Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Basirhat: প্রচারে হামলার পর এবার রেখা পাত্রর নামে লেখা একাধিক দেওয়াল মুছে দিল তৃণমূল, শোরগোল

    Basirhat: প্রচারে হামলার পর এবার রেখা পাত্রর নামে লেখা একাধিক দেওয়াল মুছে দিল তৃণমূল, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূল। এমনিতেই বসিরহাটের সব বিধানসভা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এর আগে তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে, তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এবার তাঁর নামে থাকা একাধিক দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভার হাড়োয়া বিধানসভার ফলতি বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েতের বোকুন্ডু ঘোষপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Basirhat)

    বিজেপি প্রার্থী (Basirhat) রেখা পাত্রের সমর্থনে লেখা দেওয়াল রাতের অন্ধকারে সাদা চুন দিয়ে মুছে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে যায় শাসন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, চারদিন আগে ফলতি বেলিয়াঘাটা বোকুন্ড ঘোষ পাড়া এলাকায় টাকি রোডের ধারে রেখা পাত্রের সমর্থনে সাত জায়গায় দেওয়াল লেখা হয়েছিল। শুক্রবার ভোররাতে মুখ বাঁধা অবস্থায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই দেওয়ালগুলোতে সাদা চুন দিয়ে মুছে দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ওই এলাকায় তৃণমূল নেতা মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চলে। বুথ বুথে ওরা ছাপ্পা মারে। এই এলাকায় এখন বিজেপি সংগঠন মজবুত হয়েছে। তাই, রাতের অন্ধকারে এভাবে সব দেওয়াল ওরা মুছে দিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কোনও দেওয়াল লিখন মোছা হয়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    আরও পড়ুন: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বসিরহাটের (Basirhat) রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িডাঙ্গা এলাকায় বিজেপির দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। এই ঘটনায় কালিদাস বাসার নামে এক বিজেপি কর্মী জখম হন। এরপরই খড়িডাঙ্গা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী প্রচারে করতে গেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: পুলিশের সামনেই  বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Bankura: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের র‍্যালি থামিয়ে কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁতুড়ি থানার গড়শিকা এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের হামলায় বিজেপির এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে মুরাডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় বিজেপির তরফে তিনজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    এদিন সাঁতুড়ির (Bankura) গড়শিকা এলাকায় সুভাষ সরকার র‍্যালির মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন। র‍্যালি গড়শিকা গ্রামে ঢোকার সময় হঠাৎ তিনজন তৃণমূল কর্মী ঝান্ডা নিয়ে র‍্যালি আটকে দেয়। তাই নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের তিন কর্মীকে পাশে সরিয়ে র‍্যালি এগিয়ে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেই সময় পিছনে থাকা এক বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের কর্মীরা চেলা কাঠ দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনায় ওই বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। সাঁতুরি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই তারা এই কাণ্ড করেছে।  

    আরও পড়ুন: প্রচারে হামলার পর এবার রেখা পাত্রর নামে লেখা একাধিক দেওয়াল মুছে দিল তৃণমূল, শোরগোল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, ‘সাঁতুড়ি থানায় এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। আজকের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে থানায় বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি কর্মীরা।’ বিজেপি  জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ একজন কেন্দ্রীয় বিদায়ী মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী না থাকলে তো তাঁর ওপর হামলা হতেই পারত। পুলিশ এই অনুমোদিত কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূলের পক্ষ থেকেই এই কাজ করছে। তীব্র প্রতিবাদ সংগঠিত ভাবেই হবে।’ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তারা মিথ্যা নাটক করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    Lok Sabha Election 2024: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের শহরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। তারপরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় রাজভবনের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবার রাত্রিবাস তিনি রাজভবনেই করবেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এদিন তাঁকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর আসার কারণে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ট্র্যাফিক পুলিশ। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে শুক্রবার নদিয়ার তেহট্টে সভা করবেন তিনি। বর্ধমান ও বীরভূমের আমোদপুরেও সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাতে যান নিয়ন্ত্রণ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। উল্টোডাঙা উড়ালপুল, ইএম বাইপাস, মা উড়ালপুল, এজেসি বোস উড়ালপুল, হসপিটাল রোড, লভার্স লেন, খিদিরপুর রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকলসন আইল্যান্ড, রেড রোড, আরআর অ্যাভিনিউ এবং রাজভবন (দক্ষিণ) গেট-এ যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

    শুক্রবারও যান নিয়ন্ত্রণ

    এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা এবং শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভারী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময় ছাড়াও প্রয়োজনে আরও কিছু ক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। শুধু যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নয়, কয়েকটি রাস্তায় পার্কিংও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি, ট্রাম পরিষেবাও বন্ধ থাকবে।

    আরও পড়ুন: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    ‘অ্যান্টি ড্রোন ডিটাচমেন্ট’

    থাকছে ‘অ্যান্টি ড্রোন ডিটাচমেন্ট’। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর (Lok Sabha Election 2024) কনভয়ের সুরক্ষা এবং রাজভবনে ড্রোন হামলা ঠেকাতে এই সিস্টেম এনএসজি’র কাছ থেকে চেয়েছে লালবাজার। সেই মতো এই ব্যবস্থা থাকবে বলেই খবর। যদিও কোনও থ্রেট নেই। কিন্তু হামলা তো হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে টাকা হাতানোর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে টাকা হাতানোর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এবং তাঁর স্ত্রী শিলি হালদার। এমনই অভিযোগ কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান অনুপ মিস্ত্রির। শুধু অভিযোগ নয়, দুজনের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের অর্থ তছরূপের অভিযোগ তুলে কলকাতা আদালতে মামলা দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    অভিযোগ, বাপি হালদারের স্ত্রী শিলি হালদার ওই পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন পঞ্চায়েত এলাকায় একই রাস্তায় তিনবার কাজ দেখিয়ে টাকা তুলেছেন। শুধু তাই নয়, রাস্তার কাজ না করেও সেই কাজের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও, ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলাশাসকের পাশাপাশি মথুরাপুর থানা এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপির কাছে অভিযোগ জানান পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মিস্ত্রি। অভিযোগ, কোনও সুরাহা না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রধান। গত ১২ই এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরেও কেন মামলা রুজু হল না, তা নিয়ে মথুরাপুর থানার ওসিকে শোকজ করা হয়। কোর্টের গুঁতো খেয়ে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর অনুপ মিস্ত্রির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ এপ্রিল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিলি হালদার, প্রাক্তন প্রধানের স্বামী তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার সহ মোট আটজনের নামে এফআইআর দায়ের হয়।

    আরও পড়ুন: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    বিজেপির প্রধান কী বললেন?

    বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ মিস্ত্রি বলেন, তথ্য প্রমাণ দিয়ে পুলিশকে অভিযোগ করতে বলেছিলাম। তারা গুরুত্ব দেয়নি। আদালতের নির্দেশে অভিযোগ নিতে বাধ্য হল। আমরা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার বলেন, “ওরা এখন এফআইআর কেন? আরও অনেক কিছু করবে। যা ইচ্ছা করুক তৃণমূলকে হারাতে পারবে না। দুর্নীতি প্রমাণ করুক আগে। আদালতের ওপর আমার আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ECI: তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি গাইডলাইন

    ECI: তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি গাইডলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় (Phase Three Voting) আরও কড়া মনোভাব নিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রয়োজনে আরও ভোট কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে কমিশনের। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ (Heatwave Warning) নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের একাধিক গাইডলাইন মানা হয়নি এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই কারণে জেলা স্তরের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিক।

    কেন ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন

    লোকসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি পর্ব শেষ হয়েছে। শুক্রবার ১৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হয়েছে দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোট (Loksabha Election 2024) গ্রহণ হয়। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট কেন্দ্র ছিল। তৃতীয় দফায় তাপপ্রবাহ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন (ECI)। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে গরম আরও বেড়েছে। এএকথা ভালভাবেই জানে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রথম দুই দফার তুলনায় অনেকটাই কম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সর্বসাকুল্যে  ৬৬ শতাংশের কিছু বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শতকরা বিচারে ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট প্রয়োগ হয়ে থাকে। ৬৬ শতাংশ ভোটদানের মোটেও খুশি নয় নির্বাচন কমিশন। যে কারণে, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের (Phase Three Voting) আগে রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ, “প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে । যে সকল জায়গায় তাপপ্রবাহ (Moderate Heatwave Warning) সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথগুলিতে সেক্টর অফিসারদের এই মর্মে পর্যালোচনা করতে হবে। প্রয়োজন হলে ভোটকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ECI)। ওআরএস, পানীয় জল মেডিকেল কিট ও বয়স্কদের জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নেওয়া হবে এই ব্যবস্থা

    তৃতীয় দফায় (Phase Three Voting) মোট ৪০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হবে। এই পর্বে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), মালদা (Malda) উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। ৭ মে তৃতীয় দফায় বাংলার এই চার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। প্রসঙ্গত বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের একাংশের জন্য আইসক্রিমের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও বাংলায় আইসক্রিমের দেখা মেলেনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার তার সহযোগী জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবিন্দর সিং সন্ধু মোট ২৬৫ জন অবজারভারকে এই পর্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় (ECI) নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দলেরই লোকজন”, বললেন তৃণমূলের প্রধান

    Howrah: “পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দলেরই লোকজন”, বললেন তৃণমূলের প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। রাস্তা বা কোনও তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে নয়। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই চলল গুলি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে।  ফলে, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র‍্যাফ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ তিনজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে ওই পঞ্চায়েত (Howrah) অফিসের মধ্যে ঢোকে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই গুলি চালায় তারা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলেছে স্থানীয়দের দাবি। প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েন টুকটুকি। হামলাকারীরাও তৃণমূলের কর্মী। সরাসরি গুলি না লাগলেও এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং প্রাক্তন এক সদস্যের মধ্যে ঝামেলার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাজিদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালু করলেন অগ্নিমিত্রা, ট্রেনে জনসংযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃণমূলের লোকই গুলি চালিয়েছে দাবি প্রধানের

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখ বলেন, “আমরা অফিসের মধ্যে বসেছিলাম। আমি সই করছিলাম। তিন জন ঢোকে। আমার কথা জিজ্ঞাসা করে। তার পরেই পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করে। আমার বাবা, কাকার গায়ে গুলি লেগেছে। আমাকেও টার্গেট করা হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ি। একটা বন্দুক কেড়ে নিয়েছি। প্রাক্তন সদস্য শেখ সাজিদই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওর লোকেরাই গুলি চালিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের আবহ। আর এরই মধ্যে নির্বাচনী জনসভা থেকে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরে নেমেই বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে কাছে ডেকে বহরমপুর লোকসভা নির্বাচনে ইউসুফ পাঠান যাতে জয়লাভ করে সে বিষয়ে হুমায়ুন কবিরকে (Humayun kabir) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনেই বুধবার জনসভা করছিলেন হুমায়ুন কবির। 

    হুমায়ুন কবিরের মন্তব্য (Humayun kabir)

    এদিন তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কাদের কে বলেছে? কোন ধর্মস্থান ভাঙার কথা? যারা একথা বলে সম্প্রীতি নষ্ট করছে তাদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কেন কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? ভোট আগামী ৭ তারিখ, তারপর সবাইকে এই শহরে থাকতে হবে। সেখানে কি করে রাজনীতির নেতৃত্বরা এরকম ভাবে হুমকি দেয়? তাদের ক্ষেত্রে কেন কোন পদক্ষেপ হবে না? কতদিন আর উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই হুমকি শুনবে। ভোটের জন্য উস্কানি মূলক ভাষণ দেবেন নেতারা। আর তার ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ কতদিন ধরে চলবে? মানুষ কবে সজাগ হবে? প্রশ্ন উঠেছে আজ।” 
    একই সঙ্গে এদিন বিজেপি কে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কত ধানে কত চাল হয়, দুঘণ্টার মধ্যে তোমাদের কেটে যদি ভাগীরথীর গঙ্গায় না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। এখানে তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো ৩০% লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আর আমরা ৭০%। এখানে কামনগরে তোমরা বেঁচে আছ বলে কাজীপাড়ায় মসজিদ ভাঙবে আর বাকি এলাকার মুসলমান ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনদিন হবে না। বিজেপিকে আমি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছি কোনও দিন হবে না।”   
    অর্থাৎ যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা মুখে বলছে সব দলই আর কাজে করছেন অন্য, সেরকমই একটি চিত্র এবার ধরা পরল হুমায়ুন কবিরের (Humayun kabir) সভায়। আর হুমায়ুন কবিরের মন্তব্যের জেরে ফের উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে শক্তিপুরে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?  

    রামনবমীর দিনও উত্তেজনা 

    প্রসঙ্গত শক্তিপুরে এর আগে রামনবমীর দিনও মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছিলেন। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয় শক্তিপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    Sandeshkhali: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একের পর এক বাসিন্দাদের জমি হাতিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। জমিহারাদের তালিকায় নাম রয়েছে, সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুগরিপাড়ার কাবিল মোল্লা ,আনসার মোল্লা, ফজের আলি মোল্লা, সুজয় লস্কর, রাজু লস্কর সহ একাধিক গ্রামবাসীদের। তাঁদের কাছ থেকে জমির চরিত্র বদল করে সরকারি তথ্য নষ্ট করে বেনামে জমি দখল করে বেনামে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ  তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

    জমিহারাদের কী বক্তব্য? (Sandeshkhali)

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর সেই সিবিআই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির রাজবাড়ি, ডুগড়ি পাড়া এলাকায় গিয়ে জমি হারাদের অভিযোগের সত্যতা তথ্য যাচাই করেন। গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কাবিল মোল্লার অভিযোগ,আমরা দীর্ঘদিন এই জমি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই গ্রামের বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছে থেকে জোরপূর্বক শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর ক্ষমতা বলে আমাদের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা পাইনি। সিবিআই ওয়েবসাইটে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। এরপর তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করবো, সিবিআইয়ের তদন্তের পর আমাদের জমি আমরা ফেরত পাব। সেই আশায় প্রহর গুনছি।

    আরও পড়ুন: ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালু করলেন অগ্নিমিত্রা, ট্রেনে জনসংযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সিপিএমের আমলে জমির পাট্টা দেওয়া ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে এই জমির বিষয় দেখছে। এই জমির সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জমির পাট্টা আছে, রেকর্ড নেই। আবার জমির রেকর্ড আছে, পাট্টা নেই। সেই জমির প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সমস্ত কিছু যাচাই করতে এদিন সন্দেশখালি যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: জেলাশাসকের দফতরে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুকে বাধা

    Tamluk: জেলাশাসকের দফতরে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুকে বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুকে (Tamluk) জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikary) । নিজেদের খাস তালুকেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শোরগোল এলাকায়। বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা শাসকের অফিসে কর্মরত পুলিশের বিরুদ্ধে।  এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। মনোনয়ন চলাকালীন শিশির অধিকারীকেও (Sisir Adhikary) বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বসচা শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: “বিজেপি মুসলিম বিরোধী নয়”, স্পষ্ট বার্তা মিঠুনের

    জেলাশাসকের অফিসে ১৪৪ ধারী ধারার জারি

    পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয় জেলাশাসকের অফিসে ১৪৪ ধারী ধারার জারি রয়েছে। দফতরের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রার্থী, এজেন্ট এবং প্রস্তাবক ছাড়া মোট চারজনের বেশি কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এমনটাই নির্দেশ রয়েছে জেলা শাসকের। বিজেপি কর্মীরা নাকি সেই সময় জোটবদ্ধ হয়ে জেলা শাসকের দপ্তরের কাছাকাছি চলে আসেন। সেই সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তবে শিসির অধিকারী এলাকার সাংসদ। তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হয় এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। এর পরেই  গন্ডগোল আরও বাড়ে। স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।  প্রসঙ্গত অধিকারি পরিবারের খাসতালুক কাঁথি। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে এখান থেকেই লড়াই করছেন সৌমেন্দু অধিকারী। ২০০৯ সাল থেকে এখানে জয়ী হয়ে আসছেন শিশির অধিকারী। বয়স জনিত কারণে এবার তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। তার বদলে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর পুত্রকে। দীর্ঘদিন ধরেই অধিকারি পরিবারের কেউই আর তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয়। শিশির অধিকারী, সৌমেন্দু ও দিব্যেন্দু এরা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে সঙ্গ ত্যাগ করেছেন বহুদিন আগেই।

    ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ শিশির অধিকারী 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বিজেপিতে যোগদান করার পরেই গোটা পরিবারের সঙ্গেই তৃণমূলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। শিশির অধিকারী তৃণমূলের টিকিটের জয়ী হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে তাঁর তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব প্রকাশ পেয়েছে।

  • Madhyamik Result 2024: ‘অযোগ্য’ পরীক্ষকরাও কি তাহলে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখলেন? রয়ে গেল প্রশ্ন

    Madhyamik Result 2024: ‘অযোগ্য’ পরীক্ষকরাও কি তাহলে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখলেন? রয়ে গেল প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2024) ফল প্রকাশিত হল, কিন্তু রয়ে গেল সেই বিতর্ক। মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে শিক্ষকদের যোগ্যতার প্রশ্ন আরও একবার সামনে চলে এল। অনেকেরই মুখে মুখে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন, তাহলে কি ‘অযোগ্য’ পরীক্ষকরাই উত্তরপত্র দেখলেন? জানা গিয়েছে ২০১৬ সালের ফলাফলের ভিত্তিতে এই শিক্ষকদের নিযুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে সেই সময়ের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিল না, সাড়ে পাঁচ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার যোগ্য-আযোগ্যদের নিয়ে তথ্য জানাতে পারেনি। এবার তাই সম্পূর্ণ প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক পদ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। 

    পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য (Madhyamik Result 2024)

    মধ্যশিক্ষা (Madhyamik Result 2024) পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যে যাঁরা খাতা দেখেছেন, তাঁরা কোন সালে চাকরি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবিত। সব কিছু পরিচালনা করা আমাদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরাও খুব চিন্তিত। আমরা ইতিমধ্যে আদালতে গিয়েছি।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, শিক্ষকের অভাবের কারণে মার্কশিট এবং শংসাপত্র বিতরণে সমস্যা হবে।

    আরও পড়ুনঃ ফের মেধা তালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, প্রথম দশে স্থান পেল ৬ পড়ুয়া

    বহু ‘অযোগ্য’ পরীক্ষক!

    এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Result 2024) মোট পরীক্ষক ছিলেন ৫১ ৮৩৮ জন। তার মধ্যে আবার প্রধান পরীক্ষক ছিলেন ১ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে বহু ‘অযোগ্য’ পরীক্ষক আছেন বলে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে পরীক্ষা হয়েছিল। সেখান থেকেই ২০১৯ সালে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী প্যানেলভুক্ত হয়। কিন্তু সিবিআই-এর তদন্তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা উঠে আসে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ বেঞ্চ ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। অভিযোগ ছিল, যাঁরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরানোর কথা জানিয়েছে আদালত। পাল্টা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share