Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    Murshidabad: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই ফের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মু্র্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এতদিন ভোটের আগে ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এবার তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন রেজিনগরের বিধায়ক তথা জেলার চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী। হুমায়ুনের বক্তব্য সামনে আসতেই তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি (Murshidabad)

    এমনিতেই বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভায় ইউসুফ পাঠান প্রার্থী হতেই দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। প্রার্থীর হয়ে খাটবেন না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ তাঁর মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়। এরপর ভোটপর্বে ‘লক্ষ্মীছেলে’ হয়েই থেকেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল বিড়ম্বনায় পরে, এমন কোনও কথা তাঁর মুখে অন্তত ভোটপর্বে শোনা যায়নি। তবে, ভোট মিটতেই আবারও দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন হুমায়ুন। হুমায়ুন বলেন, “ইউসুফকে জেতাতে আমাকে অনেক বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে। জেলার সভাপতি বা জেলার যে নেতাদের হাতে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল, তাঁরা আমার এলাকায় প্রচারে পর্যন্ত আসতে দেননি ইউসুফকে। একদিন আনা হয়, তাও ভরদুপুরে। আমার যে বিধায়ক, যিনি দলের চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন, তিনি পর্যন্ত আমাদের মতো লোককে একদিনও বলেননি ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোটটা করতে হবে। এমনকী একদিন আসা বা কোনওভাবে সহযোগিতা করা, চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি। আমি নিজে যতটুকু পেরেছি, কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করে কাজ করেছি।”

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    দলে প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আমার!

    হুমায়ুন আরও বলেন, “আমি অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতির লোক। তাই মেনে নিয়েছি। ২০১২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করেন, বকাঝকাও করেন। তবে, আমি মনে করি শাসন করার অধিকার তারই থাকে যিনি স্নেহও করেন। দলের মধ্যেও আমার প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। তাঁরা চান না হুমায়ুন কবীর সম্মান নিয়ে দলে থাকুন। আমার ভোট করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছে, সেটাই বললাম।”

  • Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর মালদায় (Malda) ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজের পোস্টার পড়ল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একক ভাবে পেয়েছে ২৯টি আসন। কিন্তু মালদা উত্তর এবং দক্ষিণ দুই কেন্দ্রেই হেরেছে তৃণমূল। জেলার উত্তরের আসনে জয়ী বিজেপি এবং দক্ষিণে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এই হারের দায় নিয়ে শাসক দলের অন্দরে ফাটল আরও স্পষ্ট হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Malda)?

    ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন ধরেই সামজিক মাধ্যমে মালদা (Malda) জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা সমালোচনার কথা প্রকাশ করছিলেন দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। একই সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা একাধিকবার জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই মালতিপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজের পোস্টার পড়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা সভাপতি নিজে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিষ কুণ্ডু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। এই নিয়ে কে কোথায় কে কী করেছে তা বলা সম্ভব নয়। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা আলোচনায় বসবো। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে সব ঠিক করে নেব।”

    আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির জেলা (Malda) সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সর্বত্র। তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে কেউ মানতে চাইছেন না আর। গোটা মালদা জেলা জুড়েই এই ঘটনা ঘটছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ঘরছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী

    Post Poll Violence: ঘরছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-এর ভয়ানক রাজনৈতিক রোগ ফিরে এসেছে ২০২৪-এ। ভোট মিটতেই শাসকদলের অত্যাচারে (Post Poll Violence) ঘরছাড়া হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার কর্মী। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ বিজেপির সদস্য। এবার লোকসভা ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় ঘর ছাড়াদের নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

    হাইকোর্টে বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে মামলা

    প্রসঙ্গত এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্মকালীন বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র এবং অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ ৬ই জুন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছিল। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সেদিন শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে অবিলম্বে যাতে (Post Poll Violence) হিংসা বন্ধ হয় তার জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেদিন হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশ অক্ষম হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার হুঁশিয়ারি দেয়। অভিযোগ উঠছে ভোট পরবর্তী হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘর ছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে ঠাঁই দাওয়া হয়েছে বহু বিজেপি কর্মীদের। তাঁরা কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তার জন্য দিন গুনছেন। রাজ্যে সাত দফায় ভোট হয়েছে। অন্য বারের তুলনায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ভোট শেষ হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে শাসক দলের অত্যাচার। খুন, জখম, মারধরের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িঘর ঘিরে হামলা করা হচ্ছে। অনেকেই এর জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন। তাই আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ফিরে এল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)

    প্রসঙ্গত ২০২১ সালেও ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপির কয়েক হাজার কর্মী এক বছরের বেশি সময় ঘরছাড়া ছিলেন। যারা ঘরে ফিরেছিলেন তাঁরাও নিজের ভিটে মাটিতে উঠতে পেরেছিলেন কয়েক মাস পর। অনেকে কোন রাজনৈতিক দল না করার মুচলেকা লিখে বাড়ি ফিরেছিলেন। এবারও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপির নেতাদের। সেবার ভোটের পর বিভিন্ন কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার পর প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল।

    আরও পড়ুন: মানিকতলা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তারিখ জানাল কমিশন

    এবার পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির অভিযোগ এলাকায় এতটাই সন্ত্রাস (Post Poll Violence) যে বিষয়গুলো সামনে সামনে আনাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসছে না এতটাই সন্ত্রাস রয়েছে ওই সমস্ত গ্রামীণ এলাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপি’কে লিড দেওয়ার ‘অপরাধে’ চারদিন বন্ধ পানীয় জল-বিদ্যুৎ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Balurghat: বিজেপি’কে লিড দেওয়ার ‘অপরাধে’ চারদিন বন্ধ পানীয় জল-বিদ্যুৎ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরই বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ সামনে এল। এবার লোকসভায় গঙ্গারামপুর বিধানসভায় বিপুল ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। এরপর পানীয় জল সরবরাহ এবং পথবাতি জ্বালানো নিয়ে টালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে। রবিবারই বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এরপরই টানা চারদিন পরিষেবা বন্ধ রাখার পর পানীয় জল সরবরাহ ঠিক করা হয়। আর আংশিকভাবে পথবাতি জ্বালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    গঙ্গারামপুরে বিজেপি লিড পেতেই পরিষেবা শিকেয়! (Balurghat)

    গত ৬ জুন থেকে গঙ্গারামপুর (Balurghat) পুরসভা এলাকায় আচমকা পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী  পুরসভা এলাকার পথবাতির কোনও আলো জ্বলেনি। গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা থেকেই ভোটে পিছিয়ে ছিল গঙ্গারামপুরের ভূমিপুত্র তথা পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। ১২ হাজারেরও কিছু বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার লিড পেয়েছেন। এই গঙ্গারামপুর শহরের পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। তিনি আবার তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের ভাই। এই শহরেরই মানুষ তাঁরা। তারপরেও তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন ভোটাররা। কেন তৃণমূলের এই খারাপ ফল? এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কাঁটা ছেড়া চলছে প্রতিনিয়ত।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    আন্দোলনে বিজেপি

    সন্ধ্যার পর থেকে গঙ্গারামপুর (Balurghat) পুরসভার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে। শহরের ১৮ টি ওয়ার্ডের পানীয় জল ও পথবাতি বন্ধ রাখার প্রতিবাদে রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুরের জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিজেপির আন্দোলনের ফলে এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা ঠিক হয়। গত চার দিন ধরে গোটা পুরসভায় এলাকায় পথবাতি পরিষেবা ঠিক হয়নি। এই বিষয়ে গঙ্গারামপুরবাসী বলেন, গত চারদিন ধরে গঙ্গারামপুরে  রাস্তার বেশিরভাগ জায়গায় কোনও আলো জ্বলছে না। কী কারণে এমনটা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ি। এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এটাই অপরাধ! সেই রাগে তৃণমূল এসব করেছে। এই ধরনের নোংরামি করা ঠিক নয়।  কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করেছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বিজেপি সবসময় মিথ্যে কথা বলে, মিথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে ওরা রাজনীতি করতে চায়। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য সমস্যা হতে পারে। অন্য কোনও কারণ নয়। আমরা বিষয়টি দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    Uttar Dinajpur: রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেলায় সক্রিয় কিডনি পাচার চক্র! এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে। এবারে এক মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে কিডনি বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের জালিপাড়া এলাকায়। এই চক্রের হদিশে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। 

    কীভাবে কিডনি পাচার (Uttar Dinajpur)?

    উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর এলাকার বাসিন্দা মাইজালি বর্মন (৩৩) কিডনি পাচারের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের তির জালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রবি জালির বিরুদ্ধে। মাইজালি বর্মনের অভিযোগ, নিজের দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর প্রচুর টাকার ঋণে জর্জরিত ছিলেন। গত চার মাস আগে রবি জালির সাথে তাঁর আলাপ হয়, এরপর থেকেই রবি জালি তাঁকে কিডনি বিক্রি করার জন্য প্রোলোভন দেন। বিনিময়ে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে রবি জালি জানান। এরপর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে বাঁ দিকের কিডনি দেন মাইজালি। বিনিময়ে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও বাকি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে দেড় লক্ষ টাকা দিতে রাজি হলেও সেই টাকাও দেয়নি। সেই দেড় লক্ষ টাকা গত ৪ জুন চাইতে গেলে রবি জালি তাঁকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মারধরের পাশাপাশি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর নিজের বাড়ি থাকতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে রায়গঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন তিনি। থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন মাইজালি।

    আর্থিক সংকটে কিডনি বিক্রি

    প্রসঙ্গত, দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর আর্থিক সংকট দেখা দেয় মাইজালির বর্মনের (Uttar Dinajpur)। স্বামী কার্তিক বর্মন ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ঋণে জর্জরিত হওয়ায় কিডনি বিক্রি করতে রাজি হন তিনি। টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করতে রাজি হলেও প্রতারণার ফাঁদে পড়বেন এটা ভাবতে পারেননি তিনি। তাই এখন সেই টাকা ফেরৎ পাওয়া এবং রবি জালির কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।

    কিডনি পাচার চক্রের স্বর্গরাজ্য এই এলাকা

    উল্লেখ্য, একটা সময়ে রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) ব্লকের বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা কিডনি পাচার চক্রের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিলো। এই পাচার চক্রের মূল পান্ডা হিসেবে নাম উঠেছিল বিন্দোলের জালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজ্জাক ও কুদ্দুসের। যাদের ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। দীর্ঘদিন এই কিডনি পাচার চক্র বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে এসেছে ওই এলাকার বাসিন্দা সমাজকর্মী অশোক কুমার রায়। সেই আন্দোলনের জেরে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় এই কিডনি পাচার চক্র। সমাজকর্মী অশোক কুমার রায় বলেন, “১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথম এই কিডনি পাচার চক্র শুরু হয়। দীর্ঘ আন্দোলন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে এই চক্র গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে বন্ধ ছিল। আবারও এই চক্র সক্রিয় হলে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। দরকার পড়লে আমরা ফের আন্দোলনে নামবো।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    অপরদিকে, ওই এলাকায় কিডনি পাচার চক্রের পান্ডারা সক্রিয় হওয়ায় অবাক স্থানীয় (Uttar Dinajpur) পঞ্চায়েত প্রধান জিন্নাতুল খাতুন। যদিও তিনি এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রশাসনকেও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলব। ওই মহিলা যদি ঘর ছাড়া হয়, তবে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে আমি পদক্ষেপ নেব।”

    আরও পড়ুনঃ “তমলুকের জন্য ১০১ শতাংশ পরিশ্রম করেছি”, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেবাংশুর

    অভিযুক্তের ভাইয়ের বক্তব্য

    যদিও রবি জালির বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন রবি জালির ভাই ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা টুলটুলি জালির স্বামী ছবি জালি। তিনি বলেন, “ওই মহিলার দাদার কাছে টাকা পেতো তবে কিডনি বিক্রির সাথে এর কোনও যোগ নেই। সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যে। আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছেন ওঁই মহিলা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election: মানিকতলা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তারিখ জানাল কমিশন

    By Election: মানিকতলা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তারিখ জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই রাজ্যে ফের ভোট। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By Election) দিনক্ষণ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই চারটি কেন্দ্র হল, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, কলকাতার মানিকতলা এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। প্রায় দু’বছর পর এবার বিধায়ক পেতে চলেছে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১০ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে এখানে। 

    উপনির্বাচনের দিন

    কলকাতার মানিকতলা-সহ রাজ্যের আরও তিন কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন (By Election) হবে। ভোটগণনা হবে ১৩ জুলাই। ২১ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৪ জুন স্ক্রুটিনি হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ জুন। ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের ন’টি কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন হবে। ভোট হবে বিহার, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবের একটি করে কেন্দ্রে। হিমাচল প্রদেশের তিনটি এবং উত্তরাখণ্ডের দু’টি কেন্দ্রেই এই দিনক্ষণ অনুযায়ী উপনির্বাচন হবে।

    কোন কোন কেন্দ্রে ভোট

    রায়গঞ্জে ২০২১ সালের ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে যান। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থীও করে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে লড়ার আগে বিধায়ক পদ থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী ইস্তফা দেন। তাই রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণও বিজেপির কেন্দ্র ছিল ২০২১ সালের ভোটে। জিতেছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। তবে তিনিও লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকেও তৃণমূল লোকসভার প্রার্থী করে। বিধায়ক পদ থেকে সে সময়ই ইস্তফা দিয়েছিলেন মুকুটমণি। সেই কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন। বাগদার বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনিও বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন ২০২১ সালে। পরে তিনি তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যান। বনগাঁ লোকসভায় তাঁকে প্রার্থীও করে তৃণমূল। বাগদার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়েন তিনি। সেখানেও এবার ভোট হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ঘামে প্যাচপ্যাচ! জ্যৈষ্ঠের গরমে জেরবার জনজীবন, স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

    মানিকতলায় ভোট

    গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, অধুনা প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন মানিকতলা বিধায়কহীন থাকলেও সেখানে উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, গত বিধানসভায় এই কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কলকাতা হাইকোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নেন। আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় এ বার মানিকতলায় উপনির্বাচন (By Election) হতে চলেছে, বলে জানাল কমিশন (Election Commission)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: এগরার পর কোলাঘাট! বিস্ফোরণে উড়ল আস্ত ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি

    Bomb Blast: এগরার পর কোলাঘাট! বিস্ফোরণে উড়ল আস্ত ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট। বেআইনি বাজি কারখানায়  বিস্ফোরণে (Bomb Blast) উড়ে গেল আস্ত বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার পয়াগ গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    সোমবার সকাল থেকে পয়াগ গ্রামে পুলিশ পিকেট রয়েছে। যাচ্ছে ফরেন্সিক টিমও। এদিন সকাল থেকে থমথমে রয়েছে এলাকা। জানা গিয়েছে, আনন্দ মাইতি নামে এক ব্যক্তির একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত (Bomb Blast) হয়ে গিয়েছে। বাড়ির লোকজন ছুটে পালিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোলাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও পর্যন্ত কতজন জখম হয়েছেন, সেই সংখ্যা পরিষ্কার নয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত সেই শব্দ শোনা যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীরা বলেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়িটিতে অবৈধ বাজি কারখানা ছিল। বহুবার পুলিশকে বলার পরও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তারপরই এই বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। অবিলম্বে যারা এই কারবারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ঘামে প্যাচপ্যাচ! জ্যৈষ্ঠের গরমে জেরবার জনজীবন, স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

    খাদিকুল থেকে কোলাঘাট, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    ২০২৩ সালের ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৯ জনের। সেই ঘটনার এক বছরের মাথায় আবার পূর্ব মেদিনীপুরের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটল। খাদিকুলের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, সেই ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট। বার বার এই ধরনের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Debangshu Bhattacharya: “তমলুকের জন্য ১০১ শতাংশ পরিশ্রম করেছি”, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেবাংশুর

    Debangshu Bhattacharya: “তমলুকের জন্য ১০১ শতাংশ পরিশ্রম করেছি”, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেবাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। এই জয় ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি। এই জয়ের পর গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কালীঘাটের বাড়িতে নবনির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে তমলুক লোকসভা নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে (Debangshu Bhattacharya) আরও সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছেন। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি ছিল, দুপুর ১২ টার আগে দেবাংশুকে পাওয়া যায়নি এলাকায়। এরপর রবিবার পাল্টা দেবাংশু ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেন। ফলে দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একবার প্রকাশ্যে।

    মমতা কী বলেছিলেন (Debangshu Bhattacharya)?

    তমলুকে দলের হারের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মমতা, দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমার বয়সে আমি যখন যাদবপুরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সকাল ৭ থেকে প্রচারে থাকতাম, বাড়ি বাড়ি যেতাম। তুমি বেলা ১২টায় বেরিয়েছ। আরও সক্রিয়তা দরকার ছিল।”

    কী লিখলেন দেবাংশু?

    বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভোটে হেরে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) ফেসবুকে লেখেন, “তমলুকের জন্য ১০১ শতাংশ পরিশ্রম করেছি। সকাল ৮ থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত প্রচার করতাম, তারপর দুপুর ৩টেয় বেরিয়ে যেতাম। রাত পর্যন্ত মিটিং, মিছিল, প্রচার করেছি। বিরোধী প্রার্থী আধবেলা প্রচার না করেও জিতে গিয়েছেন। আমি পাগলের মতো বুথে বুথে ঘুরেও জিততে পারিনি। নির্বাচনী ক্ষেত্রে নেমে সাংগঠনিক পরিস্থিতি দেখে চমকে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল হঠাৎ অগ্নিকুণ্ডে এসে পড়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসা জেলায় জেলায় অব্যাহত, মুর্শিদাবাদে খুন এক দুধ ব্যবসায়ী

    আর কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) আরও লেখেন, “অনেক মানুষ চেনা, অনেক রকমারি অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে শেষ আড়াই মাস ভিমড়ি খেয়েছি প্রচুর, প্রকাশ্যে সবটা লিখতে কিংবা বলতে চাই না। মার্চে ওজন ছিল ৮৩ কিলো। যা আজ কমে ৭৭ কিলো, সৌজন্যে শেষ আড়াই মাস। এই ৬ কিলো ওজনের বিনিময়ে ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, আশীর্বাদ পেয়েছি। সেটাই আমার কাছে এই নির্বাচনের নির্যাস। আগামী দিনে এই রাজনৈতিক নদী পথ আমায় কোন মোহনায় নিয়ে গিয়ে ফেলবে জানি না। শুধু এটুকু জানি, আমার নৌকো খোয়া গিয়েছে, কেবল নিজেকে ভাসিয়ে, বাঁচিয়ে রেখেছি এই অগাধ জলরাশির পৃষ্ঠদেশে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    Asansol: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর আসানসোল (Asansol) শিল্পাঞ্চলে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরবাসীর। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে রবিবার দুপুরে একেবারে ভরা বাজারের মধ্যে সোনার দোকানে ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন শহরবাসী। রানাঘাট, পুরুলিয়ার পর রানিগঞ্জ। এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড।

    রানিগঞ্জে সেনকো গোল্ডে ডাকাতি! (Asansol)

    রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রায় ৯ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে হঠাৎ ঢুকে পড়ে রানিগঞ্জের (Asansol) নেতাজি সুভাষ বোস রোডের ওপর সেনকো গোল্ডের শোরুমে। বন্দুক দেখিয়ে দোকানের কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে লুটপাট চালাতে শুরু করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই রানিগঞ্জ থানা, শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। ডাকাতদের ধরতে পুলিশ কর্মীরা হানা দিতেই প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। একজন দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। তার সঙ্গীরা তাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সেখানে জড়ো হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ঘামে প্যাচপ্যাচ! জ্যৈষ্ঠের গরমে জেরবার জনজীবন, স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

    গুলি চালিয়ে ভয় দেখিয়ে গাড়ি ছিনতাই!

    আসানসোলের (Asansol) মহিশিলা চক্রবর্তী মোড়ে গুলি চালিয়ে চার চাকা গাড়ি ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার দুপুরে  এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় নয়না নন্দ দত্ত ও প্রবাল স্যান্যাল নামে দুজন জখম হন। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত নয়না নন্দ দত্ত বলেন, চারচাকা গাড়িতে করে পরিবার নিয়ে দুর্গাপুর থেকে আমরা অনুষ্ঠান বাড়িতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। আচমকা চারজন দুষ্কৃতী আমাদের গাড়ি থামিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। পরিবারের লোকজন রয়েছে বলে আমি আপত্তি জানালে আমাকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি চালায়। এরপরেই ওই চার দুষ্কৃতী আমাদের গাড়ি থেকে বের করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। প্রবাল স্যান্যাল নামে আরও এক ব্যক্তি বলেন, গুলির আওয়াজ শুনে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে আমার হাত ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    গুলি কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত গাড়ি, গ্রেফতার ১

    রানিগঞ্জে (Asansol) সোনার দোকানে ডাকাতি ও আসানসোল মহিশিলা এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা একই দলের সংঘটিত। এমনই অনুমান পুলিশের। ঘটনায় ছিনতাই করা গাড়ি সহ একজনকে গিরিডি থেকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় একথা জানান ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব  দাস। তিনি বলেন, “রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরে ওই দলটি আসানসোল থেকে একটি গাড়ি ছিনতাই করে পালায়। ঘটনায় পুলিশের একটি টিম পিছু করতে করতে গিরিডি পুলিশের সাহায্য নিয়ে একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোট পরবর্তী হিংসা জেলায় জেলায় অব্যাহত, মুর্শিদাবাদে খুন এক দুধ ব্যবসায়ী

    Murshidabad: ভোট পরবর্তী হিংসা জেলায় জেলায় অব্যাহত, মুর্শিদাবাদে খুন এক দুধ ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। দেশে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই রাজ্যের তৃণমূল বিপুল সংখ্যায় ভোট নিয়ে ২৯টি আসনে জয় লাভ করেছে। কিন্তু ফল ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। কখনও বিরোধী দলের কর্মীদের টার্গেট করছে শাসক দল, আবার কখনও শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রবিবার দলীয় কোন্দলে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল একজন ব্যক্তির। পরিবারের দাবি, খুনিদের পরিচয় না জানা গেলেও তৃণমূলের দলীয় কোন্দলে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় গজনীপুর এলাকায় খুন হওয়া ব্যক্তির নাম সনাতন ঘোষ। এই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল করতেন। পেশায় তিনি ছিলেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। গতকাল রবিবার রাত ১২ টায় গজনীপুর থেকে নিজের বাড়িতে বাইকে করে আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু গজনীপুর ও শ্রীপুরের মধ্যবর্তী মাঠ এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের বাইক থামিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে।

    পুলিশের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে খবর, সনাতনের দেহের একাধিক জায়গায় গুলি লেগেছে। গুলির শব্দ এবং চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সনাতন। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে মুর্শিদবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

    আরও পড়ুনঃ সুকান্ত মন্ত্রী হতেই বাজি ফাটিয়ে মিছিল করে উৎসবে মাতলেন বালুরঘাটবাসী

    পরিবারেরে বক্তব্য

    মৃত সনাতনের পরিবারের (Murshidabad) পক্ষ থেকে এক মাসি বলেছেন, “রাতের বেলায় পার্টির মিটিং করে বাইকে করে ফিরছিলেন সনাতন। কিন্তু পেছন থেকে একটি গাড়ি এসে, রাস্তায় তাঁদের বাইক দাঁড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা ৬ রাউন্ড গুলি করে। এই গুলি সনাতনের কানে, বুকে, পেটে লাগে। যারা গুলি করেছে তাদের পরিচয় জানা না গেলেও দলীয় কোন্দলের কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও রাজনৈতিক কারণে তাঁকে বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।” যদিও তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দিকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

LinkedIn
Share