Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jamat-e-Islami: কপাল পুড়ল বিএনপির, জামাত ও তার সমস্ত শাখা সংগঠন নিষিদ্ধ বাংলাদেশে  

    Jamat-e-Islami: কপাল পুড়ল বিএনপির, জামাত ও তার সমস্ত শাখা সংগঠন নিষিদ্ধ বাংলাদেশে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগে জামাত-ই-ইসলামি (Jamat-e-Islami) ও তাদের শাখা সংগঠনগুলিকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। প্রতিবেশী দেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য নিষিদ্ধ হল বাংলাদেশের এই বিতর্কিত সংগঠন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য জানানো হয়েছে। সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামাত-ই-ইসলামি, তাঁদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য শাখা সংগঠনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    নিষিদ্ধ হল জামাত (Jamat-e-Islami)

    প্রসঙ্গত ২০১২ সাল থেকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন সময় থেকে জামাত শিবিরকে (Jamat-e-Islami) নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লীগের নেতা-মন্ত্রীরা বহুবার দলটিকে নিষিদ্ধ করার কথা বললেও ১২ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে (Bangladesh) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে হাইজ্যাক করার পর সরকারের চোখ খুলল। জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কড়া ধাক্কা দিল সরকার। সরকারের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে জামাত শিবির দেশজুড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামি লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যেভাবে দেশজুড়ে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে জামাত, তার জন্য ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামাত-ই-ইসলামি (Jamat-e-Islami) এবং তাদের সমত শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।

    দুই বার নিষিদ্ধ হল জামাত

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৮ নম্বর ধারায় সন্ত্রাসী কাজের সংজ্ঞা ঘোষিত আছে। এই ধারায় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। মূলত রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি, নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কর্মকাণ্ড সম্পাদন করলে এই ধারায় ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনও দলের বিচার করা হয়। বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক, দাহ্য ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই ধারা বাংলাদেশে প্রয়োগ হয়। প্রসঙ্গত ১৯৭২ সালেও সংবিধানের ৩৮ ধারা প্রয়োগ করে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে এই (Jamat-e-Islami) সংগঠনের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত গণহত্যা, যুদ্ধ, মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল এই সংগঠনকে।

    আরও পড়ূন: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করায় জামাত-ই-ইসলামিকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের কারণে। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে জামাত রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণের ধারা সকাল থেকেই ঝড়ে পড়ছে। লক্ষ্মীবারে ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। মাঝে মাঝেই ঝেঁপে বৃষ্টি (Rain in Kolkata) নামছিল। কখনও ঝিরঝিরে, তো কখনও অঝোড়ে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত একইরকম আবহাওয়া (Weather Update)। শুক্রবারও কলকাতা-সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।  দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

    বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) অনুযায়ী, আপাতত বৃষ্টি (Rain in Kolkata) থেকে রেহাই নেই। উল্টে বৃষ্টি আরও বাড়বে। গাঙ্গেয় বাংলার ওপর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, আর তাতেই সক্রিয় বর্ষা। চলছে নাগাড়ে বৃ্ষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায়। ৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণের বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বিকেলের পর থেকেই কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা চলতে থাকে। 

    কতদিন বৃষ্টি

    শুক্রে হুগলি জেলার কোনও কোনও এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে। পাশাপাশি পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সতর্কতা জারি হয়েছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হবে না। উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পঙের কয়েকটি জায়গায়। মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী ৭ অগাস্ট পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    মৌসম ভবনের আভাস

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) বলছে, বর্ষার বাকি ২ মাসে ৬ শতাংশের বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে গোটা দেশে। বর্ষার (Rain in Kolkata) প্রথম দুমাসে গোটা দেশে বৃষ্টি বেশি হলেও, বাংলার ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু মৌসম ভবন বলছে, এবার আগামী ২ মাসে দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে সংরক্ষণের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে সংরক্ষণের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে স্থায়ী পদে নিয়োগ নেই বললেই চলে। তবে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন দফতরে অস্থায়ী ও ঠিকা কর্মী নিয়োগ করা হয়। এবার সেই নিয়োগেও সংরক্ষণের দাবি তুললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মূলত, পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সেখানেও নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করে নিয়োগ করার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা।

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও সংবিধান মেনে তফসিলি জাতি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হোক।” জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অস্থায়ী পদে ৬,৬০০ কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। ‘জেলা সিলেকশন কমিটি’ করে নিয়োগ করা হবে। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সংরক্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ‘১০০ পয়েন্ট রোস্টার’ মেনে চলা হয়, এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি অনুযায়ী মোট শূন্যপদের মধ্যে কত সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে তা-ই লেখা থাকে এই ‘১০০ পয়েন্ট রোস্টার’-এ। এটি রাজ্য সরকারের প্রতি ১০০ শূন্যপদে নিয়োগের ক্রমতালিকা। সেখানে বলা হয়, প্রতি ১০০ শূন্যপদে কোন শ্রেণির জন্য কত অনুপাতে আসন সংরক্ষিত থাকবে। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রেও আসন সংরক্ষিত রাখার আমি দাবি জানাচ্ছি।” বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ পর্বে  তিনি বলেন, “অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ নিয়ে ‘আইনি জটিলতা’ তৈরি হয়েছে। সেই ‘আইনি জটিলতা’ মিটিয়ে অস্থায়ী, ঠিকা এবং চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করার আমি দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    বিধানসভায় শুভেন্দুর ঘরে দিলীপের জন্মদিন পালন

    নিজের জন্মদিনের দিনই বিধানসভায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাও আবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘরে। জানা যাচ্ছে, জন্মদিনের দিন শুভেন্দুর আমন্ত্রণেই বিধানসভায় যান তিনি। বিরোধী দলনেতার ঘরেই তাঁর ‘বার্থ ডে সেলিব্রেশন’ করা হয়। দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতিতে দিলীপকে পুষ্পস্তবক দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। এরপর মিষ্টি মুখ করানো হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BIS Recruitment 2024: কেন্দ্রীয় সংস্থায় ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি, যোগ্যতা কী জানেন?

    BIS Recruitment 2024: কেন্দ্রীয় সংস্থায় ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি, যোগ্যতা কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত, কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থায় কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কত জন কর্মী নিয়োগ (Government Job) করা হবে, তাঁদের কত বেতন হবে তাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের কোন কোন প্রান্তে কতজনকে নিয়োগ করা হবে তার রূপরেখাও ঠিক করা হয়েছে। আর এই কাজের জন্য কী কী যোগ্যতা দরকার তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থায় কর্মী নিয়োগ করবে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) (BIS Recruitment 2024)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে।

    কোথায় কোথায় কর্মী নিয়োগ করা হবে? (BIS Recruitment 2024)

    বিআইএস (BIS Recruitment 2024) সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের পূর্বাঞ্চলে সাতটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিযুক্তদের পোস্টিং দেওয়া হবে। এরজন্য অনলাইনেই আগ্রহীদের থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সংস্থার তরফে কনসালট্যান্ট বা পরামর্শদাতা পদে কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৪। কলকাতা ব্রাঞ্চ অফিস-১, কলকাতা ব্রাঞ্চ অফিস-২, জামশেদপুর, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, রায়পুর এবং পাটনা ব্রাঞ্চ অফিসের প্রতিটিতে দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সংস্থায় আগামী ছ’মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদে কর্মীদের নিয়োগ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    মাসে বেতন ৫০ হাজার টাকা

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের জন্য কোনও বয়ঃসীমার উল্লেখ করা হয়নি। তবে, জানানো হয়েছে নিযুক্তদের (Government Job) বেতন হবে মাসে ৫০ হাজার টাকা। আবেদনকারীদের মার্কেটিং-এ এমবিএ বা মাস কমিউনিকেশনে সমতুল ডিগ্রি বা সোশ্যাল ওয়ার্কে মাস্টার্স (এমএসডব্লিউ) ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি / রাজ্য সরকারি / রাষ্ট্রায়ত্ত্ব / স্বশাসিত সংস্থায় মার্কেটিং এবং মাস কমিউনিকেশন সংক্রান্ত কাজের দু’বছরের অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। যাঁদের আইটি সম্পর্কিত কাজের দক্ষতা এবং ইংরেজি, হিন্দি এবং স্থানীয় ভাষায় কথোপকথন এবং লেখার দক্ষতা রয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Donation: দুর্গাপুজোয় দরাজহস্ত মমতা, কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে? মামলা হাইকোর্টে

    Durga Puja Donation: দুর্গাপুজোয় দরাজহস্ত মমতা, কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে? মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান (Durga Puja Donation) দেওয়ার ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৫,০০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনুদান। আগামী বছর থেকে দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা, এমনই ঘোষণা করেছেন মমতা। শুধু অনুদান নয়, ক্লাবগুলিকে বিদ্যুতেও ছাড় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। ৬৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের কর ছাড়। অনুদানের টাকা কোথা থেকে আসছে জানতে চেয়ে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে (High Court) । সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি এর আগেও মামলা করেছিলেন আদালতে। সেই মামলাতেই এবার নতুন করে আবেদন করা হল।

    অনুদান ঘিরে জনস্বার্থ মামলা (Durga Puja Donation)

    বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গাপুজোয় যে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, সেই খরচ নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন সৌরভবাবু। কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর আবেদন জানানো হয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই (Durga Puja Donation) টাকার উৎস কি? সরকারের কোন ফান্ড  থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। ক্লাবগুলি সেই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা দরকার দাবি সৌরভের। যদিও এ বিষয়ে আগেও মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে (High Court)। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত, কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। আদালতে এমনটাই সূত্রের খবর।

    অনুদানের প্রয়োজনীয়তা ঘিরে প্রশ্ন (High Court)

    বাঙালি সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো ইউনেস্কো হেরিটেজ পাওয়ার পর থেকে সারা পৃথিবীর এখন আকর্ষণ দুর্গাপুজো ঘিরে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শহরের বিভিন্ন পূজোর আড়ম্বর। ধীরে ধীরে বাড়ছে রাজ্য সরকারের অনুদান। কিন্তু প্রথম থেকেই অনুদানের (Durga Puja Donation) প্রয়োজনীয়তা ঘিরে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে।

    আরও পড়ুন: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    পুজো কমিটিগুলি এলাকা থেকে চাঁদা তোলে। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপন ও অনুদান দিয়ে পুজো কমিটিগুলোকে সাহায্য করে থাকেন। তারপরেও সরকারিভাবে অনুদান কেন, এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ২৪ পরগনার জেলা আদালতে বহু পদ শূন্য। সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (High Court) মামলা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। দুই জেলা আদালতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা (Kolkata) হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কেন জেলা আদালতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার শুনানির সময় বিচারপতির মন্তব্য, “এমন চলতে থাকলে, এর পরে কি জেলা বিচারকও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে?”

    জেলা আদালতে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ (High Court)

    জানা গিয়েছে, দুই জেলা মিলিয়েই রয়েছে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ। উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬৭ শূন্যপদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৭ শূন্যপদ। সম্প্রতি, এই দুই জেলা আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। আদালতে কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হবে? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করে আদালত কর্মীদের সংগঠন। বুধবার সেই মামলায় অস্থায়ী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    ১০ বছরে আদালতে কর্মী নিয়োগ হয়নি

    বুধবার মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কলকাতা (Kolkata) আদালতে (High Court) সওয়াল করে বলেন, “সরকারের বিশেষ কিছু দফতর বা বিভাগ রয়েছে, যেখানে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় না। সেই তালিকায় রয়েছে আদালতের কর্মী নিয়োগও।” এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। আমার প্রশ্ন, ১০ বছর পরেও কেন জেলা আদালতে স্থায়ী নিয়োগ করতে চাইছে না রাজ্য সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor Price Hike: মমতার সরকার ফের বাড়াচ্ছে মদের দাম! লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তোলার ফন্দি?

    Liquor Price Hike: মমতার সরকার ফের বাড়াচ্ছে মদের দাম! লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তোলার ফন্দি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই রাজ্যে বাড়তে চলেছে মদের দাম। ১৪ অগাস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গে এক ধাক্কায় প্রায় কয়েক শতাংশ দাম বাড়তে পারে মদের। ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকার এবং বিদেশে তৈরি মদের দাম গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে।  দেশি মদের দাম বোতল পিছু বাড়তে পারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু হঠাতই কেন মদের দাম বাড়ছে রাজ্যে? সরকার কি তাহলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পের জন্য টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছে? বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সরকার তাঁর নানা প্রকল্পের খরচ তুলতেই এইদাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

    কেন দাম বাড়ছে

    মূলত আবগারি শুল্কবৃদ্ধির কারণেই এই মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শেষবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে মদের দাম বেড়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে রাজ্যে দাম কমেছিল বিয়ারের। এবার ফের এক দফায় বাড়তে চলেছে মদের দাম। তথ্য অনুযায়ী, ৬০০ মিলিলিটারের দেশি মদের বোতলের দাম বর্তমানে ১৫৫ টাকা, তা বেড়ে ১৬০ টাকা হতে পারে। ৩০০ ও ৩৫০ মিলিলিটারের ছোট বোতলের দাম ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ এবং ৯৫ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা হতে পারে। যে সব বিয়ারের বোতলের দাম বর্তমানে ১৩৫ টাকা করে, তা একলাফে ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকারের বোতলের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। 

    আরও পড়ুন: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    সরকারের আয়

    গত অর্থবর্ষে মদ বেচে রেকর্ড আয় করেছিল রাজ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। কর আদায় হয়েছিল ১১ হাজার কোটির মত। ২০২২ সালে তা বেড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি করেছিল রাজ্য সরকার। তার থেকে কর আদায় হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে আয় বেড়ে হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা। কর আদায় হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প, জয় বাংলা পেনশন স্কিম বা ক্লাবে ক্লাবে পুজো অনুদান। এসবের খচর মেটাতে গিয়েই রাজ্যের কোষাগার প্রায় শূন্য। তাই কোষাগার ভরাতে এখন ভরসা আবগারি শুল্ক। অন্তত তেমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Price: “আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার”, তোপ শুভেন্দুর

    Potato Price: “আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে আলু নিয়ে যাওয়ার ওপর রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছিলেন। আর তারপরই চড়চড়িয়ে আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। কোথাও ৪০ টাকা, কোথাও আবার ৫০ টাকার বেশি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, ধর্মঘট উঠলেও আলুর দাম (Potato Price) এখনও আম-জনতার নাগালের মধ্যে আসেনি। এই আবহের মধ্যেই কোচবিহারের মাথাভাঙায় ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে চাষিরা রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী (Suvendu Adhikari) এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারে তুলোধনা করেছেন।

    চাষিরা কী দাবি জানালেন? (Potato Price)

    বুধবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের কোচবিহার ফালাকাটা জাতীয় সড়কের সতীশের হাট এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হন ক্ষুদ্র আলু চাষিরা। চাষিরা বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে আলু পাইকাররা আলু কেনা বন্ধ রাখায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। একইসঙ্গে বাজারে আলু বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও দাম (Potato Price) পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, আলু বিক্রি করে আমন ধান সহ সবজি চাষের জন্য রাসায়নিক সার কিনতে পারছি না। কিনতে পারছি না অন্যান্য চাষের সামগ্রীও।” এদিন কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে দু’দিকে পন্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অবরোধ উঠে যেতেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে সমস্যার সমাধান না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন আলু চাষিরা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    রাজ্যকে তোপ শুভেন্দুর

    আলু নিয়ে চাষিদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য জুড়ে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর রাজ্য সরকার দমন পীড়ন নীতি অবলম্বন করছে। বিশেষ করে রাজ্যের সঙ্গে ওড়িশা ও অসমের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কোচবিহারে ক্ষুব্ধ আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি তারই প্রতিফলন। এক দিকে সারের কালোবাজারির জন্য আলু চাষিরা (Potato Price) জেরবার হচ্ছে, সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও সদর্থক ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, অথচ বিভিন্ন সময়ে হঠকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর খবরদারি ফলাতে গিয়ে তাঁদেরকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সমস্ত ন্যায্য অধিকার ও দাবি দাওয়ার পক্ষে আমরা। অবিলম্বে রাজ্য সরকারি আধিকারিকগণ চাষিদের সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করে দ্বন্দ্ব মেটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে আবাস যোজনা— সব ক্ষেত্রেই বার বার কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে। অর্থ বরাদ্দ করছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের সাংসদ, বিধায়করা সরব হয়েছেন। বাস্তবে এই সব প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ফলে, এই সব প্রকল্পের সঠিক হিসেব দিলেই টাকা মিলবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বার বার একথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক বঞ্চনা করা হয়েছে দাবি তুলে বুধবার রাজ্যসভায় ফের একবার সরব হন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। যদিও তাঁর প্রশ্নের পর পরই মুখের ওপর মোক্ষম জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ?

    মঙ্গলবার ভোরে, টানা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ ধস নেমেছে কেরলে। তছনছ হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড় জেলার একাধিক গ্রাম। সেই বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে, বুধবার রাজ্যসভায় ফের কেন্দ্রীয় বাজেটে থাকা বন্যা প্রসঙ্গ ওঠে। প্যাকেজ থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি বলেন, “বন্যাত্রাণে থাকা রাজ্যগুলির তালিকায় কেরল ও পশ্চিমবঙ্গকে যোগ করা যায় কিনা তা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলছি।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তহবিলের ২৫ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। তাও, কোনও বিপর্যয়কে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা না করলে, সেই তহবিলের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে রাজ্য। রাজ্যগুলিকে এই তহবিলের ২৫ শতাংশ খরচ করার অধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    পশ্চিমবঙ্গকে ৪,৬১৯ কোটি দেওয়া হয়েছে (Amit Shah)

    জবাবে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২৪ – এই ১০ বছরে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ৬,২৪৪ কোটি টাকার দাবি আমরা মঞ্জুর করেছি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেমন যেমন খরচের হিসেব আসে, আমরা টাকা দিয়ে দিই। হিসেব দিলেই টাকা দিয়ে দিই। এইভাবে ৪,৬১৯ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেখান থেকে হিসেব আসা নিয়ে সমস্যা আছে। আমি তো তা করতে পারি না। সেই হিসেব বাংলাকেই করতে হবে। হিসেব দিতে হয়। এটা তো সরকারের বিষয়। কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। সরকারের নিয়ম আছে, বিধি আছে, খরচের হিসেব রাখতে হয়, অডিট হয়। যদি কাউকেই না মানি, তাহলে তো কিছু সমস্যা হবেই। তবে, ধীরে ধীরে অভ্যাসের বদল হচ্ছে। উন্নতি হয়েছে। তাই, ৬,২৪৪ কোটি টাকার মধ্যে ৪,৬১৯ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) জবাবি বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তহবিলের ১০ শতাংশ নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। কিন্তু, ওই তহবিলের অর্থ যাতে অন্য কোনও প্রকল্পে খরচ করা না হয়, তার জন্যই বাকি ৯০ শতাংশ খরচ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনে রাজ্যগুলি ওই ৯০ শতাংশও খরচ করতে পারে। তার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি লাগে না।” তৃণমূল সাংসদের দাবি যে ভুল, এভাবেই অমিত শাহ ব্যাখ্যা করে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Midnapore: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী হাল! এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ মেদিনীপুর মেডিক্যালে

    Midnapore: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী হাল! এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ মেদিনীপুর মেডিক্যালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী অবস্থা! মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। আর সেটা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে  মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর এই বিষয়টি জানাজানি হতেই মুখ পুড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

    এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ! (Midnapore)

    মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। রোগীদের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেখার পরই রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা। কিন্ত,  বাস্তবে তা কিছুই হচ্ছে না। বরং, প্রতিদিন খাতায়কলমে বেড়ে চলেছে নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাত দিনে এই হাসপাতাল থেকে ১২১ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। বেশিরভাগই চিকিৎসাধীন ছিলেন পুরুষ বিভাগে। চলতি সপ্তাদের প্রথমদিন সোমবারই ২০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী সাফাই?

    এমনিতেই এই হাসপাতালের (Midnapore) পরিষেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ ছিল। এবার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালের (Medical College) এক আধিকারিক বলেন, আসলে রোগীরা নিয়ম অনুযায়ী ছুটি না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে, আমাদের কাছে রোগীর তথ্য না থাকার কারণে আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে, নিরাপত্তারক্ষী থাকার পরও এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এর সমাধান হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের আমলে হাসপাতালের এই ঢিলেঢালা নিরাপত্তার অবস্থার কারণে মুখ পুড়েছে শাসক দলের। তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) শতাধিক রোগী নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি অন্যতম কারণ। আর এই হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না বলেই রোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “কেন রোগীরা চলে যাচ্ছেন, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share