Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Narendra Modi: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    Narendra Modi: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) এগিয়ে আসতেই প্রার্থীর হয়ে ভোটের ময়দানে প্রচারে নামলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি (Rajnath Singh)। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জয়গান করে বিশ্বের দরবারে ভারত কোন উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেকথাই তুলে ধরলেন রাজনাথ সিং। সব মিলিয়ে তাই উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভোটপ্রচার বেশ জমজমাট।

    মোদি প্রসঙ্গে কী বলেছেন রাজনাথ (Narendra Modi)?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সভা থেকে মনোজ টিগ্গার (Manoj Tigga) হয়ে প্রচারের সময় রাজনাথ তুলে ধরেন, কীভাবে এক ফোনেই কাতারে কর্মরত ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসারদের ফাঁসির সাজা আটকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনাথ সিং এদিনের সভায় বলেন, “ভারতীয় নৌসেনার কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কাতারের কিছু সংস্থায় কাজ করতেন। সেখানে তাঁদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেই খবর প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছিলেন কাতারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। আর তার দু-তিন দিনের মধ্যেই সেখানকার প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রাক্তন নৌসেনার অফিসারদের ফাঁসির সাজা মুকুব করে দিয়েছিলেন এবং এরপর তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতে ফিরে আসেন।”

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ

    এর পাশাপাশি রাজনাথ সিং-এর বক্তব্যে উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কথাও। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েছিলেন সেখানে। সেই সময়েও কীভাবে আটকে পড়া পড়ুয়াদের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) উদ্ধার করেছিলেন, সে কথাও মনে করালেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরই চার ঘণ্টার জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় এবং সাড়ে ২২ হাজার ভারতীয় দেশে ফিরে আসেন। এই সাফল্য দেশের জন্য বড় বিষয়।”

    আরও পড়ুন: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    মোদির জয়গান

    উল্লেখ্য, সামনেই রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আগামী ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তাই তার আগে শেষ মুহূর্তের রবিবাসরীয় প্রচারে মোদির (Narendra Modi) জয়গান করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যদিও পাহাড়ের মাটিতে বিজেপির (BJP) গড় বেশ শক্তই রয়েছে। তার মধ্যেই জনসাধারণের মধ্যে বিজেপির হাওয়া সতেজ রাখতে উদ্যোগী রাজনাথ সিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    South 24 Parganas: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিজেপি কর্মী খুন। এবার খুনের ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীর হাড়ভাঙ্গি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্বপন ঘরামি। বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী উত্তর মোকামবেড়িয়া হাড়ভাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা স্বপন ঘরামি। তিনি বিজেপি-র সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। এবারও নির্বাচনে তিনি বুথে দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন করেছেন। স্বপনবাবুর একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুর দখল করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রথমে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিদেশ ঘরামির সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরই ওই তৃণমূল নেতা লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকার মানুষজন ও পরিবারের লোকজন স্বপনবাবুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুক্ষণ আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত এলাকা। স্বপনবাবুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এভাবে পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, এই খুনের রাজনীতি তৃণমূল করে না। পারিবারিক ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ ছড়িয়েছে বিজেপি। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, তৃণমূলের কালচার হচ্ছে খুনের রাজনীতি করা। বিজেপির নিরীহ কর্মী স্বপন ঘরামিকে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি কর্মীর সেই পুকুর ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে বিদেশ ঘরামি। বিফল হয়েছে। তৃণমূলের সন্ত্রাস গোটা বাসন্তী এলাকা জুড়ে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে মিঠুনের মেগা রোড শো, সমর্থকদের তীব্র উচ্ছ্বাস

    Jalpaiguri: বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে মিঠুনের মেগা রোড শো, সমর্থকদের তীব্র উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে দেখতে পাবার আশায় কেটে গেছে গোট বিকেল। তাঁকে মানে তিনি হলেন মহাগুরু বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে রোড শো করতে আজ আসেন তিনি। তাঁকে ঘিরে উত্তরবঙ্গে লোকসভার ভোটের প্রচার এখন তুঙ্গে। নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস।

    নব বর্ষের দিনেই প্রচারে মিঠুন (Jalpaiguri)

    রবিবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে জলপাইগুড়ির-ময়নাগুড়ি (Jalpaiguri) শহরে রোড শো করেন মহাগুরু। তাঁর রোড শো এবং এই প্রচারকে ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে গোটা ময়নাগুড়ি শহর। এতো মানুষের সমাগম দেখে আপ্লুত স্বয়ং মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন বিকেল ৫টায় ময়নাগুড়ি শহরে এসে পৌঁছান তিনি। ময়নাগুড়ি শহরের ১৪ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন সুভাষ নগর থেকে র‍্যালি শুরু হয়। এরপর র‍্যালিটি শুরু হয়ে ময়নাগুড়ি দুর্গাবাড়ী মোর হয়ে দেবীনগর এলাকা হয়ে ময়নাগুড়ি সিনেমাহল মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে তাঁর র‍্যালির গতি কিছুটা শ্লথ করতে হয় কারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় ছিল। হুড খোলা গাড়িতে তিনি এদিন রোডশো করেন। প্রচুর মানুষ সাথে একবার করে তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর আবদার করেন। যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের আবদার মেটাতে গাড়ি থেকেই হাত মেলান তিনি। তাঁর ছোঁয়া পেয়ে অনেকেই খুশি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার জয়ন্ত রায়। মিছিলটি গোটা শহর পরিক্রমা করে ৮ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন বিবেকানন্দপল্লীতে শেষ হয়।

    আরও পড়ুন: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    ৫০ হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন

    জলপাউগুড়িতে (Jalpaiguri) আজকের র‍্যালিতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সামিল হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁকে দেখতে ময়নাগুড়ি শহর একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তাঁকে দেখা এবং বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য প্রচুর মানুষ এদিন যোগদান করেছিলেন। শুধু শহর থেকেই নয় আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ এদিন এসেছেন। শ্রীদাম রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমার বাড়ি ময়নাগুড়ি শহর থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে পানবাড়িতে। সেখান থেকে আমি এসেছি দেখার জন্য।” আবার নিরুপমা ভৌমিক নামে ষাটোর্ধ এক মহিলা বলেন, “ছোট থেকে তাঁকে পর্দায় দেখেছি। তাঁর ছবি, অভিনয়, নাচ দেখে বড় হয়েছি। সামনে থেকে দেখতে পাবো কোনোদিন ভাবতেই পারিনি। তাই তাঁকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ ছিলাম। সেই জন্য কোনোরকমে নাওয়া-খাওয়া সেরে তাঁকে দেখতে বিকেল থেকে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেকে আবার শুধু তাঁর জন্যই এসেছেন সভায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভক্ত বলেন, “যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী রয়েছেন ভোট তিনি সেখানেই দেবেন। সব মিলিয়ে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে রোড-শো সুপারহিট ৷ এই উত্তাপের প্রতিফলন হবে আগামী ১৯শে এপ্রিল ভোট বাক্সে বলে মনে করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই রবিবার বাংলা নববর্ষের দিনেও চুটিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। জনসংযোগ বাড়াতে এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ করতে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে (Subhas Sarkar )। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    জুতো পালিশ করে প্রচার (Subhas Sarkar)

    রবিবার ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের (B.R Ambedkar) জন্মদিন উপলক্ষে বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রায় অংশ নেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। সেখানেই হুড খোলা গাড়িতে চড়ে নিজের জুতো পালিশ করলেন তিনি। মিছিলে প্রচার চালাতে চালাতে হঠাৎই তিনি নিজের হাতে তুলে নেন নিজের জুতো। গাড়িতে দাঁড়িয়েই ব্রাশ দিয়ে সেই জুতো পালিশ করতে শুরু করেন তিনি।

    সুভাষ সরকারের বক্তব্য (Subhas Sarkar )

    বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar ) বলেন, “নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে কোনও কাজই ছোটো নয়। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকর দলিত ও অত্যন্ত নিম্নবর্গ থেকে উঠে এসে সংবিধান প্রণয়নের মতো মহান কাজ করেছিলেন। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নাম করে তিনি বলেন, “অম্বেডকরের স্বপ্ন আজ পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের সেই ভাবনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আজ জুতো পালিশ করলাম।”

    তৃণমূলের কটাক্ষ

    জুতো পালিশের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটা কি জনগণের জুতো পালিশ হচ্ছে। সেটা তো হয়নি। জনগণকে তো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। এসব করে নাটক করছেন সুভাষবাবু (Subhas Sarkar )। এতে কি ভোট বাড়ে।”

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    নানা প্রচারের প্রার্থীরা

    যদিও এমন ঘটনা আশ্চর্যের নয়। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এর আগে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে কখনও চুল কাটতে দেখা গিয়েছে ,কখনও আবার দেখা গেছে চা, চপ, পাঁপড় ভেজে তা বিক্রি করতে। কোনও প্রার্থীকে আবার দেখা গেছে টোটো চালাতে, কাউকে আবার দেখা গেছে সবজি বিক্রি করতে। তাই এই কাজকে জনগনের হয়ে  অম্বেডকরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে করেন না সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar )।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মমতাকে বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করলেন সুকান্ত, হল যোগদানপর্ব

    Sukanta Majumdar: রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মমতাকে বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করলেন সুকান্ত, হল যোগদানপর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার নববর্ষের দিনে বালুরঘাটে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক থাবা বসাল বিজেপি। রবিবার সকালে মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় চুটিয়ে প্রচার শুরু করলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করলেন। বিশেষ করে রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (Sukanta Majumdar)

    রবিবার বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া চকভৃগু অঞ্চলে সেখানে প্রায় ১০০ জন টোটো চালক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে এই যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই যোগদানের ঘটনায় বিজেপি অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হল বলে রাজনৈতিক মহলের মত। যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। উন্নয়নের জন্য বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    রাজ্য দিবস নিয়ে মমতাকে তোপ

    ১ লা বৈশাখকে রাজ্য দিবস হিসাবে পালনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে  কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, এর কোনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই।  হঠাৎ করে চালু করে দিলেই হল নাকি। এতো মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো মনে হচ্ছে। আজকে পয়লা বৈশাখ, আজকে রাজ্যের কোনও পেক্ষাপট নেই। পার্টি অফিসে বসে মদ, মাংস খাওয়া হয়। এইটা রাজ্যের জন্মদিন। আমরা আজকের দিনে এইটাই বলবো জয় বঙ্গ, জয় শশাঙ্ক। জানা গিয়েছে, নববর্ষের সকালে বালুরঘাটের অধিষ্ঠাত্রি দেবী বুড়িকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। পুজোর শেষে তিনি মন্দিরে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে জনসংযোগও সেরে নেন তিনি। মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন,  মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, যাতে তৃণমূলের অপশাসন থেকে উদ্ধার করতে পারি রাজ্যকে এবং মায়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারি। নতুন করে যেন কোনও জায়গায় সন্দেশখালির মতো ঘটনা আর না ঘটে। একইসঙ্গে গোটা রাজ্যবাসী ও জেলার সাধারণ মানুষের মঙ্গল কামনা করলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: দরজা ভেঙে ঢুকতেই থ পুলিশ, ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত পর পর দেহ, বরানগরে একী কাণ্ড?

    Baranagar: দরজা ভেঙে ঢুকতেই থ পুলিশ, ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত পর পর দেহ, বরানগরে একী কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে বন্ধ বাড়ির আশপাশের এলাকা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। কিন্তু, কোথায় থেকে গন্ধ আসছিল তা এলাকার মানুষ বুঝতে পারছিলেন না। পরে, পুলিশ এসে বন্ধ বাড়ির দরজা খুলতেই থ হয়ে যান প্রতিবেশীরা। ঘরের ভিতর থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার নববর্ষের দিন সকালে বরানগরের (Baranagar) নীরঞ্জন সেন নগরে একই পরিবারের তিন জনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম শঙ্কর হালদার, বাপ্পা হালদার ও বর্ণ হালদার। শঙ্করবাবুর বয়স ৭০ বছর। তাঁর ছেলে মাঝ বয়সী। আর তাঁর নাতির বয়স ১৬ বছর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Baranagar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্করবাবু ছেলে ও নাতিকে নিয়ে বরানগরের (Baranagar) বাড়িতে থাকতেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে বেশ কয়েকবছর আগে বউমা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বাড়িতে তিনজন থাকতেন। রাস্তাঘাটে তাঁদের দেখা যেত। তবে, গত তিন-চারদিন ধরে আর বাড়ির কাউকে আমরা দেখতে পাননি। আর বাড়ির দরজা ভিতর থেকে লাগানো ছিল বলে কেউ কোনও সন্দেহ করেনি। এলাকায় পচা গন্ধ বের হতেই এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এরপরই পুলিশ এসে ঘরের ভিতর থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে,  তিন জনের মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থা মাটিতে রয়েছে। সবারই গলায়, ঘাড়ে এ পিঠে ধারাল অস্ত্রের কোপানোর আঘাত রয়েছে। সাড়া ঘরে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

     কমিশনারেটের এক আধিকারিক কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বাবা ও ছেলেকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে পরে কুপিয়ে খুন করে। শেষে বাপি হালদার আত্মঘাতী হন। তবে, অন্য কেউ খুন করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour), পড়ল বোমা, চলল গুলি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রবীন্দ্রনগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের গুলজার বাগ এলাকায় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির মাঝেই আচমকাই বোমা পড়তে শুরু করে এলাকায়। প্রায় ২৫টি বোমা পড়ে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চলে গুলিও। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, “শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে একটি শিশুও আহত হয়েছে। আরও এক ব্যক্তি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” এই ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গোলাব, মিনু আরও একজন ছিল। বোমা ফেলছিল তারা। এখন হুমকি দিচ্ছিল যে গোটা পাড়ার মানুষকে মেরে ফেলব তারা। আমার বাড়ির পাশেও বোমা ফেলে। একই ভাবে আমার ঘরে বৃদ্ধ মা রয়েছেন। গুন্ডারা বলছে উড়িয়ে দেব সব।”

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) একপক্ষের অভিযোগ, জমি দখলে বাধা দিলে অপরপক্ষের লোকজন ঝামেলা শুরু করে, তারপরেই শুরু হয় মারধর, আশান্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রবীন্দ্রনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে নামানো হয় র‍্যাফ। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    আগেও বোমাবাজি হয়েছে

    উল্লেখ্য এর আগেও গত ১৮ মার্চ ওই একই জায়গায় বোমা বাজির ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ফের একই ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। তবে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কেন বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) গড়ে এমন বোমাবাজি অশান্তির ঘটনা ঘটছে? নাকি ভোটের মুখে এসব বোমাবাজি, গোলাগুলির ঘটনা কি ইচ্ছে করেই ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল! সাধারণ মানুষের মনে এক প্রকার আতঙ্ক যে সৃষ্টি হয়েছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষ মনে করছেন। যদিও গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: পয়লা বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে হল আমরা জানি না, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: পয়লা বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে হল আমরা জানি না, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পয়লা বৈশাখ, পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হল আমরা জানি না। টিএমসি (TMC) চলে গেলে এই দিনটাও চলে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ কবে শুরু হয়েছে তৃণমূল জানে না। পশ্চিমবঙ্গকে মিটিয়ে দিয়ে বাংলা করার চেষ্টা করছে, আবার পশ্চিমবঙ্গ দিবসও করছে।” পয়লা বৈশাখের সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এবারে মমতার পশ্চিমবঙ্গ দিবসকেই একহাত নিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)।

    বাংলা দিবসের প্রস্তাব বিধানসভায়

    উল্লেখ্য, গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, “বাংলা দিবস নিয়ে বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও পহেলা বৈশাখ দিনটিই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে।” এবার রবিবার পয়লা বৈশাখের দিনে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রসঙ্গ তুলে আনেন দিলীপ ঘোষ। এদিন আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান তিনি। এরপর সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এদিন মাঠে নেমে আবার খোলা ব্যাটে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গে মমতা বা অভিষেকের (abhisekh banerjee) বক্তব্য।

    মমতাকে তোপ দিলীপের

    অভিষেক বলেছিলেন, “টিএমসি জিতলে ডিসেম্বরে আবাসের টাকা ঢুকবে।” আর এবার সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন, “দু’তিনবার তো জেতাল তৃণমূলকে মানুষ। টাকা কোথায় যাবে, সবাই জেনে গেছে। বিজেপি (BJP) জিতলে সবাই সব প্রকল্পের সুবিধা পাবে। টিএমসি জিতলে কয়েকটা পরিবার মাত্র পাবেন।” পাশাপাশি মমতা উত্তরবঙ্গে বলেছিলেন, “কেন ভোটদান বিজেপিকে?” এই প্রসঙ্গেও দিলীপ সপাটে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, বিজেপিকে ভোট দিয়ে বাড়ি পেয়েছেন, শৌচালয় পেয়েছেন, ফ্রিতে রেশন-ভ্যাকসিনও পেয়েছেন। মমতাকে ভোট দিয়ে কী পেয়েছেন? রাস্তাও পাননি ঠিকমতো। রাস্তা করেছেন? মাঠ ফাঁকা করে দিয়ে লুঠ করেছে সর্বত্র। পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য লুঠ করেছে তৃণমূল। আর ওদের মত কাটমানিখোরেরা আজ টিএমসির নেতা এখানে। কটা রাস্তা হাটার মতো আছে? সারা রাত পার্টি করে, নেতারা সকালবেলায় ঘুমায়। ওরা কী করে জানবে? রাস্তায় তো নামুক একবার।”

    আর কী বললেন?

    উল্লেখ্য এই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ে থাকুন। বসে থাকুন, শুয়ে থাকুন। উত্তরবঙ্গের আর জঙ্গলমহলের মানুষ তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। তৃণমূলের জেতার চান্স ও কোনও সুযোগ নেই। এখন মানুষের মন গলাবার চেষ্টা করছেন। উনি গোয়াও গেয়েছিলেন। আসামেও গেয়েছিলেন। কী হলো? ওখানকার লোক দেখিয়ে দিয়েছে টিএমসির কী ওজন আছে। মানুষ টিএমসিকে ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। আর পিছন দিকে তাকাবে না।

    আরও পড়ুন: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    কীর্তি আজাদকে কী বললেন?

    অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ (kirti azad) সম্প্রতি বলেছিলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে লোক না, কতগুলো কুকুর হাঁটে।” এবার কীর্তি আজাদের সেই মন্তব্য তুলে দিলীপ বলেছেন, “একদিন আমার সঙ্গে হাঁটুন না তিনি। লোক আছে কী না বুঝে যাবেন। আমার লোকেরা তো আমায় তাড়া করে না। আমাকে পালাতেও হয় না নিজেরই লোকের চাপে। তিনি নাচানাচি করে বাঁদর খেলার মতো লোক জড়ো করার চেষ্টা করছেন। আবার ঘোড়ায়ও চাপছেন। একই সঙ্গে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটছেন। এটা কী ধরণের গণতন্ত্র? তিনি দাড়িয়েছেন না তাঁর স্ত্রী দাড়িয়েছেন? এটাই বড় প্রশ্ন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bjp Manifesto: দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, প্রতিশ্রুতি বিজেপির ইস্তাহারে

    Bjp Manifesto: দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, প্রতিশ্রুতি বিজেপির ইস্তাহারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গরিব, যুব সমাজ, কৃষক ও মহিলাদের লক্ষ্যেই মূলত ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইস্তাহারে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিজেপির ইস্তাহারের নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’। রবিবার ইস্তাহার (Bjp Manifesto) প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবার দেখা যাক, ইস্তাহারে কী কী রয়েছে।

    দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ (Bjp Manifesto)

    দুদিন আগেই বাংলা সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ইস্তাহারেও সেই কথা উল্লেখ রয়েছে। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। দেশের স্বার্থে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সরকার। গরিবদের যারা লুট করেছে, তারা জেলে যাচ্ছে। এছাড়া ইস্তাহারে উল্লেখ রয়েছে, আমরা কোটি কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। এবার আমরা কোটি কোটি পরিবারের বিদ্যুতের বিল শূন্য করে দেওয়া এবং বিদ্যুৎ থেকে উপার্জনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ১ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই নাম রেজিস্টার করেছেন। আমরা সস্তায় বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিয়েছি। এবার আমরা সস্তায় পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। দেশে গ্রিন জব তৈরি করা হবে। দেশে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিক্রি বাড়ানো হবে। মহাকাশ ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে। সামাজিক, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। উড়ান ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। ড্রিম সেন্টার তৈরি করা হবে।

     বুলেট ট্রেন চালু

    ইস্তাহারে বলা হয়েছে, আরও বন্দে ভারত ট্রেন চালু হবে। তিনটি মডেল চলবে-বন্দে ভারত স্লিপার, বন্দে ভারত চেয়ারকার ও বন্দে ভারত মেট্রো। বুলেট ট্রেন চালু হবে দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে। দেশের সব থেকে পুরনো ভাষা তামিল। তামিল ভাষার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠার জন্য বিজেপি প্রচার করবে। জনজাতীয় গৌরব দিবস পালন করা হবে। ২০২৫ সালে বীরসা মুন্ডার ১৫০ তম জন্মজয়ন্তী। এটা রাষ্ট্রীয় স্তরে পালিত হবে। ডিজিটাল জনজাতি কলা অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে। ৭০০-রও বেশি একলব্য স্কুলের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ন্যাচরাল ফার্মিংয়ে জোর দেওয়া হবে। ভারতকে ফুড প্রসেসিং হাব বানানো হবে। ভারতকে গ্লোবাল নিউট্রিশন হাব বানানোর জন্য শ্রীঅন্নের উপরে জোর দেওয়া হবে। ২ কোটিরও বেশি কৃষক উপকৃত হবেন। ফিশারি ও স্টোরেজের উন্নয়ন করা হবে। পিএম কিষান সম্মাননিধিতে ১০ কোটি কৃষক উপকৃত। এই প্রকল্প চালু থাকবে। দেশে ডেয়ারি বাড়ানো হবে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    ৩ কোটি বোনকে লাখপতি দিদি

    মহিলা খেলোয়াড়দের জন্য ইস্তাহারে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রোগ্রাম ও ব্যবস্থা করা হবে। মহিলাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সার্ভাইক্যাল ক্যানসার নিয়ে প্রচার চালানো হবে। আগামী ৫ বছর নারীশক্তির ভিত্তি হবে। ১০ কোটি বোনকে আমরা আইটি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রিটেলের কাজ করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দেব। ৩ কোটি বোনকে লাখপতি দিদি বানানোর গ্যারান্টি দিচ্ছে মোদি। গ্রামের মেয়েরা ড্রোন পাইলট দিদির পরিচিতি দেওয়া হবে। সরকার ড্রোন দেবে।

    আগামী ৫ বছরও বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা

    ট্রান্সজেন্ডারদেরও স্বীকৃতি দিয়েছে বিজেপি সরকার। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, রূপান্তরিতদেরও আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্গত করা হবে। ঠেলাগাড়ি চালান যারা, তাদেরও ব্যাঙ্ক আজ ঋণ দিচ্ছে। বিজেপি স্বনিধি যোজনাকে আরও বাড়াবে। ৫০ হাজার টাকা অবধি ঋণের সীমা বাড়ানো হবে। যোজনা গ্রামেও পৌঁছে দেওয়া হবে। উদ্যোগপতিদের সাহায্য করেছে মুদ্রা যোজনা। এই সফলতাকে মাথায় রেখে বিজেপি মুদ্রা যোজনার অধীনে উদ্যোগপতিদের সাহায্য করা হবে। যুবশক্তিকে নিজের পছন্দের কাজ করার জন্য আর্থিক সাহায্য করা হবে। বিজেপি সরকার ৪ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। আমরা আরও ৩ কোটি পাকা বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। মোদির গ্যারান্টি হল, জনঔষধি সেন্টারে ৮০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে ওষুধের দামে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা অবধি বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু থাকবে। ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল বয়স্ক ব্যক্তিকে আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে আনা হবে। গরিব, মধ্যবিত্ত- সকলেই ৫ লক্ষ টাকা অবধি বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। সংকল্প পত্রে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, আগামী ৫ বছরও বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা জারি থাকবে।কংগ্রেস দেশের জন্য চিন্তিত ছিল না, রামলালার কথা ভাবেনি। ওরা শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছে এবং বাধা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ঘরে ফিরেছেন রামলালা। তৈরি হয়েছে রাম মন্দির।

    ১০ বছরে সব প্রতিশ্রুতি রেখেছে বিজেপি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ বাবাসাহবে আম্বেদকরের জন্মদিন। এই শুভদিনে বিজেপি ইস্তাহার  (Bjp Manifesto) প্রকাশ করল। দেশ জুড়ে লাখো মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি অসীম আস্থা প্রকাশ করেছেন। এর জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। পুরো দেশ অপেক্ষা করছিল বিজেপির ইস্তাহারের। এর কারণ হল বিগত ১০ বছরে বিজেপি প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।

    ইস্তাহার কমিটিতে কারা রয়েছেন?

    বিজেপির এই ইস্তাহার (Bjp Manifesto) কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন। কমিটির আহ্বায়ক নির্মলা সীতারামন। সহ-আহ্বায়ক পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ভূপেন্দ্র যাদবের। ইস্তাহার কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজনাথ। ইতিমধ্যেই এই কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’বার। ইস্তাহার তৈরিতে বিজেপি দেড় মিলিয়নেরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে। সমৃদ্ধশালী ভারত, মহিলা, যুব, গরিব এবং কৃষকের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা উল্লেখ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev-Hiran: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    Dev-Hiran: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি লোকসভা ভোটের (lok sabha vote), আর এরই মধ্যে আবারও হিরণের নিশানায় তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev-Hiran)। ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে এর আগে একাধিকবার দেবকে নিশানা করেছেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি ফের প্রচারে নেমে ঘাটালের তৃণমূল তারকা প্রার্থী দেবকে নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। “গরু পাচারের টাকা খেয়েছেন দেবও। ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!” ভোটপ্রচারে (election campaign) বেরিয়ে কার্যত এমনই আক্রমণ করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ।

    কী বলেছিলেন হিরণ (Dev-Hiran)?

    বৃহস্পতিবার, লোকসভা ভোটের প্রচারে সবং ব্লকের ৭ নম্বর নারায়ণবাড় অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Dev-Hiran)। সেখানে ভোটপ্রচারের সময় তিনি বলেন, ‘‘দেব, ভোট শেষ হলেই কলকাতায় পালিয়ে যান। এবারে ভোটের পরে কেউ পালাতে দেবে না। ভোটের পরে আপনাকে সবাই জবাব দেবে। ভোটের আগে আপনাকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করছে না। কারণ আমরা চাই, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। ভোটের আগে কেউ কাউকে অ্যারেস্ট করবে না। কিন্তু ভোটের পরে আপনাকে তিহাড়ে জেলে (tihar jail) যেতে হবে। কারণ, গরু চুরির টাকা নিয়েছেন আপনিও।’’

    আরও পড়ুন: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    দেবের পাল্টা জবাব

    হিরণের (Dev-Hiran) আক্রমণে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী (TMC candidate) যে চাপে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শনিবার বিকেলে তিনি সবং ব্লকের তেমাথানি বাজার, চাঁদকুড়ি বাজার, বড়সাহারা কালীমন্দির, খড়িকা বাসস্ট্যান্ড, দশগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, দেহাটি বাসস্ট্যান্ড-সহ বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে দেব বলেন, ‘‘হিরণ কে? তিনি বিজেপি প্রার্থী। ভগবান তো নন। আমার কাছে মানুষই ভগবান। মানুষ ভোটটা দিয়ে তাঁকেই বুঝিয়ে দেবেন, তিনি কত ভোটে হারবেন। ভগবান হচ্ছে মানুষ, হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee) নন।’’ যদিও দেবকে (Dev) হারিয়ে ঘাটাল জয় করতে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এখন পালা শুধু অপেক্ষার। সমস্ত জল্পনার অবসান হবে ৪ জুনেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share