24 Pargansas)

    সাদ্দামের খোঁজে তল্লাশির সময় প্রথম তাঁর শোয়ার ঘরের নীচে একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করে পুলিশ। সেটি বাইরে একটি খালের সঙ্গে যুক্ত। কিছু দূর এগিয়েই এই খাল গিয়ে মিশেছে মাতলা নদীতে। ফলে কোনও রকম বেগতিক বুঝলে প্রতারণার কারবারে অভিযুক্তদের পক্ষে এই সুড়ঙ্গপথে পালানো অনেকটাই সহজ। সুড়ঙ্গ থেকে এক বার খালে নেমে এলেই, ডিঙি নৌকায় চেপে সবার অলক্ষে মাতলা নদী হয়ে পালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেই পথে পালিয়েছিলেন সাদ্দাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সিপিএম নেতা মান্নানের মাছের ভেড়িতে আশ্রয় নেন সাদ্দাম। সাদ্দাম পালিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের থানাকে (South 24 Pargansas) জানানো হয়। চারিদিকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরপর পুলিশ জানতে পারে, মাছের ভেড়িতে গা ঢাকা দিয়েছেন সাদ্দাম। বুধবার গভীর রাতে পুলিশের বিশাল বাহিনী সেখানে হানা দেয়। ভেড়ির আলাঘরেই ছিলেন তিনি। চারিদিক ঘিরে ধরে পুলিশ। পরে, সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, সাদ্দামের ভাই সাইরুল এখনও অধরা।

    কে এই সাদ্দাম?

    কুলতলিতে  (Kultuli) Nপ্রতারণাচক্রের পান্ডার ডেরায় হানা দেওয়ার পর সাদ্দামকে নিয়ে কৌতূতল তৈরি হয় রাজ্যবাসীর। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম সোনার ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু, তিনি আসল সোনার মূর্তির ছবি দেখিয়ে নকল মূর্তি বিক্রি করতেন। বিগত ১৫ বছর ধরে নকল সোনা বিক্রির ব্যবসা করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই মূলত নকল সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ ফেলতেন। মূল টার্গেট ছিল ব্যবসায়ীরাই। নির্জন জায়গায় ডেকে, নকল মূর্তি দিয়ে বা স্রেফ ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন সাদ্দাম ও তাঁর শাগরেদরা। ১২ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে সাদ্দামের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে  ডাকাতি, নানা কুকীর্তির অভিযোগ রয়েছে।

     আগেই গ্রেফতার সাদ্দামের স্ত্রী

    সোনার মূর্তি ও সোনা পাচার চক্রের খোঁজেই কুলতলির (Kultuli) পয়তারাহাটে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সাদ্দামের বাড়ির কাছে পৌঁছতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে গুলি। শুরু হয় ঝামেলা-হট্টগোল। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালান বলে অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান সাদ্দাম এবং সাইরুল। সাদ্দামের স্ত্রী রাবেয়া সর্দার এবং মাসুদা সর্দার নামে আরও এর মহিলাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update)। ১৯ জুলাই, শুক্রবার নিম্নচাপ তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মূলত (Heavy Rain) অবস্থান করবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা সংলগ্ন উপকূলে। তার জেরে রবি ও সোমবার বাড়বে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সর্বত্রই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update)

    বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং কলকাতায়ও। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়ই ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামিকাল পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। শনিবার দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়ও।

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    ২১ জুলাই, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়ই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে (Weather Update)। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিন ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারেও। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টির দাপট কমবে উত্তরবঙ্গে। তবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত উত্তরের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে আবারও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরবঙ্গে। রবিবার রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। 

    আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিক্সের সুরক্ষায় ভারতের সারমেয়কুল, কেন জানেন?

    বুধবার কলকাতা ও শহরতলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৬ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার সর্বোচ্চ (Heavy Rain) পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৯ শতাংশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৪.২ মিলিমিটার (Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CV Ananda Bose: ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ’’, মমতাকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট তলব বোসের

    CV Ananda Bose: ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ’’, মমতাকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট তলব বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কার্যকর হওয়া নতুন তিন আইনের পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করল নবান্ন। এরপরই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের পরেই রাজ্যের কাছে নতুন কমিটি সম্পর্কে তথ্য তলব করেছেন রাজ্যপাল বোস। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সময়ে জবাব দিয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ।’’

    রাজ্যের তৈরি কমিটি

    জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে তিন নতুন ফৌজদারি আইন। ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ বাতিল হয়ে লাগু হয়েছে ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। কার্যকর হওয়া ওই তিন আইন খতিয়ে দেখতে বুধবার সাত সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। কমিটিতে থাকছেন অসীম রায়, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর এই তিন নতুন আইন নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই বলেছিলেন যে, এই আইন নিয়ে বাদল অধিবেশনে সরব হবে তাঁর দল। তার আগেই আইন খতিয়ে দেখতে এই কমিটি গঠন করা হল। নবান্নর তৈরি করা সেই কমিটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

    আরও পড়ুন: গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    রাজ্যপালের বক্তব্য

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে এই কমিটি তৈরির উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তিনি এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলা ব্যানানা রিপাবলিক হতে পারে না।’’ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নয়া আইন প্রনয়ণের আগে মতামত চেয়েছিল, তখন কোনও প্রত্যুত্তর রাজ্য দিয়েছিল কি?’’ রাজভবন সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটির কাজ কী হবে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর মত, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ। সারা দেশ যখন নতুন আইন অনুযায়ী চলছে, তখন বাংলা তার থেকে আলাদা হতে পারে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalna: ক্ষমতার দম্ভ! কালনা রাজবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর বুকে ‘ধাক্কা’ তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানের

    Kalna: ক্ষমতার দম্ভ! কালনা রাজবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর বুকে ‘ধাক্কা’ তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’। নিরাপত্তা কর্মীকে সজোরে ধাক্কা! ফের বিতর্কে কালনা (Kalna) পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। শুধু ধাক্কা দিয়েই শান্ত হননি চেয়ারম্যান,ওই কর্মীকে গালিগালাজও করেন বলে অভিযোগ। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। নিন্দায় সরব বিরোধী শিবির।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalna)

    কালনা (Kalna) পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। সম্প্রতি তাঁর অপসারণের দাবিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি কোনও কাজ করেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়দানে নামতে হয়েছিল খোদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এবার ফের বিতর্কে পুর চেয়ারম্যান। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে কালনা রাজবাড়ির লালাজি এবং কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির। যার দেখভাল ও নিরাপত্তার দায়িত্বে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গতকাল রাজবাড়ির একটি মন্দিরের একটি ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জলের জার নিয়ে একটি টোটো ঢুকতে গেলে বাধা দেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা জানান যে, নিয়ম অনুযায়ী টোটো রাজবাড়ির ভিতরে ঢুকবে না। এই নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান রাজবাড়ি চত্বরে পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক নিরাপত্তা কর্মীকে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করছেন চেয়ারম্যান। একটি টোটোকে টানাটানি করতেও দেখা যায় ভিডিওতে। সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী থেকে তারই দলের কালনার বিধায়ক সকলেই। পুরাতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুরো বিষয়টি রিপোর্ট আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট 

    তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পাশে নেই দলেরই বিধায়ক

    এবিষয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধির কখনই এরকম আচরণ কাম্য নয়। কারণ মানুষ তো সমস্যায় পড়লে জনপ্রতিনিধিদের কাছেই আসে। কখনও প্রশাসনের কাছে যায়। জনপ্রতিনিধিদের (Trinamool Congress) সংযত থাকা উচিত। তাঁর এই ধরনের আচরণ করা উচিত হয়নি। দলও এই কাজ সমর্থন করে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বলেন?

    বিজেপি নেতাদের কথায়, “এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শাস্তি পাওয়া উচিত।” এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ দত্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sarada Math: সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে

    Sarada Math: সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শ্রী সারদা মঠ (Sarada Math) এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা নির্বাচিত হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। চলতি বছরের মাসে এপ্রিলে প্রয়াত হন সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের পঞ্চম অধ্যক্ষা, মঠের প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া দায়িত্বই এবার কাঁধে তুলে নিলেন সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা  । 

    ১৯৬৪ সালে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাতৃভবনে যোগ (Sarada Math)

    প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণার জন্ম ১৯৪০ সালে। তাঁর (Sarada Mission) মিশনে যুক্ত হওয়ার আগের নাম ছিল রূপালি। প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার উদ্যোগে তিনি ১৯৬৪ সালে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাতৃভবনে যোগ দেন। এরপর ১৯৬৮ সালে প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার মাতাজীর কাছে ব্রহ্মচর্য প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণার কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন তিনি। এর আগে কয়েক বছর (Sarada Math) সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ কিছু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এবার খোলা হবে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের ‘ভিতর রত্নভান্ডার’, ঘোষিত হল দিনক্ষণ

    ১৯৯০ সালে তিনি রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের (Sarada Mission) গঙ্গারামপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব নেন। নতুন কেন্দ্রে তুখোড় হাতে নানা দায়িত্ব সামলান তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ-অধ্যক্ষ হন প্রেমপ্রাণা।

    দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সন্ন্যাসিনীরা (Sarada Mission)

    ৩০ এপ্রিল আনন্দপ্রাণা মাতাজি দেহত্যাগ করেন। এরপর উল্টোরথের পুণ্যলগ্নে মঠের (Sarada Math) অধ্যক্ষার দায়িত্ব নেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত  ছিলেন সন্ন্যাসিনীরা। ভক্ত ও অনুগামীরা তাঁকে প্রণাম জানান। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সপ্তম অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শঙ্করানন্দজি মহারাজের মন্ত্রশিষ্যা ছিলেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণামাতাজির কাছে ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসদীক্ষা লাভ করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের স্বামীজীর শুভ জন্মতিথিতে সঙ্ঘাধ্যক্ষা পদে আসীন হন তিনি।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: নেই বিদ্যুৎ, সম্বল হাতপাখা-লণ্ঠনই! জানেন কি কলকাতার কাছেই রয়েছে এমন গ্রাম!

    North 24 Parganas: নেই বিদ্যুৎ, সম্বল হাতপাখা-লণ্ঠনই! জানেন কি কলকাতার কাছেই রয়েছে এমন গ্রাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই! প্রচণ্ড গরমে হাতপাখাই সম্বল। আলো নেই, তাই ভরসা একমাত্র লণ্ঠনই। রাতের বেলায় এলাকার মানুষ ঘরে ঘুমোতে পারেন না। বাইরে চাতালে শুতে হয়। সেই সঙ্গে অন্ধকারে সাপের আনাগোনা চলে। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই বলে আত্মীয়রাও থাকতে চান না। এমনকী বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের বাপের বাড়িতে আসতে পর্যন্ত দেন না শ্বশুর বাড়ির লোকজন। একবিংশ শতকে এমন একটি গ্রাম এই পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ভাবতেও অবাক লাগে। হ্যাঁ এই গ্রামটি পাণ্ডববর্জিত কোনও গ্রাম নয়, সমুদ্রের মাঝে দ্বীপ বা পাহাড়ের উঁচুতে কোনও জায়গা নয়, কলকাতার নিকটবর্তী বারসতের (North 24 Parganas) কাছেই বেড়াচাঁপার এক নম্বর পঞ্চায়েতের মির্জানগরের সর্দারপাড়া গ্রাম। এখানে ত্রিশটির বেশি পরিবার বসবাস করেন।

    গ্রামের ২০০ মিটারের মধ্যে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার (North 24 Parganas)!

    এলাকার মানুষ অভিযোগের সুরে বলেছেন, “আমাদের গ্রামের (North 24 Parganas) পাশেই ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার। পাশেই রয়েছে বিদ্যুৎ (Electricity) অফিস। তবুও গ্রাম আঁধারে ডুবে রয়েছে। আমরা বারবার একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এই সর্দারপাড়ার চারিদিকে রয়েছে চাষের জমি। জমির একাধিক মালিক নিজের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসুক চান না। ফলে সন্ধ্যের সময় আশেপাশের গ্রামে আলোকিত হলেও এই গ্রামে যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার হয়ে আছে।”

    নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন

    আবার বাসন্তী মুণ্ডা নামে এক মহিলা বলেছেন, “ভোট এলে নেতারা পরিশ্রুতি দিয়ে যান, কিন্তু ভোট হয়ে গেলে আমাদের সেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হয়। সন্ধ্যের পর থেকেই গ্রামে (North 24 Parganas) লম্ফ, হ্যারিকেন, লণ্ঠন, মোমবাতি জ্বালাতে হয়। এখানে বুঝতেই পারিনা স্বাধীন দেশে রয়েছি কিনা।” আবার রীতা কাহার বলেছেন, “আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। জামাই বা শ্বশুরবাড়ির অন্য কেউ আসতে চায় না। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন সকালে আসলে বিকেলেই বাড়ি ফিরে যান। খুবই লজ্জার।”

    আরও পড়ুনঃ সুইমিং পুল, কচ্ছপ, সিসিটিভি কী নেই! জামালের বাড়ি না রিসর্ট বোঝাই মুশকিল

    প্রশাসনের বক্তব্য

    দেগঙ্গার (North 24 Parganas) বিডিও ফাহিম আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, “এই খবর আমার কাছে জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে সবটা বলতে পারব।” বারাসত মহকুমার বিদ্যুৎ (Electricity) দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সমীরকান্তি গায়েন এই বিষয়ে বলেছেন, “অভিযোগ শুনেছি, তবে জমিজটের কারণে কোনও রকম সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধান করব আমরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিডিওর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রয়োজন হলে জমির আলে পোস্ট বসানো যেতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্কুলে ছুটি হলেই বসত মদের আসর! তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিকের পর্দাফাঁস করলেন শিক্ষক

    Nadia: স্কুলে ছুটি হলেই বসত মদের আসর! তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিকের পর্দাফাঁস করলেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলে স্কুল ছুটি হলেই চালাতেন মদের আসর। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) বগুলা বাজার জিএসএফটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, বগুলার (Nadia) এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৮। আর শিক্ষক রয়েছেন চারজন। স্কুলের চাবি থাকে পাশের একটি দোকানদারের কাছে। ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পর সমস্ত শিক্ষক বাড়ি চলে যান। স্কুলের কিছু কাজের জন্য পুনরায় ফিরে আসতে হয় শিক্ষক বিমান মিদ্দাকে। বিমানবাবু স্কুলে ঢুকতেই থ হয়ে যান। তিনি  বলেন, “ওইদিন স্কুলের ছুটি হয়ে গেলে আমি কিছু কাগজপত্র জেরক্স করার জন্য বেরিয়েছিলাম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিস ঘরে তালা মেরে চাবি পাশের একটি দোকানে রেখে যান। পরবর্তীকালে আমি জেরক্স করে স্কুলে ঢুকতেই দেখি, একজন সিঁড়ি দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে আসছেন। অফিস ঘরে ঢুকেই দেখি, সেখানে মদের আসর বসেছে। টেবিলের ওপর কিছু খাবারও রাখা ছিল। আমাকে দেখেই ওরা মদের আসর ছেড়ে সকলেই অফিস থেকে পালিয়ে যান। সেখানে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। আমি পুরো বিষয়টি পরবর্তীকালে ভিডিও করি। প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    প্রধান শিক্ষক কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ঠাকুর বলেন, “আমি কিছুদিন আগে এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। চাবি আগে থেকেই ওই দোকানে রাখা হত।” নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তন্দ্রা ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আমিও জানি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।” স্কুল থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য বিজেপির আনন্দ কবিরাজ বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর আছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার ছেলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত ওই স্কুলে মদের আসর বসাত। এর থেকে লজ্জার আর কী থাকতে পারে।” তৃণমূলের (Trinamool Congress) হাঁসখালি-২ সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share