Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার সপ্তম দফায় ভোট বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের। এই কেন্দ্রে মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি। নারী নির্যাতন, হিন্দু মহিলাদের বেছে বেছে ধর্ষণ, জোর করে জমি দখল সহ একাধিক ইস্যুতে সাধারণ মহিলাদের ক্ষোভের আগুনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতা মহিলাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পক্ষাবলম্বন করেছিলেন শেখ শাহজাহানের। ইতিমধ্যে প্রতিবাদী মুখ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচার ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে এলাকায়। কিন্তু এই কেন্দ্রে ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি তাঁর দলের বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। তিনি হাড়োয়ায় নির্বাচনী সভা থেকে দলের বিধায়ককে হুমকি দিয়ে বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”।

    ঠিক কি বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    এদিন নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা (Mamata Banerjee) দলের কর্মী-নেতা-বিধায়কদের কোন্দলকে আরও স্পষ্ট করে দেন। তিনি নিজের দলের মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানী এবং তাঁর স্বামী মৃত্যঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কার্যত সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে কোনও জায়গা নেই দলে। তৃণমূলের এমএলএ থাকবেন আর মিটিংয়ে আসবেন না তা করা চলবে না। যতক্ষুণ ক্ষমা না চেয়ে পা ধরবে, ততক্ষুণ মুক্তি নেই। আপনি স্বামীকে নিয়ে দল বিক্রি করে দেবেন এমনটা দলে চলবে না। এটা মানবো না। তৃণমূল নেতা তৈরি করে, একটা যাবে তো লক্ষ নেতা তৈরি হবে। ব্লকে যারা আছে, জেলার যারা আছে তাদের তুলে ধরব।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বিধায়ককে বাদ রেখে টিম গঠন

    এদিন দলের মধ্যে প্রকাশ্যে এই বিস্ফোরক মন্তব্যে ভোটের আগে একটা বড় ফাটল নজরে এসেছে। একই ভাবে এই বিধায়কে বাদ দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে দেন মমতা (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য ঊষারানী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন বলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করে ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এসএসসিতে গ্রুপ সিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। কিন্তু নিয়োগ বেআইনি হওয়ায় চাকরি বাতিল হয়েছে। মেয়ে ডি-র দাবিতে মিছলে যোগ দিয়েছিলেন। তাতেও শাসক দলের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। অপর দিকে সন্দেশখালির বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী রেখা পাত্রকে চয়ন করেছিলেন। ফলে বসিরহাটে শাসক দলের কোন্দলে বিজেপি কতটা বাজিমাত করবে সেই দিকেই নজর এখন ওয়াকিবহল মহলের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Abhijit Ganguly: ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের মধ্যেই প্রতিবাদ ধর্নায় বসলেন তমলুক বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। গতকাল শনিবার ছিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। এই পর্বে ছিল তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর কেন্দ্র। একাধিক কেন্দ্রে পুলিশ সরাসরি তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছে বলে অভিযোগ করে ধর্নায় বসলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট ভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ তৃণমূলকে জয়ী করতে জুলুমবাজি করেছে।” সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় তাঁকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। উল্লেখ্য এই বিচারপতির রায়ে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। একই ভাবে রেশন দুর্নীতি, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন তিনি।

    কী বললেন অভিজিৎ (Abhijit Ganguly)?

    ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ধর্নায় বসেন। তিনি ধর্নায় বসে বলেন, “ময়নার পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে অপহরণ করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তাঁর স্ত্রীর কাছে অভিযোগ পেয়ে বাড়িতে যাই। এখন গৌতমের বাড়িতে বসেই ধর্না বিক্ষোভ করব।”

    আরও পড়ুনঃ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    মূল অভিযোগ কী?

    ময়নার এই অঞ্চলটি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েছে। পুলিশ, অশোক দিন্দার সেক্রেটারির বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অর্ডার দেখতে চান। পুলিশ সেরকম কোনও তথ্য দিতে পারেনি। ফলে তাঁর দাবি, এই ঘটনা পুলিশের অত্যাচার, ক্ষমতার অপব্যবাহার এবং জুলুমের সমতুল্য। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ধর্নায় বসেন এই বিজেপি প্রার্থী। ভোটের মধ্যে এই ধর্না রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ইতি মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনাকেন্দ্রে দশ ঘণ্টা মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। এই ১০ ঘণ্টা দলীয় কর্মীদের। সেই সময় অন্য কিছু করা যাবে না। এমনকী দরকার হলে জল- বিস্কুট খেয়ে পড়ে থাকতে হবে। এমনই নির্দেশ দলীয় কর্মীদের দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    আগামী ৪ জুন লোকসভা আসনের গণনা। বালুরঘাট কলেজে করা হয়েছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম। সাতটি বিধানসভার ইভিএম রাখা হয়েছে সেখানে। এবারে প্রায় ১৮ রাউন্ড ভোটগণনা হবে। প্রায় প্রত্যেক রাউন্ডে ১৪টি টেবিলে গণনা হবে। এই গণনাকেন্দ্রের অন্যতম বড় ভূমিকা দলীয় কাউন্টিং এজেন্ট। বিজেপির তরফে ১১০জন কাউন্টিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। তবে, এবারের গণনাকেন্দ্রে যারা ইংরেজি জানেন ও অঙ্কে সাবলীল তাঁদেরকে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে রাখছে বিজেপি। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যেখানে সুকান্ত’র পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্য বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীরা। সেখানেই সুকান্ত দলীয় কর্মীদের গণনাকেন্দ্রের কাজ কী, তা খাতায় কলমে শেখান।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    গণনাকেন্দ্রে কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    বৈঠকে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কথা অনুযায়ী এবারে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে গণনা হবে। এই ১০ ঘণ্টায় কোনওভাবেই কাউন্টিং হল ছাড়া যাবে না। প্রয়োজনে চকোলেট ও জল খেয়ে মাঠে পড়ে থাকতে। বিগতদিনে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল গণনাকেন্দ্রে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল গণনাকেন্দ্রের ব্যালট বক্স লুট করেছিল। তাই এবার সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে আমি ও দলীয় কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে পড়ে থাকব।’ যদিও তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, ‘গণনাকেন্দ্রে কারচুপি তৃণমূল নয়, বিজেপি করে। এরা ইভিএমেও কারচুপি করে। হেরে গেলে তখন তৃণমূলের উপর দোষ চাপায় বিজেপি। এটা ওদের পুরানো অভ্যাস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Remal Cyclone: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    Remal Cyclone: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal Cyclone) আছড়ে পড়বে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে, আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে সুন্দরবন এলাকার মানুষের। অন্যদিকে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং প্রচার করছে প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাতের মধ্যেই ব্যাপক রূপ নেবে এই ঘূর্ণিঝড়।

    গোসাবায় প্রস্তুতি (Remal Cyclone)

    একেই কোটাল তাই ঘূর্ণিঝড়ে (Remal Cyclone) নদীর জলের স্তর বেড়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে নদীর জলের গতিও বৃদ্ধি পাবে। নদী বাঁধগুলি ভেঙে চাষের জমিতে জল ঢুকে পড়ারা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভয়, আতঙ্ক এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাপক। ফলে প্রশাসন সতর্ক হয়ে আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গোসাবা ব্লক এলাকার ১টি দ্বীপের ১৪টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। আবার গোসাবার একাধিক নদীর ধার সংলগ্ন এলাকার গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ জোরকদমে প্রচার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    ঝড় মকাবেলায় প্রস্তুতি হিঙ্গলগঞ্জে

    আবার ঘূর্ণিঝড় (Remal Cyclone) মোকাবেলার সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও। হিঙ্গলগঞ্জের এক গ্রামবাসী রেনুকা মন্ডল বলেন, “আগেও ঝড় হয়েছে আমাদের সব কিছু শেষ করে দিয়ে গিয়েছে। আইলা ঝড়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সরকারের কোনও সহযোগিতা পাইনি। পঞ্চায়েত থেকে অনেককে ঘর দিলেও আমাকে দেয়নি। এইবার শুনেছি ঝড় আসবে। তাই খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি।” আরও এক মহিলা নমিতা মন্ডল  বলেন, “বড় ঝড় আছে শুনেছি। প্রচণ্ড আশঙ্কার মধ্যে রয়েছি। রাতটা এখন কীভাবে কাটবে সেই চিন্তার মধ্যে রয়েছি।” আইলা, আমফান, বুলবুল-এর মত ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বাড়ি ভেঙে পড়েছে, নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম জল জলের তোরে ভেসে গিয়েছে, গ্রাম ছেড়ে থাকতে হয়েছে মাসের পর মাস। বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরেও সেই বাড়ির তৈরির ক্ষতিপূরণ আজও পায়নি বহু মানুষ। তাই আবার ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে চিন্তায় মাথায় হাত হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন এলাকার মানুষের।

    আরও পড়ুনঃ রেমাল আতঙ্কে ২১ ঘণ্টা বন্ধ বিমান, বন্ধ ফেরি, বাতিল বহু লোকাল

    দিঘা-মন্দারমণিতে সতর্কতা জারি

    পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের রেমাল (Remal Cyclone) ঘূর্ণিঝড়ে জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার ২৫টি বিডিও অফিসে খোলা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলা দফতর। একই ভাবে চলছে বিশেষ নজরদারি। গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরে না যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চলছে মাইকিং। সমুদ্রের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞাজারি করা হয়েছে। তমলুকে খোলা হয়েছে বিশেষ সদর দফতর। কোলাঘাট, গেঁওখালি, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, জুনপুট, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, দিঘায় চলছে বিশেষ নজরদারি। সবরকম বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপির প্রধানকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Santipur: লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপির প্রধানকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির প্রধান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের (Santipur) গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তাঁর ভাই। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Santipur)

     শান্তিপুর (Santipur) থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গা সংলগ্ন বহু কৃষকের জমি ভাঙনে চলে গেছে নদীগর্ভে। এখন গঙ্গার ধারে চাষের যে জমি রয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের নেতৃত্বে সেই সব কৃষকের জমি থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ গয়েশপুর এলাকাবাসীর। আনোয়ার হোসেন এলাকার ইটভাটার মালিক। শাসক দলের নেতা হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারে না। দিনের পর দিন তাঁর লোকজন মাটি কেটে নিয়ে যায়।  শুক্রবার রাতে তৃণমূল নেতা আনোয়ার হোসেনের ভাই অলি হোসেন মণ্ডল মাটি কাটছে জেনে এলাকাবাসী প্রথমে শান্তিপুর থানায় ফোন করে জানায়। একটি পুলিশ গাড়ি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর বন্ধ থাকে মাটিকাটা।  এরপর পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবারও মাটি কাটা হচ্ছে কিনা তা দেখতে এলাকাবাসীর  পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সহ গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল মণ্ডল সেখানে যান। বিজেপির প্রধানের ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাইক ভাঙচুর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রধান সহ কয়েকজন এলাকাবাসীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে,  বিজেপির প্রধান শ্যামল মণ্ডলের হাত ভেঙে যায় ও মাথায় গুরুত্ব আঘাত লাগে।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকাবাসীর বক্তব্য, তৃণমূল নেতার মদতে প্রতিদিন রাতে এভাবেই অবৈধভাবে কৃষকদের জমির মাটি চুরি করা হয়। এমন কী ভয় দেখানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখে ভাটায়। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটনার কথা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের ভাই সানোয়ার হোসেন মণ্ডল। তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ এই প্রধান কয়েকজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ভাটায় থাকা বিভিন্ন শ্রমিক এবং ড্রাইভারদের বেধড়ক মারধর করে। শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেছে। কোনও হামলা চালানো হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    Hiran Chaterjee: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেশপুরে তৃণমূল ভোট করতে দেবে না। কর্মীদের কাছে থেকেই আগাম জেনেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। তবে, বুকে বল ছিল তাঁর। কারণ, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। আর তাই ভোটের আগের রাতে এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়ে হতাশ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই বলে অভিযোগও করেছিলেন। আর ভোটের দিন দিনভর তৃণমূলের “লুঙ্গি বাহিনীর” উদ্দাম নৃত্য দেখলেন রাজ্যবাসী। এমনই দাবি বিজেপির। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থীও কেশপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। হিরণকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বাঁচানোর আর্জি জানালেন মহিলারা।

    আমার ছেলেকে মেরে দেবে গো নিয়ে যাও, কাতর আর্জি মহিলার (Hiran Chaterjee)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল লোকসভার কেশপুরের পাঁওসা। ভোটের দিন দুপুরে গাড়ি নিয়ে সদ্য এলাকায় ঢুকলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গাড়ি ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গ্রামবাসীরা। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। বুকে ভয়। মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এক মহিলা বললেন, “রাম কে নিয়ে যান। নিয়ে যান আপনি। ওকে মেরে দেবে ওরা।” এক গ্রামবাসী বললেন, “ভোটের আগের রাত থেকে ওরা অশান্তি করছে। মহিলাদেরও ছাড়ছে না। আর আমাদের ওই ছেলেটিকে বলছে মেরে শেষ করে দেব।” আরও এক মহিলা কার্যত আতঙ্কে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলেন, “আমার ছেলেকে মেরে দেবে গো তুমি ওকে নিয়ে যাও।” হিরণের হাত ধরে কার্যত অঝোরে কেঁদে ফেললেন মহিলারা। পাল্টা হিরণও আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কিছু হবে না। আমি আছি। আমি থাকব।” কেশপুরের মহিলারা যখন চরম আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, তখন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীকে দেখা গেল ভোটের পর আবির খেলতে। উচ্ছ্বাসে মাতলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    কেশপুরে ভোট লুট করেছে তৃণমূল!

    হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, কেশপুরে ভোট লুট করেছে তৃণমূল। মানুষ নিজের ভোট দিতে পারিনি। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। দলীয় কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। তাই, কেশপুরে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আক্রান্তদের সঙ্গে আমি সবসময় পাশে রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu AdhikarI: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    Suvendu AdhikarI: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের গড় নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari)। তমলুক লোকসভার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রাম। এই লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। এই আসনটি এবার বিজেপি-তৃণমূলের মানরক্ষার লড়াই। এমনকী নন্দীগ্রামে দিন কয়েক আগে ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বদলার হুমকি দিয়ে আসেন। ফলে, এই আসনটিকে তিনি যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন তা বলাবাহুল্য। তবে, ভোট পর্ব শেষে এই আসনে বিজেপি বাজিমাত করতে চলেছে। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কাঁথি ও তমলুক বিজেপি জিতছে! (Suvendu Adhijari)

    শনিবার সকালে ভোট দিয়ে নন্দীগ্রামে নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে দিনভর ভোটের তদারকি করেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari) । ভোটগ্রহণ শেষে তিনি বলেন, ‘কাঁথি ও তমলুক বিজেপি জিতছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় লোকসভায় যাচ্ছেন।’ এমনিতেই ভোটের দুদিন আগে নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে খুনের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অন্যদিকে, ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য দাবি করেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়ায় ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি করেন তিনি। অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ওই বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই খারাপ ইভিএম বদলানোর কাজ করছিলেন কমিশনেরই কর্মীরা। তাকেই ছাপ্পা হচ্ছে বলে পোস্ট করেছেন দেবাংশু। সঙ্গে, কী করে কমিশনের লাইভ স্ট্রিমিয়ের ফুটেজ দেবাংশু পেলেন তার তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। মূলত, ছাপ্পার অভিযোগ করে মুখ পুড়েছে বিজেপি প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    নন্দীগ্রামে বসেই মনিটরিং শুভেন্দুর              

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে বসেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari) তমলুক লোকসভার একাধিক বিধানসভা তিনি মনিটরিং করেন। আর দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এলাকা চষে বেড়়ান। কোথায় কোন এজেন্ট বসবে, বুথ ক্যাম্পে কর্মীদের জমায়েত সবই নিজে হাতে তদারকি করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু, তমলুক নয়, কাঁথি আসনও ছিল তাঁর পাখির চোখ। ফলে, ভোটের শেষে দুটি কেন্দ্রে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে তাঁর চোখে মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal Update: রেমাল আতঙ্কে ২১ ঘণ্টা বন্ধ বিমান, বন্ধ ফেরি, বাতিল বহু লোকাল

    Cyclone Remal Update: রেমাল আতঙ্কে ২১ ঘণ্টা বন্ধ বিমান, বন্ধ ফেরি, বাতিল বহু লোকাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মধ্যরাতেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal Update)। ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই মতো প্রস্তুতি পর্ব চলছে। এরই মধ্যে ঝড়ের আবহে বিপদ ঠেকাতে তৎপর হয়েছে রেল-বিমান ও ফেরি কর্তৃপক্ষ। সোমবার পর্যন্ত বাতিল থাকছে বহু লোকাল ট্রেন। ২১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে উড়ান পরিষেবা। রাজ্যের একাধিক স্থানে ফেরি পরিষেবাও বন্ধ থাকবে।

    হাওড়া শাখার কোন কোন ট্রেন পরিষেবা বন্ধ

    জানা গিয়েছে, রেমালের কারণে পূর্ব রেলের (Cyclone Remal Update) একাধিক লোকাল ট্রেনকে বাতিল করা হয়েছে। ২৬ মে হাওড়া-ব্যান্ডেল ও সিঙ্গুর শাখায় একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে। ইতিমধ্যে যাত্রীদের সুবিধার্থে কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকছে তার তালিকাও দিয়েছে পূর্ব রেল। ২৬ তারিখ হাওড়া-ব্যান্ডেল হাওড়া শাখায় বাতিল থাকছে- 37211, 37213, 37215, 37221, 37229, 37235, 37239, 37241, 37247 লোকাল। অন্যদিকে ডাউন শাখায় বাতিল থাকছে 37212, 37214, 37218, 37222, 37226, 37228, 37232, 37236, 37240 লোকাল। অন্যদিকে হাওড়া সিঙ্গুর শাখায় বাতিল থাকছে- আপ 37303, ডাউন 37304 লোকাল।

    শিয়ালদা শাখার কোন কোন ট্রেন বন্ধ

    হাওড়া শাখার পাশাপাশি শিয়ালদা শাখাতেও লক্ষীকান্তপুর, বজবজ, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবারে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে পুর্ব রেল। সোমবার বাতিল থাকছে এই ট্রেনগুলি (Cyclone Remal Update)। শিয়ালদা শাখায় যে সমস্ত ট্রেন বাতিল থাকছে সেগুলি হল-

    ২৬ তারিখ রবিবার বাতিল খাতায় থাকছে 

    লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা: 34914 ডাউন/34935 আপ

    শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর 34754 ডাউন/34757 আপ

    শিয়ালদা-বজবজ শাখায়: 34166 ডাউন/34165 আপ

    শিয়ালদা-ক্যানিং শাখায়: 34554 ডাউন/34557 আপ

    শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখায় : 34860 ডাউন/34859 আপ

    ২৭ তারিখ সোমবার বাতিল খাতায় থাকছে 

    লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা: 34914 ডাউন/34935 আপ, 34916 ডাউন/34937 আপ, 34981 আপ

    শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর: 34712 ডাউন/34711 আপ, 34714 ডাউন/34713 আপ, 34716 ডাউন/34715 আপ, 34717 আপ

    শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার: 34812 ডাউন/34811 আপ, 34814 ডাউন/34813 আপ, 34816 ডাউন/34815 আপ

    শিয়ালদা-ক্যানিং: 34352 ডাউন/34511 আপ, 34354 ডাউন/34513 আপ

    শিয়ালদা-সোনারপুর: 34412 ডাউন/34411 আপ

    শিয়ালদা-বজবজ: 34112 ডাউন/34111 আপ, 34114 ডাউন/34113 আপ

    শিয়ালদা-বারুইপুর: 34612 ডাউন/34611 আপ, 34614 ডাউন/34613 আপ

    শিয়ালদা/বারাসাত-হাসনাবাদ: 33511 আপ/33512 ডাউন, 33311 আপ/33514 ডাউন, 33313 আপ/33312 ডাউন

    বন্ধ ফেরি সার্ভিস

    ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। যেমন, গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং চলছে। নদী তীরবর্তী বাঁধের পাশে যে সমস্ত বসতি গড়ে উঠেছে, সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। গঙ্গায় যাঁরা মাছ ধরতে যান, নৌকা করে, তাঁদেরও নদীতে (Cyclone Remal Update) যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৫ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত হুগলি জেলার সমস্ত ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। একই চিত্র দেখা গেছে হাওড়াতেও। সেখানেও রবিবার সোমবার সম্পূর্ণভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে ফেরি চলাচল পুনরায় চালু হবে।

    ২১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা 

    অন্যদিকে, বিমান পরিষেবাও বন্ধ থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। ইতিমধ্যে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর বারোটা থেকে ২১ ঘন্টা অর্থাৎ সোমবার সকাল ন’টা পর্যন্ত সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে কলকাতা বিমানবন্দরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal Update: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    Cyclone Remal Update: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটবঙ্গে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে রেমাল (Cyclone Remal Update)। শনিবার রাতেই বঙ্গোপসাগরের ওপরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ধীরে ধীরে তা এগিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলার দিকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সাগরদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে। অন্যদিকে ক্যানিং থেকে এই দূরত্ব ৩৬০ কিলোমিটার বলে জানা গিয়েছে। ২৬ মে রবিবারে মধ্য রাত্রিতে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।

    রবিবার ভোর থেকেই শুরু বৃষ্টি

    রবিবার ভোর থেকেই সুন্দরবন সহ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা সহ একাধিক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বেলা বাড়তেই দুর্যোগও বাড়তে থাকবে। সন্ধ্যা থেকে দুর্যোগের পরিমাণ প্রবল হবে। তখন থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব টের পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিকাল পাঁচটার পর অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Remal Update) আসার আগে সকাল থেকে দুর্যোগের কালো মেঘে ঢেকেছে সুন্দরবনের আকাশ। সেখানে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। এর মধ্যেই চলছে ফেরি সার্ভিস। কারণ প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য ফেরিই সুন্দরবনের একমাত্র ভরসা। তবে রাত থেকেই তা বন্ধ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এদিক-ওদিক যেতে শুরু করেছেন।

    ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আজ ভারী বৃষ্টিপাত (Cyclone Remal Update) হতে পারে। এর সঙ্গে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চরমভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই জেলাগুলিতে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। এর পাশাপাশি নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রেমালের প্রভাবে সোমবারও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান ও বীরভূমে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেখানে জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। এর পাশাপাশি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ও বইতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তমলুক কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেবাংশু লড়ছেন তাঁরই বিরুদ্ধে।

    দেবাংশুর অভিযোগ (Debangshu Bhattacharya)

    তৃণমূলের এই প্রার্থীই বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েবকাস্টিংয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের যে কোনও সারবত্তা নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বুথের ভিতরের ভিডিও ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে, তার উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে পরেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) (ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ইভিএমের সামনে কয়েকজন জড়ো হয়ে রয়েছেন। দেবাংশুর দাবি, ভিডিওটি নন্দীগ্রাম ১ এর সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। দেবাংশুর অভিযোগ, এই বুথে বিজেপি দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে।

    কমিশনের দাবি

    তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, ওই বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটি পাল্টানো হচ্ছিল। তাই ভিড় হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেবাংশুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপির অভিজিৎ। হেভিওয়েট এই প্রার্থীর সামনে দাঁড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ দেবাংশুর কাছে। তিনি জানেন, অভিজিতের কাছে গোহারা হারবেন। তাই গেয়ে রেখেছেন আগাম গাওনা। দেবাংশুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিজিৎও। তিনি বলেন, “কমিশন আগেও ওঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। কোথাও কোনও ছাপ্পার অভিযোগ নেই।”

    আর পড়ুন: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির

    তবে ওয়েবকাস্টিংয়ের ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে তা জানার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ওয়েবকাস্টিং নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতর, সিইওর দফতর এবং জেলাশাসকের দফতর থেকে। ওয়েবকাস্টিংয়ের পাশওয়ার্ড রয়েছে হাতে গোণা কয়েকজনের কাছে। তাই কীভাবে বাইরে এল ভিডিও ফুটেজ? সিইও দফতর সূত্রে খবর, সেখান থেকে ফুটেজ বের হয়নি। তাহলে বাকি রইল জেলাশাসকের দফতর। যদি তা হয়ে থাকে, তবে তা সার্ভিস রুল অবমাননার শামিল। ফুটেজ লিকের নেপথ্যেই বা কে, তাও জানার চেষ্টা করছে কমিশন (Debangshu Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share