Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    South 24 Parganas: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরে জামালউদ্দিন সর্দারের গত চারদিন ধরে পুলিশ টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি। অবশেষে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তবে, প্রশ্ন উঠেছে গত চারদিন ধরে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে কোথায় ছিলেন জামাল? প্রসঙ্গত, বাড়িতে সালিশি সভা বসিয়ে তোলাবাজি, নৃশংস অত্যাচার করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর গ্রেফতারিতে নির্যাতিতারা বেজায় খুশি।

    গত চারদিন কোথায় ছিলেন জামাল? (South 24 Parganas)

    মঙ্গলবার ১৬ই জুলাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় দুপুরের দিকে বাড়ি ছাড়েন (South 24 Parganas) জামাল। সন্ধ্যার দিকে পাঁচিল টপকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান জামালের স্ত্রী ও ছেলে। ওইদিন ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় শ্বশুরবাড়ির কাছে কোথাও থাকার পরিকল্পনা থাকলেও পুলিশের ঘোরাঘুরির কারণে জঙ্গলের মধ্যে রাত কাটান জামাল। দিনের আলো ফুটতেই মাস্ক মুখে দিয়ে ঘুটিয়ারি ষ্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোনারপুরের ওপর দিয়েই বিধাননগর ষ্টেশনে নেমে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এক পরিচিতের কাছে যান তিনি। সেদিনটা ওখানেই ছিলেন। এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমে তাঁর খবর সম্প্রচার হওয়া দেখে মত পরিবর্তন করেন তিনি। আত্মসমর্পণের কথাও ভেবেছিলেন জামাল। এই কারণে বৄহস্পতিবার সোনারপুর থানার কাছাকাছি মিলনপল্লি এলাকায় তিনি চলেও আসেন। কিন্তু, তাঁর আইনজীবী তাঁকে আত্মসমর্পণের বিষয়ে মানা করলে ফের এলাকা ছাড়েন জামাল। এরইমধ্যে নিজের ফোন পরিবর্তন করে নতুন সিম নেন। স্ত্রী ও সন্তানের জন্য চিন্তা হচ্ছিল তাঁর। তাঁদের কোথাও একটা নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার পরিকল্পনা করেন। এই কারণে শাশুড়িকে ফোন করেন। এরপরই পুলিশের ট্র্যাকে চলে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর শ্যালককে তুলে আনে সোনারপুর থানার পুলিশ। নিজের কাছের লোককেও আর বিশ্বাস করতে পারছিলেন না জামাল। যদিও বৄহস্পতিবার রাতে ডানকুনি এলাকায় তাঁর এক পরিচিতের বাড়িতে ছিলেন তিনি।  শুক্রবার স্ত্রী ও সন্তানকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করেন। তারপর আগামী ৬ মাসের জন্য তিনি আত্মগোপন করার পরিকল্পনা করে ফেলেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    কীভাবে গ্রেফতার জামাল?

    জামাল ফেরার হওয়ার পর থেকে তাঁর বিশাল বাড়ির সামনের গেটে ঝুলছিল বড় তালা। আগের দিনই তাঁর ৫০টি সিসি ক্যামেরার ঘেরাটোপে থাকা বাড়ির (Sonarpur) সুইমিং পুলে কচ্ছপ মেলে। যা নজরে আসতেই পদক্ষেপ করতে চায় বন দফতর। কিন্তু, বৃহস্পতিবার কচ্ছপ উদ্ধার করতে গিয়েও বাড়ির গেটে তালা দেখে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় তাদের। পুলিশ জামালের মোবাইল লোকেশন ‘ট্র্যাক’ করতে শুরু করে। কিন্তু, মঙ্গলবার দুপুরের পর সেই মোবাইল ফোন ভাঙড়ের কাছে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। মাস্ক পরে থাকায় কাল হল জামালের। তাতেই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাসন্তী হাইওয়ে থেকে সোনারপুর যাওয়ার রাস্তায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    জেলা পুলিশের এক কর্তা কী বললেন?

    জামালকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম তৈরি করা হয়েছিল। সোনারপুর থানার আইসি আশিস দাসের নেতৄত্বে একটি টিম শুক্রবার সারাদিন নানান জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। তারাই শেষ পর্যন্ত জামালকে গ্রেফতার করে। জামালের গ্রেফতারির পর বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি বলেন, জামালকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তোলা না দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা, হাড়হিম করা ভিডিও ভাইরাল

    Nadia: তোলা না দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা, হাড়হিম করা ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাছের ব্যবসায়ী তোলা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। এই হাড়হিম করা ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাছ বিক্রেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আবার পিস্তল উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরও এক ব্যক্তি। ওঁই ব্যবসায়ীর পায়ে একটি গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শহরের তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি। বিজেপির অভিযোগ এই রাজ্যে তৃণমূল মস্তানতন্ত্র চলছে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

    চার রাউন্ড গুলি করে দুষ্কৃতীরা (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে এক মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ী ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর (Nadia) কোতোয়ালি থানার গোয়ারী বাজারে। নগেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা সমির ঘোষ এবং বিশ্বনাথ ঘোষ নামে দুই ভাই মাছ ব্যবসা করেন। প্রতিদিন তাঁরা কৃষ্ণনগর গোয়ারা বাজার থেকে মাছ কিনে পাত্র বাজারে বিক্রি করেন। প্রতিদিনের মতো আজ ভোররাতেও তাঁরা গোয়ারি বাজারে মাছ কিনতে যান। অভিযোগ উঠে, হঠাৎ ওই এলাকার কিছু নামজাদা তৃণমূল দুষ্কৃতী তাঁদেরকে আচমকা ঘিরে ধরে এবং টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় হঠাৎ একটি পিস্তল বের করে ওই দুই মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। প্রথমে একটি গুলি বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে লাগে। বিশ্বনাথকে বাঁচাতে গেলে সমীর ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অন্যদিকে বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে গুলি লাগার কারণে মাটিতে পড়ে যান। এরপরেই বন্দুক দিয়ে মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি এবং গুলির আওয়াজে, ওই বাজারের অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বনাথ ঘোষকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে ওই দুই মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে পুলিশ এবং ঘটনার বিবরণ শোনেন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত আটক কিংবা গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    অভিযুক্ত ২৩ নম্বর ওয়ড়াক্ট প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি

    এ বিষয়ে বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, “আমাদের অভিযুক্তদের সঙ্গে পুরনো কোনও শত্রুতা নেই। তবে যারা গুলি চালিয়েছে তারা ওই এলাকার সমাজবিরোধী হিসেব কাজ করে বেড়ায়। ওরা টাকা চেয়েছিল আমি দিতে অস্বীকার করাতেই এই আক্রমণ করেছে। আমার এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ওরা প্রায় ৪০ হাজার নগদ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।” আবার বিশ্বনাথের ভাই সমির ঘোষ বলেছেন, “সৈকত হালদার ওরফে ডাকু এই ভাবে গুলি করেছে। এলাকার মার্কামারা দুষ্কৃতী। মাত্র দুইদিন আগেই জেল থেকে ফিরছে। মদ খাওয়ার জন্য টাকা চাইছিল ওরা, কিন্তু না দেওয়ায় গুলি করে। এলাকায় তৃণমূল নেতা ডাকু, এক সময় শহরের (Nadia) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি (TMC) ছিলেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই গুলিকাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিন্‌হা বলেছেন, “এই রাজ্যে তৃণমূলের আমলে মস্তানতন্ত্র (Nadia) চলছে। সারা রাজ্যে একই বিষয় চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে মারধর!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC ) পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, “মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আমরা বিষয়টি দেখছি। এলাকায় (Nadia) ঘটনা একদম সহ্য করা যাবে না। প্রশাসনকে বলব উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta HighCourt: মিলল হাইকোর্টের অনুমতি, বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবার পথে নামছে বিজেপি

    Calcutta HighCourt: মিলল হাইকোর্টের অনুমতি, বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবার পথে নামছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপির মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HighCourt)। রাজ্যের সর্বত্র অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির অভিযোগ উঠছে। এর প্রতিবাদে মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। সেই কর্মসূচির জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি না পেয়ে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। এদিন শুনানি পর্বে, আদালত শর্ত সাপেক্ষে বিজেপিকে প্রতিবাদ মিছিলের (BJP Rally) নির্দেশ দেয়। 

    কবে, কোথায় হবে এই প্রতিবাদ মিছিল? (BJP Rally) 

    শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় কর্মসূচির দিন এবং সময় জানিয়েছে আদালত। আগামী ২৬ জুলাই কর্মসূচির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত (Calcutta HighCourt) তরফে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসির দফতর কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ধর্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুপুর ২.৩০ থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ধর্নায় বসা যাবে সেখানে। সেই সঙ্গে মিছিলও করতে পারবেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের দফতর থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

    আরও পড়ুন: মাইক্রোসফ্‌টের সমস্যায় বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ও শেয়ার বাজার

    কর্মসূচির জন্য মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত

    তবে আদালত (Calcutta HighCourt) তরফে বিজেপির এই কর্মসূচির জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচির আয়োজন করতে বলেছে আদালত। এক হাজারের বেশি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। কর্মসূচিতে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়। বিজেপির এই কর্মসূচিতে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের জন্য কলকাতার যুগ্ম সচিবকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। 
    উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। অনেকে বলছেন, গ্রীষ্মকালে সারা দিন বাতানুকূল যন্ত্র চালিয়ে রেখেও যে বিল দিতে হয়নি, তা এখন দিতে হচ্ছে। ফলে চড়া হারে বর্ধিত বিলের প্রতিবাদেই এবার পথে (BJP Rally) নামতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tet Scam: কলকাতা হাইকোর্টের দুই সিদ্ধান্তে চাপ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

    Tet Scam: কলকাতা হাইকোর্টের দুই সিদ্ধান্তে চাপ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Tet Scam) মামলায় এবার নতুন মোড়। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে জটিলতার মাঝে ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সমস্ত ডিজিটাইজড কপি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ আগস্ট। সেদিন পর্ষদকে ওএমআর শিটের কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

    ওএমআর শিট নষ্টের রহস্য (Tet Scam)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের টেটে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। টিনা মুখোপাধ্যায় নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০১৭ সালের টেটে অকৃতকার্য হওয়ার পর তিনি পর্ষদের কাছে ওএমআর শিটের কপি চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু তাঁকে আসল ওএমআর শিটের বদলে একটি ফটোকপি দেওয়া হয়। অন্যদিকে (Tet Scam) মামলার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওএমআর শিটের যে কপি দেওয়া হয়েছিল। সেটি আদৌ তাঁর ছিল না বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত এই মামলায় আগে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওএমআর শিটের সমস্ত আসল কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল রেজুলেশনের ভিত্তিতে।

    প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে (High Court)

    অন্যদিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, “চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকের দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেকেই ডিএলএড কোর্স না করেই চাকরি পেয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, পাঁচ বছরের মধ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ করিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এতদিনেও সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পর্ষদ আগ্রহ দেখায়নি।

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    পরে (Tet Scam) এ নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (High Court)। রাজ্যে কয়েক হাজার এমন প্রশিক্ষণ চাকরি প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক চাকরি করছেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনুমতি ও ব্যবস্থা ব্যবস্থা করতে হবে পর্ষদকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে মারধর!

    Ghatal: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে মারধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যের কোমরে বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তুলে নিয়ে যাওয়াই নয়, সেই সঙ্গে মারধরের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল (Ghatal) ব্লকের মনসুকা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের খড়কপুর গ্রামে। যদিও বিজেপির অভিযোগকে পাল্টা তৃণমূল অস্বীকার করেছে।

    তৃণমূলে যোগদান করার হুমকি (Ghatal)!

    খড়কপুর গ্রামের (Ghatal) পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মণ্ডল বলেছেন, “আমি আমার বাড়ির পাশের জমিতে কাজে গিয়েছিলাম। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমার কোমরে একটা বন্দুক ঠেকিয়ে খাসবাড়ের তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে যায়। এরপর পার্টি অফিসেরর মধ্যে আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে চলে লাথি, চড়, কিল, ঘুষি। অত্যাচারের পর একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর কাগজে লেখা হয় চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছি। আমাকে অন্যায় ভাবে যারা মেরেছে সেখানে তৃণমূলের ৬ জন স্থানীয় নেতা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। তাদের মধ্যে গঙ্গা কারকও ছিল। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবো। ওদের কড়া শাস্তির দাবি করি। তৃণমূলে যোগদান করার জন্যও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।” এই ঘটনার পর সেখান থেকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওই ঘাটালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ মাত্র সাত বছর বয়সেই এশিয়ার সেরা ‘ক্যারাটে কিড’ হুগলির আরাত্রিকা

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘাটাল (Ghatal) তৃণমূল নেতা বিকাশ কর বলেছেন, “এই অভিযোগের কোনও বাস্তাব ভিত্তি নেই। বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে। আমাদের পঞ্চায়েত বোর্ড ভালোভাবে কাজ করছে। একজন পঞ্চায়েত সদস্যকে জোর করে দলে নেওয়ার জন্য আমাদের অতো মাথা ব্যাথা নেই। কোনও রকম মারধর এবং অত্যচারের ঘটনাকে আমাদের দল আনুমোদন করে না। পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলব।”

    মনসুকা-১ গ্রাম (Ghatal) পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫। এখানে বিজেপি পেয়েছে ৪টি। বাকি ১১টি আসন দখল করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল যোগদান করেছেন। ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টি এবং বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karate: মাত্র সাত বছর বয়সেই এশিয়ার সেরা ‘ক্যারাটে কিড’ হুগলির আরাত্রিকা

    Karate: মাত্র সাত বছর বয়সেই এশিয়ার সেরা ‘ক্যারাটে কিড’ হুগলির আরাত্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র সাত বছর বয়সেই অসাধারণ সাফল্য, এশিয়ার সেরা ‘ক্যারাটে কিড’ হয়েছে হুগলির আরাত্রিকা চক্রবর্তী। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস ও এশিয়া বুক অব রেকর্ডস গড়েছে এই ক্ষুদে। মাত্র তিন বছর বয়সে তার ক্যারাটেতে (Karate) হাতেখড়ি হয়েছিল। তার এই কীর্তিতে পরিবার এবং জেলায় তীব্র খুশির আবহ।

    ক্যারাটেতে মিনিটে ৬৯০টি পাঞ্চ(Karate)!

    হুগলির মগরার গজঘণ্ট বকুলতলার বাসিন্দা ছোট্ট আরাত্রিকা। একই ভাবে নাচ, গান, কবিতা, আঁকা শেখার পাশাপাশি ক্যারেটেতে পারদর্শী। তার এই ক্যারাটেতে (Karate) উৎসাহ এবং আগ্রহ দেখে মা মৈত্রী এবং বাবা অভিষেক চক্রবর্তী মেয়েকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। স্থানীয় একটি ক্যারাটে ক্যাম্পে মাত্র তিন বছর বয়স থেকে ক্লাস করতে শুরু করেছিল মেয়ে। ২০২৩ সালে দুটি প্রতিযোগিতায় সোনা জয়ী হয়েছিল। তার ক্যারাটের কোচ শঙ্কর রাউত এবং সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন যে এশিয়া বুক অব রেকর্ডসের জন্য এক মিনিটে ৩৫০টি চেস্ট লেভেল পাঞ্চ করতে হয়। সেখানে আরাত্রিকা মিনিটে ৬৯০টি পাঞ্চ করে রেকর্ড গড়েছে। তার ভিডিও পাঠানো হয়েছে ইন্ডিয়া ও এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সেই ভিডিও খতিয়ে দেখে ৪৮০টি পাঞ্চ বৈধ বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে। আর এইভাবেই নতুন রেকর্ড গড়ে নজির রখেছে আরাত্রিকা। তার একসঙ্গে দুটি পুরস্কার ঝুলিতে জমা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাদের বাড়িতে এই দুই সংস্থা থেকে পুরস্কার এসে পৌঁছেছে। শংসাপত্র হাতে পেয়ে পরিবারে খুশির আবহ। মেয়ের সাফল্যে কোচ, বাবা-মা সকলেই খুব খুশি।

    আরও পড়ুনঃ নোয়াপাড়ায় তৃণমূল ছাত্রনেতার হাতে সেভেন এমএম পিস্তল! সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ছবি

    পরিবারের বক্তব্য

    আরাত্রিকার বাবা অভিষেক চক্রবর্তী মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, “আমরা আজ ভীষণ খুশি। মেয়ে এই ভাবে রেকর্ড গড়বে আমরা আশা প্রকাশ করিনি। মেয়ের আগ্রহের বিষয়ে আমরা ব্যাপক ভাবে উৎসাহ দিয়েছি। মেয়ে নিজে থেকে জানিয়েছে যে চেস্ট লেভেলে পাঞ্চ করবে। গত এপ্রিল মাসের শেষে আমরা আবেদন করি। এরপর মান্যতার জন্য গত ২৩ জুন ভিডিও পাঠাই।” মা মৈত্রী বলেছেন, “পড়াশুনার পাশাপাশি মেয়ে খেলাধূলা করতে চায়, সেটা আমরা করতে দিই। আমরা চাই ও নিজের আত্মরক্ষা করতে শিখুক। বর্তমানে মেয়ের কাছে ক্যারাটে (Karate), নাচ, আঁকা ইত্যাদি ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নোয়াপাড়ায় তৃণমূল ছাত্রনেতার হাতে সেভেন এমএম পিস্তল! সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ছবি

    Barrackpore: নোয়াপাড়ায় তৃণমূল ছাত্রনেতার হাতে সেভেন এমএম পিস্তল! সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) নেতা শুভাশিস চক্রবর্তীর পিস্তল হাতে ছবি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা মাধ্যম যাচাই করেনি। কিন্তু কীভাবে হাতে এলো এই দেশি অস্ত্র? কোন প্রভাবশালী নেতা এই যুবকের পিছনে রয়েছেন? পুলিশ কেন গ্রেফতার করেনি? একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ফলে বারাকপুরের (Barrackpore) রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

    অস্ত্র হাতে চোখেমুখে উল্লাস (Barrackpore)!

    সামজিক মাধ্যমে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে দেখা যাচ্ছে, নোয়াপাড়া (Barrackpore) বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) কনভেনার শুভাশিস চক্রবর্তী হাতে একটি দেশি সেভেন এমএম আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এই অস্ত্র হাতে নিয়ে চোখে মুখে ব্যাপক উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে তাঁর। একই ভাবে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতার সঙ্গে তাঁর ছবিও বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল দল।

    তৃণমূল করলেই অস্ত্র নেওয়ার ছাড়!

    এই বিষয় নিয়ে জেলা (Barrackpore) বিজেপি নেতৃত্বের দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। আবার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, “তৃণমূল করলেই অস্ত্র নেওয়ার ছাড় রয়েছে। তৃণমূলকে পুলিশ সব রকম বেআইনি কাজের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। এই রাজ্যে স্কুল কলেজে পড়াশুনা হয় না। এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই বললেই চলে। স্কুলে ১০০০ কোটি টাকার মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি হয়েছে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ জামাল অট্টালিকায় থাকলেও মায়ের স্থান কুঁড়ে ঘরেই! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও

    তৃণমূলের বক্তব্য সামজিক অবক্ষয়

    অপরদিকে ভাটপাড়া (Barrackpore) শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেছেন, “যদি কোনও দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে থাকে তার দায় তৃণমূল কংগ্রেস নেবেনা। আইন আইনের পথে চলবে। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলব। সবটাই সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র মাত্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের জেরে বঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি, মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা

    West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের জেরে বঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি, মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী কয়েক দিন বর্ষা হবে বঙ্গ জুড়ে। স্বস্তির বৃষ্টি বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হবে এমনটাই পূর্বানুমান আবহাওয়া দফতরের। একাধিক জেলায় (West Bengal Weather Update) দুর্যোগের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। শুক্রবার থেকে রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বৃষ্টিপাত হবে। বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়েছে নিম্নচাপ। যা উড়িষ্যার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে বঙ্গেও বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

    ২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে চিন্তা শাসকের (West Bengal Weather Update)

    উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলায় মাঝারি বৃষ্টি হবে (West Bengal Weather Update) বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ২০ এবং ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের অনুমান ২১ জুলাই কলকাতায় (Kolkata Weather) ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে নামবে ভক্তদের ঢল, বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল

    সে ক্ষেত্রে ২১ জুলাইয়ের সভা পণ্ড হওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর রাজ্যের শাসক দল ২১ জুলাই কলকাতায় একটি সমাবেশ করে থাকে। বৃষ্টির জেরে সমাবেশ নিয়ে চিন্তিত শাসক শিবির।

    মৎস্যজীবীদের সুমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা

    বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উত্তরের অংশ ঝঞ্ঝাপূর্ণ হবে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে হাওয়া বইবে সমুদ্র ও উপকুলে। ১৯ থেকে ২২ জুলাই ঝঞ্ঝা থাকবে সমুদ্রে। সেই সময় (West Bengal Weather Update)  সাগর অত্যন্ত চঞ্চল থাকবে। এই সময় মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।   

  • Sonarpur:  জামাল অট্টালিকায় থাকলেও মায়ের স্থান কুঁড়ে ঘরেই! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও

    Sonarpur: জামাল অট্টালিকায় থাকলেও মায়ের স্থান কুঁড়ে ঘরেই! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনারপুরে (Sonarpur) শিকলকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন সর্দার ওরফে জামাল (Jamal Sardar) এখনও অধরা। তিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০২১ সালে। তাঁর নির্মাণ করা প্রাসাদোপম বাড়ি এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। ছেলের অট্টালিকা থাকলেও ঠাই নেই মায়ের। একটি জীর্ণ কুঁড়েঘরেই দিন কাটাচ্ছেন, সেই সঙ্গে জামালের বাকি তিন ভাইয়ের আশ্রয়স্থল ঝুপড়িতেই। এই খবরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অভিযুক্ত জামাল (Sonarpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় সোনারপুরের (Sonarpur) একটি খুনের মামলায় জামালের নাম জড়িয়েছিল। সিবিআই তদন্ত করে যে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল তাঁদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে দুমাস পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর দৌরাত্ম্য থেমে যায়নি। পুলিশ এদিন তাঁর এই বিরাট বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল, কিন্তু বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এই প্রাসাদোপম বাড়ি তল্লাশি অভিযান করবে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “সম্ভাব্য যে সমস্ত জায়গায় জামাল থাকতে পারে, সেখানেই তল্লাশি চলছে। আশা করছি খবু তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে।”

    জোড়াতাপ্পি দেওয়া কুঁড়ে ঘরে দিন কাটছে মা!

    জামালের বাড়ির (Sonarpur) খানিক কাছেই বাঁশ বাগানের মধ্যে জোড়াতাপ্পি দেওয়া কুঁড়ে ঘরে দিন কাটছে মা শাহজাদি সর্দার। প্রতিমাসে যে বিধবা ভাটার হাজার টাকা করে পান, তা দিয়েই কোনও রকমে সংসার চলে। তিনি অবশ্য ছেলেকে দোষারোপ করেননি। তিনি বলেছেন, “আমাকে অনেক বার ওর বাড়িতে থাকার জন্য বলেছে। আমিই রাজি হইনি। ওর দিন ভালই কাটছে, তবে ভালো থাকে বলে শত্রু বেশি। কোনও অবৈধ কাজ করেনি।” আবার জামালের মেজদা থাকেন তাঁরই বাড়ির রাস্তার উল্টো দিকে। তবে কেন ছেলে এই ভাবে রাজপ্রাসদে থাকেন আর মা ও ভাইয়েরা ঝুপড়িতে থাকেন, তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    দালালি পেশা

    জানা গিয়েছে জামালের (Jamal Sardar) আয়ের উৎস হল জমি কেনাবেচা, দলালি এবং টাকার বিনিময়ে সালিশি করে বিচার করা। তবে বিচারের নিদান না মানলে ধরে এনে বাড়িতে শিকল বেঁধে অত্যাচার করা তাঁর কাজেরই অঙ্গ। রুজিনা বিবি নামক এক মহিলকে অন্ধকার ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচারের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর থেকেই পলাতক জামাল। এদিকে ঘটনায় মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সরকার নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার বারুইপুর (Sonarpur) আদালতে তোলা হয়েছিল। অপর দিকে জামাল এখনও পলাতক এলাকায়। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে ভূরি-ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    Murshidabad: ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগর বিধানসভায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল বিধায়ক এবং দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Murshidabad)

    বেলডাঙ্গা-২ নম্বর (Murshidabad) ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আতাউর রহমান দলের বিধায়ক রবিউলআলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে টেন্ডারের দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন,  দুর্নীতির কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। আসলে ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি অবৈধভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া করতে চাইছেন। যার ফলে বেলডাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের টেন্ডারে অনিয়ম হচ্ছে। উন্নয়নের থমকে গিয়েছে। যদি তাঁদের মন মতো টেন্ডার না হয় তাহলে তাঁরা বাতিল করছেন। ফেরিঘাটে টেন্ডার করা হয়নি। এর দায় পঞ্চায়েত সমিতির। যতদিন থাকব এই অবৈধ টেন্ডার মেনে নেব না, তারজন্য যেখানে যা করার দরকার আমি করব। ভাটির ব্যবসা, থানার দালালি যে দলের লোক করুক না কেন, যদি আমাদের দলের লোকও করে থাকে তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা আমি করব।

    আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    ১০ বছরে বিধায়ক কোনও কাজ করেননি!

    বিধায়কের সাংবাদিক বৈঠকের পর পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) বেলডাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের (Murshidabad) প্রাক্তন সভাপতি আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে ভোট করেন নি। বিধায়কের চোখের সামনেই দুর্নীতি হচ্ছে, তিনি চোখ বন্ধ করে আছেন। বিধায়কের (Trinamool Congress) উন্নয়ন তহবিলের টাকার কাজের নিয়ম মতো টেন্ডার হচ্ছে না। তিনি রবিউল আলামের কাজ নিয়েও অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর বিধায়কদের ৬০ লক্ষ টাকা করে উন্নয়ন খাতে দেন। বিগত  দশ বছরের ব্যবধানে আমরা দেখতে পাইনি কোনও পঞ্চায়েতে বা কোনও ব্লকে বিধায়ক তহবিলের টাকায় কাজ হয়েছে। বিগত ১০ বছর কোথায় কাজ করেছেন তার কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। এখন অনলাইন ব্যবস্থা হওয়ার পর আমরা জানতে পারি বিধায়কসাহেব যে বছরের ৬০ লক্ষ টাকা পান, সেটা আন্ডারটেকিং ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে টেন্ডার করানো হচ্ছে। তবে, এই টেন্ডার কবে হচ্ছে কোথায় হচ্ছে? কে কাজ পাচ্ছেন? সেই কাজ দেখভালের জন্য ইঞ্জিনিয়ার কবে আসছেন, কাজের পরিধি কী রয়েছে তার কোন কিছুই জানা নেই।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share