Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে (Dhupguri) সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। উনিশে এপ্রিল লোকসভার (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় রাজ্যের তিনটি আসন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও কোচবিহারে (Coochbehar) ভোটে রয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তিনি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সভা করে নতুন করে ঝড় তুলে দিয়ে যাবেন।

    প্রচার কর্মসূচি তৈরি (Modi Shah in Bengal)

    বিজেপি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও ঝড় তোলার জন্য প্রচার কর্মসূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় রাজ্যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী এলেও দ্বিতীয় দফায় তাঁর দোসর হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল উত্তরবঙ্গের অপর তিনটি আসন দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ(Rayganj) ও বালুরঘাটে (Balurghat) ভোট রয়েছে। যার জন্য দুটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একটি সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল দিনাজপুরে (South Dinajpur) দুটি সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। একটি সভা হবে রায়গঞ্জে ও অন্যটি বালুরঘাটে। শাহের সভা হবে বুনিয়াদপুরে। ১৬ই এপ্রিল বালুরঘাটের রেল স্টেশন মাঠে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সভা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে রায়গঞ্জের সভা কখন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই বিজেপির সূত্রের দাবি।

    শাহের সভা কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    শাহের সভা বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মাঠে দুপুর বারোটা নাগাদ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শুধু অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নয়, এই সভাগুলিতে রাজ্য বিজেপির তারকা প্রচারকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বক্তব্য রাখার জন্য। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার ভোটে বেশ কিছু মেগা র‍্যালির কথাও চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। উত্তরবঙ্গ থেকেই সব থেকে বেশি সাংসদ, বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি। সে কারণেই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো ফলাফল হবে, এমনটাই ধারণা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের গড় যাতে বেদখল না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ শক্তিতে ময়দানে নামছে বিজেপি।

    তৃণমূলে তারকা প্রচারক কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    একদিকে উত্তরবঙ্গে যেখানে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ প্রচারে নামছেন, তখন তৃণমূলের প্রচার অনেকটাই ফিকে মনে হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া অন্য কোনও নেতার সেই প্রভাব নেই। তৃণমূলের নম্বর দুই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) উত্তরবঙ্গে ময়দানে নামালেও তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাকে প্রচারে নামালে অনেকটাই ব্যাকফুটে যাওয়া্র সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেক্ষত্রে  দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসকের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াবে বিজেপি। এমনিতেও মমতা ও অভিষেক ছাড়া তৃণমূলের তারকা প্রচারক বলতে আর কাউকেই উত্তরবঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির হাতে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো তারকা প্রচারক রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার নিজে বালুরঘাট আসন থেকে লড়লেও তিনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আসনে প্রচারের জন্য ছুটে যাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rainy Day: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, তীব্র দহনজ্বালা থেকে মুক্তি

    Rainy Day: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, তীব্র দহনজ্বালা থেকে মুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। হাওড়া (Howrah), হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা (Cloudy Weather)। শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ (Thunderstorm) বৃষ্টি (rain)। শেষ কয়েকদিনের তীব্র গরমে যে অস্বস্তি অনুভূত হয়েছিল, তা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলল রবিবারের সকালে। তবে সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে এমনটা নয়। দক্ষিণবঙ্গে পূর্বাভাস রয়েছে রবিবার বিকেল ও রাতের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে (Rainy Day)।

    কী জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস? (Rainy Day)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে কালবৈশাখীর ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও রবিবার সকালবেলায় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল ও হুগলি (Hooghly) জেলায় তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে এদিন সকালে। অন্যান্য জায়গায় মেঘলা সকালে যেন সন্ধ্যার আমেজ। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North & South 24 Pargana) বেশ কিছু অঞ্চলে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে, মাঝারি গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। একই পূর্বাভাস রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। 

    দহনজ্বালা থেকে মুক্তি (Rainy Day)

    এক সপ্তাহ ধরে কলকাতা ও শহরতলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল। তীব্র দহনে নাজেহাল অবস্থা ছিল শহরবাসীর। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছিল। যার জেরে লালমাটির দেশেও সকাল ১০টার পর দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, বৃষ্টির জেরে রবিবার ও সোমবার সাতটি জেলার তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফলে কিছুটা হলেও তীব্র দহনজ্বালা থেকে মুক্তি মিলবে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে অনুমান করছে আবহাওয়া দফতর। যদিও মঙ্গলবারের পর ফের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে (Rainy Day)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। আর এ নিয়েই বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের একাংশের কোন্দল। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই জাকিরের তৈরি করা নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন বাইরন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    জোর করে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না (Murshidabad)

    তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে সাগরদিঘির বিধায়কের লড়াই দীর্ঘ দিনের। বস্তুত, বিড়ি ব্যবসায় দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ময়দানেও। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন জাকির। সেই কমিটি ভেঙে দেন বিধায়ক বাইরন। এই প্রসঙ্গে বাইরন বলেন, “সাগরদিঘিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পৃথক কমিটি, কনভেনার, পর্যবেক্ষকের পদ তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলার অন্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা খলিলুর রহমানের হয়ে ‘খাটবেন’, তাঁদের নিয়ে কমিটি তৈরি করব। জোর করে বাইরে থেকে কেউ কিছু চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না।” জাকিরের নাম না করে তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্য এক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জোর করে কোনও কমিটি তৈরি করে দেবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, এটা হতে পারে না। পাশাপাশি তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে সর্বাধিক ভোটে জয়যুক্ত করব।”

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    জাকির কী সাফাই দিলেন?

    বাইরনের নির্বাচন কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেননি জাকির। তিনি বলেন, “আমি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কমিটি করিনি। দল যেটা অনুমোদন করেছে, সেটাই হয়েছে। কে মানবে, কে মানবে না সেটা দল দেখবে।”

    কটাক্ষ করেছে বিজেপি

    বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “ভাগের বখরা নিয়ে টানাটানি হলে তৃণমূলের মধ্যে একটু গুঁতোগুঁতি হয়, এটা আমরা সব জায়গাতেই দেখছি। সাগরদিঘিও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কয়েকদিন আগে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ঘেরাওয়ের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে এবার বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় লকেটকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর এসবই হয়েছে তৃণমূলের মদতে। ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে।   যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Locket Chatterjee)

    ২০১৯ সালে হুগলি আসন বিজেপির কাছে হেরেছে তৃণমূল। এবারও বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে। জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে লকেট। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার সেনপুকুর এলাকায় কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এখানকার বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় কালীতলায় যাই। কালীপুজোয় গিয়েছিলাম। ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই দেখি কিছু লোক হাতে তাঁদের বাঁশ। তাতে কালো পতাকা লাগানো। তাঁরা আসছেন। অশ্রাব্য কথা, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন। আমার গাড়ি ঘিরে গাড়িতে মারতে থাকে। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বোঝাতে গেলেও শোনেননি। আমি ভিডিও করছি বলে ওরা আরও বেশি করে করছে। এরপর ভিডিওটা বন্ধ করে দিই। আমার সিটের পাশের কাচ ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, একজন গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেন। ড্রাইভার ধাক্কা দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, বাঁশবেড়িয়ার উপ পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। একজন প্রার্থীর যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ভোটারদের কী অবস্থা!” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কী বললেন?

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ, তারা জানে মমতার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে এবারও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমি তাঁদের সরাতে গেলে লকেটের (Locket Chatterjee) নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ধাক্কা দেন। তাতে আমার আঘাত লাগে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর শান্তিপূর্ণ রাম নবমীর মিছিলে হামলা চালিয়ে ছিল বহিরাগতরা। বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পর পরই দুবারই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলে হামলা চালিয়ে অশান্ত করে তুলেছিল হাওড়া শহর। আর এসবের জন্য রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার হাওড়া শহরের জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল না হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে উদ্যোক্তারা। অনুমতি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল গত দুবছর? (Ram Navami)

    ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ এবং গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। শিবপুরের পিএম বস্তি এবং চওড়া বস্তি এলাকায় শোভাযাত্রা এগোনোর সময় পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি জি টি রোডের দু পাশে একাধিক দোকানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালানোর ঘটনা ঘটে। একাধিক বাইক এবং গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। গতবার সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজ্য পুলিশের তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ হাতে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে অন্য পদ্ধতি নিয়েছে হাওড়া পুলিশ।

    শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনে আপত্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। প্রতিবছরের মতো এবারেও শিবপুর কাজীপাড়ার কাছে নরসিংহ মন্দির থেকে জি টি রোড হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অঞ্জনি পুত্রসেনা এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠন। এ ব্যাপারে গত দুমাস ধরে তারা হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আগের রুটের তাদের লিখিত কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। শোভাযাত্রা জিটি রোড দিয়ে না গিয়ে ফরশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন দুশো জন অংশগ্রহণকারী ও চল্লিশ জন ভলান্টিয়ার ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না শোভাযাত্রায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেতে হবে। কিন্তু পুলিশের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    আরও পড়ুন: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

     বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়ার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, প্রতি বছর যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা, সেই রুট দিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami) অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি। আসলে মাত্র দুশো মিটার রাস্তায় ঝামেলা হয়। অথচ সেখানে শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ পুলিশ। উল্টে তাদের শোভাযাত্রায় শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেই পুলিশ ও সরকার এই নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁদের ফরশোর রোড দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যেতে বলছে। কিন্তু ওই রোড পুরোপুরি ফাঁকা। তাই তারা ওই রোড দিয়ে যাবেন না। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রশাসন এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যে কেউ হাইকোর্টে যেতে পারেন। তবে গত দুবছর গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে তার আশা বিচারপতিরাও গোটা ঘটনা বিবেচনা করে দেখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    NIA: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তলব করার পরও হাজিরা দেননি। এরপর সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিল এনআইএ (NIA)। বিস্ফোরণ মামলার ঘটনার তদন্তে গিয়ে তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন এনআইএ-এর আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। শনিবারই ধৃতদের এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হয়। এই দু’জনকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারক সেই নির্দেশ মঞ্জুর করেন।

    বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা, মোবাইল (NIA)

    ধৃত দুজনকে আদালতে তোলার পর এনআইএ-এর (NIA) পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়েই গ্রামে গিয়েছিল। শনিবার সকালের হামলার ঘটনায় বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা সরাসরি যুক্ত ছিল। একজন আধিকারিক জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়িও। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে চার জন গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে যখন দু’বার হাজিরা এড়িয়েছিল, তখনই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। মামলার তদন্তে ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল ও বেশ কিছু রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    এনআইএ-এর আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ডাকা হয়েছিল, আবার মাঝে ডাকল না। এখন নির্বাচনের আগে ডাকা হল। কেন? ভোট আসলে ডাকা হচ্ছে কেন?’ এই যুক্তিতে অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘নির্দিষ্ট ভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করা হচ্ছে।’ যদিও সেই যুক্তি উড়িয়ে দেন এনআইএ-র আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নীতি নিয়ে এনআইএ (NIA) চলে না। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছে এনআইএ-র কাছে। এখনও চার জন পলাতক, তাদেরও ধরতে হবে। কোনও যোগসূত্র না থাকলে গ্রেফতার হত না। যদি এদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  এনআইএ হামলা নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সরাসরি ফোন ভূপতিনগর থানায়

    NIA: এনআইএ হামলা নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সরাসরি ফোন ভূপতিনগর থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গিয়ে শনিবার ভোর-রাতে আক্রান্ত হয়েছেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয়েছে। দুজন আধিকারিক চোট পেয়েছেন। এনআইএ আধিকারিকরা তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন। এনআইএ (NIA) টিম চলে যাওয়ার পরও তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এনআইএ-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পরও শাসকদলের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও।

    কী পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র? (NIA)  

    এদিন ভোরে ভূপতিনগরে এনআইএ (NIA) টিমের উপর হামলার ঘটনায় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, অমিত শাহর মন্ত্রক থেকে ফোন করা হয়েছে ভূপতিনগর থানায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোন গ্রামের ঘটনা, ঠিক কী ঘটেছিল এবং এদিনের সার্বিক ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে ভূপতিনগর থানার থেকে। তদন্তকারীদের ঘিরে বিক্ষোভ, হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়েও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফোনে খোঁজখবর নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কান্ডে শনিবারই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই গ্রেফতারি করতে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনআইএ-এর তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ধৃত দুই তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা দুজনেই বোমার তৈরির ষড়যন্ত্র করছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, আতঙ্ক ছড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিন বিচারক ৫দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: এনআইএ-র উপর হামলা! মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

    এনআইএ বিরোধী স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের মুখে, উঠছে প্রশ্ন

    সন্দেশখালির কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় ফের এনআইএ-কে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অভিযোগ দায়ের করতে পেরেছে এনআইএ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শাসকদলের মদতে এই বাজি কারখানা চলতো। বিরোধীদেরও অভিযোগ, পুলিশ ও শাসকদলের মদতে শাসক দলের নেতারা এই কারখানা চালাতো। এদিন এনআইএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে গ্রামে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতা ফাল্গুনী নন্দের অভিযোগ, ভোটের সময় কেন এই ভাবে আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সরকারি হলে দলীয় প্রচার তৃণমূলের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    Siliguri: সরকারি হলে দলীয় প্রচার তৃণমূলের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি। শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের লেকচার থিয়েটার হলে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে দার্জিলিং আসনের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম লামার সঙ্গে সকলের পরিচয় করানো হয়। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন নেতারা বক্তব্য রাখেন। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব মূল বক্তা ছিলেন। মেডিক্যাল কলেজের মতো সরাকারি জায়গায় এধরনের অনুষ্ঠানকে নির্বাচন বিধি ভেঙে করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

     রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দলীয় প্রচারে নামার নির্দেশ গৌতমের (Siliguri)

    রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার পাশাপাশি বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা বলেন মেয়র। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাওয়াখালিতে অফিসপাড়া তৈরি করার মতো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন গৌতম দেব। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীরা। তাদের উদ্দেশ্যে গৌতম দেব বলেন, আপনারা এখান থেকে গিয়ে পাড়ায়-পাড়ায় ছোট ছোট বৈঠকের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জেতানোর আবেদনে প্রচার চালাবেন।

    আরও পড়ুন: মোদির সভা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, আশায় বুক বাঁধছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা

     কি বলছে বিজেপি?

    বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মালদাতেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে সভা করে তৃণমূল নির্বাচনী প্রচার করল। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী সহ তাদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এটা নির্বাচন বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়ে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে নালিশ জানাবো। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আমার প্রশ্ন, যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার, সেখানে কোন মুখে তাদের নিয়ে ভোট প্রচার করার পাশাপাশি তাদেরকে ভোটের কাজে নামারও আবেদন জানান? তৃণমূল দু’কান কাটা, তাই তাদের মধ্যে কোনও লজ্জা নেই।

    কী বলছে তৃণমূল?

    সরকারি জায়গায় দলীয় প্রচার করে চরম বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। তবে, দলীয় নেতারা কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। তবে,এদিন এই সভার শেষে গৌতম দেবকে সাংবাদিকরা নির্বাচন বিধিভঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Attacked: এনআইএ-র উপর হামলা! মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

    NIA Attacked: এনআইএ-র উপর হামলা! মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইয়ের (NIA Attacked) উপর হামলার ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নির্বাচন দফতর থেকে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি জেলার পুলিশ সুপারের রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ও  নবান্নর থেকেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ভূপতিনগরের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ সুপার (পূর্ব মেদিনীপুর), এসডিপিও ও ভূপতিনগরের ওসি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। ওই বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে বিস্ফোরণের তদন্ত করছে এনআইএ (NIA Attacked)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে শনিবার ভোরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে দু’জন অভিযুক্তকে আটক করে গাড়িতে তোলার পরই গ্রামবাসীদের একাংশ হামলা চালায়। গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ঘটনায় দুজন আধিকারিক জখম হয়েছেন। ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে সম্প্রতি আটজনকে এনআইএ-র কলকাতার দফতরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা হাজিরা না দেওয়ায় শনিবার ভোরে গ্রামে পৌঁছন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    কমিশনের রিপোর্ট তলব

    ভোটের মুখে রাজ্যে এনআইএর (NIA Attacked) উপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। শনিবারেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নির্বাচন দফতর ও জেলার পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ও  নবান্নর থেকেও। শান্তিপূর্ণ লোকসভা ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যেপ্রথম দফায় ভোট ১৯ এপ্রিল। তার আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের উপর হামলা মেনে নিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। তাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • CV Ananda Bose: “শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে গুন্ডামির”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে গুন্ডামির”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার ভূপতিনগর। ইডির পরে এবার এনআইএ। আবারও (CV Ananda Bose) তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত সরকারি সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে, দুটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তৃণমূল। সন্দেশখালিকাণ্ডে অবশ্য মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাকে ঝেড়ে ফেলতে বহিষ্কার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ভূপতিনগরে অবশ্য এখনও সেরকম কিছুই হয়নি। ভূপতিনগরের ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার তিনি বলেন, “এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়…বিষয়টিকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে।”

    এনআইএর ওপর হামলা (CV Ananda Bose)

    ঘটনার সূত্রপাত এদিন কাকভোরে। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা নামে দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করতে গিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামবাসীদের একাংশ এনআইএর আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এনআইএ অফিসারদের ওপর আক্রমণ একটি খুবই গুরুতর বিষয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা মোটেই কোনও কৃতিত্বের বিযয় নয়।” তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “বিষয়টিকে লোহার মতো শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে এর মোকাবিলা করতে হবে।” রাজ্যপালের সাফ কথা, “এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়। পেশি শক্তির আইনি ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করা উচিত নয়।”

    এনআইএর দাবি

    প্রাথমিক তদন্তের পর এনআইএর দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এই দুই তৃণমূল নেতাই মূল চক্রী। এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলাই ও মনোব্রত। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর, এদিন এলাকার পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়ে আটক করা হয় এই দুজনকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নাড়ুয়াবিল্লার বাসিন্দা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ৩ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। পরে এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ৪ জুন তদন্তভার নেয় (CV Ananda Bose) এনআইএ।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share