Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mamata Banerjee: মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    Mamata Banerjee: মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আইনি নোটিস পাঠালেন কার্তিক মহারাজ। উল্লেখ্য এই সন্ন্যাসী মহারাজ ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিভ্রান্তমূলক। সত্য প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মাথা পেতে নেব।” তবে এটাও স্পষ্ট করলেন মমতা নিজের মন্তব্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি মামলা করব। এই প্রেক্ষিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Mamata Banerjee)?

    ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলিনি। মমতা (Mamata Banerjee) পুরো মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি কোথাও কোনও জায়গায় এই কথা বলিনি। তৃণমূল কর্মীদের বুথ থেকে বের করে দেবো এই কথাও বিলিনি। আমি সন্ন্যাসী, আমি কোনও দল করিনা। প্রমাণ দিতে পারবেন না, এটাও সত্য কথা।” আবার ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের অধ্যক্ষ দিলীপ মহারাজ বলেন, “দেশ জুড়ে তো প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে মুখ খুলেছেন। আমি আর কী বলব, প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    সন্ন্যাসীকে মিথ্যা অভিযোগ এবং বাক্য বাণে আক্রমণের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করছেন। তিনি পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে বলেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, যখন ভারতের কথা বলেছিলেন তখন লাখ লাখ মানুষ তাঁর ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি ভারতের প্রতি বিদ্বেষী ছিলেন। বিবেকানন্দকে ধমকিয়ে ছিলেন। এমনকি অপমানও করেছিলেন। এখন আবার এখানে সেরকম হচ্ছে। বাংলার মাটিতে এই রকম ঘটনা ঘটছে। নির্বাচনের সময়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো ধমকানো, হিংসা করানোর ঘটনায় তৃণমূল সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এখন তাঁদেরকেই ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। লাখো মানুষের ভাবনার কথা ভাবছেন না”

    আরও পড়ুনঃ হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক অভিযোগ লকেটের

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত শনিবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থণে সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছিলেন, “সব সাধু সমান হন না। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।” এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা ইমামদের নির্দেশ বিষয়ে মমতার চুপ থাকার কথা বলে সরব হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আকাশ ভেঙে শহরে নামল বৃষ্টি! ৩ জেলায় কমলা সতর্কতা হাওয়া অফিসের

    Weather Update: আকাশ ভেঙে শহরে নামল বৃষ্টি! ৩ জেলায় কমলা সতর্কতা হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা, বেলা দশটা বাজতেই কালো করে এল শহরের আকাশ। দুপুরেই বিকেলের অন্ধকার। ১১টা বাজতেই বৃষ্টি নামল উত্তর থেকে দক্ষিণ শহর ও তার আশপাশে। সপ্তাহের প্রথম দিন অফিসে ঠোকার আগেই ভিজল (Rain Fall) কলকাতাবাসী। সোম ও মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। সেই  মতোই আকাশ ভেঙে নামল বৃষ্টি। ভোটের লাইন ছেড়ে পালালেন ভোটাররা। ছত্রাকার পরিস্থিতি চোখ পড়ল ব্যারাকপুর এবং বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথে।

    দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি

    ইতিমধ্যেই কলকাতার কিছু কিছু এলাকায় আকাশ অন্ধকার করে মেঘ জমেছে। বৃষ্টিও শুরু হয়েছে মধ্য কলকাতা-সহ শহরের বিভিন্ন অংশে। তবে হাওয়া অফিস সতর্ক করে জানিয়েছে, বৃষ্টির সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। দক্ষিণের পাঁচ জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘের ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন আবহবিদেরা। ভোটদানের সময়ের মধ্যেই তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায়। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) রিপোর্ট অনুসারে, তিন জেলাতেই দাপটে বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে বইবে দমকা হাওয়া। আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই এই ৩ জেলায় বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, নির্ধারিত সময়ের ৩ দিন আগে ২২ মে বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর সহ নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। কেরালাতেও নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে পৌঁছে যাবে মৌসুমী বায়ু। তবে এই বৃষ্টি বর্ষার নয়। বুধবারের পর থেকেই বৃষ্টির দাপট কমে ফের গরম বাড়বে শহরে।

    আরও পড়ুন: কলকাতার সামনে হায়দরাবাদ, জেনে নিন আইপিএল প্লে-অফে কবে কার সঙ্গে কার খেলা?

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও সোমবার এবং মঙ্গলবার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Rain Fall) হতে পারে। কোথাও হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। কোথাও বেগ বৃদ্ধি পেয়ে হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারও। এই দু’দিনে ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক, অভিযোগ লকেটের

    Hooghly: হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক, অভিযোগ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। একাধিক বুথ কেন্দ্রে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা ভয় দেখাচ্ছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। এদিকে হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বালিপুর মেলাতলা হাইস্কুলে বুথ নম্বর ২৬১তে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে। একই ভাবে খানাকুলের বালিপুর ২৫৯ এবং ২৬০ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টদের গায়ের জোরে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকায় আইপ্যাক টাকা নিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    ঠিক কী বলেছেন লকেট (Hooghly)?

    বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Hooghly) তৃণমূলের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ভোটের আগেরদিন রাত থেকেই এলাকায় টাকা নিয়ে ভোট কেনার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “রবিবার আইপ্যাকের জনা ২০ ছেলে ঢুকেছে এলাকায়। খবর এসেছে ওরা থলে ব্যাগে টাকা নিয়ে ঢুকেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে আছে। আজকের দিন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করবে। তবে ওদের হাতে কিছুই নেই।” ভোটের দিন সোমবার সকাল থেকেই ভোটের ময়দানে তিনি। নিজের জয় নিয়ে এই বিজেপি প্রার্থী ভীষণ আশাবাদী। একই ভাবে রচনাকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সক্রিয় রাজনীতি করতে গেলে রচনাকে বিজেপিতে যোগদান করতে হবে।” আবার তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। আমাদের প্রধান বিরোধিতা হল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এখানে কে অভিজ্ঞ, কে অনভিজ্ঞ, কে সিনেমা করে, কে কী করে তা বিষয় নয়। মানুষের জন্য আমি সবসময় থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের বিজেপি পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত পড়লে সেভাবেই ট্রিটমেন্ট করব।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারাল অস্ত্রের কোপ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি পঞ্চম দফায়

    পাল্টা রচনার বক্তব্য

    লকেটের অভিযোগকে অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইপ্যাকের কাছে এক পয়সাও নেই। দেড় মাস ধরে খেটে কাজ করছি। ভোটের দিনের আবহাওয়া বেশ সুন্দর। গরম ততটা নেই। রোদের কষ্ট অনেক কম। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। সবাইকে বলেছি শান্ত ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে। মাথা গরম করার সময় নয়। কেউ এসে উচ্চস্বরে কথা বললে আমরা রসগোল্লা খাইয়ে দেবো। আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। জয় নিয়ে আমি আশাবাদী।”

    ডোমজুড়ে উত্তেজনা

    শ্রীরামপুর (Hooghly) লোকসভার ডোমজুড়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দেবীপাড়ায় বিজেপির ওই কার্যালয়ে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেড়ে যায়। বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার মগরায় এক বুথকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মগরা উত্তম চন্দ্র হাই স্কুলের ২৮৭ এবং ২৮৮ নম্বর বুথ থেকে কৃষ্ণা দত্ত নামে বুথকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলকর্মী এক যুবকের বিরুদ্ধে।আবার ধনিয়াখালিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্র, বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন। পাল্টা তৃণমূল নেত্রীকে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন লকেট। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্রের কোপ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি পঞ্চম দফায়

    Lok Sabha Election 2024: বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্রের কোপ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি পঞ্চম দফায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর। কোথাও বিজেপি এজেন্টকে মেরে বুথ থেকে বের করা দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথ জ্যাম করার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির সাক্ষী থাকলেন ভোটাররা।

    বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্রের কোপ  (Lok Sabha Election 2024)

    ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বরূপনগরের নবাব কাটি ১২৭ নম্বর বুথ। অভিযোগ সকালবেলা ভোট দিতে যাচ্ছিলেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। ঠিক সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অতর্কিতভাবে বাস লোহার রড মিটিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপরে হামলা চালায়। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীদের মাথা ফেটে যায়। পরে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের গয়েশপুর বেদিভবনের কাছে রাস্তার ওপর বিজেপির গয়েশপুর শহর মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী জয়ন্ত জয়ধর। আক্রান্ত সুবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, ভোটারদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ঘটে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এইমস হাসপাতালে যান বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    বারাকপুরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

    বারাকপুর লোকসভায় (Lok Sabha Election 2024) আমডাঙ্গা বিধানসভার ১৯৮ ,১৯৯ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে ঢুকতে বাধা। তিনি জানান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়। এরপর দত্তপুকুর থানার পুলিশ এবং পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা এসে সেই বুথ কর্মীকে বুথে ঢুকতে  সহায়তা করেন। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা অস্বীকার করেন। কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান মেঘনাদ দাস পুরো ঘটনাটিকে অস্বীকার করেন এবং তিনি জানান সুষ্ঠুভাবে ভোট চলছে। অন্যদিকে, জোর করে বুথে ঢোকার চেষ্টা নির্দল এজেন্টদের। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় টিটাগড়ে। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বসতে দেওয়া হয়নি বলে ওই নির্দল এজেন্ট এর অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। বুথে ভুয়া এজেন্ট বসানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে চানকিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আসেন আইএসএফের বারাকপুরের প্রার্থী জামিল হোসেন। কিন্তু তার আসার আগেই সেই ভুয়া এজেন্ট ভোট কেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন আইএসএফ প্রার্থী। বীজপুর বিধানসভার তিন নম্বর বুথে উত্তেজনা বুথ জাম করার অভিযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। এই ঘটনার উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

    হাওড়ায় প্রিসাইডিং অফিসারকে চড়

    হাওড়ার লিলুয়ায় ভারতী স্কুল ১৭৬ নম্বর বুথে ভোট বন্ধ রয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে বুথে বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী গেলে তাঁর কাছে সমস্ত বিষয়টি জানা প্রিসাইডিং অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: ভোটের মুখে বিজেপির সভায় তৃণমূলের হামলা, তুলকালাম বরানগর

    Baranagar: ভোটের মুখে বিজেপির সভায় তৃণমূলের হামলা, তুলকালাম বরানগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বরানগরে (Baranagar) নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। এবার বিজেপির দলীয় সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর বিধানসভা এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Baranagar)

    স্থানীয় ও বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, বরানগর (Baranagar) বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের সমর্থনে বরানগরে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ জনসভা যখন চলছে তখন সেখানে আচমকা এসে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল। সভার মধ্যে ঢুকে পড়ে সভাতে থাকা বিজেপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে তৃণমূলের লোকজন কটূক্তি করতে শুরু করেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এরপরই বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এপ্রসঙ্গে বরানগর (Baranagar) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, “আমাদের সভা চলাকালীন আচমকা তৃণমূলের মিছিল ঢুকে পড়ে। তারপর চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। এর ফলে আমাদের সভায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। ওখানকার সাধারণ মানুষ সব দেখেছে। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই এভাবে গুণ্ডামি করে কিছু হয় না। যা হবে তা মানুষের রায়েই হবে।” অন্যদিকে এই গণ্ডগোলের জন্য বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কেই দায়ী করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “তাপস রায় যখন এখানকার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তখন তো দুর্নীতি বা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা বলেননি। আজ দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি সবকিছুতেই দুর্নীতি দেখছেন। আজকের এই গণ্ডগোল তাঁর জন্যই হয়েছে। আমরা বিজেপির সভায় কোনও হামলা চালাইনি। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    Lok Sabha Election 2024: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) আবহের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Lok Sabha Election 2024)

    শনিবার এক নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে সরব

    রবিবার বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘ আশ্রম সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ। নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে রবিবার ধিক্কার জানিয়ে বেলডাঙায় মিছিল করেন কার্তিক মহারাজের ভক্তরা। ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে একটি ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়। বেলডাঙ্গা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে ছাপখানা হয়ে নেতাজি পার্ক হয়ে হরিমতি হয়ে আবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে শেষ হয়। ওই মন্তব্যেক মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করতে চলেছেন মহারাজের অনুগামী ও ভক্তরা।

    হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না

    রবিবার সংবাদমাধ্যমকে বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, ‘আমি কোথাও এরকম কোনও কথা বলিনি যে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী কার কাছে এসব শুনেছেন আমি জানি না। আমি তো রাজনীতির লোকই নই। আর্তের সেবা করা আমার কাজ। কিন্তু আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। রেজিনগরে ওনার দলের বিধায়ক যখন বললেন ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব তখন উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি কেন? ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন।’

    মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ মোদির

    এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ভোটে যে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, হিংসা করায় তারা এবার সব সীমা পার করে দিয়েছে। আজ দেশ ও দুনিয়ায় ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ সেবা ও সদাচারের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। তারা ভারতের নাম উজ্জ্বল করে। কিন্তু, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীদের খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছেন। খোলাখুলি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। দুনিয়াজুড়ে এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ অনুগামী থাকেন। আর এদের উদ্দেশ শুধুমাত্র মানুষের সেবা করা। বাংলার সরকার তাদের দিকে আঙুল উঠিয়ে তাদের নাম নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই দুঃসাহস কেবলমাত্র নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল এত নীচে নেমে গিয়েছে। এদের বাংলার মানুষের কোনও চিন্তা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাবাবেগের কোনও চিন্তা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মেদিনীপুর আমাদের শুভেন্দু-দিলীপের কর্মভূমি”, খড়্গপুরে বললেন মোদি

    PM Modi: “মেদিনীপুর আমাদের শুভেন্দু-দিলীপের কর্মভূমি”, খড়্গপুরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মেদিনীপুর আমাদের শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের কর্মভূমি।” রবিবার খড়্গপুরের নির্বাচনী জনসভায় বিজেপির দুই নেতাকে এক পঙতিতে বসিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিলীপ ঘোষ ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর শুভেন্দু এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। গেরুয়া শিবিরে যে দুই নেতার গুরুত্বই সমান, কেউ বড় কিংবা কেউ ছোট নয়, এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী সেই বার্তাই দিলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    মোদির মুখে দিলীপ স্তুতি (PM Modi)

    মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ। তাঁকে এবার পদ্ম-পার্টি প্রার্থী করেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। দিলীপকে মেদিনীপুরে প্রার্থী না করায় দলের অন্দরে যদি কোনও অসন্তোষ দানা বেঁধেও থাকে, তার প্রভাব যেন ইভিএমে না পড়ে, সেই বার্তা দিতেই প্রধামমন্ত্রী (PM Modi) দিলীপ ও শুভেন্দুকে বসালেন একাসনে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মেদিনীপুর আমাদের শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের কর্মভূমি। আমি দিলীপকে রাজনীতির অনেক আগে থেকে চিনি। পরিশ্রম করা তাঁর স্বভাব। উনি শান্তিতে দু’দণ্ড বসতে পারেন না। পার্টির সভাপতি হিসেবে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, দিলীপের কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপকে ‘বড় নেতা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শোনা গেল শুভেন্দু প্রশস্তিও

    দিলীপের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিন শোনা গিয়েছে শুভেন্দু-প্রশস্তিও। তিনি বলেন, “শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করে যাচ্ছেন। তাই আমি বলব, মেদিনীপুরে বিজেপির কার্যকর্তাদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। মেদিনীপুর থেকে অগ্নিমিত্রা পাল ও ঘাটালে হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়কে জেতাতেই হবে।”

    আর পড়ুন: উন্নততর ভারত গড়তে কী করণীয়, ‘ফাঁস’ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    শুভেন্দুর ঢের আগে থেকেই দিলীপকে চেনেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতিতে আসার আগে দিলীপ ছিলেন আরএসএসের প্রচারক। প্রধানমন্ত্রীও তা-ই ছিলেন। নানা সময় তাঁদের দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। রবিবার খড়্গপুরের জনসভায় সেই প্রসঙ্গই উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেবল তা-ই নয়, এদিন সভা শেষে দিলীপের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। দিলীপের কেন্দ্রে যেহেতু ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে, তাই তাঁকে আরও বেশি করে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে সময় দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: বিধানভবনে মল্লিকার্জুনের ছবিতে দেওয়া হল কালি! অধীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট?

    Mallikarjun Kharge: বিধানভবনে মল্লিকার্জুনের ছবিতে দেওয়া হল কালি! অধীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের টানাপড়নের মধ্যেই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। এরপর রাজ্য-রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। রবিবার কলকাতার বিধান ভবনে মল্লিকার্জুনের ছবিতে কালি লেপে দেওয়া হল। কংগ্রেসের অবশ্য অভিযোগ তৃণমূল এই কাজ করেছে। পাল্টা তৃণমূল পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বেগতিক বুঝে কালি দেওয়া ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্রুত। একই সঙ্গে দুধ দিয়ে ধোয়া হল ছবি সহ হোর্ডিং।

    কীভাবে ঘটল (Mallikarjun Kharge)?

    কলকাতার বিধান ভবনের দেওয়ালে কংগ্রেসের তিনটি হোর্ডিং লাগানো ছিল। সেখানে কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা জাতীয় কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ছবির নিচে লিখে দেওয়া হয় ‘তৃণমূলের দালাল’। প্রথমে কেউ না দেখতে পেলেও পরে দেখতে পেয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কংগ্রেস কর্মীরা দ্রুত কালি দেওয়া ছবি সরিয়ে দেন। কালি মুছে দাগগুলিকে ধুয়ে দেওয়া হয় দুধ দিয়ে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

    কী বলেছেন অধীর?

    শনিবার মমতা নির্বাচনী প্রচার সভাতে বলেছিলেন, “বাইরে থেকে সমর্থন করব। ইন্ডি জোট আমি তৈরি করেছি। আমি জোটে থাকব। অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছেন। সর্ব ভারতীয় স্তরে বিরোধী জোটে আমি আছি।” কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মমতাকে আমরা কোনও ভাবে খাতির করতে পারব না। এই বাংলায় এই মহিলা আমাদের শেষ করেছে। আমি সমর্থন করতে পারিনা। আমার কোনও দ্বিমত নেই। এই লড়াই আমাদের নৈতিকতার। আমিও দলের পদাতিক সৈনিক।” এরপর জোট নিয়ে অধীরকে নিশানা করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)।

    আরও পড়ুনঃ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের বক্তব্য কী ছিল?

    জোট প্রসঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) বলেছেন, “মমতা জোটে আছেন, এটা নিশ্চিত। অধীর নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দল রয়েছে, হাইকমান্ড রয়েছে। আমরা যা করব তাই দলের সিদ্ধান্ত। যা বলব মানতে হবে। কেউ যদি মানতে না পারেন তাহলে রাস্তা খোলা বেরিয়ে যেতে পারেন।” এরপর বিধানভবনে কালি দেওয়া হয় মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছবিতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জের! হুমায়ুনকে সেন্সর করল কমিশন

    Humayun Kabir: ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জের! হুমায়ুনকে সেন্সর করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে সতর্কবার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। আসলে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কাজিপাড়ায় এক দলীয় কর্মিসভায় হুমায়ুন কবিরের (Humayun Kabir) এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার হুমায়ুন কবিরকে সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্য থেকে আগামী দিনে তাঁকে বিরত থাকতে হবে।

     কী বলেছিলেন হুমায়ুন? 

    এক কর্মিসভায় হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) বলতে শোনা যায়, ‘‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি তাহলে রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে রামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।’’

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    এর আগে ওই মন্তব্যের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে হুমায়ুনকে (Humayun Kabir) শোকজ করা হয়েছিল। সেই শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে এবার তাঁকে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বিজেপির (Humayun Kabir) 

    বিতর্কিত মন্তব্যটিকে ইস্যু করে নির্বাচন কমিশনে আগেই নালিশ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। বিজেপির অভিযোগ ছিল ওই মন্তব্যের মাধ্যমে বিরোধী দলের কর্মীদের ও সাধারণ ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা হয়েছে। বিজেপির সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ মে হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেদিন কর্মিসভার মন্তব্যের জন্য জবাব তলব করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের থেকে। শোকজ নোটিশের জবাবও দিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। 

    আরও পড়ুন: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    হুমায়ুনের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় কমিশন

    হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বক্তব্য ছিল, তাঁর বক্তব্যের একটি অংশকে তুলে এমনভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে, যাতে সেটি ভীতি সঞ্চারক ও আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার সামিল বলে মনে হয়। যদিও হুমায়ুনের সেই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। তাই এবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে সতর্ক করে দিল কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মে মাসের শেষেই সন্দেশখালির এই নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে চলেছে ইডি এবং সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থাই এবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে শাহজাহানের নাম দিতে চলেছে। একই ভাবে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম থাকবে শেখ আলমগীর, দিদার মোল্লা এবং শিবু হাজরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার আলোড়ন ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

    চলতি মাসের শেষেই চার্জশিট (Sheikh Sahajahan)

    সিবিআই তদন্তকারী সংস্থা কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ৯০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করতে হয়। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) গ্রেফতারের ২৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা। তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই সিবিআই চার্জশিট জমা করবে। আবার ইডি, কাউকে গ্রেফতার করার ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করতে হয়। এবার এই মাসের ৩১ তারিখ শেষ হচ্ছে সেই মিয়াদের দিন। তাই মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে চার্জশিট জমা করতেই হবে। আর তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছেন রাজ্যের শেষ দফায় ভোট সন্দেশখালি, তাই নির্বাচনী আবহে এই চার্জশিট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    ঘটনার সূত্রপাত ৫ জানুয়ারি

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডির আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করে শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) বাহিনী। ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা জওয়ান আহত হন মারের আঘাতে। সেই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের গাড়িকেও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকেই শাহজাহান পলাতক হন। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় ন্যাজাট থানার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অপর দিকে সন্দেশখালির মহিলারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন। শাহজানের অনুগামী উত্তম-শিবু, সিরাজ, জিয়াউদ্দিনের মতো দুষ্কৃতীরা জোর করে চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করেছে। একই ভাবে বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর যৌন শোষণ চালাতো। এমনকি কম বয়সী সুন্দরী বাড়ির বউদের এলাকাকে থেকে দূরে বা কোনও অন্য রাজ্যের রাখতে বাধ্য হতেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে সিবিআই ক্যাম্প করে মানুষের অভিযোগদায়ের করেছে। অপর দিকে রেশন দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করার ক্ষেত্রে শাহজাহানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে ইডি। বেআইনি কাজ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, জমি দখল, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারায় চার্জশিট গঠন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share