Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Shahjahan Sheikh: আদালতের নির্দেশ অমান্য! শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Shahjahan Sheikh: আদালতের নির্দেশ অমান্য! শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপরেও পুলিশে মামলাতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে ভৎর্সনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে সন্দেশখালির এই মামলাটির শুনানি ছিল। এদিন পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এই খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)।

    ২০১৯ সালে খুন ৩ বিজেপি কর্মী 

    মৃতদের পরিবারের পক্ষে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘‘এই মামলাতে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। এখনও কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, এটা তার নমুনা।’’ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘সাক্ষীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।’’ তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি ঠিক করবেন, কে বিশ্বাসযোগ্য আর কে বিশ্বাসযোগ্য নয়?’’ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে সন্দেশখালিতে খুন হন তিন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়।  কিন্তু পুলিশ শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি, সেই অভিযোগ নিয়েই নিহতদের পরিবাররা হাজির হয় হাইকোর্টে। সোমবার আদালতে এই মামলার আইনজীবী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। এতেই ক্ষুদ্ধ হন বিচারপতি। এই মামলা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, ‘‘হাইকোর্ট ট্রায়াল সহ যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তারপরেও কিভাবে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ?’’ এ প্রসঙ্গে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আদালতে নির্দেশ অমান্য করার কারণে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে আমি আদালত অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব।’’ জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, আমাদের সাধারণ বিমান”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, আমাদের সাধারণ বিমান”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ের পর বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পাশে থাকার বার্তা দেন। আর লোকসভা ভোটের মুখে রাতে তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জলপাইগুড়িতে পৌঁছে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    প্রায় ৮০০ বাড়ি ধ্বংস! (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে। কারণ, রাজনৈতিক কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা এই মুহূর্তে নির্বাচনী বিধির আওতায় পড়ছেন। তাই ইচ্ছা থাকলেও বিশেষ কিছু করতে পারবেন না। কাল থেকে ওখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী এবং জেলার কর্মীরা কাজ করছেন। নির্বাচনী বিধি মাথায় রেখে আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর দ্রুততার সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারের পাশাপাশি ত্রাণ কাজও চালিয়েছে। জলপাইগুড়িতে প্রায় ৮০০ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাড়িগুলি টিন দিয়ে তৈরি ছিল। এই সময়ে সরকারের উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কারণ, বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার আদর্শ আচরণবিধির আওতায় পড়ে না।

    ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, আমাদের সাধারণ বিমান, তোপ শুভেন্দুর

    জলপাইগুড়ির ঝড়ে প্রাণহানির খবর পেয়ে রবিবার রাতেই সেখানে পৌঁছে যান মমতা। মমতা রবিবার রাত সাড়ে ৯টার পর চার্টার্ড ফ্লাইটে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। আর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছেন সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ। অর্থাৎ, তাঁদের যাত্রার সময়ের ব্যবধান প্রায় ১৩ ঘণ্টা। এ প্রসঙ্গে সোমবার সকালে বিমানবন্দর থেকে শুভেন্দু বলেন, “ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। আমাদের সাধারণ বিমান, যখন সময় হবে, আমি যাব। মমতার দ্রুত যাওয়া নিয়ে নির্বাচনী বন্ডের প্রসঙ্গও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “তৃণমূল তো নির্বাচনী বন্ড থেকে অনেক টাকা পেয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ডিয়ার লটারি দিয়েছে ৬০০কোটি টাকা। ভোররাতে, মাঝরাতে যখন খুশি চার্টার্ড ফ্লাইটে ওঁরা যেতে পারেন। তবে আমি তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, মাল নদীতে হড়পা বানের সময়ে যদি ওঁর এইতৎপরতা দেখতে পেতাম, তা হলে ভাল লাগত। তা হলেবুঝতাম আপনি রাজধর্ম করছেন, ভোটধর্ম করছেন না।”বাগডোগরায় নেমে শুভেন্দু আর এক প্রস্থ কটাক্ষ করেন মমতাকে। বলেন, “রাতে কী কাজ? ওঁর এত তাড়াহুড়ো করার কী ছিল? মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, হাসপাতালে যাওয়া- এগুলো তো উনি সকালেও করতে পারতেন, যেমন রাজ্যপাল করেছেন। দুর্গাপুজোর সময়ে মালবাজারে যা হল, তখন উনি কোথায় ছিলেন?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপন জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপন জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার করা হয়েছে চায়ের দোকানদার সইফুদ্দিন মোল্লাকে। তাকে আজ বসিরহাট আদালতে পেশ করে গোপন জবানবন্দী নেওয়ার আবেদন করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এরপর একাধিক শাহজাহান অনুগামী এবং দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    সইফুদ্দিনকে বসিরহাট মহকুমা কোর্টে তোলা হয় (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে সরবেড়িয়ায় প্রথমে আটক করা হয় এবং পরে বক্তব্যে অসামঞ্জস্য থাকায় গ্রেফতার করা হয় চায়ের দোকানদার সইফুদ্দিন মোল্লাকে। ইডির তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ এবং এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈটি করার অভিযোগ ছিল তার উপরে। একই সঙ্গে শেখ শাহজাহান ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল এই অভিযুক্ত ব্যক্তি। সিবিআই আধিকারিকেরা তাই গ্রেফতারের পর বসিরহাট মহকুমা আদালতের নিয়ে যান তাকে। তার ১৬৪ গোপন জবানবন্দী দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে নেজাট থানার পুলিশ আরও সাতজনকে গ্রেফতার হয়েছিল। তারা এখন সবাই সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। তাদের সঙ্গে এই সইফুদ্দিনের কোনও যোগসূত্র ছিল কীনা সেটা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।

    আরও পড়ুনঃ রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, হল যোগদানপর্ব

    ৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল

    রেশন দুর্নীতি তদন্তে আগেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক সম্পত্তি। এবার এই রেশন দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেন-দেনের যোগ সূত্র মিলেছে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে। প্রয়োজনীয় তথ্য মেলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার বাড়িতে তাল্লাশি করতে গেলে ইডির অফিসারদের উপর আক্রমণ করা হয়। তিন জন তদন্তকারী অফিসারের মাথা ফাটানো হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে পালাতক হন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। এরপর পর কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। গোটা ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: সৌগতর সভায় গরহাজির নেতারা! ভোটের মুখে খড়দায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    Khardah: সৌগতর সভায় গরহাজির নেতারা! ভোটের মুখে খড়দায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমদম লোকসভার খড়দা (Khardah) বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশলের থেকে খড়দার গোষ্ঠী কোন্দল মেটানো এখন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত খড়দার ক্ষেত্রে লড়াইটা এবার যত না বেশী বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে, তার থেকেও বেশি তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের! আর এটাই এখন তৃণমূলের প্রার্থীর কাছে মস্তবড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত (Khardah)

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অধীন খড়দায় (Khardah) দলের কোন্দল মেটা তো দূরে থাক, উল্টে যত দিন যাচ্ছে তত বেআব্রু হচ্ছে কোন্দল। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপির শীলভদ্র দত্ত যখন খড়দহে চুটিয়ে প্রচার সারছেন তখন তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত। দলীয় প্রার্থী সৌগত রায়কে নিয়ে কে কোথায় প্রচার করবেন, দেশের সরকার নির্বাচনে খড়দায় প্রচারের রণকৌশল কী হবে সেদিকে যেন কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই স্থানীয় স্তরের নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশের। প্রার্থী হিসেবে সৌগত রায়ের ভূমিকা কি, কি ই বা ভূমিকা স্থানীয় বিধায়ক তথা কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলেরই একাংশ। দিন কয়েক আগে রহড়া বাজারে দলীয় একটি সভায় স্থানীয় এক নেতার সঙ্গে মঞ্চে বিতর্কে জড়ান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: “গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি”, বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা

    সৌগত রায়ের সভায় গরহাজির একাধিক নেতা

    কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীকে তোলা চেয়ে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের কোন্দল। সেখানে একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল। তারও কয়েক মাস আগে খড়দহ গ্রামীণ এলাকায় দুপক্ষ নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের একটি হোটেল মালিকের কাছে তোলা চেয়ে না পেয়ে সেখানে ঢুকে মারপিট এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূলের এক নেতার ভাই ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। সেটিতেও প্রতিবাদের সুর শোনা গিয়েছিল শোভনদেবের গলায়। পরিস্থিতি যা তাতে খড়দা (Khardah) শহর এবং গ্রামীণ উভয় এলাকাতেই তৃণমূলের প্রতিপক্ষ এখন তৃণমূলই। মিটিং মিছিল থেকে দলীয় সভায় লোক হাজির করাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম অবস্থা! রবিবার খড়দহ রবীন্দ্রভবনে দলের প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে একটি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানেও দলের কতিপায় কাউন্সিলর যেমন গরহাজির ছিলেন, তেমনি গ্রামীণ এলাকার কয়েকজন নেতাকেও সেখানে দেখা যায়নি।

    কী বললেন সৌগত?

    গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে  সৌগত রায় বলেন, ‘ কারও কারও অভিযোগ আছে। ইতিমধ্যেই দু তিন বার তাদের নিয়ে বসেছি এবং অনুরোধ করেছি। রবিবারের মিটিংয়েও কেউ কেউ অনুপস্থিত ছিল। আবার ওদের সঙ্গে বসবো এবং ওদের বোঝাবো নির্বাচনটা একটা আলাদা প্রেক্ষিত। এখানে ব্যক্তির কোনও বিষয় নেই, দলের বিষয় থাকে’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: সিঙ্গুরের তৃণমূলে বিরাট ধস! ২০০ জন কর্মী লকেটের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Singur: সিঙ্গুরের তৃণমূলে বিরাট ধস! ২০০ জন কর্মী লকেটের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারের আবহেই হুগলিতে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন। রবিবার সিঙ্গুরে (Singur) তৃণমূলনেত্রী প্রতিমা দাস এবং তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে পদ্মশিবিরে পতাকা নিয়ে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঙ্কার দেন প্রতিমা। অবশ্য এই ঘটনায় তৃণমূল খুব একটা চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছে জেলা তৃণমূল।

    পশ্চিম বারুইপাড়ায় যোগদান মেলা (Singur)

    গতকাল রবিবার সিঙ্গুরের (Singur) পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকায় বিজেপির তরফ থেকে আয়োজিত যোগদান মেলায় তৃণমূল থেকে আগত কর্মীদের বিজেপির পদ্ম আঁকা পতাকা তুলে দেন লকেট। সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে প্রতিমা হলেন সিঙ্গর পঞ্চায়েত সমিতির দুই বারের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারুইপাড়া পলতাগড় এলাকার তৃণমূল কর্মী প্রদীপ দাস, শুকদেব দাস, রূপশ্রী পাত্র-সহ আরও অনেকে যোগদান করলেন। ওই দিন যোগদান পর্বের আগে পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকার কালীমন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী লকেট।

    কী বললেন লকেট?

    হুগলি (Singur) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজ প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী এবং সিপিএম কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। প্রত্যেকেই নরেন্দ্র মোদির কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজেপিতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এই যোগদানে মহিলাদের একটা বড় সংখ্যা ছিল। সংগঠন আরও শক্তিশালী হল। তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষের মনে জাগরণ ঘটিয়েছে।”

    প্রতিমার বক্তব্য

    বিজেপিতে যোগদান করে প্রতিমা এদিন বলেন, “তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার, বগটুইয়ের গণহত্যা সব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ আমি বিজেপিতে যুক্ত হয়েছি। তৃণমূলে থাকার সময়েও আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু এই লড়াইয়ে একা ছিলাম। সুশাসনের কামনায় বিজেপিতে যোগদান করলাম।” তবে এই প্রতিমা সিঙ্গুরের (Singur) মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী ছিলেন। প্রতিমা ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমিতির সভাপতি এবং ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সহকারী সভাপতি ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপান জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির এই যোগদান সভাকে ঘিরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর (Singur) ব্লক সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ বলেন, “প্রতিমা আগে দলে থাকেলও সম্প্রতি তাঁর কাজ দলে সক্রিয়তা ছিল না। সেই জন্য দল গতবারের পঞ্চায়েতে টিকিট দেয়নি। ফলে তাঁর না থাকা তৃণমূলে কোনও প্রভাব ফেলবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, হল যোগদানপর্ব

    Sukanta Majumdar: রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, হল যোগদানপর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন যিনি জয় শ্রীরাম ডাক শুনতে পারতেন না, তিনি এখন রামনবমী ছুটি দিয়েছেন। কথায় বলে ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনওদিনই পূরণ হবে না, হতে পারে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। বালুরঘাটের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় এসে এইভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।  

    তৃণমূল ছেড়ে প্রায় আড়াইশো জন কর্মীর বিজেপিতে যোগদান (Sukanta Majumdar)

    এদিনের নির্বাচনী প্রচার সভায় আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূলের প্রায় আড়াইশো জন কর্মী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। মূলত, এদিন বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় একটি যোগদান কর্মসূচি ও একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভাতে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, তৃণমূলের থেকে কর্মীদের মোহভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে, এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ভোটের মুখে দলে দলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে নাম লেখাচ্ছেন। এতে আমাদের সংগঠন আরও অনেক মজবুত হল। আগামীদিনেও আরও বহু তৃণমূল কর্মী আমাদের দলে যোগদান করবেন। মানুষ তিতি বিরক্ত। তৃণমূলের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের সঙ্গে কেউ আর থাকতে চাইছে না।

    আরও পড়ুন: “গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি”, বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই কটাক্ষককে উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন , সুকান্তবাবু শিক্ষিত অধ্যাপক, তিনি মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা কাম্য নয়। পাশাপাশি বাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বামেরা বিজেপিকে সাহায্য করছে, তা জানি। তবে, যত সংখ্যা বলছেন, তত সংখ্যায় যোগদান করেনি। মাত্র কয়েকজন যোগদান করেছেন। তৃণমূল থেকে কেউ যোগদান করেনি। ওরা মিথ্যা দাবি করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: “গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি”, বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা

    Jalpaiguri: “গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি”, বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের সামনে দেখলাম, ধুলোয় ধুলোয় এলাকা ঢেকে গেল, চোখের সামনেটা অন্ধকার হয়ে এল। মূহূর্তের মধ্যে ঘরের বাড়ির আশপাশের বড় বড় গাছ, সুপারি গাছ ভাঙতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ি ও আশপাশের সব গাছ ভেঙে যাচ্ছে, দেখতে পাচ্ছি। ঝড়ের তান্ডবের পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ির বার্ণিশ গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন।

    হাওয়ার দাপটে ঘরের চাল উড়ে গেল (Jalpaiguri)

    গ্রামের (Jalpaiguri) এক বাসিন্দা ঘটনার সময় মাঠে ছিলেন। তিনি বলেন, প্রথমে হালকা হাওয়া হচ্ছিল। মাঠের গরু-ছাগল সব বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। আচমকাই প্রচণ্ড হাওয়া সঙ্গে ধুলো উড়ছিল আশপাশে। এ রকম হাওয়া আগে কোনও দিন দেখিনি। শুধু কি হাওয়া! সঙ্গে বিকট শব্দ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, পাহাড় ভেঙে যেন আমাদের দিকে তেড়ে আসছে। বৃষ্টি হচ্ছিল না, শুধু প্রচণ্ড হাওয়া বইছিল। মানে, যেন উড়িয়ে নিয়ে যাবে! বেশ ভয় হচ্ছিল তখন।  নিজের ঘরে আশ্রয় নিয়েও পার পেলাম না। ঘরের টিনের চালের উপরে ভেঙে পড়ল পাশের একটা বড় গাছের ডাল। এর পরে ঘরের সব টিন উড়ে গেল। সে কী শব্দ! আমার মাথায় ও ঘাড়ে ঘরের একাংশ ভেঙে পড়ল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি বলতে পারেন। প্রায় কুড়ি মিনিটের মধ্যে ঘর-বাড়ি সব ভেঙে গেল চোখের সামনে।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির ঝড়ে নিহতদের প্রতি শোক বার্তা মোদির, বিজেপিকে পাশে থাকার পরামর্শ

    প্রাণ বাঁচাতে খাটের তলায় আশ্রয় নিই

    বার্ণিশ অঞ্চলের বাসিন্দা ভবেন রায় কোনোক্রমে প্রাণে রক্ষা পান। তিনি বলেন, তখন বিকেল সাড়ে তিনটা, দুপুরের আহার সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে মাঠে  যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেড় হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই প্রবল জোড়ে  আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু নিমেশেই বুঝতে পারি ঝড় আসছে। গোটা এলাকা অন্ধকার করে দিয়ে এলাকার গাছ, বাঁশ ঝাড় বাড়ি ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের গতি দেখেই হতচকিত হয়ে পড়ি। সম্বিত ফিরে পেতেই বাঁচার জন্য ফের বাড়িতে ঢুকে পড়ি। কিন্তু তাতেই নিস্তার পাইনি প্রকৃতির রোষ থেকে। ঝড়ের তান্ডবে আমার বাড়ির একটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে ঘরের ওপর। প্রাণ বাঁচাতে ঘরে ঢুকে খাটের তলায় আশ্রয় নিই। কিন্তু তাতেও রক্ষা পাইনি। গাছ পড়ায় বেশ আহত হয়েছি। ঝড় থামার পর যখন বাইরে বের হই তখন সব শেষ। গোটা এলাকা তখন চিনতে পারছি না। এলাকার ঘর বাড়ি গুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোনো বাড়ি ঘর আস্ত নেই। কারো বাড়ির টিন উড়ে গেছে, কারো বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে গেছে। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি উলটে গেছে। আশের পাশের ২০০ ও বেশী বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু আর্তনাদ কেউ গাছের তলায় চাপা পড়েছে কেউ আবার প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। কারও গায়ে আবার চালের টিন উড়ে এসে পড়েছে।

    ঝড়ের দাপটে ধান-ফসলের ক্ষতি হয়েছে

    পনেরো মিনিট ধরে ঝড় হয়। আর তারপরই গ্রাম জুড়ে শুধু চিৎকার-আর্তনাত। কারও মাথায় গাছের ডাল ভেঙে পড়েছ। কেউ আবার ঘরের একাংশ ভেঙে পড়়ায় জখম হয়েছেন। সবমিলিয়ে কে কাকে উদ্ধার করবেন তার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার কার্য শুরু করে। তবে, ঝড়ের তাণ্ডবে জমিতে ধান সব মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বেগুন ক্ষেত আর নেই, বিরাট ক্ষতি হয় চাষের জমিতে। ঝড়ের মধ্যেই গ্রামে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মানুষ জখম হয়েছে। ময়নাগুড়ি হাসপাতালে জখমদের ভিড় উপচে পড়েছে। অনেকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে চলবে ঝড়বৃষ্টি! বলছে হাওয়া অফিস, দক্ষিণে কী পূর্বাভাস?

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে চলবে ঝড়বৃষ্টি! বলছে হাওয়া অফিস, দক্ষিণে কী পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টি (Weather Update) চলতেই থাকবে। এমনটাই জানাল হাওয়া অফিস। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় আরও দু’দিন চলবে বৃষ্টি। সোমবার, ১ এপ্রিলও জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। মঙ্গলবারও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলতে পারে। তবে মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা কম বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বুধবার থেকে ফের একবার উত্তরের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে উত্তরের মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে সোম বা মঙ্গলবারে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস।

    দক্ষিণবঙ্গের খবর

    দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আপাতত কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বেশ কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া (Weather Update) শুকনোই থাকবে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকবে গরমও। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে আরও বেশ খানিকটা বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ বাংলার পশ্চিমের জেলাগুলিতে চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডিও পেরিয়ে যেতে পারে। বাঁকুড়ায় আগামী শনিবারের মধ্যে তাপমাত্রা হতে পারে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আচমকা ঝড় জলপাইগুড়িতে (Weather Update)

     রবিবারই বিকেলে জলপাইগুড়িতে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়ে যায়। মাত্র চার মিনিট স্থায়ী ছিল এই ঝড়। জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে এই ঝড়ের কারণে। পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক পেরিয়েছে। ঝড়ে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঘরহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের বাড়িঘর সমস্ত কিছু তছনছ করে দিয়েছে ৪ মিনিটের ঝড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri Storm: জলপাইগুড়ির ঝড়ে নিহতদের প্রতি শোক বার্তা মোদির, বিজেপিকে পাশে থাকার পরামর্শ

    Jalpaiguri Storm: জলপাইগুড়ির ঝড়ে নিহতদের প্রতি শোক বার্তা মোদির, বিজেপিকে পাশে থাকার পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হঠাতই ঘূর্ণিঝড়ে (Jalpaiguri Storm) লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন দুশোর বেশি মানুষ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান ও ধূপগুড়ি অঞ্চলে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপি নেতা-কর্মীদের দ্রুত বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা 

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Storm) ঘটনার খবর পেয়েই এক্স হ্যান্ডলে মোদি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় বহু পরিবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।” বঙ্গ বিজেপিকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার এবং ত্রাণকাজে নামার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি লেখেন, “রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করতে বলেছি।” 

    ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি

    রবিবার বিকেল সাড়ে ৩ টে নাগাদ জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri Storm) ঝড় শুরু হয়। মাত্র ১৫ মিনিটেই জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির বেশ কিছু এলাকা ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ময়নাগুড়িতে ৫০০ গ্রাম ওজনের শিল পড়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জনের৷ একাধিক জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে৷ পুলিশ, দমকল ও পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে৷ বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছ উপড়ে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অনেক জায়গায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রাজারহাট, বার্নিশ, বাকালি, জোড়পাকদি, মাধবডাঙ্গা এবং সাপ্তিবাড়ি। কয়েক একর কৃষি জমি এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পরই রাতে জলপাইগুড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

    আরও পড়ুন: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    জলপাইগুড়িতে রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও (CV Anand Bose) সোমবার জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Storm) উদ্দেশে রওনা হয়েছেন৷ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল৷ পাশাপাশি জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজভবনে একটি জরুরি সেলও খোলা হয়েছে বলে রাজভবনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ৷ জলপাইগুড়িকাণ্ডে যাবতীয় সাহায্যের জন্য অনুরোধও করেছেন করেছেন তিনি। উত্তরবঙ্গে আগামী দু’তিন দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vidyasagar: ‘‘কোনও স্ত্রীলোকের সতীত্ব…’’, নবাব সিরাজের মুখোশ খুলে লিখেছিলেন বিদ্যাসাগর

    Vidyasagar: ‘‘কোনও স্ত্রীলোকের সতীত্ব…’’, নবাব সিরাজের মুখোশ খুলে লিখেছিলেন বিদ্যাসাগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটবঙ্গে বিতর্ক জমে উঠেছে ‘নবাব বনাম রাজা’। বিতর্কের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর। একদল রাজার শিবিরে তো অপর দল নবাবের বাহিনীতে। ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবার থেকেই। রানি অমৃতা রায়কে। তৃণমূলের প্রার্থী হলেন সম্প্রতি ঘুষকাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার হওয়া সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রার্থী হিসেবে অমৃতাদেবীর নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূল শিবিরের নিশানায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। তিনি নাকি ব্রিটিশদের দালাল। এমনটাই দাবি ঘাষফুল নেতাদের। ভোট প্রচারে ৩১ মার্চ রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একই কথা বলতে শোনা যায় কৃষ্ণনগরে। পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় হয়। সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সামিল ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রও- এমনই দাবি তৃণমূলের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্যই নবাবকে নায়ক বানিয়ে রাজাকে ভিলেন বানাতে চায় তৃণমূল। কে নায়ক, কেই-বা ভিলেন সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আমাদের জানতে হবে, সিরাজউদ্দৌলা কি প্রকৃত উদার শাসক ছিলেন? মহানুভব নবাব ছিলেন? সর্ব-ধর্মসমভাব নীতিতে বিশ্বাসী রাখতেন? কী বলছেন ইতিহাসবিদরা? কী বলছেন বাঙলার মনীষীরা?

    পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কী বলছেন সিরাজ সম্পর্কে?

    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (Vidyasagar) তার বাঙ্গালার ইতিহাস গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে লিখছেন, ‘‘সিরাজউদ্দৌলা, সিংহাসনে অধিরূঢ় হইয়া, মাতামহের পুরাণ কৰ্ম্মচারী ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুষ্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাঁহার প্ৰিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল। তাহারা, প্ৰতিদিন, তাঁহাকে কেবল অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। ঐ সকল পরামর্শের এই ফল দর্শিয়াছিল যে, তৎকালে, প্ৰায় কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোনও স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই।’’ বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar) আরও সংযোজন, ‘‘রাজ্যের প্রধান প্রধান লোকেরা এই সমস্ত অত্যাচার সহ্য করিতে না পারিয়া তাহার পরিবর্তে অন্য কোনও ব্যক্তিকে সিংহাসনে বসাইবার চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন। তাহারা নিশ্চিত জানিতেন তিনি সিরাজউদ্দৌলার অপেক্ষা ভদ্র নহেন। কিন্তু মনে মনে এই আশা করিয়াছিলেন, আপাতত এই উপায় দ্বারা উপস্থিত বিপদ হইতে মুক্ত হইয়া পরে কোনও যথার্থ ভদ্র ব্যক্তিকে সিংহাসনে নিবিষ্ট করিতে পারিবেন।’’ বিদ্যাসাগরের লেখাতেই ষ্পস্ট সিরাজের শাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে উদগ্রীব ছিল বাঙালি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share