Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dilip Ghosh: “তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত”, শাসকদলকে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত”, শাসকদলকে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার দুপুরে বিজেপির বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।

    তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত (Dilip Ghosh)

    এদিন ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করলে যেমন চাকরি যায়, তেমনি ভুয়ো আইন করে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের সরকার ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ, নৈতিকভাবে তারা সংবিধানকে ধোকা দিয়ে জিতে এসেছে। যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের আদৌ ক্ষমতায় থাকা উচিত কিনা বিবেচনা করা দরকার। আমার মতে, তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

     মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন

     মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধৃষ্টতা দেখুন, তিনি (Dilip Ghosh) বলছেন, কোর্টের রায় মানবো না। প্যাঁচে পরে তিনি বারবার কোর্টে যাচ্ছেন। যখন সিঙ্গুরে জমির জন্য কোর্টে গিয়ে জিতে টাটাদের তাড়িয়েছিলেন, তখন কোর্ট ঠিক ছিল। আজকে যেহেতু তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোর্ট রায় দিয়েছে তাই তিনি কোর্টকে মানবেন না। আমরা জানি তিনি সংবিধান মানেন না, লোকসভার সিদ্ধান্ত মানেন না, সুপ্রিম কোর্টকে মানেন না। সিএএ, জিএসটির বিরোধিতা করেছেন, তিন তালাকের বিরোধিতা করছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা হটানো হয়েছে, তিনি তাঁর বিরোধিতা করছেন। এই যে মানসিকতা এটা বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা। স্বাধীনতার আগে এরকম হয়েছিল বলে দেশ ভাগ হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন। দেশ বিরোধিতা, রাষ্ট্র বিরোধিতা যারা করছেন তিনি তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি তাদের সুরে কথা বলছেন। তিনি পাকিস্তান, বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের সুরে কথা বলছেন, এটা খুব ভয়ংকর।

    নন্দীগ্রামে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ায়  শুক্রবার রাতে ৬ জন তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওখানে গিয়ে হেরেছেন, তাই সেখানে জেতার সম্ভাবনা  নেই। বড় আকারে লিড আমরা পাব। শুভেন্দু অধিকারী ওখানকার বিধায়ক তিনি লড়াই করছেন। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সেরকম রক্ত ঝরেনি, খুন হয়নি। কিন্তু, শেষের দিকে আবার শুরু হয়ে গেল। যত ভোটের শেষের দিকে আসছে তত ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মারপিটের রাজনীতি করি না। যদি করতাম তাহলে উত্তরবঙ্গে দেখিয়ে দিতাম। এই যে আমার বিরুদ্ধে কেস করেছে আমি কি মারতে গেছি? আমরা এইসব রাজনীতি করিনা। কারণ, মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক দিনের পরেই কলকাতা শহরে ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে সপ্তম দফার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের প্রতি কমিশনের বার্তা, রাজ্যের মূল শহর কলকাতা। ঐতিহ্যবাহী এই শহরে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। গণমাধ্যম সহ সকলের নজরে থাকবে এই শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। পাশাপাশি বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাস এই শহরে। সপ্তম দফতেও কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ভোট সংক্রান্ত নিরাপত্তা যথোপযুক্ত রাখতে হবে। এমনই বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    দাগী অপরাধীদের বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক করল কমিশন

    জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোটের (Lok Sabha Election 2024)  দিন গোলমাল পাকাতে পারে এমন দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিতে হবে। দাগী অপরাধীদের বাইরে রাখা চলবে না। দাগী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে কোন গাফিলতি কমিশন বরদাস্ত করবে না। এই নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে। সপ্তম দফায় রাজ্যের যে সমস্ত প্রান্তে ভোট হবে তাঁর একটা বড় এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতাধীন। একদম শেষ দফায় ভোট হবে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর ও মথুরাপুর কেন্দ্র। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশকে কলকাতার উত্তর, দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়াও সামলাতে হবে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবারের কিছুটা অংশ এবং জয়নগরের একটি বড় অংশ।

    কোথায় কত বাহিনী

    লালবাজার সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দাগী অপরাধীদের ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন গোলমাল পাকাবে না।

    আরও পড়ুন: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    এবারের ভোটের কলকাতা পুলিশ ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করবে। এর আগে এত সংখ্যায় কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার হয়নি। এই ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ১২,৭০০ পুলিশ কর্মী ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে ২৩০টি কিউআরটি গঠন করা হয়েছে। শহরে টহল দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের কর্মী এবং আধিকারিকদের নিয়ে ৩৪৭ টি সেক্টর মোবাইল, ২৪০ কিউআরটি মোবাইল এবং ৮০ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। যাদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভোটের আগেই মোতায়েন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে ৫ দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও ২ দফায় ভোটগ্রহণ বাকি। নির্বাচন যতই শেষের দিকে যাচ্ছে ততই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর রাজ্যে ভোটের আবহের মাঝেই এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে বড় স্বস্তি মিলল কমিশনের। সম্প্রতি লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন (Election Commission) যেন তার ওয়েবসাইটে বুথভিত্তিক ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমনই দাবিতে কোর্টে আবেদন জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-র তরফে। ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিলে, কমিশনের ঘাড়ে ভোটের মধ্যে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Supreme Court)

    ২৪ মে শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দুই দফা বাকি আছে। এই অবস্থায়, প্রতিটি বুথের ভোটদানের তথ্য কমিশনের (Election Commission) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে, প্রয়োজনীয় লোকবল সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের বাস্তব পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। তাও আবার, মাঝপথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই চ্যালেঞ্জ করে।”

    আরও পড়ুন: প্রতি বুথে ভোটদানের হার প্রকাশে বিভ্রান্তি বাড়বে, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে দেরি হওয়ার পর এক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আর্জি ছিল লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন যেন তার ওয়েবসাইটে প্রতি বুথে ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তার জন্য নির্দেশ যেন সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে দেয়। তবে এ প্রসঙ্গে কমিশন বলেছিল, নির্বাচনী আইনে কোথাও ভোটদানের তথ্য় প্রকাশ করতেই হবে, এমন কথা বলা নেই। তাছাড়া, এই বিপুল সংখ্যক বুথের তথ্য এত দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরই এই তথ্য তারা প্রকাশ করতে পারবে। কমিশনের (Election Commission) এই বক্তব্যের পর ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    Nandigram: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মনসা বাজার এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ির মা রথীবালা আড়ি। নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়ি বর্তমানে কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

    রাজ্যপালের বার্তা

    অ্যাকশন রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি লোকসভা ভোটে রক্ত স্নান বন্ধ করে আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলার পরামর্শ রাজ্যকে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই ঘটনায় সরাসরি শাসক দলের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এফআইআরেও তাঁদের নাম রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নাম করে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে অভিযোগ তাঁদের।

    রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে অনীহা

    প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত খোঁজখবর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়ার মেজাজে নেই।

    আরও পড়ুন: মারে মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেমন আছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা?

    রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি লোকসভা নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করেছে তা বলতে পারবে কমিশন। নবান্ন বা রাজ্য প্রশাসন নয়। অর্থাৎ এ বিষয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করলেও কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা কমিশনের অজুহাত দেখিয়ে রাজভবনের কাছে পৌঁছে দিতে নারাজ রাজ্য।

    নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কী কারণে মৃত্যু? সে বিষয়েও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে অশান্তি প্রবণ অঞ্চলে রুট মার্চ করানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ভোটের আবহে (Lok Sabha Election 2024) বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। এক মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি (BJP) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথীবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জখমদের তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dooars Jungle Safari: রাজ্যে পর্যটকদের জন্য খারাপ খবর! বন্ধ হল ডুয়ার্সে মহাকাল রুট সাফারি

    Dooars Jungle Safari: রাজ্যে পর্যটকদের জন্য খারাপ খবর! বন্ধ হল ডুয়ার্সে মহাকাল রুট সাফারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পর্যটকদের জন্য খারাপ খবর! উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে (Dooars Jungle Safari) মহাকাল রুটে সাফারি বন্ধের নির্দেশ বন দফতরের। উত্তরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি আকর্ষণীয় জায়গা হল জয়ন্তী-মহাকালের জঙ্গল সাফারি। সারা বছর পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায় এই এলাকায়। এবার এই বন্ধের নির্দেশকায় স্থানীয় ব্যবস্যায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেন বন্ধের নির্দেশ (Dooars Jungle Safari)?

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জয়ন্তী-মহাকাল রুটে জঙ্গল সাফারি (Dooars Jungle Safari) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলে রাস্তার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ফলে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জঙ্গলে হাতির গতিবিধি অনেক বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকুল না হলে আপাতত এই নির্দেশিকা পালন করতে হবে।

    ব্যবসায়ী মহলের প্রতিক্রিয়া

    বন দফতরের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ভাবে সমস্যায় পড়বেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। ডুয়ার্সে (Dooars Jungle Safari) ঘুরতে যাওয়ার মানেই হল মহাকাল মন্দির দর্শন করা। রাস্তা বন্ধ থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই ভক্ত এবং পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাবে। জয়ন্তী নদীর ধার ধরেই পর্যটকদের ঘুরতে যেতে হয়। বর্ষায় হরপা বানের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার নদীর ধারে পশুরা জলপান করতে আসে। তাই যোগাযোগ মাধ্যমের উপর প্রভাব ফেলছে সাময়িক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হবে দ্রুত। 

    আলিপুর ট্যুর অপরেটর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্লব দে সরকার বলেন, “জয়ন্তীর ধারে আসা পর্যটকরা একবার হেলেও মহাকালে যান। মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে। সাফারি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায় একটা বড় প্রভাব পড়বে। পুরো জিপ সাফারি বন্ধ না করে সপ্তাহে দুদিন যাতে চলে সেই বিষয়ে দফতরকে আমরা আবেদন করব।”

    আরও পড়ুনঃমারে মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেমন আছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা?

    প্রশাসনিক আধিকারিকের বক্তব্য

    বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডিএফডি (ইস্ট) দেবাশিস শর্মা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, “মহাকাল যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকলেও জয়ন্তীর অন্যান্য রুটে সাফারি (Dooars Jungle Safari) আগের মতোই চালু থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: মারে মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেমন আছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা?

    Nandigram: মারে মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেমন আছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফার একদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বিজেপির পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে মহিলা বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়িকে। একই সঙ্গে বেধরক মারে গুরুতর আহত হয়েছেন রথিবালার ছেলে সঞ্জয় আড়ি। শুধু তাই নয় আরও ৭ জন বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রত্যেকের অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। এরপরে বিজেপির ক্ষোভের আগুনে আগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর এই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

    মাথার খুলি ফেটে যায় (Nandigram)!

    তৃণমূল দুষ্কৃতীদের মারের আঘাতে ভয়ঙ্কর ভাবে আহত হন সঞ্জয় আড়ি। তিনি অবশ্য সোনাচূড় (Nandigram) এলাকার বিজেপির এসসি মোর্চার অঞ্চল সভাপতি। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের করে রড দিয়ে মারা হয়। মা, ছেলেকে বাঁচাতে গেলে এরপর মায়ের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। রড দিয়ে আঘাত করে মারা হয় মাকে। অপর দিকে আহত সঞ্জয়কে পরের দিন বৃহস্পতিবার কলকাতায় আনা হয় চিকিৎসার জন্য। শারীরিক ভাবে ভীষণ আহত হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মারের আঘাতে তাঁর মাথার খুলি ফেটে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। তাঁকে সুনন্দ বসুর অধীনে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চলে অস্ত্রোপচার। ডাক্তার অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর মাথায় জমে থাকা জমাট বাঁধা রক্ত বের করা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে ২৪ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোধ্যায়কে দায়ী করেন। ঘটনার আগের দিন এই তৃণমূল নেতা এলাকায় (Nandigram) উস্কানি মূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের যেখানে যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানে সেখানে তৃণমূল গোলমাল অশান্তি তৈরি করছে। তৃণমূলের কোনও জেতার সুযোগ নেই। ভোটের আগে খুন করে এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে। একজন ৫৬ বছরের মহিলাকে খুন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই।”

    আরও পড়ুনঃনন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় নাম জড়াল একাধিক তৃণমূল নেতার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভোট। তার আগে নন্দীগ্রামে (Nadigram) পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হল মহিলা বিজেপি কর্মীকে। তাঁর ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আহত ওই যুবক বিজেপির এসসি মোর্চার সম্পাদক। থানায় দেবব্রত রায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরও টনক নড়েনি পুলিশের।

    খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন (Nadigram)

    বৃহস্পতিবার বিকালে নন্দীগ্রামে (Nadigram) রাজ্যস্তরের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যান। সন্ধেবেলা তেখালি বাজারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা যায় দেবব্রত রায় ওরফে দেবু রায়কে। বিজেপি কর্মী খুনে অভিযোগপত্রে দু’নম্বরেই নাম রয়েছে তাঁর। তাঁকেই কি না দেখা গেল পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশের সামনে বহাল তবিয়তে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। অভিযোগ, বিজেপির এসসি মোর্চার অঞ্চল সম্পাদক সঞ্জয় আড়িকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলে বাঁচাতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন বিজেপি নেতার মা। কুপিয়ে, মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের মেয়ে বলেন, তৃণমূলের লোকেরা আমার মাকে মেরে দিল। আমার দাদাকেও মারল। আমার দাদা বাঁচবে নাকি ঠিক নেই।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    নিহতের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    তৃণমূল নেতারা নন্দীগ্রাম (Nadigram) এলাকায় গেলে গো ব্যাক স্লোগান দেয় গ্রামবাসীরা। এদিকে এই ঘটনার জন্য সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিহতের পরিবারের দেওয়া অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে, ২২ মে তারিখ, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের শায়েস্তা করার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই দেবব্রত রায় সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, নামের তালিকা দিয়ে অভিযোগ করার পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে, হামলাকারীরা এলাকায় দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা (Allowance of Imam)। রাজ্যে এখন দু দফার ভোট বাকি। আর এই আবহেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে সরকারি তথ্য সহ বড় অভিযোগ আনল বিজেপি (BJP on Imam Bhata)। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের ১২ বছরের শাসনে রাজ্যে মসজিদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। একই সঙ্গে করদাতাদের টাকায় কেন ইমাম – মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকী, এই ভাতা দিয়ে কী লাভ হচ্ছে তা সমীক্ষা করে দেখার দাবিও জানান তিনি।

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি

    এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্য সরকার চুপিসারে গত ২ মাস আগে থেকে রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার ইমাম মোয়াজ্জমের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের এ বছর খরচ হতে চলেছে ২০০ কোটি টাকা। এই ভাতা (Allowance of Imam) বাড়ানোর জন্য বাজেটে কোনও প্রভিশন ছিল না। কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে ভোটের ঠিক আগে আগে এই ভাতা বাড়িয়েছে। ভোটের আগে তিনি ঘুষ দিচ্ছেন। ইমাম, মোয়াজ্জেমদের পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দানে নামাচ্ছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রায় ৪০ হাজার ইমাম মাসে ৩ হাজার টাকা ও ২৭ হাজার মোয়াজ্জেম ১,৫০০ টাকা ভাতা (Allowance of Imam) পাচ্ছেন। ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন।  
    যখন ইমাম ভাতা চালু হয়, তখন ১৬ হাজার ইমাম ভাতা পেতেন। একটি মসজিদে একজনই ইমাম ইমামতি করতেন। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মসজিদের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৪০ হাজার। অর্থাৎ ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৪ হাজার মসজিদ তৈরি হয়েছে। যে রাজ্যে পুলিশ রামনবমীর মিছিলকে অনুমতি দেয় না, নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয় না সেখানে রাজ্য সরকারের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়ার নীতি কী? এই প্রশ্নও এদিন তিনি তুলেছেন। 

    আরও পড়ুন: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

    ধর্ম নিয়ে রাজনীতি 

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জগন্নাথবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওবিসি এ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছিলেন। আর ওবিসি বি শ্রেণিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল সনাতনী ওবিসিদের জন্য। তবে মুসলিমরাও তার সুযোগ পেতেন। কালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের আদেশকে বিজেপির আদেশ বলে দাবি করে বলেন, এই আদেশ তিনি মানেন না। তিনি মুসলিমদের সংরক্ষণ দেবেন। অবাক করার বিষয়, ওবিসি বি শ্রেণিতে সনাতনী ওবিসিদের জন্য যে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল তা নিয়ে তিনি একটি কথাও বললেন না। হাইকোর্টের রায়ে মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিল হয়ে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ব্যথিত। একই সঙ্গে নির্দ্বিধায় তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করলেও আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ভোট পরবর্তী হিংসা! হাওড়ায় ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Howrah: ভোট পরবর্তী হিংসা! হাওড়ায় ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হাওড়া (Howrah) লোকসভা কেন্দ্রে ভোট শেষ হতেই লাগাতার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।  এমনিতেই ভোট গ্রহণ পর্ব থেকেই হাওড়া লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ভোট পর্ব মিটতেই হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি। তৃণমূল এতটাই বেশি সন্ত্রাস চালিয়েছে যে পাঁচলার বেলডুবি গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কে এই গ্রামের প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    পঞ্চম দফায় হাওড়ার (Howrah) বেলডুবি গ্রামের উত্তর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। তবে ভোটগ্রহণের মাঝপথে অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ, ওই বুথে ছাপ্পা ভোটের চেষ্টা করছিল তৃণমূলের কর্মীরা। তাতে বাধা দিয়েছিলেন বিজেপির দুজন এজেন্ট। এর পরেই তাদের বুথের মধ্যে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের সরিয়ে দিলেও রাস্তায় বের হলে তাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা। আরও অভিযোগ, ভোট শেষ হওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন এবং তাঁর দলবল বিজেপির এজেন্টদের পাশাপাশি সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং বাড়ির পুরুষদের মারধর করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরে প্রাণভয়ে ঘরছাড়া হয়ে পড়েন বহু বিজেপির কর্মী সমর্থক। সবমিলিয়ে ২০০ জন বিজেপির কর্মী সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এই মুহূর্তে তারা জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে অভুক্ত অবস্থায় তাদের দিন কাটছে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন বলেন, ভোটের দিন বুথে ঝামেলা হয়েছিল। তাও সেরকম কিছু নয়। ঝামেলা মিটে গিয়েছে। উলটে বিজেপি কর্মীরা রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা কোনও হামলা করিনি। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে ২০০ কর্মী ঘরছাড়া হয়ে জঙ্গলে রয়েছেন। চরম আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় নাম জড়াল একাধিক তৃণমূল নেতার

    Nandigram: নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় নাম জড়াল একাধিক তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম (Nandigram) খুনের মামালায় নাম জড়াল বেশকিছু তৃণমূল নেতার নাম। ষষ্ঠ দফা লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। রাজনৈতিক সংঘর্ষে এলাকা ছাড়া হয়ে রয়েছে বেশ কিছু লোকজন। বিজেপির অভিযোগে তৃণমূল বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। শাসক দল যে অনেকটাই চাপের মুখে তা রাজনীতির একাংশের মানুষও মনে করছেন। আগামীকাল শনিবার ভোট গ্রহণ এলাকায়।

    পিটিয়ে খুন করা হয় (Nandigram)!

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি মহিলা কর্মী রথিবালা আড়িকে পিটিয়ে খুন করে জনা ২৫ তৃণমূল দুষ্কৃতী। এই মর্মে মৃতা বিজেপির কর্মীর মেয়ে মঞ্জু আড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। এই এফআইআরে নাম রয়েছে শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক তৃণমূল সহসভাপতি শেখ আল্লারাজি সহ আরও কিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গতবুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়া, গড়চক্রবেড়িয়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। মনসাবাজার এলাকার কাছে হামলার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা দেবু রায়। হামলা করে মারা হয় রথিবালা রায়কে। খুনের সঙ্গে আরও প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন খোকন সীট, শেখ শামসুল ইসলাম। উল্লেখ্য ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় দেবব্রত মাইতি নামে এক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত ১১ জন এখনও জেলার বাইরে।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “দেবু রায়, খোকন সীটেরা গড়চক্রবেড়িয়া থেকে লোক নিয়ে গিয়ে খুন করিয়েছে। এফআইআর দায়েরর পরেও অভিযুক্ত আল্লারাজি নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত চাই।”

    আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা তথা সভাপতি দেবু রায় বলেছেন, “বুধবার রাতের আমাদের এক কর্মী পলাশের টোটো ভাঙচুর করে বিজেপির কর্মীরা। আমরা ২৮৪ নম্বর বুথ পাহারা দিচ্ছিলাম। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ২০ মিনিটের মাথায় জানতে পারি বিজেপির এক মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যেহেতু আমি দল চালাই তাই আমাকে খুনের মামলায় ফাঁসনো হচ্ছে।” আবার তৃণমূল নেতা শেখ আল্লারাজি বলেছেন, “আমার বাড়ি থেকে ওই এলাকা অনেক দূরে। আমাদের যাতায়েত নেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হলদিয়ায় ডেকে আমাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। আমি রাজি হইনি। তাই ফাঁসানো হচ্ছে।” আবার সুফিয়ান বলেন, “তৃণমূলের কেউ এই ঘটনা জড়িত নন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share