Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া, আড়িয়াদহের পর এবার কল্যাণী (Kalyani) । তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’র সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। নিজের দাপট দেখাতে দোকানে তালা দিলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির  দুলালকৃষ্ণ মজুমদারের বিরুদ্ধে দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Kalyani)

    কল্যাণী (Kalyani) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের পাশে একটি বাথরুম তৈরি করছিলেন দোকানের মালিক। আচমকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারপর দোকানের শাটারের ওপরে তালা লাগিয়ে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কথা শোনেননি। দোকানের মালিকের ছেলে বলেন, তৃণমূলের নেতা বলেই যা খুশি করে যাবে। আমাদের কোনও কথা শোনা হবে না। এভাবে আমাদের দোকান কেন ওই তৃণমূল নেতা বন্ধ করলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ ও কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে সমস্ত বিষয়টি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আসলে শাসকদলের নেতা বলে পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। চরম আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা এই এলাকায় ব্যবসা পর্যন্ত করতে পারব না।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার কার্যত ওই দোকানে (Kalyani) তালা লাগানোর কথা স্বীকারও করে নেন। তিনি বলেন, “ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করছিলেন ফার্নিচারের দোকানদার। আমি সরকারি কোনও পদে নেই তো কী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি আমি। তাই আমার এসব দেখার দায়িত্ব আছে। সেই কারণেই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছি”। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ওই ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের কাছে জানাতে বলেছি। দলকেও আমি জানিয়েছি”।

    তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সংস্কৃতি। রাজ্যজুড়ে তো এখন এটাই হচ্ছে। ব্যবসায়ীকে  হয়তো তোলা চেয়েছিলেন, সেটা না দেওয়ার তৃণমূল নেতা দোকানে তালা দিলেন। দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামেই সরকারি জমি দখল করেছেন তৃণমূল নেতা। দলের নেতার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। অবৈধ ভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পাল্টা তৃণমূল নেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Bardhaman) কাঁকসাতে।

    কীভাবে জমি দখল (Bardhaman)?

    সূত্রের খবর, ওই জমিতে কৃষি দফতরের কার্যালয় (Bardhaman) ছিল। তবে প্রায় ২০ বছর ধরে ওই জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কৃষি দফতরকে জমি দিয়েছিলেন এলাকার মুখোপাধ্যায় পরিবার। বনকাটি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বুদ্ধদেব রায় প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে জমির বেশ কিছুটা অংশ করিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে স্থানীয় বিডিও ও বিএলএলআরও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলেরই অঞ্চল প্রধান তবাসুম খাতুন। কৃষি জমি সহ আরও অনেক জমি এখন বুদ্ধদেব রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সরকারি জমি কীভাবে তাঁর নামে উঠেছে, তাই নিয়ে শোরগোল পড়েছে। জমি যাতে সরকার ফিরে পায়, সেই দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রধান।

    প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে জমি রেকর্ড

    এদিকে যাঁরা জমি দান করেছিলেন, সেই পরিবারের পক্ষ থেকে দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বর্ধমান (Bardhaman) রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ভূমি দফতরকে দানপত্র দলিল করেছিলেন আমার বাবা। কিন্তু সেই জমির রেকর্ড এখন এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে হয়ে গিয়েছে। যিনি জমিকে নিজের নামে করেছেন, তিনি অঞ্চল সভাপতি (TMC)। তাঁর নাম বুদ্ধদেব রায় ওরফে লালু। আবার লালুর স্ত্রী বুলু রায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। অবিলম্বে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”  

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC) বুদ্ধদেব রায় এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী কাঁকসা (Bardhaman) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দোষী প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লু ফ্যাক্টারি সংলগ্ন এলাকায় যুবক-যুবতীকে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে গুজব ছড়ায় আসানসোল (Asansol) উত্তর থানা এলাকায়। কিন্তু ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলেও দীর্ঘক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর জনগণের রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কেন পুলিশের উপর হামলা (Asansol)?

    স্থানীয় (Asansol) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশের পাঁচটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সঙ্গে চলে ইট বর্ষণ। ইটের আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মী দারুণ ভাবে আঘাত পান। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। কিন্তু ওই যুবক-যুবতীর কোনও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাত এক হকারের

    গুজব ছড়িয়ে মারধরে উত্তাল রাজ্য

    গুজব ছড়িয়ে মারধরের ঘটনায় রাজ্যে সম্প্রতি ব্যাপক ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এমন ঘটনা প্রায় প্রত্যেকে দিন জেলা থেকে উঠে আসছে। প্রশাসন এই বিষয়ে ভীষণ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোথাও চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আবার কোথাও ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে মারা হচ্ছে। সম্প্রতি চোপড়ায় এক প্রাতপশালী তৃণমূল নেতা, রাস্তায় ফেলে কঞ্চি দিয়ে তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেছেন। সেই ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার চোর সন্দেহে, বউবাজার, সল্টলেক, পাণ্ডয়া, জামবনি, তারকেশ্বরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও টাকা চুরি, কোথাও গাড়ি চুরি আবার কোথাও মোবাইল চুরির ঘটনার কথা উঠে এসেছিল। ফের একবার গুজেব শোরগোল পড়েছে আসানসোলে (Asansol)।

    আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গণপিটুনির ঘটনায় ন্যায় সংহিতার ব্যাখ্যায় বলেছেন, “জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা ও অন্যান্য যেসব কারণে মারধরের ঘটনা ঘটে, তাতে ৭ বছরের জেল থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা যুক্ত করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাদ এক হকারের

    Nadia: “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাদ এক হকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হকার উচ্ছেদ শুরু হল নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হল থানার কাছে রাস্তার পাশে ফুটপাতে তৈরি হওয়া একাধিক দোকান। কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা। উচ্ছেদ হওয়া হকাররা (Hawker) প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    বুলডোজার চলতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা (Nadia)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ। যারা মূলত বেআইনিভাবে রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য প্রথমে মাইকে প্রচার চালানো হয়। যদিও কৃষ্ণনগরে প্রথমে হকার উচ্ছেদ শুরু করলেও বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে তা কিছুটা থমকে ছিল। বিশেষ করে জেলা বিজেপি নেতারা হকারদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। বেশ কিছুদিন উচ্ছেদ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এরইমধ্যেই শনিবার সকালে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার সামনে রাস্তার পাশে যে সমস্ত দোকানদাররা ফুটপাতে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদের দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে দেখা যায়। দোকান ভাঙা নিয়ে সুচিত্রা মিত্র নামে এক হকার বলেন, “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব।” সংসার চালাবো কী করে, তা বুঝে উঠতে পারছি না বলে বুক চাপড়ে কাঁদতে শুরু করলেন। অন্য এক হকার (Hawker) বিপ্লব সাহা বলেন, “৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমাদের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। শুধু মাইকিং করা হয়েছিল। এরপরই এদিন দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। আমাদের পুনর্বাসন দিতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর (Nadia) পুরসভার চেয়ারম্যান রিতা দাস বলেন, “এতে আমাদের কিছু করার নেই। ওপর থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে, আমরা তা শুধু পালন করছি। তবে, বিরোধীদের যে সমস্ত লিখিত অভিযোগ রয়েছে তা আমরা ওপরতলায় জানিয়ে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর খুনের ঘটনায়  আগামী সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে মূল অভিযুক্তকে, নাহলে এই মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হস্তান্তরের জন্য আবেদন  জানাব”, শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে প্রয়াত দলীয় কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। দেন পাশে থাকার আশ্বাসও।

    পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের (Suvendu Adhikari)

    মঙ্গলবার খাতড়ার (Bankura) দেদুয়া গ্রামে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর। মৃতের ছেলে সনাতন মাহাত থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপি কর্মী খুনে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদল মাহাত, হারু ওরফে হারাধন মাহাত ও তারাপদ পালকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    বুথে তৃণমূল হেরেছে, সেই আক্রোশে বিজেপি কর্মী খুন!

    এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে খাতড়া পাম্প মোড় থেকে দাসের মোড় পর্যন্ত দলের কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। লাগাতার তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে ঘটনাটিকে জমি নিয়ে বিবাদে গন্ডগোল বলে দাবি করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা স্থানীয় তৃনমূল নেতা উত্তম মাহাতকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সাতদিনের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে। এদিন মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার জন্য বাঁকুড়ার নব নির্বাচিত সাংসদ তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীকেও একহাত নেন শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বন্ধুবিহারী  মাহাতর অপরাধ, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিজেপি করতেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বুথে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। সেই আক্রোশ থেকেই এই খুন। নিহত কর্মীর পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁর বাড়ির বাইরে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলেছি। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যে-কোনও সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই ছেলে ধরা সন্দেহে গণ-পিটুনির অভিযোগ উঠছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একাধিক জায়গায় গণ-পিটুনির জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ছেলে ধরার জের কাটতে না কাটতেই এবার চোর সন্দেহে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) দেওয়ানদিঘি এলাকায়। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে আলমপুরে (Burdwan) চারজনকে ঘিরে চোর সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এলাকায় কয়েকদিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ওই ব্যক্তিরা। প্লাস্টিকের জিনিস বিক্রি করতেন তাঁরা। মূলত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সকলে। তাঁদেরকে চোর সন্দেহ করে এলাকার লোকজন বেধড়ক পেটান। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হন গ্রামের লোকজন। হেনস্থার শিকার হন পুলিশ কর্মীরা। গ্রামের লোকজনের বক্তব্য, এলাকায় এসে তাঁরা চুরির ছক কষছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেবে। সেটা চলবে না। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। জানা গিয়েছে, চারজনকে উদ্ধারে বাধা দেন এলাকাবাসী। পরে, বিশাল বাহিনী গিয়ে পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশ (Police) সুপার (Burdwan) আমন দীপ বলেন, “আমাদের কাছে খবর আসে চোর সন্দেহে গ্রামে চারজনকে মারধর করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের দু’টো গাড়ি পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ (Police) সেখানে গিয়ে চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। ফলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের ডিএসপির নেতৃত্বে একটা টিম সেখানে ফের যায়। বড় বাহিনী পাঠানো হয়। পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে আমরা মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা হেফাজতে নিতে চাই তাদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagda: নাইনএমএম পিস্তল হাতে তৃণমূল কর্মী? ছবি ফাঁস করে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

    Bagda: নাইনএমএম পিস্তল হাতে তৃণমূল কর্মী? ছবি ফাঁস করে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইনএমএম পিস্তল হাতে এক যুবকের ছবি আনল বিজেপি। বাগদায় (Bagda) উপনির্বাচনের দিনে কার্যত এই তৃণমূল (TMC) নেতা বন্দুক হাতে নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছেন। যদিও এই মারাত্মক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে এই ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

    কেন পুলিশ গ্রেফতার করেনি (Bagda)?

    গত বুধবার ১০ জুলাই, বাগদা (Bagda) উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল। এই দিনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে উঠেছিল। বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেছেন, “পিস্তল হাতে এই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী। এই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছিল। ১৮৬, ১৮৭, ১৮৮ এবং মালিপোঁতা পঞ্চায়েতে হামলা হয়েছে। এই লোকটি পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে। আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি? পুলিশকে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি।” আবার বিজেপি নেতা রাহুল সিন্‌হা বলেছেন, “তৃণমূল নেতারা আইনের কথা বলে দুষ্কৃতীদের উস্কানি দিচ্ছেন। দোষীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে শাসক দল।”

    সরকারি রিভলভার কীভাবে বাইর পৌঁছচ্ছে?

    অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, “এই পিস্তল (Bagda) কারা বিক্রি করছে, আর কারাই বা বাইরে সরবরাহ করেছে, তা নম্বর দেখেই খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই সব বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত না হলে আগামীদিনে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা নেবে। সরকারি রিভলভার কীভাবে বাইরে পৌঁছচ্ছে?”

    আরও পড়ুনঃ সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হয়েছে

    তৃণমূলের জেলা (Bagda) সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “এই নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। আমরা বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী হব বলে, বিজেপি কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি সমাজ বিরোধীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। দুই একজন সমাজ বিরোধীদের ছবি প্রকাশ করে কার্যত নিজেদের মুখ ঢাকতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই ভাবে কাজ হবে না। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন।” আবার তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “ভোটের দিনে এমন ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছিল? নির্বাচন কমিশনই কোথায় ছিল? দেবদাসবাবু কেন বাহিনীকে ডেকে ধরিয়ে দিলেন না।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    Sikkim: সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম (Sikkim) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল, সড়ক পথ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি চলেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National highway 10)। ইতিমধ্যে কালিম্পং, সিকিম যেতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসার উপর। যদিও মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কালিম্পং জেলা প্রশাসনের বক্তব্য(Sikkim)

    কালিম্পং জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত এই রাস্তা বন্ধ থাকবে। পূর্ত দফতর এই সড়কের মেরামতি করবে। বিকল্প পথ হিসেবে মনসং হয়ে রংপো লাভা রোড খোলা থাকছে। সেখান দিয়েই চলাচল করছে গাড়ি। লাভা হয়ে কালিম্পং শিলিগুড়ির রাস্তায় খোলা থাকছে। যদিও এতদিন আলগাড়া লাভা হয়ে ঘুরপথে সিকিমে (Sikkim) যাওয়া হচ্ছিল। এই পথ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সিকিম সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    তিস্তার একাংশ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে

    টানা ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামতে শুরু করেছে। শ্বেতী ঝোড়া থেকে চিত্রে, সেলফি দাড়ার কাছে বিশাল ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু দার্জিলিং থেকে সিকিম (Sikkim) যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে। আবার পাবনু হয়ে কালিম্পং, শিলিগুড়ির রাস্তা খোলা আছে। এই পথে পৌঁছানো যাবে সিকিম। তবে যেতে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। এই ভূমি ধসের ফলে এখন কবে ১০ নম্বর সড়ক (National highway 10) খোলে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিস্তার একাংশ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। সেবক থেকে তিস্তাবাজার যাওয়ার পথে বেশ কিছু এলাকার জাতীয় সড়কের অংশ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    এদিকে আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের পাঁচ জেলায় হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নদীগুলির জলস্তর যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিচু জায়গাগুলি ইতি মধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ছেলে। একজন দুর্গাপুর (Durgapur) ইস্পাত কারখানার কর্মী। বাকি দুজন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তা সত্বেও আশি বছরের বৃদ্ধ বাবাকে খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে ডিএসপির (DSP) পরিত্যক্ত আবাসনে। তাঁকে জল দেওয়ার কেউ নেই। শুক্রবার চরম অমানবিক ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের জয়দেব এলাকায়।

    পরিত্যক্ত আবাসনে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীরা থ! (Durgapur)

    শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত কি না তা দেখার জন্য সার্ভে করছিলেন। হঠাৎ তাঁরা ডিএসপি’র (Durgapur) একটি পরিত্যক্ত আবাসনের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, একটি ভাঙা খাটে হাত, পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের নাম মাগারাম ঘোষ। তিনি অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাগারাম ঘোষের হাত-পায়ের দড়ি খুলে তাঁকে নিয়ে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গুণধর ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক। পরিত্যক্ত ঘরের ভিতেরে বৃদ্ধকে অসহায়র মতো দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন গুণধর ছেলে?

    বড় ছেলে দয়াময় অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাবা বরাবর এখানেই থাকতেন। সেই জন্য এখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। বাবা অসুস্থ। যাতে বিছানা থেকে তিনি না পড়ে যান, সেই জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আমি নিয়মিত আসি। বাবার দেখভাল করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই বাবার আবাসন (DSP) ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবাকে দখল করা আবাসনে রাখা হয়েছে। অমানবিক কিছু ঘটেনি।”

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?

    প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত বলেন,”এমন নির্মম ঘটনা আগে কোনওদিন দেখিনি। মাগারামবাবু এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু, তাঁর ছেলেরা যে এরকম করতে পারেন তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব। এই ধরণের ঘটনা যাতে সমাজে না ঘটে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক ঘটনায় মুখ পুড়ছে রাজ্য পুলিশ- প্রশাসনের। ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যু (Dholahat Death Case) ঘিরে এমনিতেই অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন (Calcutta HighCourt) ‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার শর্ত’ হিসেবেও পুলিশের বিরুদ্ধে পৌনে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করল মৃত যুবকের পরিবার। 

    আগে কী ঘটেছিল? (Dholahat Death Case)   

    ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। ওইদিন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর আবু সিদ্দিক হালদার (২২) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। আর সেখানেই গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ঠিক কী অভিযোগ মৃতের পরিবারের? 

    মৃতের পরিবারের দাবি, ঢোলাহাট থানার আইসি ওই যুবককে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্য পৌনে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। থানায় আবুকে বেদম মারধরের পাশাপাশি বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল বলেও তাদের অভিযোগ। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, ৪ জুলাই জামিন পাওয়ার পরে আবুর শরীরে আঘাতের দাগ ছিল। বাড়ি ফেরার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মারা যান (Dholahat Death Case) আবু।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভারতীয় পরিচারিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত পাকিস্তানি কুক 

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এ দিন কোর্টে (Calcutta HighCourt) পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা (Dholahat Death Case) আড়াল করার অভিযোগও করেছেন আবুর পরিবারের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ আবুর দেহের ময়নাতদন্তের কথা পরিবারকে জানায়নি। ডাক্তারের রিপোর্টও দেওয়া হয়নি। কেন এই ‘অতি সক্রিয়তা’, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, জন্ডিস এবং রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের উচ্চমাত্রাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share