Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Heatwave: কলকাতায় ৩৮ ডিগ্রি! আগামী ৩ দিন তাপপ্রবাহ দক্ষিণবঙ্গে, সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

    Heatwave: কলকাতায় ৩৮ ডিগ্রি! আগামী ৩ দিন তাপপ্রবাহ দক্ষিণবঙ্গে, সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র-আগামী ৩ দিন তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করবেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের অনেকাংশ জুড়ে প্রবল গরম পড়বে। মধ্য ও পশ্চিম উপসাগরীয় এলাকায় সবথেকে বেশি গরম পড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। 

    গরমে কী কী হতে পারে

    কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। ওই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ঘর বা অফিস থেকে বাইরে বেরোতে মানা করা হয়েছে। এই তাপপ্রবাহের কারণে শিশু, বৃদ্ধ, যাঁদের রোগব্যাধি রয়েছে, এ রকম কিছু মানুষজনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা ভারী কাজ করেন, তাঁদেরও সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। গরমে র‌্যাশ হতে পারে। হাতে-পায়ে টান ধরতে পারে।

    সুস্থ থাকতে কী করবেন

    তাপপ্রবাহ যখন চলবে, তখন বেশিক্ষণ বাইরে না থাকাই উচিত। হালকা সুতির জামা পরা দরকার। কোনও কাপড় বা টুপি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা উচিত। সারা দিনে প্রচুর পরিমাণ জল পান করা উচিত। তেষ্টা না পেলেও জল খাওয়া প্রয়োজন। হাওয়া অফিসের আরও পরামর্শ, দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ওআরএস, লস্যি, ঘোল, ছাঁচ, লেবু-জল পান করা উচিত। প্রখর রোদের মধ্যে কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। বাইরে রোদের মধ্যে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের বার বার বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কলকাতায় ৩৮ ডিগ্রি!

    প্রতিদিনই বাড়ছে গরম। চলতি সপ্তাহে ৩৮ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার পারদ। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তিও থাকবে গরমের সঙ্গে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত নেই। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৩৪ থেকে ৯২ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৮ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। 

    আরও পড়ুন: ভ্যাপসা গরমে ঘামে নাজেহাল! কোন ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে রাখলে সুস্থ থাকবে শরীর?

    ভোটের সময় তাপপ্রবাহ

    সামনেই লোকসভা ভোট। এপ্রিল-মে মাসে যখন সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে তখনই নির্বাচন। তাই এই সময় সতর্ক থাকার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। কার্যত প্রবল গরমের মধ্য়ে ভোটদান প্রক্রিয়াকে একেবারে স্বাভাবিক করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। আইএমডি ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, দেশের বড় অংশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে। এপ্রিল-জুন মাসে এই পরিস্থিতি থাকবে। মধ্য ও পশ্চিম উপসাগরীয় অঞ্চলে মারাত্মক গরম পড়তে পারে। সেই সঙ্গেই আবহবিদ জানিয়েছেন, রাজস্থান, মধ্য়প্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ওড়িশা এপ্রিল-মে জুন মাসে তাপপ্রবাহ হতে পারে। ৮-১০ দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ বইতে পারে। কিন্তু এবার এই তাপপ্রবাহ স্বাভাবিকের থেকে বেশি দিন ধরে হতে পারে। তাপপ্রবাহ নিয়েও সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Summer Vacation: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

    Summer Vacation: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে বলাই যায়। রাজনৈতিক উত্তাপও বেড়েছে ভোটবঙ্গে। লোকসভা ভোটের কারণে তাই রাজ্যের স্কুলগুলিতে (Summer Vacation) এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। পাশাপাশি বাড়ল ছুটির পরিমাণও। চলতি বছরে গরমের ছুটি থাকবে ২২ দিন। ৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই গরমের ছুটি থাকবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, ৯ মে থেকে গরমে ছুটি পড়ত। কিন্তু এবার ছুটি তিনদিন এগিয়ে এল। এই ছুটি কার্যকর হবে বাংলার সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে।

    সাধারণভাবে গরমের ছুটি ১০ দিনের থাকে, বেড়ে হল ২২ দিন

    সাধারণভাবে গরমের (Summer Vacation) ছুটি ১০ দিনের থাকে। এবার তা বেড়ে ২২ দিনের হচ্ছে। অর্থাৎ ১২ দিন বাড়ল গরমের ছুটি। তার কারণ অবশ্যই লোকসভা ভোট। কারণ প্রতিটা স্কুলেই ভোট কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরা ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। তাই গরমের ছুটিও বাড়িয়ে দেওয়া হল।

    ভোটের কারণে স্কুল ছুটি

    ইতিমধ্যে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে (Summer Vacation), ভোটের জন্য ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে স্কুল বন্ধ থাকবে ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটের কারণে।

    ভোটের কারণে এগিয়ে আসে মাধ্যমিকও

    তবে ভোটের কারণে শুধুমাত্র স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি (Summer Vacation) বাড়ল তাই নয়। চলতি বছরে মাধ্যমিকের দিনক্ষণও এগিয়ে আনে পর্ষদ। ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা। ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের খাতা দেখার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে রেজাল্ট তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবারের মতো মে মাসেই প্রকাশিত হবে ফল।

    আগেভাগে গরমের ছুটি ঘোষণায় কী বলছে শিক্ষক সংগঠন?

    তবে গরমের ছুটি আগেভাগে ঘোষণা করার (Summer Vacation) ফলে অনেক রকমের মতও উঠে এসেছে। যেমন শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী এ বিষয়ে জানিয়েছেন, এক মাসেরও বেশি সময় পরে আসতে চলেছে ৬ মে। তাই এখন থেকে এইভাবে নোটিশ দেওয়াটা বাস্তবসম্মত নয় বলেই মনে করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ঝড়ে গুরুতর আহতদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হল কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: ঝড়ে গুরুতর আহতদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হল কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সঙ্কটজনক রোগীর উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা উত্তরবঙ্গের কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেই। তাই জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে ঝড়ে জখমদের চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা বলতে হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

     কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Jalpaiguri)

    রবিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়িতে ঝড়ের তাণ্ডবে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। সেই শহর বিধ্বস্ত এলাকা দেখতে রবিবার রাতেই চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে  বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে। সরকারের তরফে সব দেখা হচ্ছে। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে নেউটিয়া নার্সিংহোমে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, আমাদের সাধারণ বিমান”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    উত্তরবঙ্গে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি, মানলেন মুখ্যমন্ত্রী

     বেসরকারি হাসপাতালে জখমদের ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই বক্তব্যে স্পষ্ট, গত ১৩ বছরে রাজ্যের  সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির যে কথা বলা হয় তা প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল ও বিজেপি। তাদের কথায়, উন্নয়নের নামে ঝাঁ-চকচকে বিল্ডিং হয়েছে। কিন্তু, সেখানে না আছে ডাক্তার, না আছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। ফলে, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় সঙ্কটজনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া যে কোনও উপায় নেই তা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। এবার প্রকাশ্যে তা স্বীকার করলেন।

     কী বলছে বিজেপি?

    দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিদায়ী  সাংসদ এবারও বিজেপির প্রার্থী যথাক্রমে রাজু বিস্তা ও ডাঃ জয়ন্ত রায় বলেন, ৫৫ বছরের পুরানো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর মুখ্যমন্ত্রী ভরসা রাখতে পারছে না। তাহলে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে কী কাজ করেছেন। অথচ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরির জন্য কেন্দ্র টাকা দিয়েছিল। সেই টাকায় বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জামও এসেছে। কিন্তু, রাজ্য সরকার চুক্তি মতো ডাক্তার দিতে পারেনি। নানা অজুহাতে সেই সুপার স্পেশালিটি ব্লক এখনও চালু করতে পারেনি। জয়ন্ত রায় বলেন, কারও কারও বাণিজ্য করার জন্যই এই সুপার স্পেশালিটি ব্লক পুরোপুরি চালু করা হচ্ছে না।

    মিথ্যার ফানুস ফেটে গিয়েছে, তোপ শুভেন্দুর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে বলেন, গত ১৩ বছর ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের রাজত্বে মালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি বেহাল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ কোথাও নিউরো সার্জেন নেই। তাই অনেক হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টার খোলা হলেও সেখানে চিকিৎসা হয় না। তবু মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের নেতারা প্রচার করেন, রাজ্যে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ময়নাগুড়ির ঘটনায় সেই মিথ্যার ফানুস ফেটে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ফের ইডি হেফাজতে শাহজাহান, সন্দেশখালিতে কী চলত, আদালতে বলল তদন্তকারীরা

    Sheikh Shahjahan: ফের ইডি হেফাজতে শাহজাহান, সন্দেশখালিতে কী চলত, আদালতে বলল তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali) আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে টাকার বিনিময়ে সেই জমি অন্যদের ব্যবহার করতে দিতেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। নগদ অর্থের বিনিময়ে বেনামে জমি ব্যবহার করা হত। আদালতে সোমবার এই কথা জানায় ইডি। সেই কালো টাকা সাদা করতে মাছের ভেড়ির ব্যবসা চলত। তাই  দেশের স্বার্থে, সন্দেশখালির মানুষের স্বার্থে শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলার আরও গভীরে পৌঁছতে চায় ইডি। এদিন ইডির সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

    কী বলল ইডি

    সোমবার শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করার পর, ইডির আইনজীবীরা তুলে ধরেন কী কী চলত সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali)। আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, জমি ও মাছের ভেড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, সেখানে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছিল, যার কিংপিন বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শাহাজাহান। সঙ্গে আরও অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান ইডির আইনজীবী। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ নিজেদের ভেড়ির মালিক দেখিয়েও উপার্জন করেছেন বলে দাবি ইডির। তাদের আরও দাবি, জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করা হত। টাকাটা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসাবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের মেয়ে শেখ সাবিনার নামাঙ্কিত। ইডির দাবি, চিংড়ি বেচা-কেনা করে দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    শাহজাহানের ‘ফাঁসি’র দাবি

    আদালতের লকআপে প্রবেশের সময় ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে হোঁচট খান শাহজাহান। এ দিকে সে সময় আইনজীবীদের একাংশ তাঁর ফাঁসি চেয়ে স্লোগান তোলেন। তাঁকে দুষ্কৃতী বলেও তোপ দাগেন। স্লোগান দেওয়া আইনজীবীদের এক জন বলেন, “শাহজাহান(Sheikh Shahjahan) যা করেছেন, তাতে ফাঁসিও ওঁর শাস্তির জন্য যথেষ্ট নয়।” সোমবার আদালতে ইডি দাবি করে, কিছু নথি দেখিয়ে জেরা করার সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন শাহজাহান। প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়াও তদন্তে বেশ কয়েকটি নতুন নাম উঠে এসেছে। ইডির আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা না হলে, যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা পালিয়ে যেতে পারেন বা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন। সব কথা শুনে আদালত এদিন ইডির দাবি মেনে শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে পাঠানোর কথা জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গত পাঁচ বছরে সংসদে প্রথম স্থান সুকান্তর, এডিআরের রিপোর্টে সর্বাধিক প্রশ্ন তাঁর

    Sukanta Majumdar: গত পাঁচ বছরে সংসদে প্রথম স্থান সুকান্তর, এডিআরের রিপোর্টে সর্বাধিক প্রশ্ন তাঁর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এডিআর। এই তালিকায় সেরা ১০ জন সাংসদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এখানে বলা হয়েছে সারা দেশে প্রশ্ন করার তালিকায় প্রথম হয়েছেন এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি। তিনি সংসদে প্রশ্ন তালিকায় ফাস্ট বয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কেন্দ্র বালুরঘাট থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নির্বাচনে জয় বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

    এডিআর কী বলেছে (Sukanta Majumdar)?

    এডিআর অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে গত পাঁচ বছরে পারফরম্যান্সে কেমন ছিল। কোন সাংসদ কত প্রশ্ন করেছিলেন, তার সাপেক্ষে সারা দেশে কার্যত শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সংসদে মোট ৫৯৬ টি প্রশ্ন করেছেন। এই পাঁচ বছরে মোট ৫০৫ জন সাংসদ, মোট ৯২২৭১টি প্রশ্ন সংসদে তোলেন। এই ১০ জন সাংসদের মধ্যে সুকান্ত ছাড়া বাংলার আর কেউ কোনও সাংসদের নাম নেই। ঠিক তার পরেই রয়েছেন সুধীর গুপ্তা। তিনি অবশ্য মধ্যপ্রদেশের সাংসদ। এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। এই এডআরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই পাঁচ বছরের সব থেকে বেশি প্রশ্ন এসছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ বিষয়ে। ঠিক তার পরে পরে রয়েছে কৃষি সংক্রান্ত প্রশ্ন। এছাড়াও রয়েছে রেল, শিক্ষা এবং পরিবেশ বিষয়। উল্লেখ্যে আগেও সুকান্তকে সেরা সাংসদ সম্মানের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সবটা মিলিয়তে ভোটের আবহে সুকান্তের খাতায় ক্রেডিট পয়েন্ট আরও যুক্ত হল।

    আরও পড়ুনঃ ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    তপনে আজ প্রচারে সুকান্ত

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আজ নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বালুরঘাটের তপনে নির্বাচনী প্রচার করেন। এলাকার অলিগলিতে পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলার অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক। সকল কর্মীদের মধ্যে ভোটের প্রচারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। কর্মীদের মধ্যে একটাই শ্লোগান ছিল, রাজ্যের দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়তে কেন্দ্রের মোদি জির হাত শক্ত করুন। তাঁর জয় নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীরা দারুণ আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ক্ষতিপূরণের আর্জি, রাজ্যপালের পা জড়িয়ে ধরলেন ঝড়ে সর্বহারা এক মহিলা

    CV Ananda Bose: ক্ষতিপূরণের আর্জি, রাজ্যপালের পা জড়িয়ে ধরলেন ঝড়ে সর্বহারা এক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি কোলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় আসেন। সেখান থেকে সড়কপথে সোজা জলপাইগুড়ির সেন পাড়ায় মৃত অনিমা বর্মনের বাড়িতে যান। সেখানে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তারপর তিনি চলে আসেন ময়নাগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা বার্ণিশে। সেখানে প্রশাসনের তরফে  করা ত্রাণ শিবিরে যান। সেখানে ত্রাণ শিবিরে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কি প্রয়োজন, কী কী সমস্যা রয়েছে সেই কথা জিজ্ঞাসা করেন তিনি।

    ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    ক্ষতিগ্রস্তদের কথা মন দিয়ে শোনেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তাদের সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ত্রাণ শিবির থেকে বেড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে যান। বেশ কয়েকটি বাড়িতে যান তাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনের তরফে কেউ এসেছিল কিনা জিজ্ঞাসা করতে রাজ্যপালের কাছে তাঁরা অভিযোগ করেন। তখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কেউ আসেনি। ঝড়ে মৃত এক ব্যক্তির আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে তার পা জড়িয়ে ধরেন দীপিকা রায় নামে এক মহিলা। তাঁর কাছে আর্তি জানান, তাঁরা যাতে তাদের ক্ষতিপূরণ পান। ঝড়ে তাদের ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে গেছে। ঘড়ের আসবাবপত্র সব কিছু ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। রাজ্যপাল তাদের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপরেই তিনি চলে যান রাজারহাট এলাকায় মৃত এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় তাদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল?

    এরপর তিনি জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চলে যান আহতদের দেখতে। সেখানে আহতদের দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা আহতদের কী অবস্থা রয়েছে সেই কথা জানতে চান। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পরিদর্শন সেরে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, দূর্গতদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar Storm: ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    Alipurduar Storm: ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar Storm) ঝড়ে তছনছ হয়ে উড়ে গেল গোটা বাড়ি। একই ভাবে ঝড়ে দাপটে কোচবিহারে বিঘার পর বিঘা ফসলের জমি নষ্ট হয়ে গেল। গতকাল রবিবার দুপরের পরে ঝড়ে টিনের তৈরী বাড়িকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। দিনমজুর-কৃষকেরা মাথায় ছাদ হারালেন। এই ঝড়ে জলপাইগুড়িতেও সাধারণ মানুষের জনজীবন ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।

    মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়ে তছনছ (Alipurduar Storm)!

    রবিবার বিকেলে ঝড়ের (Alipurduar Storm) তাণ্ডবে আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই জেলার আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের তপসিখাতা গ্রাম। ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে টিনের তৈরি বাড়ি। মাথার উপর টিনের ছাদ না থাকায় দিন মজুরের পরিবার ভীষণ চিন্তিত। বাড়িতে রয়েছে তিনজন পড়ুয়া। তাদের বেশীর ভাগ বই পত্র ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। একই ভাবে ঝড়ের সঙ্গে হওয়া বৃষ্টির জলে জামা কাপড়, খাতা-বই সব ভিজে গিয়েছে। রান্নাঘর যেন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

    মাথাভাঙায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar Storm) মতো একই ভাবে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকায়। এলাকায় বেশ কিছু মানষ আহত হয়েছেন। রবিবার বিকেল ৫ টার সময় মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের শিকারপুর, কুরশামারি, এলঙমারি-সহ একাধিক জায়গায়র উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। জানা গিয়েছে মোট ২০০ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এলাকায় কোনও বিদ্যুৎ নেই। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। রাতেই এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক।

    খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির

    ঘূর্ণিঝড়ের (Alipurduar Storm) ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে কুমারগ্রামের উত্তর হলদিবাড়ি, ফালাকাটার জটেশ্বর এলাকায়। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। অনেক টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। ভুট্টার ফসলের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন কী কুমার গ্রামে রীতিমতো ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আশ্রয় নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি ব্যাপক খারাপ। মৃত্যু হয়েছে প্রচুর গবাদি পশু। এলাকার গাছ ভেঙে পড়েছে। উল্টে পড়ে রয়েছে গাছ। কয়েক মিনিট ঝড়ে প্রাণ কেড়েছে মানুষের। বার্নিশ গ্রামে ২ জন, জলপাইগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সেন পাড়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে গুয়াহাটি বিমান বন্দরের ছাদের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। ৬ টি বিমান অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কর্মীর বা়ড়িতে বিজেপি প্রতিনিধি দল, পাশে থাকার বার্তা

    South 24 Parganas: তৃণমূলের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কর্মীর বা়ড়িতে বিজেপি প্রতিনিধি দল, পাশে থাকার বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেলারামপুর। চলেছিল গুলি, আর সেই গুলিতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন বিজেপির অন্ধ ভক্ত সমর্থক সাইরাজ মোল্লা (২৫)। অভিযোগের তির ছিল শাসকদলের দিকে। এই ঘটনার পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় বেশ কয়েকজন। বাড়িতে রয়েছে বিজেপি কর্মীর  স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির বর্তমান লোকসভার প্রার্থী অশোক পুরকাইত,অগ্নিমিত্রা পল সহ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান এবং বহু এলাকার মানুষ।

    হাসপাতালে একমাস লড়াই করার পর মৃত্যু (South 24 Parganas)

    ঘটনার পর পরই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল আহতের বাড়িতে আসেন। জখম বিজেপি কর্মীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল থেকে কলকাতা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে থাকেন সাইরাজ। প্রায় এক মাস ধরে লড়াই করা পর সোমবারই সবই শেষ। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় প্রচুর মানুষ ভিড় করতে থাকেন। বিজেপি কর্মীর দেহ খেলারামপুরে বাড়িতে আনার আগেই মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাইত  সহ বিজেপি নেতৃত্বরা সেখানে হাজির হন। তবে, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এলাকায়। মৃতের পরিবার সহ এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের এলাকায় ছবি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। সাইরাজের অকাল মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ এলাকা। বিজেপি লোকসভার প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাইত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের সুন্দরবন জেলার (South 24 Parganas) সভাপতি তথা মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই বেদনাদায়ক। আমরা সমবেদনা জানাই ওর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে। তবে বিজেপি অহেতুক এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। এই জিনিসটি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করেছে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: শওকত মোল্লার ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত খোদ বিধায়ক! তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: শওকত মোল্লার ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত খোদ বিধায়ক! তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চরম অস্বস্তিতে শাসক দল। রবিবার কাছারি মাঠে জয়নগর লোকসভায় কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে কর্মী সভায় দেখা গেলনা গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলকে। একই ভাবে তাঁর অনুগামীদের এদিন সভায় দেখা যায়নি। যদিও তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন নিজের অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু দলেরই একাংশের মতামত দলীয় কোন্দল হল এখানে প্রধান সমস্যা। ঘটনায় বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে।

    শওকত মোল্লার নেতৃতে সভায় কোন্দল (South 24 Parganas)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব ক্যানিং-এর বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে এদিন দলীয় কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় তৃণমূল প্রার্থী নিজে ছিলেন। এই সভায় বক্ল তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের আহ্বানে ৮-৯টি পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী এবং অঞ্চল সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গোসাবা (South 24 Parganas) বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত বালি ১, বালি ২, গোসাবা, বিপ্রদাসপুরের পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অত্যন্ত স্পষ্ট হয়েছে একথা তৃণমূলের একাংশের মানুষ মনে করছেন। অবশ্য গোসাবা অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের এই কর্মী সম্মেলনে ডাকা হয়নি তাই আসিনি। বাকিদের কথা বাকিরাই বলতে পারবেন।” যদিও শওকত মোল্লা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ ছিলেন। তবে অনিমেষ বলেছেন, “সকলকে আসতে বলা হয়েছে। কেউ না আসলে আমার কিছু বলার নেই।”

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে জয়নগর কেন্দ্রের (South 24 Parganas) তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল বলেন, “দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। আমার সঙ্গে সকলে প্রচারে অংশ গ্রহণ করছেন। কোথাও কোনও রকম সমস্যা নেই। সকলের একটাই লক্ষ্য কত বেশি মার্জিনে প্রার্থীদের জয় করা যায়।” কিন্তু প্রার্থীর এই মন্তব্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্র আলাদা, ঠিক এমনটাই মনে করছে বিজেপি। 

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপন জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। জয়নগর (South 24 Parganas) জেলার বিজেপির মুখপাত্র সঞ্জয় নায়েক বলেন, “গোসবায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সকলেই অবগত। ভাগ নিয়ে ওদের গোলমাল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: খালিস্তানি বিতর্ক! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সেনগুপ্ত

    Suvendu Adhikari: খালিস্তানি বিতর্ক! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সেনগুপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত একটি মামলা সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যের ওই আবেদন তিনি শুনবেন না। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির এজলাসে ওই মামলাটি পাঠিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, খালিস্তানি বিতর্কের জেরে শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আবেদনটি যায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের কাছে। তবে এফআইআর সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলির শুনানি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে হবে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করতে হাইকোর্টের অনুমতি লাগবে

    গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে পুলিশের সঙ্গে বচসার মাঝে খালিস্তানি মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সে সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানিয়েছিলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করতে গেলে আগে হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলায় এফআইআর করছে রাজ্য, এমনটাই অভিযোগ ছিল বিজেপি শিবিরের। সেই মর্মে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু।

    খালিস্তানি বিতর্কের এফআইআর দায়ের হয় ভবানীপুর থানায়

    আদালতের কাছে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আবেদন জানান, তাঁর নামে দায়ের হয় এফআইআর গুলি খারিজ করা হোক অথবা মামলার তদন্ত সিবিআই করুক। তখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, খলিস্তানি বিতর্কে জেরে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share