Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bankura: বাঁকুড়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্যে তোলাবাজি! ধৃত তিন তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    Bankura: বাঁকুড়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্যে তোলাবাজি! ধৃত তিন তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দ্বারিকার শিল্পাঞ্চলে এবার তোলাবাজির ঘটনায় পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলল তিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে। তাঁরা শিল্পাঞ্চলের পরিবহণের লরি থেকে মোটা টাকা তোলা তুলত বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে এই তিন তৃণমূল কর্মী শেখ দারশাদ,শেখ ইসলাম ও শেখ আমিরকে গ্রেফতার করে। বাঁকুড়ার (Bankura) জেলাশাসক সিয়াদ এন এবং পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন,পুরো শিল্পাঞ্চলে নজরদারি চালাবে প্রশাসন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    কারখানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কারখানার কিছু বর্জ্য দু’টি লরি করে অন্যত্র বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছিল। অভিযোগ, আচমকা ১০-১২ জন দুষ্কৃতী রড, লাঠি নিয়ে লরি দু’টির ওপর চড়াও হয়। লরি আটকে চালকদের মারধর করে। ৩০ হাজার টাকা তোলা চেয়ে বসে। একজন চালক ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কোনওক্রমে ছাড়া পান। তবে, অন্য এক চালক পালিয়ে এসে কারখানার মালিককে বিষয়টি জানান। কারখানার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও ওই দুষ্কৃতীরা গাড়ি আটকে টাকার দাবিতে অনড় থাকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। যদিও বাকিরা ছুটে গা ঢাকা দেয়। এই ধরনের ঘটনা রুখতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দেন। তাই পুলিশও কোনও গড়িমসি করেনি বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই শিল্পাঞ্চলে কারখানার যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল চুরি, তোলাবাজি প্রায় ঘটলেও এতদিন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিত না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুলিশ সক্রিয় হওয়ায় এই তিনজন ধরা পড়ল। আমরা চাই, টাটার আগমণে এবার এই শিল্পাঞ্চল আগের মতো কর্মমুখর হয়ে উঠুক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ধৃত তিনজন যে দলের সক্রিয় কর্মী তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারিকা অঞ্চল সভাপতি অজয় রায়। তিনি বলেন, “এই তোলাবাজির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দল কখনওই এই তোলাবাজিকে প্রশয় দেয় না। তার প্রমাণ এই তিন জনের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা।” যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন,”তৃণমূল দ্বারিকা শিলাঞ্চল জুড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে। আর তৃণমূলের বড়,মেজো,ছোট সব নেতাদের হাত রয়েছে এই ধৃতদের মাথায়। নেতাদের প্রশয়েই এই তোলাবাজি চলছে।” বাম আমলে চালু হওয়া দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা তৈরি  হয়েছে টাটা গোষ্ঠী এখানকার কারখানা অধীগ্রহণ করায়। সেই বাতাবরণে এই তোলাবাজির ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় রাজ্যের শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাট ও সিউরিতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। 

    রামপুরহাট-সিউরিতে তুলকালাম (Hawker Eviction) 

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।  
    রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি (BJP) 

    সিউরিতে অশান্তি শুরু হতেই হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয় বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির (BJP) দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়। 
    এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’  
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawkers eviction: হম্বিতম্বিই সার! হকার উচ্ছেদের রাস্তা থেকে আপাতত সরে গেলেন মমতা

    Hawkers eviction: হম্বিতম্বিই সার! হকার উচ্ছেদের রাস্তা থেকে আপাতত সরে গেলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার নবান্ন সভাঘরে হকারদের রাস্তা দখল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়দানে নেমে যায় পুলিশ। রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হকার উচ্ছেদ (Hawkers eviction) শুরু হয়। নির্বিচারে ভাঙ্গা হয় হাজার হাজার দোকান। কিন্তু বাছাই করে কিছু জায়গায় দোকান ভাঙা হলেও খিদিরপুর, নিউ মার্কেটের মত যেখানে হাঁটা দায় তেমন বহু জায়গায় পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান এড়িয়ে যায়। এই ‘সেলেক্টিভ’ উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। ক্ষোভের জেরে অবশেষে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    রাজ্যজুড়ে নির্বিচারে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। মানুষ বাধ্য হয়ে হকারি করছে। কোনভাবে সংসার চালাচ্ছে। উনি বললেন ঝালমুড়ি ঘুঘনি বিক্রি কর। আর উনি হকারদের দোকান তুলে দিচ্ছেন। উনি বেছে বেছে উচ্ছেদ (Hawkers eviction) করছেন। আমরা দরকার হলে বুলডোজারের সামনে শুয়ে আন্দোলন করব।”

    পিছিয়ে এলেন মমতা

    বিজেপি পথে নামার হুঁশিয়ারি ও মানুষের প্রবল চাপে বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হকারদের আমি ভালোবাসি। রাস্তায় একটা দুর্ঘটনা হলে সবাই মুখ ফিরিয়ে চলে গেলেও হকাররা ছুটে আসে। আমি যা করেছি তা ওদের বিরুদ্ধে নয়। কলকাতাকে সুন্দর করতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করুন। সরকার আপনাদের সঙ্গে থাকবে।” অবশ্য দুদিন আগেই মমতা বলেছিলেন, “লাল কালো ত্রিপল টানিয়ে বাইরের লোকেরা বসে পড়ছে। এভাবে চলতে পারেনা।” এমনকি কাউন্সিলরদের একাংশ টাকার বিনিময় হকার বসানোর সঙ্গে জড়িত আছে বলে উল্লেখ করেন মমতা।

    পুনর্বাসনের আশ্বাস মমতার

    এদিন অবশ্য ৩৮০ ডিগ্রি ঘুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হকারদের দোষ দিয়ে কী লাভ। দোষ তো আমাদেরই। আমরা নিউমার্কেট এলাকায় একটা বিল্ডিং বানিয়ে দিচ্ছি। যেখানে ওরা বসবেন। এটা আমাদেরই করতে হবে। হকাররা সেখানে থাকবেন।” তবে হকেরদের বসানোর সঙ্গে শাসক দলের নেতাদের এবং পুলিশের যোগসূত্র রয়েছে এদিন ফের স্মরণ করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তোলাবাজি হচ্ছে, ফের বললেন মমতা

    প্রসঙ্গত রাজ্যজুড়ে শাসক দলের নেতারা যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত এদিন তা প্রকাশ পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই। বৃহস্পতিবার রিভিউ মিটিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যত বড় নেতা হোক কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। হকারদের থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ করুন নেতারা। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া যাবে না। বেআইনী পার্কিং থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। বেআইনী পার্কিং বন্ধ করতে হবে। রাস্তা বানানোর পর ৫ বছর না চললে ঠিকাদারদের ব্লাকলিস্ট করতে হবে। বেআইনি বাড়ি বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক না করা হলে বাড়ির অধিগ্রহণ করা হবে।” প্রসঙ্গত রাস্তা তৈরি হওয়ার পর এক বর্ষাতেই খারাপ হওয়া নতুন কোন ঘটনা নয়। রাস্তায় কাটমানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা উঠে আসে। কিন্তু যেভাবে উচ্ছেদ (Hawkers eviction) করতে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টাতেই সরকার এই অভিযান স্থগিত করে দিল, তাতে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই কতটা বাস্তবের মাটিতে প্রতিফলিত হবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

    কেন হকার উচ্ছেদ (Hawkers eviction)

    রাজনৈতিক মহলের মতে শহর এলাকায় তৃণমূলের বুধ ভিত্তিক ফল আশা জনক না হওয়ায় মমতা ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছিলেন। কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গেলে গিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযানে আরও বেশি ড্যামেজ হয়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়। কারণ একদা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঘুগনি, ঝালমুড়ি বিক্রি করার নিদান দিয়ে এখন সেই ঝালমুড়ি ঘুগনিওয়ালাদের দোকান ভেঙে দেওয়ায় গরিব মানুষের ভোট সরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ূন: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    পশ্চিমবঙ্গে কয়েক লক্ষ মানুষ হকারি পেশার সঙ্গে যুক্ত। এইভাবে রাজ্যে জুড়ে হকার উচ্ছেদ (Hawkers eviction) অভিযান হলে শহুরে ভোট আরও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেই আপাতত এক মাস উচ্ছেদ অভিযান থেকে সরে এসেছে সরকার এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী সার্ভে করে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেফতার করল তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে। বুধবার রাতে এনজেপি থানায় গ্রেফতার করে তাঁকে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার সামনে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল দল আর করব না বলে অনুগামীরা হুঁশিয়ারি দেন।

    কে দেবাশিস প্রামাণিক? (Siliguri)

    দেবাশিস একসময় এলাকার কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে এলাকার দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর তৃণমূলের শিলিগুড়ির এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ ধন্য হয়ে তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। ক্রমে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন। এবার তাঁর আসন সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারেননি। চারমাস আগে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ফুলবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার রপ্তানি সহ এলাকার জমির অবৈধ কারবার, শিল্প স্থাপন, উন্নয়নের কাজ, সবকিছুতেই শেষকথা ছিলেন দেবাশিস। বাহিনী বানিয়ে অনৈতিক কাজ করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। শিলিগুড়ির (Siliguri) এক শীর্ষনেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে বড় বড় কাজের বরাত তিনি পেয়ে যেতেন। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

     কেন গ্রেফতার? 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহুডাঙ্গির পাগালু পাড়ার বাসিন্দা বিমল রায় নামে এক ব্যক্তি দেবাশিসের বিরুদ্ধে মারামারি ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গেফতার করেছে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। সামান্য মারামারির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা মানতে চাইছেন না নেতার অনুগামীরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে লিড পেয়েছে। জলপাইগুড়ির আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ৮৬ হাজার ৭৭৭ ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির লিড বিশেষ ভূমিকা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার পরও তৃণমূলের এই ভরাডুবিতে তৃণমূলের শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও দেবাশিসকেই দোষারোপ করেন। দলের এই হার মুখ্যমন্ত্রী  মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী জমির অবৈধ কারবার নিয়ে দলের নেতাদের কঠোর পদক্ষেপের বার্তা দেন। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির নাম করে জমির অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জমি মাফিয়াদের রমরমার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গৌতম দেবকেও দোষারোপ করেন। দেবাশিসকে মূলত দলের বিপর্যয়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে শিলিগুড়ির এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার মদত রয়েছে।   

    কেউ তৃণমূল করবে না, ক্ষোভ

    বুধবার রাতে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় দেবাশিসের অনুগামীরা এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক অনুগামী ফোনে ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য। তারপর চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, দেবাশিসকে গ্রেফতারের  মাশুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিলিগুড়ির মেয়রকে দিতে হবে। গ্রেফতারের পিছনে প্রকৃত কারণ কী, কাদের মদত রয়েছে সব প্রকাশ্যে আনা হবে। এরপর আর কেউ তৃণমূল করবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের নলহাটির পর এবার পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি। ফের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি (BJP) নেতার রক্তাক্ত দেহ। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুভাষকুমার দত্ত (৪৪)। বুধবার রেললাইনের ধার থেকে রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সুভাষ আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি খুনের ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত রবিবার বীরভূমের নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে রেললাইনের ধারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রদীপ মাল নামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুভাষ (BJP)। এরপর রাত দুটো নাগাদ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, হীরাগাছি ৪৭-সি রেলগেটের কাছে সুভাষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অত রাতে রেললাইনের ধারে কেন গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের টার্গেট হচ্ছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল। তবে পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বহু বিজেপি কর্মী হিংসার কারণে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। তাঁদের বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপির জেলা কার্যালয়গুলিতে। জানা গিয়েছে, আগে মণ্ডল সভাপতি পদে থাকা সুভাষ বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য ছিলেন।

    তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব

    এ-বিষয়ে রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ দত্তর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গেল শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। নির্বাচনের সময় খুব সক্রিয় ভাবে কাজ করেছিলেন সুভাষ। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। এই কঠিন সময়ে আমরা পরিবারের পাশে আছি। কীভাবে এই মৃত্যু হল, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’ পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘সুভাষ আমাদের জেলা কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে আমাদের অনুমান। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করুক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তোলা না দিলেই অ্যাকশন! বাইক নিয়ে রেইকি, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর

    Barrackpore: তোলা না দিলেই অ্যাকশন! বাইক নিয়ে রেইকি, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের কোড ব্যবহার থেকে বারাকপুরের (Barrackpore) প্রতিষ্ঠিত বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর অনির্বাণ দাসের মোবাইলে ফোন আসে। কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংয়ের বাহিনী ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিরিয়ানির মালিককে ২০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছে সুবোধ বাহিনীর লোকজন। আর তার জেরেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ব্যবসায়ী অনির্বাণ দাসের। ঘটনার পর থেকে কার্যত নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন ওই ব্যবসায়ী।

    ব্যবসায়ীর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে দুই দুষ্কৃতী (Barrackpore)

    জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী অনির্বাণবাবুর বারাকপুরের (Barrackpore) পাশাপাশি মধ্যমগ্রামে বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। সোমবার রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। মুড়াগাছা মোড় থেকে দুটি বাইক তাঁর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে। বাইক দুটির কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। অনির্বাণের বাড়ি বারাকপুরের মোহনপুর এলাকায়। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই একজন বাইক আরোহী তাঁর মোহনপুর বাড়ির দিকে চলে যায়। আরেকজন অনির্বাণকে লক্ষ্য করতে থাকে। অনির্বাণ কোনওরকমে ভয়ে কর্তব্যরত এক পুলিশের সাহায্য নেন। বেগতিক বুঝে বাইক আরোহী এলাকা থেকে চলে যায়। এই ঘটনার কথা পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের জানান অনির্বাণ। পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খোঁজার চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন ধরেই অনির্বাণকে ফোনে হুমকি দিত। বারুইপুর আদালতে এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। অনির্বাণ সেখানে গিয়ে দেখা পাননি। পরে, বারাকপুর আদালতে একবার গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি নিরাশ হন। তবে, গাড়ির সামনে এই রেইকির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    তোলা না দিলেই অ্যাকশন, ঘুম উড়েছে ব্যবসায়ীর

    কয়েকদিন আগেই আগেই এক ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে বেলঘরিয়ার রথতলায় পরপর ৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বিহার থেকে এসেছিল হুমকি ফোন। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যবসায়ী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আতঙ্ক বারাকপুরে। ব্যবসায়ীর গাড়ি ঘিরে রেইকি করল দুষ্কৃতীরা! নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন, অনির্বাণ। তিনি বলেন, ২০ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয়েছে। না দিলে ‘অ্যাকশন’ নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। কখনও ফোন করে, কখনও মোবাইলে মেসেজ করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কখনও বিহার থেকে এসেছে ফোন। আতঙ্কে নিজেকে বাঁচাতে কখনও বাড়ি পাল্টাচ্ছি, আবার কখনও গাড়ি পাল্টাচ্ছি। চরম আতঙ্কে রয়েছি। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে বারাকপুরে তাঁদের বিরিয়ানি দোকান লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল। সেবারও সেই তোলাবাজির গল্প ছিল। সেবার বিরিয়ানি ব্যবসায়ীকে টার্গেট ছিল দুষ্কৃতীদের। এবার টার্গেট ব্যবসায়ীর ছেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি নিজে গিয়ে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব।” বুধবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দখলদার উচ্ছেদ করতে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ‘অমানবিক’ আখ্যাও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর সাফ কথা, তিনি বা তাঁর দল বেআইনিভাবে সরকারি জমি অধিগ্রহণের বিপক্ষে। তাঁর দাবি, রাজ্যের সর্বত্র নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজ করতে হবে। এজন্য আগে রাজ্য সরকারকে স্ট্যান্ডার্ড ওপারেটিং প্রসিডিওয়র তৈরি করতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিকেলে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের সামান্য রোজগারের ওপর ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবরোধ নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেপির তরফে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগী হয়েছে, আমরা প্রথমে তা মহৎ বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, সরকারি জমি আদৌ উদ্ধার হচ্ছে না। বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সাধারণ গরিব মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে ক্যামেরার সামনে। অর্থাৎ কাজের চেয়ে প্রচারের তাগিদ বেশি।”

    ‘এসওপি তৈরি করুন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “জেলা থেকে যে গরিব মানুষেরা প্রতিদিন কলকাতায় এসে সামান্য হকারি করে পেট চালান, এটা কি শুধু তাঁদের জন্য? না গোটা রাজ্যে এ নিয়ে কোনও নীতি তৈরি হয়েছে? আমার দাবি, প্রথমে একটি এসওপি তৈরি করুন। সরকারি জমি চিহ্নিত করুন। তারপর মানুষকে নোটিশ দিয়ে জমি ছাড়তে বলুন।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “হকার উচ্ছেদ করার পর প্রান্তিক গরিব মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, তিনি অনেককে চাকরি দিয়েছেন। এবার কয়েক লক্ষ হকারকেও চাকরি দিন।”

    আর পড়ুন: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এভাবে অন্যায় অত্যাচার চললে আমরা হকারদের পাশে থাকব। প্রয়োজনে আমি নিজে বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াব। লালবাজারের পুলিশ অন্যায়ভাবে গরিব মানুষদের ব্যবসার জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী কাজ।” তিনি বলেন, “কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা ওদের সেই হারের জ্বালার বহিঃপ্রকাশ (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: হাবিবুল্লা গ্রেফতার হতেই নদিয়া ছেড়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল হেরাজ

    Terrorist Arrest: হাবিবুল্লা গ্রেফতার হতেই নদিয়া ছেড়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল হেরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ‘শাহাদাত’ জঙ্গি সংগঠনের এরাজ্যে অন্যতম মাথা মহম্মদ হাবিবুল্লার সঙ্গে যোগ ছিল হেরাজ শেখ (Terrorist Arrest) নামে বছর ২৭ এর যুবকের। তার বাড়ি নদিয়ার মায়াপুর। জঙ্গি যোগে সে গ্রেফতার হওয়ায় কিছুটা হতবাক এলাকার মানুষ।

    ছোট্ট ওই বদ্ধ ঘরে মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকত হেরাজ (Terrorist Arrest)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেরাজের (Terrorist Arrest) জন্মের এক বছরই পরই তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এরপর থেকে মা, ভাইয়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকত হেরাজ। মামার বাড়ির পাশেই একটি ছোট্ট ঘরে থাকত তারা। জানা যাচ্ছে, হেরাজের মা অসুস্থতার কারণে বেশিরভাগ সময়ই কাটাতেন বদ্ধ ঘরেব মধ্যে। হেরাজ  শারীরিকভাবে কিছুদিন অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার কারণে তিন বছর ধরে সেরকম কোনও কাজ করতে পারেনি। পরে কখনও রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে খেটে, কখনও আবার শ্রমিকের কাজ করে টাকা জমিয়ে একটি মোবাইল কিনেছিল। ছোট্ট ওই কাজ করে টাকা জমিয়ে একটি মোবাইল কিনেছিল। ছোট্ট ওই বদ্ধ ঘরে মোবাইলই ছিল হেরাজের সঙ্গী। সেই মোবাইলে হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না পরিবারের কারও। বন্ধুদের সঙ্গে ফোন কথাবার্তা হত। তার মধ্যে কখন কার সঙ্গে কী কথা বলত, তা পুরোপুরি অজানা পরিবারের সদস্যদের কাছে।

    বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল হেরাজ

    এসটিএস অফিসাররা জানিয়েছেন, হেরাজ (Terrorist Arrest) ও হাবিবুল্লাকে জেরা করে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। হাবিবুল্লার গ্রেফতারির খবর জানাজানি হতে ধরা পড়ার ভয়ে নদিয়া ছেড়ে পালানোর ছক কষেছিল সে। মূলত, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ চলে যাওয়ার ছক কষেছিল সে। তার আগেই এসটিএফের হাতে সে ধরা পড়ে। হাবিবুল্লার মতো হারেজও কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিল। পড়ত নবদ্বীপ কলেজে। তবে আর্থিক কারণে প্রথম বর্ষের পর পড়়া ছেড়ে দেয়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কয়েকমাস আগে টেলিগ্রামের মাধ্যমে শাহাদাতের সঙ্গে যুক্ত হয় সে। রাজ্যে ১৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে, হেরাজের দাবি, তার হাত ধরে কেউ নিয়োগ হয়।

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    মানসিকভাবে সুস্থ নয়, দাবি পরিবারের

    মানসিকভাবে সুস্থ নয় বলে দাবি করেছেন তার দাদু হায়দার শেখ। তিনি বলেন, ‘ ওর কানে সমস্য রয়েছে। লকডাউনের আগে বেশ কয়েকবার ডাক্তার দেখাতে হয়েছিল। বছর তিনেক আগে হারেজের দুই কানে  অপারেশন করাতে হয়েছিল। তারপর থেকে কিছু জিজ্ঞেস করলে ঠিক উত্তর দেয় না। কোনও কাজ করে না, আমরাও আর ওকে কিছু বলি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Weather: উত্তরবঙ্গে ফের বৃষ্টি, ধসের জেরে ব্যাহত যান চলাচল

    North Bengal Weather: উত্তরবঙ্গে ফের বৃষ্টি, ধসের জেরে ব্যাহত যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের বিশ্রামের পর মঙ্গলবার রাত থেকে ফের অঝোরে বৃষ্টি (North Bengal Weather) শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে। এর জেরে সমতলেও জনজীবন বিপর্যস্ত হল। ভারি বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ফলে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ ছিল ওই জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে কালিঝোড়া এনএইচপিসি বাংলা সংলগ্ন রাস্তার ওপর বড় গাছ পড়ে বিঘ্নিত হয় যান চলাচল। এর জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল তিস্তা বাজার থেকে মেল্লি হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা। তবে দ্রুততার সঙ্গে গাছ এবং পাথর সরিয়ে দেওয়ায় ফের রাস্তা খুলেছে। স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল।

    অঝোরে বৃষ্টি, বাড়ছে ধস (North Bengal Weather)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী বেশ কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নতুন করে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নেমেছে। পাহাড়ের বহু ছোট বড় রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কালিম্পং জেলার লিকুভিড়ে ফিরে ধস নামার কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম এর মধ্যে। অন্যদিকে কালিঝোড়াতেও ঝড়ের কারণে এনএইচপিসি সংলগ্ন রাস্তার উপরে গাছ পড়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা থেকে মেল্লি বাজার হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে।

    ফিরছে তিস্তার ভয়াবহ স্মৃতি

    মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিপাত কয়েক দিন আগের তিস্তার ভয়াবহ স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর তিস্তার জলস্তর ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা বাজার সংলগ্ন ডেওগ্রাম এলাকাতেও হু-হু

    আরও পড়ুন: হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    করে জলস্তর বাড়ছে। গত বছর সিকিমের বিপর্যয়ের জেলে তিস্তা নদীর গতিপথ বদলেছে। উঁচু হয়েছে তিস্তার নদীখাত। এর জেরে টানা কয়েকদিন (North Bengal Weather) বৃষ্টিপাত হলেই সমতলেও তিস্তা ফুলে ফেঁপে উঠবে। তাই বিশেষভাবে নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার শিলিগুড়ি (Siliguri)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে তিলক কেটে যাওয়ায় এক শিক্ষিকা তাতে আপত্তি করেন। এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্ককে সামনে রেখে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের মেডিক্যাল মোড় ঠিকনিকাটা জুনিয়র হাইস্কুলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা খোল-কর্তাল নিয়ে নাম-সংকীর্তণ করে স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। 

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Siliguri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকনিকাটা (Siliguri) জুনিয়র হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রত্না বর্মন ও তার পরিবারের সকলে ইসকনের ভক্ত। মঙ্গলবার স্কুলে রত্না কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। রত্না বলে, শিউলি ম্যাম আমাকে স্কুলে তিলক কেটে আসতে মানা করেন। বাড়িতে গিয়ে মা’কে বলি। তারপর বাবা ও পাড়ার সকলে বিষয়টি জানতে পারে। বাবা-মা,পাড়ার সকলে এবং ইসকনের সদস্যরা বুধবার স্কুলে এসে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাই এদিন তিলক কেটে স্কুলে এসেছি। ম্যাম আর কিছু বলেননি। 

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

     অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    এদিন সকালে স্কুল খুলতেই দল বেধে অভিভাবক ও ইসকনের শিষ্যরা জমায়েত হন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলি পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। জানতে চান, কেন রত্না বর্মনকে তিলক কেটে আসতে মানা করা হয়েছে। এক অভিভাবক মলয় সরকার বলেন, স্কুলের শিক্ষিকা  এভাবে তিলক কেটে আসতে মানা করায় হিন্দুধর্মের আবেগে আঘাত করেছেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এদিন আমরা স্কুলে এসে ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চাই, স্কুলের কোন নিয়মে লেখা রয়েছে যে তিলক কেটে কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। শিক্ষিকা এব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শেষে সকলের সামনে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

     ক্ষমা চাইলেও অভিযোগ মানছেন না শিক্ষিকা

    শিক্ষিকা শিউলি পাল বলেন, এদিন অভিভাবকরা স্কুলে জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিই। তবে, আমি ওই ছাত্রীকে তিলক কেটে আসতে মানা করিনি। রত্নার বাবা নির্মল বর্মন বলেন, আমার মেয়ে মিথ্যা কথা বলে না। নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষিকা এখন এসব কথা বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share