Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mob Lynching: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Mob Lynching: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে ফের চোর সন্দেহে থানার অদূরেই বেঁধে রেখে পিটিয়ে খুন (Mob Lynching)। অভিযোগ, ভোরবেলায় চোর ভেবে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় জনতা। হাত-পা বাঁধা অবস্থায়ই তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে পেটানো হয়। চিকিৎসা না করিয়ে ফেলেও রাখা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।     

    চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন (Mob Lynching)

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আজগর মোল্লা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানার ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ভাঙড় বাজার এলাকায় গত কয়েকদিন চোরের উপদ্রব বাড়ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সর্বক্ষণই ভয়ে ভয়ে থাকতেন স্থানীয়রা। এলাকায় রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। পাহারাদাররা চলে গেলে ভোরবেলার দিকে চুরি হচ্ছিল। পুলিশকে জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয়রা। রবিবার ভোরে আজগরকে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে চোর সন্দেহে তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। প্রথমে বেঁধে রাখা হয় তাঁকে।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা। শুরু হয় গণপ্রহার। আজগর অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গণপিটুনির জেরে আজগরের মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এলাকায়। থানার অদূরে দীর্ঘক্ষণ এক ব্যক্তিকে বেঁধে রেখে গণপিটুনি দেওয়া হল অথচ পুলিশ টের পেল না! স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “রাতে পাহারাদাররা চলে গেলে ভোরবেলার দিকে চুরি হচ্ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই একই ঘটনা বারবার ঘটছিল। ফলে নজর রাখা হচ্ছিল। এলাকায় ভোরবেলা সাড়ে চারটা নাগাদ ওঁকে ধরা হয়। উনি সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাই বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে অনেকে চলে এসে মারধর (Mob Lynching) করতে শুরু করে। অনেকক্ষণ নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম নেশা করে পড়ে আছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায় উনি মারা গিয়েছেন।”

    কলকাতা পুলিশও ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ (Bhangar)

    প্রসঙ্গত, ভাঙড় থানা এলাকায় শান্তি ফেরাতে নিয়ে আসা হয় কলকাতা পুলিশের অধীনে। তার পরেও ভাঙড়ে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। পুলিশের দক্ষতা ও সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, দীর্ঘক্ষণ এক ব্যক্তিকে বেঁধে রেখা রেখে মারধর করা হল, অথচ পুলিশ খবর পেল না কেন? জানা গিয়েছে, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, মৃতের পরিবার পুলিশকে দেহ নিতে দেয়নি। তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ডিসি সৈকত ঘোষ জানিয়েছেন, পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    উল্লেখ্য, প্রায় এক মাস সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কোথাও আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে, কোথাও আবার তাঁরা গুরুতর জখম হচ্ছেন। গণপিটুনি রুখতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে গণপিটুনির ঘটনা কিছুতেই কমছে না। বউবাজার থেকে শুরু করে সল্টলেক হয়ে নিউটাউন, গণপিটুনি অব্যাহত। এবার গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ভাঙড়ে (Bhangar) । দেশের আইন বদলালেও, পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে যথা পূর্বং, তথা পরং। 

    এ রাজ্যের হাল কি ফিরবে না? গণপিটুনির বলি হতে হবে আজগর মোল্লাদের!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cataract Surgery: ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে অসুস্থ আরও ৪, অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন

    Cataract Surgery: ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে অসুস্থ আরও ৪, অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেটিয়াবুরুজে (Metiaburuz) ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে ক্রমেই অস্বস্তি বেড়ে চলেছে স্বাস্থ্য ভবনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন আরও চার রোগী। সব মিলিয়ে সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশন (Cataract Surgery) করিয়ে এ পর্যন্ত সংক্রমণের শিকার হলেন ২০ জন। শনিবার আরও দুই রোগী সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে গিয়েছেন আরআইওতে। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ছানি অপারেশন থিয়েটারের প্রোটোকল। মেটিয়াবুরুজের ওই হাসপাতালে ওটির প্রোটোকল মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ওষুধের গুণমান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আতশ কাচের তলায় অপারেশন থিয়েটারের নিয়মিত স্যানিটাইজেশন, গজ এবং তুলোও।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? (Cataract Surgery)

    রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি (আরআইও)-র প্রাক্তন (Cataract Surgery) অধিকর্তা গৌতম ভাদুড়ি বলেন, “ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হলে রাতারাতি তা ছড়িয়ে পড়ে। এখানে তো অনেকে দু’দিন পরে আসছেন। হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন।” তিনি বলেন, “ফ্লুইডের বোতল থেকে ফ্লুইড নিয়েই ছানি অপারেশন করা হয়। সেই সময় পরিষ্কার করা, ছানি বের করতে জলের একটা বড় ভূমিকা থাকে। সেই জল যদি স্বচ্ছ না থাকে, তাতে যদি ছত্রাক থাকে, তা দেখা সম্ভব নয় যে চিকিৎসক অপারেশন করছেন, তাঁর পক্ষে। কারণ এই জল আসে সিলড বোতলে।”

    ফ্লুইডের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন

    চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে যে ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়েছিল তার গুণমানেই সমস্যা রয়েছে। তাঁদের যুক্তি, গত ছ’মাস ধরে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল এই ফ্লুইডের গুণমান নিয়ে সরব হয়েছে। গত ২৫ জুন এনআরএসে ফ্লুইডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অর্থো-ওটিতে স্থগিত রাখা হয়েছিল অস্ত্রোপচার। ঘটনাচক্রে এদিনই ঘটেছিল মেটিয়াবুরুজের হাসপাতালে ছানি অপারেশনকাণ্ড। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের তরফে ছানি অপারেশনে ব্যবহৃত ফ্লুইডের গুণমান যাচাই করতে পাঠানো হয়েছে ব্যাচের নমুনা।

    আর পড়ুন: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    জানা গিয়েছে, এই নমুনা পাঠানো হয়েছে এনএবিএল, রাজ্য ড্রাগ রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং পূর্ব ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে (Metiaburuz)। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, একটি নির্দিষ্ট সংস্থার ফ্লুইডের গুণমান নিয়েই যাবতীয় অভিযোগ উঠেছে (Cataract Surgery)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে বীরভূমের বগটুই (Bogtui) গ্রাম। এই গ্রামে জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। মাটি চাপা দেওয়া ছিল জারটি। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ফুটের মধ্যে এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার রামপুরহাট থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে মিলল বোমা?(Bogtui)

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুই (Bogtui) গণহত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তার প্রায় আড়াই বছর পর সেই গ্রামে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২০২২ সালের ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মিহিলাল শেখ। বগটুইকাণ্ডে তিনি হারিয়েছিলেন স্ত্রী, মা ও সন্তানকে। পরে, বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটেও লড়েন পদ্ম প্রতীকে। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে মিহিলাল শেখের আত্মীয় ফটিক শেখের বাড়িও আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মিহিলাল ও ফটিকের বাড়ির অদূরে প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি রাখা ছিল। অভিযোগ, অন্ধকারে কেউ মাটি খুঁড়ে এই জার রেখে যায়। শনিবার সেখানে গাছ বসানোর সময় মাটি গর্ত করতে গেলে তা নজরে আসে। এরপরই রামপুরহাট থানায় তা জানানো হয়। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডেও।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, “এর আগেও বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও তো এ গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার পরিবারকে আগুন লাগিয়ে শেষ করা হয়েছে। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করেছে। এখন এ গ্রাম তৃণমূলেরই হাতে। গ্রাম, পঞ্চায়েত সবই ওদের হাতে। সেখানে বোমা (Bomb) উদ্ধার হলে সেটাও দেখতে হবে। এটা নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। তবে প্রশাসন এখন যথেষ্ট সজাগ। কোথাও কোনও ঝামেলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Kamarhati: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ করতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূল কাউন্সিলরদের। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের উড়ানপাড়া এলাকায়। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে কার্যত এদিন তৃণমূল কাউন্সিলররা উচ্ছেদ করার সাহস দেখাননি। বাধ্য হয়ে বুলডোজর ঘুরিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জায়গায় দখলদারদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ জারি করেন। আর তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় তৎপরতা। টনক নড়ে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভারও। এই পুরসভার আগরপাড়ার উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন দখল করে দোকান রয়েছে। বহু বসতি রয়েছে সরকারি জায়গায়। এর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে দোকান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, পুরসভার নির্দেশ মেনে কেউ দোকান সরিয়ে নিয়ে যাননি। এদিন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিমল সাহার নেতৃত্বে একাধিক কাউন্সিলর উড়ানপাড়া এলাকায় যান। সঙ্গে বুলডোজার নিয়ে যান। উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “আমরা এখন কোথায় যাব। দোকান করেই সংসার চলে। গায়ের জোরে উচ্ছেদ করে দিলে পরিবার নিয়ে সকলকে পথে বসতে হবে। তাই, আমরা এদিন উচ্ছেদ করতে দিইনি। এই বিষয় নিয়ে সব জায়গায় দরবার করব। আমরা উচ্ছেদ করতে দেব না।” জানা গিয়েছে, উড়ানপাড়ার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল কাউন্সিলররা (Trinamool Congress) বাধ্য হয়ে বুলডোজার ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যান।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিমল সাহা বলেন, “এদিন এলাকার মানুষ কোনও বিক্ষোভ দেখাননি। তাঁরা আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধ মেনে আমরা আরও দুদিন সময় দিয়েছি। তবে, সামনের সোমবার ফের আমরা আসব। এই দুদিনের মধ্যে তাঁদের সব কিছু সরিয়ে নিতে বলেছি। কারণ, ড্রেনে দখলদার থাকার কারণে তা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। তাই, ওরা না সরালে আমরা সোমবার গিয়ে সব ভেঙে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি সাধারণ কোনও মানুষ নন, তিনি কলকাতার মেয়র (Firhad Hakim)। রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। আজ্ঞে হ্যাঁ, তৃণমূল পরিচালিত মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমই দিন তিনেক আগে ‘অল ইন্ডিয়া কোরান কম্পিটিশনে’ কথাগুলি বলেছিলেন বলে অভিযোগ। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন ‘অপমানজনক’ ও ‘বিভাজনমূলক’ কথাবার্তায় হইচই রাজ্যজুড়ে। এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেন, “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা। তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়েই জন্মেছেন। তাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে আমাদের।”

    ফিরহাদকে তোপ সুকান্তের (Firhad Hakim)

    ফিরহাদের এহেন মন্তব্যে হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। (উনি) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যাঁরা মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি, তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। (আর ইঙ্গিত করেছেন যে) আল্লাহকে খুশি করার উপায় হল ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া। এই মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিভাজনকারী। এই ধরনের মন্তব্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্যের নীতি ক্ষুণ্ণ হয়।”

    বিস্ফোরক মালব্যও

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূল যে বাংলায় চূড়ান্তভাবে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে, তা ওপেন-সিক্রেট। পার্টির (পড়ুন, তৃণমূলের) এই নিরন্তর তু্ষ্টিকরণের রাজনীতির উদাহরণ এটি। নির্বাচনে জয় এবং নির্বাচনোত্তর হিংসাই তৃণমূলকে সাহসী করে তুলেছে। তাই এরা আগের চেয়েও বিস্ফোরক সব মন্তব্য করছে।

    আর পড়ুন: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    তৃণমূলের জেসিবির সেই তরুণকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারের ঘটনা শারিয়া আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ঘটনাকে আবার সমর্থন করেছেন চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমান। এই কাজ একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিচিত ঘটনা। এই ঘটনা তৃণমূলের লুকোনো অ্যাজেন্ডার বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও প্রকাশ করে ফেললেন দলের লুকোনো অ্যাজেন্ডা (Firhad Hakim)।…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। স্কুল তার পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের নোটিশ দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিতর্কিত এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদরও (Sukanta Majumdar)।

    কী রয়েছে নোটিশে? (Sukanta Majumdar)

    রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনে ২৯ জুন জারি করা নোটিশকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে নির্দেশ দিয়েছে, শুক্রবার দুই দফায় টিফিন ব্রেক দেওয়া হবে স্কুলে। প্রথম ব্রেক বেলা ১২:১০ মিনিট থেকে ১ :১০ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় ব্রেক অন্যান্য দিনের মতোই বেলা ১: ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে ২:২০ তে শেষ হবে। আর এই নোটিশকে উল্লেখ করেই রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো করতে দেন না, সেই রাজ্যেই মুসলিম ছাত্রদের জন্য শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত স্পেশাল টিফিন আওয়ারের ব্যবস্থা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা নমাজ পড়তে মসজিদে যায়। সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নমাজের সুবিধা করে দিতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি (BJP)।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুক্রবার বিশেষ টিফিনের নির্দেশ নিয়ে সরব সুকান্ত

    আর এর বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্টি অফিসে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৪ তম জন্ম জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, স্কুলে এই ধরনের নির্দেশিকার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের সকলের সমান অধিকার। সকলের জন্যই সমানভাবে চলবে। স্কুলে যে কারণে ইউনিফর্ম বা ড্রেস কোড চালু রয়েছে। এই ধরনের নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: টানা ৩ বছর সহবাস করেও অস্বীকার! তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তি ফাঁস যুবতীর

    Barrackpore: টানা ৩ বছর সহবাস করেও অস্বীকার! তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তি ফাঁস যুবতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে সহবাস করেছেন তৃণমূল নেতা। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ভঙ্গ করেছেন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠেছে উত্তর বারকপুর (Barrackpore) পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাসকদলের কাউন্সিলর (TMC Councilor) প্রসূন সরকার ওরফে শুভদীপ সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে অভিযোগে তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। এলাকায় শোরগোল পড়েছে।

    অভিযোগকারিণী মহিলার বক্তব্য (Barrackpore)

    অভিযোগকারিণী মহিলা বলেছেন, “গত তিন বছর আগে তৃণমূল কাউন্সিলর (Barrackpore) প্রসূনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। প্রথমে কাউন্সিলর প্রেমের প্রস্তাব দেন কিন্তু তাতে আমি রাজি না হলে আমাকে ব্যাপক ধমক-চমক দেন। এরপর সম্পর্ক করতে চেয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে আমি সম্পর্কে রাজি হই। পরবর্তীতে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের মধ্যে দুজনের ঘনিষ্ঠতার অনেকটা বেড়ে যায়। আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার সহবাসও করে ওঁই কাউন্সিলর। এরপর পরবর্তী সময়ে তাঁর ফোন থেকে জানতে পারি, তিনি বিবাহিত এবং তাঁর একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বাচ্চার পরিচয় জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি। আমি জানতে পারি আগেও তিনি ৩টি বিয়ে করেছেন, আমি ৪ নম্বর হতে পারতাম। তাঁর পরিবারে জানালে, পরিবারের লোক আমাকে গুরুত্ব দেননি। এরপর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিচার চাই।”

    আরও পড়ুনঃ “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতা তরুণী বারাকপুর (Barrackpore) মহিলা থানায়, ওঁই তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর দিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা বলেছেন, “একটি মেয়ে, প্রসূনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন কিন্তু এসব একতরফা অভিযোগ। আমার ছেলে বিবাহিত, ওঁর একটা ছেলে সন্তান আছে। ওঁই মেয়ের অভিযোগের ভিত্তি নেই। মেয়েটির মানসিক চিকিৎসা করা দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    Purba Bardhaman: “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পর ভগবান হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), ঠিক এমন কথা বলে এক বিজেপি নেতা দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে পুজো করলেন মোদির। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার, বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের ছাতনি এলাকায়। একটি বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজেপি এই উদ্যোগে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় পুজো (Purba Bardhaman)

    এই বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছিলেন পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের তিন নম্বর মণ্ডল বিজেপি সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাটআউটে দুধ ও গঙ্গা জল ঢেলে পুজো করতেও দেখা যায় বিজেপির কর্মীদের। সভায় আলোচনা হয়, যে সমস্ত এলাকায় বিজেপির ভোট কমেছে, সেই এলাকায় কী ভাবে ভোট বাড়ানো যায়, সেই নিয়েও কাজ করতে হবে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী বিধানসভার (Purba Bardhaman) কনভেনার শিব কৃষ্ণ ঘোষ, মণ্ডল সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস, মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু বারুই, মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা প্রতিমা মণ্ডল, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত হালদার সহ আরও অনেকে।

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা অতুল চন্দ্র দাস বলেছেন, “আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের দিন যে দেশে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। এই দেশে প্রথমবার ১৯৬২ সালের পর, পরপর তিন বারের জন্য কোনও প্রধানমন্ত্রী একটানা নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের খুশির দিন। তাঁর ছবিতে দুধ এবং গঙ্গা জল দিয়ে স্নান করলাম এবং তাঁকে পুজোও করলাম। আমাদের প্রত্যেকের ইচ্ছে ছিল বিজয় মিছিল করার কিন্তু মিছিল না করে বিজয় সম্মেলনের আয়োজন করেছি। নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার, যুগে যুগে যেমন শ্রীচৈতন্যদেব মহাপুরুষ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন, ঠিক তেমনি নরেন্দ্র মোদিও মানবরূপে মর্তে জন্ম নিয়েছেন। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে নমস্কার জানাই। দেশের জনসাধরণের জন্য মঙ্গল কামনা করি।”

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূলের জেলা (Purba Bardhaman) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলছেন, “চ্যালারা এখন দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে কী করবেন? এই সরকার বেশিদিন থাকবে না। সরকার অন্যের সমর্থনে রয়েছে। যে কোনও সময়ে পড়ে যেতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর এর আগে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি মেনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁশবেড়িয়ার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভোটে তৃণমূল হারতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! (Hooghly)

    লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া (Hooghly) পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, যারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ৬ ‘টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের পদক্ষেপ করায় দল বিড়ম্বনায় পড়ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেন না। নিজের পছন্দের কয়েকজন লোক দিয়ে কাজ করান। আমাদের কোনও গুরুত্ব দেন না। চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে নিজেদের ওয়ার্ডে পরিষেবা দিতে পারি না। যার ফলে লোকসভা ভোটে আমাদের হার হয়েছে। এমনকী আমরা কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার কোনও কাজ করতে পারছি না। স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের কাছে অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন।” কাউন্সিলর (Trinamool Congress) প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনিও কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয়ে আমরা দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে ২৯টি আসন পেয়ে রাজ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তবুও দলের মধ্যে কোন্দল যেন থামছেই না। জেলায় জেলায় একাধিক গোষ্ঠী কোন্দলের খবর উঠে এসেছে। এবার বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ উঠেছে। কার্যালয়ে (TMC office) ঢুকে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দলের কর্মীরাই। ঘটনায় মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

    মিছিল এবং পাল্টা মিছিলে উত্তাল (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ২১ জুলাই নিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ওন্দার ওই তৃণমূলের কার্যালয়ে। কিন্তু এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং ওন্দার ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বীটের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। রীতিমতো দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে মিছিল এবং পাল্টা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই মিছিল পরস্পর মুখোমুখি হলেই সাময়িক ভাবে উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো পুলিশ (Bankura) ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।

    লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ

    পুলিশ সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলে আবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পক্ষ, আরেক পক্ষকে চেয়ার, লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ করে। এরপর চলে কার্যালয়ে ব্যাপক (TMC office) ভাঙচুর। তবে অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু দুই পক্ষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দিতে চাননি কেউই। অপরে জেলা (Bankura) তৃণমূলও তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরাতন, জানুন তার ইতিহাস

    আগেও হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল

    তৃণমূলের জেলায় জেলায় (Bankura) গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূলের নবীন এবং প্রবীণ নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো দলের কোন্দল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলায় দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য শোনা গিয়েছে। কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর নিজে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোলাবাজির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। একই সঙ্গে বারাকপুর তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক দলের কর্মীদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে বলেছেন যে কেউ ১ টাকা চাইলে জেলে ঢোকাবো। ফলে শাসক দলের অন্দরে কোন্দল এবং বিস্ফোরক মন্তব্যের কারণে চরম অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share