Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা, মিলল হাইকোর্টের অনুমতি

    Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা, মিলল হাইকোর্টের অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বিজেপির ধর্নায় সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রথমে বিজেপিকে সেই অনুমতি না দিলেও অবশেষে বিজেপির ধর্নায় অনুমতি দিল হাইকোর্ট। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট শর্ত মেনেই বিজেপিকে এই ধর্নায় বসতে হবে। 

    কী জানিয়েছে হাইকোর্ট? (BJP Dharna) 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে শুভেন্দুর মামলার শুনানি ছিল। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের সামনে শুভেন্দুরা যদি ধর্নায় বসেন, তাতে তাঁদের আপত্তি নেই। এরপর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ধর্নায় অনুমতি দিয়ে  বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তবে সেখান থেকে করা যাবে না কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য। কোনও ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি করতে হবে। কোনও প্রকার অশান্তি সেখানে বরদাস্ত করা হবে না। দূষণবিধি মানতে হবে শুভেন্দু এবং তাঁর সঙ্গীদের। সকাল দশটা থেকে চার ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দু। আদালতের শর্ত অনুযায়ী ৩০০ লোক নিয়ে ধর্নায় বসতে পারবেন বিরোধী দলনেতা।   

    আরও পড়ুন: ভেঙেছে গত ১৪ বছরের রেকর্ড! চলতি বছর দেশে তাপপ্রবাহে মৃত্যু শতাধিক

    আগে কী ঘটেছিল? 

    তবে এর আগে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। বলা হয়, রাজভবনের সামনে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) তরফে গত বছর একই জায়গায় শাসকদলের কর্মসূচির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। যেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনেই টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই সেই দৃষ্টান্ত আদালতে জানান শুভেন্দু। সে সময় আদালত জানিয়েছিল, শাসকদলের নেতা ধর্নায় বসেছিলেন বলে তাঁদেরও ওই জায়গাতেই কর্মসূচি করতে হবে, তার কোনও যুক্তি নেই। শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গাও খুঁজতে বলেছিল আদালত। এরপর আদালতে বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজভবনের সামনে কর্মসূচির অনুমতি না পেলে তাঁরা রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্নায় (BJP Dharna) বসতে চান। যদিও পরে রাজভবনের সামনে বিরোধী দলনেতার কর্মসূচিতে সায় দেয় আদালত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি জমিতে তৃণমূলের মদতে বেআইনি নির্মাণ! কাজ বন্ধ করলেন মন্ত্রী

    South 24 Parganas: সরকারি জমিতে তৃণমূলের মদতে বেআইনি নির্মাণ! কাজ বন্ধ করলেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ত দফতরের জমি দখল করেই চলছিল দোকান নির্মাণ। স্থানীয় পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়ে সেই কাজ করছিল। কিন্তু, নেওয়া হয়নি পূর্ত দফতরের অনুমতি। ফলে, বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠছিল দোকান। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়ার পর হুঁশ ফিরল সকলের। বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি দোকান তৈরির কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    বেশ কয়েক মাস আগে গঙ্গাসাগরের (South 24 Parganas) সৌন্দর্যায়ন ও রাস্তা চওড়া হওয়ার জন্য বেশ কিছু অস্থায়ী দোকানদারকে তুলে দেওয়া হয় কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে এলাকা থেকে। দোকানদারদের পুনর্বাসনের জন্য মুড়িগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পূর্ত দফতরের জায়গায় অবৈধভাবে চলছিল এই নির্মাণ কাজ। দোকানদারদের থেকে কাটমানি নেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। তাতে, দোকান পিছু ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছিল। তৃণমূলের (Trinamool Congress) স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শিবশঙ্কর রক্ষিত বলেন, রাস্তা চওড়ার জন্য বহু ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয়। তাই, তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্যই ওই স্টলগুলি তৈরি করা হচ্ছিল। এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হল। পরে, বৈঠক করেই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, এই বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর বকখালি সুন্দরবন অথরিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র বলেন, এই নির্মাণ কার্য আমরা আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি, প্রশাসনিক বৈঠকের পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, ভেসেল বন্ধ থাকলে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ওই এলাকায়  সরকারিভাবে কোনও যাত্রীশেড নেই। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বারে বারে তৃণমূলের (Trinamool Congress) স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর দোকান বিক্রি করে শুধুমাত্র ব্যবসা করবে বলে নদী বাঁধ এলাকায় এই নির্মাণ কার্য চালাচ্ছে তারা।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    নদী বাঁধ এলাকায় এই কংক্রিটের নির্মাণ করা যায় কি না তা নিয়েও  প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, সর্বত্র এইভাবে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ নির্মাণ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আদতে নাটক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২৮টি রাজ্যের পাহাড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে বাংলার যুবক

    Murshidabad: ২৮টি রাজ্যের পাহাড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে বাংলার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দীর্ঘ ৯মাস ধরে ভারতের ২৮টি রাজ্যের উঁচু পাহাড়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে নাম লিখলেন বাংলার সেনকর্মী। এরপর দীর্ঘদিন পরে বাড়ি ফিরে এসে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার কান্দি শহরের বাসিন্দা অমিত ঘটক। তাঁকে সম্মাননা দেওয়া হল জেলা থেকে। এলাকায় খুশির আবহ।

    সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অমিত, ২০০০ সালে নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করেই দেশের হয়ে কাজ করার জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। এরপর রেজিমেন্টেও কাজ করেছেন তিনি। কখনও পাহাড়ের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার, কখনও বা বরফের ওপর দাঁড়িয়ে রাতের পর রাত পাহারা দিয়েছেন তিনি। তবে দেশের রাজ্যগুলিতে পাহাড়-পর্বত অতিক্রম করে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, এমনকী যেখানে শৃঙ্গ নেই সেখানকার সর্বোচ্চ উচ্চতায় গিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন। আর তাতেই বিশেষ সম্মান সহ দেশের নাম ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (World Book of Records) তুলেছেন অমিত।

    মাটি সংগ্রহে হয়েছে ভারতের ম্যাপ

    পশ্চিমবঙ্গের (Murshidabad) সর্বোচ্চ উচ্চতম শৃঙ্গ হল সান্দাকফু। লাদাখে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নুনে অবস্থিত, এমনকী সিকিমের জনসং শিখর, বিহারের গোবর্ধন পর্বত সহ একাধিক জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন অমিত। উল্লেখ্য প্রত্যক পাহাড় থেকে মাটি সংগ্রহ করে ভারতের ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের নিমাসে। আর এই মিশনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেনা জওয়ান হিসাবে ছিলেন অমিত ঘটক। অরুণাচল প্রদেশের জাতীয় পর্বতারোহণ এবং আনুষঙ্গিক ক্রীড়া সংস্থা নিমাসের তরফে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    অত্যন্ত গর্বিত অমিত

    মোট ৯জন প্রতিনিধিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অমিত। তিনি বলেছেন, “চারজন জুনিয়র কমিশন অফিসার, একজন কর্নেল ও চারজন সিভিল ইন্সট্রাক্টর ছিলেন এই মিশনের মধ্যে। তার মধ্যে সুবেদার ছিলাম আমি। রাজ্যের (Murshidabad) হয়ে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (World Book of Records) নাম তুলতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূল নেতার ভেড়ি, দখল নিল প্রশাসন

    Siliguri: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূল নেতার ভেড়ি, দখল নিল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবাশিস প্রামাণিকের পর এবার কি রঞ্জন শীলশর্মার পালা? সরকারি জমি দখল ও জমির অবৈধ কারবারের অভিযোগে ফুলবাড়ির বেতাজ বাদশা,সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে  ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সেই অভিযানে মঙ্গলবার গজলডোবায় ঝুলন্ত সেতুর পাশে আট বিঘা জমি দখলমুক্ত করে সরকারি সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এই জমি শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা দখল করেছিলেন। সেখানে ভেরি তৈরি করেছিলেন তিনি। একটি ঘরও ছিল। সেখানে নিয়মিত দলের নেতারা আসতেন। সেই জমি প্রশাসন দখল করে নেওয়ায় তাতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, এবার কি তাহলে রঞ্জন শীলশর্মার গ্রেফতার হওয়ার পালা?

    কেন পদক্ষেপ? (Siliguri)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল ও জমি মাফিয়ারাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। জমির অবৈধ কারবার বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। তাহলে এতদিন কেন নীরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্নে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬ টি ওয়ার্ডেই বিজেপির থেকে তৃণমূল অনেকটা পিছিয়ে। মেয়র সহ তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডেও একচেটিয়া ভোট পেয়ে বিজেপি বড় লিড নিয়েছে। বাদ নেই এই নেতার ওয়ার্ডও। এটা মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে পারেননি। তাই, এলাকার শীর্ষ নেতা ও কাউন্সিলরদের অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সকলকে বার্তা  দিতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

     কে এই রঞ্জন শীলশর্মা?

    জানা গিয়েছে, রঞ্জন শীলশর্মা শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। পেশায় তিনি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। এলাকায় তাঁর বিশাল প্রভাব-প্রতিপত্তি। একবার দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জমির অবৈধ কারবার করা ও মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, তাতে রঞ্জনের কোনও সমস্যা হয়নি। বরাবরই তিনি ডাকাবুকো নেতা হিসেবে পরিচিত। গৌতম দেবের বিরুদ্ধে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর হয়েও তিনি বারবার সরব হয়েছেন। তিনি সব সময় নিজের সিদ্ধান্তেই চলেন। প্রকাশ্যে দলের মেয়রের সমালোচনা করতে তাঁর গলা কাপে না। তাই সরকারি জমি প্রশাসন ফিরিয়ে পরও তিনি নির্বিকার। তিনি শুধু বলেন, সরকারের জমি সরকার নিয়েছে।

     আতঙ্কে তৃণমূলের অন্য কাউন্সিলররা

    জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে তিনি এগিয়ে রাখতে পারেননি। লোকসভা নির্বাচনে এই ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে এবার বিতর্কিত রঞ্জন শীলশর্মাকেও কি কোনও কোনও তৃণমূল নেতার স্বার্থে ছেটে ফেলা হবে? এ প্রশ্ন দলের অন্দরে। আর এই প্রশ্নেই শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা এখন রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন। কেননা এবারের লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ কাউন্সিলরই তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দিতে পারেননি। আর অনেকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনৈতিক কাজের অভিযোগও রয়েছে। ফলে, কার ওপর এবার রোষ পড়ে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    Darjeeling: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে অপসারণের দাবি জানালেন দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভার সাংসদ রাজু বিস্তা। তিস্তার গতিপথ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজ্য সড়কের উপর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার উদাসীন, তাই জাতীয় সড়কের দায়িত্ব এবার রাজ্য সরকারের হাত ছাড়া হতে বসেছে। ঠিক এমনটাই দাবি করলেন এই বিজেপি সাংসদ। উল্লেখ্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং কিছু দিন আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করে, বাংলার অধীনে থাকা এই সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নেওয়ার দাবি করেন।

    বিজেপি সাংসদের দাবি (Darjeeling)

    বিজেপি সাংসদ রাজুবিস্তা জানিয়েছেন, “উত্তরে সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway 10)। এই সড়ক শুধু লাইফ লাইন নয়, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের গোটা অর্থনীতি, পর্যটন শিল্প এই সড়কের উপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু এই সড়ককে ঠিক মতো মেরামত এবং সংস্কারের কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। গ্রিফ, এনএইচআইডিসিএল (ন্যাশনাল হাইওয়েজ় অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট) বা এনএইচআই (ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)-র মতো সংস্থাকে যেন ওই সড়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী রাজ্যের পূর্ত দফতর থেকে সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ হাওড়ার উন্নতি ও চন্দননগরের দীপ্তানুর কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী মোদির চিঠি

    ব্যবসায়ীদের দাবি কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক

    এই জাতীয় সড়কের (National Highway 10) উপর নির্ভর করে আছে উত্তরের পর্যটন ব্যবসা। শিলিগুড়ি (Darjeeling) থেকে সিকিম পর্যন্ত অনেক মানুষের ব্যবসা জড়িয়ে রয়েছে এই সড়কের উপরই। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, “উত্তর সিকিমের প্রধান দুটো পর্যটনস্থলের মধ্যে লাচেন প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ। আর লাচুং গত ডিসেম্বরে খুললেও আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা দাবি জানাই, কেন্দ্রীয় সরকার এই সড়কের উপর হস্তক্ষেপ করুক। সিকিম রাজ্য সরকার এবং আমাদের রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে জিয়োলজিকাল সার্ভে করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: ১০০ কোটির মালিক হয়েও রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত বাকিবুরের সংসারে অর্থাভাব!

    Bakibur Rahaman: ১০০ কোটির মালিক হয়েও রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত বাকিবুরের সংসারে অর্থাভাব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বছর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাকিবুর রহমান (Bakibur Rahaman)। গ্রেফতারের পর জানা গিয়েছে, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খুব কাছের লোক এই ব্যক্তি। এরপর তদন্তে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পায় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছিল, বাকিবুরের মোট ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বর্তমানে নাকি সংসার চলছে না তাঁর! কিন্তু কেন এই অবস্থা? টাকার অভাবে দারুণ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন এই মন্ত্রীঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। এই সংবাদে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বাজেয়াপ্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট (Bakibur Rahaman)

    জানা গিয়েছে, বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) সংসারে টাকা নেই, পরিবারের লোকজন অর্থ সঙ্কটে পড়েছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি রেশন (Ration Corruption) দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বাকিবুরের সমস্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টকে বাজেয়াপ্ত করেছে। ফলে ব্যাঙ্ক থেকে পরিবারের লোকজন টাকা তুলতে পারছেন না। আর এই রকম আর্থিক সঙ্কটে আদালতে আবেদন করেছেন বাকিবুর। তাঁর চেক-বুকে যেন সই করার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আদালত সাড়া দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, স্ত্রী, জেলবন্দি বাকিবুরের কাছে গিয়ে, একজন জেল কর্মীর উপস্থিতিতে সই করাতে পারবেন।

    আরও পড়ুনঃ হাওড়ার উন্নতি ও চন্দনগরের দীপ্তানুর কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী মোদির চিঠি

    কোটিপতি হলেও সংসার চলছে না!

    রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে প্রভাবশালী বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) নাম উঠে এসেছিল। রেশনের (Ration Corruption) চাল বিক্রি করে কালো টাকাকে সাদা করেছেন। আটাকল, চালকলের মালিককে গ্রেফতারের পরই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চমকে যান তদন্তকারী অফিসারেরা। চালকল, আটাকল, পানশালা, ফ্ল্যাট যা তাঁর রয়েছে, তা অনেক শিল্পপতিরও নেই। বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সম্পত্তি ছাড়িয়ে রয়েছে। বাকিবুরের ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। কিন্তু জেলে থাকার জন্য টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবারকে। দুর্নীতি মামলার অভিযোগে জেলবন্দি হওয়ায় বাকিবাবুরের পরিবার যে বেকায়দায় পড়েছে সেটাও এই ঘটনা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে। এখন বিষয় এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে কোটিপতি হলেও বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে তাঁর সংসার চলছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত, তিস্তার জলে প্লাবিত টোটগাঁও, আতঙ্ক

    Jalpaiguri: বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত, তিস্তার জলে প্লাবিত টোটগাঁও, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারোমাস। ঠিক তেমনি তিস্তার পাড়ের টোটগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের এখন করুণ অবস্থা। সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল উপচে ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে। তিস্তা নদীর জলে প্লাবিত জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের টোটগাঁও গ্রাম। জলবন্দি এলাকার বহু পরিবার। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।

    বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত (Jalpaiguri)

    এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে, তিস্তার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। আর সিকিম পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় কাল হল। তিস্তার জলস্তর একধাক্কায় বেড়ে যাওয়ায় নদীর ধারে জলপাইগুড়়ির (Jalpaiguri) টোটগাঁও বসতি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ঘরের ভেতর বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। কোথাও এক হাঁটু জল, কোথাও এক কোমর জল। বাড়ি ঘর ছেড়ে ভয়ে অন্যত্র নিরাপদ জায়গার খোঁজে পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকাল থেকেই তিস্তার (Teesta River) জলস্তর বাড়ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত যে সব জায়গায় চাষের জমি ছিল, এদিন সকালের মধ্যে সেখানে এক কোমর জল বইছে। জমির ওপর পড়ে গিয়েছে পলি। দিশাহারা এলাকার মানুষেরা। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন সকলে। আরও  জল বাড়লে আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    বানভাসি এলাকায় যাননি প্রশাসনিক কর্তা-তৃণমূল বিধায়ক!

    এক কোমর জল ডেঙিয়ে মাথায় শেষ সম্বলটুকু তুলে নিরাপদ জায়গার রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সহায়সম্বল বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে অভিযোগ, একবারের জন্য বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করতে যাননি প্রশাসনিক কর্তারা। এমনকী এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইকও একবার খোঁজ নেননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “আমরা এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার জন্য তৈরি হয়নি। তিস্তার (Teesta River) জলে বাড়িঘর সব ভেসে গিয়েছে। কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না। কেউ খোঁজ নেয়নি। আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সালিশি সভার আগে তৃণমূল নেতার সামনে পিটিয়ে খুন, শোরগোল

    Balurghat: সালিশি সভার আগে তৃণমূল নেতার সামনে পিটিয়ে খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের রেশ এখনও কাটতে না কাটতেই আবার সালিশি সভার আগেই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আর সেটা হয়েছে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সামনেই। চা়ঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের (Balurghat) কুমারগঞ্জ থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জটু বর্মন(৫৪)। তাঁর বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবত্ত গ্রামে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। জোটুবাবু তাঁর দাদার জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন তাঁর জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাবেন? এনিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে একদফা বচসা হয়। রাতে সেই বচসা বড় আকার ধারণ করে। এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য  জব্বার আলি মণ্ডল হাজির হন। সালিশি সভা শুরুর আগেই ফের সেই প্রসঙ্গ ওঠে। এরপরই জটুবাবুকে মারধর করা হয়। গোটা ঘটনাটিই ঘটে পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে। অভিযোগ, দাদা কালীপদ বর্মন ও তাঁর স্ত্রী দীপালি ও তাঁর দুই ছেলে মিলে জটুবাবুকে বেধড়ক মারধর করে। শাবল দিয়ে মারা হয় তাঁর বুকে ও পায়ে। বাম পা ভেঙে যায় তাঁর। বুকেও আঘাত লাগে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। জটুবাবুকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে কুমারগঞ্জ, পরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    জটুবাবুর ছেলে সনাতন বর্মন বলেন, ‘জ্যাঠার ফাঁকা জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাওয়ার জন্যই বাবাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। জমিতে কোনও ফসল থাকলে আলাদা ব্যাপার ছিল।  ঝগড়ার পর বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে শাবল দিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করব। ওদের দৃষ্টান্তমূল্য শাস্তির দাবি করছি।’

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এবিষয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ঘটনাটি সত্যি। এরমধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মীমাংসা করার জন্য গিয়েছিলেন। পারিবারিক গন্ডগোল। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এইটা দুঃখজনক ঘটনা। এই সালিশি সভার নাম করে ডেকে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হোক। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর সামনে খুন হয়েছে। এইটা তদন্ত সাপেক্ষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: হাওড়ার উন্নতি ও চন্দননগরের দীপ্তানুর কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী মোদির চিঠি

    Narendra Modi: হাওড়ার উন্নতি ও চন্দননগরের দীপ্তানুর কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী মোদির চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দননগরের দীপ্তানু এবং হাওড়ার উন্নতির কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) চিঠি। দুই জনের আঁকা ছবির প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চিঠি এসে পৌঁছেছে দুই পরিবারে হাতে। তাঁদেরকে এই ভাবে চিঠি পাঠিয়ে অভিনন্দন জানানো হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। এলাকায় খুশির আবহ।

    হাতে এঁকে মোদির ছবি দিয়েছিলেন (Narendra Modi)

    গত ১২ মে সাঁকরাইলে লোকসভা ভোটের প্রচারে নির্বাচনী জনসভা করতে এসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু নির্বাচন, রাজনীতি ওঁরা বোঝেন না। মোদিকে দেখবে বলে বাবা-মায়ের হাত ধরে জনসভায় গিয়েছিলেন দুই বোন। তাঁদের হাতে আঁকা ছিল নরেন্দ্র মোদির ছবি, একই সঙ্গে তাঁদের হাতে ছিল ‘বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও’ পোস্টার। হাজার হাজার ভিড়ে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন দুই বোন। প্রধানমন্ত্রী দুই বোনের সঙ্গে কোথাও বলেন এবং উপহার হিসেবে ছবিও গ্রহণ করেন। সেই দিন আপ্লুত হয়েছিলেন হাওড়া ক্যারি রোডের বাসিন্দা অবিনাশ শর্মার দুই মেয়ে বাণী শর্মা এবং উন্নতি শর্মা। তাঁদের প্রতিভার কথা ভুলে যাননি, প্রধানমন্ত্রী মোদি কথা রেখেছেন।

    প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা মোদি

    উন্নতির বাবা অবিনাশ শর্মা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) চিঠি (Letter) এসে পৌঁছেছে আমাদের বাড়িতে। আমরা স্বপ্নেও কোনও দিন ভাবতে পারিনি এইভাবে তিনি আমাদের মনে রাখবেন। আমার দুই সন্তানরা খুব উন্নতি করবে বলে আশীর্বাদ দিয়েছেন। তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা।”

    আরও পড়ুনঃ গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি

    আপ্লুত দীপ্তানু

    চন্দননগরের দীপ্তানু মুখোপাধ্যায় আইটি সেক্টরে কাজ করেন। তিনিও রিষড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) ছবি এঁকে উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন। তাঁকেও এদিন প্রধানমন্ত্রী চিঠি (Letter) পাঠিয়েছেন। মোদির চিঠি পেয়ে দীপ্তানু বলেছেন, “আমি আপ্লুত, আমার কল্পনার অতীত! আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। তিনি যখন এসেছিলেন তাঁকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি, সাদরে তিনি গ্রহণ করেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    Kamarhati: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটিতে (Kamarhati) গণপিটুনিকাণ্ডে সামনে এল দাপুটে এক তৃণমূল নেতার নাম। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম জয়ন্ত সিং। তাঁর নেতৃত্বে কামারহাটির আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নাম সামনে আসার পরও এখনও  তিনি অধরা।

    কে এই জয়ন্ত সিং? (Kamarhati)

    হামলার ঘটনার পর জয়ন্ত সিংয়ের নাম প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর একের পর এক কীর্তির কথা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চোপড়ার জেসিবি-র মতো কামারহাটির (Kamarhati) জয়ন্ত সিং-কে এলাকায় ‘জায়েন্ট সিং’ নামেই চেনেন সবাই। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। একসময় মদন মিত্রের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপর মদন মিত্রের সঙ্গে নাকি তৈরি হয় দূরত্ব। আড়িয়াদহ এলাকায় সাট্টা-জুয়ার ঠেক চালানো, তোলাবাজি, মধুচক্র চালানোর মতো অভিযোগ রয়েছে জয়ন্তের বিরুদ্ধে। আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের তিনিই শেষ কথ। বছর দেড়েক আগে এলাকায় তাণ্ডব চালানো এবং বোমাবাজির ঘটনায় জেলও খেটেছিলেন। তারপর ছাড়া পেয়ে আবার স্বমহিমায় ময়দানে ফেরেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শাসক দলের নেতাদের হাত মাথায় থাকায় ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না তাঁকে।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    বিধায়ক (Trinamool Congress) মদন মিত্র বলেন, আমি কামারহাটির বিধায়ক। ফলে, এই বিধানসভার কোন মানুষ ভাল, আর কোন মানুষ খারাপ তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমার ঘনিষ্ঠ বলে কেউ নেই। এই বিধানসভার সবাই আমার ঘনিষ্ঠ। কেউ আমার সঙ্গে ছবি তুললে আমি তো আপত্তি করতে পারি না। কেউ অন্যায় করে থাকলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যায়কে আমরা সমর্থন করি না। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে জয়ন্ত সিং তৃণমূলেরই কর্মী। তিনি বলেন, দল এই অন্যায় কাজ সমর্থন করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share