Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার শিরোনামে শেখ শাহজাহান (sheikh shahjahan)। এবার খোদ ইডির (ED) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সোজা আদালতে চিঠি দিলেন সন্দেশখালির (sandeshkhali) এই ত্রাস। ইডির হেফাজতে ‘জোর করে’ বয়ান লেখানো হয়েছে তাঁকে, এই মর্মেই অভিযোগ তুলে আদালতে আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী। তবে এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবীরা আদালতে দাবি করে বলেন, “এই চিঠি শাহজাহানের লেখা নয়, তাঁর আর্জির চিঠিকে কোনও ভাবেই যেন আদালতের রেকর্ডে না রাখা হয়। এই চিঠি গৃহীত হলে এতদিন শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছেন, তার আর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।”

    উল্লেখ্য সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ একই ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য শেখ শাহজাহান কি একই রাস্তা অবলম্বন করছেন? কার্যত নয়া ফন্দি!

    ঠিক কী হয়েছিল (Sheikh Shahjahan)?

    প্রসঙ্গত, শনিবারই শেষ হয় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে (bankshall court) তোলা হলে প্রশ্ন-উত্তর চলাকালীনই তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে আনেন শাহজাহানের লেখা ওই চিঠির প্রসঙ্গ। আদালত কক্ষেই পড়ে শোনানো হয় সেই চিঠি। চিঠির বয়ান শুনেই কার্যত শোরগোল পড়ে যায় আদালত কক্ষে।

    শাহজাহানের লেখা চিঠিতে কী ছিল?

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লেখা চিঠিতে যা ছিল তা হল, “গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন আমাকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। একই ভাবে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পছন্দের বয়ান না দিলে আমি, আমার ভাই এবং আত্মীয়দের মাদক মামলায়, জড়িয়ে দেওয়া হবে।”

    পরবর্তী শুনানি ১৫ এপ্রিল

    এরপরেই চিঠির বয়ান নিয়ে ইডির আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন আদালতে। ওই চিঠি আদৌ শাহজাহানের (sheikh shahjahan) লেখা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই চিঠি কি আবেদন পত্র? তা নিয়েও সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। একই ভাবে শাহজাহানের এই চিঠির আবেদন পদ্ধতি এবং বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফ থেকে জানানো হয় চিঠি গ্রহণ করা হলেও ইডির স্পেশাল কোর্টে আগামী ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

    কুন্তল ঘোষও চিঠি দিয়েছিলেন

    উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যও একই ভাবে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। রাজনীতির একাংশের মানুষ অবশ্য মনে করছেন, ধৃত তৃণমূল নেতা তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বাঁচার কৌশল করছেন। এখন শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে এগিয়ে যায় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর। আজ পর্যন্ত যত জঙ্গি সব এখানেই ধরা পড়েছে।” জঙ্গি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তোপ দাগলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জঙ্গিরা দু’মাস ধরে ঘুরছিল। তখন কী করছিলেন। এটা কি মামার বাড়ি পেয়েছে। জঙ্গিরা ঘুরে বেড়াবে আর আপনি তাদের খাওয়াবেন, পুষবেন, সুরক্ষা দেবেন।”

     সব জঙ্গি বাংলাতেই ধরা পড়ছে! (Dilip Ghosh)

    বিজেপি প্রার্থী (Dilip Ghosh) বলেন, যত জঙ্গি সব বাংলাতেই ধরা পড়ছে। কারণটা হল কোনও ভয় নেই। এছাড়া এখান থেকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড করে তারা বাংলাদেশ থেকে আসছে। এখানে এসে ট্রেনিং নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাচ্ছে। একসময় বাংলাদেশ সরকারও বলেছে যে পশ্চিমবঙ্গতে ট্রেনিং নিয়ে হুজি জঙ্গি সংগঠন ওখানে গিয়ে ঝামেলা করেছে। এখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওখানে টাকা পয়সা পাঠানো হয়েছে। বারবার এই চোর সরকারের জন্য বাঙালিকে বদনাম হতে হচ্ছে। যে রাষ্ট্রবাদী বাঙালি, বিপ্লবী বাঙালি সে এখন রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গি বাঙালি, চোর বাঙালি হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরে জঙ্গি ধরা পড়েছে। শাহজাহানের মতো লোক ধরা পড়ছে। গোটা রাজ্যে গুণ্ডা, জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে। ওরা মারপিট করে, ভয় দেখিয়ে ভোট করাবে। গত বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনে কোনও রাজ্যে বোম ফেটেছে, মানুষ খুন হয়েছে। কোথাও কিছু হয়নি, যা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই মানুষ ভোট এলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোট দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা। তাই সেন্ট্রাল ফোর্স পাঠিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    এনআইএ তদন্ত নিয়ে তৃণমূলকে তোপ

    ভূপতিনগর বিস্ফোরণ সহ একাধিক ঘটনায় এনআইএ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এনআইএ তদন্ত প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “সব সামনে আসবে। সবে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে ইঁদুর, পোকা মাকড় সব বেরচ্ছে। ভোটের পর সব বেরিয়ে আসবে বলে।” একইসঙ্গে মোদিজিকে আবার একবার ভোট দিয়ে জয়ী করার তিনি আবেদন জানান। তিনি বলেন, “মোদিজি যেমন বড় কথা বলেন, তেমনই বড় কাজও করেন। কাশ্মীরে ব্রিজ, রামমন্দির হচ্ছে। তিনি দেশকে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। চন্দ্রযান যাচ্ছে। কৃষকদের টাকা দিচ্ছেন। এইমস হচ্ছে। তাই নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়ে বড় মার্জিনে জয়ী করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। সাফ জানানো হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) রিপোর্টে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এক ডজন সুপারিশও করেছে কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

    এক ডজন সুপারিশ কমিশনের (Sandeshkhali Incident)

    সন্দেশখালিকাণ্ডে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ১২ দফা সুপারিশ করেছেন কমিশনের দলের সদস্যরা। এই সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে, আইনের শাসন সম্পর্কে সন্দেশখালিবাসীর (Sandeshkhali Incident) আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাঁরা যৌন অপরাধের শিকার, তাঁদের কাউন্সেলিং করানো, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনী যে জমি দখল করেছে, সেই জমিও প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সন্দেশখালি এলাকা থেকে গত কয়েক বছরে যেসব মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, তাদের উদ্ধারে তদন্ত চালানোর কথাও বলা হয়েছে সুপারিশে। এই এক ডজন সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করছে, দু’মাসের মধ্যে তা জানাতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    কেলেঙ্কারিতে যুক্ত শাহজাহানের ভাইও!

    এদিকে, সরকারি অর্থ তছরুপ এবং মহিলাদের যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির ও সঙ্গী শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident)। সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এমনই অভিযোগ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সেই বয়ানের ভিত্তিতেই ইডির বিশেষ আদালতে এমনতর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার আলমগির, শিবপ্রসাদ এবং জনৈক দিদার মোল্লাকে আদালতে হাজির করানো হয়। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে ইডির তরফে বলা হয়, জমি দখলের টাকা পাচার করতে শাহজাহানের সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে আলমগির, শিবু এবং দিদারের অ্যাকাউন্টে। তারা সেই টাকা কীভাবে রোজগার করেছে, তা জানতে সন্দেশখালির বেশ কিছু বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই কলঙ্ক মুছতে তড়িঘড়ি তাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির কর্তারা। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সন্দেশখালি থেকে বের হচ্ছে একের পর কেলেঙ্কারির কেউটে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায়”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায়”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দিনরাত এক করে চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। শনিবার জেলার গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার করেন তিনি। প্রচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঁচ বছরে কী কী কাজ করেছেন তা তিনি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেন।

    তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায় (Sukanta Majumdar)

    বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ করে বাংলায় একমাস লুকিয়ে ছিল আইএস দুই জঙ্গি। কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত অবাধ বিচরণ জঙ্গিদের। পুলিশি ব্যর্থতা ঢাকতে মরিয়া পুলিশমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, যে দুজন ধরা পড়েছে। তারা যে কর্মকান্ড করেছে বিগত এক মাসে, তাতে তো লোকাল সাহায্য ছাড়া এইসব করতে পারে না। লোকালে তো স্লিপারসেল নিশ্চয় আছে। যারা সামনে আসে না, যারা তথ্য দেয়, পুলিশ এলো কিনা,পুলিশ জানতে পারলো কি না, পুলিশ কে বোকা বানিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পারলো কিনা এই সব চেষ্টা করে তারা। এর আগেও তো আমরা দেখলাম মুজিবর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে একজন কলকাতায় ২৬  বছর এসে থেকে গিয়েছে।ধ রতেই পারেনি কলকাতা পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এখন একটাই কাজ, কোথায় থেকে বিজেপি নেতাদের কেস দেওয়া যাবে তার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আমি এতটুকুই বলতে চাই, তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায়।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    রেশন দুর্নীতির মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    রেশন দুর্নীতি মামলায় আরও ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেক ও বোলপুরের বাড়ি বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন,বিদেশের টাকা ফিরবে কিনা সেতো সময় বলবে। এইটুকু বলতে পারি অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। পেপার টাকা পিঁপড়ে খায়। বাকিবুল সারাজীবন কষ্ট করে যা টাকা আয় করেছিলেন, তাতে তিনি সিরাজউদৌল্লা হয়ে গিয়েছিলেন, সেখানে থেকে যেন ফকিরউদৌল্লা না হয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ব্লক সভাপতির নেতৃত্বের হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বদুয়া এলাকায় গ্রাম্য বিবাদের জেরে অশান্তি বাধে। বিষয়টি জানার পরই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এলাকায় আসেন। পরে, বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার তৃণমূল নেতা কামাল হোসনের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা হয়। কামাল হোসেন বলেন, গ্রামের গন্ডগোলে পরিবারের কেউ জড়িত নয়। তারপরও ওরা আমাদের ওপর হামলা চালাল। বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। শনিবার সকালে আমার এক আত্মীয় বাজারে গেলে প্রকাশ্যে তাঁকে মারধর করা হয়। ও গুরুতর জখম হয়েছে। প্রথমে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসলে ব্লক সভাপতি আমাদের তৃণমূল দলটা করতে দেবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করে এসব করা হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। জেলা সভাপতিকেও বলেছি। এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এতে এলাকায় দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর চক্রের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ বলেন, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে অন্য কোনও কারণ নেই। আর ও তৃণমূলের কোনও পদে নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে কে রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানে। অকারণে আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই। আর দলে কোনও কোন্দল নেই। সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুরে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandopadhyay) । আর অভিষেক এলাকা ছাড়তেই সন্ধ্যা বেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ির (Dhupguri) অন্তর্গত মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশচালা গ্রামে তৃণমূলের (TMC) শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। যারা যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বুথ সভাপতিও রয়েছেন। 

    অভিষেক চলে যেতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (BJP)

    লোকসভা ভোটের মুখে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিজেপি (bjp)। কারণ, শাসকদলের ঘরে সিঁধ কেটে তারা নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ধুপগুড়ির দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা শেষ করে এলাকা ছাড়তেই তৃণমূলের কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখালেন। শুক্রবার রাতে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে তারা পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে নেন। বিজেপির ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিদায়ী সংসদ তথা এবারেরও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়। তাঁর হাত ধরেই কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জানান, “তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতাদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামী প্রায় দেড়শো পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আগামী শুক্রবার। একেবারে প্রথম দফাতেই ভোট জলপাইগুড়িতে। হাতে বাকি আর এক সপ্তাহেরও কম। ঠিক সেই সময়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার। তবে এই যোগদানের প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের গরিবের টাকাও খেল শাসক দল! তৃণমূল নেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের গরিবের টাকাও খেল শাসক দল! তৃণমূল নেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাধিক গরিব মানুষের ১০০ দিনের টাকা মেরে খাওয়ার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ অভিযোগ উঠল। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের এই ক্ষোভ সামনে চলে আসায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভার কুলপি ব্লকে চরম বিপাকে শাসক দল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    লোকসভার ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন সব দল। মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে হাতিয়ার করে অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই অবস্থায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভার কুলপি ব্লকের করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে ১০০ দিনের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করল করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। খাল কাটা থেকে শুরু করে শ্মশানের ঘাস কাটার কাজ করেছিলেন এলাকার মহিলা ও পুরুষেরা। প্রাক্তন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা অঞ্চল সভাপতি স্বপন  মাঝির নেতৃত্বে কাজ করেছিলেন এই এলাকার গরিব মানুষেরা। সেই টাকা তুলে খাওয়ার অভিযোগ উঠল করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “আমরা কাজ করার পরও টাকা পেলাম না। অথচ যারা কাজ করেনি, তাদের কাছে সেই টাকা চলে গেল। খাতায় কলমে দেখানো হল, টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।”এরপরই তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলা থেকে সাধারণ মানুষ সকলে।

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি বলেন, আসলে টাকা সকলে পাননি, এটা ঠিক। সেই কারণে এলাকার মানুষ এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সামনে বৈঠক বসে সমাধান করব। বিজেপি নেতা অরুনাভ দাস বলেন, দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল বাঁচতে পারে না। গরিবের টাকও মেরে খাচ্ছে। মানুষ এবার নিজের দাবি আদায়ে পথে নেমেছেন। তৃণমূল যত দিন থাকবে, মানুষ ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। সামনের নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ!  কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast) জড়িত ২ আইএস জঙ্গি ২৮ দিন ধরে আস্তানা গেড়েছিল এ রাজ্যেই। এমনটাই জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য থেকে জঙ্গিদের খোঁজ মেলায় তৃণমূল সরকারকে  তুলোধনা করেছে বিজেপি। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো জঙ্গিরা নাকি দুই দিন, বাংলার অতিথি য়ে এসেছিলেন। প্রশ্ন একটাই অতিথি-ই বটে! বাংলা এখন জঙ্গিদের ঘোরার জায়গা। তাদের মুক্তাঞ্চল। এই প্রথম নয়। এর আগেও, একাধিকবার বাংলা থেকে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলা যেন জঙ্গিদের সেফ-আস্তানা হয়ে উঠেছে বাংলা।

    জঙ্গিদের সেফ হেভেন

    বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের (Bengaluru Cafe Blast)  মূল ২ অভিযুক্ত আস্তানা গেড়েছিল কলকাতাতেই। ২ জনকে দিঘা থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মূল চক্রীদের বাংলা থেকে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর তার কারণ সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাংলায় ২৮ দিন ধরে ছিল! এই শহরের বুকে একের পর একে হোটেলে আত্মগোপন করে ছিল! নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আস্তানা বদলেছে তারা। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গিরা সোজা পাড়ি দিয়েছে বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের উইক এন্ড ডেস্টিনেশন দিঘা। ভোটের আগে এই জঙ্গিরা ধরা পড়ায় ফের প্রশ্ন উঠেছে, বাংলা কি সন্ত্রাসবাসীদের ‘সেফ হেভেন’? জঙ্গিদের ‘স্লিপার সেল’গুলির আস্তানা? কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    কবে, কোথায় কারা ধরা পড়েছে 

    কখনও লস্কর-ই-তৈবা তো কখনও আইএস। বাংলায় কেন সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপ? এরাজ্যকে কি নিরাপদ মনে করছে তারা? অতীতেও, বাংলা থেকে ধরা পড়েছে একাধিক জঙ্গি। ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় নাশকাত হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর সদস্য ধৃত ফৈয়াজ স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিল। লালবাজারের কাছেই বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি ঠিকানায় পাসপোর্টও বানিয়েছিল সে। পুণের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ইয়াসিন ভটকল শুধু লুকিয়েই থাকেনি, কলকাতা থেকে বিস্ফোরকও নিয়ে গিয়েছিল। লস্কর-ই-তৈবার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আবদুল করিম টুন্ডাকে এ রাজ্য থেকেই ২০১৩-তে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ (জেএমবি)-র সদস্য কওসর ওরফে বোমা মিজান, হাবিবুর এবং জেএমবির চিফ সালাউদ্দিন সালে এ রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকে সংগঠন তৈরির পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরিও করছিল। ২০২১ সালে কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি নেতা ধরা পড়ে। আল কায়দার উপমহাদেশীয় শীর্ষ নেতা আবু তালহা বহু দিন কোচবিহারে লুকিয়ে ছিল। সেখানে ভোটার কার্ড-সহ অন্য পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছিল সে। ২০১৭-য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদেরও এ রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে আশ্রয় নেওয়া মুফাক্কির নামে এক বাংলাদেশি জঙ্গিকে ২০২৩-এ গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০২১ সালে নিউটাউনে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত জসসি।

    শুভেন্দুর দাবি

    পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল, এটা আগেও প্রমাণিত। পঞ্জাব পুলিশ চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার করেছে। মুজিবর রহমান খুনের দু’জন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত খুনির একজন হাওড়ায় হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হিসেবে ছিল। পরে পার্ক সার্কাস থেকে মাজেদকেও ধরা হয়। পার্ক সার্কাস মানে শহরের প্রাণকেন্দ্র। মমতা নিজে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দিল্লিতে জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যে ঘটনা ঘটেছিল, তার মূল অভিযুক্ত ফিরোজ৷ যে আমাকে হলদিয়ায় পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত, তার বাড়ি তমলুকের একটি গ্রামে। লাল্টু শেখ, আবদুল মান্নান ফেক আই কার্ড তৈরি করত। তারা গত বছর সোনারপুর থেকে গ্রেফতার হয়।”

    দিলীপের অভিমত

    বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, “জঙ্গিরা এখানে গা-ঢাকা মোটেই দেয়নি, ওরা জানে এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না। শেখ শাহজাহান তো দু’মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ কি জানত না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানতেন শাহজাহান কোথায় আছে। কেন ধরেননি? ওরাই এই ধরনের লোককে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর। আজ পর্যন্ত যত জঙ্গি সব এখানেই ধরা পড়েছে। কারণটা হল কোন ভয় নেই। এছাড়া এখান থেকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড করে তারা বাংলাদেশ থেকে আসছে। এখানে এসে ট্রেনিং নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    দিলীপের সংযোজন, “হুজি থেকে শুরু করে করে আল-কায়দা, আইএস জঙ্গিরা, ভিনরাজ্যের গ্যাংস্টাররা এখানে ধরা পড়েছে। মাসের পর মাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যখন উপর থেকে ডান্ডা দিয়েছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের ধরে ফেললেন। অথচ তারা দু’মাস ধরে ঘুরছিল। তখন কী করছিলেন। এটা কি মামার বাড়ি পেয়েছে। জঙ্গিরা ঘুরে বেড়াবে আর আপনি তাদের খাওয়াবেন, পুষবেন, সুরক্ষা দেবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে খাতা খুলতে জেলায় জেলায় জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে সেই ছোট মাঠ ভরাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু, মাঠ ভরা দেখেও স্বস্তিতে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঠ ভরলেই ভোট জয় নিশ্চিত তা মনে করছেন না তিনি। তাঁর সভায় যারা আসছেন, সবাই যে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না তা মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন। শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া জাবরকভিটা জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে জলপাইগুড়ি আসনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রকাশ্য সভায় নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

     ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Mamata Banerjee)

    এদিন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় একটি ছোট মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে আমি এখানে গৌতম দেবের হয়ে জনসভা করতে এসেছিলাম। বড় মাঠ ভরে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম গৌতম জিতবে। কিন্তু, পরে দেখলাম বড় ব্যবধানে ভোটে গৌতম হেরেছে।” মাঠ ভরলেই যে তৃণমূলে জয় নিশ্চিত নয়, নিজের এই আশঙ্কা এভাবেই এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রশ্নের সুরে বলেন, “বিজেপি কী দিয়েছে? সবই তো আমি দিয়েছি। কেন আপনারা বিজেপিকে ভোট দেন?”

    আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা শুনতে আর লোক পছন্দ করছে না। কেননা সকলেই জেনে গিয়েছেন উনি মিথ্যা কথা বলেন। মিথ্যাবাদী ও চোরদের কথা আর মানুষ শুনতে চাইছেন না। সে কারণেই তাঁর জনসভায় সাধারণ মানুষ হয় না। লোক দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। আইসিডএস কর্মী, আশা কর্মী এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে সেই ছোট মাঠ ভরিয়ে দেখানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার। সেটা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। আর সে কারণেই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন মাঠ ভরলেই তৃণমূল জিতবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ জানিয়ে দল ছাড়লেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা। নাম ভাস্কর মিত্র। তিনি আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) জেলা সম্পাদক ছিলেন। তিনি শুক্রবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় ওই নেতা অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, দলের বেশ কয়েকটি শাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আইএনটিটিউসিকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক সেই কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের কোনও কার্যক্রম হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য দলগুলি শ্রমিক সংগঠনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাঁর নিজের বলে এই সংগঠন নাম কা ওয়াস্তে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাস্কর বাবুর। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানতে নারাজ ওই নেতা। তিনি আরও লিখেছেন, “শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। বছরে একটা মিছিল করা ছাড়া দলের তরফে আর কোন বার্তা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয় না। এরকম সংগঠনের সঙ্গী হয়ে কোন লাভ নেই।” যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন দলকে ভালবাসলে কোন পদের (Basirhat) প্রয়োজন হয় না।

    দলে গুরুত্ব নেই 

    দল ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, “বিজেপির প্রোগ্রামে টোটো, অটো, বাস ইউনিয়নের কর্মীরা ফ্ল্যাগ বেঁধে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই শ্রমিক সংগঠনের পদে থাকার কোন মানে দাঁড়ায় না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে শ্রমিকদের কোনও সমন্বয় সাধন নেই। তাই আমি পদ ছেড়েছি।” বিজেপির দাবি, প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। যদিও তৃণমূল টোটো, অটো ও বাস সংগঠন সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে রাখে। তবে এটা ঠিক যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে (Basirhat) কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না শুধু টাকা তোলার সময় নেতারা আছেন। শ্রমিকদের কথা ভাবার জন্য তারা কেউ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share