Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কি পৌঁছে গিয়েছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও? এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে যখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামের হাটগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাটে পুরনো জিনিসপত্র বেচাকেনার রেওয়াজ রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তৃণমূল সরকারের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেল নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে লাগোয়া পুরনো সাইকেল বেচাকেনার দোকানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

    ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমের পাতায়

    বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের হাটে সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) সাইকেল বিক্রির ভিডিও সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। যদিও এই ভিডিওগুলি সত্য নাকি তা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’। ভাইরাল হওয়া সেই রকম একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এক যুবক সবুজ সাথীর (Sabooj Sathi) লোগো বসানো সাইকেলগুলি বিক্রি করছেন। সাইকেলগুলির মধ্যে পুরনো সাইকেল যেমন রয়েছে তেমনই দেখা যাচ্ছে নতুন সাইকেলও রয়েছে সেখানে। সাইকেলের সামনে বই রাখার জন্য বাস্কেটও দেখা যাচ্ছে।

    বেশ কদর রয়েছে সাইকেলগুলির

    জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা লাগোয়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানিহাটি বাজার, চাঁপাই, নবাবগঞ্জ, নদিয়া জেলার চরঘাট, রাজশাহি, খুলনা, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, জীবননগরের মতো গ্রামীণ হাটগুলিতে বিক্রি হচ্ছে দেদার সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) প্রকল্পের সাইকেল। সবুজ সাথী প্রকল্পের এই ধরনের সাইকেলগুলি বাংলাদেশে দাম ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে। তবে সবুজ সাথী সাইকেল সেখানে মিলছে মাত্র সাত থেকে আট হাজার টাকায়। বাংলাদেশেরে এক সাইকেল বিক্রেতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সবুজ সাথী সাইকেল এর গুণমান নিয়ে যতই প্রশ্ন তুলুক সেখানকার বিরোধীরা। সীমান্ত পারে নীল রঙের সাইকেলের কদর কিন্তু বেশ বেশি।

    কী ভাবে যাচ্ছে সাইকেল

    কিন্তু সাইকেলগুলি ভারত থেকে সেখানে যাচ্ছে কীভাবে? জানা গিয়েছে যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের কাঁটাতারের ওপারে চাষের জমি রয়েছে, তারা সাইকেলে করে জমিতে যাচ্ছেন এবং ফিরে আসার সময় সেগুলিকে বিক্রি করে দিয়ে আসছেন। এর সবটাই তবে চলছে বিএসএফের নজর এড়িয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় পদ্ধতি হল, শুকিয়ে যাওয়া নদীর কালভার্টের নিচ দিয়ে সাইকেল (Sabooj Sathi) পৌঁছে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে। চুয়াডাঙা হাটের সাইকেল ব্যবসায়ী মেহেবুল কবিরাজের কথায়, ‘‘অনেকেই বলেন এগুলো নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে দেওয়া সাইকেল। আমরা অত কিছু জানি না। পাইকারদের কাছ থেকে নিয়ে আসি। ২০০-৩০০ টাকা মুনাফা রেখে বিক্রি করে দিই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Basirhat: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    Basirhat: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার করার শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর কী হাল হয়েছে তা রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। জেল বন্দি শাহজাহানের অবস্থা দেখেও শিক্ষা নেয়নি তৃণমূল নেতারা। এবার বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচারের সময় তৃণমূলের একাংশের দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Basirhat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় হিঙ্গলগঞ্জের (Basirhat) কালীনগর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রর সমর্থনে একটি সভা ছিল। সেই সময়েই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দলবল নিয়ে সভাস্থলে একপ্রকার ‘দাদাগিরি’ দেখান বলে অভিযোগ। সভাস্থলের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বেশ কিছু তপ্ত বাক্য বিনিময় ধরা পড়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, ‘হয়ত তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভয় পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর কাজ এটাই। তারা এটাই করে এসেছে। আজ বসিরহাটের মানুষ এককাট্টা হয়েছেন দেখে, তারা ভয় পাচ্ছে। তারা এতদিন মানুষের ওপর অত্যাচার করে এসেছে। সেই নেশাটাই তো ছাড়তে পারছে না। ওরা চাইছে বিজেপি যেখানে যেখানে সভা করবে, সেখানে সেখানে গিয়ে ভয় দেখাবে ওরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না।’

    আরও পড়ুন: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট শহর কমিটির সভাপতি অভিজিৎ ঘোষের কথায়, ‘এর কতটা সত্যতা আছে, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই তাদের হাতে তথ্য আছে। রেখা পাত্র পায়ের তলায় রাজনৈতিক জমি খুঁজে পাচ্ছেন না। শুধু সন্দেশখালি থেকেই তৃণমূল ৩০-৩৫ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল।’’ বড় কিছু রাজনৈতিক ঘটনা কি ঘটতে চলেছে? যা নিয়েই বিরোধী দলনেতা এমন মন্তব্য করলেন? এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জোরচর্চা। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে ভোটের পারদ। ঠিক সেই আবহে ভোটবঙ্গের উত্তাপ বেশ কিছুটা বাড়াল বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্য।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শনিবার মালদহে রতুয়ার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বলতে শোনা যায়, ‘‘আগামী সপ্তাহ শুরু হতে চলেছে। আপনারা দেখবেন, আমি বলব না বিস্তারিত। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোম পড়বে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে। নিশ্চিন্ত থাকুন। তৃণমূল কূল কিনারা পাবে না। সেই ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। অপেক্ষা করতে থাকুন।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমি রাজনৈতিক বিস্ফোরণের কথা বলছি। আদালতের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আর কাকুর গলা মিললে তো ভাইপো বিপদে পড়বে। এ তো আমি সেদিনও বলেছি। আজ তো রাজনৈতিক বিস্ফোরণের কথা বলেছি। অন্য কথা তো বলিনি। বুঝে নিন সব।’’

    কী হতে পারে?

    প্রসঙ্গত, বড় যোগদান হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে, বিরোধী দলনেতা এমন কথা বলার পরেই দেখা যায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী রাজনৈতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে তা জানা যাবে আগামী সপ্তাহতেই। তৃণমূলের দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। কালীঘাটের কাকুর কন্ঠ পরীক্ষার নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে। আবার সোমবারে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে কি এ নিয়েই কিছু বলতে চাইলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? তা ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    আরও পড়ুন: ভারতে বিক্রিত বেবি ফুডে অতিরিক্ত চিনি! নেসলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: পানাগড় ৪৫.১, বাঁকুড়া ৪৪.৬, দমদম ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস! সীমা ছাড়ানো গরমে বঙ্গে ত্রাহি ত্রাহি রব

    Heat Wave: পানাগড় ৪৫.১, বাঁকুড়া ৪৪.৬, দমদম ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস! সীমা ছাড়ানো গরমে বঙ্গে ত্রাহি ত্রাহি রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। আশার কথা শোনাচ্ছেন না হাওয়া অফিসের আধিকারিকরাও। আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই বৃষ্টির। শনিবার রাজধানী কলকাতা সহ রাজ্যের দশ জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহ (Heat Wave) চলেছে। যার মধ্যে ৬ জায়গার অবস্থা খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। রেকর্ড তাপমাত্রা ছিল শনিবার পানাগড়ে। পশ্চিম বর্ধমানের এই জেলায় পারদ ছাড়ায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। শনিবার পানাগড়ে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা স্বাভাবিকের থেকে ৮.৩ ডিগ্রি বেশি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি জারি থাকবে বুধবার পর্যন্ত।

    তীব্র তাপপ্রবাহ (Heat Wave)

    শনিবার দমদমের তাপমাত্রা ছিল ৪২° সেলসিয়াস। তবে গতকাল তাপপ্রবাহ (Heat Wave) থেকে মুক্তি পেয়ে পেয়েছে ডায়মন্ডহারবার, দীঘা, বহরমপুর, সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম, কল্যাণী, সাগরদ্বীপ, বসিরহাট প্রভৃতি জায়গাগুলি। শনিবার মেদিনীপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়াতে ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মগরাতে ৪২° সেলসিয়াস। পানাগড়ে ৪৫.১ ডিগ্রি এবং বারাকপুরে ছিল ৪৩° সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মেদিনীপুরের দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। বাঁকুড়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল তাপমাত্রা।

    স্বাভাবিকের থেকে ৪.৬ ডিগ্রি বেশি কলকাতার তাপমাত্রা

    শনিবারই কলকাতাতে পারদ পৌঁছায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। উলুবেড়িয়াতে তাপমাত্রা ওঠে ৪০.৫° সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৪ ডিগ্রি বেশি। রাঢ়বঙ্গের অন্তর্গত সমস্ত জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলেছে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর, বীরভূমের শ্রীনিকেতন, সিউড়ি সমস্ত জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহ (Heat Wave) চলে। বর্ধমানে শনিবারের তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে আসানসোলে তা দাঁড়ায় ৪৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়াতে ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল শনিবার।

    স্বাভাবিকের থেকে কত তাপমাত্রা বাড়লে তাকে তাপপ্রবাহ বলা যায়

    হাওয়া অফিসের মতে, সাধারণভাবে যে কোনও এলাকার তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হয়, তাহলেই অতি তীব্র তাপপ্রবাহের (Heat Wave) পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা থাকলে তখন তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আপাতত এই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “দেখে না দল, ১০ টাকা দিয়ে সাহায্যও করেনি”, সুব্রত বক্সির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    Arambagh: “দেখে না দল, ১০ টাকা দিয়ে সাহায্যও করেনি”, সুব্রত বক্সির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে দলের নেতা কর্মীরা সরব হয়েছিলেন। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। প্রার্থী বদল করে আরামবাগে (Arambagh) তৃণমূল আসন ধরে রাখার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।  প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচ মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের আসল চেহারা ফের প্রকাশ্যে চলে এল। দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দল করে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। স্বজনহারা হতে হয়েছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মেলেনি কিছুই। আর তাতেই ক্ষোভ ফুঁসছেন তৃণমূলের শহিদ পরিবারের সদস্যরা। আর তৃণমূলের শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সির সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের শহিদ পরিবার। আর ভোটের মুখে এই ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    সুব্রত বক্সির সামনেই বিক্ষোভ (Arambagh)

    শনিবার আরামবাগে (Arambagh) এসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ ও তৃণমূলের শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সি। আর তাঁকে দেখে দরজার বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গোঘাটের ছয় শহিদ পরিবারের লোকজন। ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি করেন তাঁরা। অভিযোগ, তাঁদের কথা কেউ শোনেননি। তাঁদের ভিতরেও যেতে দেওয়া হয়নি। প্রতিশ্রুতি মতো এই ছয় পরিবারের কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অথচ তাঁদের বলা হয়েছে চাকরি হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভরত এক ব্যক্তি বলেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছে। ২০২৪ সাল হয়ে গেল দল দেখে না। আমাদের ১০টাকা দিয়েও দল সাহায্য করেনি। আমরা কী অপরাধ করেছি।” তবে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গে সুব্রত বক্সি কথা বলেছেন। তাই তিনি বলার পর আমি আর কিছু বলব না।”

    আরও পড়ুন: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বস্তুত, সালটা ২০০৬। অভিযোগ, তৎকালীন বাম আমলে সিপিএমের দ্বারা অত্যাচারিত হয়, এই ছয় পরিবারের লোকজন। দল করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে। বিগত বারো বছর ধরে ঘর ছাড়া ছিলেন তাঁরা। বার বার তৃণমূলের ওপরমহলে গিয়েও কোনও সুবিচার পাননি বলে দাবি ওই সকল পরিবারগুলির। শনিবার দুপুরে আরামবাগের (Arambagh) রবীন্দ্র ভবনে পৌঁছন সুব্রত বক্সি। এরপরই এই ছয় পরিবারের লোকজন সোজা হাজির হয়ে যান। কিন্তু, তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। কেউ কোনও কথা শুনতে চাননি। এরপরই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khardah: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Khardah: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমদম লোকসভার খড়দায় (Khardah) শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শহর তৃণমূলের সভাপতির ডাকা মিছিলে গরহাজির পুরসভার চেয়ারম্যান সহ একাধিক কাউন্সিলর। ফলে, ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বেআব্রু হচ্ছে খড়দায় শাসক দলের কোন্দল। পরিস্থিতি এমন যে রীতিমতো আড়াআড়ি বিভাজন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের মিছিলে নেই বিধায়ক, চেয়ারম্যান ও একাধিক কাউন্সিলর (Khardah)

    গত ১ মার্চ খড়দা (Khardah) রবীন্দ্রভবনে নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের আহ্বানে দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে কর্মী সভায় অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল খড়দা পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর সহ ব্লক স্তরের অনেক নেতাকে। সেই কাউন্সিলরদেরই একাংশ খড়দা শহর তৃণমূলের ব্যানারে রহড়া মন্দিরপাড়া থেকে মাঠ রাস্তা মোড় পর্যন্ত সৌগত রায়ের সমর্থনে মিছিল করলেন। যদিও এদিনের মিছিলে মন্ত্রী কিংবা তাঁর গোষ্ঠীর কেউ, পুরসভার পুরপ্রধান থেকে গোটা আটেক কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন।  রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এদিনের মিছিল ছিল পাল্টা শক্তি প্রদর্শন। মিছিলের সামনের সারিতে শহর তৃণমূল সভাপতি ও কাউন্সিলর সুকণ্ঠ বণিক, উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার সহ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    পাল্টা মিছিলের ডাক তৃণমূল বিধায়কের

    মন্ত্রীর ডাকা কর্মী সভায় সৌগত রায় উপস্থিত থাকলেও এদিনের মিছিলে সৌগত রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। যদিও আয়োজকদের দাবি, হঠাৎ করেই মিছিল ঠিক হওয়ায় সৌগত রায়ের অন্য জায়গায় প্রচার কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারেননি। এতে অবশ্য তারা দোষের কিছু দেখছেন না। এদিকে জানা গিয়েছে, এদিনের মিছিলের পাল্টা হিসেবে আগামী রবিবার মন্ত্রীর গোষ্ঠীর লোকজন মন্ত্রী এবং তাদের প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মোড়লপাড়া থেকে খড়দা স্টেশন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে। তবে, খড়দা দ্বন্দ্ব যে সহজেই মিটবে না, তা শোভনদেব এবং সৌগত রায়ের কথাতেই স্পষ্ট হওয়া গিয়েছে। শোভনদেব বলেন, “মিছিল সম্পর্কে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। গোষ্ঠী থাকতে পারে, দ্বন্দ্ব তো করছি না। আমি কোনও কর্মসূচি করলে একজনকে বাদ দিয়ে সবাইকেই বলি।”  কিন্তু সেই একজন কে, তা খোলসা করেননি মন্ত্রী। আবার সৌগত রায় বলেন, “যারা আলাদা মিছিল করেছেন, তারাও দলের অনুগত সৈনিক। আমি বিশ্বাস করি তারা এমন কিছু করবেন না যাতে দলের ক্ষতি হয়।”

    প্রার্থী আসেননি বলে বিধায়ককে জানানো হয়নি

    খড়দহ শহর তৃণমূলের সভাপতি সুকণ্ঠ বণিক বলেন, “মন্ত্রী প্রচণ্ড ব্যস্ত মানুষ। যেহেতু এদিন প্রার্থী সময় দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন, তাই ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রার্থী এলে অবশ্যই বলতাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panta Bhat: এই গরমে হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি ‘পান্তা ভাত’

    Panta Bhat: এই গরমে হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি ‘পান্তা ভাত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাস থেকেই নিজের তেজ দেখাতে শুরু করেছিল সূর্য দেব। আর বৈশাখ পড়তেই সূর্যের তেজে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বাংলা। ইতিমধ্যেই ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। তাপপ্রবাহের (heat wave) সতর্কবার্তাও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আর এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখাই হল চ্যালেঞ্জের। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। আর এই নাজেহাল পরিস্থিতিতে পান্তা ভাতের (Panta Bhat) উপকারিতা ভীষণ। এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, হিট স্ট্রোকের (heat stroke) ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। শরীরে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি একাধিক রোগের বিপদ কমায় এই ‘পান্তা ভাত’।

    আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জেনেনি পান্তা ভাতের উপকারিতা

    পুষ্টিগুণের দিক থেকে পান্তাভাত একশোয় একশো

    রিহাইড্রেশন পান্তা ‘বডি রিহাইড্রেটিং ফুড’ হিসেবে পরিচিত। পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই খাবারে যেহেতু তরলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে।

    উপকারি ব্যাকটেরিয়া

    প্রোবায়োটিক্সে ভরপুর পান্তা ভাত। যা হজম শক্তি রক্ষায় সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পান্তা সারাদিন কাজ করার জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

    অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি

    বিজ্ঞানীদের মতে পান্তাভাত পিএইচ ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই খাবার।

    কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

    ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

    রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী। সাধারণ ভাতের তুলনায় এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। অন্যদিকে পটাশিয়ামের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়াও অনিদ্রার সমস্যা দূরেও বিশেষ সহায়ক এই পান্তা ভাত।

    আরও পড়ুনঃ নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    গবেষণা কী বলছে?

    পান্তাভাতের প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ চিকিৎসকেরাও। গবেষণা বলছে যে আগের দিন রেঁধে রাখা ভাত জল দিয়ে রেখে দিলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এছাড়াও পান্তা ভাত (Panta Bhat) খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে। অসুখ-বিসুখ নাকি সহজে কাবু করতে পারে না। তাছাড়া খরচও কম আর খেতেও বেশ সুস্বাদু। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার ফেলে পান্তা ভাত খেয়ে কারও গায়ের জোর হতে পারে এটা ভাবাই যায় না। তাই আর দেরি নয় এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে কাল থেকেই শুরু করুন পান্তা খাওয়া। রাত্রে খাওয়ার পর অতিরিক্ত ভাতে জল ঢেলে সারারাত রেখে দিন। অথবা সকালের তৈরি গরম ভাতে জল ঢেলে রাত্রে কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, লেবু সহযোগে তৃপ্তি করে খান পান্তা ভাত।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিতেও নিষ্কৃতি নেই, তাপমাত্রা আরও বাড়ার ইঙ্গিত, তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা

    Weather Update: রবিতেও নিষ্কৃতি নেই, তাপমাত্রা আরও বাড়ার ইঙ্গিত, তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকেল পাঁচটা পথে বেরোতেই গরম হলকা বইছে। শহর কলকাতায় অফিস ফেরতা পথচারীরা ঘেমে-নেয়ে একসার। কবে মিলবে মুক্তি? প্রশ্ন একটাই। তবে এখনই নিষ্কৃতি নেই। রবিবারও ঝাঁ-ঝাঁ রোদে পুড়তে চলেছে বাংলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলল ৪১ ডিগ্রি।

    রবিতেও তাপপ্রবাহ

    শনিবার দুপুরে প্রকাশিত আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা বলছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গর সমস্ত জেলাতেই তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে রবিবার পর্যন্ত। এ ছাড়া ছ’টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এই ছয় জেলায় রবিবার পর্যন্ত অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    সাধারণত কোনও এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা থাকলে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বুধবার পর্যন্ত বদলানোর কোনও লক্ষণ নেই। বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে তারা। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি থাকলেও বাকি ৯টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে।

    আরও পড়ুন: ভারতে বিক্রিত বেবি ফুডে অতিরিক্ত চিনি! নেসলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র

    গরমে সতর্কতা

    এই গরমে দেহে কোনওভাবেই জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। সাধারণ জলের পাশাপাশি নুন-চিনির জল খান। প্রয়োজনে ওআরএস-এর জলও খাওয়া যেতে পারে। এতে দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকবে। দেহে তরলের ঘাটতি বজায় রাখার জন্য ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে মরসুমি ফল রাখুন। যে সব ফলে জলের ভাগ বেশি যেমন তরমুজ, শসা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি বেশি করে খান। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪ টের মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হচ্ছে সকলকেই। গরম থেকে বারবার এসি-তে না ঢোকার পরামর্শ দিচ্চছেন চিকিৎসকরা। প্রচণ্ড গরম থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা—এই ট্রানজিশনের মধ্যে কিছু সময় দিন, যাতে শরীরটা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তবে, এসি ঘরে থাকলেও তাপমাত্রা খুব কম রাখবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: সুকান্তর সমর্থনে মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার, দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ

    Mithun Chakraborty: সুকান্তর সমর্থনে মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার, দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের হয়ে জেলায় এসেছেন বলিউডের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) । শুক্রবার তপন বিধানসভা এলাকায় মিঠুন জনসভা করার পর এদিন গঙ্গারামপুরে রোডশো করলেন। বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে জনসভা ও রোডশো করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সুকান্ত মজুমদার ও গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায়।

    গঙ্গারামপুরে মিঠুনের রোডশো (Mithun Chakraborty)

    এদিন গঙ্গারামপুরের প্রধান সড়ক ধরে রোড শো চলতে থাকে। হাজার হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক মিছিলে হাঁটেন। দেখা গেল, গঙ্গারামপুরের জনপ্রিয় ক্ষীর দই মিঠুন (Mithun Chakraborty) চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুরে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসের সামনে অনেকক্ষণ মিঠুন চক্রবর্তীর রোডশো দাঁড়িয়ে যায়। পার্টি অফিসে অনেকেই দেখা গেল ব্যালকনিতে। বালুরঘাট লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে বিপ্লব মিত্র। আর গঙ্গারামপুরে তাঁর বাড়ি। তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ির এলাকায় রোড শো করেন বিজেপির রাজ্য জেলা সভাপতি তথা বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ও মিঠুন চক্রবর্তী। জেলার রাজনীতিতে গঙ্গারামপুরকে তৃণমূলের গড় হিসেবে ধরা হয়। সেই এলাকায় মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারের  রোড শোয়ে সাধারণ মানুষের ভিড় ও উৎসাহ দেখে জয় নিশ্চিত বলে  বিজেপি কর্মীরা আশা করছেন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    দুর্নীতিগ্রস্তদের উচিত শিক্ষা দিয়ে দিন

    গঙ্গারামপুরের রোডশোর পাশাপাশি কুশমন্ডিতে এক জনসভা করেন সুকান্ত মজুমদার ও মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মিঠুন নাম না করে কয়লা চুরি বালি চুরি, গরু চুরি কিছুই বাদ রাখেননি। মহাগুরু বলেন, যে দল কয়লা, বালি, গরু চুরি সঙ্গে যুক্ত সেই দলের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে ভোটে জেতানো আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আমি সাপের ডায়লগটা বলার জন্য আমার ওপর মামলা করেছিল। তাই আমি কিছু ডায়লগ ঘুরিয়ে বলছি। আমি জল ঢোরা নই, বালি বড়াই নই, আমি সেই সাপ যে ছোট ছোট ইঁদুর খুঁজে বেরোচ্ছি। আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত নই। রেশন চুরি, কয়লা চুরি ও মানুষের লেখাপড়া বিদ্যা চুরি করি না। আমরা সুন্দর বাংলা প্রদান করব। ওরা দুর্নীতিগ্রস্ত। মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাই এবারে সময় বুঝে দুর্নীতিগ্রস্তদের উচিত শিক্ষা দিয়ে দিন। আর সুকান্ত মজুমদারকে দ্বিতীয় বারের জন্য সাংসদ করুন।

    ৫০ হাজার লিড পাব!

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গঙ্গারামপুরে মিঠুনের রোড শোয়ে যেরকম মানুষের ভিড় ও উৎসাহ দেখলাম তাতে গঙ্গারামপুর থেকে ৫০ হাজার ভোটে লিড পাবো। আমরা মিঠুন চক্রবর্তীকে গঙ্গারামপুরের বিখ্যাত ক্ষীর দই উপহার দিলাম। তিনি দই খেয়ে সুনাম করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার থানায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকেরা। শনিবারও তদন্তের সন্দেশখালি যায় সিবিআই টিম। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে সিবিআই ইতিমধ্যে নিজস্ব একটি পোর্টাল চালু করেছে। সেখানে সন্দেশখালির মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ, নারী নির্যাতন, জমি লুট সহ একাধিক অভিযোগ জানাতে পারবে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সিবিআই সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। একটি দল থানায় যায়। আর অন্য একটি দল যায় গ্রামে।

    কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই? (Sandeshkhali)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পোর্টালে অভিযোগের তদন্ত করতে এদিন ১০ জন সিবিআই আধিকারিক সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সুন্দরখালি, কর্ণ খালি, মাঝেরপাড়া, পাত্রপাড়া, নতুন পড়াসহ একাধিক পাড়ায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানার চেষ্টা করেন। সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে ১৬ এপ্রিল সিবিআই তথ্য নিতে এসেছিল। তারপর এবার সন্দেশখালিতে সিবিআই টিম হানা দিল। প্রসঙ্গত, বসিরহাট পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে ন্যাজাট ও সন্দেশখালি থানার দশটি জায়গায় পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই অভিযোগগুলো সিবিআই আধিকারিকরা রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে হস্তান্তর করে নিজের দায়িত্বে নেন। তারপর এদিন সেই অভিযোগের সত্যতা জানতে সন্দেশখালিতে হাজির হন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই টিম

    সিবিআই আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে এর আগে ওই এলাকায় সিবিআই গিয়েছে বলে শোনা যায়নি। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই সুন্দরীখালিতে অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান শেখ ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। যাঁদের বেশিরভাগই শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অথবা এখনও রয়েছেন। সেই বিষয়ে জানতে এদিন আধিকারিকরা সন্দেশখালি যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share