Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সবে শেষ হয়েছে সাত দফার ভোট। আর শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় (Nadia) খুন (BJP worker Murder) হল বিজেপি কর্মী। মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখ (৩৫) কালীগঞ্জের চাঁদপুরের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে খুন করার পর হাফিজুলের মাথা নৃশংসভাবে কেটে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

    সিবিআই তদন্তের দাবি

    জানা গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুল কে খুন (BJP worker Murder) করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। খুনের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অনেক রাত পর্যন্ত দেহ আটকে রাখেন নিহতের আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ (BJP worker Murder)

    এ বিষয়ে মৃত হাফিজুল শেখের দাদা জয়েন উদ্দিন মোল্লা বলেন, “এর আগে আমরা সকলেই সিপিআইএম করতাম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিজেপিতে যোগদান করি। আর সেই কারণেই আমার ভাইকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।” তিনি বলেন, “আমার ভাই ক্যারাম খেলছিল। সকলের সামনেই দুষ্কৃতারা এসে আমার ভাইকে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। পরবর্তীকালে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা, এরপরে বোমাবাজি করে তারা।” এই ঘটনার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনিও। 

    আরও পড়ুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    ঘটনার তীব্র নিন্দা বিজেপির

    অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নদীয়া (Nadia) উত্তরের বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় হাফিজুল শেখ এবং তার দাদার নেতৃত্বে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বেড়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাফিজুল শেখ কে খুন (BJP worker Murder) করেছে। আর এই ঘটনায় রয়েছে পুলিশের মদত। আমরা অবিলম্বে যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” না হলে আগামী দিনে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবো বলে জানান তিনি। ফলে বিজেপি কর্মীর এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বলেই জানিয়েছেন অর্জুন বিশ্বাস। তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের ধারণা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা হয়েছে। তবে বর্তমানে আততায়ীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমৃতা রায়

    ঘটনার খবর পেয়ে মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। এই খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “হাফিজুল দুই মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে এটুকু শুনেছিলাম। কিন্তু তার যে এই পরিণতি হবে তা বুঝতে পারিনি। আমি শুনেছি পুলিশ আগের দিন রাতে এসে সব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। শুধুমাত্র একটা দোকান খোলা রাখতে বলেছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি সম্পূর্ণ জানাবো।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিষ জল কাণ্ড! পুলিশের সঙ্গে বিজেপির মহিলা মোর্চার ব্যাপক ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা শিলিগুড়িতে

    Siliguri: বিষ জল কাণ্ড! পুলিশের সঙ্গে বিজেপির মহিলা মোর্চার ব্যাপক ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা শিলিগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় মাটির কলসি মাথায় নিয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার সামনে শনিবার বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চা। মেয়র গৌতম দেবের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। মেয়রের কুশপুতুল পোড়াতে গেলে পুলিশ তা কেড়ে নেয়। মহিলা মোর্চার এই আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে ভেস্তে দেওয়ার চেস্টায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরসভা চত্বর। পুলিশের সঙ্গে মহিলা মোর্চার সদস্যদের ব্যাপক ধস্তধস্তি হয়। বিজেপি মহিলা মোর্চা সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে।

    কেন এই আন্দোলন? (Siliguri)

    জলের জন্য হাহাকার চলছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জুড়ে। পানীয় জল চাইছেন মানুষ। ১৫ দিন দূষিত জল পান করিয়ে এখন শহরবাসীকে জল দিতে পারছেন না শিলিগুড়ির তৃণমূল মেয়র। এর প্রতিবাদে শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা।  ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শেখা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন বাঘাযতীন পার্ক থেকে বিশাল মিছিল করে মহিলা মোর্চা শিলিগুড়ি পুরসভার সামনে উপস্থিত হয়। সকলের মাথায় ছিল মাটির কলসি। পুরসভায় ঢোকার মুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী এদিন মোতায়েন করা ছিল পুরসভার গেটের সামনে।  অভিযোগ পুলিশের ভিড়ে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী ছিল। পুলিশের সামনেই তারা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে।

    মেয়র এখন ময়ূর হয়ে বসে রয়েছেন, কটাক্ষ বিজেপির

    শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেব নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। শহরের মানুষকে  বিষাক্ত করিয়ে এখন ময়ূর হয়ে তিনতলায় বসে রয়েছেন। এই মেয়র অপদার্থ। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ চাই। তিনি মানুষের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন। তাই পুলিশ দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কাড়া হচ্ছে। মানুষ তাঁর কাছে জল চাইতে এসেছিলেন।

    মেয়রকে এক গ্লাস করে জল খাওয়ানোর আবেদন সুকান্তর

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, শহরবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা একগ্লাস করে দূষিত জল নিয়ে গিয়ে মেয়রকে খাওয়ান। তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন শহরবাসীকে তিনি ২৫ দিন ধরে কী খাইয়েছেন। বিজেপি এই বিষ জলপান নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ ।                                                        

  • Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন, ইঙ্গিত একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন, ইঙ্গিত একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা জুন, শনিবার শেষ হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হয়েছে ৫৪৩টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনও। গত মার্চ মাসে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই বিজেপি দাবি করেছিল, বাংলায় এবার আসন বাড়বে পদ্ম-পার্টির। বাংলায় যে এবার আরও বেশি কেন্দ্রে পদ্ম ফুটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    আইবি-র রিপোর্ট (Lok Sabha Election 2024)

    শেষ দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে তিনি বলেছিলেন, “দেশের মধ্যে পারফরমেন্সে এগিয়ে বঙ্গ বিজেপি।” যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দাবি, এবারও রাজ্যে ভালো করবে ঘাসফুল শিবির। ভোট কূশলী প্রশান্ত কিশোর অবশ্য দাবি করেছিলেন, বাংলায় এক নম্বর দল হবে বিজেপি। এদিকে, আইবি-র তরফে যে রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও বলা হয়েছে বিজেপি পেতে পারে ২৮-৩০টি আসন। তবে এ রাজ্যে ঠিক কারা এগিয়ে, পিছিয়েই বা কারা, কী বলছে এক্সিট পোল, আসুন (Lok Sabha Election 2024) জেনে নেওয়া যাক।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রকাশ, বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২৩-২৭টি আসন, তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৩-১৭টি আসন, বাম-কংগ্রেস পেতে পারে ১-৩টি আসন। ‘জন কি বাতে’র সমীক্ষা অনুযায়ী, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২১-২৬টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ১৬-১৮টি আসন, বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে যেতে পারে ৩টি আসন। নিউজ ১৮ মেগা এক্সিট পোলের সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেতে পারে ২১-২৪টি আসন।

    আর পড়ুন: তৃতীয় বার মোদি সরকার, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই, বলছে এক্সিট পোল

    রিপাবলিক ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্ম ফুটতে পারে ২১-২৫টি আসনে, আর ঘাসফুল মাথা তুলতে পারে ১৬-২০টি আসনে। রিপাবলিক পি এমএআরকিউয়ের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ২২টি আসন, তৃণমূল ২০টি। ইন্ডিয়া নিউজ-ডি ডাইনামিক্সের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পাবে ২১টি আসন, তৃণমূলের ঝুলিতে ১৯টি। এনডিটিভি ইন্ডিয়া-জন কি বাতের দাবি, বিজেপি পাবে ২১-২৬টি আসন, তৃণমূল ১৬-১৮টি। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, এ রাজ্যে বিজেপি পেতে পারে ৪২.৫ শতাংশ ভোট, তৃণমূল পেতে পারে ৪১.৫ শতাংশ ভোট, বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১৩.২ শতাংশ ভোট (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষ বেলায় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)  নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। দীর্ঘদিনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এদিন দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali) 

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে, বাসন্তী হাইওয়েতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। গ্রামবাসীদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি নির্দোষ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলে, ইটবৃষ্টি শুরু হয় এলাকায়। কার্যত খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয় চেহারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা জানতে চান তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। যদিও সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী।

    শাহজাহান বাহিনীর দোসর হয়েছে পুলিশ!

    সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) । তার মধ্যেই বেলা যত গড়াতে থাকে ততই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। স্থানীয় মহিলাদের একাংশের দাবি, শেখ শাহজাহানের বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। তাদেরই দোসর হয়েছে পুলিশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় জনতা। দুপুরে ফের ইটবৃষ্টি হয়। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এদিন সন্দেশখালির রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ আমাদের দিকে ইঁট ছুঁড়ছিল। তার আঘাতে এক মহিলা আহত হন। তবে পুলিশ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই মহিলা।

    পুলিশকে ধমক দেন বিজেপি প্রার্থী!

    এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় চলে আসেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তিনি পুলিশকে সামনে দেখেই চিৎকার শুরু করে দেন। তিনি বলেন, লজ্জা করছে না আপনাদের। আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর কেনা গোলামের মতো কাজ করছেন। এখন আপনারা মুখ লুকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু জনতা আপনাদের আসল রূপ ধরে ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বরানগর। বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের বহিরাগতদের দাপাদাপি লেগেই ছিল। বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ভোটের শেষ বেলায় বরানগরে (Baranagar) বিজেপির পাটি অফিসে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী (Baranagar)

    এদিন বরানগরে (Baranagar) বিজেপির কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে ছুটতে ছুটতে এসে  পার্টি অফিসের ভিতরে  ঢোকেন। এরপরই পার্টি অফিসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর  করা হয় আসবাবপত্র।  মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে, বরানগরের রবীন্দ্র ভবনে ১০২ নম্বর বুথে এদিন ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। আলমবাজারে ভুয়ো ভোটার ধরার পরই তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী অপদার্থ!

    বরানগরে (Baranagar) পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সজল ঘোষ। তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে গর্জে উঠে বলেন, আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাবে। বুথ দখল করবে। সবকিছু লুট করবে তৃণমূল, তাহলে আপনাদের থেকে আমাদের কী সুবিধা হচ্ছে? আপনারা তো ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আপনার একজন তো পালিয়েও গেল! ‘কী করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কী বলবেন আপনি?’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক কোনও মুখ খোলেননি। পরে, সজলবাবু বলেন, সেন্ট্রাল বাহিনী অপদার্থ।

    বুথের সামনে তৃণমূলের জমায়েত!

    এদিন সকাল থেকেই বরানগর জুড়ে বুথে বরিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বেলা বাড়তেই বুথের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত বাড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেসি কলেজের বুথের কাছেই তৃণমূল বেআইনিভাবে জমায়েত করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত সেখানে গেলে তৃণমূলের বাহিনী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদিজির ভাষণ শুনে ভরসা করে কিছুদিন আগে সিএএ (CAA) পোর্টালে আবেদন করেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আরপাড়া গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ সরকার।  নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। আর শংসাপত্র হাতে পেয়ে তিনি বেজায় খুশি। নিজে হাতে মিষ্টি বিলি করলেন প্রতিবেশীদের।

    এলাকায় মিষ্টি বিলি করলেন সরকার পরিবার (CAA)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণবাবুর বয়স বর্তমানে ষাটের  কাছাকাছি। প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মায়ের হাত ধরে দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণবাবু ভারতে এসেছিলেন। মুসলিমদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন। শান্তিপুরে বাড়ি এবং চাষবাসের জন্য কিছুটা জমি কিনে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। পরে, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব পরিচয়পত্র হয় তাঁদের। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তাঁরা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলেন।  ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাত্র এক মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলেন নাগরিকত্বের শংসাপত্র। শংসাপত্র (CAA) হাতে পেয়ে সরকার পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকায় বাড়ি প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহ আরএসএস এবং বিজেপি কর্মকর্তা সহ সকল নাগরিকদের মিষ্টি বিলি করা হয়।

    মোদি সরকারের জন্য মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব

    শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, নিজে আবেদন করে দেখে নিলাম কোনও আইনি সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি আছে কিনা। ১৭ মে আবেদন করেছিলাম। এত অল্প সময়ের মধ্যে আমি শংসাপত্র (CAA) হাতে পাব তা আশা করিনি। এটা অত্যন্ত সহজ এবং আইনি কোনও জটিলতা নেই। সকলকে আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেব। কারণ, এই মোদি সরকার কখনও তার নাগরিকদের সমস্যায় ফেলবে না। তবে, যে দেশে বাস করব সেই দেশের অনুমতি সহ থাকাই নিরাপদ। মোদি সরকারের জন্য এই দেশে মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন,  আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের খুব সহজ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছে। যা অতীতে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather Update: টানা বর্ষা বঙ্গে, সুখবর দিল আবহাওয়া দফতর

    West Bengal Weather Update: টানা বর্ষা বঙ্গে, সুখবর দিল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে গলদঘর্ম অবস্থা বাঙালির। এরই মাঝে সুখবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather Update) । ৭ দিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    বঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা (West Bengal Weather Update)

    বঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে বর্ষা, আগামী সাতদিন ধরে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের দিনেও সপ্তম দফায় কলকাতা সহ আশেপাশের অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে, ৩১ শে মে বঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। তবে এবার উত্তরবঙ্গে বর্ষা আগে প্রবেশ করেছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় বৃষ্টি হবে। চলতি বছর স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি বর্ষা হবে(West Bengal Weather Update), এমনটাই আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

    একাধিক জেলায় জারি সতর্কতা

    শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা হাওড়া হুগলি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বৃষ্টি হবে। এর মধ্যেই বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। এই তিনটি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে এই জেলাগুলিতে। তবে বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather Update) হলেও তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    টানা বর্ষা হলে কিছুক্ষণের জন্য কমে যেতে পারে তাপমাত্রা। তবে যে সময় বর্ষা হবে না, সেই সময় আকাশ মেঘলা থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি কোথাও কোথাও হতে পারে । মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ঝড়-বৃষ্টির জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটে দেশবাসীর নজর রয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। বসিরহাট লোকসভার এই বিধানসভায় শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সকাল থেকেও সন্দেশখালি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভার হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন সকাল থেকে বিজেপি কর্মী-এজেন্টদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    সন্দেশখালিতে ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Sandeshkhali)

    ভোটের আগের রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন গ্রামবাসীরা। পাল্টা টহল দেওয়ার সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের ছদ্মবেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, শনিবার ভোট শুরু হতেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ন্যাজাট থানার ওসি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারির একটি বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করছিল। বিজেপি কর্মী গিয়ে তার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁর ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালানো হয়।

    মিনাখাঁয় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ বিধানসভার কালিনগর গ্রামের ৫৫ নম্বর বুথে। বিজেপি কর্মী  মনত মণ্ডল বলেন, আমি পঞ্চান্ন নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্ট বসিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। ঠিক সেই সময় আমাকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র হেরে যাবেন। তাই, বিজেপি মিথ্যা নাটক করছে। তৃণমূল কোনওদিন মারামারির রাজনীতি করে না। জানা গিয়েছে, আহত বিজেপি কর্মীর হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।  

    হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল। হিঙ্গলগঞ্জের মণ্ডল সভাপতি পুষ্পেন্দু রায় একাধিক বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন বিজেপি কর্মীর চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দমদম লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা উপনির্বাচনও রয়েছে বরানগরে (Baranagar)। আর এই বিধানসভায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি। সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি এই লোকসভার খড়দায় বিজেপি নেতাকে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা! (Baranagar)

    বরানগরের (Baranagar) বনহুগলিতে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বুথের মধ্যে তৃণমূলের এক বহিরাগত ঢুকে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেন। যদিও তিনি নিজেকে সৌগত রায়ের এজেন্ট বলে দাবি করেন। তবে, এজেন্টের কোনও পরিচয় পত্র তিনি দেখাতে পারেননি। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর এই বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে। পরে, বুথের ভিতরেই বিজেপি প্রার্থীকে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের এক কর্মী। তাঁর সঙ্গে সজলবাবু বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বুথ চত্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে এক সাংবাদিক আক্রান্ত হন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী (Baranagar) সজল ঘোষ বলেন, “ফর্মে স্ট্যাম্পের কথা কোথাও লেখা নেই। আর তৃণমূলের লোকজন স্ট্যাম্প ছাড়া ঢুকতে দেবে না। প্রিসাইডিং অফিসার মেনে নিচ্ছেন। তৃণমূলের লোকজন বাধা দিচ্ছে। তবে, যিনি আমাকে বাধা দিয়েছেন তিনি তৃণমূলের বহিরাগত। তাঁর নিজের কোনও কাগজ নেই। আমরা চেপে ধরতেই তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এসব হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়। ওই একই বুথে রাজ্য পুলিশকে দেখা গেল ভিতরে। আঙুল উঁচিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও পুলিশ আধিকারিক জানান ভিতরে সব ঠিক আছে কি না জানার জন্য গিয়েছিলেন।

    খড়দায় বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দা বিধানসভার বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের লেলিনগড় ২৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সহ-সভাপতি শেখ রমজান আলিকে বাঁশ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর গাড়িও ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  এই ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির সহ-সভাপতি সেখ রমজান আলি বলেন, আমি দলীয় ক্যাম্পে বসেছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা এসে আমাকে বেধড়ক পেটায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট আর বাঁশ দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত বলেন, হেরে যাবে বুঝতে পেরেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে।

    বরানগরে আক্রান্ত বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য

    বাম প্রার্থীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, শনিবার বরানগর (Baranagar) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান। সেখানেই বরানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁর। দু’জনকে নিরস্ত করতে দৌড়ে আসেন দু’দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, আমি বনহুগলি এলাকার ওই বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে দেখেই নাকি ‘চোর-চিটিংবাজ’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা। আমায় দেখে কাউন্সিলর বললেন, আপনি এখানে কেন? আমি পাল্টা বললাম আমি তো প্রার্থী, কিন্তু আপনি এখানে কেন? এখান থেকে চলে যান বলে ওরা হামলা চালায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rekha Patra: প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র, বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেও আশাবাদী বিজেপি

    Rekha Patra: প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র, বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেও আশাবাদী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । যদিও ভোটের দিনে বেলা গড়াতেই ছবিটা বদলে গেল বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের এই অঞ্চলে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হল এই কেন্দ্রে। তাঁর মধ্যেই জীবনে প্রথমবার ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra) । এককালে শেখ শাহজাহানদের দাপটে প্রথমে বাম, পরে তৃণমূলের প্রার্থীরা এই অঞ্চল থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছেন। উঠত ভয়ঙ্কর ছাপ্পা রিগিংয়ের অভিযোগ। এবার প্রথম শান্তিতে ভোট হচ্ছে সন্দেশখালিতে।

    প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র

    প্রথমবার ভোট দিয়ে রেখাপাত্র বলেন (Rekha Patra), “জীবনে প্রথমবার ভোট দিলাম। সন্দেশখালীর মা-বোনেরাও এবার অনেকে প্রথমবার ভোট দিয়েছে। এর জন্য মোদীজি কে ধন্যবাদ জানাই। ২০১১ সাল থেকে এখানকার লোকেরা ভোট দিতে পারেনি। তবে আমাদের লড়াই শুধু ভোট দেওয়ার জন্য ছিল না। ছিল আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচার লড়াই। সেই লড়াইয়ের একটা অঙ্গ এই ভোটদান। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সন্দেশখালীর মা-বোনেরা একত্রিত হয়ে এখনও তাঁদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    প্রসঙ্গত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর এসেছে। তবে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বেশিরভাগ বুথে। নখ, দাঁত বের করার চেষ্টা করলেও সেভাবে আস্ফালন দেখাতে পারছে না শাসক দলের বাহুবলীরা। সকাল থেকেই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী।

    মোটের উপর শান্তিপূর্ন নির্বাচন সন্দেশখালিতে

    সন্দেশখালিতে এখনও চালু রয়েছে সিবিআই ক্যাম্প। আঁটোসাটো নিরাপত্তা প্রত্যেকটি বুথে। গোটা সন্দেশখালি অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সন্দেশখালির মহিলাদের প্রশ্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে, আপনারা চলে গেলে কী হবে। বসিরহাটের অন্যান্য জায়গাতেও রয়েছে সেন্ট্রাল ফোর্সের নিশ্ছিদ্র পাহারা। রেখা পাত্র (Rekha Patra) জানিয়েছেন তাঁদের এক কর্মীর এদিন মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে শাসক দলের কর্মীরা। তবে বেশির ভাগ বুথেই শান্তিপূর্ণভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। গন্ডগোল এড়াতে মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গে মোবাইল নিয়ে আসলেও সুইচ অফ করে বুথে ঢুকতে হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share