Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তৃণমূল নেত্রীকে তুলোধনা করলেন। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও কড়া করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Saumitra Khan)

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে বিএসএফকে সতর্ক করা হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করা হোক। যাতে একটাও রোহিঙ্গাও ঢুকতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরি করবেন, ২১ জুলাই তিনি এই বার্তা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভারতের গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে পড়বে। ভারতবর্ষ কোনও পান্থশালা নয়, যে কেউ আসবে খাবে আর চলে যাবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের কোনও মতে প্রবেশ করতেআমরা দেব না। সেজন্য আমরা প্রাণ দিতে রাজি আছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখব যে অবিলম্বে সীমান্তে পাহারার কড়াকড়ি করা হোক। নইলে ভারতবর্ষের বড়ই বিপদ।”

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    রবিবার ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করল বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া ফিরলেন দেশে

    Bangladesh Protest: পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া ফিরলেন দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সারা বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) এখন অগ্নিগর্ভ। সেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরে আসছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে আসছেন। আবার একই ভাবে নেপাল, ভুটান এবং মলদ্বীপের পড়ুয়ারাও সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে তারপর নিজের দেশে ফিরছেন। পড়ুয়াদের নিরাপদে নিজের দেশে ফিরতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফ (BSF)।

    দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১২০৮ জন পড়ুয়া ঢুকেছে (Bangladesh Protest)

    ভারতের বিএসএফ সূত্রে বলা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল, ঘোজাডাঙা, নদিয়ার গেদে এবং মালদার মহদিপুর বর্ডারে বিশেষ হেল্প লাইন খোলা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত এই চারটি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ সহযোগিতা করে প্রায় ১২০৮ জন পড়ুয়াকে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ঢুকতে সহযোগিতা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০৪৫ জন ভারতীয়, ১৫২ জন নেপালি, ৮ জন ভুটানি এবং ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের হিলি, চ্যাংরাবান্ধা, ফুলবাড়ি দিয়ে অনেকই প্রবেশ করেছেন। কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে রবিবার ৪৪১ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৪৩ জন ভারতীয়, ১৭৩ জন নেপাল, ২৫ জন ভুটান এবং একজন মলদ্বীপের ছাত্র। আবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। এই দলে উত্তর প্রদেশের ১ জন, নেপালের ১০ জন এবং ভুটানের ৩ জন পড়ুয়া রয়েছেন। একই ভাবে অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভুটান এবং নেপালের অনুরোধ এই দুটি দেশের পড়ুয়াদেরও ভারতে আসতে সাহায্য করা হচ্ছে।”

    বিএসএফ আধিকারিকের বক্তব্য

    বিএসএফের (BSF) দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তের ডিআইজি এ কে আর্য বলেছেন, “বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে পড়ুয়াদের নিরাপদে ভারতে ফেরাতে আমরা অত্যন্ত সচেতন। বিজিপির সঙ্গে আমরা সবসময় যোগাযোগ রেখে চলেছি। রাতের বেলাতেও যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। বর্ডারে বিশেষ হেল্প ডেস্ক সহ, মেডিক্যাল সুবিধার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    পড়ুয়াদের বক্তব্য

    ঢাকা থেকে ২০জনের একটি ভারতীয় পড়ুয়াদের দল দেশে ফিরেছেন। এই দলের মধ্যে গুজরাট এবং কাশ্মীরের বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁরা সকলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। এক ছাত্র ফাইজা বলেছেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) কার্ফু চলছে। তাই দেশে ফিরে এলাম। নিজেদের অত্যন্ত সুরক্ষিত মনে করছি।” একই ভাবে রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ সহ বগুড়া, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জায়গার ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ারা দেশে ফিরছেন। ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়েও অনেক পড়ুয়াকে ভারতে ফেরাতে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে সীমান্ত সুরক্ষা বল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: উত্তর ও দক্ষিণে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোথায় কবে ভারী বৃষ্টি? দেখে নিন একনজরে…

    West Bengal Weather: উত্তর ও দক্ষিণে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোথায় কবে ভারী বৃষ্টি? দেখে নিন একনজরে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায়। বিক্ষিপ্ত থেকে ভারী বৃষ্টির (West Bengal Weather) পূর্বাভাস রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিন সমুদ্র উত্তাল থাকবে।

    দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি (Rainfall Update)

    সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবারও বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rainfall Update) রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

    বৃষ্টির ঘাটতি দক্ষিণবঙ্গে (West Bengal Weather)

    সোমবার কলকাতা শহরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকে আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এই বর্ষায় এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এ বছর (West Bengal Weather) বর্ষার শুরুই হয়েছিল উত্তরবঙ্গ থেকে। মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার পর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদী ফুঁসতে শুরু করেছে। সোমবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলা কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে।

    আরও পড়ুন: নামখানায় ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের, ত্রিপল খাটিয়ে চলছে ক্লাস!

    প্রসঙ্গত জুন মাসের মত জুলাই মাসেও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পরিসংখ্যান বলছে, সামগ্রিকভাবে ৪৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে এখন পর্যন্ত। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হলেও জুলাই মাসে (Rainfall Update) এই ঘাটতি পূরণ হবে না বলেই মত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের দিন যেখানে শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই একাধিক জায়গায় ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল। কোথাও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভোজপুরি গানের সঙ্গে অশ্লীল নাচ করতে দেখা গিয়েছে। আবার কোথাও মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন করেছেন শাসক দলের কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনে এই ধরনের ঘটনা প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) সঙ্গে কয়েকশো যোজন পার্থক্য এদিনের একুশের জুলাইয়ের।

    উৎসবের মেজাজে তৃণমূল কর্মীরা, আসরে মদের ফোয়ারা (TMC 21 July)

    রবিবারের সকালে ধর্মতলায় শহিদ (TMC 21 July) সমাবেশে যোগদান করতে সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। হাওড়া ব্রিজ, ফেরিঘাট, হাওড়া (Howrah) স্টেশন, এমনকী দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজট ছিল। বেলা গড়াতে ভিড় বাড়তে থাকে এতটাই যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকেই অনেকে গাড়ি ঘোরাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরে যান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর ধর্মতলা পৌঁছতে পারবেন না। ফলে, মন খারাপ হয় অনেক কর্মীদেরই। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাস রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস ট্রার্মিনালে। সেখানেই দুপুরের খাওয়ার জন্য রান্না-বান্না করতে হয়। সেখানেই দেখা গেল, উৎসবের মেজাজে আসরে মাংস-মদের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন অনেকে। কেউ গাড়ির নিচে বসে, কেউ আবার প্রকাশ্যে বসে মদ্যপান করছেন। অথচ তাঁরাই নাকি শহিদ তর্পণে বেরিয়েছিলেন। নেশায় বুঁদ হয়ে অনেকে আবার কথাও বলতে পারছেন না।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

     হাও়ড়ার (Howrah) সাঁতরাগাছি ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কর্মীদের চটুল নাচ করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তাপস মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর। তাঁর বাড়ি মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারি বাগান এলাকায়। পরিবারের  দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (South 24 Parganas) সামনে ওই বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁর বাড়ির লোককে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০২৩ সালে দোলের দিনেও তাপসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি (BJP) করে বলেই তৃণমূলের লোকজনরা তাকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে থানায় তখন অভিযোগ করা হয়েছিল। তাতে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও তৃণমূলের লোকজনই তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। ইতিমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরাও তদন্ত শুরু করে মৃত্যুর সঠিক কারণের সন্ধানে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের বক্তব্য,  এর আগেও তৃণমূল ওর ওপর হামলা করেছিল। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পুলিশ দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সেই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের (BJP Criticize Mamata)। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাদেশিদের (Unrest Bangladesh) রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করল বিজেপি।

    মমতার মন্তব্যের সমালোচনা মালব্যের

    বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে ফেরাবেন না, রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। গত কয়েক দিনে সেই আন্দোলনে (Unrest Bangladesh) হিংসা ছড়িয়েছে। মমতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির (BJP Criticize Mamata) তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর প্রশ্ন, মমতাকে সেই অধিকারটা কে দিয়েছেন? কোনও রাজ্যের হাতে নাগরিকত্ব বা অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও ক্ষমতা নেই। পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। সেইসঙ্গে মালব্য অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা লোকজনদের নিজেদের রাজ্যে ঠাঁই দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা। মালব্যের কথায়, ‘বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার যে ভয়ংকর পরিকল্পনা আছে, তার একটা অংশ হল এই বিষয়টি, যাতে ওরা নির্বাচনে জিততে পারে।’

    মমতার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কেন্দ্র

    মমতার এই মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (BJP Criticize Mamata)। সরাসরি কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি জারি না করা হলেও মমতার কথায় মোদি, জয়শংকররা যে প্রসন্ন হননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এক্তিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ আর মমতার কথায় যে কোনও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ চলছে, তা নেহাতই সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Traders Strike: রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আলু ব্যবসায়ীদের, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা!

    Potato Traders Strike: রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আলু ব্যবসায়ীদের, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই আলুর যা দাম তাতে নাভিশ্বাস অবস্থা রাজ্যবাসীর। গত কয়েকদিন ধরে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। এই আবহের মধ্যে এবার সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে ব্যবসা বনধের (Potato Traders Strike) ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২২ জুলাই সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আলু ব্যবসায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Potato Traders Strike)

    পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ প্রতিহার বলেন, শনিবার রাত থেকে আলু হিমঘর থেকে বের করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও আলু ইতিমধ্যেই হিমঘর থেকে বের হতে থাকে, অথচ লোড করা হয়নি তা রবিবারের মধ্যে লোড করে বেরিয়ে যেতে হবে। সোমবার থেকে গাড়িতে কোনও আলু লোড করাও যাবে না। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, আলুবোঝাই গাড়ি অন্য রাজ্যে যেতে দিচ্ছে না প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন সীমানায় আটকে রয়েছে গাড়ি। সরকারিভাবে কেউ দায় স্বীকার করছে না। এর প্রতিবাদে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ২২ জুলাই থেকে এই আলু ধর্মঘট (Potato Traders Strike) ডাকা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেই আমরা ধর্মঘট করব।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা

    ধর্মঘটের কারণে আলুর দাম (Potato Price) নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে এক লাফে অনেকটাই। এমনকী রাজ্য সরকার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে টাস্ক ফোর্স নামিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও দাম খুব একটা নামেনি। আলু ব্যবসায়ী সমিতির এই সিদ্ধান্তের জেরে ফের বাজারে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে ফের আলুর দাম (Potato Price) বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি খোলা বাজারে আলুর দাম কমানোর জন্যও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তার জেরেই কি আলু ব্যবসায়ীদের এই পদক্ষেপ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! সরকারি জমিতে রমরমিয়ে চলছে তৃণমূলের পার্টি অফিস

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! সরকারি জমিতে রমরমিয়ে চলছে তৃণমূলের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ কি আদৌ মানা হচ্ছে। অন্তত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জেলা সদর বারাসতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছবিটা তা বলছে না। পুর প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ধরে সরকারি জমিতে শাসক দলের কার্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস রমরমিয়ে চলছে। সঙ্গে রয়েছে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লকের পার্টি অফিসও।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন? (North 24 Parganas)

    সরকারি জমি জবর দখল করে যে সব দোকান গজিয়ে উঠেছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু, শাসক দলের কার্যালয় উচ্ছেদ করার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শ্রমিক সংগঠনের বারাসত (North 24 Parganas) জেলার সহ- সভাপতি অতনু ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সেই নির্দেশ মেনে চলা। আর পার্টি অফিসটি তৈরির একটা ইতিহাস রয়েছে। ওখানে কাউন্সিলরদের বসার কোনও জায়গা ছিল না। আমিই উদ্যোগ নিয়ে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীকালে ওখানে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস তৈরি হয়। যেটা পুরসভার জমিতে রয়েছে। তৃণমূল কার্যালয় হলেও ওই অফিস থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কী বক্তব্য?

    ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা (North 24 Parganas) সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের পার্টি অফিস চালু করেছি। পুর আইন অনুযায়ী কোনও জায়গায় ছাদ দিতে গেলে পুরসভার অনুমতি লাগে। কিন্তু, শেডের ক্ষেত্রে লাগে না। ওখানে যতগুলি পার্টি অফিস রয়েছে, কারও চালে ছাদ নেই শেড রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরসভা কিংবা সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা তো সকলকেই মানতে হবে। আলোচনা করতে চাইলে আমরা তাতে সহযোগিতা করব। তবে, তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি রেখে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙা চলবে। ভাঙলে সবার ভাঙতে হবে। একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের গলাতেও। তিনি বলেন, সরকারি কিংবা অন্য কারও জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অনুমোদন দেয় না পার্টি। যদি কোথাও এরকম হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  South 24 Parganas: নামখানায় ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের, ত্রিপল খাটিয়ে চলছে ক্লাস!

     South 24 Parganas: নামখানায় ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের, ত্রিপল খাটিয়ে চলছে ক্লাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমফানের পর থেকেই ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের। প্রথমে স্থানীয় একটি মন্দিরে ক্লাস শুরু হলেও রান্নার অসুবিধার কারণে মাঠের একধারে ত্রিপল খাটিয়ে চলছে বাচ্চাদের ক্লাস। প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর হয়ে গেল, এই ভাবেই চলছে আইসিডিএস সেন্টার। পাশেই খোলা আকাশের নিচে চলছে মিড ডে মিলের রান্নার কাজ। এমনই ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পশ্চিম আমানাবতী এলাকায়। এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ৪০ জন পড়ুয়া ক্লাস করে ত্রিপলের নিচে (South 24 Parganas)!

    ১৩৬ নম্বর ঠাকুরচাঁদ (South 24 Parganas) আইসিডিএস সেন্টারের আনুমানিক ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। কিন্তু আমফানের সময় স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে অস্থায়ীভাবে স্কুলটি চললেও বাড়িটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলটি। তারপর স্থানীয় মন্দিরেই শুরু হয় স্কুল। কিন্তু সেখানেও রান্নাবান্নার অসুবিধার কারণে এলাকার মানুষজন অগত্যা মাঠের একধারে নিজেদের উদ্যোগে ত্রিপল খাটিয়ে শুরু করে স্কুলটি। রাজ্যে গত প্রায় ১৩ বছরের মা মাটি সরকারের উন্নয়নের প্রভাব কেন পড়ল না এই গ্রামে, এই প্রশ্নই এখন এলাকাবাসীর মনে।

    নিয়মিত শিক্ষকরা আসেন না

    তবে বেশিরভাগ দিনেই স্কুলের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। বিষয়টি নিয়ে বারবার জানানো হয়েচে প্রশাসন (South 24 Parganas) থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও। কোনও লাভ হয়নি। অগত্যা মন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা পরিদর্শনও করলেও আশ্বাসই সার কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। দিনের পর দিন এই ভাবেই ঝড়, বৃষ্টি, গরমকে উপেক্ষা করে ত্রিপল খাটিয়েই চলছে খোলা আকাশের নিচে স্কুল।

    আইসিডিএস কর্মীর বক্তব্য

    তবে এই অসুবিধার কথা ওই আইসিডিএস সেন্টারের (South 24 Parganas) এক কর্মী রানী স্বীকার করেছেন। রান্নার গুণগত মান নিয়েও এলাকার মানুষেরা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “রান্নার সামগ্রী যা আসে, তেমন ভাবেই রান্না হয়। প্রশাসনকে নজর দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র! ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    বিজেপি-তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে স্থানীয় (South 24 Parganas) বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে বারে বারে জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিন্তু তাঁরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।” আবার নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি বলেছেন, “নির্দিষ্ট ওই আইসিডিএস সেন্টারটির জন্য একজন জায়গা দিচ্ছেন না, ফলে জায়গার অভাবে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সমাধান করার। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে আর কতদিন এইভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে হবে ওই এই সমস্ত শিশুদের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল নেতার সামনেই সালিশি সভায় খুন, জখম তিন, শোরগোল

    Howrah: তৃণমূল নেতার সামনেই সালিশি সভায় খুন, জখম তিন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই জামালউদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরে জমি নিয়ে চলা বিবাদ মেটাতে শনিবার রাতে গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। সেই সভাতেই হল রক্তারক্তি। খুন হলেন এক জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জিয়াউল খান। জখম হয়েছেন তিন জন। আর এই সালিশি সভাতেও নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress)। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শ্যামপুর (Howrah) থানার বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাবাড় গ্রামে একটি সালিশি সভা বসেছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) সাইফুল খানের নেতৃত্বে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। মূলত, দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সালা করতে ডাকা হয়েছিল সেই সভা। কিন্তু, সেই সালিশি সভার মাঝপথে শুরু হয় হট্টগোল। জিয়াউল খান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজা খানের পরিবারের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মধ্যে আচমকা ছুরি বার করেন রাজা। তা দিয়ে জিয়াউলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন তিনি। সালিশি সভার মধ্যেই মৃত্যু হয় জিয়াউলের। জখম হন আরও তিন জন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। বর্তমানে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। মৃতের পরিবারের লোকজন বলেন, অনেক রাত পর্যন্ত সভা হয়েছিল। বাদানুবাদ হয়। তখন হঠাৎই ছুরি নিয়ে রাজা জিয়াউলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি কোপে জিয়াউলের মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। সেখানেই গন্ডগোল বাধে। একজনের মৃত্যু হয়। তিনজন জখম হন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share