Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি, এনআইএ-র পরে এবার কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) আতস কাচের তলায় পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক (Pakistani National)। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি রয়েছে নৈহাটি, অপরটি রয়েছে মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা (West Bengal) থেকে জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে একসঙ্গে ৮ জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডির অফিসাররা। বেকবাগান, বিরাটি, গেদেতে অভিযান চালানো হয়। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় আজাদ মল্লিককে। আজাদ কোনও কুমতলবেই এতদিন ধরে বাংলায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল কিনা , সে সন্দেহও দানা বাঁধছে।

    করাচির ঠিকানায় রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Pakistani National)

    আজাদের কাছে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরও চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে তাতে বহু পাকিস্তানি নাম পেয়েছে ইডি। সেখানেই পাকিস্তানের করাচির একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে আজাদ হুসেন। ১৯৯৭ সালের করাচির ঠিকানায় রয়েছে লাইসেন্স। এই সমস্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল আজাদ পাকিস্তানের নাগরিক। এতে কোনও সন্দেহ রইল না।

    স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ?

    তদন্তকারীরা মনে করছেন (Pakistani National), নিজের নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হুসেন পশ্চিমবঙ্গে থাকছিল। আজাদের বিরুদ্ধে মূল যে অভিযোগ, তা হল অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া! তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই তো? তাহলে কি স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘদিন এভাবেই বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে থাকত আজাদ। কোনও বিশেষ কুমতলব ছিল ওই পাকিস্তানি নাগরিকের। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

    কী বলছেন ইডির আইনজীবী?

    প্রথমে তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Pakistani National) হিসেবে সন্দেহ করা হলেও, পরে জানা যায় সে আদতে পাকিস্তানি। গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি নয়, আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে ২টি ভোটার কার্ড, ৪টি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে।

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক।’’ ইডির তরফ থেকে তখন আরও জানানো হয়, আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা! প্রসঙ্গত, ওইদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার আদালতে ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘এটা শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। এটা দেশের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়।’’ নতুন তথ‍্যের ভিত্তিতে ইডি ফের একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলাতে আবার আজাদ মল্লিককে হেফাজতে (Pakistani National) নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে, প্রথমেই বানায় রেশন কার্ড

    প্রথমে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হলেও পরে ইডির আধিকারিকরা জানতে পারেন, সে আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ মল্লিক। অন্তত ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে সে। তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলায় ঢুকে প্রথমেই রেশন কার্ড বানায় সে। এরপরে তার ভিত্তিতে পায় ভোটার কার্ড। এর পাশাপাশি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলে আজাদ। সেখান থেকে তৈরি করে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্সও।

    হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে

    কিন্তু একজন পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে এত সহজে এত নথি বানিয়ে ফেলল কীভাবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূল জমানায় প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে একজন পাক নাগরিক এভাবে থাকছিল বছরের পর বছর। অথচ কেউ জানতেই পারেনি। আজাদের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে  ইডি। গত রবিবারই আজাদকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করেন তদন্তকারীরা। ইডির আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে দেশের জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

  • Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে ১৯০৮ সালে আজকের দিনেই এ জগত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) । তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ হত্যা করেছিল তা নিয়ে রয়েছে আজও সন্দেহ। মামলা চলাকালীন ব্রিটিশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রফুল্ল। কিন্তু পরবর্তীকালে যে তথ্য সামনে আসে তাতে একথা মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে তিনি আত্মঘাতী হননি বরং ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে অত্যাচার করে গুলি করেছিল।

    কোন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল

    প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম বোস ইংরেজ আধিকারিক কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে বোমা বন্দুক নিয়ে তৈরি ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বোস দুজনেই বিহারের মুজাফফরপুরে (Indian Freedom Movement) কিংসফোর্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে তারা কিংসফোর্ডের ঘোরার গাড়ির জন্য ওত পেতেছিল। একটি ঘোড়া গাড়ি আসতে দেখে বোমা নিক্ষেপ করে তাঁরা। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। ছিলেন দুজন ব্রিটিশ মহিলা। তাঁরা বোমার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। ওই দুজনকে ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। এর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনেই। আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রফুল্ল (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম।

    কীভাবে ধরা পড়লেন প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki)

    প্রফুল্ল কলকাতার দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পায়ে হেঁটে মুজাফফরপুর থেকে চার স্টেশন দূরে সমস্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত আসেন। ট্রেনে তাঁকে দেখে সদেহ হয় নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক পুলিশ দারোগার। সাব ইন্সপেক্টরকে তখন দারোগা বলা হত। মোকামা স্টেশনে নন্দলাল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ধরে ফেললে (আদালতে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী) নিজের বুকে ও মাথায় নাকি গুলি করেন প্রফুল্ল (Indian Freedom Movement) ।

    প্রফুল্লের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ কেন

    প্রফুল্ল চাকির (Prafulla Chaki) শরীরের দুটি গুলি লেগেছিল। একটি বুকে, অপরটি মাথায়। দেহ পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁর শরীরের পোস্টমর্টেম হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি নিজের বুকের মত জায়গায় গুলি করার পর তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় গুলি চালানোর আর সুযোগ থাকে না। ব্রিটিশ পুলিশের দাবি ছিল প্রফুল্লর কাছে গুলি ভর্তি বন্দুক ছিল। যদি তাঁর কাছে বন্দুক থাকত তাহলে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাকে সন্দেহের বশে পাকড়াও করেন তখন ওই পুলিশকেই গুলি মেরে পালানোর চেষ্টা করতে পারতেন প্রফুল্ল। কিংবা অন্য পুলিশকে গুলি করে পালাতেন। তবে প্রফুল্লর দেহের পোস্টমর্টেম হয়নি। দেহ পরিবারকে ফেরত না দেওয়ায় তখনও প্রশ্ন তুলেছিল বিপ্লবীরা।
    ঐতিহাসিকদের মত

    সমসাময়িক অনেক ঐতিহাসিকের মতে প্রথমে প্রফুল্লর (Prafulla Chaki) উপর নিদারুর অত্যাচার চালানো হয়। তারপর তাকে পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি করে খতম করা হয়। মুজাফফরপুর স্টেশনে আনা হয় দেহ। শনাক্ত করেন ক্ষুদিরাম বোস। এর পর তাঁর মাথা কেটে কেরোসিন কিংবা স্পিরিটে চুবিয়ে আনা হয় কলকাতায়। দেহ মুজাফফরপুরের শ্মশানে অজ্ঞাতপরিচয়য় লাশ হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।

    প্রফুল্লের (Prafulla Chaki) খুনের বদলা

    ব্রিটিশ পুলিশ যা করেছিল সেই তথ্য যদি প্রকাশ হত তাহলে আরও অনেক ব্রিটিশ ও পুলিশের কর্মচারী ভারতীয়ের প্রাণ যেত। এই ভয়েই ‘আত্মঘাতী’ তত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিক নির্মল কুমার নাগ একমত যে প্রফুল্লকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিপ্লবীদের থামানো যায়নি। ১৯০৮ সালের ৯ই নভেম্বর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করে প্রফুল্ল চাকির(Prafulla Chaki) মৃত্যুর বদলা নিয়েছিলেন বাঙালি বিপ্লবী শিরিশ চন্দ্র পাল ও রণেন গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

  • Pakistani: কলকাতায় গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বানিয়ে দিত বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট

    Pakistani: কলকাতায় গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বানিয়ে দিত বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে এবার পাকিস্তান (Pakistani) যোগ সামনে এল। খাস কলকাতায় বসেই জাল পাসপোর্ট চক্র চালাচ্ছিল আজাদ মল্লিক নামের ওই যুবক। বিরাটি থেকে ১৪ দিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আজাদ মল্লিককে। বাংলাদেশি (Bangladeshis) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় আজাদকে। পরে জানা যায় সে আসলে আদতে পাক-নাগরিক। ২০১৯ সালেই বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ। এরপরেই বাংলায় ঢুকে জোড়া ভোটার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও পেয়ে যায় সে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পাক নাগরিক হয়ে কীভাবে বাংলায় ঢুকে এত সরকারি পরিচয়পত্র আজাদ? জানা গিয়েছে, নিজের পাকিস্তানি পরিচয় লুকোতেই এই আজাদই বাংলাদেশি পরিচয় দিয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে। পাসপোর্ট মামলায় আদালতে এদিন এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।

    ১২-১৩ বছর পাকিস্তান (Pakistani) থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ

    পাকিস্তানের (Pakistani) নাগরিক কলকাতায় বসে জাল পাসপোর্ট তৈরি করছে, এমন তথ্য সামনে আসার পরেই ব্যাপক উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা। একজন পাকিস্তানি কলকাতার বুকে বসে বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছিলেন এতদিন! এতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জানা যাচ্ছে এদেশে আজাদের নাম ছিল আজাদ মল্লিক। প্রায় ১২-১৩ বছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ। নিজের জালিয়াতি কাজ চালাতে একাধিক ডেরা বদল করে থাকছিল সে।

    সন্দেহ এড়াতে বাংলা ভাষাও রপ্ত করেছিল আজাদ

    সন্দেহ এড়াতে বাংলা ভাষাও রপ্ত করেছিল আজাদ। বাংলাদেশ থেকে যারা বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করত, তাদের জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে দিত আজাদ। ১৪ দিন আগেই আজাদকে বিরাটির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এজলাসে বিচারকের সামনে আজাদ পাকিস্তানি (Pakistani) এমন বিস্ফোরক দাবি করেন ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে

    একইসঙ্গে আজাদের সঙ্গে এক মহিলার সঙ্গীর তথ্যও এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। তবে পাসপোর্ট মামলায় আজাদ গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় আজাদের (Pakistani)। ওই মহিলাকে খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে আজাদ ইতিমধ্যে ভিসা ও ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও আবেদন করেছিলেন। একইসঙ্গে কীভাবে ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেল? কী উদ্দেশ্যেই বা ভারতে ঢুকেছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া। ওই দিনই দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই মুর্শিদাবাদ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলিকে সংস্কার করার কথা ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব।’’ এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধী হিসেবে তোপ দেগে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, এই সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্য নেওয়া হবে না মন্দির সংস্কার করতে।

    মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে। সমস্ত সনাতনী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করে শুদ্ধিকরণ এবং সংস্কার প্রক্রিয়া করা হবে। হিন্দু-বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা হবে না। আমি পুনরায় বলছি, সমস্ত খরচ হিন্দুরা নিজেরাই বহন করবে। মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের তাঁদের গ্রামের ও পাড়ার মন্দিরে পুজো অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই মন্দিরগুলি আমাদের তীর্থস্থানের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’’

    আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনার আবেদন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নিজের এক ভিডিও বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য লগ্নে আপনাদের সনাতনী অভিনন্দন। আপনারা জানেন গত ১১ ও ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ান এলাকায় বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে হিন্দুদের সংখ্যা শূন্য করার জন্য জেহাদি, সন্ত্রাসী ও শাসকদল তৃণমূলের মদতপুষ্ঠ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিন্দু গ্রামগুলিতে হামলা হয়েছিল। মন্দির কমিটিগুলির (Hindu Temple) হাতে প্রাথমিকভাবে পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৩০ তারিখ সকাল ১০টার সময় পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সনাতনী প্রথা অনুসারে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বিশ্বের যে যেখানে হিন্দুরা আছেন, বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন তাদের কাছে একটাই আবেদন এই ৯টি মন্দির শুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ সহ কাশ্মীর সহ জঙ্গিদের হাতে, পাকিস্তান প্রেমীদের হাতে আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনা করুন।’’

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু।” রবিবার ঠিক এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে জেলা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন বহু হিন্দু।

    মমতা ভণ্ড হিন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। দিঘায় নয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলেও অভিহিত করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরাই হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী। তাঁর জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলি এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।” এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে দায়ীও করেন শুভেন্দু। একে তিনি ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকে সজীব রাখতে নিরন্তর কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা হুমকির মুখে। আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায়ী। এখানে সবাই চায় এনআইএ এখানে এসে মামলার দায়িত্ব নিক।” হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের এহেন মন্তব্যকে শুভেন্দু বলেন, “অখিলেশ যাদবের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে প্রেরিত।”

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে খুন করা হয় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর (Mamata Banerjee) করা হয়। প্রাণভয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এখনও ভিটেয় ফেরেননি মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়া সব হিন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন (Peace Appeal) জানানো হয়েছিল বিজেপি-আরএসএসের তরফে। এই শান্তির আবেদন নাকি হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে! অন্তত এমনই দাবি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police)।

    ব্যাপক হিংসা মুর্শিদাবাদে (West Bengal Police)

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি স্থানীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে হিন্দুরা আশ্রয় নেন মালদায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধীর পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলেও খবর।

    বিজেপির সমালোচনা

    সমালোচকদের দাবি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রোধ বা সহিংসতায় ঘরছাড়া মানুষদের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকে প্রতিবেশী মালদা জেলায় পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই তৎপর পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে। সমালোচকদের যুক্তি, চার পাতার এই আবেদনে কেবল শান্তির আহ্বান জানানো হয়নি, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনাও করা হয়েছে (West Bengal Police)।

    কী বলছে পুলিশ

    পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল দ্বারা ইংরেজি ও বাংলায় শেয়ার করা এই ‘শান্তির আবেদনে’ বিজেপি এবং আরএসএসের সমালোচনা করে তাদের ‘আক্রমনাত্মক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে (Peace Appeal)। পুলিশের ওই আবেদনে দাবি করা হয়, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিভাজনমূলক রাজনীতি উসকে দিচ্ছে এবং ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিশি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা ‘অশুভ’ বলে দাবি করা হয়েছে।

    ‘আগুন নিয়ে খেলা’

    প্রমাণ না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করেছিলেন যে বিজেপি এবং আরএসএস রাম নবমীতে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র পরিকল্পনা করছে। সমালোচকদের মতে, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাঁর মুসলিম সমর্থক গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত বলে কথিত হিংসা থেকে জনতার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ও তাদের মিত্রদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য ‘সনাতন হিন্দুধর্মকে কলঙ্কিত’ করার অভিযোগও তোলেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা শেয়ার ও প্রসার করতে থাকে (West Bengal Police)।

    প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ও তাদের মিত্ররা মিথ্যা ও সংকীর্ণ কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। তাদের বক্তব্য ভুল উদ্ধৃতির ওপর গড়ে তোলা মিথ্যার স্তূপ। তাদের বিশ্বাস করবেন না। তারা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, যা সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে (Peace Appeal)।” মুর্শিদাবাদের হিংসায় স্থানীয় মুসলিমদের একাংশের হাত রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রায় সকলেই মুসলমান। দুই প্রতিমা শিল্পী খুনে মূল চক্রী জিয়াউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেও মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ফাটল ধরে, তাই আওড়েছেন মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, দাঙ্গা হিন্দু বা মুসলমান কারও দ্বারা সৃষ্টি হয় না—দাঙ্গা সৃষ্টি করে অপরাধীরা।” সমালোচকদের মতে, এটি তাঁর তোষণমূলক রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ (West Bengal Police)।

    ভোটব্যাংকের স্বার্থেই তোষণের রাজনীতি!

    এই ভোটব্যাংকের স্বার্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির জন্য দায়ী স্থানীয়রা নয়, বহিরাগতরা। তিনি বলেন, “দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা সর্বদা বাইরে থেকে এসে চলে যায়। কিছু বহিরাগতকে বিশ্বাস করবেন না যারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা সৃষ্টি করে।” অথচ ঘটনা হল, মূল চক্রী জিয়াউল বাইরের কেউ নন, তিনি মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ভোটব্যাংকের রাজনীতির কূট চাল ধরে ফেলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁদের সাফ কথা, মুর্শিদাবাদে হিংসার মূল হোতা ছিল স্থানীয় মুসলিমরাই। মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত এই মন্তব্য ও এই বৈপরীত্য সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে তাঁর ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে তা আরও প্রচার করে (Peace Appeal)।

    দলদাস পুলিশের (West Bengal Police) কবে সম্বিত ফিরবে? প্রশ্ন বিরোধীদের।

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা কবলিত সামশেরগঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি এদিন পৌঁছে যান জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতেও। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার সহ হিন্দু সমাজের উদ্দেশে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে। আমরা পাশে আছি। প্রয়োজনে আবার আসব।’’ এই সময়েই জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার দাবি করে, ‘‘বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই।’’ এজন্য তাঁরা নিজেরাও জমি দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। সুকান্ত মজুমদার আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumder) কাছে পেয়ে নিগ্রহ, ঘরছাড়ারা এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনলে শিউরে উঠবেন। সারা রাত তাণ্ডব চলেছে। ঘর বাড়ি সব শেষ কিচ্ছু নেই। কী করে বাঁচব আমরা?’’ পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমরা কেঁদে কেঁদে মরে গিয়েছি। পুলিশ সব জানে, তাও পুলিশ একটি বারের জন্যও আসেনি। আমরা যখন মারা যাব, তখন কি পুলিশ আসবে।’’

    কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) তাঁদের আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।’’ সংবাদমাধ্যমের সামনে সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘চিফ সেক্রেটারিকে আমি নিজে আমার প্যাডে চিঠি লিখব, যে ৫৬ খানা দোকানের মালিককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা হয়। মূর্তি-বিগ্রহ ভাঙা হয়েছে। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে পারে না, নিজের ধর্মকেও সম্মান করেনা।’’

    প্রসঙ্গ এনআইএ তদন্ত

    সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, ‘‘আমরা জনগণের দাবির সঙ্গে আছি। কিছু লোক এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতে গিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখ এখন আদালতের দিকে। যদি কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয়, তাহলে সরকার তা অনুসরণ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে তাদের (ভুক্তভোগীদের) ফেরত পাঠানোর হয়। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরেধিতায় মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ হিংসা ছড়ায় (Murshidabad Violence)। হাড়হিম করা ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সামশেরগঞ্জে ঘরছাড়া হতে হয় হিন্দুদের। মৃত্যু হয় তিনজনের। এই আবহে মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বিবৃতিতে ছড়ায় বিতর্ক। কখনও তিনি বলেন টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএএসএফ। কখনও আবার তাঁর মতে, হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। গত ১৯ এপ্রিল তিনি খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিজেপি ও তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএসও আছে। আমি আগে আরএসএসের নাম নিইনি। কিন্তু এবার বলতে বাধ্য হচ্ছে যে রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্য়ার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে।’’

    কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে নিশানা করেছেন তাঁর এমন মন্তব্যের জন্য। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য ইতিহাস তাঁকে কখনও ক্ষমা করবে না। এই ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মমতা। মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে বিজেপি, আরএসএস-কে নিশানার জবাবে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি বার্তার নামে ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    এক্স মাধ্যমে মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)

    মমতাকে কড়া আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এ নিয়ে এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি নীরবতা এবং প্রতিটি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত আজ বাংলার মানুষের সামনে আপনার আসল চেহারাটি উন্মোচিত করেছে। আপনি যেভাবে অতীতে বারবার আবেগ দিয়ে খেলা করেছেন, আপনার সুচতুর অভিনয় সত্ত্বা দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন, এবারও আপনি সেই পুরনো কৌশলেই ফিরে গিয়েছেন। তবে এবার বাংলার মানুষ প্রস্তুত। তারা দেখছে, শুনছে, এবং বুঝে নিচ্ছে—কে তাদের পাশে, আর কে দাঁড়িয়ে আছে এক বিপজ্জনক মৌলবাদী রাজনীতির মঞ্চে।’’

    আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে

    সুকান্তর অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ভয়াবহ আক্রমণ ও দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুপ্রধান গ্রাম গুলি থেকে সিংহভাগ হিন্দু পরবার ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানে পুলিশ প্রশাসন মৌলবাদীদের দমন করতে পারত, সেখানে তারা নির্বিকার। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, বহু এলাকায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে! আপনার নির্দেশে পুলিশ পঙ্গু হয়ে থেকেছে। পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল এবং ভয়াবহ হওয়ার পরেও আপনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেননি। বরং আমরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা তৈরি করতে চেয়েছেন। কারণ হিন্দুদের ন্যূনতম সুরক্ষার চেয়ে আপনার কাছে আপনার সংকীর্ণ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি প্রিয়!’’

    হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়িতে আপনি একবারও যাননি

    মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘সম্প্রতি মালদার অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু উদ্বাস্তুদের এখন বলা হচ্ছে, তারা ‘অবৈধভাবে জড়ো হয়েছেন’! এই অমানবিক আচরণ কি শুধুই প্রশাসনিক ব্যর্থতা, না কি অত্যন্ত সচেতনভাবে এক তোষণনীতির অংশ? আপনি মুর্শিদাবাদে নিরীহ হিন্দু পিতা-পুত্রের (হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যাননি। কিন্তু একই সময়, আপনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে সমাবেশে ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমনাত্মক বক্তৃতা করলেন। পুনরায় সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালনা করার চক্রান্ত করলেন। এতেই প্রমাণ হয়ে যায়— আপনার কাছে প্রাধান্য পায় কোন রাজনীতি! বাংলার হিন্দুরা আজ উপলব্ধি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিনিধি নন—তিনি একজন নির্বাচিত পক্ষপাতদুষ্ট রক্ষক।’’

    ভোটব্যাঙ্কের জন্য তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ

    মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ এনে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক প্রতিনিধি মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে গেলে পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হন। আজ প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ হয়ে গেছে এই সরকার আক্রান্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় না, বরং প্রকৃত সত্যকে আড়াল করাই তাদের উদ্দেশ্য। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের সমানাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এই সরকার একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাংকের তুষ্টি নীতিকে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।’’

    ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘হিন্দুদের ধর্মীয় অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতি—সবকিছুকেই আজ রাজনৈতিক স্বার্থের বলি করা হচ্ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনি যতই সুর পাল্টান, যতই ‘শান্তির বার্তা’ প্রচার করুন—আপনার কার্যকলাপ এবং প্রশাসনিক আচরণ আজ সম্পূর্ণ উল্টো ছবি এঁকে প্রমাণ করে দিয়েছে আপনার মুখোশ উন্মোচিত। আজ বাংলার হিন্দুরা জানে, তারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘তারা জানে, এই তোষণের অন্ধকার রাজনীতি (Murshidabad Violence) থেকে মুক্তির একমাত্র পথ—সত্য প্রকাশ এবং প্রতিরোধের রাজনীতি। সম্পূর্ণ বাংলা আজ জেগে উঠেছে। ইতিহাস আপনার তোষণ ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে, এবং হিন্দুরা এই অত্যাচারের ইতিহাস কখনও ভুলবে না। সুতরাং, আপনার এই বার্তা কেবলমাত্র মুখ লুকোনোর একটি দুর্বল প্রচেষ্টা মাত্র। ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’’

  • Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় (Murshidabad Violence)। ওই ঘটনায় বিজেপি-আরএসএসকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন (Murder Case) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদ এলাকায় খুন করা হয়েছিল হিন্দু প্রতিমা শিল্পী বাবা ও ছেলেকে। ওই ঘটনায় ‘মূল চক্রী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই হিন্দু খুনের মূল চক্রী তিনিই।

    ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’! (Murshidabad Violence)

    জিয়াউল গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেত্রী যে ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’ খাড়া করতে চেয়েছিলেন, তারও পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে জিয়াউলের গ্রেফতারির পর। মমতা স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী। সেই পুলিশই বলছে, ধৃতের বাড়ি শামসেরগঞ্জ থানার সুলিতলা এলাকায়। খুনের ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুই হিন্দু খুনের ঘটনায় এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। জানা গিয়েছে, বাবা-ছেলে খুনে ধৃত তিনজকে জেরা করে পুলিশ জিয়াউলের নাম জানতে পারে। তার পরেই ওই রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জিয়াউলকে। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।

    বহিরাগত তত্ত্ব আওড়ানোর কারণ

    জিয়াউলের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইনজামাম হক নামে একজনকে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবা-ছেলে খুনের পর ঘটনার অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বহিরাগত তত্ত্ব আওড়াচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আঙুল তুলেছিলেন বিএসএফ, বিজেপি এবং আরএসএসের দিকে। যেহেতু তিনি পুলিশ মন্ত্রী, তাই পুলিশি ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে (Murshidabad Violence)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসবই তিনি করেছেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের দিকে তাকিয়ে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জিততে তৃণমূল নেত্রীর প্রয়োজন সংখ্যালঘুদের সব ভোট। সেই (Murder Case) কারণেই তিনি ‘মিথ্যা’র আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের (Murshidabad Violence)।

LinkedIn
Share