Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ!  কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast) জড়িত ২ আইএস জঙ্গি ২৮ দিন ধরে আস্তানা গেড়েছিল এ রাজ্যেই। এমনটাই জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য থেকে জঙ্গিদের খোঁজ মেলায় তৃণমূল সরকারকে  তুলোধনা করেছে বিজেপি। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো জঙ্গিরা নাকি দুই দিন, বাংলার অতিথি য়ে এসেছিলেন। প্রশ্ন একটাই অতিথি-ই বটে! বাংলা এখন জঙ্গিদের ঘোরার জায়গা। তাদের মুক্তাঞ্চল। এই প্রথম নয়। এর আগেও, একাধিকবার বাংলা থেকে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলা যেন জঙ্গিদের সেফ-আস্তানা হয়ে উঠেছে বাংলা।

    জঙ্গিদের সেফ হেভেন

    বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের (Bengaluru Cafe Blast)  মূল ২ অভিযুক্ত আস্তানা গেড়েছিল কলকাতাতেই। ২ জনকে দিঘা থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মূল চক্রীদের বাংলা থেকে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর তার কারণ সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাংলায় ২৮ দিন ধরে ছিল! এই শহরের বুকে একের পর একে হোটেলে আত্মগোপন করে ছিল! নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আস্তানা বদলেছে তারা। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গিরা সোজা পাড়ি দিয়েছে বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের উইক এন্ড ডেস্টিনেশন দিঘা। ভোটের আগে এই জঙ্গিরা ধরা পড়ায় ফের প্রশ্ন উঠেছে, বাংলা কি সন্ত্রাসবাসীদের ‘সেফ হেভেন’? জঙ্গিদের ‘স্লিপার সেল’গুলির আস্তানা? কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    কবে, কোথায় কারা ধরা পড়েছে 

    কখনও লস্কর-ই-তৈবা তো কখনও আইএস। বাংলায় কেন সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপ? এরাজ্যকে কি নিরাপদ মনে করছে তারা? অতীতেও, বাংলা থেকে ধরা পড়েছে একাধিক জঙ্গি। ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় নাশকাত হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর সদস্য ধৃত ফৈয়াজ স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিল। লালবাজারের কাছেই বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি ঠিকানায় পাসপোর্টও বানিয়েছিল সে। পুণের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ইয়াসিন ভটকল শুধু লুকিয়েই থাকেনি, কলকাতা থেকে বিস্ফোরকও নিয়ে গিয়েছিল। লস্কর-ই-তৈবার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আবদুল করিম টুন্ডাকে এ রাজ্য থেকেই ২০১৩-তে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ (জেএমবি)-র সদস্য কওসর ওরফে বোমা মিজান, হাবিবুর এবং জেএমবির চিফ সালাউদ্দিন সালে এ রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকে সংগঠন তৈরির পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরিও করছিল। ২০২১ সালে কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি নেতা ধরা পড়ে। আল কায়দার উপমহাদেশীয় শীর্ষ নেতা আবু তালহা বহু দিন কোচবিহারে লুকিয়ে ছিল। সেখানে ভোটার কার্ড-সহ অন্য পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছিল সে। ২০১৭-য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদেরও এ রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে আশ্রয় নেওয়া মুফাক্কির নামে এক বাংলাদেশি জঙ্গিকে ২০২৩-এ গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০২১ সালে নিউটাউনে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত জসসি।

    শুভেন্দুর দাবি

    পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল, এটা আগেও প্রমাণিত। পঞ্জাব পুলিশ চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার করেছে। মুজিবর রহমান খুনের দু’জন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত খুনির একজন হাওড়ায় হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হিসেবে ছিল। পরে পার্ক সার্কাস থেকে মাজেদকেও ধরা হয়। পার্ক সার্কাস মানে শহরের প্রাণকেন্দ্র। মমতা নিজে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দিল্লিতে জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যে ঘটনা ঘটেছিল, তার মূল অভিযুক্ত ফিরোজ৷ যে আমাকে হলদিয়ায় পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত, তার বাড়ি তমলুকের একটি গ্রামে। লাল্টু শেখ, আবদুল মান্নান ফেক আই কার্ড তৈরি করত। তারা গত বছর সোনারপুর থেকে গ্রেফতার হয়।”

    দিলীপের অভিমত

    বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, “জঙ্গিরা এখানে গা-ঢাকা মোটেই দেয়নি, ওরা জানে এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না। শেখ শাহজাহান তো দু’মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ কি জানত না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানতেন শাহজাহান কোথায় আছে। কেন ধরেননি? ওরাই এই ধরনের লোককে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর। আজ পর্যন্ত যত জঙ্গি সব এখানেই ধরা পড়েছে। কারণটা হল কোন ভয় নেই। এছাড়া এখান থেকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড করে তারা বাংলাদেশ থেকে আসছে। এখানে এসে ট্রেনিং নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    দিলীপের সংযোজন, “হুজি থেকে শুরু করে করে আল-কায়দা, আইএস জঙ্গিরা, ভিনরাজ্যের গ্যাংস্টাররা এখানে ধরা পড়েছে। মাসের পর মাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যখন উপর থেকে ডান্ডা দিয়েছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের ধরে ফেললেন। অথচ তারা দু’মাস ধরে ঘুরছিল। তখন কী করছিলেন। এটা কি মামার বাড়ি পেয়েছে। জঙ্গিরা ঘুরে বেড়াবে আর আপনি তাদের খাওয়াবেন, পুষবেন, সুরক্ষা দেবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে খাতা খুলতে জেলায় জেলায় জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে সেই ছোট মাঠ ভরাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু, মাঠ ভরা দেখেও স্বস্তিতে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঠ ভরলেই ভোট জয় নিশ্চিত তা মনে করছেন না তিনি। তাঁর সভায় যারা আসছেন, সবাই যে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না তা মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন। শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া জাবরকভিটা জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে জলপাইগুড়ি আসনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রকাশ্য সভায় নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

     ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Mamata Banerjee)

    এদিন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় একটি ছোট মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে আমি এখানে গৌতম দেবের হয়ে জনসভা করতে এসেছিলাম। বড় মাঠ ভরে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম গৌতম জিতবে। কিন্তু, পরে দেখলাম বড় ব্যবধানে ভোটে গৌতম হেরেছে।” মাঠ ভরলেই যে তৃণমূলে জয় নিশ্চিত নয়, নিজের এই আশঙ্কা এভাবেই এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রশ্নের সুরে বলেন, “বিজেপি কী দিয়েছে? সবই তো আমি দিয়েছি। কেন আপনারা বিজেপিকে ভোট দেন?”

    আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা শুনতে আর লোক পছন্দ করছে না। কেননা সকলেই জেনে গিয়েছেন উনি মিথ্যা কথা বলেন। মিথ্যাবাদী ও চোরদের কথা আর মানুষ শুনতে চাইছেন না। সে কারণেই তাঁর জনসভায় সাধারণ মানুষ হয় না। লোক দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। আইসিডএস কর্মী, আশা কর্মী এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে সেই ছোট মাঠ ভরিয়ে দেখানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার। সেটা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। আর সে কারণেই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন মাঠ ভরলেই তৃণমূল জিতবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ জানিয়ে দল ছাড়লেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা। নাম ভাস্কর মিত্র। তিনি আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) জেলা সম্পাদক ছিলেন। তিনি শুক্রবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় ওই নেতা অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, দলের বেশ কয়েকটি শাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আইএনটিটিউসিকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক সেই কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের কোনও কার্যক্রম হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য দলগুলি শ্রমিক সংগঠনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাঁর নিজের বলে এই সংগঠন নাম কা ওয়াস্তে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাস্কর বাবুর। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানতে নারাজ ওই নেতা। তিনি আরও লিখেছেন, “শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। বছরে একটা মিছিল করা ছাড়া দলের তরফে আর কোন বার্তা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয় না। এরকম সংগঠনের সঙ্গী হয়ে কোন লাভ নেই।” যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন দলকে ভালবাসলে কোন পদের (Basirhat) প্রয়োজন হয় না।

    দলে গুরুত্ব নেই 

    দল ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, “বিজেপির প্রোগ্রামে টোটো, অটো, বাস ইউনিয়নের কর্মীরা ফ্ল্যাগ বেঁধে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই শ্রমিক সংগঠনের পদে থাকার কোন মানে দাঁড়ায় না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে শ্রমিকদের কোনও সমন্বয় সাধন নেই। তাই আমি পদ ছেড়েছি।” বিজেপির দাবি, প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। যদিও তৃণমূল টোটো, অটো ও বাস সংগঠন সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে রাখে। তবে এটা ঠিক যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে (Basirhat) কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না শুধু টাকা তোলার সময় নেতারা আছেন। শ্রমিকদের কথা ভাবার জন্য তারা কেউ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

    Hooghly: মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। মূক-বধির যুবতীকে ভূল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের করে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলিতে (Hooghly)। জানা গেছে ২৫ বছরের ওই যুবতীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি তারই প্রতিবেশী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (Arrest) করেছে বলাগড় (Balagarh) থানার পুলিশ। তবে, অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী বলে জানা গেছে।

    অপরাধের ঘটনায় রাজনীতির রঙ (Hooghly)

    বলাগড় (Hooghly) বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শেখ মইনুদ্দিনের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি বলেন, আমরা চাই নির্যাতিতা সুবিচার পাক। শাসকদলে থাকায় অপরাধ করে যেন ছাড় না পায়। যদিও পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। বলাগড় তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ধর্ষণের ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আইনের কাজ আইন মেনেই হবে। সব ব্যাপারে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া বিজেপির কাজ।

    ঠিক কী হয়েছিল? 

    নির্যাতিতার মা জানান, “ছেলেটা দীর্ঘদিন থেকেই আমার মেয়ের সঙ্গে দুর্বব্যহার করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ এটা করেছে। মেয়ে ওই ঘটনার পর আমাকে পুরো ঘটনা জানায়। সব কথা গ্রামের লোককে জানাই। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে নি। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। আমরা বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে কেস করি। যে ছেলেটা এই কাজ করেছে ও তৃণমূল করে। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পুলিশ বলছে আজ হবে না। আমরা বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। পুলিশ কেসটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে?” আইনজীবী শুভঙ্কর পাল বলেন, “পরিবারের লোকেরা আমাকে জানিয়েছে অভিযুক্ত শাসক দল ঘনিষ্ঠ। সে ও তার পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই আমরা কোর্ট মনিটরিংয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    কেন গোপন জবানবন্দিতে দেরী?

    আদালত সূত্রে জানা গেছে যুবতী যেহেতু সাংকেতিক ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারে না সেই কারণে সাংকেতিক ভাষা জানা দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মত শনিবার আদালতে দোভাষীর উপস্থিতিতে বিচারক গোপন জবানবন্দি নেবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dum Dum Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    Dum Dum Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা নববর্ষের আগেরদিন শনিবার দুপুরে দমদমের (Dum Dum Fire) ছাতাকল এলাকার একটি বস্তিতে আচমকাই আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সেই সঙ্গে বস্তির ভিতরে একের পর এক ঘর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। অনেক দূর থেকেও সেই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বাসিন্দারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। আগুনের যা ভয়বহতা তাতে ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dum Dum Fire)

    দমদমের (Dum Dum Fire) ছাতাকল এলাকায় একটি বস্তি রয়েছে। সেখানে কয়েকশো পরিবারের বসবাস। এদিন দুপুরে বস্তির কোনও একটি ঘরে আগুন লাগে। স্থানীয়দের মতে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বস্তির একাধিক বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।আগুনের তীব্রতা এতটাই যে দ্রুত আগুন ছড়াতে শুরু করেছে আশপাশের এলাকায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশও। দমকলকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়েরাও আগুন নেভাতে সাহায্য করছেন। বস্তিতে অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের কথায়, বস্তির ৪০ থেকে ৫০টি ঘর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বস্তিবাসীরা।আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসতেই প্রথমেই এগিয়ে আসেন স্থানীয়েরা। বস্তির পাশে থাকা খাল থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন তাঁরা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। এখনও পর্যন্ত হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বস্তিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। আগুন লাগার পর পরই দ্রুত তা ছড়িয়ে প়ড়তে থাকে। অনেকে প্রাণে বাঁচতে পাশের খালে ঝাঁপ দেন। একের পর এক সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে, আগুন আরও বড় আকার নেয়।

    আরও পড়ুন: ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘটনার খবর পেয়ে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এখন কোনও রাজনীতি নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমাদের কর্মীরা রয়েছেন। তবে, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় বলেন, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। আগুন নেভানোর কাজ করতে আমাদের রোবট আছে। সেই রোবট কাজে লাগানো হবে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বাঁচানো এখন প্রধান কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ramnavami 2024) সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে ঝামেলা না পাকানোর হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির।

    পুলিশ বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলে রেখেছেন বিজেপি রামনবমীর সময় ঝামেলা পাকাতে পারে। আগেও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামনবমী (Ramnavami 2024) ও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে। হামলার সময় নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে পুলিশ। এমনকি পুলিশও বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ 

    বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর এলাকায় চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ রামনবমীর প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, “প্রশাসনকে বলতে চাইছি বিনা কারণে দিদিমনির মত কোন ঝামেলা পাকাবেন না। আজ হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। রাম মন্দির হয়ে গিয়েছে। তাই চারখানা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের চমকাবেন না বা হিংসা করার জন্য পাঠাবেন না। তাহলে হিন্দু সমাজে জবাব দেবে।”

    ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা  

    এবছর চার দিন ধরে রাজ্য জুড়ে রামনবমী (Ramnavami 2024) পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া সমর্থকরা। ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তার আগে বর্ধমানের বড় নীলপুর বাজারে আয়োজিত পথসভা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    ২০২৩ সালের অশান্তি

    প্রসঙ্গত, শেষ বছর রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে হাওড়া, হুগলি, রিষড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্তর গোলমাল হয়। রামনবমীর শোভাযাত্রার উপরে পাথর হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলার জেরে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এবিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এ বছর যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আগেভাগেই পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন দিলীপবাবু।

    শাসক দলের মদত 

    বাংলায় বিভিন্ন সময় দেখা গেছে রামনবমীর শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়া হয়েছে আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে। এমনকি কয়েকটি ধর্মীয়স্থল থেকে উস্কানিমূলক মাইক প্রচার করে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও সেই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য। মহরম, ঈদ, হোলী, বৈশাখী, ক্রিসমাস, নিউইয়ার শান্তিপূর্ণভাবে পালন হলেও রামনবমীর অশান্তির পিছে পিছনে শাসকদলের ভোট ব্যাংকের রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru Blast: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    Bengaluru Blast: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণে (Bengaluru Cafe Blast) অভিযুক্ত দুই জঙ্গিকে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার এক হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ২৮ দিন ধরে তারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পরিচয় গোপন করে ঘুরে বেরিয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তারা নাকি বাংলায় দু’ঘণ্টার ‘অতিথি’ ছিল। এ কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মমতার দাবির যৌক্তিকতা

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বেঙ্গালুরু রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast) জড়িত ধৃত ২ আইএস জঙ্গি রাজ্যে নাকি ২ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল। তিনি বলেন, “লোকগুলো কর্নাটকের। এখানকার নয়। আমাদের বাংলায় দু’ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল। দু’ঘণ্টার মধ্যে আমরা ধরে দিয়েছি।” কিন্তু, এনআইএ গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে, ২ জঙ্গি বাংলায় ২৮ দিন অর্থাৎ, প্রায় এক মাস আত্মগোপন করেছিল। এই সময় বিভিন্ন সময়ে তারা ডেরা পাল্টে পাল্টে লুকিয়ে ছিল। এনআইএ-র দাবি, কলকাতার ৮টি হোটেলে ১৮ দিন কাটিয়েছে ধৃত জঙ্গিরা। প্রথমে ধর্মতলা, তারপর লেনিন সরণি, সেখান থেকে খিদিরপুর, তারপর একবালপুর এবং সেখান থেকে নিউ দিঘার হোটেলে। ডেরা পাল্টে পাল্টে ২৮ দিন ধরে বাংলায় ঘুরে বেরিয়েছে জঙ্গিরা। শুধু কলকাতা-দিঘা নয়, পুরুলিয়া-দার্জিলিঙেও মিলেছে ধৃত জঙ্গিদের ডেরার খোঁজ। বাংলা জুড়ে তাদের অবাধ বিচরণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা। 

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিদের বিচরণ 

    এনআইএ সূত্রে খবর,  বিগত ২৮ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল এই দুই জঙ্গি। খাস কলকাতায় একের পর এক হোটেলে তারা রাত কাটিয়েছে। হোটেলের রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করানোর সময় ভুয়ো পরিচয় দিয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষকে নাকি দেখিয়েছিল ‘ভুয়ো’ আধার কার্ড। এরই মধ্যে এবার একবালপুরের এক হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে এই দুই জঙ্গির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়ৈা ভিডিও অনুযায়ী, সেই হোটেলে নাকি তারা ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ছিল।  শহরে মোট ১৮ দিন ছিল তারা। 

    আরও পড়ুন: অজয়ের চোখের যাদুতে গোলে বল! ফুটবল প্রেমীদের মন ভরাল ‘ময়দান’

    দার্জিলিং-পুরুলিয়ায় দিন যাপন

    এর আগে, ১৪ মার্চ থেকে ২১ মার্চ দার্জিলিং এবং পুরুলিয়ায় সময় কাটিয়েছিল এই দুই জঙ্গি। দার্জিলিঙে তারা ৩ দিন ছিল এবং পুরুলিয়ায় ছিল ২ দিন। শেষমেশ গত পরশু গভীর রাতে নিউ দিঘার (New Digha) একটি হোটেল থেকে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে দুই চক্রী আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

    ১০ বার সিম বদল

    এই সময়ে ১০ বার সিম পাল্টেছে তারা। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে, সম্ভবত কর্নাটক (Karnataka) থেকেই একাধিক ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল জঙ্গিরা। কমপক্ষে ১০টি ফোন নম্বর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল ওই ভুয়ো আধার কার্ড। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পরপর দু’জন চেন্নাইয়ে (Chennai) চলে যায়। সেখান থেকে সড়ক-রেলপথে তারা পৌঁছোয় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার তো বাড়ির মহিলারা পান। তারপরেও কেন বিজেপি করবি?’ প্রশ্ন করেই বিজেপির বুথস্তরের এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা এলাকার কুমারগঞ্জে। সুকান্ত মজুমদারের খাসতালুকে এই হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর পঞ্চায়েতের জল্পর গ্রামে বিজেপির বুথ সহসভাপতি সঞ্জয় রায় বাড়িতে খেতে বসেছিলেন। সেই সময় পাশের গ্রামের কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাঁশ-লাঠি নিয়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সঞ্জয়ের মা প্রথমে সামনে যান। খানিক বাদে সঞ্জয়ও সামনে আসেন। তখনই তাঁকে হামলাকারীরা বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার সুবিধা নিবি, আবার বিজেপি করবি।” এরপরই বেদম পেটাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিজেপি করি বলে ভোট আসলেই আমার ওপর আক্রমণ নেমে আসে। এখনও অভিযোগপত্র থেকে নাম তুলে নিতে ফোনে হুমকি আসছে। আমাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সঞ্জয়ের বাড়িতে যান বিজেপির জেলা (Balurghat) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত হারার ভয়েই এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করছে তৃণমূল। ভোটে ওদের হার নিশ্চিত। প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব। তৃণমূল এই কাজে যুক্ত বলে মানতে নারাজ এলাকার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কুমারগঞ্জে। একটাও গণ্ডগোল হয়নি। এখন কেন হবে। সঞ্জয় রায় নামে বিজেপির কাউকে চিনি না। তবে, যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তবে আমরা অবশ্যই তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব। এই ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ যুক্ত থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) হাত ধরে একাধিক বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। এবার ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডের স্বামী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে সহ কয়েকশো কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদানপর্বে বিজেপি কর্মীরা অনেতটাই অক্সিজেন পেলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বারাকপুরে (Arjun Singh)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈহাটিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় সিং ভবনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভাটপাড়া এলাকার নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। তিনি পরিবহণ দফতরের আরটিএ’রও সদস্য ছিলেন। এছাড়া আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু বাম কর্মীও এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও বারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, প্রিয়াঙ্গু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুধু ভাটপাড়া লেখা নয়, গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপি শক্তিশালী হল। সারা বছর ধরে তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। বহু মানুষ তার কাছ থেকে উপকৃত হয়। তিনি আসায় বারাকপুরে দল আরও মজবুত হল।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতার কী বক্তব্য?

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বলেন, তৃণমূল দলটা করা যায় না। ওই দলে থেকে কাজ করার সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। বিজেপিতে যোগ দিলাম। যে দায়িত্বদল দেবে, আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমার স্ত্রী সহ বহু কর্মী-সমর্থক আগামীদিনে বিজেপিতে যোগদান করবে।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যোগদান পর্ব প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ও তলে তলে অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অতীতেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। দলে থেকে বিশ্বাসঘাতকতার থেকে প্রতিপক্ষ দলে চলে যাওয়া ভালো। তৃণমূলের শক্তি মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যা কাজ করেছেন। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এবারের ভোটে উজার করে ভোট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আপত্তি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর (Ram Navami) দিন শর্তসাপেক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি দিল আদালত (Calcutta High Court)। লোকসভা ভোটের আগে শান্তি বজায় রাখতে মিছিলে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে মিছিল করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মিছিল করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। 

    কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের উপর দিয়ে ৭০০ মিটার এলাকা দিয়ে রামনবমীতে (Ram Navami) মিছিল করা যাবে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৩টি মিছিলে ২০০ জন করে সর্বাধিক থাকতে পারবেন। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোকসংখ্যা কম করার নির্দেশ দিলেও রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। আদালত মনে করে, হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা পুলিশের আছে। রাজ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সহায়তা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে হিংসাও হয়। যার তদন্ত করছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি

    একই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উপলক্ষে শোভযাত্রা করার জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রতি বছর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিছিল বার করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। গোলমালের আশঙ্কায় এবার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সঙ্ঘ। তাদের মিছিলেরও অনুমতি দিয়ে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত বিশ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটবে। সেখানে মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তিযুক্ত?’’ বিচারপতি সেনগুপ্তর বেঞ্চ বলে, ‘‘অশান্তি আশঙ্কা রয়েছে এই যুক্তিতে আমরা কি প্রতিদিনের কাজকর্ম বন্ধ করে বসে থাকব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share