Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mithun Chakraborty: ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই’’, ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘মহাগুরু’

    Mithun Chakraborty: ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই’’, ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘মহাগুরু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার ছবির কথা বলব। রাজনীতির কথা বলব না।” পয়লা জুন, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পর কথাগুলি বললেন অভিনেতা কাম রাজনীতিক বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন,  ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই”।

    ভোটের লাইনে মিঠুন

    বেলগাছিয়ার ২৪৮ নম্বর বুথের ভোটার মিঠুন। সকালেই চলে যান বুথে। লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো। ঠায় চল্লিশ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ক। যদিও তাঁকে এগিয়ে গিয়ে আগে ভোট দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন লাইনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন ভোটার। তবে এই সুযোগ নিতে রাজি হননি এই অভিনেতা-রাজানীতিক। এদিকে, রূপোলি পর্দার ‘মহাগুরু’কে হাতের কাছে পেয়ে যথারীতি এল সেলফি তোলার আবেদন। মিঠুন তাতে রাজি হলে বাধ সাধেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তৃণমূলের দেবিকা চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করছেন মিঠুন। ততক্ষণাৎ অভিনেতা-কাম রাজনীতিক (Mithun Chakraborty) বলেন, “আমি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আমি কাউকে চিনি না।”

    কী বললেন অভিনেতা-রাজনীতিক?

    এর পরেই বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “নির্বাচনের ডিউটি ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। দলের নির্দেশ ছিল। আমি পূরণ করেছি। এবার আমার কাজ হল পেশাগত জীবনে চলে যাওয়া। শনিবার থেকে আমি আমার পেশাগত জীবনে ঢুকছি। এদিন থেকেই আমি ছবির কাজ করব।” পদ্ম শিবিরের এই তারকা রাজনীতিক বলেন, “আমি কোনও সময় দুটো কাজ এক সঙ্গে করি না। তাই এবার থেকে ছবির কথা বলব, রাজনীতির কথা নয়।”

    আর পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি আয়োজিত ব্রিগেডের জনসভায় ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মিঠুন হাতে তুলে নিয়েছিলেন গেরুয়া ঝান্ডা। তার আগে তিনি ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। পদ্ম-পার্টিতে যোগ দিয়েই জোর কদমে জনসভা করতে শুরু করেন মিঠুন। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সময় এক এক দিনে মিঠুন সভা করেছিলেন চার-পাঁচটি করে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে সভা-সমাবেশ-মিছিল এবং রোড-শো করেছেন মিঠুন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় কম। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবার তুলনামূলকভাবে কম সভা করেছেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: নির্বাচনী প্রচারে ৫২১ বার কপ্টার ব্যবহার করেছে তৃণমূল!

    TMC: নির্বাচনী প্রচারে ৫২১ বার কপ্টার ব্যবহার করেছে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মা-মাটি-মানুষের নেত্রী! থাকেন টালির চালের বাড়িতে। তৃণমূল নেত্রীর এই ছবি দেখিয়েই ঘাসফুল প্রতীককে গরিবের দল বলে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (TMC)! অথচ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এই দলই সব চেয়ে বেশি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে বলে খবর।

    কপ্টার ব্যবহারে এগিয়ে তৃণমূল (TMC)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চলতি নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে ৫২১বার। আর রাজ্যে তার বিরোধী দল বিজেপি ব্যবহার করেছে মাত্রই ১২৪ বার। কংগ্রেস ব্যবহার করেছে দু’বার। নির্দল প্রার্থীরা কপ্টার ব্যবহার করেছেন কংগ্রেসের মতোই, দু’বার। বাংলায় একবারও কপ্টার ব্যবহার করেনি বামেরা। একটা আঞ্চলিক দল(তৃণমূল অবশ্য দাবি করে তারা সর্বভারতীয় দল। তবে সর্বভারতীয় দল হতে গেলে যে মানদণ্ডের চৌকাঠ পেরতে হয়, তা পেরতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।) তৃণমূলের (TMC) কপ্টার ব্যবহারের বহর দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজনৈতিক মহলের।

    রাজ্যে প্রচারে রেকর্ড 

    কমিশন সূত্রে খবর, ৬৭৬ বার কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল তৃণমূল। তবে এতবার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৫২১ বার। গত ১৬ মার্চ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। পয়লা জুন সপ্তম দফার নির্বাচন। ৩০ মে ছিল প্রচারের শেষ দিন। পঁচাত্তর দিন ধরে চলা নির্বাচনী প্রচারেও এগিয়ে বাংলা। কমিশন সূত্রে খবর, এই পঁচাত্তর দিনে বাংলায় সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ সভা, মিছিল হয়েছে। দেশে যা নজিরবিহীন। কমিশন সূত্রে খবর, দেশের কোথাও আর এত সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়নি।

    আর পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    জানা গিয়েছে, বাংলায় কর্মসূচি করতে চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ২৭৬টি। এর মধ্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯৫ হাজার আবেদনের। এ রাজ্যে সব চেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৮টি। এই তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। অন্যান্য জেলায় সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়েছে তুলনায় কম (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় রক্ত ঝরল বিরোধীদের। কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হল। বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। ফলে, শনিবার সপ্তম দফা ভোটে সকাল থেকে একাধিক লোকসভা কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

    ভাঙড়ে অশান্তি! (Lok Sabha Election 2024)

     শনিবার মধ্যরাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। তৃণমূল- আইএসফ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূলত, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে। অভিযোগ আইএসএফের দিকে। পাল্টা দলীয় পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল এলাকায়। আইএসএফও-এর দাবি, তাদের কর্মীরাও আহত হয়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে, ভোটের রাতে দলীয় প্রার্থী নুর আলম খানের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাতেই ভাঙড় থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। রাতভর ভাঙরের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালেই ভোটকে (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এ বার ঘটনাস্থল ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তৃণমূল। উল্টোদিকে, আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    জলে ফেলা হল ইভিএম

    কাশীপুরের বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপস রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ও ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কুলতলিতে বিজেপিসহ বিরোধীদের ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই রাগে ইভিএম জলে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ক্যানিং গোলাবাড়ি বাজারে বিরোধী দলের ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এক সংবাদ কর্মী গুরুতর আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    জয়নগরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ

    জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। আহত ৬ জন। বিজেপির ২ জন এবং তৃণমূলের ১ জন কর্মীকে আহত অবস্থায় কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি নেতার মেয়ের ওপর হামলা

    বারাসাত লোকসভার কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপির বুথ সভাপতির মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়ড়া শিবতলা এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত ওই নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAPF: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    CAPF: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য গোটা দেশে খ্যাতি রয়েছে বাংলার! বিরোধীদের এহেন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই হিংসা ঠেকাতে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CAPF)। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বাহিনী থাকবে ৬ জুন পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ফল বের হবে ৪ জুন।

    রাজ্য চলছে শেষ দফার নির্বাচন (CAPF)

    পয়লা জুন, শনিবার লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন আসনে। রাজ্যের ৯টি আসনেও চলছে নির্বাচন। ১৭ হাজার ৪৭০টি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৩ হাজার ৭৪৮টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে ৯৬৭ কোম্পানি। ৩৩ হাজার ২৯২ জন রাজ্য পুলিশ কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনে (CAPF)। কমিশন জানিয়েছে, সপ্তম তথা শেষ দফায় সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন ১০জন। পুলিশ পর্যবেক্ষক ৫জন। খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১১ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমিশনে জমা পড়েছে ৪০ হাজার ৪৬২টি অভিযোগ। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৯৮৬টি অভিযোগের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।

    বিধানসভা নির্বাচনে হিংসা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের স্মৃতি এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। সেই নির্বাচনে বাংলার বিভিন্ন পকেটে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বিরোধীদের ওপর অত্যাচার হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও ভোট হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি কেন্দ্রে অশান্তি হয়েছে বলে জেনেছে কমিশন। রাজনৈতিক মহলের মতে, তার পরেই ভোটের ফল বেরনোর দু’দিন পর পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

    আর পড়ুন: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, তার মধ্যে সিআরপিএফ-ই ১১৫ কোম্পানি, বিএসএফ ১১৮ কোম্পানি, সিআইএসএফ ৭১ কোম্পানি, আইটিবিপি ৩৬ কোম্পানি, এসএসবি ৬০ কোম্পানি। এদিকে, শেষ দফার নির্বাচনে ওয়েবকাস্টিংয়ের ওপর আরও বেশি করে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ পর্বে ক্যামেরা নিয়ে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও প্রিসাইডিং অফিসারদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে (CAPF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেই শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকার খেলার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর এই অভিযোগকে কেন্দ্র রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা নিয়ে এসেছে! (Alipurduar)

    শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মাদারিহাটের (Alipurduar) বিধায়ক তথা এবারের লোকসভা ভোটের বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে। এই টাকা কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে এক ব্যবসায়ীর কাছে আসে। তারপর পুলিশ গ্রিন করিডর করে আলিপুরদুয়ারে আনে। আমাদের কাছে খবর আছে, আলিপুরদুয়ারের এক ব্যবসায়ীর কাছে কলকাতা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছে। এর আগে তৃণমূলের দুই নেতা কলকাতায় গিয়েছিলেন। এরপরই মঙ্গল-বুধবার নাগাদ পুলিশের সহযোগিতায় আলিপুরদুয়ারে টাকা আনা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, এই টাকা ব্যবহার করে তৃণমূল আলিপুরদুয়ার আসনটি জেতার চেষ্টা করছে।” পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এডিএম (জেলা পরিষদ) গত পঞ্চায়েত ভোটে  বেআইনিভাবে পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসক দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাই আগামী ৪ জুন উনি গণনাতে ওই আধিকারিক থাকলে সঠিকভাবে গণনা হবে না।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “আসলে বিজেপি আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) হারবে বুঝেই এসব কথা বলছে। আমি বিজেপির নেতাদের মনে করিয়ে দিতে চাই , ইডি তো বিজেপির পকেটে থাকে। তাদের নেতাদের নির্দেশ শুনেই ওরা কাজ করে। তা এটাও জানাক ইডিকে। ওরা টাকা বাজেয়াপ্ত করুক। আসলে টাকার গল্পটা কিছুই নয়, এটা হচ্ছে হার স্বীকার করে নেওয়া। ওরা আলিপুরদুয়ারে হারতে চলেছে বুঝে আগাম একটা গীত গেয়ে রাখল। তৃণমূল এসব করে না। কারণ, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khardah: ভোটের আগের দিন খড়দায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান! শোরগোল

    Khardah: ভোটের আগের দিন খড়দায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই দমদম লোকসভায় ভোট। তার ঠিক আগের দিন এই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা খড়দায় (Khardah) বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে সাদা থান ফেলে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। বিজেপি কর্মীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    শুক্রবার খড়দা (Khardah) পুরসভা এলাকার পূর্ব কল্যাণনগর এলাকায় বিজেপি কর্মী পিন্টু পালের বাড়ির সামনে সাদা থান রেখে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এদিন  সকালে ঘুম থেকে উঠে সাদা থান থেকে বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিজেপি কর্মী পিন্টু পাল বলেন, আমি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। কোনও ক্রমে দলীয় কর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচান। আসলে এসব করে ভোটের দিন যাতে বুথের কাজ আমি না করি, সেই জন্যই তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। বিজেপি কর্মীর স্ত্রী অপর্ণা পাল বলেন, সকালে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি সামনে একটা সাদা থান আর তার ওপরে কালো পলিথিন ব্যাগে কিছু রাখা আছে। ভয় পেয়ে যাই। আমার স্বামী বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায়। প্রথমে ভেবেছিলাম পলিথিনের মধ্যে বোমা রাখা আছে। কিন্তু, পরে দেখা যায় বোমার মতো দেখতে সুতলির গোলা রাখা ছিল। সকালে উঠে এসব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা চাই, দোষীদের গ্রেফতার করা হোক।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, খড়দায় (Khardah) দলীয় কোন্দলে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের। দুর্নীতির জন্য তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন আমাদের যেসব কর্মী বুক দিয়ে বুথ রক্ষা করবেন, তাঁদের এভাবে ভয় দেখিয়ে বুথে যাতে না যান তারজন্য এসব করছে তৃণমূল। কিন্তু, এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আমাদের পক্ষে রয়েছে। তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, বিজেপির এখানে কোনও ভোট নেই। তাই, এসব করে ভোটের আগে ওরা নাটক করছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বের করুক। কারণ, তৃণমূল এরকম নোংরামো করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডাইনি সন্দেহে দুই কানে শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন মহিলাকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: ডাইনি সন্দেহে দুই কানে শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন মহিলাকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যার দীর্ঘদিন ধরেই শরীর খারাপ। নানা প্রকার ওষুধ খেয়েও কোনও রকম ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। তাই সন্দেহ হয় গ্রামেরই এক মহিলার ওপর। সমস্ত রাগ গিয়ে পরে ওঁই মহিলার ওপর। গুজব রটে যায় এই মহিলা নাকি ডাইনি! এরপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। মহিলার দুই কানে লোহার শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তাঁর স্বামীকে। ঘটনা ঘটেছে মালদায় (Malda)।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Malda)

    ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মালদার (Malda) এই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। কিন্তু এই অসুস্থতার সন্দেহে দায়ী করা হয় ওই নির্যাতিতা মহিলাকে। এরপর কিছু তৃণমূল কর্মীরা মহিলাকে পাশের গ্রামের এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী আরও এক মহিলাকে। এরপর তান্ত্রিক অনেক সময় ধরে তুকতাক করে নির্যাতিতা মহিলার দুই কানে শিক ঢুকিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে তাঁকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় তার ওপর ব্যাপক অত্যাচার, মারধর। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তান্ত্রিকসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় (Malda) পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।

    নির্যাতিতার বক্তব্য

    নির্যাতনের শিকার ওই মহিলা (Malda) বলেছেন, “তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী এবং দলের লোকজন আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমার গলা টিপে ধরে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশের প্রতিবেশী বাঁচাতে গেলে আমাদের দুইজনকেই অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয়। মারে আমরা ব্যাপক আহত হয়েছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    বিজেপি-তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদার (Malda) বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “ঘটনায় তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছেন বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে আড়াল করতে চাইছেন।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দিলীপ হেমব্রম বলেছেন, “এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কোনও ভাবে জড়িত নন, যদি জড়িত থাকেন তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল আইপ্যাক”, বিস্ফোরক অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল আইপ্যাক”, বিস্ফোরক অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কয়েকটি নজরকাড়া কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তমলুক। ষষ্ঠ দফায় এই কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। সমস্ত ইভিএম রয়েছে এখন স্ট্রংরুমে। সেই স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল এবং আইপ্যাকের  বিরুদ্ধে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি কর্মীদের তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ঘটনাস্থলে গিয়ে সরব হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Abhijit Ganguly)

    তমলুক কেন্দ্রের জন্য কোলাঘাট কেটিপিপি হাইস্কুলে স্ট্রংরুম করা হয়েছে। সেই স্কুলের পিছনের এলাকায় থাকা বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িতে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী হাতে ওয়াকি টকি নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। তারপরেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ওই গাড়িতে থাকা মানুষজনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। সেই খবর যায় স্থানীয় থানায়। এরপর কোলাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরে, গাড়িতে করে ঘুরতে থাকা মানুষজন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বিজেপির অভিযোগ, সেই গাড়িতে আইপ্যাকের লোকজন ছিল। তারা স্ট্রং রুমে ঢুকে ইভিএম বদলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিল। তাই সেখানে স্কুলের পিছন দিকের এলাকায় ঘুরঘুর করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেই অভিযুক্তদের সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই সব ঘটনার মাঝেই সেখানে পৌঁছে যান তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

     স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল আইপ্যাক!

    বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “আইপ্যাকের লোকেরাই সেখানে এসেছিল অশান্তি করতে। ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল তারা। সঙ্গে তৃণমূলও ছিল।” এদিকে এই ঘটনার জেরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ, হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংও আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ইভিএম বদলের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিকে আইপ্যাকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, একুশের বিধানসভা ভোটে গণনা কেন্দ্রে আইপ্যাকের লোক ঢুকে পড়েছিল। এভাবে বাংলায় ৪০ থেকে ৫০টি বিধানসভা আসন কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সপ্তম দফা লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) ভোট গ্রহণ পর্ব। এই পর্বে রাজ্যে মোট ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলি হল উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, বসিরহাট, জয়নগর এবং যাদবপুর। কমিশন কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে ওয়েব কাস্টিং নিয়ে। ভোট গ্রহণের সময় ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ হলে ভোট গ্রহণও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যাপক মাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

    আসুন জেনে নিই কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কারা (Lok Sabha Election 2024)

    উত্তর কলকাতা

    উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) হলেন তিনবারের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে একাই ৫০% ভোট পেয়েছিলেন সুদীপ। বিজেপির রাহুল সিনহা ৩৭% ভোট পান। বিজেপির এই বারের প্রার্থী তাপস রায়, এবং কংগ্রেস-বাম সমর্থিত প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতা

    দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন মালা রায়। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রের মোট ৫৬ ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ২৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল।

    দমদম

    দমদম কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আগের বারের বিদায়ী সাংসদ সৌগত রায়। তিনি ২০০৯ সালে সিপিএম থেকে ছিনিয়ে নেন এই আসনটি। আবার বরানগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। অপরে এই কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024)  প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এবং বরানগর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।

    বারাসত

    বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কাকালি ঘোষ দস্তিদার। তিনি একই কেন্দ্রের টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন স্বপন মজুমদার এবং বাম প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।

    ডায়মন্ড হারবার

    ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে ৭.৯০ লাখ ভোটে জায়ী হয়েছিলেন তিনি। অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। আবার বাম প্রার্থী প্রতীর উর রহমান।

    মথুরাপুর

    মথুরাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আশোক পুরকায়স্থ। অপরে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন বাপি হালদার।

    বসিরহাট

    বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিবাদী চরিত্র রেখা পাত্র, তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং সিপিএম প্রার্থী নীরাপদ সর্দার।

    জয়নগর

    জয়নগর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। বিজেপ প্রার্থী হয়েছেন আশোক কাণ্ডারী।

    যাদবপুর

    যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ, বিজেপির অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুনঃভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    কত বাহিনী এই পর্বে?

    সপ্তমদফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণে রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনে বিশেষ জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সবরকম অশান্তিকে আটকাতে মোট ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু কলকাতাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাসতে থাকছে ৮১ কোম্পানি, বারাকপুরে ৮১ কোম্পানি আর বারুইপুরে থাকছে ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে বসিরহাটে ১১৬ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবারে ১১০ কোম্পানি, সুন্দরবনে ১১৪ কোম্পানি, বিধাননগরে ৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। অবাদ নির্বাচন করাই কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য। আগামী ৪ তারিখ হবে ভোট গণনা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিষ জল ইস্যুতে বিজেপির আন্দোলনে ধুন্ধুমার, মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার হুমকি শঙ্করের

    Siliguri: বিষ জল ইস্যুতে বিজেপির আন্দোলনে ধুন্ধুমার, মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার হুমকি শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২০ দিন ধরে বিষ জল পান করানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার আন্দোলনে নামে বিজেপি। সেই আন্দোলন আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় এলাকায়।

    বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি (Siliguri)

    পুরসভার জল কেলেঙ্কারিতে বৃহস্পতিবার থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) পানীয় জলের হাহাকার। এর প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈনের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল পুরসভার গেটের সামনে হাজির হয়। ঘটনাস্থলে থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, পুলিশ বলপূর্বক এই মিছিল আটকাতে গেলে বিজেপির কাউন্সিলর, নেতা, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কেন পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি?

    গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেব ঘোষণা করেন, দুই সপ্তাহ ধরে শিলিগুড়ি শহরে পুরসভা থেকে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে তা ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত। সেই জল যেন আর কেউ পান না করেন। মেয়রের মুখ থেকে একথা শোনার পর শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে দেখা দেয় পানীয় জলের হাহাকার। পুরসভার এই দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ এবং  মানুষকে বিপদে ফেলে দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাতে এদিন পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।

    মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার হুমকি

    পরিস্থিতি সামাল দিতে শিলিগুড়ি (Siliguri) জুড়ে যে জল দেওয়া হচ্ছে তার শুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, মেয়র গৌতম দেবকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। তৃণমূলের মেয়র মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। জল মানে জীবন। তিনি মানুষকে দূষিত জল পান করিয়েছেন। এটা ভয়ঙ্কর অপরাধ। এখন পাউচে, পুরসভার ট্যাঙ্কে যে জল দেওয়া হচ্ছে তার শুদ্ধতা নিয়েও আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কেননা নোংরা জলের ট্যাঙ্কে জল দেওয়া হচ্ছে। নোংরা ফেলার গাড়ি করে জলের পাউচ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেয়রকে এই অধিকার কে দিয়েছে? আমাদের প্রশ্ন, মহানন্দার জল ব্যবহার করার আগেই কেন নমুনা পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়নি। তিনি দূষিত জল মানুষকে খাওয়ানোর পর নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠান। এটা ক্ষমাহীন অপরাধ। গৌতম দেবের আর মেয়রের চেয়ারে বসার অধিকার নেই। অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। এখন সত্যের মুখোমুখি হতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share