Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bnakura: ‘বাদামবীজ পাচার!’ বাঁকুড়ার পঞ্চায়েত অফিসে বিরাট দুর্নীতি, ভিডিও প্রকাশ শুভেন্দুর

    Bnakura: ‘বাদামবীজ পাচার!’ বাঁকুড়ার পঞ্চায়েত অফিসে বিরাট দুর্নীতি, ভিডিও প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস থেকে রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছে বাদামবীজ। যে বাদামবীজ এলাকার গরিব চাষিদের পাওয়ার কথা, সেই বীজ কার্যত অন্যত্র চুরি হচ্ছে। ঠিক এমন অভিযোগ এনে প্রমাণ সহ একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মূলত অভিযোগ বাঁকুড়া (Bnakura) মেলাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগের পাল্টা অস্বীকার করেছে।

    শুভেন্দুর দাবি (Bnakura)

    মঙ্গলবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) একটি পোস্ট করে সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, “আত্মা প্রকল্পে এলাকার দরিদ্র কৃষকদের দেওয়ার জন্য বাঁকুড়া (Bnakura) রাইপুর ব্লকের মেলাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাদাম বীজ সরবরাহ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তৃণমূলের চোরেরা সেই বাদামবীজ চুরি করেছে।” তাঁর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অফিসের সামনে একটি ছোট ট্রাকে করে কিছু বস্তা ওঠানোর কাজ চলছে। এই ভিডিও পোস্টের পর রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুর সঙ্গে বাদামবীজ চুরির ঘটনা আরও এক চুরির সংযোজন বলে মনে করেছে বিজেপি। তাঁর এই পোস্টকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংকে ট্যাগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। বিজেপির স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দ বীজ, টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু ঘটনার কথা সামজিক মাধ্যমে জানাজানি হতেই চুরির কাজ আচমকা আটকে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ স্কুলে তৃণমূল উপপ্রধানের হামলা, চলল ভাঙচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানিও! শোরগোল

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মেলাড়া (Bnakura) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “যে বাদামবীজ চাষিদের কাছে বিতরণের জন্য এসেছে তা দ্রুত চাষিদের মধ্যে দেওয়া হবে। বিজেপি অপপ্রচার করছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” আবার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, “বাদামবীজগুলি চাষিদের মধ্যে বিতরণের জন্য পঞ্চায়েত অফিস থেকে পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই ছবি পোস্ট করেই এখন রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপির কাছে কোনও উন্নয়নের ইস্যু নেই, তাই বদনাম করার অপচেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagda: বাগদায় বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি গাড়িতে ঘুরে বিতর্কে তৃণমূল প্রার্থী

    Bagda: বাগদায় বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি গাড়িতে ঘুরে বিতর্কে তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগদা বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়িতে করে বুথে বুথে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসের গাড়ি ভাঙচুর এবং তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে এদিন দিনভর সরগরম ছিল বাগদা (Bagda) বিধানসভা এলাকা।

    বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর! (Bagda)

    জানা গিয়েছে, বাগদা (Bagda) গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৮৮ নম্বর বুথে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস। সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী বুথের সামনে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীরা “জয় বাংলা” স্লোগান দেন। একইসঙ্গে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় সাংবাদ মাধ্যমের গাড়িও। পাশপাশি, দেয়ালদহ ৮২ নম্বর বুথে উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানার পরই বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস সেখানে যান। বিজেপি প্রার্থীকে দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী বলেন, বুথ জ্যাম করে রেখেছিল তৃণমূলের লোকজন। আমি ঘটনাস্থলে যেতে ওরা আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসব করে কোনও লাভ নেই। মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    সরকারি গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থী!

    জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে তৃণমূল প্রার্থী (Bagda) মধুপর্ণা ঠাকুর তাঁর মায়ের সঙ্গে ঘুরছেন। মমতা বালা ঠাকুর ঘুরছেন তাঁর সাংসদ গাড়ি নিয়ে। গাড়িতে লেখা রয়েছে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া। এমপি। এই ধরনের লেখা একটা গাড়িতে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থী ঘুরতে পারেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও মমতা বালা ঠাকুর বলেন, এই গাড়ির নম্বর দিয়েই আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে উপ-নির্বাচনে (By-Election) পাস তুলেছি। তখন তো কমিশনের কেউ আপত্তি করেনি। আমার মেয়ে কনিষ্ঠতম একজন প্রার্থী। সেই জায়গায় মেয়েকে ‘গাইড’ করতেই পারি। তাঁকে পাশে নিয়ে গাড়িতে বেরিয়েছি। আমার মেয়ে তো এই গাড়িতে থাকতেই পারে। গাড়ি তো বুথের ভিতর ঢুকছে না। কিংবা গাড়িতে বুথে গিয়েও ভোট দিচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী সম্পর্ক থাকে?

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, “মায়ের গাড়িতে কি সন্তান ঘুরতে পারে না, এটা কি অপরাধ? বিজেপি জানে যে ওরা হেরে বসে রয়েছে। তাই এখন কাঠিবাজি করছে। নাটক করছে। প্রার্থীকে পিছনে করার ষড়যন্ত্র। মানুষ কি সরকারি দেখে ভোট (By-Election) দেবে, তৃণমূলের চিহ্ন দেখে ভোটে দেবে। যদিও বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক বিনয় বিশ্বাস বল, “নিশ্চয়ই এটা অন্যায়। জনতার মধ্যে প্রভাব ফেলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ অব্যাহত! দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া? কী জানাল হাওয়া অফিস?

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ অব্যাহত! দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া? কী জানাল হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার দুর্ভোগের (Weather Update) মুখে উত্তরবঙ্গ। বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা আরো একবার বাড়বে। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের আশঙ্কাও। 

    প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে  (Weather Update) 

    আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবারে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। এই দুই জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ মিলিমিটারের বেশি হবার আশঙ্কা। একইসঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। 
    মঙ্গলবারের পর বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা আরো একবার বাড়বে। প্রবল বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার জেলায়। কালিম্পং ও কোচবিহার জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update) উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে। বৃহস্পতিবারেও আলিপুরদুয়ারে রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। এছাড়া দার্জিলিং কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শুক্রবারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলাতে। কোচবিহার ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর সপ্তাহের শেষে শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।   

    আবারও দুর্ভোগের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে 

    একটানা বৃষ্টির ফলে চলতি সপ্তাহেই আরো একবার দুর্যোগে দুর্ভোগ (West Bengal weather) হতে পারে উত্তরবঙ্গে। পার্বত্য এলাকায় নামতে পারে ধস। বিচ্ছিন্ন হতে পারে সড়ক যোগাযোগ ও বিপর্যস্ত হতে পারে টেলি কমিউনিকেশন। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জলস্তর বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।  এছাড়াও কাঁচা বাড়ি ও কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা শস্য চাষেও।

    বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় (Weather Update) 

    তবে উত্তরবঙ্গের মত সতর্কতা জারি নেই দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ ও কাল স্ক্যাটার্ড রেইন হবে। বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বুধবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা (West Bengal weather) বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে বুধবার, ১০ জুলাই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূ্ম,‌ মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি থাকবে। 

    আরও পড়ুন: দেশের সেবায় ২ মাসে শহিদ ২ ভাই! শোকে পাথর উত্তরাখণ্ডের নেগি পরিবার

    মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থান  

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমীর, ভিলওয়াড়া, রাইসেন, রাজনন্দগাঁও হয়ে পুরী পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে এরপর ওই অক্ষরেখা দক্ষিণ পূর্ব  দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অন্যদিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্নাবর্ত (Weather Update) আপাতত পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এরপর ধীরে ধীরে এটি দক্ষিণ পশ্চিম দিক হয়ে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করবে। ফলে এর থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: স্কুলে তৃণমূল উপপ্রধানের হামলা, চলল ভাঙচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানিও! শোরগোল

    South 24 Parganas: স্কুলে তৃণমূল উপপ্রধানের হামলা, চলল ভাঙচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানিও! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা শতাধিক লোক নিয়ে স্কুলে ঢুকে তৃণমূল উপপ্রধানের হামলা! সেই সঙ্গে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। উপস্থিত মহিলাদের মারধর করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে। তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সুন্দরবনের (South 24 Parganas) ঝড়খালিতে। সোমবার রাতে এসপি অফিসে গিয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতারা। যদিও তৃণমূল নেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় (South 24 Parganas)!

    সুন্দরবনের (South 24 Parganas) ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পার্বতীপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেখানে স্কুল পরিচালনা করত। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের ভবনটি দখল করতে চান স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) উপপ্রধান। আর এই জন্য হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় নির্যাতিতা এক মহিলা বলেছেন, “আমাদের স্কুলের জন্য এই পঞ্চায়েত থেকে জমি দেওয়া হয়েছিল। অনুদানের টাকা দিয়ে আমরা স্কুল সংস্করণ শুরু করি। এই ভবনটি এবার তৃণমূলের লোকেরা দখল করতে চাইছে। রাতের বেলা একশ লোক নিয়ে দিলীপ মণ্ডল আক্রমণ করেন। তিনি এলাকার পঞ্চায়েত উপপ্রধান। স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। আমাকে সিঁড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। আমার পরনে জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। আমার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।”

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বক্তব্য

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও এক নির্যাতিতা মহিলা বলেছেন, “স্কুলে (South 24 Parganas) যাতে কেউ পড়তে না আসে তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে ভয় দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিভাবকরা স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুনঃ আরামবাগে তৃণমূলের দাদাগিরি! দলীয় কর্মীর রাস্তা তৈরি করতে পাঁচিল ভাঙলেন উপ-প্রধান

    তৃণমূল উপপ্রধানের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান (South 24 Parganas), তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছন, “ওই স্কুল থেকে সম্পত্তি নানা ভাবে পাচারের কাজ করা হতো। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হত। তাই এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপর মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল। এলাকার শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পালন করা হয়নি। সম্পূর্ণ ভাঁওতাবাজি চলছে। তাই এলাকার মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এদিন ঘটেছে।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে তৃণমূলের দাদাগিরি! দলীয় কর্মীর রাস্তা তৈরি করতে পাঁচিল ভাঙলেন উপ-প্রধান

    Arambagh: আরামবাগে তৃণমূলের দাদাগিরি! দলীয় কর্মীর রাস্তা তৈরি করতে পাঁচিল ভাঙলেন উপ-প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শাসক দলের দাদাগিরির অভিযোগ উঠল আরামবাগে (Arambagh)। এক দলীয় কর্মীর রাস্তা করে দিতে জোর করে দুই প্রতিবেশীর পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ থানার রামনগর দক্ষিণপাড়ায়। উপ-প্রধানের মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে দুই প্রতিবেশীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত দুই পরিবার। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) সালেপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর দক্ষিণপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিপদ জানা ও রবিউল হোসেনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মী সেখ লালবাবুর রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী লালবাবুর নিজস্ব রাস্তা রয়েছে। এছাড়াও তাঁর যাতায়াতের সুবিধার জন্য আরও একটি রাস্তা তৈরির প্রয়োজন হয়। এই রাস্তা তৈরির জন্য প্রতিবেশীদের পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকী লাগাতার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই মঙ্গলবার জোর করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় উপ-প্রধান সত্যজিৎ চক্রবর্তীর মদতে শাবল দিয়ে জোর করে ভেঙে দেওয়া হয় দেওয়াল। প্রতিবাদ করতে গেলে দুই প্রতিবেশীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রূপা জানা নামে এক বাসিন্দা বলেন, তৃণমূলের নেতারা জোর করে এসে আমার পাঁচিল ভেঙে দেয়। হুমকিও দিয়ে যায়। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় উপ-প্রধানের  (Trinamool Congress) মদতে এই হামলার অভিযোগ উঠলেও অভিযোগ অস্বীকার করেন সালেপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের (Arambagh) উপ-প্রধান সত্যজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রাস্তা নিয়ে একটি গন্ডগোল হয়েছে শুনেছি। তবে, আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত  তৃণমূল কর্মী সেখ লালবাবু বলেন, পঞ্চায়েত ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এসেই ভাঙচুর করেছে। আমি কোনও ভাঙচুর করিনি।

    সরব বিজেপি

    এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আরামবাগের (Arambagh) বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে দিকে দিকে এই ভাবেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: পুর-নিয়োগেও নম্বরের খেলা, শূন্য পেয়েও চাকরি, দাবি সিবিআইয়ের

    Municipal Recruitment Scam: পুর-নিয়োগেও নম্বরের খেলা, শূন্য পেয়েও চাকরি, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগের (Municipal Recruitment Scam) ক্ষেত্রেও হয়েছে নম্বরের খেলা। দক্ষিণ দমদমে ২৭ জন চাকরি প্রার্থীর একই নম্বর, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের (CBI) । মোট ২৯ জনের চাকরির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার অফিস থেকে উদ্ধার করা একটি ফাইল অনুযায়ী ২৯ জনের মজদুর পদে চাকরি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জনেরই প্রাপ্ত নম্বর এক। পিয়ন পদে চাকরির ক্ষেত্রে দুজনের নম্বর এক। প্রসঙ্গত ওই ফাইল অনুযায়ী ২৯ জনের প্রাপ্ত নম্বর যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে কত নম্বরের ভিত্তিতে যারা চাকরি পেয়েছেন তার মধ্যে কোন মিল নেই। অর্থাৎ যেমন তেমন ভাবে সুপারিশ হওয়া প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করাই ছিল পুরসভার উদ্দেশ্য এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে।  

    নম্বরে গরমিল, তবু চাকরি (Municipal Recruitment Scam)

    তদন্তে নেমে ডিরেক্টরট অফ লোকাল বডির দফতরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে রয়েছে এই ডিএলবি, যেখানে সিবিআই বেশ কিছু ফাইল খুঁজে পায়। ওই ফাইলে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় (Municipal Recruitment Scam) চাকরি পাওয়া ২৯ জনের মধ্যে ৫ জনের নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরে তথ্য মিল রয়েছে। বাকিদের মিল নেই। ওই ফাইলে দেখা গিয়েছে, ২৯ জনের মধ্যে ৫ জনের নম্বরের মিল রয়েছে। বাকিদের নম্বর আলাদা। একজন ৩৯, একজন ৪৪, একজন ৪৩, একজন ৪২ এবং একজন ৩৪ নম্বর পেয়েছেন। সংস্থার দাবি এই নম্বর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের যোগফল।

    চার্জশিটে অয়ন শীল

    ১ জুলাই আলিপুর আদালতে এসএসসি’র নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিটে সিবিআই অয়ন শীলের নাম উল্লেখ করে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল। পরে পুরনিয়োগ দুর্নীতির (Municipal Recruitment Scam) মামলা প্রকাশ্যে আসে। তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে জানা যায় পুর-নিয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বে ছিল তাঁর সংস্থার। চলতি বছর এপ্রিলে তাঁকে হেফাজতে নেয় সেন্ট্রাল বিউরো অফ ইনভেস্টিগেশন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা বহু প্রার্থীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৭টি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি হয়েছে বলে সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    সিবিআই জানিয়েছে, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁরা ৪২ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই নথির বিষয়ে বিশদে জানতে অয়ন শীলকে ফের জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। ১,৮২৯ জনের চাকরি হয়েছিল অয়নশীলের সংস্থার মাধ্যমে এবং এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি।

    শূন্য নম্বর পেয়েও চাকরি

    এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতির তদন্ত নেমে সিবিআই ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে কয়েকজন প্রার্থী ওএমআরে শূন্য নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়েছে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির (Municipal Recruitment Scam)  তদন্ত নেমে সিবিআইয়ের দাবি, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় কয়েকজন চাকরি পেয়েছেন ৫৫ নম্বর পেয়ে। কিন্তু অন্য ফাইল বলছে তাঁরা আরও কম নম্বর পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত নম্বর দেখিয়ে তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB By-Election: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    WB By-Election: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন (WB By-Election)। মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা ও রায়গঞ্জ। এই চার কেন্দ্রে অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ তো থাকছেই পাশাপাশি এই ভোটেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চার কেন্দ্রের জন্য মোট ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করেছে কমিশন। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গ্রহণ। এরমধ্যে রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলল গুলি। সন্ত্রাস চালাতে মঙ্গলবার গভীর রাতে বিজেপি কর্মীদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আর এই হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর (WB By-Election)

    জানা গিয়েছে, রানাঘাটের (WB By-Election) প্রীতিনগর এলাকায় রাতের অন্ধকারে একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কাচের বোতলের আঘাতে জখম হন একাধিক মহিলা। ভোট দিতে গেলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে এবারের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে আশা মুকুটমণি অধিকারী। তিনি রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই কারণে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে বুধবার উপ-নির্বাচন চলছে। আর এই উপ-নির্বাচনের আগের দিন গভীর রাতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশিতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রীতিনগর এলাকার বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “রাতে আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ির মহিলারা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে। বাড়ির মহিলাদের কাছে  আমাদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।” খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে রানাঘাট থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, যেহেতু এই এলাকায় শাসক দলের সংগঠন অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেই কারণে সন্ত্রাস চালাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

    বিজেপি এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুর, চলল গুলি

    রানাঘাট থানার (WB By-Election) পূর্ণনগরে বিজেপি এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুর এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, “মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে বাড়ির একাংশ। পাশাপাশি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়।” বুধবার বেলা বাড়তেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আসেন রানাঘাট (Ranaghat) পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা কথাও বলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় সালিশি সভার নামে ব্যবসায়ীকে মারধর, বাড়ি লুট, অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান

    Howrah: হাওড়ায় সালিশি সভার নামে ব্যবসায়ীকে মারধর, বাড়ি লুট, অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ মেটাতে সালিশি সভা (Trinamool kangaroo court meeting)। আর সেই সভা থেকে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তাণ্ডব, লুটপাট কোনও কিছুই বাদ গেল না। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া (Howrah) জেলার সাঁকরাইলের কান্দুয়াতে। চোপড়ার মত এই সালিশি সভাতেও কাঠগড়ায় রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযুক্ত হিসেবে নাম আসছে পাঁচলার জুজুর সাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের। তাঁরই নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাণ্ডবের সময় আলমারি ভেঙে নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করা হয়। এর পাশাপাশি সোনার গয়না, দামি মোবাইল সেটও লুট হয়। তবে কাউকে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, শাসক দলের নেতা হওয়ার জন্যই কি অভিযুক্তদের গায়ে হাত দিতে পারছে না পুলিশ?

    ঘটনার বিবরণ (Howrah)

    জানা গিয়েছে, পাঁচলার এক ব্যবসায়ীর নাম শাহাবুদ্দিন সেপাই। তাঁরই মেয়ের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য (Trinamool kangaroo court meeting) হয় শাহাবুদ্দিনের। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। অভিযোগ ঠিক সেই সময়ে পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Howrah) উপপ্রধান খলিল আহমদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবকের একটি দল আসে। আলোচনার মাঝে শাহাবুদ্দিনকে ব্যাপক (Howrah) গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। এরপরে ফের একবার খলিল ফোন করে তাঁর দলকে ডাকেন। ৫০টি বাইক ও দুটি ম্যাটাডোরে করে দেড়শোর ওপর ছেলে সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁদের অধিকাংশ জনের হাতে ছিল লাঠি, রড ছুরি ভোজালি। তখন কোনওভাবে শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় না, খলিলের দলবল শাহবুদ্দিনের পিছু নেয়। বেশ কিছুটা দূরে শাহাবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়িতে তিনি লুকিয়ে পড়েন। এই সময় শাহবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় খলিলের দল।

    আক্রান্ত শাহাবুদ্দিনের বক্তব্য

    শাহাবুদ্দিনের বক্তব্য, “আমার মেয়ের এক জায়গায় পাকা দেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার স্ত্রীয়ের এক আত্মীয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গেই মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় আমার স্ত্রী। তারপর ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এরপর আমাকে ওদের তরফেই বলা হয়  সভা হবে। বাড়ির লোক কথা বলবে। তাই একাই গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখি খলিলের দল এসেছে। তারপর তো এই কাণ্ড।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি (Howrah)। তবে খলিল আহমেদের নামে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূলের সন্ত্রাস, চাষ করতে পারছেন না বিজেপি কর্মীরা, পুলিশের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির

    Birbhum: তৃণমূলের সন্ত্রাস, চাষ করতে পারছেন না বিজেপি কর্মীরা, পুলিশের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না বিজেপি কর্মীদের। জেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষ করতে পারছেন না তাঁরা। গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের চাষের ওপর ফতোয়া জারি করেছে শাসক দল। এমনই অভিযোগ করে জেলার (Birbhum) পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা।  প্রসঙ্গত, এদিন লম্বোদর দাস, দামোদর পাল নামের জনৈক বিজেপি (BJP) কর্মীরা এই অভিযোগ দায়ের করেন। প্রত্যেকেই গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেন নিজেদের অভিযোগে।

    সিউড়ি-২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে সন্ত্রাস (Birbhum)

    আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিজেপির বীরভূম (Birbhum) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনের পর থেকেই সিউড়ি-২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে সন্ত্রাস চলাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না। চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের, ট্রাক্টর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না বিজেপি কর্মীদের। তাঁরা যাতে নিরাপদে তাঁদের বাড়িতে থাকতে পারে এবং চাষ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।’’

    বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করছে পুলিশ

    একই সঙ্গে ধ্রুব সাহার দাবির, ‘‘মল্লারপুরের (Birbhum) পাথাই গ্রামে পুলিশকে মারধরের ঘটনার পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করার হুমকি দিচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা।’’ এই ঘটনাতেও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ধ্রুব সাহা অভিযোগ করেছেন, ‘‘মাস কয়েক আগে এখানে পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের ধরতে না পেরে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করছে, বাড়িতে থাকতে পারছেন না গ্রামের মানুষেরা। সিভিক ভলেন্টিয়াররা বাড়িতে গিয়ে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বাড়ি ভাঙচুর করার, লুটপাট করে নেওয়ার।’’ পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত দোষী, যাঁরা পুলিশকে মারধর করেছেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করুক পুলিশ। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TET Recruitment Case: সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে টেটের উধাও ওএমআর তথ্য উদ্ধারে সিবিআই হানা

    TET Recruitment Case: সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে টেটের উধাও ওএমআর তথ্য উদ্ধারে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি। ২০১৪ সালে হওয়া রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের পরীক্ষায় (TET Recruitment Case) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)। বার বার প্রশ্ন উঠেছে, ওই ওএমআর কোথায় উধাও হয়ে গেল? ওএমআর উদ্ধারের জন্য সম্প্রতি অন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HighCourt)। সেই নির্দেশ মেনেই এবার সিবিআই তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সঙ্গে নিল এক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এবং এক সাইবার বিশেষজ্ঞকে। 

    টেটের উধাও হওয়া ওএমআরের তথ্যের খোঁজে সিবিআই

    টেটের (TET Recruitment Case) ওএমআরের স্ক্যান করার দায়িত্ব ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির হাতে। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ৫১৮ নম্বর বাড়িতে হাজির হন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, সেখানে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কম্পিউটারে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞেরা।
    এ প্রসঙ্গে (TET Recruitment Case) সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআরের স্ক্যানিং হয়েছিল ধৃত কৌশিক মাজির নজরদারিতে। তিনি ওই সংস্থার অংশীদার। ওএমআরের সমস্ত ডেটা ছিল ওই সংস্থার হাতে। সিবিআইয়ের আরও দাবি, এই সংক্রান্ত কোনও নথি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দেওয়া হয়নি। ওই সংস্থা আসল ওএমআর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে পাঠায়নি। নিয়ম না-মেনে নথিগুলো তারা গুদামে রেখে দেয়। পরে ওজন দরে বিক্রি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘চোপড়াকাণ্ডে কী পদক্ষেপ?’ নবান্নর রিপোর্ট তলব বোসের

    হাইকোর্টে বিস্ফোরক পর্ষদ (Calcutta HighCourt)

    অন্যদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Recruitment Case) আবারও নাম জড়াল মানিক ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার ছিল ২০১৭ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে ওএমআর শিট নষ্ট করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। পর্ষদের বোর্ডের সদস্যরা এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে এদিন এমনই বিস্ফোরক দাবি করল পর্ষদ। পর্ষদের বক্তব্য, মানিক ভট্টাচার্য নিজে বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিতেন। তিনি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জানাননি। ওএমআর শিটের বিষয়ে বোর্ডের মিটিংয়ে কোনও ‘রেজলিউশন’ নেওয়া হয়নি। যা শুনে বিস্মিত হন বিচারপতি রাজা শেখর মন্থর। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে মিটিংয়ের ‘রিজলিউশন’ কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta HighCourt)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share