Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rachana Banerjee: ‘চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার’, রচনার বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড়

    Rachana Banerjee: ‘চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার’, রচনার বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছিল টাটা। নতুন করে বড় কোনও কারখানা গড়ে ওঠেনি হুগলিতে। আর সেই হুগলিতে প্রচুর কারখানা গড়ে ওঠার কথা বলেছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। যা সামনে আসতেই নেটিজেনরা তাঁকে ট্রোল করতে শুরু করেছেন। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্যে চারিদিকে হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Rachana Banerjee)

    হুগলি কেন্দ্রে এবার দুই তারকা দিদির লড়াই। রচনার (Rachana Banerjee) বিপরীতে ভোটের ময়দানে তাঁর পুরোনো বন্ধু, সহকর্মী বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে নেমেই পরপর হোঁচট খাচ্ছেন রচনা। কিছুদিন আগেই তৃণমূল প্রার্থীর একটি মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘হুগলির মানুষ খুব লাকি যে আমাকে দেখতে পাবে’, এই মন্তব্য নিয়ে সমাজের নানান স্তরে বিদ্রুপের মুখে পড়েছিলেন রচনা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে হুগলির শিল্প নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে অভিনেত্রী। রাজ্যে শিল্প নেই, লোকসভা ভোটে বিরোধীদের মূল হাতিয়ার এটি। অথচ রচনার চোখে হুগলিতে নাকি শিল্পের অভাব নেই! পরিস্থিতি এমন গোটা রাস্তা নাকি চিমনির ধোঁয়ায় ভরপুর। রচনা বলেছেন, ‘আমি যখন এলাম দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার। শুধু ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এত কারখানা হয়েছে, তাহলে কী করে বলছেন কারখানা হয়নি, হয়েছে আরও হবে।’

    আরও পড়ুন: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে নেটিজেনরা কটাক্ষ করেছেন

    তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যে নেটিজেনদের মধ্যে হাসির রোল, কটাক্ষের বন্যা বইছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘একটা কথা আপনি (Rachana Banerjee) শুধু ঠিক বলেছেন চারিদিক অন্ধকার’। অপর একজন বলেছেন, ‘দিদি গো ওটা তোমার দিদি নম্বর ১-এর চিমনির ধোঁয়া’। শুধু আম জনতা নয়, রচনার মন্তব্য ঘিরে নাম না করেই অভিনেত্রীকে একহাত নেন শ্রীলেখা মিত্র। তিনি লিখেছেন, ‘চোখ জ্বালা করছে ধোঁয়াতে। কী ধোঁয়া, কী ধোঁয়া’। অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক সরাসরি লেখেন, ‘রচনা ব্যানার্জি চারিদিকে এতো ধোঁয়াই ধোঁয়া দেখেছেন, গোটা অষ্টাদশ শতকের ইউরোপে শিল্প বিপ্লবে এতো ধোঁয়া উৎপাদন হয়নি’।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    রচনাকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এতদিন ওঁনাকে লোকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। এবার রাজনীতির ময়দানে এসে দেখুক, আমি ওঁনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি আমার ভালো বন্ধু, আমরা সবসময় বন্ধু থাকব’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Purba Bardhaman: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে। মঞ্চে মন্ত্রীর সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারিতে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Purba Bardhaman)

    লোকসভার প্রার্থীকে নিয়ে যুব তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ছিল মেমারি (Purba Bardhaman) শহরে। মেমারি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে নিয়ে কর্মী সম্মেলন করা হয়। মেমারি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাপানতলা‌য় এই কর্মী সম্মেলনে প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণী সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত সহ কাউন্সিলরবৃন্দ। সভার শেষ দিকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। একটি ভাইরাল ফুটেজে (যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা যাচ্ছে, জাতীয় সঙ্গীত একটা পর্যায়ে এসে শেষ হয়ে যায়। অসম্পূর্ণ অবস্থায় কোনওরকমে শেষ করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। বিষয়টি নিয়ে মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ নিজে মঞ্চে ছিলাম। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। এর জন্য আমরা অনুশোচনা প্রকাশ করছি। সকলের কাছে অনুরোধ, এটি যেন মার্জনার চোখে দেখা হয়। দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি খেয়াল রাখা সম্ভব হয়নি।’

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই নিয়ে শাসকদলের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তিনি বলেন, এইসব বয়স্ক লোকেরা ভুলভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন। এরা কী মানুষের কাজ করবেন? এরা কি জাতীয়তাবাদী মানুষ? এরা নির্বাচিত হয়ে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন? ভুলভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘ আমি ওখানে ছিলাম না। দলে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। জাতীয় সংগীত আমাদের গর্বের ব্যাপার। তবে, আজকাল বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যুগে অনেক কিছু ভাইরাল হয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় হানা দিল সিবিআই, করল পুনর্নির্মাণ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় হানা দিল সিবিআই, করল পুনর্নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে হানা দিল সিবিআই। মূলত ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এবার সিবিআই। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ২ জনকে নিয়ে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় যান তদন্তকারীরা। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই (Sandeshkhali)

    সোমবার রাতে রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ২ জনকে নিয়ে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রথমে বামনপুকুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় যান তাঁরা। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। এরপর সোজা আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটবিটপোল এলাকায় যান তাঁরা। রাতের অন্ধকারে একটি ভেড়ি এলাকায় গিয়ে সিবিআই ঘটনার পুণর্নিমাণ করে বলে খবর। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রায় ৫৫ দিন সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠরা। ইডির ওপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদের পাশাপাশি কোথায় কোথায় সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা আত্মগোপন করেছিলেন, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আর ধৃতরা কোথায় ছিল তা জানার চেষ্টা করে সিবিআই। তাদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সিবিআইয়ের নজরে পুলিশের ভূমিকা!

    রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান ইডি আধিকারিকরা। উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি। কিন্তু, ইডি এলাকায় পৌঁছতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আক্রান্ত হন খোদ ইডি আধিকারিকরা। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও নিস্তার পাননি। রীতিমতো প্রাণ হাতে নিয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। প্রথমে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান-সহ বেশ কয়েকজন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই। ১২ জানুয়ারি পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। কীসের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ইডি হামলার ঘটনায় ধৃতরা কী করেছিল তা জানতে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সবমিলিয়ে পুলিশের ভূমিকাও এখন সিবিআইয়ের নজরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    Firhad Hakim: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, ফিরহাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মারা যান ৯ জন। আহতও হন বহু। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে তা, মেয়রের খাস তালুক বলেই পরিচিত। ঘটনার পরে সোমবারই গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিজেপির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মেয়র।

    বিজেপির চিঠি

    মেয়র ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার পর পরেই বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত  সিইওকে চিঠি লেখেন। সেখানে শিশির লেখেন, ‘‘কলকাতা বন্দর এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণ বিধি অমান্য করেছেন। কলকাতা পুরনিগমের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড মেটিয়াবুরুজে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার ৪৮ ঘন্টাও অতিবাহিত না হতেই, ১৮৫এসি কলকাতা বন্দরের টিএমসি বিধায়ক (Firhad Hakim), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী এবং কেএমসির মেয়র ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’’ বিজেপি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছে, মেটিয়াবুরুজের কেএমসি ১৩৪ ওয়ার্ডে একটি বেআইনি ভবন ধসে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ফিরহাদ হাকিম দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্য সরকারের যেকোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতেই পারতেন। কিন্তু টিএমসির একজন রাজনৈতিক নেতা যিনি স্থানীয় বিধায়কও, তিনি কীভাবে এই ঘোষণা করছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।

    কমিশনের ব্যাখা

    বিজেপির অভিযোগ যে অযৌক্তিক নয়, তা কমিশনের ব্যাখাতেই পরিষ্কার। কমিশনের ব্যাখা হল, আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে পারেন না। অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিরা কোনও ধরনের ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করতে পারেন না। প্রয়োজন পড়লে মুখ্যসচিব বা কোনও অফিসারকে এই ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু এই কাজ আধিকারিকদের বদলে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিজে করলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে প্রথমদিন থেকে মেনে নিতে পারেননি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বিদ্রোহ সামাল দিতেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি। বহরমপুরের প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিলমোহর দিয়েছেন। সেই শীর্ষ নেতৃত্বকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে হুমায়ুন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউসুফের হয়ে তিনি প্রচার করবেন না। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বড় সংসারে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকে। আলোচনায় সবটা মিটে গেছে। দলের হয়ে সবাই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”

    ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না জট (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তিনটি লোকসভা আসনে তৃণমূলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব, বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। স্বাভাবিকভাবে তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং ভরতপুরে বিধায়ক হুমায়ুন। বহরমপুরের প্রার্থী পছন্দ-না হওয়ায় প্রথমে ওই দু’জনই দলের লোকসভা প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে প্রস্তুতি বৈঠক থেকে মুর্শিদাবাদের তাঁদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “যারা এখন বিদ্রোহ করছেন, তাঁরা যেন এটা ভুলে না-যান ২০২৬ সালে তাঁদেরও ভোট আছে।” সাংগঠনিক বৈঠক শেষে দলের জেলা চেয়ারম্যান নিয়ামত শেখ এবং বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে একটি বেসরকারি হোটেলে একান্তে বৈঠকও করেন ফিরহাদ। কিন্তু, সেই বৈঠক শেষেও দেখা গেল নিজেদের অবস্থানে অনড় দুই তৃণমূল বিধায়ক। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে কোনও ভাবেই তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দু’জন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “রাগ-অভিমান কারও ওপর করিনি। তাই সেটা ভঞ্জন হওয়ারও কারণ নেই। আমার কাছে অনেক ‘অফার’ রয়েছে। তবে অন্য কোনও দলে আমি যাব না। এই দলেই থাকব এবং এই দলেরই অন্যায় দেখলে, ভুল দেখলে প্রতিবাদ করব। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে আমি কখনও প্রচার করব না। অন্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার করব, না কি নিজের জন্যই প্রচার করব, সেটা সময় বলবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    Saumitra Khan: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। একেবারে হালকা মেজাজে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী। সোমবার ট্রেনে চেপে মশাগ্রাম যাওয়ার পথে প্রচার সারলেন। ট্রেনের ঝালমুড়ি কিনে খান। ঝালমুড়ি খেতে খেতে শুনলেন ট্রেন যাত্রীদের কথা। তিনি বলেন, “ট্রেনের টিকিট কেটে বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী বিধায়কের সঙ্গে সফর একটা আলাদা অনুভূতি।”

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী? (Saumitra Khan)

    এদিন বিধায়ক দিবাকর ঘরামি ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সোনামুখী স্টেশনে পৌঁছে গেছিলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র (Saumitra Khan)। অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটেন তিনি। স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষাও করতে দেখা যায় তাঁকে। ট্রেনে ওঠার পরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন সৌমিত্র। কেন্দ্রীয় সরকারে উন্নয়নের কাজগুলি তুলে ধরেন তিনি। সৌমিত্রর কথায়, “জনতা বলছে মোদি গ্যারান্টি।” আমরা বার বার বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছিলাম। মোদীজি গ্যারেন্টি দিয়েছিলেন মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া পর্যন্ত পৌঁছবে ট্রেন। সেই কথা রেখেছেন। আগামী ৩০ মার্চ হাওড়ার সঙ্গে মশাগ্রাম হয়ে বাঁকুড়ার রেল পরিষেবাকে যুক্ত করতে চলেছে রেল। এতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। আগামী পাঁচ বছরে বাঁকুড়ার রেল পরিষেবা নিয়ে আরও পরিকল্পনাও রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সোনামুখী-মশাগ্রাম ডবল লাইন করা। আর বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    যাত্রীরা কী বলেন?

    মনোজ সিনহা নামে এক যাত্রী বলেন, মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া ট্রেন চলাচল করলে আমাদের মতো বাঁকুড়াবাসীর অনেক সুবিধা হবে। সৌমিত্রবাবু (Saumitra Khan) আমাদের কাছে এসে আমাদের সমস্যার কথা জানতে চান। আমরা এলাকার কিছু সমস্যার কথা বলেছি। তিনি সব শুনেছেন। আমার মতো অনেক যাত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সাধারণ যাত্রীর মতোই লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Arambagh: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি

    Arambagh: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে (Arambagh) প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি। এই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এমনই চিত্র। আরামবাগে দেওয়াল লিখন নিয়ে টক্করে তৃণমূল -বিজেপির। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থী মিতালি বাগের নাম ঘোষণা করেছে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মোট সাতটি বিধানসভা রয়েছে। চারটি বিধানসভা রয়েছে বিজেপির দখলে,তিনটি রয়েছে তৃণমূলের দখলে।

    দেওয়াল লিখন-প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি (Arambagh)

    লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে আরামবাগ (Arambagh) কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। আর সেই দেওয়াল লিখন, প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো হাতের রং তুলি নিয়ে খোশ মেজাজেই ছুটছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এই মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমার অলিতে গলিতে যেদিকে ঘুরবেন বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল দেওয়ালে ফুটে উঠেছে। যদিও এখনও বিজেপির দলীয়ভাবে কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। একপ্রকার বলা যায়, নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির দেওয়াল লেখনে টক্কর দিচ্ছে তৃণমূলকে। রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় তৃণমূল থাকলেও একপ্রকার বলাই যায় আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র এখন বিজেপির দখলে। কারণ, এই লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে আরামবাগ মহাকুমার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভায় এখন বিজেপির দখলে। যার জেরে একপ্রকার তৃণমূল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। যদিও বিজেপির দাবি তারা ইতিমধ্যেই লোকসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশই দেওয়াল লিখন এর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

    আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    ১৬ হাজার দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ

    গেরুয়া শিবিরের দাবি, ইতিমধ্যে ১৬ হাজার দেওয়াল-লিখন হয়ে গিয়েছে। আরও হবে। ১০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে ‘সম্পর্ক স্থাপন’ও সম্পূর্ণ। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “দু’মাস সময় পাওয়ায় তৃণমূলের ফাঁকফোকর আরও বাড়বে। মানুষকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে যে সব ভুল ওরা বোঝাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা সঠিক তথ্য-সহ আরও প্রচারের সময় পাচ্ছি।” বিমানের দাবি, গত ৫ দিনেই ৭২টি পথসভা করা হয়েছে। তা ধারাবাহিকভাবে চলবে। দু‘মাস সময় পাওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে আরও জোর দেওয়া হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী  বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে হাজার পাঁচেক দেওয়াল-লিখন সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি আরও প্রায় হাজার দশেক দেওয়ালে রং হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে দেওয়াল লিখনে ভরে যাবে লোকসভা কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক জেলায় সংখ্যালঘুরা ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপিতে যোগদান করছেন। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দলীয় কর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।

    কেন বিজেপিতে? (BJP)

    সন্দেশখালি সহ নানা জায়াগায় মহিলাদের অসম্মান ও দলের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ‘ সোমবার বিজেপি’তে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু ছাত্র-যুব নেতা। বিজেপি জেলা দফতরে তাদের দলে যোগদান করান বিজেপি-র বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা। সোমবার দুপুরে ৫০ জন ছাত্র ও যুব নেতা তৃণমূল থেকে যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এদের মধ্যে আছেন বর্ধমান রাজ কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুরজ ঘোষ সহ অনেকে। বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা সুরজ ঘোষ বলেন, ‘চাকরির নামে দুর্নীতি। সব কিছুতেই দুর্নীতি তৃণমূলে। আত্মসন্মান নিয়ে তৃণমূল দলটা করা যায় না। তাই, আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতা সহ ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন। আগামীদিনে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন।’

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপি’র জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা জানান,’মোদিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এরা দলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের প্রতি তাঁরা তিতি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এরা এতই আগ্রহী ছিলেন যে তড়িঘড়ি এদের দলে নেওয়া হল। সামাজিক রাজনৈতিক কাজে এরা যুক্ত হবেন।’ দলবদলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ বলেন, যাদেরকে আমরা ছুঁড়ে ফেলে দিই, তাদেরকে বিজেপি (BJP) নিচ্ছে দলে। তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপির  বর্ধমান জেলায় কোন সংগঠন নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Laxmi Bhandar: কোড অফ কনডাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-জব কার্ডের ফর্ম ফিলাপ

    Laxmi Bhandar: কোড অফ কনডাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-জব কার্ডের ফর্ম ফিলাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার এই কমিশনের বিজ্ঞাপনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে সরকারি ফর্ম ফিলাপ। গত শনিবার থেকেই মডেল কোড অফ কনডাক্টকে উপেক্ষা করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জব কার্ডের জন্য প্রকাশ্যে করে চলেছে আবেদন পত্র গ্রহণ। ঘটনায় ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    মমতার ছবি লাগিয়ে চলেছে ফর্ম ফিলাপ? (Laxmi Bhandar)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসি ১ নম্বর উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কোলকোল শিক্ষা নিকেতনে গতকাল রবিবার একাধিক সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের (Laxmi Bhandar) কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একেবারে সরকারি স্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে জয় বাংলা ফর্ম ফিলাপ করেন তৃণমূলের নেতারা। এই ফর্ম পূরণের জন্য ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাত্র দুই দিন আগেই এলাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) এবং কর্মশ্রী অর্থাৎ পঞ্চাশ দিনের জব কার্ডের জন্য মাইকিং করা হয়। জানা গিয়েছে, এই প্রচারের পিছনে রয়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের উচ্চগ্রাম অঞ্চল সভাপতি নিখিল রায়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূল দলের হয়ে এই প্রচার করেন। পঞ্চায়েত সদস্যা দুলালী বাউরি বলেন, “এদিনের ফর্ম ফিলাপের কাজ সরকারি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয়েছে। আমাকে ওই ফর্ম অঞ্চল সভাপতি দিয়েছেন। সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করতে শুধু মাত্র ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।” অপরদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিখিল রায় জানান, “ফর্ম ফিলাপের সম্পর্কে কিছু জানিনা। কিছু মানুষের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। রবিবারে এমন কাজের কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে তদন্ত করতে বলব।

    বিজেপির বক্তব্য 

    ঘটনায় কথা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা বলেন, “নির্বাচন ঘোষণার পর মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা অভিযোগ করব।” জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখবো। প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ‘নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে, জলটল দিয়ে দেবেন’, কেষ্টর বুলি মালদার তৃণমূল প্রার্থীর গলায়

    Malda: ‘নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে, জলটল দিয়ে দেবেন’, কেষ্টর বুলি মালদার তৃণমূল প্রার্থীর গলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আসলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের গলায় গরমাগরম ডায়গল শোনা যেত। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। কেষ্টকে দেখেও শিক্ষা হয়নি তৃণমূলের নেতাদের। এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে মালদা (Malda) উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও কেষ্টর বুলি শোনা গেল। নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন এই আইপিএস। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Malda)

    এমনিতেই তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বড় কোনও নেতা প্রচারে নামা শুরু করেননি। বিশেষ করে তৃণমূল নেত্রী মৌসুম বেনজির নূরকে এখনও পর্যন্ত প্রচারে সেভাবে দেখা যায়নি। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে। এই অবস্থায় অনুব্রতের মতো গরামগরম বুলি বলে তৃণমূল প্রার্থী বাজিমাত করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। হরিশচন্দ্রপুরে উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গিয়েছিলেন। এই প্রসূনকে এক সময় মালদাবাসী পুলিশকর্তা হিসাবে চিনতেন। এবার তিনি ভোটের প্রার্থী। ভোট প্রচারে নেমে প্রসূন কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “প্যারামিলিটারি যদি ভয় দেখায় আমার নাম প্রসূন ব্যানার্জি। ম্যায় হুঁ না। নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে রাখতে হবে এখানে। ভাল করে জলটল দিয়ে দেবেন। ওদের অযত্ন করবেন না। ওনারাও চাকরি করেন। কোনও অযত্ন করবেন না। শুধু বলবেন প্রসূন ব্যানার্জি খেলতে এসেছে। বুটের দপদপানি, একে-৪৭ দিয়ে কোনও লাভ নেই। বুঝে নেবো সব। আইনকানুন, অবজারভার বুঝে নেবে। সকলকে সম্মান দেবেন। প্রতিপক্ষকে সম্মান দেবেন, কাউকে কুকথা বলবেন না।”

    আরও পড়ুন: রচনার কর্মিসভায় গরহাজির বহু তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মালদা (Malda) উত্তরের বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ” যিনি আজ এখানে ধমকাচ্ছেন, ভাবছেন সকলে ঘরে ঢুকে যাবে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আমরা তৃণমূলের প্রতিটা চমকানো ধমকানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে জানাব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share