Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mamata Banerjee: ভূপতিনগরে আক্রান্ত এনআইএ, হামালাকারীদের সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীর, কীসের স্বার্থে?

    Mamata Banerjee: ভূপতিনগরে আক্রান্ত এনআইএ, হামালাকারীদের সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীর, কীসের স্বার্থে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তভার রয়েছে এনআইএ-র ওপর। নিয়ম মেনে এই ঘটনায় ৮ জনকে তলব করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে শনিবার সাত সকালে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা। মূলত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তৃণমূলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিন্দার পরিবর্তে হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়ালেন। এনআইএ-এর তদন্ত নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। যা নিয়ে বিরোধীরা তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছে। রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Mamata Banerjee)

    শনিবার রায়গঞ্জে রাত্রিযাপন করে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অডিটোরিয়াম মাঠে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “ওরা কি পুলিশকে জানিয়ে গেছিলো? ওরা কেন মধ্যরাত্রে পুলিশকে না জানিয়ে যাচ্ছে? নিয়ম হচ্ছে লোকাল পুলিশকে জানিয়ে যাওয়া। মধ্যরাতে যদি গ্রামের লোক দেখে হঠাৎ করে কিছু লোক আসছে পুলিশের ড্রেস পরে, তারা কি করে বুঝবে কিসের জন্য? আর নির্বাচনের আগে কেন গ্রেফতার করবে? যদি সবাইকে গ্রেফতার করে, বিজেপি কী মনে করে, সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করবে, সব ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করবে? এসব করে ওরা ভোটে জিতবে? শূন্য, শূন্যে গুলি ছুড়ছে। কি অধিকার আছে এনআইএ-র? শুধু বিজেপিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। বিজেপি নোংরামি খেলা খেলছে। আমরা সারা পৃথিবীতে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব!”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মমতার নির্দেশে এনআইএ হামলা, সুকান্ত

    বিরোধীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যদি হামলাকারীদের এভাবে পাশে দাঁড়ায়, তাহলে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারবে না। হামলাকারীদের এভাবে মদত দেওয়ার অর্থ, তিনিও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Attacked: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    NIA Attacked: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইএ-এর ওপর হামলার ঘটনায় সরব হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। ইডি-র পর এনআইএ। তিনমাসের মাথায় ফের রাজ্যে হামলার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই নিয়েই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে এক হাত নিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় কেন্দ্র এবং বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সুকান্তের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি ঘটেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। স্থানীয় মানুষ নন, এঁরা চিহ্নিত তৃণমূল নেতা এবং কর্মী। যে ভাবে একের পর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর আক্রমণ হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গকে দেখে মাঝেমাঝে আমাদের মনে হচ্ছে আফগানিস্তানে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয়, কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি এবং বিচারব্যবস্থার খুব তাড়াতাড়ি হস্তক্ষেপ করা উচিত। নচেৎ, পশ্চিমবঙ্গ আগামিদিনে ভারতের অঙ্গরাজ্য থাকবে, না কি থাকবে না, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। বার বার দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেরও এই দল সম্পর্কে ভাবা উচিত।’’

    কী বললেন শুভেন্দু

    ভূপতিনগরে এনআইএ-এর ওপর হামলার ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনাতেই হামলা হয়েছে এনআইএ-র ওপর। শুভেন্দু লিখেছেন, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে এনআইএ। পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। যেহেতু এখন আইন – শৃঙ্খলা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন, তাই তাদের কাছে অনুরোধ করব ভূপতিনগর থানার ওসি, কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন। শুভেন্দুর দাবি, সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি কোচবিহারের মাথাভাঙায় একটি রাজনৈতিক সভায় এনআইএ-কে নিয়ে কটূ মন্তব্য করেন।

    রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি 

    পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ-মামলার তদন্তে দুই তৃণমূল কর্মীকে আটক করে নিয়ে আসার সময় এনআইএ-র গাড়িতে হামলা চালানো হয়। ইট,পাথর বৃষ্টি, ভাঙা হয় পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ির কাচ। মাথা ফাটে এনআইএ আধিকারিকের। এনআইএ-র দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-মামলার তদন্তে দুই সন্দেহভাজন বলাইচরণ মাইতি ও মনোব্রত জানাকে আটক করে নিয়ে আসার সময়, তাদের গাড়িতে হামলা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই চলে ইট, পাথরবৃষ্টি।  বিজেপির তরফে রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন “বাংলায় যে আইনের শাসন নেই, তা এঘটনা থেকেই স্পষ্ট। আদালতের নির্দেশে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিএসএফের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এর পরেও কী শান্তির ভোট সম্ভব?”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেছেন, রাজ্যে যাতে আইনের শাসন কায়েম করা না যায়, তার জন্য সন্দেশখালির ধাঁচে হামলা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবার শিশির অধিকারী বলেছেন, “এই সব ঘটনা ভিতরে চলছিল। বাইরে প্রকাশ হল। সরকারের উস্কানি রয়েছে। এনআইএ তদন্ত করছে। সব প্রমাণ খতিয়ে দেখেছে। ওদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যায়নি। তারপর যা পদক্ষেপ করার এনআইএ করেছে। আর সেটাকে বলপ্রয়োগ করে মানুষকে দেখাতে চাইছে কত শক্তিশালী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভাঙন ধরল ঘাস ফুল শিবিরে, ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগদান ২৫০ তৃণমূল কর্মীর

    Suvendu Adhikari: ভাঙন ধরল ঘাস ফুল শিবিরে, ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগদান ২৫০ তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (lok sabha vote 2024) মুখে ভাঙন ধরল ঘাসফুল শিবিরে। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন প্রায় ২৫০-এর অধিক তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈহাটির সিং ভবনে এক দলীয় কর্মসূচি থেকে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এদিন শুভেন্দুর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে আসা নেতাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন তৃণমূলের(TMC) বারাকপুর ১ ব্লক সভাপতি রানা দাশগুপ্তও।

    তৃণমূল নেতৃত্বের যোগদান বিজেপিতে

    এই সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংও (arjun singh)। শুভেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিংয়ের উপস্থিতিতে এদিন ঋষি বঙ্কিম ব্লক-১ তৃণমূল সভাপতি রানা দাশগুপ্ত এবং জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সহ-সভাপতি শ্যামল তলাপত্র সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন।  এছাড়াও বীজপুর ও আমডাঙ্গা থেকে অনেকেই বিভিন্ন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, বারাকপুর (barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিজয় ওঝা প্রমুখ।

    কী বললেন শুভেন্দু

    ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ১৯ জন গুন্ডাকে অভিযুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে কেষ্ট মন্ডল, শেখ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন জেলে। কিন্তু পার্থ ভৌমিক-সহ ১৬ জন গুন্ডা এখনও জেলের বাইরে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি রাখবো, বাকি ১৬ জন গুন্ডার বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’ শুক্রবার রাতে নৈহাটির(Naihati) সিং ভবনে দলীয় কার্যালয়ে যোগদান পর্বে হাজির হয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও চাপে তৃণমূল

    একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এও জানান, শেখ শাহজাহান জেলে রয়েছে। এখন নারায়ণ গোস্বামী, পার্থ ভৌমিকদের মতো একাধিক নেতা জেলের বাইরে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। আগামী ২০ মে ভোট রয়েছে বারাকপুরে। ফলে লোকসভা ভোটের (lok sabha vote 2024) মুখে এই যোগদানে বিজেপির শক্তি আরও বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে নির্বাচনের মুখে বারাকপুর (barrackpore) শিল্পাঞ্চলে খেলা ঘুরিয়ে শাসক দল কে আরও চাপে ফেললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এনআইএ  (NIA)। ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ-র পক্ষ থেকে নিয়ম মেনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তলব করার পরও হাজিরা দেননি কেউ। এবার সেই ঘটনার তদন্তে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। যা নিয়ে আপত্তি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, যখন তদন্তকারীরা ওই দু’জনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন গাড়িতে করে, তখনই হামলা চালানো হয়। এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    থানায় অভিযোগ করলেন এনআইএ আধিকারিকরা (NIA)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন এনআইএ (NIA) অফিসাররা। জানা গিয়েছে, হামলার জেরে আহত হয়েছেন দুজন অফিসার। গাড়ি আটকে, গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, তাদের ওপর হামলা চালানো সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা

    ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এনআইএ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। শনিবার সকালে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে যায় এনআইএ-র (NIA) একটি দল। সেখানে আক্রান্ত হওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Force for Election: অবাঙালি জওয়ানদের কাছে হিট বাংলার সজনে ডাঁটা

    Central Force for Election: অবাঙালি জওয়ানদের কাছে হিট বাংলার সজনে ডাঁটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ মাস থেকেই শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনের (Central Force for Election) প্রায় এক মাস আগে থেকেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্প করা হয়েছে তাঁদের। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনে ক্যাম্প করে রয়েছেন তাঁরা। আর ক্যাম্পের রান্নাঘরে সিআরপিএফ জাওয়ানদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জায়গায় করে নিয়েছে টাটকা তাজা সজনে ডাঁটা।

    সজনে ডাটার বিভিন্ন পদ

    বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। নির্বাচনী ডিউটি (Central Force for Election) করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বংলায়। আর বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। তাই সজনে ডাঁটা, আলু, বেগুন ও বড়ি দিয়ে পাতলা ঝোল হোক কিংবা আলু, কাঁচকলা, উচ্ছে, বেগুন দিয়ে সজনে ডাঁটার শুক্তো অথবা সজনে ডাঁটার সর্ষে-পোস্ত বিভিন্ন স্বাদে জমিয়ে চলছে সজনে ডাটা খাওয়া।

    গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে বাংলায়

    গরমে টাটকা তাজা সবজির মধ্যে সজনে ডাঁটা অন্যতম। গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে (Central Force for Election) বাংলায়। আর সজনে ডাঁটার পুষ্টিগত গুণও নেহাত কম নয়। শরীর সতেজ এবং সুস্থ রাখতে তাই সজনে ডাঁটাকে আপন করে নিয়েছেন জওয়ানরাও। পাঞ্জাবের সুরিন্দর সিংই হোক বা ঝাড়খণ্ডের যশ পান্ডে অথবা বিহারের রাজেশ কুমার, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা এই জাওয়ানদের কাছে সজনে ডাঁটার স্বাদ অবশ্য একেবারেই নতুন। তাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনের সামনের বাজারে সকাল হলেই ভিড় জমিয়ে নানা শাক সবজি ব্যাগ ভর্তি করে কিনছেন তাঁরা। লাল শাক, বেগুন, পাট শাকের সঙ্গে বাজারের তালিকায় অবশ্যই থাকছে সজনে ডাঁটাও।

    ৮৬ জনের কোম্পানিতে রয়েছে, নাপিত-ধোপা-রাঁধুনিও

    প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে জওয়ানদের মধ্যে ২ জন রাঁধুনি, একজন সাফাইকর্মী, একজন ধোপা ও একজন নাপিত রয়েছেন (Central Force for Election)। সকলে মিলে ৮৬ জনের কোম্পানি। কোম্পানি কমান্ডান্ট  হিসেবে আছেন সুরিন্দর। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ক্যাম্পে রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন  বিহারের বাসিন্দা রাজেশ কুমার। তাঁর হাতেই এখন বাংলার নিজস্ব সজনে ডাঁটা এবং অন্য শাকসবজি সুস্বাদু হয়ে উঠেছে। টাটকা রান্না করা সবজিতেই এখন মজেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানরা।

    কী বলছেন জনৈক জওয়ান

    রান্নার দায়িত্বে থাকা জওয়ান রাজেশ কুমার জানায়, “রোজ মেনু চার্ট মেনেই রান্না করা হয়। তবে আলিপুরদুয়ারে কিছুদিন ধরে সজনে ডাঁটা এবং বিভিন্ন ধরনের শাকও রান্না করছি। এগুলো খেতেও খুব স্বাদ। জওয়ানরা চেটেপুটেই খাচ্ছেন।” উল্লেখ্য জওয়ানদের কেউ গুজরাট, কেউ পাঞ্জাব কেউ বা হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে বাঙালি খাবারের সঙ্গে তাঁদের দূর দূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও তপ্ত গরমে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের ক্যাম্পের হেঁসেলে জায়গা করে নিয়েছে সজনে ডাটা। অর্থাৎ অবাঙালি জাওয়ানদের কাছে এখন হিট টাটকা তাজা সজনে ডাটা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Stall: বিশৃঙ্খলা আটকাতে চায়ের দোকানে ঝুলল বোর্ড- “নো রাজনৈতিক চর্চা” 

    Tea Stall: বিশৃঙ্খলা আটকাতে চায়ের দোকানে ঝুলল বোর্ড- “নো রাজনৈতিক চর্চা” 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই চায়ের দোকান (Tea Stall) মানেই বিভিন্ন বিষয়ে আড্ডা-তর্ক ও রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্র। আর এই ভোটের মরসুমে চায়ের দোকান বাঙালির কাছে যে রাজনৈতিক আলোচনার পীঠস্থান তা বলাই বাহুল্য। আর রাজনৈতিক আলোচনা (Political Discussion) মানে এক কথা দু কথায় তর্কাতর্কি বিতর্ক। আর এই বিতর্ক আটকাতেই এক অভিনব উপায় বের করেছে পূর্ব বর্ধমানের এক চা ব্যবসায়ী। 
    বর্ধমান শহরের চা দোকানের মালিক অমিত দাসের এসব রাজনৈতিক তর্কাতর্কি একেবারে নাপসন্দ। তাই চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আর রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না, এমনই এক পোস্টার দিয়ে  দোকানের খদ্দেরদের কাছে আবেদন তাঁর।

    ‘এখানে রাজনৈতিক আলোচনা করিবেন না’

    বাঙালির একটা ইস্যু পেলেই হল। ভোটের বাজারে এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় (Political Discussion) চায়ের আড্ডায় ঝড় ওঠে। এক কাপ চা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে পারে তর্ক বিতর্ক। তাই বিতর্ক এড়াতেই এবার তার সোজা সাপটা পদক্ষেপ। দোকানের বাইরে পোস্টার দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, ‘এখানে রাজনৈতিক আলোচনা করিবেন না।’ 
    প্রসঙ্গত, বর্ধমান শহরের পার্কাস রোডের চার্চ মোড় এলাকায় চায়ের দোকান অমিতকুমার দাসের। অমিত দাসের কথায়, “সামনে ভোট। দোকানে বিভিন্ন মানুষ চা খেতে আসেন। আর তাঁদের নানা রকম আলোচনা হয়। তার মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা করতে করতে তর্ক বিতর্কও হয়। এই পোস্টারটা দেখে মানুষ যাতে একটু সচেতন হয়। চায়ের আড্ডায় কোনও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়।”

    এমন ঘটনা নতুন নয়

    তবে এই পোস্টারের প্রশংসা করছেন অনেকেই। ভালই ফিডব্যাক পাচ্ছেন চা দোকানের মালিক (Tea Stall) অমিত। অমিত জানায়,”চা খেতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনিও বলছেন, খারাপ নয় ব্যাপারটা। চা খেতে এসে রাজনৈতিক আলোচনা থেকে ঝগড়া লেগে আরেক কাণ্ড বাধবে। তার থেকে এসব বন্ধ রাখাই ভাল।” যদিও এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও পঞ্চায়েত ভোটের সময় পূর্ব বর্ধমানেরই এক চায়ের দোকানে রাজনীতির ‘চায়ে পে চর্চা’য় আপত্তি নিয়ে পোস্টার পড়েছিল। আর এবার আবারও লোকসভা ভোটের (lok sabha vote) আগে সেই একই চিত্র দেখা গেল  অমিতকুমার দাসের চায়ের দোকানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: অবশেষে স্বস্তির বার্তা, তাপপ্রবাহের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস

    Weather Update: অবশেষে স্বস্তির বার্তা, তাপপ্রবাহের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাপসা গরমে চৈত্রের শেষেই নাজেহাল পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গ-জুড়ে। একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের (Weather Update) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অস্বস্তিকর গরমে বড় থেকে ছোট সকলের প্রাণান্তকর অবস্থা। তবে শনি-সন্ধ্যা থেকে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর। শনি-রবি-সোম তিনদিন বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এর ফলেই তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে। জুড়োবে দহন জ্বালা।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    আজ, শনিবারও তাপপ্রবাহের (Weather Update)  ইঙ্গিত রয়েছে বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে৷ পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায়৷ সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হওয়া বইবে। আগামিকাল, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলাগুলিতে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা আছে । রবিবারের পর সোমবারেও দুর্যোগ চলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। জেলায়-জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার জোরালো দাপট থাকবে। একইসঙ্গে থাকবে বজ্রপাতের আশঙ্কাও।

    উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টি

    ঝড়-বৃষ্টির দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গেও।  উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের ৬ জেলাতে  শনিবারও বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ,কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় বৃষ্টি ঝড়ের সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই দমকা ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ঢুকে খতম করে আসব’, পাকিস্তানে আশ্রিত জঙ্গিদের হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    শহরের আবহাওয়া

    শনিবারও প্রখর রোদে পুড়ছে শহর কলকাতা। বিকেলে আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। সকালের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতার আধিক্যের জন্য অস্বস্তি রয়েছে। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৮৯ ডিগ্রি এবং শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ। রবি এবং সোমবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া দেখা গেল এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ফের আক্রান্ত হল কেন্দ্রীয় সংস্থা(NIA)। তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ-র অফিসারদের। ভূপতিনগরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করতে গিয়েই এভাবে আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল বলে অভিযোগ। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের। সেই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সেই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই হামলার মুখে পড়ল এনআইএ (NIA)। জানা যাচ্ছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় আশপাশের গ্রামে তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি। সূত্রের খবর, এনআইএ তলব করলেও তিনি নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতির বাড়িতে যাওয়ার পথেই এই হামলার ঘটনা বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রায় ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ছিল ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী। বলাইকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে সূত্রের দাবি। এর পরেই এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও হয় ধস্তাধস্তি। রাতের অন্ধকারে ছোড়া হয় ইট, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও ধস্তাধস্তির পরও বলাই মাইতিকে আটক করতে পেরেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি কার্যত একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। সে বার ইডি হানা দিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের ডেরায়। সাতসকালে গিয়ে শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকেরা। একাধিক ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার জের মিটে না মিটতেই ফের হামলার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    Election Commission: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানাল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় সভাতে শিশুদের নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জমা দিয়েছে বিজেপি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতার শিশির বাজোরিয়া। ঐ চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করার। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে এমন মন্তব্য করা যায় না। রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদের সম্পর্কে গাইড লাইনও যেখানে প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিনি কিভাবে এমন মন্তব্য করেন এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে।

    তৃণমূলের সভায় শিশুরা, কমিশনে বিজেপি

    চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, বিজেপির হাতে এমন ভিডিও ফুটেজ আছে যেখানে স্পষ্টই শাসক দলের ব়্যালিতে বহু সংখ্যক শিশুদের দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিশুরা হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে রয়েছে সেই ছবিও ধরা পড়েছে ভিডিয়োতে। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে শিশুদের ব্যবহার করার বিষয়টি একেবারে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য (Election Commission) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও হুগলির বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করেছেন।

    কোচবিহারের সভা থেকে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কোচবিহারের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘বিনা পয়সায় রেশন দেব বলেছিলাম, আমরা দিই। মনে রাখবেন, ওরা যে সংখ্যাটায় দেয় সব লোককে দেয় না। ওরা ৪০ পারসেন্ট দিলে আমরা ১০০ পারসেন্ট দিই। বাংলার বাড়ি প্রকল্প? নামটা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আর তার ৫০ পারসেন্ট টাকা (Election Commission) আমাদের দিতে হয়। ৪০ পারসেন্ট টাকা আমরা দিই। আর জায়গাটাও আমরা দিই। তাহলে কত হল? ৫০ – ৫০। তাহলে তোমার নাম কেন থাকবে? বলছে রেশন দোকানে রেশন যাবে, তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আর বিজেপির লোগো থাকবে। শালা আমি না খেতে পেয়ে মরে যাব। তবু আমি বলে দিচ্ছি আমি ওর মধ্যে যাব না।’’ পরক্ষণেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরি আমি। উইড্র অ্যা ওয়ার্ড। আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে আরও ৫ আসনে প্রার্থী দিল বামেরা, রয়েছে ডায়মন্ডহারবারও

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে আরও ৫ আসনে প্রার্থী দিল বামেরা, রয়েছে ডায়মন্ডহারবারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আরও এক দফায় প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। এবারে বামেদের প্রার্থী তালিকার (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে রাজ্যের পাঁচটি আসন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ডায়মন্ডহারবারও রয়েছে। এর পাশাপাশি বসিরহাট, বারাকপুর, ঘাটাল, বারাসাতেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা।

    একনজরে প্রার্থীরা

    বসিরহাট- নিরাপদ সরদার
    বারাকপুর- দেবদূত ঘোষ
    ডায়মন্ডহারবার- প্রতিকুর রহমান
    ঘাটাল- তপন গঙ্গোপাধ্যায়
    বারাসাত- প্রবীর ঘোষ 

    এর আগে শোনা যাচ্ছিল, ডায়মন্ডহারবারে প্রাথী হতে পারেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে তিনি প্রার্থী হননি। তাঁর বদলে আইএসএফ সেখানে দাঁড় করিয়েছে মজনু লস্করকে। বৃহস্পতিবারই আইএসএফ-এর সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট ভেঙে গিয়েছে। জোট ভাঙার একদিনের মধ্যেই ৫ আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট শিবির। সূত্রের খবর, হাই ভোল্টেজ ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র নিয়ে দড়ি টানাটানি চলেছে বেশ কয়েকদিন কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদেরও। কারণ এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রথম থেকেই নজর ছিল আসনটি বাম কংগ্রেসের মধ্যে কার কাছে যাবে। শেষমেষ এখান থেকে বামেরাই প্রার্থী দিল। অন্যদিকে বারাকপুরের মত আসনে বামেরা দাঁড় করাল অভিনেতা দেবদূত ঘোষকে। বারাসাত আসনটি তারা জোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে ছেড়ে দিয়েছে এবং সেখান থেকে প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) হয়েছেন প্রবীর ঘোষ। ঘাটাল আসনটি জোট শরিক সিপিআইকে ছেড়েছে। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন তপন গঙ্গোপাধ্যায়। ঘাটাল আসন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের দড়ি টানাটানি চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে প্রার্থী দিল বামেরা। এখনও পর্যন্ত ২৮ আসনে বামেরা এবং ১২ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ জোটের মোট ৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা হল। বাকি রয়েছে দুটি আসন।

    আইএসএফ-বামফ্রন্ট দ্বন্দ্ব

    আইএসএফের সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়ার জন্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকেই দায়ী করলেন। সাংবাদিকদের সামনে বিমান অভিযোগ করেন, জোট গঠনে প্রথম থেকে একেবারেই আন্তরিক ছিল না আইএসএফ। গতকাল ১৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল। এ নিয়ে একদা তাদেরই জোট শরিক বামফ্রন্টের নেতা বিমান বসুর বক্তব্য, ২০২১ সালে যে দল তৈরি হয় তারা এতদূর কিভাবে ভাবছে! সিপিএমের বর্তমানে রাজ্য সম্পাদক রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। তাঁকে এবার মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র (Lok Sabha Election 2024) থেকে দাঁড় করিয়েছে দল। সেই আসনেও সেলিমের বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share