Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Shyama Prasad Mukherjee: শ্যামাপ্রসাদ না থাকলে পশ্চিমবঙ্গ যেত পাকিস্তানে, জানুন সেই ইতিহাস

    Shyama Prasad Mukherjee: শ্যামাপ্রসাদ না থাকলে পশ্চিমবঙ্গ যেত পাকিস্তানে, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯০১ সালের ৬ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee)। তাঁকে ‘ভারত কেশরী’ বলেও সম্বোধন করা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে, তিনিই ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনক। মুসলিম লিগের পাতা ফাঁদ থেকে তিনি উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুদের। মূলত তাঁর প্রচেষ্টাতেই অখণ্ড বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমাংশ থেকে যায় ভারতে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অখণ্ড বাংলাকে নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে সুরাবর্দীর প্রস্তাবও ব্যর্থ করেন তিনি। আজ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আমরা জানব কীভাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) ভারতে রাখতে সমর্থ হলেন!

    পাকিস্তানের দাবিতে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ ও নোয়াখালি গণহত্যা

    ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট দিনটি ছিল শুক্রবার। বাঙালি হিন্দুর জীবনে সেদিন নেমে আসে এক ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসে’র নামে, পাকিস্তানের দাবিতে মুসলিম লিগ শুরু করল হিন্দু নিধনযজ্ঞ। অবিভক্ত বাংলায় তখন ছিল সুরাবর্দীর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের সরকার। মুসলিম লিগের গুন্ডারা হিন্দুদের ওপর ভয়াবহ সম্প্রদায়িক হামলা শুরু করে। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। কয়েক হাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয়। হাজার হাজার হিন্দু নারী ধর্ষিতা হন। লুট করা হয় সম্পত্তি। ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর পরেই নোয়াখালিতে মুসলিম লিগ শুরু করে ফের এক হিন্দু নিধনযজ্ঞ। উদ্দেশ্য একটাই, পাকিস্তান। বর্তমান বাংলাদেশের নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, ফেনী জেলা নিয়ে মেঘনার বাম তীরে অবস্থিত ছিল ব্রিটিশ আমলের নোয়াখালি জেলা। এই জেলাতে তৎকালীন সময়ে হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ। ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর ছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে লিগের গুন্ডারা। গণহত্যা, লুট, গৃহে অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ,নারী ধর্ষণ-এই সমস্ত কিছুই চলতে থাকে মুসলিম লিগের নেতা মওলানা গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক নোয়াখালিতেই হত্যা করা হয়েছিল ১০ হাজার হিন্দু বাঙালিকে। এর থেকেও বেশি সংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়। অগণিত মহিলাকে ধর্ষিতা হতে হয়।

    হিন্দু বাঙালির অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মুসলিম লিগের ফাঁদ 

    অবিভক্ত বাংলায় তখন মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম লিগ নেতৃত্বের দাবি, কলকাতা সহ সমগ্র বাংলাকেই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই দাবিতেই ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ ও ‘নোয়াখালি গণহত্যা’। এদিকে সমগ্র বাংলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তিকরণের বিরুদ্ধে হিন্দু বাঙালিদের মধ্যেও গড়ে উঠেছে প্রবল জনমত। মুসলিম লিগের নেতা তথা ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’- এর খলনায়ক সুরাবর্দী তখন এক ফাঁদ পাতলেন। দুই বাংলাকে নিয়ে অখণ্ড স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি করার প্রস্তাব রাখলেন তিনি। অর্থাৎ অখণ্ড বাংলা, না হবে ভারতের, না পাকিস্তানের। কিন্তু এরপরেও বাংলাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে যেত। আশ্চর্যজনকভাবে অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্রের দাবিতে সম্মতি দিলেন মহম্মদ আলি জিন্না। অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেন তৎকালীন অখণ্ড বঙ্গের পশ্চিমাংশ যা বর্তমানের পশ্চিমবাংলা, যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেটিকে ভারত থেকে আলাদা করতেই হবে। সুরাবর্দীর এমন পাতা ফাঁদে পা দেন কংগ্রেসের দুই নেতা শরৎচন্দ্র বসু ও কিরণশঙ্কর রায়। এমন সময়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বুঝতে পারলেন যে হিন্দু বাঙালির অস্তিত্ব বিপন্ন করতে ফাঁদ পেতেছে মুসলিম লিগ। হয়তো পাকিস্তানে নিয়ে যেতে চাইছে অথবা স্বাধীন রাষ্ট্রের নামে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে হিন্দুদের তারা সংখ্যালঘু করে রাখতে চাইছে।

    আন্দোলনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee) 

    সেই সময় থেকেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর সমস্ত শক্তিকে নিয়োজিত করলেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গকে ভারতে রাখার জন্য। ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই হিন্দু মহাসভার নেতৃত্বে তিনি একটি কমিটি গঠন করেন এবং সারা বাংলা জুড়ে সফর শুরু করেন। বড় বড় জনসভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন। মানুষকে বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তা তিনি বোঝাতে থাকেন। কংগ্রেসের নেতাদের কাছেও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee) আবেদন রাখেন যে তাঁরা যেন বাংলা ভাগের দাবিকে সমর্থন জানান। ১৯৪৭ সালের ১৫ মার্চ কলকাতায় হিন্দু মহাসভা একটি দু-দিনব্যাপী আলোচনাসভার আয়োজন করে। এতে হাজির ছিলেন ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে হিন্দু মহাসভা। অখণ্ড বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলিকে নিয়ে একটি আলাদা প্রদেশ গঠন করার কথা লেখা হয় প্রস্তাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ওই প্রস্তাব পেশও করে হিন্দু মহাসভা। ঠিক এমন আবহে তৎকালীন জনপ্রিয় দৈনিক ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’ ১৯৪৭ সালের ২৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত একটি সমীক্ষা করে। বিষয় ছিল, বাংলা ভাগ করা উচিত কিনা। এই সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয় ১৯৪৭ সালের ২৩ এপ্রিল। জানা যায়, এতে মোট ৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৯ জন মানুষ নিজেদের মতামত রাখেন। ৯৮. ৩ শতাংশ মানুষই বাংলা ভাগের পক্ষে কথা বলেন। অন্যদিকে, বাংলা ভাগের বিপক্ষে কথা বলেন ০.৬ শতাংশ মানুষ। ১.১ শতাংশ মানুষের মতামত বাতিল হয়।

    মাউন্টব্যাটেন-শ্যামাপ্রসাদ বৈঠক

    এমন সময় ১৯৪৭ সালের ২৩ এপ্রিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) সঙ্গে বড়লাট মাউন্টব্যাটেনের একটি বৈঠক হয়। সেখানে ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে বোঝান, ‘কেন বাংলা ভাগ করা প্রয়োজন’। আবার ১৯৪৭ সালের ২ মে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মাউন্টব্যাটেনকে বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে একটি দীর্ঘ পত্র লেখেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এমন আন্দোলন সে সময় খবরের শিরোনামেও আসে। তৎকালীন কলকাতার দৈনিক ‘দ্য স্টেটসম্যান’ ১৯৪৭ সালের ২৪ এপ্রিল একটি খবর প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে তারা জানায়, বাংলা ভাগ করার আন্দোলন একটি বিশাল ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঝড় আরম্ভ করেছিল হিন্দু মহাসভা। ঝড়ের কেন্দ্রভূমি হচ্ছে কলকাতা। ১৯৪৭ সালের মে মাসের প্রথম দিকে ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তার কথা মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরুকেও বলেন। তবে তাঁরা এ বিষয়টি খুব একটা আমল দেননি বলেই জানা যায়। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সোদপুরে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেও তাঁকে একই কথা বলেন।

    বল্লভভাই প্যাটেলের চিঠি

    তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। বাংলার হিন্দুরা যতদিন নিজেদের স্বার্থ বুঝছে এবং নিজেদের অবস্থান থেকে না সরছে, ততদিন ভয়ের কোনও কারণও নেই। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার ডাক মুসলিম লিগের পাতা ফাঁদ ছাড়া কিছু নয়। বাংলাকে কখনই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।’’ এই সময়ে বাংলা ভাগের দাবিতে বারোটিরও বেশি জনসভা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পাঁচটি করেন কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে। কংগ্রেস বাংলা ভাগের দাবিকে শেষ মুহূর্তে সমর্থন জানায়। তার কারণ ছিল একটাই যে তাদের হিন্দু ভোটাররা যেন না সরে যায়।

    শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াসে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) গঠন

    দীর্ঘ আন্দোলন এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াসের পরে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদের পশ্চিমাংশের সদস্যরা বাংলার দ্বিখণ্ডীকরণের প্রস্তাব বা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রস্তাব ৫৮-২১ ভোটে পাশ করান। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মুসলিম লিগের পাতা ফাঁদ থেকে বের করে আনেন হিন্দু বাঙালিকে। হিন্দু বাঙালি পায় তার নিজস্ব হোমল্যান্ড। ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ ও নোয়াখালির দাঙ্গার পরেও মুসলিম লিগ সমগ্র বাংলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠনের নামে হিন্দু বাঙালিকে দাস করে রাখার পরিকল্পনা। মুসলিম লিগের যাবতীয় চক্রান্তকে প্রতিহত করতে সমর্থ হন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

    Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহে রাস্তায় ফেলে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বারাকপুরে (Barrackpore) এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। জখম যুবক আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জুলাই রাতে বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার যুবক রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। বারাকপুর উড়ালপুরের কাছে বুড়িরবাজার এলাকায় তৃণমূল কর্মী সাদ্দামের নেতৃত্বের তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। সাদ্দামের সঙ্গে থাকা তার অনুগামীরাও ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান। জখম যুবকের পরিবারের লোকজন বলেন, রাতেই ছেলে বাড়ি ফিরে আসছে না দেখে খোঁজ খবর শুরু করি। কিন্তু, কোনওভাবেই আমরা তার হদিশ পাচ্ছিলাম না। পরে, এক পরিচিতের মাধ্যমে জানতে পারি, বুড়িবাজার এলাকায় সাদ্দামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। বুড়িবাজার এলাকায় এসে দেখি ও রাস্তাতেই পড়ে রয়েছে। ওর মাথা দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আমরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কেন এভাবে হামলা চালালো তা বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিশের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, এটা ঘটনাটি বারাকপুর পুরসভার মধ্যে হয়েছে। তবে, এই পুরসভা এলাকার কেউ নয়। কারণ, জখম যুবকের বাড়ি সদর বাজারে। আর সাদ্দাম তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী হলেও তার বাড়ি সদর বাজার এলাকায়। এলাকাটি উত্তর বারাকপুর পুরসভার মধ্যে পড়ে। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলাকারীদের (Trinamool Congress) অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ সম্প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে মন্ত্রী অরূপ রায়ের নামে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এরশাদ সুলতান ওরফে শাহিন। মন্ত্রী অরূপ রায় তথা শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এনে গ্রেফতার হওয়া হাওড়ার ওই যুবককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court) । বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) মুক্তির নির্দেশের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকার চরম নিন্দা করেছেন।

    বিচারপতির প্রশ্ন (Justice Amrita Sinha)

    মুখ্যমন্ত্রীর লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন কমেন্ট বক্সে এরশাদ সুলতান অরূপ রায় এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গর বিরুদ্ধে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এনেছিলেন। এরপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করে শিবপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) প্রশ্ন করেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে বা ক্ষোভ জানালে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? নাকি পুলিশ নিজে থেকে নাক গলাল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, দুজনের মধ্যে গোলমাল হলে তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানানোয় একজনকে পুলিশ এভাবে গ্রেফতার করে নিল? এটা কি আইন?

    গ্রেফতার প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে

    কোথা থেকে এবং কবে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) । জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রথমে তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজির না হওয়ায় দুদিন পর তাঁকে ৩০ শে জুন বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন ৩০ জুন শিবপুর থানার সারাদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, শাহিন নোটিস পেয়ে থানায় গেলে তাঁকে প্রথমে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে জানানো হয় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত।

    অভিযোগকারীর বক্তব্য

    হাওড়ার তৃণমূল নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্যায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুশোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে অভিযোগ করেছিলাম। ওই ব্যক্তি যেভাবে মন্তব্য করেছিলেন তা মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা ভাস্কর রায় বলেন, “সরকার বা শাসকদলের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বললেই তাঁকে গ্রেফতার করা এ রাজ্যে রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘কঠোর ব্যবস্থা নিন’! রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহকে চিঠি বোসের

    এখানে শাসকের আইন চলে। আইনের শাসন চলে না। এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই তা শাসক এবং তাঁদের দোসর পুলিশ বারংবার প্রমাণ করছে। হাইকোর্টে (High Court) বারংবার বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) এ রাজ্যের আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সরকার বদল না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির বদল হবে না।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    Arabul Islam: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা ছিলেন আরাবুল ইসলাম। এই এলাকায় তৃণমূলের তিনিই ছিলেন শেষ কথা। এখন সেই নিজের খাসতালুকে ব্রাত্য আরাবুল (Arabul Islam) । বুধবার জামিন পাওয়ার পর দলের মধ্যে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ায় ভাঙড় জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সরানো হল আরাবুলের নেমপ্লেট (Arabul Islam)

    জানা গিয়েছে, অপরাধের মামলায় জামিন পেয়েছেন আরাবুল (Arabul Islam)। তাঁর জামিন নিয়ে নিরুত্তাপ ভাঙড়। কোথাও দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাস বা বিজয় মিছিল নেই। তার মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সরে গেল তাঁর নামফলক। বলা যেতে পারে, প্রায় ৬ বছর পর ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ‘গৃহহীন’ হলেন আরাবুল। সভাপতির ঘরে এখন সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড় এবং বিধায়ক শওকত মোল্লা-ঘনিষ্ঠ খইরুল ইসলামের নাম। গত সপ্তাহে প্রকাশ্য সভা থেকে আরাবুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, দলেরই এক পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। সে কথা খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জানিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের ছেলে হাকিমুলকে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাইয়ে দেওয়া, প্রধান করানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে আরাবুলের বিরুদ্ধে।

    আরাবুলহীন ভাঙড়ে ভাল লিড পেয়েছে তৃণমূল!

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। সভাপতি হন আমিনা বেগম বিশ্বাস। আরাবুল (Arabul Islam) তখন ভাঙড়ের বিধায়ক। তখন থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতেই ছিল তাঁর অফিসঘর। বিধায়ক পদ খুইয়ে ২০১৩ সালে  ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আরাবুল। তখন আরাবুলের নামফলক লাগানো হয় ঘরের সামনে। আধুনিকীকরণ হয় ওই ঘরের। ২০১৮ সালে নিজে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হলেও ওই ঘর ছাড়েননি তৃণমূল নেতা। ২০২৩ সালে আবার সভাপতি হন আরাবুল। অফিস সেই একই ছিল। আরাবুল জেলে থাকার সময়ই ভাঙড়-২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক পদ খুইয়েছেন। লোকসভা ভোটে আরাবুলহীন ভাঙড়ে শওকতের নেতৃত্বে তৃণমূল ভাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। তারপর গত ৯ জুন ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড়কে কার্যকরী সভাপতি করা হয়। এখন থেকে সেই অফিসে বসছেন সহ-সভাপতি সোনালি। তিনি এখন আরাবুলের চেয়ারে বসছেন। তাঁর পাশে ওই ঘরে বসার বন্দোবস্ত হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনকারী এবং আরাবুল-বিরোধী বলে পরিচিত খইরুল ইসলামের। আরাবুলের নামফলক সরানো নিয়ে বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তৃণমূলে আরাবুলের রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি নিয়ে ভাঙড় জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আর আরাবুল বলেন, এত সহজে আমাকে সরানো সহজ হবে না। আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে রাজ্যের মুখ্যসচিব

    Calcutta High Court: সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে রাজ্যের মুখ্যসচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আবারও নয়া মোড়। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে সিবিআই এই নিয়ে অনুমোদন চাইলেও এ ব্যাপারে রাজ্যের গড়িমসিতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করায় দেরি হচ্ছিল। এই নিয়ে আগে একাধিক বার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অভিযোগ জানিয়েছিল সিবিআই। হাইকোর্টও সময় দেয় বহুবার। তবে সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এবার মুখ্যসচিবকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী জানিয়েছে আদালত? (Calcutta High Court) 

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্যদের জামিন মামলায় সরকারি আধিকারিকদের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে মুখ্যসচিবের অনুমোদন নিয়ে ফের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে এ বিষয়ে (Recruitment Scam) উত্তর দিতে হবে। এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিবকে লিখিত আকারে রাজ্যের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য 

    তবে মুখ্যসচিবের উত্তরের জন্য জামিন মামলা আটকে থাকবে না। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১১ জুলাই থেকে রোজ জামিন মামলা শোনা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যসচিব আদালতকে জানিয়েছিলেন, ভোটের কারণে তিনি এই বিষয়ে উত্তর দিতে পারেননি। তবে ভোট মিটেছে বহুদিন। এদিন রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৭ মে উত্তর চাওয়া হয়েছিল। এখন জুলাই মাস। এখনও উত্তর মেলেনি। আমরা দ্রুত উত্তর চাই ওঁর কাছে। এর পর আর কোন অজুহাত শোনা হবে না। এর পর যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” 
    নিয়ম অনুযায়ী, ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিষয়ে মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে রাজ্যের গড়িমসিতে বিচারপ্রক্রিয়া অযথা দেরি হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল সিবিআই। বুধবার ওই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে ডেডলাইন বেঁধে দিল আদালত (Calcutta High Court)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘কঠোর ব্যবস্থা নিন’! রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহকে চিঠি বোসের

    CV Ananda Bose: ‘কঠোর ব্যবস্থা নিন’! রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহকে চিঠি বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের তিন প্রথম সারির আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ করার সুপারিশ জানালেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) এ নিয়ে চিঠি লিখেছেন সিভি আনন্দ বোস। নর্থ ব্লক সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন রাজ্যপালের নিশানায়।

    কবে লিখলেন চিঠি (CV Ananda Bose)

    গত ৬ জুন এবং ২০ জুন শাহকে (Amit Shah) লেখা দু’টি চিঠিতে, রাজ্যপাল  (CV Ananda Bose) অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেস (এআইএস)-এর অফিসারদের আচরণবিধি সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত করেছেন। সূত্রের খবর, এর আগে বিনীত গোয়েল এবং ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের আর্জি জানিয়ে নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)-কে চিঠি লিখেছিলেন বোস। 

    কী লিখলেন চিঠিতে (CV Ananda Bose)

    ৬ জুন শাহকে (Amit Shah) পাঠানো চিঠিতে গোপালিক, বিনীত, ইন্দিরার নাম করে বোস (CV Ananda Bose) লিখেছেন, ‘‘এই অফিসারেরা নির্লজ্জ ভাবে সংবিধানিক কার্যপ্রণালী এবং বিশেষ করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। যদি ওই কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তা হলে ভুল বার্তা যাবে। যার ফলে পরিষেবার আরও অবনতি হতে পারে এবং এর ফলে জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি হতে পারে।’’ ওই চিঠিতে গোপালিকের বিরুদ্ধে আইএসএস কার্যবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি ‘দুর্নীতিতে সহায়তা করা এবং উৎসাহ দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছেন বোস। এ প্রসঙ্গে চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতি, উপাচার্য নিয়োগে অনিয়ম এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়েছেন শাহকে। ২০ জুনের চিঠিতে বিনীত এবং গোপালিকের নাম করে বোস তাঁর বিরুদ্ধে রাজভবনকাণ্ডে তদন্তের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাঁকে রাজ্য থেকে সরানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন।

    আরও পড়ুন: বাঁচতে হলে দূরে থাকুন! মৃত্যু-ঝুঁকি বাড়াতে পারে আলট্রাপ্রসেসড ফুড, বলছে গবেষণা

    কেন এই চিঠি (CV Ananda Bose)

    ঘটনার সূত্রপাত, সম্প্রতি রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে রাজভবনের এক মহিলা কর্মী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের না করা হলেও মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়েছিল  কলকাতা পুলিশ। ওই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ডিসির বিরুদ্ধে ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেস’ (এআইএস)-এর অফিসারদের আচরণবিধি সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনে’র অভিযোগ এনেছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে মুখ্যসচিব গোপালিকের বিরুদ্ধে আইএসএস কার্যবিধি লঙ্ঘন এবং ‘দুর্নীতিতে সহায়তা করা এবং উৎসাহ দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছেন বোস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক মিনিটের নির্দেশ পেলেও সেটা বড় পাওনা”, কোর্টের রায় নিয়ে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “এক মিনিটের নির্দেশ পেলেও সেটা বড় পাওনা”, কোর্টের রায় নিয়ে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের কাছে আমার নীতিগত লড়াই ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে পাঁচ দিন বসে নাটক করলেও ১৪৪ ধারা থাকে না। রাজভবনে ধর্নায় এক মিনিটের অনুমতি দিলেও সেটা আমার কাছে বড় পাওনা ছিল। আদালত আমাকে চার ঘণ্টার নির্দেশ দিয়েছে, এটা বড় পাওনা। ১৪ তারিখে রাজভবনে প্রতিবাদে বসা নিয়ে তৃণমূল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বুধবার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপ-নির্বাচনের প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে আসেন। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন আগামী ১৪ তারিখে প্রায় ২০০ জন শহিদ পরিবার এবং ৩০০ জন অত্যাচারী পরিবারকে নিয়ে রাজভবনের সামনে প্রতিবাদে বসব। তাঁর রাজভবনে বসা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা চলছিল। রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই আদালত শুভেন্দু অধিকারীকে চার ঘণ্টার প্রতিবাদে বসার অনুমতি দেয়। সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে পাঁচ ঘণ্টা অনশনে নাটক করলেও তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকে না।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    চোপড়া নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

    চোপড়াকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, চোপড়ায় যা হয়েছে তা দেশবাসীর কাছে লজ্জার। তৃণমূলের মদতেই এসব হয়েছে। ভোটের পর থেকেই বিজেপি  (BJP) কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া। হিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। অন্যদিকে, জগন্নাথ সরকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে বিশেষ কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। এখানে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। প্রচার তিনি শুরু করেছেন প্রচার তিনিই শেষ করবেন। আর এই বিধানসভার মানুষ বিজেপির (BJP) সঙ্গে রয়েছেন। এবার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shyamnagar: শ্যামনগরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shyamnagar: শ্যামনগরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথাভাঙার পর এবার শ্যামনগর (Shyamnagar)। বিজেপি মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকায়। আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shyamnagar)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মীর বাড়ি শ্যামনগরের (Shyamnagar) কাউগাছি এলাকায়। তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত ভোটেও দলের হয়ে তিনি প্রচুর খেটেছিলেন। ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেসব তোয়াক্কা না করেই বিজেপির হয়ে কাজ করে গিয়েছেন। ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পরই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ওই বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। পরে, এলাকায় তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়। বাড়িতে পরিবার নিয়ে তিনি একাই থাকতেন। তিনি আয়ার কাজ করেন। কিন্তু, এই ঘটনার পর তাঁর কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হত। আর তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রয়েছে। সে আতঙ্কে স্কুল পর্যন্ত যেতে পারত না। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা ছিলেন। বুধবার পাড়ার ট্যাপ থেকে তিনি জল আনতে যান। সেই সময় পাড়ার অন্যরা সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। ট্যাপে জল নিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর এই জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার শুরু। এরপরই মহিলা বিজেপি কর্মীকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গল গল করে তাঁর মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে, তাঁর বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রসঙ্গত, কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এবার শ্যামনগরের তৃণমূলের নির্মম অত্যাচারের ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, এটা পারিবারিক কোনও গন্ডগোলের কারণে ঘটেছে। পরে, রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে। এসব করে বিজেপি (BJP) তৃণমূলকে বদনাম করতে চাইছে। অন্যদিকে, বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, দলীয় ওই কর্মীকে ভোটের পর থেকে তৃণমূল একঘরে করে রেখেছিল। বিজেপি করার অপরাধেই এই হামলা। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI in NEET: যে আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই

    CBI in NEET: যে আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেই আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছিলেন সেই আবাসনেই এবার সিবিআইয়ের হানা। তবে সাংসদ খুন কাণ্ডে নয়, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিত কুমারের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা অমিতের নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিট কাণ্ডের কলকাতা যোগ

    সিবিআই সূত্রের খবর, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে অমিত কুমারের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিনের তল্লাশি অভিযান। আবাসনের ১২ নম্বর ব্লকের দোতলায় অমিতের রুম ছিল তালাবন্দি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের একাধিক তথ্য মিলতে পারে। যদিও ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ ছিল। সেই তালা ভাঙতে সিবিআই আধিকারিকেরা এক জন চাবিওয়ালাকেও নিয়ে যান। নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট থেকে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ২২ জুন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে সিকন্দর যাদব আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য চক্রী সঞ্জীব মুখিয়ার এখনও হদিস পায়নি সিবিআই।

    আরও পড়ুন: গোয়েন্দার চাকরি ছেড়ে ধর্মগুরু! হাথরসের সেই ‘ভোলেবাবা’ পলাতক

    সূত্রের খবর, এই সঞ্জীবই প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের মূল চক্রী। তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

    হাজারিবাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস

    নিটের প্রশ্ন প্রথমবার ফাঁস হয়েছিল হাজারিবাগের একটি প্রস্তুতি সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই অন্যান্যদের হাত ধরে তা বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।  একেকটি প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায়। সিবিআই মনে করছে এই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নথি পেতে পারে। সেই কারণেই এই তল্লাশি অভিযান। প্রসঙ্গত এই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সেই আবসনেই বুধবার নিট কাণ্ডে সিবিআই হানা দিল।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: কাঁচরাপাড়ায় বুলডোজারে উচ্ছেদ বেআইনি দোকান, ভাঙা হল বিরোধীদের পার্টি অফিস

    North 24 Parganas: কাঁচরাপাড়ায় বুলডোজারে উচ্ছেদ বেআইনি দোকান, ভাঙা হল বিরোধীদের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে দোকান গজিয়ে ওঠার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা রেখেই আজ কাঁচরাপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভা, থানামোড় থেকে কুমোরপাড়া পর্যন্ত উচ্ছেদের কাজে নেমেছে। সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে নির্মিত দোকান যেমন ভেঙে ফেলা হয়েছে, একই ভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয়ও ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় হকাররাও নিজেদের জীবন-জীবিকা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তা প্রকাশ করেছেন।

    ভাঙা হল দলীয় কার্যালয় (North 24 Parganas)?

    কাঁচরাপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন সিপিএম-এর দলীয় অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুরকর্মী এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ করে দলীয় কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের বক্তব্য ছিল, “আগে থেকে প্রশাসন কেন চিঠি বা নোটিশ দিয়ে আমাদের জানায়নি। আমাদের সময় না দিয়ে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল অফিস। কিন্তু কেন এই ভাবে ভাঙা হল? আমরা রাজ্যে হকার উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করায় আমাদের দলীয় কার্যালয়কে টার্গেট করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজত্বে জল্লাদদের শাসন চলছে। তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের দলীয় কর্মীদেরও ভাঙচুর করেছে।”

    সরকারি জমিতে ছিল তৃণমূলের কার্যালয়!

    কাঁচরাপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভার মধ্যে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছিলেন তৃণমূল টাউন সভাপতি খোকন তালুকদার। আজ পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযান চালানোর আগেই নিজের পার্টি অফিসের সরিয়ে নিয়েছেন। লোক লাগিয়ে অফিসের জিনসপত্র তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে টাউন সভাপতি বলেছেন, “দলের নেত্রী যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন যে জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা যাবে না। তাই আমরা আজ পুরসভার কাজের সুবিধার জন্য দখল মুক্ত করলাম জায়গা। এই অফিস আমাদের ৩০ বছরের পুরাতন ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ ২৮টি রাজ্যের পাহাড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে বাংলার যুবক

    হকারদের বক্তব্য

    আজ দোকান (North 24 Parganas) ভেঙে দেওয়ায় স্থানীয় হকাররা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক হকার ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা অত্যন্ত গরিব মানুষ, কোনও ক্রমে রাস্তায় দোকান করে খাই। এবার আমাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই তাই পরিযায়ী হয়ে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেতে হয়। এখন হকারি করে খওয়ার অধিকারও কেড়ে নিল। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share