Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Lakshmi Bhandar: বিজেপি সমর্থনকারীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা

    Lakshmi Bhandar: বিজেপি সমর্থনকারীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) নিয়ে ফের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। দুদিন আগে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের এক তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিজেপিসহ বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বার্ধক্য ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা? (Lakshmi Bhandar)

    ২১-শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা উপলক্ষে মাথাভাঙ-১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে একটি পথ সভার আয়োজন করা হয়। সেই পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে মাথাভাঙা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। এটা খুব দুঃখজনক। কিছু মানুষ সারা বছর তৃণমূলের সঙ্গে নাটক করল। তৃণমূল রাত ও দিন এক করে তাদের পরিষেবা দিয়ে গেল। কিন্তু, মানুষকে এত পরিষেবা দেওয়ার পরেও একটা দিন আমাদের সঙ্গে বেইমানি করল। যে হাত দিয়ে সারা বছর আমাদের কাছ থেকে পরিষেবা নিয়ে গেল, সেই হাত দিয়েই মাথাভাঙা শহরে তৃণমূল কংগ্রেসকে গলা টিপে মারলো। যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তাদের চিহ্নিত করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় সেবিষয়ে পুরসভা ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

     দিনহাটার তৃণমূল নেতাও ফতোয়া দিয়েছিলেন

    কয়েকদিন আগে দিনহাটা-২ (Cooch Behar) নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) পেয়েও ভোট দেননি যাঁরা, তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, অন্ততপক্ষে আমাদের কিছু জনের নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া দরকার আছে। যে টাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছে, যে টাকাটা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার দিচ্ছে, সেটা নরেন্দ্র মোদির টাকা নয়, তৃণমূল সরকারের টাকা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saddam: রাইস পুলারই সাদ্দামের চোরাকারবারের মূল উৎস! অদ্ভুত ধাতব ব্যবসা কীভাবে চলত জানেন?

    Saddam: রাইস পুলারই সাদ্দামের চোরাকারবারের মূল উৎস! অদ্ভুত ধাতব ব্যবসা কীভাবে চলত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবনে (South 24 Parganas) খোঁজ মিলেছে সাদ্দামের (Saddam) রহস্যজনক সুড়ঙ্গ! চলত সেখানে ধাতু গালানোর কাজ। রাইস পুলার-অস্ত্র-সোনা-অ্যান্টিকের কারবার ছিল অতি সক্রিয়! সুড়ঙ্গ পথেই কি চলত চোরাকারবার? উত্তর খোঁজে এলাকায় তাল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু সদ্দামের উত্থান কীভাবে হয়েছে? আসুন জেনে নিই তাঁর চোরাকারবারের ইতিকথা।

    জমি মাপতে ব্যবহার হতো তামার দণ্ড (Saddam)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলি, পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ বারাসত এলাকায় বিভিন্ন দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে একটি বৃহৎ প্রতারণার চক্র তৈরি করেছিলেন। সেই সময় খুব জনপ্রিয় ছিল রাইস পুলিং স্ক্যাম। কথিত আছে ব্রিটিশ আমলে সরকারি জমি জরিপ করার জন্য এক ধরনের তামার দণ্ড ব্যবহার করা হতো। সেই দণ্ড মাটিতে পোঁতা থাকত জমি জরিপের নিশান হিসেবে। এই তামার দণ্ড বা পাতগুলি বজ্রপাতের ফলে ধাতব পরিবর্তন হয়ে ইরিডিয়ামে পরিণত হতো। এই পাতে নাকি আবার অলৌকিক ক্ষমতার সঞ্চয় হতো। তবে বাজারে তামা থেকে পরিবর্তিত ধাতু ইরিডিয়ামের বিরাট মূল্য রয়েছে। এই ধাতুতে নির্মিত বাসনপত্রে অদ্ভুত যাদু ক্ষমতা থাকে বলে, বিশ্বাস রয়েছে। ধাতু আসল না নকল তা বোঝা যায় পাশে চাল রাখলে। লোহা যেমন চুম্বককের সঙ্গে আকর্ষণ-বিকর্ষণ করে, তেমনি এই ধাতু চালকে আকর্ষণ করে। সেখান থেকে ধাতুর নাম রাইস পুলার। এই রাইস পুলারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সাদ্দাম।

    ধাতুর দাম প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা

    বৈজ্ঞানিক ভাবে এই ধাতুর সম্পর্কে এই ভাবনার অবশ্য বাস্তব দৃষ্টান্ত মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু চোরা বাজারে এই ধাতুর কথিত গল্পের ভিত্তিতে ধাতুর চাহিদা ব্যাপক। ১ ফুট লম্বা এবং ২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের এরকম ধাতুর দাম প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকারও বেশি। এই ধাতু নির্মিত কয়েন দিয়ে গোচরণ (South 24 Parganas), দক্ষিণ বারাসত, কুলতলি এলাকায় বিভিন্ন ক্রেতাদের মধ্যে অবৈধ কারবারের কাজ চলত। সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতর এখনও পর্যন্ত মোট কুড়িটির বেশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুনঃ খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস

    নকল সোনার মূর্তির কারবার চলত

    রাইস পুলার কম দামে বিক্রি করার লোভ দেখিয়ে এই রাজ্যের অনেক চোরাকারবারিরা অন্য রাজ্যেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণার কাজ করে চলেছে। অনেক সময় মুক্তিপণ নিয়ে একাধিক ব্যসায়ীরা ছাড়া পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আবার পাল্টা ব্যবসায়ীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেন না, কারণ পুরো ক্রয়-বিক্রয় করাই আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেন কেউ কেউ। এরপর পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগ এই চক্রের একাধিক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল। আবার অনেকে জামিন পেলেও সক্রিয় থেকেছে এই চক্র। প্রতারণার ব্যবসাও সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে। রাইস পুলার নিয়ে যখন সতর্ক হয়েছে মানুষ, সেই সময় অ্যান্টিকের ব্যবসায় ফুলেফেঁপে ওঠেন সাদ্দাম। এই ভাবেই সাদ্দাম এলাকায় বিরাট চোরাকারবারের সাম্রাজ্য নির্মাণ করেছিলেন। ১৫ বছর ধরে নকল সোনার মূর্তির কারবারে হাত পাকিয়ে ফেলেছিলেন সাদ্দাম। ক্রেতাদের টোপ দিয়ে কুলতলির ডেরায় ডেকে মারধর করে টাকা লুট করায় সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিলেন তাঁর (Saddam) পরিবার (South 24 Parganas)। সেই সঙ্গে ছিল তাঁর জাল নোটের কারবারও। গ্রেফতারের পর এই সব তথ্য স্বীকার করেছেন সাদ্দাম ও সায়রুলের স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাল ঠুকছে তৃণমূলের দুই সংগঠন, ভর্তি শিকেয়

    Asansol: আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাল ঠুকছে তৃণমূলের দুই সংগঠন, ভর্তি শিকেয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন বনাম তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির দ্বন্দ্ব। প্রশাসনিক ভবনে অচলাবস্থা তৈরি করেছে ছাত্র সংগঠন। গত সাতদিন ধরে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ। পাল্টা আন্দোলন করছে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূলের আন্দোলনে ব্যাহত ভর্তি প্রক্রিয়া (Asansol)

    বিশ্ববিদ্যালয়ে (Asansol) তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই সংগঠনের আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার থমকে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া। যদিও ভর্তি হতে আসা ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের একাংশ প্রশাসনিক ভবনে টিএমসিপি-র লাগানো তালা ভেঙে দেন। তাঁরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। দূর থেকে আসা এক অভিভাবকের বলেন, ভর্তি কবে হবে বুঝতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। অভিভাবকদের দাবি, অবিলম্বে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কড়া হাতে আন্দোলন দমন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যাঁরা ভর্তি হতে পারেননি, তাঁদের জন্য অনলাইনের ব্যবস্থা করা হবে।

    তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা বলেন, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Asansol) বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আইনি খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করাহয়েছে। ওই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরত দিতে হবে।  কখন,কোথায়, কী কারণে এই টাকা খরচ করা হয়েছে- তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনকে ‘বহিরাগতদের আন্দোলন’ বলে অভিহিত করে পাল্টা আন্দোলনে নামে তৃণমূলেরই শিক্ষাবন্ধু সমিতি। প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন সমিতির সদস্যেরা। সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির যুগ্ম সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু বহিরাগত ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করতে দেব না।”  পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, “আসানসোলের যাঁরা ভালো চান, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে তাঁদের এই আন্দোলন চলছে। আর দল ঠিক করবে কারা প্রকৃত তৃণমূল (Trinamool Congress)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সম্পর্কে আর কোনও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য নয়। রাজ্যপালের করা মামলায় মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। সেই শুনানিতেই মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রিয়াদ হোসেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। 

    আগে কী ঘটেছিল?  

    রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর জেরে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এবার সেই মামলায় হাইকোর্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় রাশ টানল। অর্থাৎ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যাতে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা না হয় তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।  

    কেন এই মানহানির মামলা?

    তৃণমূলের দুই জয়ী প্র্রার্থীর শপথকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই অপমানিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: ওমানে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গেল তেলের ট্যাঙ্কার, নিখোঁজ ১৩ জন ভারতীয়

    আদালত কী জানিয়েছে? (Calcutta High Court) 

    এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি এই পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ মঞ্জুর-না করা হয় তবে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। বিচারপতি রাও এর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বোস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্য যে সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলিকেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে।

    রাজ্যপালের মন্তব্য (CV Ananda Bose)

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছিলেন, কেউ যদি আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেন তবে তিনি যেই হোন তাকে ভুগতেই হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক কলিগ। আমি সেই হিসাবেই তাঁকে মর্যাদা দিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিটা আদালত (Calcutta High Court) বিচার করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: পুলিশকে মেরে ফিল্মি কায়দায় যুবতীকে ছিনিয়ে নিল পরিবার, শোরগোল

    Balurghat: পুলিশকে মেরে ফিল্মি কায়দায় যুবতীকে ছিনিয়ে নিল পরিবার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে তোলার আগে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে আসা এক যুবতীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। সিনেমার দৃশ্যের মতো এমন ঘটনা ঘটল বালুরঘাটে (Balurghat)। যা নিয়ে তোলপাড়় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই যুবতীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তপন থানার (Balurghat) পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে যুবতীকে নিয়ে বের হয় পুলিশ। সেই সময় চারটি ছোট গাড়ি করে একদল দুষ্কৃতী এসে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে এক পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ধরতে দক্ষিণ দিনাজপুরের সমস্ত থানার মাধ্যমে জেলাজুড়ে নাকাবন্দি করা হয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতী ও যুবতীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    যুবতীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল?

    জানা গিয়েছে, মাস দেড়-দুয়েক আগে ওই যুবতী এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। এনিয়ে নিয়ে যুবতীর পরিবার তপন থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলায় ওই যুবক-যুবতী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তপন থানার পুলিশ ওই যুবতীকে এদিন জেলা আদালতে তোলার আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে নিয়ে যায়। পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে বের হতেই একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে মারধর করে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়। ওই যুবতীকে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, পুলিশ (Police) এক আসামীকে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে আসে। মেডিক্যাল করার পর যখন বাইরে আসে তখন পুলিশের ভ্যান থেকে কয়েকজন এসে সেই আসামীকে নিয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: কাটমানি নিয়ে কি দ্বন্দ্ব! রানাঘাটে দলীয় কর্মীদের মারে রক্ত ঝরল তৃণমূল নেতার

    Ranaghat: কাটমানি নিয়ে কি দ্বন্দ্ব! রানাঘাটে দলীয় কর্মীদের মারে রক্ত ঝরল তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নদিয়ার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এবার রানাঘাটের (Ranaghat) আনুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতিসহ তিন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই নেকা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কাটমানি নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই কি হামলা? দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আনুলিয়া (Ranaghat) এলাকায় গেঞ্জি মিলের কাছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের নন্দীঘাট বুথের সভাপতি আবীর আলি মণ্ডলকে রাস্তা আটকে মারধর করে কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী। অভিযোগ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি তাঁকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন আরও দুই তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় আক্রান্ত তিনজনকেই রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় রানাঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে ২জনকে আটক করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। কী কারণে তারা এই হামলা চালালো তা জানতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তৃণমূল (Trinamool Conflict) বুথ সভাপতি আবির আলি মণ্ডল বলেন, আমি রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ রানাঘাট (Ranaghat) গেঞ্জি ফ্যাক্টরির কাছে আমাকে দেখে ওই এলাকারই দুজন আটকায়। তাঁরাও তৃণমূল করে। সঙ্গে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসে। কোনও কারণ ছাড়়াই হামলা চালাই। তারা ঘটনাস্থলে এলেই আমাকে ছয়-সাত জন মিলে বেধড়ক মারতে থাকে। বন্দুকের বাদ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় আমার। যেহেতু আমি এলাকায় সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করি সেই কারণে ওই দুষ্কৃতীরা আমাকে হামলা চালিয়েছে বলে আমার অনুমান। তবে, ওদের মধ্যে কেউই তৃণমূলের কোনও পদে নেই। অন্যদিকে, এই ঘটনায় আবারও অস্বস্তিতে রানাঘাটের তৃণমূল। প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হওয়ায় কুলুপ পেতেছে রানাঘাটের প্রথম সারির তৃণমূল (Trinamool Conflict) নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sonarpur: চোপড়ার ছায়া সোনারপুরে, জেসিবির পর তৃণমূল নেতা জামাল, পায়ে শিকল বেঁধে মহিলাকে অত্যাচার!

    Sonarpur: চোপড়ার ছায়া সোনারপুরে, জেসিবির পর তৃণমূল নেতা জামাল, পায়ে শিকল বেঁধে মহিলাকে অত্যাচার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার ছায়া যেন সোনারপুরে (Sonarpur)! সালিশি সভায় ডেকে মহিলাদের বাড়িতে নিয়ে তালিবানি কায়দায় শিকল দিয়ে বেঁধে, পাশবিক অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে। অন্যের জমি হাতিয়ে প্রাসাদের মতো বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ। এই এলাকার প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঙ্গুরে বাড়ি এই তৃণমূল কর্মীর। কোনও কাজ না করে কীভাবে এই সুবিশাল বাড়ি বানিয়েছেন তিনি, সেই প্রশ্নও রয়েছে এলাকাবাসীর মনে। ‘সালিশ কি সফা’ করে এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নির্মম অত্যাচার করেছেন এই তৃণমূল কর্মী। এরপর এই নির্যাতিতা মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিজেপি নেত্রীকে কাছে পেয়ে সাহস পেলেন এলাকাবাসীও। এরপর মহিলা শোনালেন সেই নির্মম অত্যাচারের বিবরণ।

    ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম (Sonarpur)!

    নির্যাতিতা মহিলা রশিদা বিবি এই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “এলাকায় (Sonarpur) জমিজমা কেনাবেচা, দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান করে থাকেন জামাল। তাঁর হাত ছাড়া কোনও কাজ হয় না। আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। তাঁর বাড়ির মধ্যে মেঝেতে জায়গায় জায়গায় শিকল বাঁধার স্থান করা আছে। কখনও কখনও আবার বেঁধে উপর থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। সেই সঙ্গে চলত মারধর। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তাঁর বিরাট ভালো সম্পর্ক। সেই ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম করতেন জামাল। বাড়িতেই সালিশি সভা বসিয়ে তিনি বিচার করতেন। যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজী হত না, তাদের উপর অত্যাচার চালানো হতো। এলাকার কোনও মহিলারাই তাঁর অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি।”

    শেখ শাহজাহানের উত্তরসূরী শেখ জামাল

    বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের সামনে এই ভাবের মহিলাদের উপর তালিবানি কায়দায় অত্যাচার করা হচ্ছে আর তিনি চুপ! শেখ শাহজাহানের উত্তরসূরী শেখ জামাল। এলাকায় দুর্নীতি করে লোকের জমি দখল করে মানুষের উপর অত্যচার করছেন তিনি। পুলিশ সব জেনে শুনেও চুপ। বাড়ির (Sonarpur) মহিলাদের তুলে নিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করা হয়েছে। এই রাজ্যে নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। এই এলাকার বিজেপি কর্মীদের উপর ভোট পরবর্তী হিংসার নায়ক এই জামাল। অবিলম্বে কঠোর শাস্তি চাই এই তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে।”

    আরও পড়ুনঃ ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের নেপথ্যে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠরা, বলছেন স্থানীয়রা

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Sonarpur) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক লাভলী মৈত্র মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, “জামাল সর্দার তৃণমূলের কেউ নন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। প্রশাসনকে বলব ব্যবস্থা নিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকেও থোড়াই কেয়ার, তৃণমূলকে ‘তোলা’ দিয়েই স্ট্যান্ডে টোটো দাঁড়ানোর ছাড়পত্র

    Jalpaiguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকেও থোড়াই কেয়ার, তৃণমূলকে ‘তোলা’ দিয়েই স্ট্যান্ডে টোটো দাঁড়ানোর ছাড়পত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের তোলাবাজি না করার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা দলনেত্রীর নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে রমরমিয়ে তোলাবাজি করছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িসহ একাধিক এলাকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। মোটা টাকা দিলে তবে মিলবে টোটো চালানোর ছাড়পত্র। টোটো চালকদের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিই খোদ এই অভিযোগ করেছেন। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে শাসক দল।

    টোটো চালানোর ছাড়পত্র পেতে ৫০০০ হাজার টাকা তোলা (Jalpaiguri)

    কেউ যদি নতুন টোটো কিনে স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে চান, প্রথমেই তাঁকে ১৫০০ থেকে ৫০০০টাকা পর্যন্ত তোলা দিয়ে ওই নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে নাম লেখাতে হবে। এরপর রুট পারমিট দেওয়া হবে। নইলে যাত্রী নিয়ে ওই রুটে যাতায়াত করতে পারবেন না। প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হবে। ২১ শে জুলাই সহ তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাঁদা লাগবে। নইলে টোটো চালাতে পারবেন না। স্ট্যান্ডে দিনে ২০ টাকা করে দিতে হবে। ময়নাগুড়ির এক টোটো চালক বলেন, “আজ থেকে আট বছর আগে ঋণ নিয়ে টোটো রিক্সা কিনেছিলাম। এরপর স্ট্যান্ডে ১৬৫০টাকা চাঁদা দিতে হয়েছিল। নইলে টোটো চালাতে দেওয়া হতো না।” জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা সহ সব জায়গায় চলছে তোলাবাজির কারবার।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    ২১ জুলাইয়ের নামে টাকা তোলা হচ্ছে

    তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি তপন দে বলেন, “ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা (Jalpaiguri) প্রভৃতি ব্লকে টোটো চালক কাছ থেকে ২১ জুলাইয়ের নামে টাকা আদায় করা হচ্ছে। যা দলের নিয়ম বহির্ভূত। রাজ্য বা জেলা কমিটি কাউকে টাকা তুলতে বলেনি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ময়নাগুড়ির তৃণমূল (Trinamool Congress) টোটো ইউনিয়নের যে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অভিজিৎ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “হ্যাঁ আমরা টাকা নিয়েছি। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে টোটো চালকদের ওয়েলফেয়ার করা হয়।”

    কটাক্ষ বিজেপির

    বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “তৃণমূলের (Trinamool Congress) সারা বছর ২১ শে জুলাই। তাঁদের যে কোনও কায়দায় তোলা তুলতেই হবে। আমরা এইসব নিয়ে বহুবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

    TMC Clash: মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Clash)। অভিযোগ, উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের (Sunanda Sarkar) হাতে মার খেলেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার সরকার। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা ঘেরাও করেন কেদার অনুগামীরা। কাউন্সিলরও ঘটনা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেই খবর।

    ঠিক কী জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? (TMC Clash)

    কানাঘুষো শোনা যায়, রাজ্যের মন্ত্রী তথা শ্যামপুকুর বিধানসভার বিধায়ক শশী পাঁজার ঘনিষ্ঠ যুবনেতা কেদার দাস। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল করেন। ২১শে জুলাইয়েরও সমস্ত দায়িত্ব কেদারের হাতেই ন্যাস্ত করেছিলেন শশী। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সুনন্দার দ্বন্দ্ব চলছিল। তবে এদিনের এই ঘটনা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে শোভাবাজারের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা শুরু হয় কাউন্সিলর ও যুবনেতার মধ্যে। কথা চলতে চলতেই অচমকাই সুনন্দা কেদারের গালে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছিলেন কেদার ও তাঁর অনুগামীরা। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সুনন্দা সেখানে যান। তারপর দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। এরপরেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ঠাঁটিয়ে চড় মারেন (TMC Clash) ওই ওয়ার্ডেরই যুব সভাপতি কেদার দাসকে। শাড়ি পরেই সুনন্দাকে কার্যত তেড়েমেড়ে ছুটে যেতে দেখা যায় কেদারের দিকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই যুবনেতা। আর তারই ফলস্বরূপ এই চড়। 

    কেদার দাসের বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে কেদার দাস বলেন, “এখানে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমায় মারা (TMC Clash) হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি। এরপর দুপুর নাগাদ কাউন্সিলর আমায় ফেলে মেরেছে।” 

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে নয়, ফের বলিউড ছবির সুবাদে মুম্বইয়ে পাড়ি প্রসেনজিৎ-এর

    সুনন্দার পালটা দাবি (Sunanda Sarkar) 

    কেদারের এই মন্তব্যের পর সুনন্দার পালটা দাবি, কখনওই কেদারকে থাপ্পড় মারা (TMC Clash) হয়নি। ‘‘কেদার আসলে একজন সমাজবিরোধী। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করছিল। তা জানতে পেরেই ওখানে যাই। কেদারের হাতে লাঠি ও ইট ছিল। আমি সেগুলো কেড়ে নিতে যাই। সেই কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যকেই ওরা থাপ্পড় মারা হিসাবে তুলে ধরছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেদার। ওর অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না। তাই প্রতিবাদ করেছি।’’ 
    এ প্রসঙ্গে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “এই আচরণ (TMC Clash) প্রকাশ্যে হওয়া উচিৎ নয়। এই দৃশ্য ঠিক নয়। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। যদি কেদারের দোষও থাকে, তবুও এটা হতে পারে না। জেলা নেতৃত্বকে বলব বিষয়টা দেখতে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের নেপথ্যে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠরা, বলছেন স্থানীয়রা

    Bhangar: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের নেপথ্যে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠরা, বলছেন স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে (Bhangar) চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতারও করেছে। উল্লেখ্য সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের ঘটনায় তাদের দেখা গিয়েছে। এবার স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ভাঙড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন এই গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ। গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে চোপড়ার জেসিবি, কামারহাটির জয়ন্ত সিং-এর মতোই ভাঙড়েও তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের চিত্র আরও একবার সামনে উঠে এসেছে। রাজ্যের শাসক দলের দুষ্কৃতীদের পুলিশ প্রশাসনের একাংশ সংরক্ষণ দেয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

    বেঁধে মারধর করা হয়েছিল (Bhangar)!

    স্থানীয় ব্যক্তি কলিম শেখ গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায়, তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে বলেছেন, “ঘটনা ঘটেছিল ৭ জুলাই, মৃতের নাম আজগর মল্লিক। ভাঙড় (Bhangar) থানার অন্তর্গত ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তিনি। ভাঙড় বাজার এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। চোর সন্দেহে তাঁকে প্রথমে বেঁধে রাখা হয়। এরপর স্থানীয় বাজার সমিতির শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা তাঁকে মারধর করে। এরপর নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়, ঠিক তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতেই এই ভাবে একজনকে অকালে মরতে হল।”

    ফের চোর সন্দে গণপিটুনির ভিডিও ভাইরাল

    ভাঙড়ে (Bhangar) চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর পর ছেলে ধরা সন্দেহে এবার ফের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ৯ জুলাই মঙ্গলবার, ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের পেরানগঞ্জ অঞ্চলের সাইআইটি এলাকায়। মূল অভিযোগ, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বানিয়ারা এলাকার এক ব্যক্তি মহিবুল মোল্লা, তাঁর বোনের বিবাহর জন্য ঘোষপুর এলাকার এক ঘটকের সঙ্গে ছেলে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই এলাকার একটি ক্লাবের সামনে একটি গাছের তলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর সেই সময় কিছু মানুষ তাঁকে ছেলে ধরা সন্দেহে আটকে রাখে। এরপর এলাকার তৃণমূলের বুথের সেক্রেটারি শেখ হাবিব (পলাশ) সহ বেশ কয়েকজন এসে বেধড়ক মারধর করে। এই দৃশ্যের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আহত মহিবুল মোল্লার ভাই সাইদুর রহমান মোল্লা। এরপর তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত ভাঙড় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয় যাদবপুর সংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ারদার বলেছেন, “শুধু ভাঙড় (Bhangar) নয় গোটা রাজ্যজুড়েই এই ভাবেই চলছে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি। দিনের পর দিন এখানে পুলিশ প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বিরোধীদের মিথ্যে মামলা দিচ্ছে পুলিশ আর তৃণমূলের গুন্ডাদেরকে সহায়তা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share