Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ram Navami 2024: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    Ram Navami 2024: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিলে দুষ্কৃতীদের পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার একাধিক এলাকা। রাম নবমীর শোভাযাত্রায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা বেপরোয়াভাবে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী রাম নমবীর মিছিল দেখতে বাড়ির গৃহবধূর এলে তাঁদেরও রেয়াত করা হয়নি। তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শক্তিপুরের পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের খাসতালুক মানিক্যহার, পলিতাপাড়ায় দুষ্কৃতীরা দোকান, বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশও আক্রান্ত হয়। পুলিশ আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ram Navami 2024)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শক্তিপুর রাম নবমী (Ram Navami 2024) উৎসব উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে রাম নবমী উপলক্ষে বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় ভিড় উপচে পড়েছিল। শোভাযাত্রাটি যখন শক্তিপুর হাইস্কুল মোড় পেরিয়ে কিছুটা বাজারসৌর দিকে আসতে শুরু করে, সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী হঠাৎই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাম নবমী উপলক্ষে এই মিছিলের আগে ও পিছনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও দুষ্কৃতীরা ঢিল-পাথর ছোড়া থেকে বিরত হয়নি। এরপর পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করলে হঠাৎই এলাকাতে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এরপর পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করলে হঠাৎই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আপত্তি, কমিশনে অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত ওসি

    শক্তিপুরের গন্ডগোলের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাড়ির সামনে মানিক্যহার এলাকায় একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পলিতাপাড়ায় দুষ্কৃতীরা জমায়েত করে থাকে। সেখানে পুলিশের বিশাল বাহিনী যায়। লাঠিচার্জ করে পুলিশ জমায়েত সরাতে গেলে পুলিশের গাড়়ি ভাঙচুর করা হয়। শক্তিপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায় জখম হন। ওই এলাকায় একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি মন্দিরে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। কাজিপাড়া এলাকাতেই গন্ডগোল বাধে। পরে, বিশাল বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চায়না মাহান্ত সহ সাত জন জখম হয়েছেন। চারজন শক্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর চায়না মাহান্ত সহ তিনজন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলার প্রায় সমস্ত শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    আক্রান্ত পরিবারের সদস্য কী বললেন?

    সঞ্জয় মাহান্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমার মা রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রা দেখতে গিয়েছিল। সেই সময় গন্ডগোল বাধে। এরপরই মায়ের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। মা রাস্তায় পড়ে গেলে অনেকে মায়ের শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়। মায়ের শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক দু’দিন আগে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডি জোটে রয়েছেন। অথচ পৃথকভাবে প্রকাশ করেছেন ইস্তাহার (Lok Sabha Eelections 2024)। তাতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। যদিও ইস্তাহারের কোথাও প্রতিশ্রুতি পূরণের দিশা দেখানো নেই। ইস্তাহারে যে দশটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ শপথ হিসেবেই তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    মার্গ দর্শন কই? (Lok Sabha Eelections 2024)

    কংগ্রেসের ইস্তাহারের পোশাকি নাম ছিল ‘ন্যায়পত্র’। বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্র’। তৃণমূলের অবশ্য এমন কোনও নাম নেই। রয়েছে (মিথ্যা) প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। তোষণ, তুষ্টিকরণ এবং সস্তার রাজনীতি করতে যা যা উপাদানের প্রয়োজন, তা সবই মজুত রয়েছে ঘাসফুল আঁকা দুই মলাটের মাঝে থাকা ইস্তাহারের পৃষ্ঠায়। যে (Lok Sabha Eelections 2024) দশটি শপথ নিয়েছে তৃণমূল, তার কোথাও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের উল্লেখ নেই। উল্টে রয়েছে দান-খয়রাতির হাটুরে রাজনীতি। জবকার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হবে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে। বাস্তবে আমরা কী দেখেছি? দেখেছি, একশো দিনের কাজে খরচ করা যায়নি পুরো কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। অনেক সময়ই তা গিয়েছে ফেরত।

    জনগণকে নিখাদ ধোঁকা!

    বিরোধীদের অভিযোগ, যারা তৃণমূলের ধামাধরা, জবকার্ডে কাজ পেয়েছে তারাই। তার মজুরির একটা বড় অংশ ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। দারিদ্রসীমার নীচে প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ১০টি করে মুফতে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। খয়রাতির সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তার কোনও দিশা নেই বাজেটে। ওবিসি, এসসি-এসটি যুবকদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে। বার্ধক্যভাতা বাড়িয়ে করা হবে হাজার টাকা। বিরোধীদের অভিযোগ, মাগ্গিগণ্ডার বাজারে দৈনিক এই ৩৩ টাকার কিছু বেশি পয়সায় কী হয়! পেট্রল-ডিজেল ও সিলিন্ডার দেওয়া হবে স্বল্পমূল্যে। সেই মূল্যটি কত, তা বলা হয়নি। যেমন বলা হয়নি, কাঁড়ি কাঁড়ি ভর্তুকির টাকা আসবে কোত্থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    ২৫ বছর পর্যন্ত সব স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারীদের দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রতিশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে তার পরে তাঁদের কোথায় নিয়োগ করা হবে, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করে হা-শিল্পের রাজ্যে তাঁরা কোথায় কাজ করবেন, সেই মার্গ দর্শনও করানো হয়নি তৃণমূলের ইস্তাহারে। মোদি সরকারের যে তিনটি প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে দেশ এগিয়ে যেত একলপ্তে অনেকখানি, তৃণমূলের ইস্তাহারে সেখানে পেছন থেকে টেনে ধরা হয়েছে। সিএএ লাগু হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে সিএএস, এনআরসি এবং ইউসিসি প্রয়োগ করা হবে না।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ইস্তাহারের ছত্রে ছত্রে স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা। তিনি ইন্ডি জোটে থেকেও পৃথক ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন, রাজ্যে ইন্ডির বাকি শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেননি। যার জেরে রাজ্যের প্রায় সব আসনেই ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। যার ফয়দা তুলবে বিজেপি। তাহলে কী ফের মোদি সরকার আসছে জেনেই ইস্তাহারে মিথ্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী (Lok Sabha Eelections 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যপালকে কোচবিহারে যেতে নিষেধ করল কমিশন, কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যপালকে কোচবিহারে যেতে নিষেধ করল কমিশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কোচবিহার যেতে নিষেধ করল নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে কমিশনকে রাজ্যপালের কোচবিহার সফরসূচির বিষয়ে জানানো হয়। তার পরেই রাজ্যপালকে যেতে নিষেধ করে কমিশন। রাজভবনে ইমেইল করে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। 

    কমিশনের বক্তব্য (Lok Sabha Elections 2024)

    শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। এই দফায় নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসনেও। ১৭ এপ্রিল সন্ধে ছ’টায় শুরু হয়ে গিয়েছে সাইলেন্স পিরিয়ড। ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিরাপত্তা কর্মীরা (Lok Sabha Elections 2024)। এমতাবস্থায় হাই প্রোফাইল কোনও ব্যক্তি সেখানে গেলে তাঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে। সেই কারণে প্রয়োজন হবে ফোর্সের। এই মুহূর্তে যা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই কমিশনের বক্তব্য।

    সাইলেন্স পিরিয়ড

    প্রসঙ্গত, সাইলেন্স পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে কোনও নির্বাচনী কেন্দ্রে রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্ব যিনি ওই কেন্দ্রের ভোটার নন, তিনিও যেতে পারেন না। যেতে পারেন না হাই প্রোফাইল কোনও ব্যক্তিত্বও। রাজ্যপালের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকতে হয় জেলাশাসক, পুলিশসুপারকে। তাঁরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নির্বাচনের কাজে। এই সব কারণে রাজ্যপালকে কোচবিহার সফরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে কমিশনের তরফে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    শুক্রবার যে তিনটি আসনে লোকসভা নির্বাচন হবে, তার একটি কোচবিহার। এই কেন্দ্রে বিজেপির বাজি বিদায়ী মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এই কেন্দ্রেরই শীতলকুচি, ভেটাগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে অশান্তির খবর। দিনহাটা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনের দিন কোচবিহারে থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ভোট প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কমিশনের তরফে নিষেধ করায় আপাতত স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যপালের কোচবিহার সফর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অর্জুনের গড়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় জনজোয়ার, ব্যাপক উচ্ছ্বাস রাম ভক্তদের

    Ram Navami 2024: অর্জুনের গড়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় জনজোয়ার, ব্যাপক উচ্ছ্বাস রাম ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। বারাকপুর লোকসভার একাধিক বিধানসভায় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামিয়েছে তৃণমূল। এই আবহে রাম নবমীতে (Ram Navami 2024) কেমন আয়োজন করা হবে তার দিতে তাকিয়েছিলেন সকলে। বুধবার অর্জুনের নেতৃত্বের রাম নবমীর শোভাযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ল।

    রামভক্তদের ভিড়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল অবরুদ্ধ হয়ে যায় (Ram Navami 2024)

    বুধবার বিকেলে ভাটপাড়ার আর্য সমাজ মোড় থেকে কাঁকিনাড়া বাজার হয়ে হনুমান মন্দির পর্যন্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিল হয়। সেই মিছিলে আবির খেলা, বাজি ফাটানো, ডিজে বাজতে থাকে। এক দেড় কিলোমিটার পথ ওই মিছিল যেতে সময় নেয় প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। রাস্তার দু’ধারে তৃণমূল এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্যাম্প তৈরি করে পানীয় জল, লাড্ডু দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সংখ্যালঘু এলাকার উপর দিয়ে যখন মিছিল যায় অশান্তি এড়াতে ব্যারিকেড করে পুলিশ। বিকেল চারটে থেকে শ্যামনগরে চৌরঙ্গী মোড় থেকে বীজপুর পর্যন্ত পাড়া রোড যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পরে মানুষ। সমস্ত কল্যাণী হাইওয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিকেলের পরে টিটাগড় এলাকায় রামনবমীর তিনটে মিছিল হয়। গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় এদিন রামনবমীর পুজো হয়। হনুমানজির পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয় গোটা শিল্পাঞ্চলকে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং?

    বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। সেই শোভাযাত্রায় রাম ভক্ত অনেকের হাতেই অস্ত্র দেখা গিয়েছে। অস্ত্র হাতে মিছিল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, রাম নবমীতে মানুষের ভিড় প্রমাণ করে দিয়েছে সকলেই রামের সঙ্গেই রয়েছে। তাই, এখন তৃণমূল নেতারা রাম নাম জপছেন। অপরদিকে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ভাটপাড়ায় এটা আমার প্রথমবার আসা নয়। ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ে এখানকার অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর দাবি, অর্জুন দা মনেপ্রাণে বিজেপিতেই ছিলেন। এদিনের শোভাযাত্রায় হাজির ছিলেন তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রিয়াঙ্গু পান্ডে, প্রাক্তন কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী, মন্নু সাউ প্রমুখ। মিছিলের পেছনে ছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তিনি গোটা মিছিলের পেছনে থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আদালত বলেছে অস্ত্র না নিয়ে মিছিল করতে। আমি বিশ্বাস করি আস্তে আস্তে মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বালুরঘাট শহরে রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় হাজার দুয়েক রাম ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে নানা রকমের ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিদর্শন করেন। এই মিছিলকেই অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মিছিল শুরু হয় বিজেপি মোড় থেকে এবং সাড়ে তিন নম্বর মোড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফুল ছিটিয়ে মিছিল কে অভ্যর্থনা জানান। অবশ্য এই মিছিলে পা মেলান  বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।

    তৃণমূল প্রার্থীর গড়ে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল করলেন রাম ভক্তরা (Ram Navami 2024)

    পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ির এলাকায় রাম নবমী (Ram Navami 2024) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুরে বাড়ি তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর, আর গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রর ভাই প্রশান্ত মিত্র। সেই গঙ্গারামপুরে রাম নবমীর বিশাল শোভাযাত্রায় হাজারখানেক রাম ভক্তর সঙ্গে পায়ে হেঁটে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার। জেলার বুনিয়াদপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, আজ রাম নবমীর দিনে আপনাদেরকে বলছি রামকে ভোট দিন, রাবনকে ভোট দেবেন না।

    রামকে নিয়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ভুল বোঝাচ্ছে

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,আজ রামের জন্মদিন। আজকের দিনে সমস্ত সমাজের মানুষ রাম নবমী (Ram Navami 2024) পালন করে ও রামকে শ্রদ্ধা জানান। কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি উস্কানি দিয়ে ভোট ব্যাংকের জন্য এই সব করে। কিন্তু, মানুষ উস্কানিতে পা দেবে না।আজ আমি জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় পা মেলালাম। গতবারের রাম নবমীর উদাহরণ তুলে ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতি তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, রামকে নিয়ে দেশের কারও সমস্যা নেই। কিছু পার্টির নেতাদের সমস্যা আছে। রাম তো এই দেশের আদর্শ। সবাই চেনে রামকে, অন্য ধর্মের মানুষেরা সম্মান করেন রামকে। কিন্তু, কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি কিছু লোককে ভুল বুঝিয়ে রাখতে চায়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    অসমে উস্কানি দিচ্ছেন মমতা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে গিয়ে বলেন আপনাদের উপর অত্যাচার হলে আপনারা বাংলায় আসুন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান,এইটা উস্কানিমূলক বক্তব্য। অহমীয়া ও বাঙালিদের মধ্যে একটি গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে। গন্ডগোল হলে তো বাঙালিরা বিপদে পড়বে। অসমে বাঙালিরা ভালোই আছেন। তারা আমাদের সমস্ত ধরণের সাহায্যে পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basanti Puja 2024: হাজার বছরের পুরানো কান্দির দত্ত পরিবারের বাসন্তী পুজো, প্রথা মেনে হল কুমারী পুজোও

    Basanti Puja 2024: হাজার বছরের পুরানো কান্দির দত্ত পরিবারের বাসন্তী পুজো, প্রথা মেনে হল কুমারী পুজোও

    মাধ্যম নিউজ ডেস: হাজার বছরের প্রাচীন প্রথা মেনে নবমী তিথিতে কুমারী পুজো হল কান্দির (Kandi) দত্ত পরিবারের বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের দোহালিয়া ধর্মরাজ তলা সংলগ্ন এলাকার দত্ত বাড়ির বাসন্তী পুজো সুপ্রাচীন। পারিবারিক এই বাসন্তী পুজোয় চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী নবমী তিথিতে কুমারী পুজো (kumari puja) অনুষ্ঠিত হল। বাড়িতে প্রচুর ভক্ত সমাগম।

    দুর্গাপুজোর মতো বাসন্তী পুজো

    শরৎকালে যেমন দুর্গাপুজো (Durga puja) হয়, ঠিক তেমনই বসন্ত কালে বাসন্তী পুজোর রীতি আছে আজও। হোম যজ্ঞ সহকারে বৈষ্ণব মতে এই বাসন্তী পূজা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। বাসন্তী পূজা কবে আসবে সারাবছর ধরে তারই অপেক্ষায় থাকেন দত্ত পরিবারের সদস্যরা। বাসন্তী পুজোর চার দিন ব্যাপক আনন্দ উৎসবের সঙ্গে কাটান দত্ত পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব সকলেই। এই বাসন্তী পুজো উপলক্ষে দোহালিয়া মুখী হন শুধু দত্ত পরিবারি নয়, এলাকার আট থেকে আশি সকলেই। সবাই এই বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মেতে উঠেন।

    আরও পড়ুনঃ “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    পরিবারের বক্তব্য

    এই পুজোর প্রসঙ্গে কান্দির দত্ত বাড়ির এক সদস্য বলেন, “এই পুজো শুরু করেছিল কেশব চন্দ্রের পিতা মথুর দত্ত। জমিদারি প্রথা মেনে গ্রামবাসীর কল্যাণ চেয়ে এই পুজো স্থাপন করেছিলেন তিনি।” দোহালিয়া (Dohalia) গ্রামের দত্ত পরিবারের প্রাচীন এই বাসন্তী পুজো কান্দি শহরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। দীর্ঘ প্রাচীন আমলের রীতি-প্রথা ও ঐতিহ্য মেনে প্রতিবছর এই পুজোর আয়োজন করে আসছে দত্ত পরিবার। হাজার বছর আগে পারিবারিক ভাবে এই পুজোর সূচনা করা হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ অনেকটা সময়। তবে পুজোর নিয়ম-নীতি বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। বংশ পরম্পরায় আজও মহাসমারোহে চলছে এই বাসন্তী পুজো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। অবশেষে রামকে আঁকড়ে ধরল তৃণমূল। বুধবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপি প্রভাবিত রামনবমী মহোৎসব কমিটির মিছিলে বিদায়ী সাংসদ তথা দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজুর বিস্তার সঙ্গে হাঁটলেন দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। রাজু বিস্তা একা নন। সেই মিছিলে ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমার বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মুর্মু। সবাইকে চমকে দিয়ে সেই মিছিলে পা মেলালেন পাপিয়া ঘোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় ধসে যাওয়া ভোট ব্যাঙ্ক মেরামতের মরিয়া চেষ্টাতেই এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপির রাম নবমীর মিছিলে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটল? (Siliguri)

    এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাম নবমীকে ঘিরে ছিল বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। রামভক্তদের একের পর এক মিছিলে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা শহর। আরএসএস প্রভাবিত রাম নবমী মহোৎসব কমিটির মিছিল তারই একটি। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজু বিস্তা, বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ,  আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মূর্মু। ছিলেন বিজেপির একাধিক নেতা।  শহরের কেন্দ্র স্থল এয়ারভিউ মোড়ে সেই মিছিলেই  পা মেলাতে দেখা গেল দার্জিলিং জেলা( সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নির্ণয় রায় সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকে। দু’পক্ষকই একে অপরকে উত্তরীয় পরিয়ে, প্রসাদ বিনিময় করেন। বিজেপি বিরোধিতায় এই রামনবমী ও রাম নাম নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নাম শুনে তাঁকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে।  তাই এদিন রাম নামে সব ছুৎমার্গ ভুলে পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে হাঁটায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিস্মিত হন সাধারণ মানুষ। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের কাছে এটা প্রত্যাশিত। তাদের বক্তব্য, রাম নাম ও রাম নবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের আচরণে তৃণমূলের ভোটেব্যাঙ্কে বড় ধস নেমেছে। ভোটের মুখে রাম নবমী নিয়ে সেই অবস্থান ধরে রাখলে বিপদ বাড়বে। সেটা বুঝতে পেরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে রাম নবমীর মিছিলে হাঁটেন।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

     কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ এবারেরও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পাপিয়া ঘোষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, অবশেষে তৃণমূলের বোধোদয় হয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে রাম নাম ছাড়া সব কিছু অসম্পূর্ণ। ধর্ম নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। এদিন সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে ভারত দ্রুত রাম রামরাজ্যে পরিনত হতে চলেছে।

     রাম কারও একার নয়, বললেন তৃণমূল নেত্রী

    পাপিয়া ঘোষ বলেন, রাম কারও একার নয়। আমরা হিন্দু, আমরাও রামের ভক্ত। এদিন সকাল থেকে রামের পুজো দিয়েছি। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। তাই রাম নবমীর মিছিলে কে আছে দেখিনি। রামভক্ত হিসেবেই রামনবমীর মিছিলে হেঁটেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: তাপপ্রবাহের সতর্কতা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায়, বিশেষ বুলেটিন হাওয়া অফিসের

    Heat Wave: তাপপ্রবাহের সতর্কতা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায়, বিশেষ বুলেটিন হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে ঝলসে যাচ্ছে শহরবাসী। এরই মধ্যে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) কমলা  সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হবে তাপপ্রবাহ। সপ্তাহান্তে ৩ দিন কলকাতাতেও রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। ৪০-৪১ ডিগ্রিতে থাকতে পারে আলিপুর-দমদমের তাপমাত্রা। সামনেই লোকসভা ভোট। রাজ্যে প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ভোট হবে উত্তরবঙ্গে। যখন ভোট উত্তাপে গরম হচ্ছে উত্তরের আবহাওয়া তখনই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে উপরে থাকার ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস। 

    হাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা

    বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় তাপমাত্রা (Heat Wave) স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বাড়বে। এর মধ্যে আটটি জেলায় শুক্রবার থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। কয়েকটি জায়গায় শুক্রবারই রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রিও ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা। এই মর্মে কলকাতা-সহ দক্ষিণের ১৫টি জেলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছেন আবহবিদেরা। সেই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার থেকে রাজ্যের ছ’টি জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। এই ছয় জেলার মধ্যে রয়েছে দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া এবং দুই বর্ধমান। শুক্রবার থেকে তাপপ্রবাহ চলবে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। এর মধ্যে আটটি জেলা— পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং বীরভূমে ‘সিভিয়ার হিটওয়েভ’ বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে পারে।  

    নবান্নে বিশেষ বৈঠক

    পরিস্থিতি বুঝে নবান্নে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব, জেলাশাসকরাও। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পানীয় জলের যে পাউচ প্যাকেট আছে সেগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলার কন্ট্রোল রুমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেলা ১২টার পর থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত রাস্তায় প্রয়োজন ছাড়া না বেরনোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা সাড়ে চার ডিগ্রি বেশি হলে তাপপ্রবাহ (Heat Wave) পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে ৬ ডিগ্রি বেশি হলে তৈরি হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ (Severe Heat Wave) পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে। তার পরের তিন দিনের পারদ থাকবে স্বাভাবিকের থেকে ৪-৭ ডিগ্রি বেশি।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    উত্তরে শিলাবৃষ্টি

    দহন জ্বালায় (Heat Wave) জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কোথাও তেতাল্লিশ ডিগ্রির পথে, আবার কোথাও তা বিয়াল্লিশ ডিগ্রি। সেই সময় একদম উল্টো চিত্র উত্তরের। মঙ্গলবার মাঝ রাতে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সেইসঙ্গে চলে শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির দাপটে জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। আর এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পাল্টা জবাব দিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সম্প্রতি ঘাটালে দেবের (Dev) সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। প্রচার চলাকালীন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার অভিষেকের সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন হিরণ।

    অভিষেকের বক্তব্য (Hiran Chatterjee)

    গত ৭ এপ্রিল ঘাটালে হিরণের (Hiran Chatterjee) নাম না করেই অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘এখানে যাঁকে বিজেপি (BJP) দাঁড় করিয়েছে, তিনি ছ’-আট মাস আগে আমার দফতরে এসেছিলেন। তৃণমূলে (TMC) ঢোকার জন্য এলেও আমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। অভিষেক সেদিন আরও জানিয়েছিলেন, দরকার হলে সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনবেন তিনি।

    হিরণের পাল্টা বক্তব্য

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই দাবি খারিজ করে বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Hiran Chatterjee) পাল্টা দাবি করে বলেন, “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন। তাই আমি তাঁর দফতরে গিয়েছিলাম। দলকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছিলাম। অভিষেক যেদিন সিসিটিভির ফুটেজ দেবেন, আমি সেদিন সমস্ত প্রমাণ দেব। উনি কত বার আমায় ফোন করেছেন, কেন আমায় ডাকছিলেন, কী কী বলেছেন, সমস্ত রেকর্ড আমার কাছেও আছে। আমাদের পার্টির কিছু নির্দিষ্ট কৌশল আছে। আমরা কিছু জিনিস মেনে চলি। আমরা পাবলিসিটির জন্য ভুলভাল কথা বলি না।”

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ‘প্রমাণ’ হাজির করার হুঁশিয়ারি

    উল্লেখ্য, গত বছর একটি ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, এমনই দাবি করা হয়েছিল। এবারের লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন সেই বিষয়টিই তুলে ধরেন অভিষেক। আর তাঁর পাল্টা জবাব দিয়ে ‘প্রমাণ’ হাজির করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঘাটালের (Ghatal) এই বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাবও দিলেন তিনি। একই সঙ্গে  দিলীপ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তৃণমূলকে ফের কড়া আক্রমণ করেন।

    জেলটাই মমতার বৃদ্ধাশ্রম হবে! (Dilip Ghosh)

    বুধবার দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এবিএস অ্যাকাডেমির মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার একটি সভা থেকে বলেছিলেন,”আমাকে উদ্দেশ্য করে চোর স্লোগান তোলা হয়। কিন্তু, আমি কারও পয়সায় চা-ও খাই না।” সুযোগ থাকলে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার কথাও তিনি বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পাল্টা দিলীপ এদিন বলেন, “সেদিন আপনার চলে গিয়েছে। এবার মানুষ তৃণমূলের নেতাদের প্রকাশ্যে জুতো, ঝাঁটা, লাঠি দেখাচ্ছে। শেষ জীবনে এটাও সহ্য করতে হবে।” এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর জেলযাত্রা মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বললেন, “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাপীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। ৪০ বছর রাজনীতি করার পর কাউকে যদি চোর স্লোগান শুনতে হয়, তাঁর সন্ন্যাস নিয়ে নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    টাকা নিয়ে ঘুরলেই গাড়িতে তল্লাশি হবে

    এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় দিলীপ ঘোষকে। রাম নবমী নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন,  “৫০০ বছর রামলালা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারপর এবার প্রথম রাম নবমী। তাই, সারা বিশ্বের হিন্দু সমাজ এই দিনটিকে বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করছে। রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে।” আর গাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে ঘুরলেই তাঁর গাড়িতে তল্লাশি হবে। এখন দিলীপ ঘোষের গাড়িতে তল্লাশি করেও কোনও লাভ নেই। কারণ, কিছুই পাবে না। তবে, যার গাড়িতে টাকা থাকবে তার গাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share