Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: সরকারি দফতরে তৃণমূলের মদতে নির্বিচারে কাটা পড়ল গাছের ডাল, প্রতিবাদে বিজেপি

    Nadia: সরকারি দফতরে তৃণমূলের মদতে নির্বিচারে কাটা পড়ল গাছের ডাল, প্রতিবাদে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও অফিসের ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে ফুটবল খেলার মাঠ। এই খেলার মাঠের চারিদিকে রয়েছে বড় বড় আমগাছ। সেই আম গাছের ডাল নির্বিচারে কাটা হয়েছে । এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অরণ্য সপ্তাহ চলছে। অরণ্য সপ্তাহ পালনের মধ্যে এইভাবে ব্লক প্রশাসনের ভিতর যেভাবে গাছের ডালগুলি কাটা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের (Trinamool Congress) মদতেই এসব হয়েছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির।

    কাটমানি নিয়ে গাছ চুরির অনুমতি! (Nadia)

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠ পরিষ্কারের নামে যেভাবে কৃষ্ণগঞ্জের (Nadia) বিডিও অফিস চত্বরে গাছগুলির ডাল কাটা হয়েছে, এটা কখনও কাম্য নয়। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অমিত প্রামাণিক বলেন, কীভাবে অফিস ক্যাম্পাসের মধ্যে গাছগুলিকে কাটা হয়েছে, বন দফতর কীভাবে গাছগুলি ন্যাড়া করার অনুমতি দেয়। না আদৌ এই ন্যাড়া করার পিছনে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? তিনি আরও বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে কয়লা চুরি, বালি চুরি, চাকরি চুরির পর এবার গাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল নেতারা কাটমানি নিয়ে গাছ চুরির অনুমতি দিয়েছে। আমাদের দাবি, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    প্রতিবাদে সরব পরিবেশপ্রেমী

    পরিবেশপ্রেমী (Nadia) স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, কোনও অবস্থাতেই এইরকমভাবে ফলন্ত গাছের ডাল কাটা যায় না। গাছের ডাল যেভাবে কাটা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই অধিকাংশ গাছ মারা যাবে। প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে বিডিও অফিস থেকে এই আম গাছগুলির ফল বিক্রি করা হয় অর্থাৎ লিজ দেওয়া হয়। যে বা যারা এই গাছের ডাল নির্মমভাবে কাটার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত করে করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী তথা কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলি দাস বলেন, মাঠের সৌন্দর্যায়নের জন্য গাছের ডাল কাটা হয়েছে। বিজেপির লোকেরা উন্নয়ন দেখতে পান না বলেই তাঁরা এই সমস্ত অভিযোগ করছেন। যে ডালগুলি কাটা হয়েছে, সেগুলি আইন মাফিক করা হয়েছে। গাছের কাটা ডাল টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Justice Amrita Sinha: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে ২৬ হাজারের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছেই। এরই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) প্রশ্ন উঠল, প্রাথমিকের ৪২ হাজার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। মঙ্গলবারই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) ওই ৪২ হাজার চাকরির নিয়োগ প্যানেল দেখতে চান। এছাড়া, এ বিষয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ওই নিয়োগ প্যানেল আদালতে জমা করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩০ জুলাই।

    নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক সোমনাথ সেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী

    মঙ্গলবারে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে শুনানির জন্য ওঠে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। সে সময় রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৪২০০০ পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক সোমনাথ সেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। 

    বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) প্রশ্ন

    মামলা চলাকালীন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) সিনহা জানতে চান, ‘‘ওই ৪২ হাজার নিয়োগের তালিকা কোথায়? কারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন?’’ জবাবে মামলাকারীর যুক্তি শোনার পর তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্যানেল মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার। কারা যোগ্য এবং কারা চাকরি পেলেন, তা প্যানেল থেকেই জানা সম্ভব।’’ এর পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘‘নিয়োগ যখন হয়েছে, প্যানেল তো থাকবেই। সেই প্যানেলই আদালত দেখতে চায়।’’ এখন দেখার আগামী ৩০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতি কী নির্দেশ দেন। তার আগে অবশ্য ২০১৪ সালের টেটের ৪২ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে (Calcutta High court) জমা দিতে হবে পর্ষদকে।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Singur: সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    Singur: সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আরও একটি বর্ষার মরসুম চলছে, কিন্তু সিঙ্গুরের (Singur) জমির একাংশে এখনও চাষের কাজ শুরু হয়নি। জমির মালিকরা এখনও চাষ করতে পারেননি। উল্লেখ্য এই জমিতে সিপিএম টাটার কারখানা করতে চেয়েছিল, কিন্তু জমি আন্দোলনের চাপে তা হয়নি। ক্ষমতায় এসে তৃণমূল নেত্রী ওই জমিতে সর্ষে ফেলেছিলেন, দিয়েছিলেন জমি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। এখন জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল নেতারাই চাষের যোগ্য জমি এবং শিল্প চেয়ে সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই বিস্ফোরক দাবিতে সিঙ্গুরে উলট পুরাণ!

    তৃণমূল নেতা ‘শিল্প’ চান (Singur)!

    সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পরিচিত মুখ তথা তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধাড়া বলেছেন, “জমিকে চাষযোগ্য করার জন্য কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ থমকে গিয়েছে। এবার এই কাজ শুরু হোক। এই নিয়ে ঘরোয়া ভাবে আমরা ইতিমধ্যে পাঁচটি বৈঠক করেছি। বৈঠকে সকলে একমত হয়েছেন যে ওই জমির একাংশে আর চাষ করা সম্ভব নয়। তাই ওই অংশে কোনও শিল্পোদ্যোগী শিল্প করুক আর বাকি অংশে চাষ হোক। এই জমি চাষযোগ্য করে দিতে রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন করব।” উল্লেখ্য এই তৃণমূল নেতারা কারখানা চাইছেন আবার চাষযোগ্য জমিও চাইছেন। অপরে সিঙ্গুরের মাটিতে কারখানা চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জমি বাঁচাও আন্দোলনের নামে কারখানার বিরোধিতা করেছিলেন তখন, ফলে চাষ বা শিল্প কোনটাই জোটেনি সিঙ্গুরবাসীর কপালে।

    ১২টি কালভাট ছাড়া কোনও কাজ এগোয়নি

    সিঙ্গুরের চাষিরা বলেছেন, “গোপাল নগর, খাসেরভেড়ি এবং সিংহেরভেড়ির ওই জমিতে মূল কারখানা (Industry) হয়েছিল। ওই অংশের জমি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। সরকার জমির চেহারা ফেরাতে ডিনামাইট ফাটিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। ফলে জমিতে কোঁদলে উঠে আসছে কংক্রিট। একই ভাবে সেচের জন্য নিকাশি ১২টি কালভাট তৈরি হলেও আর কোনও কাজ এগোয়নি। তাই এই বর্ষায় জমিতে চাষ করতে না পারায় সকলের মনে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।” আবার সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলছেন, ‘‘যাঁরা এই আবেদন করবেন, নিশ্চিত ভাবে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কর্তা বলেছেন, “সিঙ্গুরের (Singur) ওই জমিতে যে সমস্যা আছে তা দূর করতে আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথমে বর্ষা ও পরে নির্বাচনের কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। সেই কাজের পরিকল্পনা এখনও রয়েছে। তবে কেউ পরামর্শ দিলে ভেবে দেখার সুযোগ রাখব।”

    আরও পড়ুনঃইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    মমতার প্রতিশ্রুতি ছিল চাষযোগ্য করে দেবো

    বাম আমলে টাটার গাড়ি কারখানার (Industry) জন্য সিঙ্গুরে (Singur) প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালে এই অধিগ্রহণকে অবৈধ জানিয়ে জমি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই জমিকে চাষযোগ্য করে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজ শুরু হলেও অর্ধেকের বেশি জমি এখনও চাষের অযোগ্য বলে চাষিদের একাংশের দাবি। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন এই দাবি ঠিক নয় বলে মানতে নারাজ। প্রশাসনের দাবি মাত্র অল্প পরিমাণ জমি চাষের আওতার বাইরে আছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস

    South 24 Parganas: খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকল সোনা বিক্রির চক্রের পান্ডা কুলতলির পয়তারহাটে সাদ্দাম সর্দারের ডেরায় হানা দিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। খাটের নীচে হদিশ মিলল বিশাল সুড়ঙ্গের। অতীতে রাজা বাদশাহ, সুলতানদের বাসভবনে এই ধরনের সুড়ঙ্গের কথা শোনা যেত। সেসব সুরঙ্গে আজও অনেকের কাছে কৌতুহল জাগায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পয়তারহাটে বসেই দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নকল সোনার কারবার চালাচ্ছিল প্রতারক সাদ্দাম সর্দার, তার ভাই সায়রুল-সহ গোটা পরিবার। কিন্তু, শুধুই কি সোনা পাচার? নাকি তলায় তলায় চলত দুর্নীতির এক বিরাট চক্র ? উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে জাল টাকার ব্যবসার আশঙ্কার কথাও।

    কেন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল? (South 24 Parganas)

    পুলিশ সূত্রে খবর, নকল সোনা বিক্রির পাশাপাশি, জাল নোট চক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল কুলতলির (South 24 Parganas) সাদ্দামরা। খাটের নীচেই তাই কাটা হয়েছিল সুড়ঙ্গ। যাতে লোকচক্ষুর আড়াল দিয়েই বেরিয়ে যাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর ধরে নকল সোনার মূর্তির কারবারে হাত পাকিয়ে ফেলেছিল তারা। ক্রেতাদের টোপ দিয়ে কুলতলির ডেরায় ডেকে মারধর করে টাকা লুট করায় সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিল এই পরিবার। ছিল জাল নোটের কারবারও। গ্রেফতারের পর এই সব তথ্য স্বীকার করেছে সাদ্দাম ও সায়রুলের স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    কীভাবে খোঁজ মিলল এই সুড়ঙ্গের?

    সাদ্দামের বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানো হয়। ঘরের ভিতরে খাট সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গের মুখটা খুব একটা বড় নয়। তবে, সেই সুরঙ্গের মুখে একটি গেটও রয়েছে। সেই সুরঙ্গ সোজা গিয়ে পড়েছে খালের জলে। আর সেই খালে রাখা থাকত ডিঙি নৌকা। পুলিশ তাড়া করলে সেই খাল পথেই পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল অভিযুক্তদের। সেই খালের সঙ্গে যোগ রয়েছে মাতলা নদীর। সেই পথে বাংলাদেশে বা অন্য দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এদিকে ঘরের মধ্যে এই সুরঙ্গ দেখে কার্যত হতবাক পুলিশ কর্তারাও। সূত্রের খবর, কুলতলিতে নকল সোনার কারবার চলছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছিল। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশ ওই গ্রামে গেলে পুলিশের ওপর সাদ্দামের লোকজন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে সাদ্দামের ভাই গুলি চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে, বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। ততক্ষণে বেপাত্তা সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা। এরপর সাদ্দামের বাড়িতে যায় পুলিশ। আর সেখানে সাদ্দামের খাট সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গ। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে সুড়ঙ্গ একদিনে তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। দিনের পর দিন সময় লেগেছে কংক্রিটের সুড়ঙ্গ তৈরি করতে। কিন্তু, তারপরেও কেন জানতে পারল না পুলিশ? আর সেই সুড়ঙ্গে মুখটা খোলা রয়েছে। তারপরেও তা জানতে পারল না পুলিশ।

    সাদ্দামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল যন্ত্র

    কুলতলির (Kultuli) সাদ্দামদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে একটি যন্ত্র। মনে করা হচ্ছে, এই যন্ত্র দিয়ে ধাতু গলানো হত। আসলে লোক ঠকানোর জন্য নানা পদ্ধতি নিত সাদ্দামরা। বড় টিম কাজ করত। সোনা বলে ভুল বুঝিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করত তারা। সোনার মূর্তি, সোনার কয়েনের নাম করে এরা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিত। এরপর পুলিশ বিরাট বাহিনী নিয়ে কুলতলি (Kultuli) এলাকায় যায়। আর সেই অভিযানে মিলল সুড়ঙ্গ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    Hooghly: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপের সবচেয়ে দুর্গম এবং উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয় করে ভারতীয় হিসেবে নজির গড়েছেন হুগলির (Hooghly) ছেলে শুভম চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই জয়ে উজ্জ্বল হয়েছে বাংলার মান। তিনিই প্রথম ভারতীয় বাঙালি যুবক, যিনি এই পর্বত আরোহণ করেছেন। আগেও মাউন্ট কিলিমাঞ্জার জয় করেছেন তিনি, পরবর্তী মিশন ওশিয়ানিয়া।

    ৫৬৪২ মিটার উচ্চতায় পর্বত শৃঙ্গ জয় (Hooghly)

    ইউরোপের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস হল রাশিয়ায় অবস্থিত। শুভম এই পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গত জুলাই মাসে। শুভমের বাড়ি হুগলির (Hooghly) হিন্দমোটর এলাকায়। টানা ৯ দিনের কঠিন পথকে অতিক্রম করে ৫৬৪২ মিটার উচ্চতায় পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি। তবে এই পর্বত আরোহণের পথ অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। নানা সমস্যা এবং প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। একদিকে তুষার ঝড় অপর দিকে বরফে ঢাকা পাহাড়ে বড় বড় গর্ত। এই সব কিছুকে অতিক্রম করে ভারতের পতাকা উড়িয়ে ছিলেন শুভম। তবে তুষার ঝড়ের তাপে মুখের চামড়া পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তবুও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। তাঁর জয়ে রাজ্য সহ গোটা দেশ কুর্নিশ জানিয়েছে। পরিবারে উচ্ছ্বাস এবং খুশির আবহ।

    বাঙালি হিসেবে প্রথম এই সাফল্য

    এই পর্বতশৃঙ্গ জয়ের পর শুভম (Hooghly) বলেছেন, “মাউন্ট এলব্রুস একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে সফল হতে পেরে খুব আনন্দিত আমি। ভারতীয় হিসেবে আমি প্রথম এই দুর্গম পর্বতশৃঙ্গের উত্তর দিক থেকে উঠে আবার উত্তর দিক ধরেই নামতে পেরেছি। তবে আমার সঙ্গে আরও একজন ভারতীয় ছিলেন। তিনি অবশ্য উত্তর দিক থেকে উঠে আবার দক্ষিণ দিকে অবতরণ করেছেন। ফলে বাঙালি হিসেবে প্রথম এই সাফল্যে অত্যন্ত গর্ব অনুভব হচ্ছে। তবে অভিযানে ভাষার একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সকলে সকলকে সহযোগিতা করায় অভিযান সফল হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    পরিবারের বক্তব্য

    শুভমের মা তাঁর এই সাফল্যে বলেছেন, “ছেলের কর্মের জন্য আজ আমার বেশ গর্ব হচ্ছে, তবে অনেক ভয়ের মধ্যে ছিলাম। কখনও কখনও সাত-আট দিন পর্যন্ত কথা হতো না। খুব উদ্বেগের মধ্যে থাকতে হতো। তবে ছেলে প্রতি বছর কোথাও না কোথাও আরোহণ করে থাকে। আবার বাড়ি (Hooghly) ফিরেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ওর স্বপ্ন পূরণ হোক এই কামনা করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পঞ্চায়েত সদস্য হতে জাতিগত শংসাপত্র জাল! কোর্টের গুঁতোয় পদ হারালেন তৃণমূল নেত্রী

    Murshidabad: পঞ্চায়েত সদস্য হতে জাতিগত শংসাপত্র জাল! কোর্টের গুঁতোয় পদ হারালেন তৃণমূল নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষিত আসনে জাল জাতিগত শংসাপত্র (ওবিসি সার্টিফিকেট) ব্যবহার করে ভোটে লড়ার দায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার সদস্যপদ বাতিল করল জেলা প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক শ্রীকান্ত জি সিং ইতিমধ্যেই রেখা খাতুন নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার সদস্যপদ বাতিলের চিঠি সকল আধিকারিককে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের প্রকাশ হওয়ার কিছুদিন পর সিপিএমের তিলডাঙা (Murshidabad) শাখা কমিটির সম্পাদক শাকির শেখ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রেখা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি তাঁর ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েছিলেন এবং আসনে জয়লাভ করেছেন। এরপর অভিযোগকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং কোর্টের নির্দেশে রেখা খাতুনকে ‘শোকজ’ করে জেলা প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার শুনানি শুরু হয়। ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করে পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পর সেই ওবিসি সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ায় তৃণমূলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত সদস্যার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    অভিযোগকারী কী বললেন?

    অভিযোগকারী শাকির শেখ বলেন, ” তৃণমূল সদস্যা রেখা খাতুন (Trinamool Congress) ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। প্রায় ৭-৮ বছর আগে তিলডাঙা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়েছে। ওই পঞ্চায়েত সদস্যার দুটি জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে। একটি শংসাপত্রে তাঁর বাবার নাম রয়েছে গিয়াসউদ্দিন শেখ এবং অপরটিতে ধর্মডাঙা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক গিয়াসউদ্দিন মোমিনকে তাঁর বাবা বলে দেখানো হয়েছে। আমরা জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াই করি। সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করি। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ওই সদস্যা ওবিসি শংসাপত্র জাল করে তিনি মানুষের সঙ্গেই জালিয়াতি করেছেন। জালিয়াতি করা তৃণমূলের কাজ। ওবিসি শংসাপত্র জাল করার পিছনে তৃণমূল নেতাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের লড়াইয়ে আমরা জিতবই। তৃণমূলের জালিয়াতি মানুষের সামনে এনে দিয়েছি। প্রশাসন পদক্ষেপ নেওয়ায় আমরা খুশি। আমরা চাই, ওই আসনে পুনরায় ভোট হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার উল্টোরথের অনুষ্ঠানে যোগদান করে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ার সাঁকরাইলের নবঘরায় তিনি বলেছেন, “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে।” তবে তাঁর এই ভাষণের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রথযাত্রার দিনেই রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) চলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এরপর একাধিক বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, “যদু বংশ ধ্বংসের সময় মুষল পর্ব শুরু হয়েছিল। তৃণমূলেও তাই শুরু হয়েছে। এই ভাবেই তাঁদের দল শেষ হয়ে যাবে।” শুধু তাই নয় এই বর্ষায় সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে মমতার সরকারে সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, “দেশের বিভিন্ন রাজ্য পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়েছে। আর বাংলায় তৃণমূল সরকার অতিরিক্ত কর বসিয়েছে। গ্রাম থেকে সবজি, আনাজ, ফল গাড়িতে করে শহরে আসে। ফলে জ্বালানির দাম না কমালে সবজির দাম কমবে না, লোক দেখানো টাস্ক ফোর্স দিয়েও কমবে না।”

    আরও পড়ুনঃ রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    উপনির্বাচনে ব্যাপক রিগিং করেছে তৃণমূল!

    এদিন এই সভা থেকে রাজ্যে চার আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেছেন, “তৃণমূল (TMC) উপনির্বাচনে ব্যাপক ভাবে রিগিং করেছে। মাত্র এক মাস আগেই লোকসভার ভোটে যে কেন্দ্রগুলিকে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেখানে তৃণমূল কোন কাজ করল যে মানুষ এতো পরিমাণে ভোট দিল! এটা সম্পূর্ণ ভাবে রিগিং এবং ছাপ্পার ফলাফল। আগে হুগলির আরামবাগে সিপিএম নেতা অনিল বসু তিন-চার লাখ ভোটে জিতে মমতাকে পশ্চাৎদেশ দেখিয়ে ছিলেন। আজ সেই অনিল বসু এবং সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূলের অবস্থা আরও খারাপ হবে। না হলে এক একটি বুথে বিজেপি মাত্র ২-৩টি করে ভোট পায়? আগে সিপিএম যা করেছে, তৃণমূল এখন তাই করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tarapith Ratha Yatra: রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    Tarapith Ratha Yatra: রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। স্নানযাত্রার পর নিভৃতবাস থেকে বেরিয়ে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে চড়ে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথদেব। এর সাতদিন পরে তাঁরা যখন ফিরে আসেন, সেটাই উল্টো রথ নামে পরিচিত। এই রথযাত্রা ও উল্টোরথের শুভ দিনে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্তরা। মা-তারার (Tarapith Ratha Yatra)  বিগ্রহকে গর্ভগৃহের বাইরে আনা হয় শুধুমাত্র রথের এই দু’দিন। এরপর রথে বিগ্রহকে বসিয়ে প্রদক্ষিণ করা হয় তারাপীঠ।

    তারাপীঠে রথের প্রচলন কবে শুরু হয়? (Tarapith Ratha Yatra)  

    তারাপীঠে রথযাত্রার (Tarapith Ratha Yatra) মাহাত্ম্যই আলাদা। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে রথযাত্রা উৎসব নয়, তারাপীঠে তারা-মা-ই জগন্নাথের প্রতিভূ। একাধারে তিনিই কালী, তিনিই কৃষ্ণ। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ-দুই পর্যায়ের রথেই মা-তারাই অধিষ্ঠিতা থাকেন। তারাপীঠের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, আনুমানিক ১৭৮০ সালে নাটোরের রানি ভবানীর দত্তকপুত্র রাজা রামকৃষ্ণ তারাপীঠে রথের প্রচলন করেছিলেন। পরবর্তীকালে কলকাতার আশালতা সাধুখাঁ নামে এক ভক্ত রথঘর নির্মাণ করেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে যার উদ্বোধন হয়েছিল। সেই সময় কাঠের তৈরি একটি রথে তারা-মাকে বসিয়ে গোটা চণ্ডীপুর গ্রাম (বর্তমানে তারাপীঠ নামে পরিচিত) প্রদক্ষিণ করানো হত। সেই সময় রথের রশিতে টান দিতে স্থানীয় মানুষ ছাড়াও আশপাশের বাসিন্দারাও ভিড় জমাতেন। হরিনাম সংকীর্তন, বিভিন্ন রকমের বাজনা ও ‘জয় তারা’ ধ্বনি সহযোগে তারা মাকে রথে চাপিয়ে গ্রাম ঘোরানো হত। সময় যত গড়িয়েছে, তারা মায়ের রথের মাহাত্ম্য ততই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

    আরও পড়ুন: জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    উল্টোরথে তারা মাকে দেখতে ভক্তদের ঢল নামে

    রথযাত্রার দিনের মতো, উল্টো রথের দিন, সোমবার বিকেলে মা-তারার বিগ্রহকে (Tarapith Ratha Yatra) প্রদক্ষিণ করানো হল তারাপীঠে। যেহেতু তারাপীঠে মা-তারা একমাত্র অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই মা তারাকেই এখানে দেবদেবী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। আর বছরের তিনটি দিনে মা-তারাকে মূল মন্দির থেকে বের করা হয়। এক, শুক্লা চতুর্দশীর দিনে আবির্ভাব দিবসে। অন্যদিন, এই রথযাত্রার দিনে এবং উল্টো রথের দিনে। উল্টো রথযাত্রার দিনে মা-তারাকে রথে চাপিয়ে তারাপীঠ এলাকা প্রদক্ষিণ করা হয়। তারপর আবার মাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হয়। মা-তারার এই বিশেষ রথযাত্রা দেখতে তারাপীঠে (Birbhum) প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ঘোষণামতো পোর্টাল খুলল বিজেপি, ভোট না দিতে পারলে নথিভুক্ত করা যাবে নাম

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ঘোষণামতো পোর্টাল খুলল বিজেপি, ভোট না দিতে পারলে নথিভুক্ত করা যাবে নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে যাঁরা ভোট দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য পোর্টাল খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার সেই ঘোষণামতোই নতুন পোর্টাল (LoP Portal) খুলল বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এই নতুন পোর্টালের বিষয়ে জানিয়েছেন। পোর্টালটির নাম দেওয়া হয়েছে savedemocracywb. Com. জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ভোটার বিগত লোকসভা নির্বাচন অথবা সদ্য সমাপ্ত ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নি তাঁরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এই পোর্টালে।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “কথা দিয়েছিলাম। সেইমতোই পোর্টাল লঞ্চ করলাম। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট ও সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেননি তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। তাঁদের নাম পরিচয় গোপন থাকবে।” পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেভ ডেমোক্রেসি ডব্লুবি’।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, পোর্টালে (LoP Portal) ভোটাররা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও জানাতে পারবেন। অর্থাৎ কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি, সেকথা জানাতে পারবেন ভোটাররা। ভোটারদের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি গণতন্ত্রপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে, গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পোর্টালে যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার পরে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’

    প্রথমত লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস ও বিধানসভা উপনির্বাচনের ব্যাপক ভোট লুটের অভিযোগ উঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের নিয়ে রবিবারের রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। সেখানেই ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করার ডাকও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন ২১ জুলাই দুপুর একটায় রাজ্যের প্রতিটি থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Price Hike: বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা, কাজ হচ্ছে কিছু, নাকি পুরোটাই ‘আইওয়াশ’?

    Price Hike: বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা, কাজ হচ্ছে কিছু, নাকি পুরোটাই ‘আইওয়াশ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অনেকটা চোর-পুলিশ খেলার মতো! সবজির দাম কমাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে হানা (Price Hike) দিচ্ছেন টাস্ক ফোর্সের (Task Force) সদস্যরা। অভিযোগ, এই হানার পর সাময়িক কমছে আনাজপাতির দাম। টাস্ক ফোর্স উধাও হলেই, পরিস্থিতি দাঁড়াচ্ছে যথা পূর্বং, তথা পরং। অতএব, মুখমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্সের অভিযান চললেও, তা যে নিতান্তই ‘আইওয়াশ’, তা বুঝতে বাকি নেই বঙ্গবাসীর।

    কী বলছেন ক্রেতারা? (Price Hike)

    ক্রেতাদের একটা বড় অংশের দাবি, যখন যে বাজারে অভিযান চলছে, সেখানে কাঁচা আনাজের দাম কমছে ৫-১০ টাকা। পরের দিনই ফের সবজি কিনতে গিয়ে দামের আঁচে হাত পোড়ার জোগাড় মধ্যবিত্তের। টাস্ক ফোর্সের অভিযানের পরেও রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে আলু বিকোচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি। অন্যান্য সবজির দাম ৬০ এর নীচে নামেনি। মাগ্গিগন্ডার এই বাজারে ‘সস্তা’ বলতে কেবল পটল। খেয়ে খেয়ে গা এলিয়ে যাওয়া এই সবজির দাম ৪০ টাকা কেজি। অগ্নিমূল্য দর কাঁচালঙ্কার। ১৫ থেকে ২০ টাকা শ’দরে বিকোচ্ছে এই আনাজ। রসুনের দাম ৩০০ এর আশপাশে। আদার দামও বেশ চড়া।

    আরও পড়ুন: নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি, কোন খাতে বইবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের জল?

    কেন বাড়ছে দাম?

    কী কারণে দাম বাড়ছে আনাজের? খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, তাঁরা চড়া দরে কিনছেন। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে লাভের কড়ি হাতে রেখে। পাইকারি বিক্রেতাদের আবার দাবি, চাষিদের কাছ থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে চড়া দরে (Price Hike)। তাই বাড়ছে দাম। আর চাষিরা দোহাই দিচ্ছেন, গরমের। তাঁদের বক্তব্য, তীব্র গরমে পচে যাচ্ছে সবজি। স্বাভাবিকভাবেই ফারাক হচ্ছে চাহিদা ও জোগানের। সেই কারণেই চড়ছে দাম। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ব্যাখ্যা অবশ্য অন্যরকম। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় মাথাচাড়া দিয়েছে ফড়েরাজ। লাভের গুড় খেয়ে যাচ্ছে তারাই। বিরোধীদের একটা অংশের আবার দাবি, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সময় মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। ঘুরপথে তারই শোধ তুলছেন ব্যবসায়ীরা। তার জেরেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে আনাজের দাম।

    ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র জেরে রাজ্যে অলক্ষ্মীর প্রবেশ!

    লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটের ঝুলি ভরতে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে একলপ্তে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দেয় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। তার সুফলও কুড়োয় ঘাসফুল শিবির। এ রাজ্যে আসন কমে বিজেপির। আগের ফর্মে ফিরে যায় তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে যে ভোট ‘কেনা’ হয়েছিল, সবজি কিনতে গিয়ে তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ খরচ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রান্তিক মানুষের। লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা বাড়ানো, আবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য (Task Force) সরকারের উদাসীনতা, সবই কি ভোটের রাজনীতি? কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকতেই যত (Price Hike) ফিকির! আইওয়াশ!

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

            

LinkedIn
Share