Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ‘মাফলারের পর এবার হাওয়াই চটির পালা’, নাম না করে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মাফলারের পর এবার হাওয়াই চটির পালা’, নাম না করে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আগামীদিনে জেলে কে ঢুকবে আর কে ঢুকবে না তা জানি না। তবে, কর্মরত মুখ্যমন্ত্রী যে গ্রেফতার হতে পারেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলেন কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নিশ্চয়ই আগামীদিনে তিনি গ্রেফতার হবেন।’ শুক্রবার রাতে বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি আরও বলেন, ‘যতই কর কান্নাকাটি, মাফলারের পর এবার হাওয়াই চটির পালা। হাওয়াই চটি রেডি হয়ে যাক।’ মূলত, নাম না করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সুকান্ত তোপ দেগেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    রাজ্যের ক্যাবিনেট মিটিং জেলে হতে পারে! (Sukanta Majumdar)

    গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি পঞ্চায়েতের বসাকপাড়া এবং শুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপাড়ায় কর্মীসভা করেন সুকান্ত। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলীয় নেতা প্রদীপ সরকার, গৌতম রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থী বলেন, ‘কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর অনেকের খুব কষ্ট হচ্ছে বলে শুনছি। দোষ করলে শাস্তি তো পেতেই হবে। আইন সবার জন্য সমান।’ আগামীতে দেশে অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে কি? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নিশ্চয়ই আগামীদিনে তিনি গ্রেফতার হবেন।’ কেজরিওয়ালের জেল থেকে সরকার চালানো প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী জেল থেকে সরকার চালাচ্ছেন এমন দৃশ্য হয়তো বিরোধীদের সৌজন্যে দেখতে হতে পারে। এরপর হয়তো পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ক্যাবিনেট মিটিং জেলে হচ্ছে, এমনটাও দেখতে হতে পারে।’

    কেন্দ্রের পাঠানো ৬৪ কোটি টাকা কোথায় গেল?

    এদিনের নির্বাচনী সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগের সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁত শিল্প অধ্যুষিত বসাকপাড়া এলাকার কর্মীসভা থেকে গঙ্গারামপুরে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সাংসদ হওয়ার আগে গঙ্গারামপুরে তাঁত শিল্পের উন্নয়নে ৬৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, সেই টাকা কোথায় গেল, আমরা কেউ জানি না। আগামীদিনে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অধিকার ফেরাতে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কার ক্যাম্পে ব্যাপক সাড়া

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অধিকার ফেরাতে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কার ক্যাম্পে ব্যাপক সাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শিবির করে জনজাগরণের কাজ করছেন বিজেপির নেত্রী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়াল। উল্লেখ্য গত সপ্তাহে শিবির করেছেন তিনি। ফের একবার আজ শনিবার আইনি সহায়তা দিতে সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে একটি ক্যাম্প করেন। এলাকার শত শত মানুষ নিজেদের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন এই ক্যাম্পে। তাদের এইসব অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষ নিজেদের অভিযোগ জানিয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। 

    এলাকায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজদের দৌরাত্ম্যে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। জোর করে জমি দখল, বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সম্পত্তি দখল, এককথায় সব কিছু করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এলাকার মানুষ কোনও সমস্যার সমাধান পাননি। এবার এই বিজেপি নেত্রীর ক্যাম্পে এলাকার মানুষের নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছেন। ফলে লোকসভার আগে এই এলাকার হওয়া যে ঘুরছে, সেই কথা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন। 

    ক্যাম্পে ছিলেন ২০ জন আইনজীবী (Sandeshkhali)

    গতকাল ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি নেত্রী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন। এই ক্যাম্পে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ সংগ্রহ করেন তাঁরা। সারা দিনে এই ক্যাম্পে প্রচুর মানুষ নিজেদের অভিযোগ লিখিয়েছেন। এলাকার মানুষ ছোট ছোট টোকেন লিখে ক্যাম্পে এসে লাইন দিয়েছেন। এই শিবিরকে ঘিরে মানুষের এখন ব্যাপক আশা। 

    আরও পড়ুনঃ দেবের সামনেই ভোটের প্রচারে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোন্ডগোল

    কী বললেন প্রিয়াঙ্কা?

    আজ শনিবার এই ক্যাম্পে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। যাঁরা যাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সকলেরই জমি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sandeshkhali) জোর করে দখল করে নিয়েছে। এখনও বহু জমি তৃণমূল নেতাদের দখলেই। এই ক্যাম্পে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই সমস্ত অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা আকারে জমা করা হবে। এখানকার মানুষের প্রধান ভরসাস্থল হলাম আমরা। আমরা মানুষের অধিকার নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “শাহজাহানের ঘনিষ্ঠরা অত্যন্ত প্রভাবশালী”, আদালতে বললেন সিবিআই-এর আইনজীবী

    Sandeshkhali: “শাহজাহানের ঘনিষ্ঠরা অত্যন্ত প্রভাবশালী”, আদালতে বললেন সিবিআই-এর আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ ও তাঁর ভাই শেখ আলমগীর- সহ নয় জন অভিযুক্তকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। এরপর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহান, মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সর্দারকে আরও ছ’ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়। তবে সিবিআইয়ের এই আবেদনের বিরোধিতা করে জামিনের দাবিতে  আবেদন করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী? (Sandeshkhali)

    জামিনের ঘোর বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘জিয়াউদ্দিন মোল্লা, দিদার বক্স মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জি,শেখআলমগীর, সিরাজুল মোল্লারা শেখ শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওদেরও সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। জামিনে ছাড়া পেলে মামলার নথি, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে।’ এরপর বিচারক শেখ শাহজাহান, মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সরদারকে আরও ছ’ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এছাড়াও দিদার বক্স মোল্লা ও জিয়াউদ্দিন মোল্লার চার দিনের সিবিআই হেফাজত, শেখ আলমগীর ও মাফুজার মোল্লার ন’ দিনের সিবিআই হেফাজত ও বাকি অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান গ্রেফতার, শোরগোল

    শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পরই ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতার করে সিবিআই

     গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাইকোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। হিসাব মতো, শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে তৎপর হয়েছে সিবিআই। পর পর দু’দিন তারা সন্দেশখালিতে গিয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দিন শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকা কার্যত চষে ফেলেছে। এমনকী, ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এরপরই শাহজাহানের ভাই আলমগীর সহ বাকি অভিযুক্তদের ইডি হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান গ্রেফতার, শোরগোল

    Bankura: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান গ্রেফতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুর ব্লকের শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সেখ সিরাজউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হল। নিজের সরকারি পদ ব্যবহার করে স্ত্রীকে বেনিয়মে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি রাজ্য পুলিশের সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন। শুক্রবার বাঁকুড়া তোলা হলে বিচারক ২৭ মার্চ পর্যন্ত সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    কী অভিযোগে গ্রেফতার? (Bankura)

    স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাতিল হওয়া প্যানেলের ভিত্তিতে নিজের স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে ২০১৯ সালে বেআইনিভাবে প্যানেলভুক্ত করে চাকরি পাইয়ে দেন তৎকালীন শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিন। পরে, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিআইডি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ নাগাদ বাঁকুড়ার ধরেই ইন্দপুর ব্লকের ভাতড়া শ্রীদুর্গা একটি বিদ্যায়তন হাইস্কুল থেকে সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষিকা জেসমিন খাতুনকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, স্ত্রীর গ্রেফতারির আগে থেকেই শেখ সিরাজউদ্দিন নিজের আগাম জামিনের চেষ্টা চালান। তবে আদালতে তা মঞ্জুর না হওয়ায় তিনি আত্মগোপন করেন বলে খবর। অন্যদিকে, এ সবের মধ্যেই শালডিহা কলেজের একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক শুরু হলে নড়েচড়ে বসে সিআইডি। অভিযুক্ত শেখ সিরাজউদ্দিনকে সিআইডি গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী রবীনকুমার দে বাঁকুড়া (Bankura) আদালত চত্বরে বলেন, ‘বেআইনিভাবে কে নিজের স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনের নামে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই তদন্তভার নেয় সিআইডি। এবার অভিযুক্তকে সিআইডি গ্রেফতার করে। শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। আদালত পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তের খবর পেয়ে দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন মন্ত্রী। রাত ১০টা ৪০ নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বের হন ইডি (ED) আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ইডি আধিকারিকরা কী করলেন তা নিয়ে শনিবার জেলাজুড়ে জোর চর্চা চলছে। জানা গিয়েছে, ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    মন্ত্রীর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে কী পেল ইডি? (ED)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোজা বীরভূমে অনুব্রতের গড়ে হানা দেয় ইডি (ED)। ইডি সূত্র অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে ইডির হাতে ধৃত তৃণমূল প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকেই বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের কাছ থেকে ১০০ জনের নাম লেখা তালিকায় ছিল তাঁর নামও। তালিকায় থাকা এই ১০০ জন শিক্ষক নিয়োগের নামে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত বলে কুন্তল ইডির কাছে বয়ান দেয়। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নিচুপট্টির বাড়িতে সকাল ৮টা ৪০ নাগাদ পৌঁছে যান ইডির ৮ থেকে ১০ জনের আধিকারিক দল। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয়বাহিনী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একাধিক নথিপত্র পরীক্ষা করে কিছু কিছু বাজেয়াপ্তও করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে একদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হতে পারে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম পেয়েই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর ছেলে ও স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এদিন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে জমির দলিল ও বেশ কিছু নথিপত্র এবং নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। সেগুলি কীসের, তা খতিয়ে দেখবে ইডি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন মন্ত্রী?

    ইডি (ED) বোলপুরের বাড়িতে হানা দেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুরারইয়ে গ্রামের বাড়িতে। ইডি হানার খবর পেয়ে দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ বোলপুর এসে পৌঁছন। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। মুরারই থেকে বোলপুর আসতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু মন্ত্রী প্রায় ৫ঘণ্টা পর এলেন কেন? মন্ত্রী এই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমাকে যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে,আমি সেসবের উত্তর দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia:  লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purulia: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির যুবনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর থানার জোড়থল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হরনাথ মণ্ডল (২২)। বাড়ির কাছের একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোটের মুখে দলের যুবনেতাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, মৃত হরনাথ দলের যুবমোর্চার মণ্ডল সম্পাদক ছিলেন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন? (Purulia)

    দলের যুবনেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে যান পুরুলিয়ার (Purulia)  বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও বিভাগ আহ্বায়ক বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী-সভ অন্য নেতারা। তাঁরা মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের বাবা মনসারাম মণ্ডল বলেন, ‘আমার ছেলে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে কাজ করত। বাড়ি থাকলে বিজেপির সঙ্গে ঘোরাঘুরি করত। আজ সকালে গলায় গামছা জড়ানো মৃত অবস্থায় ছেলেকে পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে ছেলের মৃত্যু হয়েছে, জানি না। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’ মৃতের ভাই শচীন মণ্ডল বলেন, ‘গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দাদার দেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃতদেহের অবস্থান দেখে আমাদের অনেক কিছু সন্দেহ হচ্ছে। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত জমির দলিল-নথিপত্র

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “হরনাথ আমাদের দলের যুব সংগঠনে নেতা ছিলেন। দলের হয়ে ভালো কাজ করছিলেন। স্থানীয় মানুষের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, হরনাথের মৃত্যুর ঘটনাটি আমাদের কাছে অত্যন্ত সন্দেহজনক। ভোটের আগে আমাদের যুব নেতাকে খুন করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। আমরা অতীতে বহুবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” শাসকদল তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুরুলিয় (Purulia) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তাই বলে যে কোনও ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানো উচিত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গোঘাটে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর

    Hooghly: গোঘাটে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই জেলায় জেলায় শাসক দলের অত্যাচার এবং আক্রমণের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভোটের প্রচারে জনসংযোগে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল বিজেপি কর্মীদের। গৃহসম্পর্ক অভিযান চলাকালীন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গোঘাট ১ ব্লকে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পুর নির্বাচনে শাসক দলের দ্বারা জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণের খবর সর্বত্র আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) আক্রান্তদের মধ্যে একজন বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মালিক। তিনি বলেন, “আমরা এলাকায় কিছু বাড়িতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে গেলে কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী আমাদের আক্রমণ করে। প্রথমে কিল, ঘুষি এবং এরপর লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে।” যদিও ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় (Hooghly) বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রাজু রানা বলেন, “তৃণমূলের কিছু গুন্ডা, দুষ্কৃতী সদলবলে আমাদের বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে। তিন-চারজন দলের কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে বড় আন্দোলন করব।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনার কথা ভিত্তিহীন জানিয়ে জেলা (Hooghly) তৃণমূলের পক্ষ থেকে সঞ্জিত পাখিরা বলেন, “বিজেপি যখন প্রচার করেছে সেই সময় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা দেয়নি। আমরা খবর পেয়ে এলাকার মানুষকে আটকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ, শাহজাহানের ফাঁসির দাবি

    Sandeshkhali: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ, শাহজাহানের ফাঁসির দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা। জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের লাল কাছারি এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মহিলারা। আজ হাইকোর্টের নির্দেশে পরিদর্শনে যান বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্মী ভারতী ঘোষ। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। তাঁদের সামনে রেখে এলাকার মানুষ এদিন আন্দোলনে শামিল হন। শাহজাহানের ফাঁসি চেয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন এলাকার মানুষ। 

    টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের অভিযোগ, মানুষের জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করত তৃণমূলের নেতারা। রাত ১২ টার সময় এলাকার বাড়ির বউদের দিনের পর দিন পার্টি অফিসে আটকে রেখে তৃণমূল নেতাদের সব রকম চাহিদা মেটাতে বাধ্য করা হত। এই অত্যাচারের প্রধান মাথা ছিলেন শেখ শাহজাহান। তাঁর সঙ্গে ছিল শিবু-উত্তম-সিরাজ-আলমগীর সহ আরও অনেক নেতা। একই ভাবে জোর করে চাষের জমি দখল করে নিয়ে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন এই তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদে আজ এলাকার মানুষ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। আজ এই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেয় বিজেপি। উত্তেজিত মানুষকে সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে যেন সকলে নিজের নিজের অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    ৫ জানুয়ারি ইডির উপর আক্রমণ

    গত ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির আধিকারদের উপর আক্রমণ করে শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। ঘটনার ৫৬ দিনের পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। উল্লেখ্য আজ সন্দেশখালির ঘটনায় শেখ শাহজাহান, শেখ আলমগীর, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, মাফুজার মোল্লা, সিরাজুল মোল্লা সহ মোট ৯ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত দিনহাটা! পার্টি অফিসে ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    Cooch Behar: ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত দিনহাটা! পার্টি অফিসে ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা (Cooch Behar)। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং দলীয় পতাকা ও ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় বসে অবস্থান-বিক্ষোভ করল বিজেপি। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে নিজেদের ক্ষোভকে প্রকাশ করলেন বিজপি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ব্লকের শালামারা এলাকায়। উল্লেখ্যে, রাজ্যপাল গত বুধবার কোচবিহারে গিয়ে একাধিক এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা কবলিত মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। গুন্ডা এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যে নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার আবেদন জানিয়েছেন।

    ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে এগারোটায় (Cooch Behar)

    গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটায় শালমারা (Cooch Behar) বাজার সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলার চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ সকাল থেকে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মীরা। সেই সঙ্গে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিজেপিকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি কর্মী তরণীকান্ত বর্মণ বলেন, “অপরাধীদের শাস্তি না হলে আমরা অবস্থান থেকে যাবো না।” পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    উত্তপ্ত দিনহাটা

    জানা গিয়েছে, কোচবিহার লোকসভার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক গতকাল নিজের মনোনয়ন জমা করেছেন জেলা শাসকের দফতরে। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের আশ্রিত তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে নিশীথের উপর। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। নির্বাচনে হিংসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। রাজ্যের ডিজির কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন। কিন্তু এই আবহের মধ্যেই দিনহাটা ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী নিশীথের সমর্থনে লাগানো পোস্টার, ফ্লেক্স, পতাকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে দেয়। ফলে প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ করলে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আগের দিন করা রাস্তা, টান দিলেই পিচ উঠে যাচ্ছে চাদরের মতো! ব্যাপক বিক্ষোভ

    Dakshin Dinajpur: আগের দিন করা রাস্তা, টান দিলেই পিচ উঠে যাচ্ছে চাদরের মতো! ব্যাপক বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতে করা রাস্তা সকালেই দফারফা। রাস্তার উপরে দেওয়া পিচ টানলেই উঠে আসছে। এলাকার মানুষের দাবি, নোংরা-আবর্জনার উপরে করা হয়েছিল ম্যাস্টিকের রাস্তা। তার ওপর তা করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের ২ নম্বর করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাহিট এলাকায়। পূর্ত বিভাগে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান আধিকারিক। এরপর সরকারি গাইডলাইন মেনে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন দফতরের আধিকারিক।

    কোন রাস্তায় চলছিল কাজ (Dakshin Dinajpur) ?

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশমণ্ডি ব্লকের চৌপতি থেকে মহিপাল পর্যন্ত ম্যাস্টিক রাস্তার কাজ চলছিল। নাহিট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে রাতের বেলায় ব্রিজের উপর রাস্তার কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা বানানোর পর পিচ টানলেই চাদরের মতো উঠে যাচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখান। এলাকার মানুষের প্রতিবাদের ফলে সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কার গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটল, তার জবাবদিহি চান এলাকার বাসিন্দারা। এই নিয়ে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মানুষের মুখে মুখে ঘুরতে থাকে দুর্নীতির কথা।

    গ্রামের মানুষের অভিযোগ

    এলাকার (Dakshin Dinajpur) মানুষের অভিযোগ, “গতকাল সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় জল, আবর্জনার স্তূপ ছিল। এগুলির উপরেই পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়। ফলে পিচে হাত দিলে উঠে যাচ্ছে। ঘটনা জানাজানি হতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর আমরা তাঁকে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাই।”

    পূর্ত দফতরের বক্তব্য

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) পূর্ত দফতরের আধিকারিক বলেন, “ঘটনার কথা জানতে পেরে আমি নিজেই এসেছি। সবটাই খতিয়ে দেখছি। রাস্তার প্ল্যান যে ভাবে করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। আপনারা আমাদের উপর ভরসা রাখুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share