Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • EMU Train: শিয়ালদা শাখার সব লোকাল ট্রেন ১২ কামরার! কবে থেকে মিলবে পরিষেবা জানাল পূর্ব রেল

    EMU Train: শিয়ালদা শাখার সব লোকাল ট্রেন ১২ কামরার! কবে থেকে মিলবে পরিষেবা জানাল পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদার সব শাখাতেই চলবে ১২ কামরার (EMU Train) লোকাল ট্রেন। জুন মাস থেকেই এই পরিষেবা মিলবে বলে মনে করছে পূর্ব রেল। মঙ্গলবার  পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদার (Sealdah) সমস্ত শাখায় ১২ বগির লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি করার দরকার ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তার পরেই চালু হয়ে যাবে নতুন পরিষেবা।

    কাজ চলছে জোর কদমে

    শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার প্রায় ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চালানো হয়। তবে শিয়ালদা মেন লাইন (EMU Train) এবং শিয়ালদা নর্থে এখনও অনেক ট্রেনে ১২টি কোচ থাকে না। শিয়ালদা-রানাঘাট এবং শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার সব ট্রেনকে ১২ কোচে পরিণত করার জন্য প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভাবলেও তা বাস্তবায়িত করা সহজ ছিল না। কারণ, ট্রেনের কামরা বাড়লে ট্রেনের দৈর্ঘ্য বাড়বে। অথচ শিয়ালদার (Sealdah) এই দুই বিভাগের সমস্ত স্টেশন দৈর্ঘ্যে তত বড় নয়। তাই প্রথমেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্মগুলির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে সংশ্লিষ্ট ওভারহেড তারের কাজ, সিগন্যাল এবং ইয়ার্ড লে আউটের পরিবর্তনের জন্য নন ইন্টারলকিং সংক্রান্ত নানা কাজও। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের একাংশের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এক, দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। চলতি মাসেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে ওভারহেড তার, সিগন্যালিংয়ের জন্য নন-ইন্টারলকিংয়ের মতো কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও মাসখানেক লাগবে। 

    আরও পড়ুন: শুরু হল হিন্দু নববর্ষ ‘বিক্রম সংবত ২০৮১’, জানেন এর তাৎপর্য?

    কবে থেকে ছাড়বে ট্রেন

    আগামী জুনের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে, বলে মনে করছে পূর্ব রেল। তার পরেই শিয়ালদহের সমস্ত বিভাগে ১২ বগির লোকাল ট্রেন চলবে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে আগামী জুনের মধ্যে শিয়ালদা (Sealdah) মেন লাইনের এক, দুই, তিন, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ কোচের লোকাল ট্রেন ছাড়বে। বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, শিয়ালদা মেন লাইনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব আরও বেশি সংখ্যক ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কাজের জন্য মাঝেমধ্যে ট্র্যাফিক ব্লক করতে হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা। তাতে সাময়িকভাবে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে যাত্রীরাই উপকৃত হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বালুরঘাটে আসছেন অমিত শাহ, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত

    Amit Shah: বালুরঘাটে আসছেন অমিত শাহ, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে আগামীকাল ১০ এপ্রিল প্রচারে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওইদিন বংশীহারির পতরাতে সভা করবেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর সভা শুরু হবে। রবিবার থেকেই জোরকদমে সভার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই সভায় ৬০ হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থককে হাজির করানোর লক্ষ্য নিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    প্রচারে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)

    বালুরঘাট এবার রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্রের মূল লড়াই তৃণমূলের বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের। বিজেপির কাছে এই আসন যেমন ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ, তেমনই তৃণমূলের কাছে পুনরুদ্ধারের। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচার সেরে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, পরবর্তীতে এখানে ফের জনসভা করতে পারেন মমতা। প্রচারে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না বিজেপিও। অমিত শাহ (Amit Shah) তো বটেই, সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    জনসভার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে

    মহাবাড়ি পঞ্চায়েতের জোত মৌজায় ৫১২ জাতীয় সড়কের ধারে ৫০ বিঘার গমখেতে অমিত শাহর (Amit Shah) সভার আয়োজন করা হচ্ছে। জমিতে অবশ্য এখন গম আর নেই। কেটে নেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতেই কলকাতা থেকে বেশ কিছু লরিভর্তি প্যান্ডেলের সরঞ্জাম চলে এসেছে। সাউন্ড সিস্টেমের সমস্ত সরঞ্জামও পৌঁছে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মূল মঞ্চের পশ্চিম দিকে ৫০০ ফুট দূরে হেলিপ্যাডের কাজ চলছে। শতাধিক শ্রমিক সভাস্থলের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মাঠের উত্তর প্রান্তে ৩৮ ফুট বাই ২৪ ফুটের মূল মঞ্চ তৈরি হবে। সভাস্থল সহ উপস্থিত সবার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেমের ওপর ছাউনি দেওয়া হবে। মূল মঞ্চের সামনে ৫০ ফুট ডি জোন রাখা হবে। ২২০ ফুট বাই ৩২০ ফুটের আচ্ছাদন বিশিষ্ট দর্শক আসনের ব্যবস্থা করা হবে। সভাস্থলে ২১ হাজার চেয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দুটি ক্রেন ও দুটি আর্থ মুভার দিনরাত কাজ করে চলেছে। এছাড়াও থাকছে ভিআইপি জোন এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। দূর থেকে যে কর্মী-সমর্থকরা যানবাহন নিয়ে আসবেন, তাঁদের জন্য জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তের দুটি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন মাঠে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

     প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত

    জনসভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সেই জায়গা পরিদর্শন করেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে জেলার বুনিয়াদপুরের পতরাতে  সভা করতে আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামীকাল অমিত শাহজির জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন। আমি সেই কাজ খতিয়ে দেখতে এসেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah Jute Mill: ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    Howrah Jute Mill: ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে (lok sabha vote 2024) কাজ বন্ধ শিবপুরের হাওড়া জুট মিলে (Howrah Jute Mill)। ভোটের আগে তালা পড়ায় বেকার বহু শ্রমিক। জানা গিয়েছে, কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মচারী। আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল মধ্য হাওড়া বিধানসভার অন্তর্গত হাওড়া জুট মিল। এলাকার শ্রমিকেরা ঘটনায় মিলমালকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

    শ্রমিকদের অভিযোগ (Howrah Jute Mill)?

    হাওড়ার এই মিলে (Howrah Jute Mill) কর্মরত শ্রমিকদের অভিযোগ, মিলের বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের দৈনিক মজুরি থেকে গত কয়েকদিনে এক ঘন্টার করে মজুরি কাটা হয়েছে। এর পাশাপাশি দোলের দিনের মজুরি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটাও দেওয়া হয়নি। এর ফলে ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকেরা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা কম বেতন পেয়েছেন। এই নিয়েই ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকেরা (mill workers) ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এর ওপর ভিত্তি করে পাওনা টাকার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু হয় কারখানায়।

    কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা

    এরপর ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ওই বিভাগের কর্মীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানতে চাননি। এরই প্রেক্ষিতে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটি নতুন নির্দেশ জারি করা হয়। ঠিক তারপরেই মঙ্গলবার সকালে কর্মচারীরা কাজে যোগদান করতে এসে দেখেন মিলের (Howrah Jute Mill) গেটে নোটিশ ঝুলছে। ওই নোটিশে বলা হয়, “যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন ততক্ষণ ব্যাচিং, ওয়েভিং সহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    মিলে চরম অচলাবস্থা

    এদিকে বিমিং ডিপার্টমেন্টে কর্মচারীদের পাওনা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান মিলের (Howrah Jute Mill) অন্য বিভাগের কর্মচারীরা। ফলে মিলের মধ্যে শুরু হয় অচলাবস্থা। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কর্মচারীরা মিলে এলেও কোনও উৎপাদন হয়নি। এ বিষয়ে শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, “ওই মিলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পিএফ (PF) এর টাকা নিয়ে টালবাহানা চলছে। এছাড়াও ইএসআই (ESI)-এর টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না। সামনে ঈদ! তার আগে মিলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকেরা। তাঁরা চাইছেন দ্রুত মিলটিতে (Howrah Jute Mile) কাজ শুরু হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল দেশে প্রথম দফার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলার তিন আসনেও ভোটগ্রহণ হবে এদিন। তার আগেই রাজ্যে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে সরকার। সোমবার কেন্দ্রের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। রাজ্যে এখন রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী।

    কেন অতিরিক্ত বাহিনী? (Lok Sabha Elections 2024)

    কী কারণে সাত তাড়াতাড়ি ফের একশো কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র? নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, রাজ্যের সমস্ত বুথকেই স্পর্শকাতর ধরেই প্রস্তুতি নিতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, একশো শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর চেষ্টা চলছে (Lok Sabha Elections 2024)। সেই কারণেই আগেভাগেই ফের পাঠানো হচ্ছে বাহিনী। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে এ রাজ্যের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। এই তিন কেন্দ্রের সব বুথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল নির্বাচন কমিশনের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    ২৭৭ কোম্পানি বাহিনী

    শেষমেশ চলে এসেছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী। ফের আসছে ১০০ কোম্পানি। কমিশনের কর্তাদের মতে, প্রথম দফার নির্বাচনের পর আর কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ এই দফায় অনেক কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে যাবে। সেই সব বাহিনীকে তুলে নিয়ে পাঠানো যাবে অন্যত্র। এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। দফা যত এগোবে, তত বাড়তি হবে বাহিনী। প্রসঙ্গত, সপ্তম দফায় নির্বাচন হবে কেবল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। নির্বাচন বিঘ্নহীন করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। তবে ঠিক কত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তা জানানো হয়নি। প্রথম দফার নির্বাচনের মুখে আরও ৭০ কোম্পানি বাহিনী আসতে পারে বলেও কমিশন সূত্রে খবর।

    এদিকে, প্রথম দফার নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে ভোটকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের দুই থেকে চারজন কর্মী থাকবেন। কমিশনের নির্দেশ, নির্বাচনী প্রচারের সময় যে নকল ব্যালট ব্যবহার করা হবে, সেটি কাঠ, প্লাস্টিক বা প্লাইউড দিয়ে তৈরি করতে হবে। আয়তন হতে হবে আসল ব্যালটের অর্ধেক। নকল ব্যালটের রং হতে পারে হলুদ, বাদামি কিংবা ধূসর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    Loksabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সব জায়গায় ভোট দেওয়ার সময় একটি মেশিন থাকলেও রায়গঞ্জে কেন্দ্রের বুথগুলিতে (Raiganj) দুটি মেশিন দেখতে পাবেন ভোটাররা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তুলনায় এই নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) উত্তর দিনাজপুরে অন্য চিত্র দেখতে পাবেন সাধারণ ভোটাররা। এবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রায়গঞ্জে থাকছে দুটি করে মেশিন (Ballot Unit)। কিন্তু জানেন কী দুটি মেশিন থাকার কারণ?

    ভোট কেন্দ্রে কেন দুটি মেশিন?

    নির্বাচন কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার উত্তর দিনাজপুরে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রার্থী ও নোটা মিলিয়ে তৈরি হয় একটি ব্যালট ইউনিট। যার মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীকে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু রায়গঞ্জে এবার বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে মোট ২০ জন প্রার্থী নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। যার জন্য একটি ব্যালটে তাঁদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলের দুটি করে ইউনিট থাকবে রায়গঞ্জের সমস্ত বুথে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) নির্দেশেই এই কেন্দ্রের সমস্ত বুথে দুটি ব্যালট ইউনিট থাকবে। এই ব্যালট ইউনিট থেকেই পছন্দের প্রার্থী কিংবা নোটায় (Nota) ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা। এই লোকসভা কেন্দ্রে তুলনামূলক বেশি প্রার্থী থাকায় প্রথম মেশিনে ১৬ জন প্রার্থী ও অপর মেশিনে চারজন প্রার্থী এবং নোটার বোতাম থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে আরও একটি ভিভিপ্যাট। রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের তুলনায় রায়গঞ্জের বুথে এবার অন্য চিত্র দেখা যাবে।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    দুটি মেশিনের প্রার্থী চয়নে সুবিধা

    কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুটি মেশিন থাকায় ভোটারদের কোনও অসুবিধা হবে না, কারণ দুটি মেশিন পাশাপাশি থাকবে। ফলে পছন্দের প্রার্থী (Loksabha Election 2024) কিংবা নোটার বোতাম খুঁজে নিতে অসুবিধা হবে না ভোটারদের। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আগেভাগেই ভোটারদের এবিষয়ে অবহিত করা হবে। আগেও ভারতের নানান প্রান্তে অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রার্থী ভোটে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাডুর মোদাকুরিচি কেন্দ্রে। সেবার ওই কেন্দ্র থেকে ১০৩৩ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন ইভিএমের বদলে কাগজের ব্যালট ব্যবহার করার চল ছিল। বইয়ের আকারে ব্যালট ছাপা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    NIA: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনআইএ-র আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। হামলার ঘটনার জের থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু, এখনও পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যারা হামলা করেছিলেন, সেই হামলাকারীদের কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে, এনআইএ (NIA) আধিকারিক কতটা জখম হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ।

    পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (NIA)

    এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভার মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা যখন এনআইএ-র (NIA) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন। তাই, স্বাস্থ্য রিপোর্ট চেয়ে আদৌ হামলা হয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালির পর তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ (NIA) তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এনআইএ একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”

    বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বার বারই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oldest Voter: লোকসভা ভোটে বিরল, জয়নগর কেন্দ্রে ১১৪ বছরের প্রবীণতম ভোটার

    Oldest Voter: লোকসভা ভোটে বিরল, জয়নগর কেন্দ্রে ১১৪ বছরের প্রবীণতম ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরল ইতিহাস গড়ল সুন্দরবন (sundarban)। এখানে এক প্রবীণতম ভোটারের বয়স ১১৪ বছর। আগামী ১ জুন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) নিজের ভোটাধিকার নিজেই প্রয়োগ করবেন এই প্রবীণ বৃদ্ধা হাজারী সরদার। বর্তমানে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার (Oldest Voter ) তিনি। তাঁকে ঘিরে গণতান্ত্রিক উৎসবে ব্যাপক উচ্ছ্বাস।

    মোট ১৭ বার লোকসভা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন (Oldest Voter)

    ১১৪ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা হাজারীদেবীর (Oldest Voter ) কথা জানতে পেরেই তাঁর বিধানপল্লির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বাসন্তীর বিডিও (BDO) সঞ্জীব সরকার। তিনি বৃদ্ধাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘায়ুও কামনা করেন। বয়স শুনে বোঝাই যাচ্ছে হাজারীদেবী পুরাতন আমলের মানুষ। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন তিনি। তার আগে দেখেছেন দেশে ইংরেজদের রাজত্বও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজারীদেবীর জীবন দশায় মোট ১০ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন, ১৭ বার বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৭ বার লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবার ১ জুন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ১৮ বারের জন্য নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি।

    হাজারীদেবীর জন্ম ১৯১০ সালে

    বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি কোস্টাল থানার বিধানপল্লীর বাসিন্দা শতায়ু এই বৃদ্ধার (Oldest Voter ) জন্ম ১৯১০ সালে পরাধীন ভারতে। স্বামী বল্লভ সরদার অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বৃদ্ধার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেছেন, “হাজারীদেবী ইংরেজ শাসন দেখেছেন। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন। তিনি সমস্ত নির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা এক বিরল ঘটনা।”

    আরও পড়ুনঃ নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    জয়নগর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৫ লক্ষ

    আবার বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “আমার বিধানসভা এলাকায় ১১৪ বছর বয়স্কা এক বৃদ্ধা ভোটার (Oldest Voter ) রয়েছেন। এটা আমার গর্ব। এবার লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চলেছেন।” উল্লেখ্য গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, জয়নগর ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা নিয়ে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। এর মধ্যে বাসন্তী বিধানসভা এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি। তার মধ্যেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার হলেন (voter) হাজারী সর্দার। তিনি একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে প্রবীণতম ভোটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    Cooch Behar: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কোচবিহারে (Cooch Behar) এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝড় তুলে দিয়েছেন। এই জেলায় তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। প্রচারেও অনেকটাই এগিয়ে দলীয় প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে এবার কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সভার আগে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    সোমবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের কিসামঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরবাড়ি হাট এলাকায় বিজেপি প্রার্থী নিশীথের সভার প্রস্তুতি চলছিল। এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই সভামঞ্চ তৈরি করা হয়। সোমবার বিকালে সেখানে সভা করার কথা ছিল। মিটিং শুরু হওয়ার আগেই মঞ্চে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে, সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে, বিজেপি নেতৃত্ব সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, নতুন করে মঞ্চ করে বিজেপি নেতৃত্ব সেখানে সভাও করে।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন,  “আমাদের এলাকায় বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাতেই ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা রাতের অন্ধকারে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ বিজেপি-র পক্ষে রয়েছে।” তৃণমূলের দিনহাটা-২ ব্লকের ব্লক সভাপতি দীপককুমার ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে বিজেপি প্রার্থী বুঝে গিয়েছেন যে, এই নির্বাচনে তিনি হেরে যাচ্ছেন। তাই নিজেদের অনুষ্ঠানের মঞ্চে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন ওঁরা। এ ভাবে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে, মানুষ সবই জানে। এ সব মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। আর তার জেরেই গ্রামের মধ্যে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে সাদল গ্রামে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সমিরুল শেখ এবং মন্তাজ শেখ সহ নামে মোট চারজন। মারামারি করে আহত হলেন আরও সাত জন। জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সোমবার বিকেলে নদীর চরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখানে লাটু শেখ, আবুল শেখ, সারুল শেখ এবং কবীর শেখ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা হামলার চেষ্টা করে তৃণমূলের অন্য পক্ষ। তখন ওই পক্ষের দিকে গুলি ছোড়া হয়। তাতে চার জন জখম হন। পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করা হলে দুই পক্ষের আরও কয়েক জন জখম হন। তাঁদের আরও দাবি, গোলাগুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে দু’জন স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের উপরের আক্রমণ চালানো হয়। পুলিশ পৌঁছে মসজিদের ভিতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এই অশান্তি হয়েছে।। সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

     ১৮ রাউন্ড গুলি চলে!

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী সামিরুল শেখ বলেন, “স্থানীয় নদী বাঁধে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা শুরু করে এলাকার দুষ্কৃতীরা। গ্রামের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের ঘিরে ধরে গুলি চালায়। বাঁশ, লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করা হয় আমাদের। প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। আমরা তৃণমূল দল করি, ওরাও তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: ‘হাজিরা দিতে এসেছি’! ইডি দফতরে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, কোন মামলায়?

    Enforcement Directorate: ‘হাজিরা দিতে এসেছি’! ইডি দফতরে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়াকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার, সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থামে তাঁর গাড়ি। নেমেই ইডি দফতরে প্রবেশ করেন হর্ষ (Harsh Neotia)। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তার আগেই তিনি পৌঁছে যান ইডির দফতরে। ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলে, তিনি জানান, তাঁকে ডাকা হয়েছে, তাই তিনি হাজিরা দিতে এসেছেন। যদিও, কোন মামলা বা ঠিক কী কারণে তলব, সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি শিল্পপতি। শুধু জানান, বেরিয়ে সব বলবেন। 

     

    আরও পড়ুন: ভোটে ব্যবহৃত গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং, আরও চার আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    আর্থিক লেনদেনে তলব শিল্পপতিকে?

    একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হল, ইডি (Enforcement Directorate) ডেকেছে যখন, তখন কোনও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের প্রক্ষিতে তলব করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দেওয়া চার্জশিটে একাধিক নির্মাণকারী সংস্থার নাম উঠে এসেছে। নিয়োগের কালো টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সাদা করা হত বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রেই হর্ষ নেওটিয়াকে (Harsh Neotia) তলব করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

    ২০১৫ সালেও তলব করেছিল ইডি

    এই প্রথম নয়। এর আগেও একবার হর্ষবর্ধন নেওটিয়াকে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সেটা ছিল ২০১৫ সালে। সেবার সারদা মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন হর্ষ (Harsh Neotia)। তবে, এবার তাঁর হাজিরা বাংলার শিল্পমহলে আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। কারণ, কলকাতা তথা বাংলার শিল্পমহলে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি। অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের কর্ণধার হর্ষ মূলত নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share