Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই শীতের কাঁটা। দক্ষিণ পূর্ব বাতাস বা পুবালী হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। সপ্তাহের শেষে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পুবালী হাওয়ার সংঘাতে রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। সকালের দিকে ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে শীতের আমেজ। সামান্য তাপমাত্রা কমেছে রাজ্যে। ফলে, বেড়েছে শীতের আমেজ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের মতে, আমেজটুকু বজায় থাকছে শুধুমাত্র সন্ধ্যায় ও রাতে। দিনের বেলায় তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী ২ দিন একই রকম থাকবে।

    কোথায় কোথায় কুয়াশা? (Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ২২ জানুয়ারি নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ফলে জাঁকিয়ে শীতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। ফলে, বুধবার পর থেকে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সেক্ষেত্রে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি কম। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রির বেশি ওঠেনি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকলেও তিন জেলায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। এর ফলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    দীর্ঘ দিন পরে কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নামল। তবে তা সামান্যই। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি কম। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৪ থেকে ৮৭ শতাংশ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের সামান্য নীচে থাকবে। সকাল ও সন্ধেতে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী ৫ দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সকালে হালকা কুয়াশা হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গে (Weather Update) সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। দৃশ্যমানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের নীচে। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দু’দিন রাতের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তার পরের তিন দিনে তাপমাত্রা দু’ডিগ্রি বাড়তে পারে। এদিকে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রায় হেরফের হবে না খুব বেশি। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকবে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: থার্মাল ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই, বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    BSF: থার্মাল ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই, বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই আবহের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে বিএসএফ-এর সংঘাতের খবর সামনে আসছে বারবার। এমনকী কাঁটাতার দিতে গিয়ে একাধিক অরক্ষিত সীমান্তে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বিএসএফকে (BSF)। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে বার বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বাংলাদেশিরা। বিষয়টি যে যথেষ্ট অস্বস্তির, তা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা। যদিও তা প্রতিহত করতে সদা তৎপর বিএসএফ। নিত্যনতুন কৌশলে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তারা। জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের ধরার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখন বিএসএফের ১০২ ব্যাটালিয়নের হাতে। বসিরহাটে মোট ৩৩ কিমি দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তের মাত্র ১২ কিলোমিটার কাঁটাতার করা হয়েছে। বাকি অংশ এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই এলাকা দিয়ে যাতে অনায়াসে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তারজন্য উদ্যোগী হয়েছে বিএসএফ (BSF)। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টা টহল নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ওপর নজরদারি চালাতে বাহিনীর হাতে হাতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    নজরদারির জন্য কী কী পদক্ষেপ? (BSF)

    এমনিতেই কয়েকদিন আগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে কাঁটাতারে লাগানো হল কাচের বোতল। ফুলকাডা বুড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুদিন আগেই লাগানো হয় কাঁটাতার। বিএসএফের সাহায্যে সেখানে কাচের বোতল লাগিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীরা ওই তার কেটে নিলে সশব্দে ভাঙবে কাচের বোতল। তাতে সতর্ক হবে বিএসএফ (BSF), দাবি স্থানীয়দের। কোচবিহার ছাড়াও মালদা, নদিয়া সহ সীমান্ত এলাকায় এখনও অনেক ফাঁকা জমি রয়েছে। সেই জমিতে কাঁটাতার দিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশিরা। তাতে মদত দিচ্ছে বিজিবি। মূলত, অনুপ্রবেশে মদত রয়েছে ইউনূস প্রশাসনের। ফলে, অনুপ্রবেশ রুখতে অন্য কৌশল নিয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, হ্যান্ড-হেল্ড থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম হল সেনাদের কাছে নজরদারির অন্যতম হাতিয়ার। এতে জড় বস্তু এবং শত্রু বাহিনীর মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য ধরা পড়ে। সীমান্ত দিয়ে কেউ পারাপার করার চেষ্টা করলে তা এই ক্যামেরায় ধরা পড়়বে। বিএসএফের (BSF) সূত্র জানায়, ক্যামেরাগুলো বিশেষ করে ঘন কুয়াশার সময় এবং রাতের টহল দেওয়ার জন্য কাজে লাগে। সীমান্তে নজরদারি রাখতে ক্যামেরা ছাড়াও নাইট ভিশন ডিভাইসও ব্যবহার করছে বাহিনী। আংশিক কাঁটাতার দেওয়া সীমানার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় একটি বিশেষ জাল যা লাগানো হয়েছে। একজন সিনিয়র বিএসএফ আধিকারিক বলেন, এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ রুখতে জওয়ানরা সবমসয় টহল দেন। তারপরও রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার দিয়ে কোনও কিছু ফেলতে না পারে, তার জন্য জাল লাগানো হয়েছে। তাতে অনেকটাই কাজ হচ্ছে।

    চাষিদের বায়োমেট্রিক!

    বিএসএফ (BSF) দ্বারা নেওয়া আরেকটি পদক্ষেপ হল কাঁটাতারের এলাকার বাইরে জমি রয়েছে, সেই জমিতে যাওয়ার জন্য চাষিদের বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ শুরু করা। গ্রামবাসীরা যারা কৃষিকাজের জন্য তাদের জমিতে যেতে চান তাদের এখন তাদের বায়োমেট্রিক বিবরণ প্রদান করতে হবে, যা তাদের পাস করার অনুমতি দেওয়ার আগে রেকর্ডের সঙ্গে মিলে যায়। কৈজুরির স্থানীয় গ্রামবাসী নিমাই দাস বলেন,  “প্রতিদিন বিএসএফ আমার বুড়ো আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখার পর আমার জন্য গেট খুলে দেয়। উত্তেজনা সত্ত্বেও, অফিসার এবং জওয়ানরা সবসময় আমাদের সাহায্য করে।’’ আরা যাদের জমি নেই, অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে যান, তাঁদের আধার কার্ড জমা নেওয়া হয়। পরে, কাজ শেষ হলে তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।

    সীমান্তে টহলরত কুকুর

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জওয়ানরাই নয়, টহলরত কুকুররাও নজরদারিতে তাদের ভূমিকা পালন করছে। জার্মান ম্যালিনোইস জাতের ম্যাক্স নামে প্রশিক্ষিত কুকুর রয়েছে। যার বয়স আড়াই বছর। তার একজন মাস্টার হ্যান্ডলার রয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে জওয়ানদের সতর্ক করে। জানা গিয়েছে, এই কুকুরটি বেশ কয়েকটি আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। ফলে, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই কুকুরকেও কাজে লাগানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saif Ali Khan: “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢোকে সইফের হামলাকারী”, মমতা প্রশাসনকে তোপ সুকান্তর

    Saif Ali Khan: “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢোকে সইফের হামলাকারী”, মমতা প্রশাসনকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) এখন হাসপাতালে ভর্তি। শারীরিক অবস্থা নিয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগে থেকে ভালো আছেন। তাঁর হামলাকারীকে ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার আদালতে পেশ করলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। হামলাকারী একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এবার তার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢুকে মুম্বই গিয়ে সইফের পিঠে চাকু মেরেছে অভিযুক্ত।” উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত ভারতে অনুপ্রবেশ করে নিজের পরিচয় বিজয় দাস নাম হিসেব দিয়েছিল। কিন্তু পরে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। তার নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ।

    দিদির অনুপ্রেরণা (Saif Ali Khan)!

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিদির অনুপ্রেরণা! নদিয়া দিয়ে ঢুকিয়ে চালান করে দিয়েছে। সইফ আলি খানের উপর এই আক্রমণ শুনে তো বিরোধীরা লাফিয়ে উঠেছিল। আরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু রাজ্য হয়ে গিয়েছে। মুসলিমদের কোনও রকম সুরক্ষা নেই। ধরা পড়ল কে দেখলেন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে গিয়ে সইফের (Saif Ali Khan) পিছনে চাকু মেরেছে। ইন্ডি জোটের এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের অধিকাংশই দুষ্কৃতী!

    উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ছয়টি ফ্রন্টইয়ার রয়েছে যার একাধিক জায়গায় নেই কোনও কাঁটাতার। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু ভারতীয় দালালই বিপুল টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ করিয়েছে। অভিযুক্ত শরিফুলকেও একই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করানো হয়। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, প্রথমে এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়, এরপর শীতের রাতে সুযোগ নিয়ে ভারতের ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করানো হয়। তারপর তারা দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ দুষ্কৃতী, যারা টাকার বিনিময়ে নাশকতার কাজ করে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর হিন্দু ধর্মীয় ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েও ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেতে চাইছেন। ফলে অনুপ্রবেশকারী মুসলমান এবং শরণার্থী হিন্দু দুয়ের দৃষ্টিভঙ্গি দুই রকম। সইফের (Saif Ali Khan) হামলাকারী নিঃসন্দেহ একজন দাগী আসামী নয় তো? এখন এটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape and Murder Case: ‘ক্ষুধার্ত নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত’! আরজিকর রায়ে খুশি নন শুভেন্দু 

    RG Kar Rape and Murder Case: ‘ক্ষুধার্ত নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত’! আরজিকর রায়ে খুশি নন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Rape and Murder Case) রায়ে খুশি নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যে জঘন্য, নিকৃষ্ট অপরাধ সঞ্জয় রায় করেছে, তাতে তার যাবজ্জীবনের সাজা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাকে ‘ক্ষুধার্ত নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সোমবার বিকেলে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape and Murder Case) সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন একমাত্র দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে। এই রায় নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘৩০টা পয়েন্ট বলেছে। যাতে আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা আছে। সিবিআই চার্জশিটে এটা ওপেন রেখেছে। কিন্তু কথা সেটা নয়, কথা হল, যে বিচারকের হাতে যে ক্ষমতা ছিল, তাতে তিনি সর্বোচ্চ সাজার চার্জ ফ্রেম করেছিলেন শনিবার। তাঁর হাতে দুটো অপশন ছিল। এক, তিনি যাবজ্জীবন দিতে পারতেন, অথবা মৃত্যুদণ্ড।’

    আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির

    পরিবারের সঙ্গে আছি

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন, সেটা তাঁর এক্তিয়ার। সেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন করছি না। কিন্তু আমি বলতে চাই, সমাজ, জনগণ, পরিবার কেউ এই রায়ে খুশি নয়। আমি নিজে খুশি নই এই রায়ে। এদের জীবজন্তুর সঙ্গে তুলনা করাও মুশকিল। এদের ক্ষুধার্ত নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত।’ সবশেষে তিনি বলেন, ‘পরিবার উচ্চ আদালতে যাবে, আমরা সঙ্গে আছি।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কোর্টের নির্দেশের ওপর আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা চাইছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। তবে সেই শাস্তি হয়নি। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টাকায় কী হবে! বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন না যে সঞ্জয় রায় একলা ছিলেন। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। তবে মনে হয় আরও তদন্তের প্রয়োজন। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কারা জড়িত সেটা প্রকাশ্য়ে আসুক।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বিস্ফোরক অভিযোগ। উত্তর কলকাতা এবং সল্টলেকে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনের মদত দিচ্ছে শাসক দল। এমনই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য় সভাপতির । তিনি আরও বলেন, ‘‘এই বসতি স্থাপনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। শুধু তাই নয়, যদি কোনও ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের (Rohingya) বসতি স্থাপনের ছবি তুলতে যায় তাহলে তাদের ওপরে আক্রমণও করা হচ্ছে।’’

    তোপ দেগেছেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি রবিবারই সাংবাদমাধ্যমকে বলেন,  ‘‘সারাদেশে জঙ্গি  সাপ্লাই (Rohingya) করার ঠিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্র সরকারের কাছে বিরোধী দলনেতা সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আবেদনও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে। সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন শুভেন্দু এবং বলেন, ‘‘সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারীও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।’’

    গত মাসেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা

    গত ডিসেম্বের উত্তর ২৪ পরগনায় ঘোজাডাঙা সীমান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে গ্রামে গ্রামে হিন্দু রক্ষা কমিটি তৈরির ডাক দেন শুভেন্দু। তখনও তাঁর মুখে শোনা যায়, মমতা সরকারের রোহিঙ্গা তোষণ। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা। হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই হিন্দুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে গ্রামে গ্রামে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়তে হবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছিলেন, “উনি (মমত বন্দ্যোপাধ্যায়) বুঝতে পারছেন ৩০ শতাংশ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে পারবেন না। ৭০ শতাংশ এক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিধানসভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের পক্ষে কথা বলছেন। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে তোপ দেগে শুভেন্দু সেসময় বলেছিলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। অথচ ইউনূসের সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছেন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। উনি যদি সত্যিই হিন্দুদের ভালো চান, তাহলে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সিদ্দিকুল্লাকে বহিষ্কার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Verdict: রায়ে সন্তুষ্ট নন, চলবে আন্দোলন, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Verdict: রায়ে সন্তুষ্ট নন, চলবে আন্দোলন, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Verdict) মামলায় গতকাল সোমবারই সামনে এসেছে চূড়ান্ত রায়। ধর্ষণ-খুনে একমাত্র অপরাধী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্য়ু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাসের পর্যবেক্ষণ, সঞ্জয় রায়ের অপরাধ ‘বিরলতম’ নয়। তাই তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিচ্ছে আদালত। প্রসঙ্গত, এই রায় সামনে আসতেই তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বড় অংশের মধ্যে। আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম নেতা আসফাকুল্লা নাইয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সঞ্জয় যে একা নয়, আরও অনেকে ওই ঘটনায় জড়িত এটা বোঝার জন্য কোনও আইনজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই শুরু থেকেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে আমাদের প্রশ্ন ছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। আরজি করের (RG Kar Verdict) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলবে।’’ বস্তুত, এদিন রায়দানের পরেই বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন, এই রায় নিয়ে আপত্তি থাকলে তাঁরা হাইকোর্টে যেতে পারেন।

    কেন ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়েছিল পুলিশ, প্রশ্ন জুনিয়রদের (RG Kar Verdict)

    প্রসঙ্গত, অনেকের মতো জুনিয়র চিকিৎসকরাও ভেবেছিলেন বিরলতম অপরাধ হিসেবে সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা শোনাবে শিয়ালদা আদালত। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কথায়, ‘‘যেভাবে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসককে কর্মস্থলে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, তাকে বিরলতম আখ্যা দেয়নি আদালত। এটা দুর্ভাগ্যের। তাই অপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলবে।’’ তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘শুধু সঞ্জয় রায় একা যদি দোষী হবে তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কেন ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে এত তৎপর হয়ে উঠেছিল?  কেন তড়িঘড়ি শেষকৃত্য করা হল? দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানালেও কেন তা গুরুত্ব দেওয়া হল না?’’

    অর্ধেক জাজমেন্টের উপর রায় দেওয়া হয়েছে দাবি জুনিয়রদের

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Verdict) হাসপাতালের প্রাক্তনী চিকিৎসক তাপস প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমরা সম্পূর্ণ খুশি নই। আমরা সেদিন খুশি হব যেদিন বাকি অপরাধীরাও ধরা পড়বে। তার সঙ্গে ফাঁসির সাজা শোনানো হবে।’’ মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্রের কথায়, ‘‘এটা বিচারের নামে প্রহসন। মূল চক্রী কারা? এই ঘটনার মোটিভ কী, তা বের করতে হবে। আমরা হতাশ। আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’’ জুনিয়র চিকিৎসক সৌমদীপ রায় বলেন, ‘‘এখানে আমাদের খুশি হওয়ার কিছুই নেই। কারণ প্রশ্ন আছে অনেকগুলি। যার উত্তর পাওয়া যায়নি। যে দোষী, তার সঙ্গে সমপরিমাণে দোষী তথ্যপ্রমাণ লোপাটকারীরাও। এখানে অর্ধেক জাজমেন্টের ওপর রায় দেওয়া হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Kumbha Mela 2025: ত্রিবেণীতেও কুম্ভমেলা, মুসলিম আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৭০০ বছর আগে

    Bengal Kumbha Mela 2025: ত্রিবেণীতেও কুম্ভমেলা, মুসলিম আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৭০০ বছর আগে

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুম্ভ মানেই চোখের সামনে যে ছবিটা ভেসে ওঠে সেটা প্রয়াগের। তবে জানলে অবাক হবেন এই বাংলাতে এবারও কুম্ভ মেলার (Bengal Kumbha Mela 2025) আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, হারিয়ে যেতে বসা ‘ইতিহাস’কে ফের মানুষের সামনে ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মন কী বাতে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার এই কুম্ভ মেলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আর এই কুম্ভমেলার পুরানো ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলায় মুসলিম আক্রমণের আগে এই মেলার বাংলার মানুষ তথা দেশের মানুষের কাছে আলাদা গুরত্ব ছিল। এই ত্রিবেণীর সঙ্গমে স্নান করার জন্য সাধু-সন্তদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ত। প্রায় ৭০০ বছর পর আবার সেই ত্রিবেণীতে শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। 

    ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা কে বন্ধ করেছিলেন? (Bengal Kumbha Mela 2025)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রাচীনকালে ঋষিরা আধ্যাত্মিক সাধনা ও মুক্তিলাভের জন্য ত্রিবেণীতে (Bengal Kumbha Mela 2025) আসতেন। ৭০৩ বছর পর গঙ্গার আরও উপনদী, যমুনা এবং সরস্বতী (কুন্তি) সঙ্গমে আবার কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ৭০৩ বছর আগে জাফর খান গাজি ত্রিবেণীর (Tribeni) বিষ্ণু মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। সেই সময় থেকে ইসলামি আক্রমণের কারণে কুম্ভস্নান ও মেলা বন্ধ হয়ে যায়। ১৩১৯ সালের পর ২০২২ সালে ত্রিবেণীতে খুব আনন্দের সঙ্গে একটি কুম্ভস্নানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ত্রিবেণী হল ‘মুক্ত বেণী’ (মুক্ত প্রবাহ) এবং প্রয়াগ হল ‘গুপ্ত বেণী’ (গোপন প্রবাহ)।

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    দক্ষিণে প্রয়াগ হল এই ত্রিবেণী!

    রঘুনন্দনের প্রায়শ্চিত্ত তত্ব গ্রন্থে ত্রিবেণীর (Bengal Kumbha Mela 2025) উল্লেখ পাওয়া যায়। ইতিহাসের বিভিন্ন দলিল থেকে জানা যায়, সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থভূমি ছিল। জানা যায়, উত্তরে প্রয়াগ রয়েছে এলাহাবাদে। দক্ষিণে প্রয়াগ রয়েছে এই ত্রিবেণীতে। বিভিন্ন সাধু- সন্তর কথায়, এটাই কুম্ভের উপযুক্ত স্থান। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, শাক্ত সাহিত্য, সাধারণ বাংলা সাহিত্যেও এর উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গিয়েছিল কালের গর্ভে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে বহু মানুষ আসেন এই ত্রিবেণীঘাটে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় এই কুম্ভস্নান ও মেলার কথা। বাংলা সাহিত্য ও কাব্যের মধ্যে তো এর উল্লেখ আছেই। ১৯৭৯ সালে এক বিদেশিনী এলান মরিনিসের (Alan Morinis) অক্সফোর্ডে জমা দেওয়া এক তথ্য থেকে এই কুম্ভের কথা জানা যায়।

    সাধু-সন্তরা গঙ্গাসাগর মেলা শেষে পদব্রজে ত্রিবেণীতে আসতেন!

    ইতিহাসবিদ অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিবেণী কুম্ভ মেলার (Bengal Kumbha Mela 2025) সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার একটা যোগ ছিল। তৎকালীন সাধু-সন্তরা, গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার পর পদব্রজে ত্রিবেণীতে আসত। মাঘ সংক্রান্তির দিন তাঁরা এখানে স্নান করতেন। এই দিনটাকেই অনুকুম্ভ হিসেবে ধরা হত ত্রিবেণীতে। সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থভূমি ছিল। পরবর্তীকালে মুসলিম আক্রমণের ফলে এখানকার মন্দির এবং তীর্থস্থান নষ্ট হয়ে যায়। পন্ডিতরা এখান থেকে চলে যান। ত্রিবেণী যেহেতু গঙ্গার মুক্তবেণী, সেই কারণে এই জায়গাটার আলাদা গুরুত্ব ছিল।”

    কোথায় কবে হবে এই কুম্ভ স্নান?

    ২০২২ সালে এই কুম্ভস্নান (Bengal Kumbha Mela 2025) ফের শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর এই কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হচ্ছে। চলতি বছরের আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বঙ্গীয় কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কুম্ভ স্নান চলবে। হুগলি জেলার ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাটে হবে এই কুম্ভ স্নান। আয়োজকদের দাবি, হাজার জনের বেশি সাধু আসবেন এবার। তার মধ্যে ২০০জনের বেশি নাগা। হুগলি জেলার ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাটে হবে এই মহাকুম্ভ স্নান। ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাংলার এই মহাকুম্ভে এবার স্নান করবেন বলে আশা আয়োজকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cable Bridge: হাওড়ায় ভারতের দ্বিতীয় অত্যাধুনিক ‘কেবল ব্রিজ’ তৈরি করছে পূর্ব রেল

    Cable Bridge: হাওড়ায় ভারতের দ্বিতীয় অত্যাধুনিক ‘কেবল ব্রিজ’ তৈরি করছে পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের দ্বিতীয় অত্যাধুনিক কেবল ব্রিজ তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। নির্মাণ করছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। জানা গিয়েছে, এই বছরই চালু করে দেওয়া হবে ব্রিজটি। এই ব্রিজটি হবে সিঙ্গল পাইলন কেবল সহ রোড ওভারব্রিজ।  জানা গিয়েছে, কয়েক দশকের পুরানো হাওড়া ব্রিজের উপর যানবাহণের চাপ কামাতে এই অভিনব ব্রিজের (Cable Bridge) ভাবনা। এই নয়া ব্রিজ হাওড়া স্টেশন থেকে জিটি রোডকে সংযুক্ত করবে। এই লোহার ডেক ব্রিজ ভারতে দ্বিতীয় সেতু। মুম্বইয়ে অটল সেতুর পর সলিড স্টল প্লেট ডেক ব্রিজ হাওড়ায় স্থাপন হবে। তাই এখন বাংলায় এই সেতু এক বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আনুমানিক খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা (Cable Bridge)

    হাওড়ায় এই অভিনব ব্রিজকে (Cable Bridge) অনেকে চাঁদমারি ব্রিজ বলেছেন। পূর্ব রেল (Eastern Railway) জানিয়েছে, মূলত কেবল টাইপের আকারে নির্মিত হবে এই সেতু। আনুমানিক খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৩৪ মিটার। পুরনো সেতুর জায়গায় তৈরি হচ্ছে চার লেনের কেবল টাইপ ব্রিজ। জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের সংস্থা উইকন এই সেতুর নকশা তৈরি করেছে। আর নির্মাণের কাজ করছে এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড। হাওড়া স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে তৈরি হচ্ছে এই নয়া সেতু। 

    আরও পড়ুনঃ আরজি করকাণ্ডে দোষী সিভিক সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ শিয়ালদা আদালতের

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে কাজ

    হাওড়া রেল স্টেশনের (Eastern Railway) ওল্ড কমপ্লেক্সে কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম আরও লম্বা করা হবে। ফলে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি এই প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। স্টেশনের ১, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্যও বাড়ানো হবে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১৫ এবং ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করে যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। একই ভাবে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম তৈরিও করা হবে। ফলে নব নির্মীয়মাণ ব্রিজ বিশেষ ভাবে উপকারী হবে জনসাধারণের জন্য।  

    জানা গিয়েছে, ৬০ মিটার চাঁদমারি ব্রিজ ১৯৩৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। একে ‘বাংলাবাবু ব্রিজ’-ও বলা হয়। এই সেতুই (Cable Bridge) এখন ১৩৪ মিটার দীর্ঘ সেতুতে পরিণত করা হবে। এই ব্রিজের নিচ দিয়ে রেলের মোট ১২টি লাইন যাবে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jal Jeevan Mission: কল আছে, জল নেই, ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে পিছনের সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    Jal Jeevan Mission: কল আছে, জল নেই, ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে পিছনের সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের সমস্ত বাড়ি বাড়ি নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’- এর সূচনা করেছিল। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’-এ (Jal Jeevan Mission) সব থেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের এক রিপোর্টেই এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

    প্রকল্পের অর্ধেক কাজ এখনও বাকি! (Jal Jeevan Mission)

    এই প্রকল্পে (Jal Jeevan Mission) পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে রাজ্যের গাফিলতিকে দায়ী করছে জলশক্তি মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক বাড়িতে এখনও পৌঁছায়নি নলবাহিত পানীয় জল। এখানেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে কবে পশ্চিমবঙ্গবাসী এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হিসেবে বাড়ি বাড়ি জল পাবে? জল জীবন মিশন ড্যাশবোর্ডে এক নজরে দেখা যায় যে পশ্চিমবঙ্গ এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের রাজ্যের মাত্র ৫৪ শতাংশ কভার করেছে। আর বাস্তবে যেখানে পাইপ লাইন বসানো হয়েছে, সেখানে জল পর্যন্ত পড়ছে না। কোথাও আবার সেই পাইপ লাইন পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়েছে। যেমন, হুগলির বেরাবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গোরডিহি গ্রামের বাসিন্দা বেদানা ধাড়া। তাঁর বয়স ৬৪ বছর। তাঁর বাড়ির কাছে একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে একটি জং ধরা পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। তিন বছর আগে জাতীয় ‘জল জীবন মিশন’-এর অধীনে ভারতজুড়ে পরিবারগুলিতে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য এই পাইপ বসানো হয়েছিল। পাইপটি এখন অকেজো।

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    ২০১৯-এর ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’ ঘোষণা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Jal Jeevan Mission) তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের হাত ধরে সমগ্র দেশের প্রায় ১৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারের কাছে এই নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান বেশ খারাপ। বলা যেতে পারে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছনের সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রকল্পে বাস্তবায়িত করতে পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মতোই অর্থ জোগানো হচ্ছে। কিন্তু, কাজের গতির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা’’! আরজি কর মামলার রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    RG Kar: ‘‘ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা’’! আরজি কর মামলার রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) অপরাধী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাবাসের সাজা হওয়াকে ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা বলে মন্তব্য করল বিজেপি (Bjp)। এদিনই দলের আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী নেতা অমিত মালব্য শিয়ালদা আদালতের সাজা ঘোষণার পরেই এক এক্স মাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এই বিজেপি নেতা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তৎকালীন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তদন্ত দাবি করেন।

    কী লিখলেন অমিত মালব্য?

    অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘‘আরজি করের (RG Kar) হাসপাতালের ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আদালত যাবজ্জীবন কারাবাস ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এটা ন্যায় বিচারের নামে প্রতারণা।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধীদের আড়াল করা বন্ধ করুন। এজেন্সির প্রয়োজন পুলিশ কমিশনার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের তদন্ত করা। বিচার শুধু করলেই হয় না, বিচার হয়েছে সেটা দেখতে পেতে দিতেও হয়।’’

    ‘একাধিক’ দোষী থাকার তত্ত্বে (RG Kar) জোর দিয়েছে গেরুয়া শিবির

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় ‘একাধিক’ দোষী থাকার তত্ত্বে (RG Kar) জোর দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পর বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সারা দেশবাসীর মনে যেটা আছে, যে একা সঞ্জয় রায় দোষী নয়, সেই ধারণা হয়তো বিচারকের মনেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সঞ্জয়ের সাজা হয়েছে, কিন্তু যারা প্রমাণ লোপাট করল, তারা কোথায়? কারা সঞ্জয়কে ওই নির্দিষ্ট ঘরে পাঠিয়ে ছিল?…তাঁদের কী হল? এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। যাঁরা তদন্ত করছেন, তাঁরা বুঝবেন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী আসবে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share