Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে (Red Road)। এবার সেই জমায়েত ঘিরেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চলতি বছরে রেড রোডে ইদ-উজ-জোহা (৭-৮ জুন) জমায়েত আয়োজনের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। ফোর্ট উইলিয়ামের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-র তরফে এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ওই সময়ে রেড রোড ও সংলগ্ন অঞ্চল সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে, ইদের (Red Road) জমায়েতের অনুমতির আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

    কী বললেন কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি?

    এনিয়ে কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের বিবৃতি সামনে এসেছে। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা চিঠি পেয়েছি। বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর কমিটির সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী পদক্ষেপ করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, মহম্মদ আলি, মৌলানা শওকত আলি ও মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে খিলাফত-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেই স্মৃতিতেই চলে খিলাফত কমিটি। এই কমিটির কমিটির তরফেই বড় দুই ইদের নমাজের আয়োজন করা হয় রেড রোডে। তবে এবার সেনাবাহিনীর (Indian Army) এই সিদ্ধান্তের ফলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার সেনার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খিলাফত কমিটি আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা।

    ১০ মে আবেদন করে কমিটি, সেনার জবাব আসে ৩১ মে

    রেড রোডের (Red Road) দীর্ঘ রাস্তায় প্রতি বছর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ একসঙ্গে ইদের নামাজের জন্য জড়ো হন। প্রোটোকল অনুযায়ী, কলকাতা খিলাফত কমিটি ১০ মে ইদের নামাজের জন্য অনুমতি চায়। এরপরে সেনাবাহিনী (Indian Army) তরফ থেকে জবাব আসে ৩১ মে এবং সেখানেই তাদের এই আবেদনকে নাকচ করা হয়। রেড রোডে বহু বছর ধরেই ইদের নামাজ চলে এবং বিরাট সংখ্যায় জমায়েতে হাজির থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নেত্রীদেরও।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইদের নামাজের ওই জমায়েতে হাজির থাকেন।

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন রয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। শনিবারই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের তরফে এই আসনে লড়বেন প্রার্থী আশিস ঘোষ। নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের আশিস ঘোষ বলেন, জয়ের বিষয়ে তিনি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী।

    বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষের সংক্ষিপ্ত পরিচয় (BJP)

    জানা গিয়েছে,নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত দেবগ্রামে আশিস ঘোষের বাড়ি। তিনি বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয় রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আশিস ঘোষ। নিজের এলাকায় বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে কালীগঞ্জ বিধানসভার কনভেনারের দায়িত্বে (Assembly By Election) রয়েছেন এই বিজেপি নেতা (BJP)। জানা যাচ্ছে, আশিস বাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ-মাধ্যমিক। কৃষক পরিবারের জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেই জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কী বলছেন এই বিজেপি নেতা?

    শনিবার দলের প্রার্থী হওয়ার পরই দলীয় কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ দিন বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমি জেতার ব্যাপার একশো শতাংশ আশাবাদী (Assembly By Election)। মূলত সনাতনী ভোটকে প্রাধান্য দিয়েই লড়াইয়ে নামতে চলেছি। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে দুর্নীতি করেছে। সেই দুর্নীতির বিপক্ষে মানুষ রায় দেবে।”

    কেন হচ্ছে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন?

    উল্লেখ্য,  ওই কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) মৃত্যুর পরেই ওই বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শাসকদলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার ঠিক দু’দিন পর বিজেপি (BJP) আশিস ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল। কালীগঞ্জে লড়াই মূলত বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যেই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেস-সিপিএমকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।

  • Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবারই বঙ্গ সফরে অমিত শাহ। ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩১ মে থেকে ১ জুন রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ। ১ জুন নেতাজি ইনডোরে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতেও যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে সাধু-সন্তদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে।

    মোদির পরেই শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

    কী কী কর্মসূচি

    এরপর রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সমাপ্ত করে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ (Amit Shah)। এরপর, হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবেন তিনি। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। এর পাশাপাশি থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গাতেই নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে আনা হয়েছে নতুনদের। অন্যদিকে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

  • PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। শাসকদলের কাউন্সিলর বেছে বেছে লোকেদের বাড়ি আক্রমণ করেছেন। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতি বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এ ভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে?’’ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জনসভায় এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর এই প্রথম বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই আলিপুরদুয়ারের সভাস্থলে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তোলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ (PM Modi)

    তার পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এঁরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি করে তৃণমূল শুধু হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়নি, রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল আদিবাসীদের ভালো চায় না। তাই ২০২২ সালে এনডিএ সরকার যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর চেষ্টা করছিল, তখন সবার আগে তার বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল।”

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ

     রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এখানে চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হয়নি। তা করতে দেয়নি এখানকার নির্মম সরকার।’’ তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ নিষ্ঠুর সরকার চায় না। তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। বাংলার শাসক দলের স্বার্থপর রাজনীতি সাধারণ মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

    অপারেশন সিঁদুর

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আপনাদের প্রবল রাগ হয়েছিল। সেই রাগই আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। যারা পহেলগাঁওকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কল্পনাই করতে পারেনি পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি। ফের হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য চোকাতে হবে (Alipurduar)।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বক্তব্যের আগে ভাষণ দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘটনার মিল রয়েছে। এই সরকারকে আমাদের উৎখাত করতেই হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তা হবে।’’ তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মতোই এ রাজ্যে অপারেশন তৃণমূল করতে হবে।”

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    সুকান্তর পরে ভাষণ দিতে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে চাই বিজেপির সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ দেশের জন্য বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। এটাই এই সভার সংকল্প হওয়া উচিত। এই বাংলার তিন জনকে পহেলগাঁওয়ে খুন করা হয়েছে ধর্ম দেখে। নরেন্দ্র মোদি তার বদলা নিয়েছেন।’’

    বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়

    এদিন সরকারি প্রকল্পের শিলন্যাস করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়। আর তাই গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করেছে (Alipurduar)।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়ন ভারতের উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি স্থাপন করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা মেক ইন ইন্ডিয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। বাংলার উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের কাজ হয়েছে।”

    সিকিম সফর বাতিল…

    এদিন সকালেই রাজ্যে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বাগডোগরা থেকে তাঁর সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই সভা বাতিল হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। পরে চলে যান আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায়। সেখানেই তিনি তাক করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হাসিমারায় (Alipurduar)। সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন পাটনার উদ্দেশে (PM Modi)।

  • PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Alipurduar)। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে ন্যাচারাল গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। ১০১৭ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২টি জেলায় ১৯টি সিএনজি স্টেশন তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রকল্পের ফলে আড়াই লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন, বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

    আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন

    বাংলার সকলকে নমস্কার জানিয়ে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি (PM Modi in Alipurduar) বলেন, “বাংলার বিকাশ ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজ মজবুত ইট গড়ার দিন। আমরা মঞ্চ থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সিটি গ্যাসের শুভারম্ভ করলাম। পাইপলাইনের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন। সিলিণ্ডার কেনার দিন শেষ হয়ে যাবে। সিএনজি ষ্টেশনের ফলে পয়সা খরচ কম হবে। সময় বাঁচবে। পরিবেশ বাঁচবে। ২০১৪ সালের আগে ৬৬ জেলায় সিটি গ্যাসের সুবিধা ছিল। এখন তা বেড়ে ৫৫০ জেলায় এই নেটওয়ার্ক গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গতি এসেছে। ২০১৬ থেকে এই যোজনা চালু হয়েছে। মহিলাদের ধোঁয়া থেকে মুক্তি মিলেছে। রান্নাঘরের সম্মান বেড়েছে।”

    বাংলার বিকাশের কাজ চলছে

    একইসঙ্গে, এদিন বাংলার সংস্কারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Alipurduar)। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ১৪ কোটির থেকে কম এলপিজি ছিল। এখন ২১ কোটি হয়েছে। আমাদের সরকার কোণায় কোণায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মজবুত করেছে। এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সরকার পাইপলাইন বিছানো থেকে সব কাজ করছে। বাংলা ভারতীয় সংস্কৃতির একটা বড় দিক। বাংলা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। কেন্দ্র সরকার দশ বছরে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, কলকাতা মেট্রোর উন্নতি করা হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনের উন্নতি করা হচ্ছে। বাংলার বিকাশের কাজ চলছে। এই একটা পাইপ লাইন নয়, প্রগতির একটা দিক বাংলায় বিকশিত হচ্ছে।”

    সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা

    বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Alipurduar) বিমান। প্রথমে সিকিম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন সিকিমের ভারত অন্তর্ভুক্তির ৫০ বছরের পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ি রাজ্যটিতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভার্চুয়ালি তিনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যটি জাতির গর্ব বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর এপ্রিলে মুর্শিদাবাদে যে হিংসার (Murshidabad Riot) ঘটনা ঘটেছিল, তা কোনও আকস্মিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল না, ছিল সুপরিকল্পিত একটি হিংসার ঘটনা (Radical NGOs)। গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে এই হিংসা সংঘটিত হলেও, এর নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র– চরমপন্থী উসকানি, রাজনৈতিক মদত এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার এক জটিল মিশ্রণ। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন মুর্শিদাবাদ’ নামক অনুসন্ধান এক বিরাট গোপন চরমপন্থী নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করেছে, যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন, ছায়া এনজিও এবং প্ররোচিত যুব বাহিনীকে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে।

    এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা (Murshidabad Riot)

    জানা গিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা, যেখানে ধর্মীয় নেতারা ছিলেন মতাদর্শগত কারখানার ভূমিকায় আর পুলিশ-প্রশাসন ছিল হয় সহযোগী, নয় ঠুঁটো। এই সব কিছুর কেন্দ্রে ছিল কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যারা সব কিছু পরিচালনা করেছে। ঘটনার সূত্রপাত ১০ এপ্রিল। এদিন শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এসএসসি রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ছদ্মবেশে একটি পরিকল্পিত বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। দ্রুত সেটাই মোড় নেয় ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত ইস্যুর দিকে। ১১ এপ্রিল এটিই ধারণ করে দাঙ্গার রূপ। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, একই যুবক দল যারা হাতে লাঠি এবং প্রচারপত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা দুই আন্দোলনেই উপস্থিত ছিল। ১১ এপ্রিল পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল জমায়েত। এই জমায়েতের মাঝে ছিল একটি ব্যানার, যাতে লেখা, ‘সমস্ত এনজিও একজোট’। কিন্তু আদতে পুরো ফ্রন্টটি পরিচালিত হচ্ছিল মূলত দুটি সংগঠনের মাধ্যমে – ‘সময়ের আলোর বাতি’ এবং ‘গোল্ডেন স্টার গ্রুপ’। এই সংগঠনগুলি নিজেদের গোষ্ঠী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করলেও, সেগুলির বিরুদ্ধে উগ্র মতাদর্শ প্রচার এবং সংঘবদ্ধ আন্দোলনের অভিযোগ উঠেছে।

    ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘পলাতক’

    এই হিংসার মূল চাঁই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হল কাওসার, মোস্তাকিন এবং রাজেশ শেখ। পুলিশের খাতায় তাদের পলাতক দেখানো হলেও, স্থানীয়দের দাবি (Murshidabad Riot), দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তারা ‘পলাতক’ (Radical NGOs)। জানা গিয়েছে, রাজেশ শেখ তৃণমূল যুব ব্লক কমিটির পরিচিত সদস্য। পিএফআই (PFI) এবং এসডিপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে এক এসডিপিআই প্রার্থীর পক্ষে তিনি প্রচারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বশির শেখ, যিনি এক সময় সিমির (SIMI) সদস্য ছিলেন, তাঁকেও এই বিক্ষোভের প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত

    স্থানীয় ডিআইবির ইনসপেক্টর রাজীব গোপন ক্যামেরায় তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করে বলেন, “হ্যাঁ, ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত (Murshidabad Riot)। তবে ওরা পলাতক।” এই হিংসায় জুতে দেওয়া হয়েছিল নাবালকদেরও। একাধিক নাবালকের দাবি, কাওসার ও মোস্তাকিন তাদের ডেকে পাঠাত এবং প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দিত। ‘ওয়াকফ’ শব্দের অর্থ না জানলেও, তাদের বলা হত ঘরে আগুন লাগাতে এবং পাথর ছুড়তে। তাদের বোঝানো হত, তাদের ধর্ম বিপন্ন। তাদের মধ্যে একজন বলে, “ওরা বলেছিল হিন্দুরা আমাদের ধর্মকে গালাগালি দিচ্ছে। সবাই যাচ্ছিল, তাই আমিও গেলাম।” ছেলেটির দাবি, তারা যখন হিন্দু-অধ্যুষিত ঘোষ পাড়ার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল এবং হেনস্থার শিকার হয়েছিল, তখন স্থানীয় পুলিশই তাদের পাল্টা জবাব দিতে বলেছিল (Murshidabad Riot)।

    বেআইনি এনজিওর রমরমা

    সরকারি খাতা অনুযায়ী, শামসেরগঞ্জে মাত্র ১৮টি এনজিও রয়েছে (Radical NGOs)। যদিও বাস্তব চিত্র হল এলাকায় রয়েছে কয়েক ডজন এনজিও। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই সংগঠনগুলি মূলত চরমপন্থী চিন্তার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে, কোনওরকম নজরদারি ছাড়াই অর্থ আসছে এবং সর্বোপরি, সমাজকল্যাণের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে সরকারি নজরদারি। স্থানীয় দুই ইমাম স্বীকার করেছেন, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক তাদের কাছে এসে মসজিদের মাইকে ওয়াকফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানাতে বলেছিল। শুক্রবারের নমাজের ঠিক আগেই এটা করতে বলেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সর্বোচ্চ জমায়েত।

    বাংলাদেশি ইসলামি বক্তার ভাষণে ইন্ধন!

    মুর্শিদাবাদে যেদিন দাঙ্গা হয়, তার ঠিক পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশি এক ইসলামি বক্তা শামসেরগঞ্জে একটি জলসায় ভাষণ দেন। তার পর থেকেই স্থানীয় হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক কনটেন্ট (Murshidabad Riot)। একটি ভিডিওতে মুসলমানদের হাতে ‘বন্দুক তুলে নিতে’ বলা হয়। আর একটি পোস্টে বলা হয় ‘শিশুদের সামনে পাঠাও’। এসডিপিআই, জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং জামাত-এ-আহলে হাদিসের সাহিত্য এবং বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা ওয়াকফ সংক্রান্ত বর্ণনাকে কেন্দ্র করে জ্বলা ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। রাজীব স্বীকার করেন, “এখানে স্লিপার সেল সক্রিয় আছে। মাদ্রাসার ভিতরে উগ্রপন্থা ছড়ানো হচ্ছে। তবে জলসায় কী হয়, তা আমরা জানি না (Radical NGOs)।”

    জেলা কর্মকর্তারা গোপনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, রাজেশের মতো কয়েকজন উগ্রপন্থী রাজনৈতিক রক্ষাকবচ ধারণ করেন। এক প্রবীণ তদন্তকারী বলেন, “এখানে নথিভুক্ত নয় এমন এনজিওগুলি তো কেবল নীচুস্তরের মুখপাত্র। আসল খেলুড়েরা বসে থাকেন ক্ষমতার আসনে, থাকেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে (Murshidabad Riot)।”

  • PM Modi: ২৯ মে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মোদি

    PM Modi: ২৯ মে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচন। তাই সোমবার তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi)। নামে প্রশাসনিক সফর হলেও, আদতে এর নেপথ্যে ছিল রাজনীতির গভীর অঙ্ক।

    আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে (PM Modi)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজনীতির আঁক কষতে ব্যস্ত, তখন সেই উত্তরবঙ্গেরই আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে ২৯ মে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশাসনিক সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জনসভাও করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে সভাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্য নেতারাও। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রশাসনিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। তবে প্রশাসনিক সভাটি কোথায় হবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা তথা ফালাকাটার বিধায়ক বলেন, “অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখানে একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক সভাটির প্রস্তুতির দায়িত্বে আমরা রয়েছি। সেই প্রস্তুতি আমরা আজ থেকেই শুরু করে দিলাম।”

    কেন আলিপুরদুয়ারই?

    প্রশ্ন হল, কেন আলিপুরদুয়ারকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)? দীপক বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এক দিকে সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য রয়েছে। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ চিকেন’স নেকও এই অঞ্চলেই। আলিপুরদুয়ারই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ পথ। তাই আন্তর্জাতিকভাবে এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে হয়।” মনোজ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সেনাকে সম্মান জানাতে আগামী ২৯ মে উত্তরবঙ্গে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্যই আমরা মাঠ দেখতে এসেছিলাম। কোন জায়গায় মঞ্চ করা যায়, সেই সব খতিয়ে দেখা হয়েছে।” তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুরের পর দেশের একাধিক জায়গায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী (West Bengal)। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন তিনি (PM Modi)।

  • Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফের নামে মুর্শিদাবাদ হিংসা (Murshidabad violence) নিয়ে হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বেতবোনাতেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অসহায় মানুষ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিলে, আক্রান্তদেরই জোর করে আবার ফেরানো হয় হিংসা কবলিত এলাকায়। রিপোর্টে আরও বলা হয়, পুলিশ নিপীড়িত মানুষকে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। এমনকী হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মেহবুব আলম। হিন্দু নির্যাতনে দায়ী শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বই। হিংসার নেতৃত্বে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “নিজের দলের স্থানীয় তৃণমূল নেতারদের বাঁচাতে বহিরাগত তত্ত্বের কথা বলেছেন। নত মস্তকে ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর।”

    তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কোর্ট (Murshidabad violence)

    ওয়াকফের নামে রাজ্যে গত ৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad violence) ধুলিয়ান, সাজুরমোড়, জাফরাবাদ, জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর, লুটপাট, খুন-হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিএসএফ নামানো হয়েছিল। অসহায় হিন্দুরা গঙ্গা পার হয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরে পারলালপুর হাইস্কুলের শিবিরে আশ্রয় নেয়। পরে মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তে ৩ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং। রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তী। এরপর কমিটির সদস্যরা মুর্শিদাবাদে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। রিপোর্টে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কাউন্সিলের নাম, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং আশেপাশের মুসলমান দুষ্কৃতীদের কথা বলা হয়। এরপর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল!

    মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করার পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন। সে সময়েই তিনি দাবি করেছিলেন, কারা আদতে হিংসা চালিয়েছে, সে তথ্য দ্রুত সামনে আসবে। এবার হাইকোর্টের রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন তিনি। এদিন সুকান্ত বলেন, “এই রিপোর্ট পরিষ্কার বলছে, মাসেরগড় (Murshidabad violence), হিজলতলা, শিউলিতলা, ডিগড়ি- সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসেছিল, তারাই বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। দুষ্কৃতীরা গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল। যারা হামলায় অভিযুক্ত ছিল তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন মমতা।” আবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “যা নির্দেশ ছিল তা করে দেখিয়েছে মেহেবুবের মতো দুষ্কৃতীরা। এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। ঘটনার আগে পরের অবস্থা বিচার করে রিপোর্ট দেওয়া উচিত।”

LinkedIn
Share