Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: কোথায় উঠবে তাপমাত্রার পারদ! লু-তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, কবে নামবে বৃষ্টি?

    Weather Update: কোথায় উঠবে তাপমাত্রার পারদ! লু-তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, কবে নামবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দহন-জ্বালায় জেরবার জনজীবন। আগুন ঢালছে সূর্যদেব। বেলা ১১টার পর বাইরে বার হওয়া যেন বিভীষিকা। প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি দেখে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে জনমানসে। মানুষের প্রার্থনা আর না, এবার ধারাপাতে ভিজুক ধরিত্রী। কিন্তু, তাঁদের আশায় জল ঢেলে আপাতত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) বার্তা, এপ্রিল মাস জুড়ে দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সম্ভাবনা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও এই ভোগান্তি অব্যাহত থাকবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    পারদ ঊর্ধ্বমুখী

    টানা আট দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। বেড়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে আরও বাড়বে গরম। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া, এই চার জেলায় জারি হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা। কিছু জায়গায় লু বইবে। চরম তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে। কলকাতাতেও গরম বাড়বে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে সপ্তাহভর। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকবে ৯টি জেলায়। ২৫ তারিখে ঝাড়গ্রাম, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আপাতত কলকাতার এবং দক্ষিণবঙ্গের জন্য বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই আগামী সাত দিন। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা— উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহেও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রা থাকবে। বৃহস্পতিবারও কলকাতার তাপমাত্রা (Weather Update) ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশাপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়ালের কাছাকাছি। গতকাল অর্থাৎ বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ। এপ্রিল মাসের শেষে কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। আপাতত কলকাতায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাল থেকে কাঁকর বাছতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি খুইয়েছেন ২৬ হাজার জন (SSC Recruitment Scam)। এই ভিড়ে যোগ্যদের পাশাপাশি রয়েছেন অযোগ্যরাও, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের এজেন্টদের টাকা দিয়ে চাকরি বাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যোগ্যদের চাকরি কেন বাতিল হল, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন চাকরি খোয়ানো ‘শিক্ষক’দের একাংশ।

    মাঠে সিবিআই (SSC Recruitment Scam)

    এহেন আবহে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেই খবর। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মর্মে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেলেঙ্কারির গোড়ায় পৌঁছতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    কেলেঙ্কারি কবুল 

    শিক্ষক নিয়োগে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। তবে বাঁকা পথে কারা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই অযোগ্যদের নাম বলেননি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই একই মর্মে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল সিবিআই (SSC Recruitment Scam)।

    সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খোয়া যায় প্রায় ছাব্বিশ হাজারজনের। এই সময়ই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই যেমন অতিরিক্ত নিয়োগে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত করতে পারবে, তারা অযোগ্যদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও পারবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। বুধবারই এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার বড় প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এদিকে, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি করে ফর্ম পাঠিয়েছেন ডিআইরা। কোন স্কুলে কতজন চাকরি খুইয়েছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ডিআইদের তরফে। দ্রুত ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Abhijit Ganguly: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির রায় দিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে। ভোটের মুখে চরম বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়চে হচ্ছে। রাজ্যেজুড়ে এই ক্ষোভে ব্যালটে প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। স্বাভাবিকভাবে এই রায়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন। বুধবারও বিচারব্যবস্থাকে তিনি কড়া আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গা নন তো? (Abhijit Ganguly)

    বুধবার বিকেলে এক নির্বাচনী সভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভারতের নাগরিক? না রোহিঙ্গা? মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে বলতে পারেন যে, ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থা না কি বিজেপির বিচারব্যবস্থা? কাল তিনি একথা বলেছেন। এখন প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভারতবর্ষের নাগরিক? না কি তিনি অন্য কোথা থেকে এসেছেন? কোথা থেকে এসেছেন তিনি? তিনি রোহিঙ্গা নন তো? এই প্রশ্ন আজ আমাদের তুলতে হবে’। মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তুমি জেনে রাখো, ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে এই অভিযোগ করায় তোমাকে নাক খদ দিতে হবে। আমাকে ভারত সরকার ও এই বিচারব্যবস্থা তার অন্তর্ভুক্ত হতে দিয়েছিল বলে আমি গর্বিত। ভারতের প্রতিটা মানুষ গর্বিত। অনেক রায় অনেক সরকারের বিরুদ্ধে, অনেক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যায়। সেজন্য কেউ কোনও দিন বলেছে, এই বিচারব্যবস্থা, বিজেপির বিচারব্যবস্থা’? বিজেপি প্রার্থীর প্রশ্ন, ‘বিজেপির বিচারব্যবস্থা হলে কী ভাবে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে বেআইনি ঘোষণা করল। নির্লজ্জ মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার যোগ্যতা আর তাঁর নেই। তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আর মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্মোধন করি না’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানাতে হবে,  নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের

    SSC Scam: চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানাতে হবে,  নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জাল কাটতে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে স্কুলগুলিতে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্কুল শিক্ষা দফতরের একাংশ। ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানার কাজ শুরু হয়েছে। 

    কী বলছে শিক্ষা দফতর

    শিক্ষা দফতর (SSC Scam) সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা (ডিআই) স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে। স্কুলশিক্ষকদের কাছে একটি গুগ্‌ল ফর্ম পাঠানো হয়েছে। সেই ফর্ম পূরণ করেই এই সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআইদের জানাতে বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ না দেওয়া হলেও, এই তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডিআইদের ভূমিকার পিছনে ‘মৌন’ সম্মতি রয়েছে দফতরের। যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেই সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষা দফতরের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়। বে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দিতে নারাজ দফতরের শীর্ষকর্তারা।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    কেন এই নির্দেশ

    হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায়ের পর রাজ্যের স্কুলগুলিতে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা যে সব স্কুল নিযুক্ত রয়েছেন, সেখানে জটিলতা আরও প্রকট। তাই সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানতে চাইলেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।  আদালতের নির্দেশ মাফিক যদি ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে যায় সেক্ষেত্রে স্কুলগুলিতে যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। গরমের ছুটি শেষে স্কুল খুললে কী অবস্থা তৈরি হবে, তা এখন থেকেই ভাবাচ্ছে পড়ুয়া তথা অভিভাবকদের। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতির (SSC Scam) পরিণাম ভুগতে হতে পারে বাংলার এই প্রজন্মকে এমনই ভাবছে শিক্ষামহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    Calcutta High Court: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা সন্দেহ করা হয়েছিল, তা মিলে গিয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনই বলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সন্দেহের স্বপক্ষেই রিপোর্ট এসেছে বলে দাবি ইডির।

    কী বলল আদালত? (Calcutta High Court)

    তবে কথোপকথনের সঙ্গে কার কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়েছে, তা জানায়নি ইডি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেয়েছে ইডি। সেই রিপোর্টই জমা দেওয়া হল এদিন। যদিও ইডির জমা দেওয়া কণ্ঠস্বরের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডির রিপোর্ট সংক্ষিপ্ত বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এদিন ইডির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তা পাঁচ পাতার। এর মধ্যে তিন পাতাজুড়ে রয়েছে কাকুর কণ্ঠস্বর সংক্রান্ত তথ্য। বাকি দু’পাতায় ছিল এই মামলায় ইডির সার্বিক তদন্তের রিপোর্ট।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতির প্রশ্ন, “এত সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট কেন?” ইডির রিপোর্টের শেষ দু’পাতায় কাকুর ও প্রাথমিক মামলায় সার্বিকভাবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তার হিসেব দেওয়া হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের ১৩৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “২০১৪ সাল থেকে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ এত কম কেন? টাকার অঙ্কই বা এত কম কেন?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুন।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    ইডির উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “অভিযোগ উঠেছে যে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা একটা স্ক্যাম। সত্যিই কি চাকরি বিক্রি হয়েছে? তার কি কোনও প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন? টাকার উৎস জানতে আপনারা কি কোনও পদক্ষেপ করেছেন?” ইডির তরফে জানানো হয়, নিত্য এগোচ্ছে তদন্ত। আদালতের তরফে ফের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডিকে। এদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের নামও উঠে আসে। ইডির দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Suvendu Adhikari: “এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে”, তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে”, তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  

    এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে (Suvendu Adhikari)

    লোকসভা ভোটে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে বুধবার ডিমারিতে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু। সেখানে চাকরি বাতিল ইস্যুতে শাসকদলকে এক হাত নেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,  ‘একুশের আগে বলেছিল ডবল ডবল চাকরি হবে। এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে।’ এমনিতেই আদালতে শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই ইস্যুতে শিলিগুড়িতে শুভেন্দু চাকরিহারাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনারা টাকা ফেরত না দিয়ে চাকরি চোর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন। এরপর এদিন তমলুকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে বলছেন আমরা যোগ্য। প্রশ্ন হচ্ছে, কারা যোগ্য আর অযোগ্য এই রিপোর্টটা দেওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কে যোগ্য আর কে অযোগ্য সেই তালিকা পর্যন্ত আদালতে দেওয়া হয়নি। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই।’

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    চাকরিহারাদের একাংশ পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন

    এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল হওয়ার ফলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সবার চাকরি বাতিল হয়েছে। যাঁদের চাকরি যেতে বসেছে, তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই নিজেদের ‘যোগ্য’ বলে দাবি করছেন। তাঁরাও রাস্তায় নেমেছেন। সরব হচ্ছেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার ‘ন্যায্য’ চাকরিপ্রাপকদের একাংশ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকেই কলকাতায় শহিদ মিনারের পাদদেশে জমায়েত করতে শুরু করেছেন। বুধবারও তাঁদের দেখা গিয়েছে সেখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই রায়ে অথৈ জলে পড়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আটা আর ভুষি আলাদা করতে হবে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বাদ দিয়ে, যোগ্যদের পাশে থাকবে বিজেপি। চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি।” শুধু তাই নয়, যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, “অযোগ্যদের ঢাল হয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, ঠিক এমন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মমতাকে তোপ সুকান্তর

    এরপর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে থাকবেন সেকথা বলছেন না। উনি বলছেন, আমি সবার পাশে থাকব। মানে, যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও পাশে থাকবেন। ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখণ্ডী করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু কি পারতেন না, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা আলাদা করে আদালতের হাতে তুলে দিতে। তাহলেই তো যোগ্যদের কিছুই হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাকি করলেন। তিনি রাজনীতি করলেন। যে পাঁচ হাজার জনের কাছ থেকে তাঁর নেতারা পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের বাঁচানোর জন্য কুড়ি হাজার যোগ্য শিক্ষককে ঢাল করলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বেসামাল শতাব্দী! মানুষের প্রশ্নে ‘ইডিয়ট-ইডিয়ট’ বলে বিতর্কে

    Birbhum: বেসামাল শতাব্দী! মানুষের প্রশ্নে ‘ইডিয়ট-ইডিয়ট’ বলে বিতর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন বীরভূমের (Birbhum) তিন বারের সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বারংবার স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন শতাব্দী (Satabdi Ray)। আজ বুধবার দুবরাজপুরে ভোটের প্রচারে গিয়ে এক কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়ে মেজাজ হারালেন তিনি। তিনবারের সাংসদকে কাছে পেয়ে এক যুবক প্রশ্ন করে বসেন, “সাংসদ হিসেবে যদি এত কাজ করে থাকেন। তাহলে আপনার দল কেন প্রচার করছে না? প্রশ্ন শুনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন শতাব্দী।

    কেন মেজাজ হারালেন (Birbhum)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুবরাজপুরের (Birbhum) বালিগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামের খগেশ্বরনাথ শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করার কথা ছিল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের। পুজো দেওয়ার পর মন্দির চত্বরে এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ওই ব্যক্তি, সাংসদকে কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। এরপর ক্ষণিকের জন্য প্রশ্নবাণে বেসামাল শতাব্দী এই ব্যক্তির দিকে আঙ্গুল তুলে চিৎকার করে বলে ওঠেন, “ইডিয়ট-ইডিয়ট কিচ্ছু জানে না। ইডিয়টের মত কথা বলছে।”

    কী বললেন শতাব্দী?

    পরে শতাব্দী (Birbhum) সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “উনি বলছেন জলের ট্যাংকের জন্য যে টাকা দিয়েছিলেন তা রাতের অন্ধকারে ফেরত নিয়ে গেছে। এটা তো হতে পারে না। ওঁই সব টাকা ব্যাংক থেকে ট্রান্সফার হয়। যাই হোক আমি ওঁর সঙ্গে আলাদা করে পরে কথা বলে নেব।”

    আরও পড়ুনঃ সবচেয়ে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করে নজির গড়ল ডিআরডিও

    কতবার বিক্ষোভের মুখোমুখি শতাব্দী?

    প্রসঙ্গত বীরভূমে (Birbhum) তিন বারের সাংসদ চতুর্থবার প্রার্থী হয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কখনও রাস্তার দাবি, কখনও জলের দাবি। আবার কখনও আবার বিরোধী দলের লোকেরা তাঁকে দেখে ক্ষোভের কারণে পতাকা নেড়েছেন। যদিও শতাব্দী কখনই বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তাঁর মতে মানুষ তাকে কাছে পেয়ে তাঁদের দাবি তুলে ধরেছেন। কারণ তিনি প্রার্থী এবং তিন বারের সাংসদ। তাঁর কাছে দাবি তুলে ধরবেন না তো আর কার কাছে বলবেন? ঠিক কথা কিন্তু, ১৫ বছরে যে কাজ করতে পারেননি সেতা কী আগামী পাঁচ বছরে পারবেন? উত্তর জানেন একমাত্র এই “লাল পান বিবির” নায়িকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। আচমকা চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরি হারা শিক্ষকদের পরিবারে। সকলেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এই আবহের মধ্যে চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে? এটাই এখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চাকরিহারাদের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে (SSC Recruitment Scam)

    জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। এমনিতেই সরকারি চাকরি বলে  শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক প্রায় ৭ কোটি টাকা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। আর গোটা রাজ্য ধরলে কোটি কোটি টাকা চাকরি হারা শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও।

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে!

    ধূপগুড়ি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “চিন্তা তো খুবই আছে। টাকা কীভাবে তোলা হবে সেটাই এখন মূল মাথা ব্যথা। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।” ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না। নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “যে রায় দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আর সহজ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) জেরবার রাজ্য। যোগ্য, অযোগ্য বিভেদ করা যাচ্ছে না। দুর্নীতি এমনভাবে সিস্টেমকে জড়িয়ে ধরেছে যে নাজেহাল সবাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ছাপ চোখে পড়ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। চিন্তায় পরিবার। কিন্তু, শুধুই কী চিন্তায় রয়েছে চাকরিহারা ও তার পরিবারের লোকজন? চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে?

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভাবনা

    সরকারি চাকরি থাকলে ব্যাঙ্ক থেকে লোন পেতে দেরি হয় না। সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দিতে অগ্রাধিকারও দেওয়া হয়। কারণ সরকারি চাকরি সহজে চলে যায় না। তবে রাজ্য সরকারি শিক্ষকদের অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক (SSC Scam) প্রায় ৭ কোটি টাকা সরকারি শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও। ব্যাঙ্কের শাখাগুলি ইতিমধ্যেই বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    কী বলছে ব্যাঙ্ক

    ধূপগুড়ির একটি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কথায়,‘পার্সোনাল লোন, হোম লোন মিলিয়ে আমাদের শাখা থেকে সাত কোটি টাকার বেশি লোন দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কী করে আদায় করব ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বিষয়টি ব্যাঙ্কের উপর মহলের নজরে এনেছি। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের উপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।’ এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না, বলেও জানান তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share