Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bhupatinagar Blast) এবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার কল ডিটেলস-এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA)। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরও দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকায় রয়েছেন এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।

    ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল? (Bhupatinagar Blast)

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায় বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল, এমন একাধিক প্রমাণ (Bhupatinagar Blast) এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তা জানতেই কল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল, সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

    পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল (Bhupatinagar Blast) 

    প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এ-র উপরে হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির (Bhupatinagar Blast)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:“এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার।” রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন মোদি। সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে মিনি টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। একাধিক প্রাণহানির খবর এসেছে। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

    প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন (Narendra Modi)

    এদিন দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁচ্ছে দিতে চাই। আর তৃণমূল বলছে, ওদের কাছে টাকা দিতে হবে। ওরা টাকা লুট করবে। আমরা এটা তো মেনে নেব না। এই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেছে। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আমি পরামর্শ নিচ্ছি, কী ভাবে ওই টাকা বঞ্চিতদের ফেরত দেওয়া যায়। শিক্ষকের চাকরির জন্য গরিব মানুষেরা টাকা দিয়েছেন। আমি ওঁদের টাকা ফেরত দেব।” এরপর তিনি জনগনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি। প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে। প্রতিটি বুথে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিন। কোনও ভয় পাবেন না।”

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    চা শিল্প নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে চা শিল্প নষ্ট হওয়ার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড়় করান প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে ছোট-বড় তৃণমূল নেতারা বাংলোয় থাকেন। আর চা শ্রমিকদের কোনও সুবিধা নেই। এই তৃণমূলের জমানায় একের পর এক চা কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন,সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার বিশ্বাস জিতে, সবার উন্নয়ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। এটাই তো বিকশিত ভারতের সংকল্প। এই সংকল্পের জন্য আজ প্রত্যেক ভারতীয় সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য আমার প্রতি মুহূর্ত দেশের জন্য সঁপে দিয়েছি। সেই জন্য আমি সর্বক্ষণ ২০৪৭ সালের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, বিজেপি সরকার জি-২০-র বৈঠকের জন্য উত্তরবঙ্গকে এই কারণেই বেছে নিয়েছিল, যাতে এই এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পেয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখানে চওড়া রাস্তা বানাচ্ছে, রেল যোগাযোগ উন্নত করছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্যও জোরকদমে কাজ চলছে। এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইএ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএ-র (NIA) আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর, পুরো বিষয় জানার পর রাজ্যপাল সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছেন।

    সেদিন কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত ভূপতিনগর (Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের। ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।

    ৩ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তাঁরা হাজিরা দেননি।

    মানহানির মামলার হুমকি জিতেন্দ্রর

    এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন, “হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা-পলা পড়ে বসে থাকবে?” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন, ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি N.I.A.’র এসপি ধরাম সিং-এর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে তৃণমূল।”রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে  বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা ছিল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একথা বলেন। একইসঙ্গে সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে এনআইএ-এর ওপর হামলর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন কেন বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর তৃণমূল এভাবে হামলা চালাচ্ছে তা তিনি ব্যাখ্যা দিলেন।

    তোলাবাজদের বাঁচাচ্ছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এদিন বলেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এই তোলাবাজদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের ওপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে আপনারা দেখেছেন, কী হয়েছে এখানে প্রত্যেক ঘটনায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সন্দেশখালিতে মা, বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সকলেই জানেন। আপনারাই বলুন, সন্দেশখালির অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ধৃতদের সারা জীবন জেলে কাটানো উচিত নয়?

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভূপতিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে শনিবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। শনিবারই ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তবে সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এর আগে একইভাবে ইডি-র ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তিনজন আধিকারিক জখম হয়েছিলেন। ফলে, বার বার তৃণমূলের বাহিনীর হাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানোর ঘটনা প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ভালোভাবে নেননি তা এদিন তাঁর বক্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন তাঁর বক্তব্যে বেশিরভাগ সময় তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার খুব কাছেই হুগলি জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং পিকনিক স্পট ব্যান্ডেল।.এক সময় এখানে আধিপত্য ছিল পর্তুগিজদের। ১৫৩৭ সালে নবাবকে সাহায্য করার বিনিময়ে পর্তুগিজ অ্যাডমিরাল সাম্পাইরো এখানে পর্তুগিজ কলোনি গড়ে তোলার অনুমতি পান। ১৫৭১ সালে তাঁরা এখানে একটি বন্দর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। ১৫৭৯ তে মুঘল সম্রাট আকবর এখানে পর্তুগিজদের নগর পত্তনের অধিকার দেন এবং ওই একই সময় পর্তুগিজরা এখানে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এজন্য তাঁরা গোয়া থেকে অগাস্টিয়ান (Augustian) সন্ন্যাসীদের নিয়ে আসেন। ১৫৯৯ তে নির্মিত হয় এই ‘ব্যান্ডেল চার্চ’ (Bandel Church)। পর্তুগিজদের গড়া রোমান ক্যাথলিক এই চার্চই হল এখানকার প্রধান আকর্ষণ। এটিই হল বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন চার্চ।

    চার্চের জন্য অর্থবরাদ্দ (Bandel Church)

    মুঘলদের আক্রমণের ফলে এই চার্চটির একবার ক্ষতিও হয়। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আদেশে এই চার্চের ফাদার জোয়ান দ্য ক্রুজ (Joan Da Cruz) সহ বেশ কয়েকজন খ্রিষ্টানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রা ফোর্টে। শাহজাহানের আদেশে তাঁদের হাতির পায়ের তলায় পিষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ফাদার জোয়ানের জন্য নির্দিষ্ট হাতিটি ফাদারকে পদপিষ্ট না করে তাঁকে পিঠে বসিয়ে সম্রাটের কাছে নিয়ে যায়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাতিটি এমন আচরণ করে যেন মনে হয় সে সম্রাটের কাছে ফাদারের প্রাণভিক্ষা করছে। হাতিটির হাঁটু মুড়ে ফাদারের এইভাবে প্রাণভিক্ষার চেষ্টা দেখে সম্রাটের হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে এবং তিনি ফাদারসহ বাকি বন্দিদেরও মুক্তি দেন। শুধু তাই নয়, তিনি চার্চটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু অর্থ বরাদ্দ করেন এবং ৭৭৭ বিঘা জমি দেন চার্চের জন্য ১৬৩৩ সালে (Bandel Church)।

    দেখার আছে অনেক কিছুই

    চার্চটির সামনের অংশ গ্রিসের ডোরিক স্থাপত্যে নির্মিত। ভিতরে যিশুর জীবনের বিভিন্ন আখ্যান তুলে ধরা হয়েছে পেইন্টিংয়ে। এই অসাধারণ স্থাপত্য এবং শিল্পকর্ম উৎসর্গ করা হয়েছে নোসা সেনোরা ডি রোজারিওকে। কাঁচের পাত্রে রাখা আছে তাঁর মুর্তি। এর পাশেই মা মেরির আবির্ভাবস্থানে ১৮৫৮ সালে লুর্ভের রেপ্লিকার অনুকরণে গুহা তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এই চার্চকে ব্যাসিলিকা বা ঈশ্বরের প্রাসাদ (Bandel Church) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৮ অক্টোবর এই চার্চের ৩৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গঙ্গার তীরে মা মেরির স্মরণে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ক্রশ মেমোরিয়াল অল্টার’। এছাড়াও এখানে অন্যতম দ্রষ্টব্য প্রার্থনা গৃহ, সমাধি, একটি সুবিশাল জাহাজের হাল প্রভৃতি। আর আছে গঙ্গার অপরূপ মোহময়ী রূপ। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন নিকটবর্তী ইমামবাড়া। ১৮৬১ সালে দানবীর হাজি মোহম্মদ মহসিন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মার্বেল পাথরের অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। দেখে নিন সূর্য ঘড়ি এবং ৩৫ মিটার উঁচু ক্লক টাওয়ারটিও।

    যাবেন কীভাবে? (Bandel Church)

    যাতায়াত-হাওড়া স্টেশন থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ট্রেন যাচ্ছে ব্যান্ডেল। দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। এখানে থাকার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। কলকাতা থেকে সকালে এসে সারা দিন ঘুরে আবার সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়া যায় কলকাতায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানো দূরের কথা, উঠে দাঁড়ানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বামেদের পক্ষে। তাদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে লাল পতাকাধারীদের। একদিকে জোট নিয়ে জটিলতা, অন্যদিকে কর্মীরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এবার এসএফআইয়ের (SFI) প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সিপিআইএমের (CPIM) জেলা কমিটির সদস্য সুরজিৎ সরকার দলবল সহ যোগ দিলেন বিজেপিতে। বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব আয়োজিত হয়।

    সুকান্তের উন্নয়নেই আকৃষ্ট হয়ে দলত্যাগ (Balurghat)

    দল ছাড়ার পর সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, সুরজিৎ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেউ দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারের রেওয়াজ রয়েছে সিপিএমে। দলের তরফে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। প্রসঙ্গত এই লোকসভা আসনে বালুরঘাট থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিই এলাকার বর্তমান সাংসদ। যোগদানকারীদের দাবি, সুকান্ত মজুমদার যেভাবে বালুরঘাট জুড়ে উন্নয়ন করেছেন, তা দেখেই আকৃষ্ট হয়েছেন সুরজিৎ সরকার।

    বিজেপির সংগঠন মজবুত হল (Balurghat)

    সুরজিৎ যোগদানপর্ব শেষে বলেন, “সুকান্তবাবু বিরোধী দলে থেকেও নিজের এলাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখেননি। রাজ্যের শাসকের শত বাধা সত্ত্বেও একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ তুলে ধরেছেন। সবেচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছেন।” প্রসঙ্গত এদিনের যোগদানের ফলে এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত হল। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূল ও সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খেল। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে এই জেলার চিত্রটা যে অনেকটাই বিজেপির অনুকূলে চলে এল, তা বলাই যায়। যদিও বামেদের দাবি, এতে তাদের কোনও ক্ষতি হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে (Dhupguri) সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। উনিশে এপ্রিল লোকসভার (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় রাজ্যের তিনটি আসন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও কোচবিহারে (Coochbehar) ভোটে রয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তিনি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সভা করে নতুন করে ঝড় তুলে দিয়ে যাবেন।

    প্রচার কর্মসূচি তৈরি (Modi Shah in Bengal)

    বিজেপি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও ঝড় তোলার জন্য প্রচার কর্মসূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় রাজ্যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী এলেও দ্বিতীয় দফায় তাঁর দোসর হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল উত্তরবঙ্গের অপর তিনটি আসন দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ(Rayganj) ও বালুরঘাটে (Balurghat) ভোট রয়েছে। যার জন্য দুটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একটি সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল দিনাজপুরে (South Dinajpur) দুটি সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। একটি সভা হবে রায়গঞ্জে ও অন্যটি বালুরঘাটে। শাহের সভা হবে বুনিয়াদপুরে। ১৬ই এপ্রিল বালুরঘাটের রেল স্টেশন মাঠে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সভা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে রায়গঞ্জের সভা কখন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই বিজেপির সূত্রের দাবি।

    শাহের সভা কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    শাহের সভা বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মাঠে দুপুর বারোটা নাগাদ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শুধু অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নয়, এই সভাগুলিতে রাজ্য বিজেপির তারকা প্রচারকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বক্তব্য রাখার জন্য। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার ভোটে বেশ কিছু মেগা র‍্যালির কথাও চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। উত্তরবঙ্গ থেকেই সব থেকে বেশি সাংসদ, বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি। সে কারণেই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো ফলাফল হবে, এমনটাই ধারণা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের গড় যাতে বেদখল না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ শক্তিতে ময়দানে নামছে বিজেপি।

    তৃণমূলে তারকা প্রচারক কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    একদিকে উত্তরবঙ্গে যেখানে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ প্রচারে নামছেন, তখন তৃণমূলের প্রচার অনেকটাই ফিকে মনে হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া অন্য কোনও নেতার সেই প্রভাব নেই। তৃণমূলের নম্বর দুই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) উত্তরবঙ্গে ময়দানে নামালেও তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাকে প্রচারে নামালে অনেকটাই ব্যাকফুটে যাওয়া্র সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেক্ষত্রে  দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসকের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াবে বিজেপি। এমনিতেও মমতা ও অভিষেক ছাড়া তৃণমূলের তারকা প্রচারক বলতে আর কাউকেই উত্তরবঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির হাতে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো তারকা প্রচারক রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার নিজে বালুরঘাট আসন থেকে লড়লেও তিনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আসনে প্রচারের জন্য ছুটে যাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rainy Day: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, তীব্র দহনজ্বালা থেকে মুক্তি

    Rainy Day: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, তীব্র দহনজ্বালা থেকে মুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। হাওড়া (Howrah), হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা (Cloudy Weather)। শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ (Thunderstorm) বৃষ্টি (rain)। শেষ কয়েকদিনের তীব্র গরমে যে অস্বস্তি অনুভূত হয়েছিল, তা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলল রবিবারের সকালে। তবে সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে এমনটা নয়। দক্ষিণবঙ্গে পূর্বাভাস রয়েছে রবিবার বিকেল ও রাতের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে (Rainy Day)।

    কী জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস? (Rainy Day)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে কালবৈশাখীর ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও রবিবার সকালবেলায় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল ও হুগলি (Hooghly) জেলায় তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে এদিন সকালে। অন্যান্য জায়গায় মেঘলা সকালে যেন সন্ধ্যার আমেজ। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North & South 24 Pargana) বেশ কিছু অঞ্চলে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে, মাঝারি গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। একই পূর্বাভাস রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। 

    দহনজ্বালা থেকে মুক্তি (Rainy Day)

    এক সপ্তাহ ধরে কলকাতা ও শহরতলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল। তীব্র দহনে নাজেহাল অবস্থা ছিল শহরবাসীর। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছিল। যার জেরে লালমাটির দেশেও সকাল ১০টার পর দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, বৃষ্টির জেরে রবিবার ও সোমবার সাতটি জেলার তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফলে কিছুটা হলেও তীব্র দহনজ্বালা থেকে মুক্তি মিলবে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে অনুমান করছে আবহাওয়া দফতর। যদিও মঙ্গলবারের পর ফের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে (Rainy Day)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। আর এ নিয়েই বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের একাংশের কোন্দল। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই জাকিরের তৈরি করা নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন বাইরন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    জোর করে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না (Murshidabad)

    তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে সাগরদিঘির বিধায়কের লড়াই দীর্ঘ দিনের। বস্তুত, বিড়ি ব্যবসায় দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ময়দানেও। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন জাকির। সেই কমিটি ভেঙে দেন বিধায়ক বাইরন। এই প্রসঙ্গে বাইরন বলেন, “সাগরদিঘিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পৃথক কমিটি, কনভেনার, পর্যবেক্ষকের পদ তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলার অন্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা খলিলুর রহমানের হয়ে ‘খাটবেন’, তাঁদের নিয়ে কমিটি তৈরি করব। জোর করে বাইরে থেকে কেউ কিছু চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না।” জাকিরের নাম না করে তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্য এক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জোর করে কোনও কমিটি তৈরি করে দেবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, এটা হতে পারে না। পাশাপাশি তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে সর্বাধিক ভোটে জয়যুক্ত করব।”

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    জাকির কী সাফাই দিলেন?

    বাইরনের নির্বাচন কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেননি জাকির। তিনি বলেন, “আমি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কমিটি করিনি। দল যেটা অনুমোদন করেছে, সেটাই হয়েছে। কে মানবে, কে মানবে না সেটা দল দেখবে।”

    কটাক্ষ করেছে বিজেপি

    বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “ভাগের বখরা নিয়ে টানাটানি হলে তৃণমূলের মধ্যে একটু গুঁতোগুঁতি হয়, এটা আমরা সব জায়গাতেই দেখছি। সাগরদিঘিও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কয়েকদিন আগে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ঘেরাওয়ের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে এবার বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় লকেটকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর এসবই হয়েছে তৃণমূলের মদতে। ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে।   যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Locket Chatterjee)

    ২০১৯ সালে হুগলি আসন বিজেপির কাছে হেরেছে তৃণমূল। এবারও বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে। জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে লকেট। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার সেনপুকুর এলাকায় কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এখানকার বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় কালীতলায় যাই। কালীপুজোয় গিয়েছিলাম। ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই দেখি কিছু লোক হাতে তাঁদের বাঁশ। তাতে কালো পতাকা লাগানো। তাঁরা আসছেন। অশ্রাব্য কথা, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন। আমার গাড়ি ঘিরে গাড়িতে মারতে থাকে। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বোঝাতে গেলেও শোনেননি। আমি ভিডিও করছি বলে ওরা আরও বেশি করে করছে। এরপর ভিডিওটা বন্ধ করে দিই। আমার সিটের পাশের কাচ ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, একজন গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেন। ড্রাইভার ধাক্কা দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, বাঁশবেড়িয়ার উপ পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। একজন প্রার্থীর যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ভোটারদের কী অবস্থা!” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কী বললেন?

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ, তারা জানে মমতার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে এবারও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমি তাঁদের সরাতে গেলে লকেটের (Locket Chatterjee) নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ধাক্কা দেন। তাতে আমার আঘাত লাগে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share