Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kakdwip: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    Kakdwip: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় নাসার (NASA) গবেষণাগারে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে যোগ দিতে চলেছেন কাকদ্বীপের (Kakdwip) সুভাষনগরের বাসিন্দা ঋত্বিকা মাইতি। বর্তমান তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রসায়নবিদ্যা নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়ছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর আলোচনা সভাতেও ঋত্বিকা ডাক পেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরেছিলেন।

    প্রবন্ধ লিখে পাঠিয়ে ছিলেন মার্কিন সংস্থায় (Kakdwip)

    এবার নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের সামনে মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে ঋত্বিকা (Kakdwip) তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরবেন। জানা গিয়েছে, মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তরুণ ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদান করবেন। পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মৌলিক ভাবনার কথাও শুনবেন। ইতিমধ্যেই ঋত্বিকা মহাকাশ গবেষণার বিষয় নিয়ে তাঁর মৌলিক ভাবনাকে তুলে ধরে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেই প্রবন্ধ মার্কিন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রবন্ধটি পড়ে মার্কিন সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে মনোনীত করেছেন। এরপরই মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা অনলাইনে ঋত্বিকার ইন্টারভিউ নেন। সেই ইন্টারভিউতেও তিনি সাফল্য লাভ করেন। এরপরই তাঁকে মার্কিন মুলুকে নাসার গবেষণা কেন্দ্রের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।                  

    উচ্ছ্বসিত ঋত্বিকা

    এবিষয়ে ছাত্রী ঋত্বিকা মাইতি (Kakdwip) বলেছেন, “আমি খুব উচ্ছ্বসিত, এই বিষয়ে আমি পড়াশুনা করছি। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে নিজে নিজে যতটা পেরেছি কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবে একটা সমস্যা হল আর্থিক সমস্যা। একসঙ্গে এত টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। তবে সরকার বা কোনও সংস্থা সহযোগিতা করলে অ্যামেরিকা যেতে পারব। এটা যেমন বিরল সুযোগ, তেমনি যাতায়াতের খরচও অধিক। তাই আনন্দের মধ্যেও একটা বিষণ্ণতা রয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    পরিবারের বক্তব্য

    তবে কীভাবে নাসার (NASA) এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ঋত্বিকা, তা নিয়ে চিন্তিত মাইতি পরিবারও (Kakdwip)। ঋত্বিকার বাবা বিশ্বজ্যোতি মাইতি বলেছেন, “এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে কমপক্ষে সাত লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। আমি পেশায় একজন শিক্ষক। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এই খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য। জানিনা কীভাবে ঋত্বিকার স্বপ্ন পূরণ হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medinipur: একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    Medinipur: একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই একুশে জুলাইয়ের শহিদ সভা, তৃণমূলের (TMC) বড় অনুষ্ঠান, কিন্তু এই সভার প্রচারকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। ছেঁড়া হয়েছে মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার! ইতি মধ্যে একপক্ষ, ওপর আরেক পক্ষের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর (Medinipur) পুরসভা এলাকায়।

    স্পিনিং মিলের রাশ কার হাতে (Medinipur)?

    সরকার পরিচালিত রাজ্যে যে ছয়টি স্পিনিং মিল রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটির তাম্রলিপ্ত কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল। এই মিলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। একপক্ষ হল আইএনটিটিইউসি এবং অপর পক্ষ হল ফেডারেশন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে করা ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

    আইএনটিটিইউসি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই ঘটনার মূল অভিযোগ ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর (Medinipur) সত্য পড়িয়ার বিরুদ্ধে। স্পিনিং মিলের আইএনটিটিইউসি-র পক্ষ থেকে নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, “এই কাউন্সিলেরর নেতৃত্বে ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে টাঙানো ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই ওঁর অনুগামীরা কয়েকদিন আগে মিলের মধ্যে থাকা আমাদের সংগঠনের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।”

    ফেডারেশনের গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আইএনটিটিইউসি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পার্থ ঘনা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “কাউন্সিলর (Medinipur) সত্যবাবু অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তবে কেন এমন রাজনীতির অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানাবো। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।” আবার সরকারি কর্মী সংগঠন ফেডারেশনের মুখ্য উপদেষ্টা সুনীল কর বলেছেন, “সত্য পড়িয়া ফেডারেশনের কেউ নন। বিষয় কী ঘটেছে আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে জানাব। যদি কোনও সমস্যা থাকে, তবে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য

    মেদিনীপুর (Medinipur) পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্য পড়িয়া বলেছেন, “আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা হবে তাই প্রচারের জন্য মিটিং ডাকা হয়েছিল, আমিও সেখানে গিয়ে ছিলাম। তৃণমূলের (TMC) কর্মীরা যখন যেখানে আমাকে ডাকবেন আমি সেখানে যাব। দলের হয়ে যা নির্দেশ থাকবে পালন করব। তবে ওই ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    Cooch Behar: বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল মাত্র বিজেপি করার অপরাধে বাড়িতে এসে ঝান্ডা লাগিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিল তৃণমূল। এই রাজ্যে বিজেপি করাটাই যেন একটা বড় অন্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক এমনটাই বক্তব্য ওঁই বিজেপি কর্মীদের। লোকসভার নির্বাচনের পর জেলায় জেলায় ভোটপরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত। এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের চিলাখানা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের ৭/৭১ নম্বর বুথের জায়গির চিড়িয়াখান এলাকায়। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    নাপিত, ধোপা এবং বাজার বন্ধ করা হয়েছে (Cooch Behar)!

    নির্যাতনের শিকার বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন বলেছেন, “আমি বিজেপি করি, একই ভাবে আমাদের পাশাপাশি এই ৫টি বাড়ি বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। আমাদের দল হেরে গিয়েছে। অপরে জমি নিয়ে একটি পুরনো বিবাদ ছিল, তাকে ঘিরে বার বার তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পাল্টা আমরা পুলিশের কাছে এফআইআর করি। কিন্তু রবিবার নতুন করে অশান্তি তৈরি করেছে ওরা। তাদের নির্দেশ তৃণমূল পার্টি অফিসে যেতে হবে। না হলে খারাপ হবে। আমার বাড়ির (Cooch Behar) লোকেরা ভিডিও করেছে, সেই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলেছে, ভিডিও বাইরে গেলে খুব খারাপ হবে। আমাদের সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে গিয়েছে।” এলাকার আরও এক বাসিন্দা হাফিজুল হক, তিনিও বিজেপি সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসা সম্পর্কে বলেছেন, “পুরনো একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় প্রায় হুমকি দেওয়া হতো আমাদের। রবিবার বাড়িতে এসে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে। নাপিত, ধোপা এবং বাজার বন্ধ বলে গিয়েছে। বিজেপি কারার জন্য এই ভাবে সামাজিক বহিষ্কার (Social Boycott) করার ডাক দিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ লাইনের ধারে পাঁচিল তুলছে রেল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

    তৃণমূলের বক্তব্য পারিবারিক বিবাদ!

    জেলা (Cooch Behar) তৃণমূলের পক্ষ থেকে পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। সামাজিক বয়কটের (Social Boycott) ঘটনাকে তৃণমূল কোনও মতেই অনুমোদন করে না। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। দুই পরিবারের পারিবারিক বিবাদ আর তাকে কেন্দ্র করে দলীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলব ঘটনার তদন্ত করতে। তবে দলীয় পতাকার অপব্যবহার করা যাবে না।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata ISKCON: “জগন্নাথের আশীর্বাদে প্রাণে বেঁচেছেন ট্রাম্প”, বলছেন কলকাতার ইসকন কর্তা

    Kolkata ISKCON: “জগন্নাথের আশীর্বাদে প্রাণে বেঁচেছেন ট্রাম্প”, বলছেন কলকাতার ইসকন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আমেরিকার ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সভা চলাকালীন তাঁর ওপর হামলা চালায় বছর কুড়ির এক তরুণ। গুলি বেরিয়ে যায় ট্রাম্পের কান ঘেঁষে। ট্রাম্প প্রাণে বেঁচে গেলেও, তাঁর রক্ষীদের ছোড়া গুলিতে হত হয়েছেন ওই (Kolkata ISKCON) তরুণ।

    ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ (Kolkata ISKCON)

    তারপরেও ট্রাম্প ছিলেন অকুতোভয়। মুক্তিবদ্ধ হাত তুলে অভিবাদন জানিয়েছেন জনতাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের ছবি পোস্ট করেছেন ম্যাট ওয়ালিস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর মতে, ট্রাম্পের এই যে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া, এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আততায়ীর ছোড়া গুলিতে জীবনহানির আশঙ্কা ছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তবে বরাত জোরে তিনি যে বেঁচে গিয়েছেন, এটাই ঈশ্বরের আশীর্বাদ।

    ট্রাম্পের অবদান

    প্রাণঘাতী হামলা থেকে ট্রাম্পের প্রাণে বেঁচে যাওয়াটাকে ঈশ্বরের অবদান বলে দেখছেন কলকাতা ইসকনের (Kolkata ISKCON) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসও। তিনিও সহমত পোষণ করেন ওয়ালিসের সঙ্গে।এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “৪৮ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জগন্নাথের রথ তৈরির জন্য মুফতে জায়গা দিয়েছিলেন। আর আজ সবাই যখন জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উদযাপন করছেন, তখন ট্রাম্পের ওপর হামলা চালানো হল। এবং জগন্নাথদেব রক্ষা করলেন তাঁকে।”

    আরও পড়ুন: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড, মোদির অনুগামীর সংখ্যা ছাড়াল ১০ কোটির চৌকাঠ

    স্মৃতির পাতা উল্টে রাধারমণ ফিরে গেলেন ১৯৭৬ সালে। মার্কিন মুলুকে প্রথমবার রথযাত্র উৎসবের উদযোগ চলছে। রথ কোথায় তৈরি করা হবে, তা নিয়ে ইসকনের কর্তারা যখন ধন্দে, তখনই প্রায় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমরা তখন নিউইয়র্ক শহরের ধনী ব্যক্তিদের কাছে তাঁদের ফার্ম হাউসে রথ বনানোর জন্য অনুনয় বিনয় করছি। কেউ আমাদের জায়গা দিচ্ছেন না। জায়গার খোঁজে আমরা যখন হন্যে হচ্ছি, তখনই একদিন আমরা গেলাম ট্রাম্পের কাছে। সব শুনে তাঁর সেক্রেটারি বললেন, ওঁর সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ জানাতে পারেন। তবে তাতে কাজ হবে না। আমাদের ওখানকার লোকজন ট্রাম্পের সেক্রেটারির হাতেই তাঁর জন্য নিয়ে যাওয়া মহাপ্রসাদ তুলে দিয়ে এসেছিলাম।”

    রাধারমণ বলেন, “এর কয়েক দিন পরেই এসেছিল ট্রাম্পের সই করা চিঠি। তার পরেই তাঁর একটি ফার্ম হাউসে শুরু হয় রথ তৈরির কাজ। মার্কিন মুলুকে সেই প্রথম গড়ায় রথের চাকা।” তিনি বলেন, “ন’দিন ধরে চলছে জগন্নাথের রথযাত্রা উৎসব। এই সময় অল্পের জন্য ট্রাম্পের (Donald Trump) মৃত্যুর হাত এড়িয়ে যাওয়াটা জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছুই নয় (Kolkata ISKCON)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Howrah: লাইনের ধারে পাঁচিল তুলছে রেল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

    Howrah: লাইনের ধারে পাঁচিল তুলছে রেল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah)-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় একেবারে অভিনব উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলের পক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেল লাইনের দুপাশে অনেকটা অংশ জুড়ে রেল দফতরের জমি রয়েছে। সেই জমি এতদিন ফাঁকা পড়ে থাকত। দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রেলের এই উদ্যোগের ফলে সেই জমি দখল হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না।

    রেলের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? (Howrah)

    হাওড়া (Howrah)-বর্ধমান কর্ড লাইনে রেললাইনের (Eastern Railway) ধার বরাবর টানা পাঁচিল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই পাঁচিল নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। মূলত এই শাখায় পর পর চারটি পাশাপাশি রেললাইন। সেই রেললাইন থেকে কিছুটা অংশ ছেড়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই পাঁচিল। আপ ও ডাউন দুদিকেই এই ধরনের পাঁচিল করা হয়েছে। এর জেরে সুরক্ষিত থাকবে রেললাইন। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমবে। দ্রুতগতিতে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। রেললাইনের ওপর বাইরে থেকে কিছু উঠে আসতে পারবে না। যাত্রী সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে। অনেক সময় লাইনের ধার থেকে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। এই উদ্যোগে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। রেললাইনের ধারে তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের পাঁচিল। তবে, কিছু প্রশ্ন উঠেছে, প্রথমত অনেকে আবার এই উদ্যোগকে টাকা নষ্ট বলে উল্লেখ করছেন। কারণ তাঁদের মতে, এই পাঁচিল তৈরি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু, এভাবে কি রেললাইনকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব? এই পাঁচিল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা রয়েছে। সেই পাঁচিল আদৌ কতটা রক্ষা করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। অনেকের মতে, সাধারণ মানুষও এই পাঁচিল নষ্ট করে দিতে পারে। সেটা কীভাবে আটকানো যাবে? এই বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    রেলের (Eastern Railway) এক আধিকারিক বলেন, অনেক জায়গায় রেলের ফাঁকা জমি জবরদখল করে নেয়। পরে, তাদের সেখান থেকে সরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়। এই উদ্যোগের ফলে একেবারে মেপে রেলের জায়গার ভিতর তৈরি হয়েছে এই পাঁচিল। এর ফলে রেলের জায়গা জবরদখল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমবে। সব মিলিয়ে সুরক্ষিত থাকবে রেললাইন। রেলের এই অভিনব উদ্যোগকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daspur: সমবায় ভোটে জিততেও ছাপ্পা তৃণমূলের! পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত

    Daspur: সমবায় ভোটে জিততেও ছাপ্পা তৃণমূলের! পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট (Co Operative Elections) দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ (Daspur) নম্বর ব্লকের সুলতাননগর সমবায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর পুলিশের সামনেই চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। তৃণমূলের হামলায় এক ব্যক্তির মাথা ফাটে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Daspur)

    দাসপুর (Daspur) জ্যোত গৌরাঙ্গ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৩১ টি আসনে রবিবার ছিল নির্বাচন। বেলা গড়াতেই ছাপ্পা ভোট ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, জটাধরপুর বুথে হঠাৎই দেখা যায় বেশ কিছু বহিরাগত ভোট দিতে ঢুকছে। বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতে বাধা দেন সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক কর্মীরা। এরপর পুলিশের সামনেই চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক কর্মীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নামে র‍্যাফ ও পুলিশ। শুধু তাই নয়, একজনকে তোলা হয় পুলিশ ভ্যানেও।

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক নেতা বলেন, “সমবায় ভোটে জেতার জন্য তৃণমূলকে ছাপ্পা ভোট মারতে হচ্ছে। আসলে ওদের জনসমর্থন নেই, এটাই তার প্রমাণ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চেয়েছিলাম। তৃণমূল সেটা হতে দিল না। বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ভোট করেছে। এভাবে জোর করে ভোটে জিতে কোনও লাভ নেই। এদিন ঘটনাস্থলে প্রশাসন দাঁড়িয়েছিল। কোনও কাজ করেনি তারা। তিরিশটা ভোট ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল। এই ধরনের নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস করতে পারে তা আমরা ভাবতে পারিনি।” এই বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “এগুলো সব অপপ্রচার। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছাপ্পা ভোট (Co Operative Elections) করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। আসলে ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অভিযোগ করছে। এর বেশি আর কিছু বলব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Bhandar: “লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া হবে নাম”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

    Lakshmi Bhandar: “লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া হবে নাম”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লক্ষ্মী ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) নিয়ে রাজনীতি তৃণমূলের। সরকারি প্রকল্পের বন্টনের ক্ষেত্রেও আবারও সেই আমরা-ওরা ইস্যুকে সামনে আনার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বক্তব্য জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Lakshmi Bhandar)

    দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) পেয়েও ভোট দেননি যাঁরা, তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, অন্ততপক্ষে আমাদের কিছু জনের নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া দরকার আছে। যে টাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছে, যে টাকাটা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার দিচ্ছে, সেটা নরেন্দ্র মোদির টাকা নয়, তৃণমূল সরকারের টাকা।”

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বর্তমান টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে। যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ই বাংলার রাজনীতির একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কোচবিহার (Cooch Behar) আসনে ৩৯,২৫০ ভোটে বিজেপি প্রার্থী নিশীথকে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তারপরও তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, কিছু ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। আর তাতেই এই মন্তব্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বিরাজ বসু বলেন,  “বিরোধী দল করলেই তাঁকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া যাবে না। রেশন নিতে দেওয়া যাবে না। সরকারি বিভিন্ন যে প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা দেওয়া যাবে না, এটাই তৃণমূলী কালচার। এসব যত করবে, তৃণমূলের ভোট কমবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কর্তব্যরত নার্সকে চড় তৃণমূল প্রধানের! শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল গেটে ধর্না

    Murshidabad: কর্তব্যরত নার্সকে চড় তৃণমূল প্রধানের! শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল গেটে ধর্না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সকে চড় মারার অভিযোগ উঠল সালারের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন নার্সরা। এই প্রধানের বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাস্তির দাবি করেছেন নার্সরা। ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বচসার পর আচমকা থাপ্পড় (Murshidabad)!

    রবিবার সকালে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Murshidabad) রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় অসন্তোষ প্রকাশ করে, কর্তব্যরত এক নার্সকে চড় মারেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রধান রেজিনা বিবির মেয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে সঠিক ভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছিল না। একই সঙ্গে ডাক্তার এবং নার্সেরা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না রোগীকে। এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধান রেজিনা বিবি নিজেই হাসপাতালে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা না হলেও নার্সদের সঙ্গে রোগীর পরিষেবা নিয়ে কথা বলেন তিনি। কথা বলতে বলতে এক কথা দু-কথায় বচসা শুরু হয়। এরপর প্রধান আচমকাই এক নার্সের গালে থাপ্পড় মেরে বসেন। এই ঘটনার পরই বিরাট শোরগোল পড়ে যায়। এরপর কর্তব্যরত নার্সেরা একত্রিত হয়ে হাসপাতালের গেটের কাছে দোষীকে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে পোস্টার দেন। একই সঙ্গে প্রতিবাদ ধর্নায় বসেন তাঁরা।

    আরও পড়ুনঃ ফের শিশুচোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনায় শোরগোল হাওড়ায়

    শাস্তি চাই বললেন আক্রান্তের স্বামী

    আক্রান্ত নার্সের স্বামী এই প্রেক্ষিতে বলেছেন, “যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অন্যায়, আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। অপরাধীর শাস্তি চাই।” আবার ভরতপুরের (Murshidabad) ২ নম্বর তৃণমূল সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “সরকারি হাসপাতালে নার্সদের এই ভাবে মারধর করলে, দল কখনই সমর্থন করবে না। তিনি প্রধান এবং একই সঙ্গে মা। বিচলিত ছিলেন, তাই হয়তো এই রকম আচরণ করে ফেলেছেন। তবে প্রধান যদি দায়িত্ব জ্ঞান ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুট, ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের ডাক শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুট, ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের ডাক শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রবিবারই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছেন রাজভবনের সামনে। ধর্না মঞ্চ থেকে এদিন তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের দিনই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ (Democracy Killing Day) পালন করার ডাক দিলেন তিনি বিজেপি। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে ভোট লুট নিয়েও শাসক দলকে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    চার বিধানসভার উপনির্বাচনেও ব্যাপক ভোট লুটের অভিযোগ

    চার বিধানসভার উপনির্বাচনেও ব্যাপক ভোট লুটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, ৪ কেন্দ্রের ভোট লুট হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতে লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেননি তাদের জন্য পোর্টাল চালু করার বিষয়ে ঘোষণা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল সোমবার এলওপি পোর্টাল চালু করছি। যারা যারা ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা নাম নথিভুক্ত করবেন। আপনাদের নাম দিয়ে রাষ্ট্রপতি থেকে সবকটি সংবিধানিক জায়গায় আমরা আবেদন করব।’’ বেছে বেছে হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, এমনও অভিযোগ শুভেন্দুর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০২৩ সালের পঞ্চায়েতে ১ কোটি লোককে ভোট দিতে দেয়নি। আমি পুরসভা, লোকসভায় লড়েছি। এই জিনিস আগে দেখিনি। একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোককে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়নি।’’

    ধর্ম-বর্ণ-জাতপাত নির্বিশেষে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি 

    পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার রাজভবনের সামনে ভোট হিংসায় ‘আক্রান্ত’দের নিয়ে ধর্নায় বসেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই ধর্নামঞ্চে ৩৩০ জন আক্রান্ত যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধর্না মঞ্চে এদিন দুপুরের পর থেকে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। এছাড়া অর্জুন সিং, তাপস রায়, সজল ঘোষের মতো নেতারাও আগাগোড়া হাছির ছিলেন ধর্না কর্মসূচিতে। এদিনের ধর্না মঞ্চ থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘ধর্ম-বর্ণ-জাতপাত নির্বিশেষে বিরোধী দলনেতা হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’’ সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের পাল্টা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ (Democracy Killing Day)-এর কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নন্দীগ্রামে ১৮ জুলাই গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। গোটা রাজ্যকেই নিজের নিজের এলাকায় আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আবার ২২ জুলাই সিইএসসি অভিযানেও নামছে গেরুয়া শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: “হাসপাতালে নেই কোনও পরিষেবা”, রোগীদের ক্ষোভ মুখ বুজে হজম করলেন তৃণমূল সাংসদ

    Burdwan: “হাসপাতালে নেই কোনও পরিষেবা”, রোগীদের ক্ষোভ মুখ বুজে হজম করলেন তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ তথা চিকিৎসক শর্মিলা সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহর লাগোয়া একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সাংসদকে কাছে পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা। রোগীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়লেন সাংসদ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Burdwan)

    সাংসদ হওয়ার পর পূর্ব বর্ধমানে (Burdwan) স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যান স্থানীয় শর্মিলা সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও অজয় কুমার দণ্ডপাত। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পবিত্র রায় ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বামদেব মণ্ডল। রোগীর পরিবারের লোকজন বলেন, এখন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশিরভাগ রোগী ডায়েরিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। অথচ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যা অবস্থা তাতে রোগমুক্ত হওয়ার চেয়ে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গ্লাসে করে জল তুলে রোগীকে স্নান করাতে বাধ্য হচ্ছি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রান্না করার ব্যবস্থা থাকলেও রান্না করা হয় না। হোম ডেলিভারি হিসেবে খাবার নেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর সেই খাবারের গুণগত মান ভালো না। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা খারাপ। এতটাই নিম্নমানের যে সাধারণ মানুষ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলেই থানা পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    তৃণমূল সাংসদ কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ শর্মিলা বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা ভালো নয়। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তা জানলাম। শৌচালয়গুলির অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে সেখানে একটি মগ কিংবা বালতি কিছুই নেই। ইতিমধ্যেই বিডিও এবং বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পুরনো কথা তুলে লাভ নেই। কী করে পরিষেবা উন্নত করা যায় তা দেখা হবে।”

    বিএমওএইচ কী বললেন?

    এ বিষয়ে বিএমওএইচ (Burdwan) তুষারকান্তি বিশ্বাস বলেন, “এসব অভিযোগ পুরো মিথ্যা। মূলত, অর্থ এবং পরিকাঠামোর অভাব আছে। আমি সমস্ত স্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। আসলে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অকারণে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share