Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: চাকরির নামে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রতারণা! অভিযুক্ত আরও এক শাহজাহান, চেনেন তৃণমূল নেতাকে?

    TMC: চাকরির নামে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রতারণা! অভিযুক্ত আরও এক শাহজাহান, চেনেন তৃণমূল নেতাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির শাহজাহানের মতো এবার পূর্ব মেদিনীপুরের আরেক তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। দুই জনের নামের যেমন মিল তেমনি রাজনৈতিক দলও এক। এই তৃণমূল নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমার ২০০০ টাকা লাগবে।” তবে ভিডিও কয়েক বছরের পুরাতন হলেও লোকসভার আগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ (TMC)

    শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার একটি বাড়িতে ভিডিও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানকার এক বাড়ির মালিক শেখ ইব্রাহিম আলি বলেছেন, “আমার এক আত্মীয়ের সরকারি চাকরির জন্য তৃণমূল নেতা (TMC) শেখ শাহজাহানকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমার বাড়িতে এসে বলেন, দুই হাজার টাকা গাড়িভাড়া হিসাবে অতিরিক্ত দিতে হবে। বাকি পুরো টাকাটা সরকারি আধিকারিককে দিতে হবে। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৩ থেকে ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও চাকরির খোঁজ নেই। আমি আমার টাকাও ফেরত পেলাম না।”

    টাকা নিয়ের চাকরির প্রতারণা (TMC)

    এলাকার প্রতারণার শিকার আরও এক ব্যক্তি সমরেশ সামন্ত বলেন, “তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহান আমাকে বলেছিলেন খাদ্য দফতরের চাকরি করে দেবেন। সেই জন্য ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজও কাজ মেলেনি।” আবার শেখ কামরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। আরও ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু দিতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম। কিছু টাকা ফেরত পেলেও এখনও অনেক টাকা বাকি।” এলাকার মানুষ ডায়মণ্ডহারবারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।

    পুলিশের বক্তব্য

    ভোটের মুখে সেই ভিডিও ভাইরাল হলে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ নিতে চায়নি। এরপর হলদিয়া এসডিপিওকে সংবাদ মধ্যম ফোন করলে তিনি বলেন, “২০২০ সালের ঘটনা। এই বিষয়ে এখন কিছু বলার নেই। তবে এই তৃণমূল নেতার (TMC) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলে পুলিশ তদন্ত করবে।”

    শাহজাহানের বক্তব্য

    এই বিষয়ে শাহজাহান নিজের আর্থিক লেনদেনের কথা স্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেইনি। যার বাড়িতে টাকা নেওয়া হয়েছে সেখানে আমাকে সাক্ষী হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি মাত্র ২০০০ টাকা নিয়েছিলাম। এর থেকে বেশী টাকা আমি চাইনি।” এইবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ শাহানুল্লাহ খান বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সত্যতা এখনও জানিনা। অনুসন্ধান করে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rachna Banerjee: রচনার কর্মিসভায় গরহাজির বহু তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Rachna Banerjee: রচনার কর্মিসভায় গরহাজির বহু তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন্দলে লাগাম টানতে সেলিব্রিটি প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachna Banerjee) হুগলি লোকসভায় প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কর্মীদের উচ্ছ্বাসে জোটবদ্ধ হয়ে প্রচার করার কথা। কিন্তু, টলিউড অভিনেত্রীকে প্রার্থী করেও যে গোষ্ঠীকোন্দলে লাগাম পরেনি, লোকসভা ভোটের প্রচারের শুরুতেই তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। রবিবার দলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মিসভায় অনেক নেতাকেই দেখা গেল না। এই তালিকায় দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধানরা রয়েছেন।

    কর্মিসভায় গরহাজির বহু পুরানো তৃণমূল কর্মী! (Rachna Banerjee)

    রবিবার বিকেলে পান্ডুয়ায় জিটি রোডের ধারে একটি প্রেক্ষাগৃহে কর্মিসভা হয়। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী রচনা (Rachna Banerjee) ছাড়াও বিধায়ক রত্না দে নাগ, ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র, জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা প্রমুখ ছিলেন। তবে, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না মাজি-সহ কয়েক জন কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি চম্পা হাজরা আসেননি। ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা ১৪টি পঞ্চায়েতের কয়েক জন কর্মাধ্যক্ষ আসেননি। ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা ১৪টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বেশিরভাগের প্রধান-উপপ্রধানদেরও দেখা যায়নি। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রার্থীকে জেলা এবং ব্লকের নেতারা ভুল বোঝাচ্ছেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে রয়েছি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। অথচ, প্রার্থীকে নিয়ে কর্মিসভায় ডাকই পেলাম না।”পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, “আমরা ডাক পাইনি। প্রেক্ষাগৃহ ভরাতে অন্য ব্লক থেকে কর্মীদের আনতে হয়েছে।”

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, “ব্লক তৃণমূলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয়েছিল। এ ছাড়াও ফোনে সবাইকে বলা হয়েছে। অনেকেই এসেছেন। তাই, জানানো হয়নি যাঁরা বলছেন, তাঁরা ঠিক বলছেন না।” রত্নারও দাবি, “সবাইকে জানানো হয়েছিল।” হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের প্রতিক্রিয়া, “কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, মনোমালিন্য হয়েছে। মিটিয়ে নেব।”

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    North 24 Parganas: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এখন জেলে। জেলায় জেলায় কাটমানি, তোলাবাজি চালানোর অভিযোগ উঠছে শাসক দলের নেতা -কর্মীদের বিরুদ্ধে। দোসর এখন সন্দেশখালি কাণ্ড। রাস্তাঘাটে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে ছি ছি করছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করছেন। ভোট চাইতে কর্মীদের লজ্জা হচ্ছে। এটা বিরোধীরা প্রচার করছেন এমন নয়। খোদ উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী দলীয় কর্মীদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, ‘দলীয় কর্মীরা ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন’। বিধায়কের এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (North 24 Parganas)

    শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের রাজীবপুর-বিড়া এলাকায় হাবড়া ২ ব্লক তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। সেখানেই কর্মীদের উদ্দেশে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘দলের অনেক কর্মী রয়েছেন, প্রকাশ্যে যাঁরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করছেন। ট্রেনে বাদাম বিক্রেতা যদি বাদাম নিয়ে চুপ করে থাকেন, যদি ভাবেন সম্মান নষ্ট হবে, তা হলে তাঁর বাদাম বিক্রি হবে? তৃণমূল কর্মী মানে ফেরিওয়ালা। কিন্তু পাড়ার লোককে গিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিন বলতে লজ্জা পাচ্ছি’! তৃণমূল বিধায়কের এই ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) ‘ভাইরাল’ হয়েছে। নারায়ণ পরে অবশ্য দাবি করেন, আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “কিছু বুথে কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তার জন্য হার হয়। তাঁদের উৎসাহিত করতে ওই কথা বলেছি। তার মানে কি তৃণমূল খারাপ?” ওই কর্মিসভায় নারায়ণের সঙ্গে ছিলেন বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। তিনি বলেন, “এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, “নারায়ণবাবু যে কথাটা বলেছেন, তা রাজ্যের মানুষের মনের কথা। তিনি কর্মিসভায় প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, তৃণমূল দলটা করলেও অনেকে পরিচয় দিতে লজ্জা পান। এর থেকে প্রমাণিত হয়, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তৃণমূলের নেতারা রাস্তায় বের হলে সাধারণ মানুষ ‘চোর’ বলে দেগে দিচ্ছেন। এতদিন পর আসল সত্যিটা বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক।”

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগে ‘লোগ সভা’ পোর্টাল চালু রাজভবনের, জানানো যাবে অভিযোগ

    Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগে ‘লোগ সভা’ পোর্টাল চালু রাজভবনের, জানানো যাবে অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেই নয়া উদ্যোগ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ‘লোগ সভা’-নামের পোর্টাল চালু করলেন। জানা গিয়েছে, এই পোর্টালে মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তি ইমেল মারফত রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাঁরা সেখানে নিজেদের অভিযোগ, অনুযোগের কথা সরাসরি জানাতে পারবেন সিভি বোসকে।

    পোর্টালের খুঁটিনাটি

    রবিবারই রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় এই বিষয়ে। সেখানে জানানো হয়েছে, logsabha.rajbhavankolkata@gmail.com-এ জনসাধারণ তাঁদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন সরাসরি রাজ্যপালকে। তবে শুধুমাত্র অভিযোগই (Lok Sabha Election 2024) নয়, তাঁরা যে কোনও বিষয়ে নিজেদের পরামর্শও দিতে পারবেন। নাগরিকদের ইমেলের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রাজভবন। এই পোর্টালের জন্য এক জন নোডাল অফিসারকেও নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (OSD) সন্দীপ রাজপুত এই ‘লোগ সভা’র নোডাল অফিসার। রাজ্যপাল এবিষয়ে জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের সময় রাজভবনের মূল নজর থাকবে যাতে কোথাও কোনওরকম হিংসা অশান্তির ঘটনা না ঘটে। তাঁর কথায়, ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারাটা বাংলার মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে।’’

    বাংলার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) পাহারা দেবে ‘ভ্রাম্যমাণ রাজভবন’

    লোকসভা ভোটের আগে হিংসা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাই লোকসভা ভোটের জন্য সতর্ক করছেন রাজ্যবাসীকে। হিংসা রুখতে গোটা রাজভবনকেই তিনি বাংলার রাস্তায় নিয়ে আসতে চলেছেন। বাংলার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) পাহারা দেবে ‘ভ্রাম্যমাণ রাজভবন’। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজভবনে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম) খুলেছিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করতে পারতেন রাজ্যপাল। লোকসভার আগেও একই উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজ্যপালকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরের আবাস দুর্নীতির অভিযোগ

    Murshidabad: তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরের আবাস দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম ওরফে পুতুল। পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের আবাস যোজনার টাকা প্রদান করা হলেও গোষ্ঠী কোন্দল এবং প্রতিহিংসার কারণে শুধুমাত্র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু উপভোক্তাদের টাকা আটকে রেখেছেন খোদ চেয়ারম্যান। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতি ফের প্রকাশ্যে।

    সাংবাদিক সম্মলেন করে অভিযোগ (Murshidabad)

    তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ধুলিয়ান পুরসভা (Murshidabad) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এদিন তিনি এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। কাউন্সিলর স্পষ্ট বলেন, “উপভোক্তরা টাকা পাওয়ার জন্য যে কয়েকজন অফিসারের স্বাক্ষর দরকার, তারা সবাই স্বাক্ষর করলেও প্রতিহিংসা করে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেননি। ফলে বকেয়া টাকা আটকে রয়েছে। চরম দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এবং চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    ধুলিয়ান পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (Murshidabad) বঞ্চিত উপভোক্তাদের অভিযোগ, “দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বাড়িতে খোলা অবস্থায় রয়েছেন। কেউ ভিত পর্যন্ত, কেউ আবার বাড়ির কিছুটা অংশ উঠিয়ে টাকা না পেয়ে বেকায়দায় পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের আর্থিক বরাদ্দের টাকা না দিলে আমাদের ঘরের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।” উল্লেখ করা যেতে পারে, ধুলিয়ান পুরসভার কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুল ২০২২ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করে পুরসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাস ছয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে জেলা সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর থেকে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়। 

    চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    এদিকে দলেরই কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুলের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে ধুলিয়ান (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলাম বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সমস্ত ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪ জন উপভোক্তাকে ব্যাঙ্কে টাকা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবারের মধ্যে বাকি আরও ১৫ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করা হবে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যারা টাকা পাওয়ার কথা, তাদের নাম না দিয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। আমরা সেটা বানচাল করে ন্যায্য প্রাপকদের দিয়েছি। এতেই ওই কাউন্সিলরের গাত্রজ্বালা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের মানুষ। এবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

    সিবিআইয়ের দাবি (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রেশন দুর্নীতি মামলা এবং ইডির আধিকারিকদের উপর শাহজাহানের দুস্কৃতী বাহিনীর আক্রমণ প্রসঙ্গে সিবিআই দাবি করেছে, “অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবল ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সেখানে সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে বহু নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যত জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদের বয়ানের উপর নির্ভর করে আদালতে এমনটাই জানাতে চলেছে সিবিআই। আদালতের কাছে এই বক্তব্য পেশ হলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের এক একবার প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    পুলিশের দ্বারা ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যের অভাব

    গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট (Sandeshkhali) আদালতে আবেদন জানিয়ে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই জানায়, ধৃতদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়, কিন্তু তদন্তকারী অফিসারেরা জানান ঘটনায় হামলার সঙ্গে এইসব ব্যক্তিরা যুক্ত ছিলেন বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) পুলিশের দ্বারা ধৃতদের জেরা করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ধৃতেরা জানিয়েছেন, “তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাদের থানায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু থানায় পৌঁছলে, তাদের সেইসময় গ্রেফতার করা হয়।” তাদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে তদন্তকারী অফিসারেরা ধৃতদের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। গত শনিবার সুকোমল সর্দার এবং মেহবুব মোল্লার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এরপর আবার গতকাল রবিবার, রামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা কথা বলেন। ফলে সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যে আরও একবার প্রশ্ন উঠল বলে ওয়াকিবহাল মানুষ মনে করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণার পর ‘রূপকার’ সুকান্তকে সামনাসামনি পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররা

    BJP: বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণার পর ‘রূপকার’ সুকান্তকে সামনাসামনি পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে সোজা দিল্লি যাবে ট্রেন। শনিবারই তা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার বালুরঘাট তহ বাজারে ভোট প্রচারে সুকান্ত মজুমদারকে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম রবিবারের সকালেই প্রচারে বেরিয়ে পড়লেন বালুরঘাটের বিজেপি (BJP) প্রার্থী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন একটানা প্রায় দেড় ঘণ্টা জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী।

    জন সংযোগে সুকান্ত (BJP)

    সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সকলের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ দাবির কথা জানান। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন বালুরঘাটে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সেগুলি নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর সেখানে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হবে। এদিন সকালে বালুরঘাটের তহ বাজারে সুকান্ত মজুমদারকে কাছে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শনিবার বালুরঘাট -দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হওয়ায় খুশি জেলাবাসী।

    ৫০ হাজার ভোটে লিড

    গত লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে হারিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জয়ের ব্যবধান ছিল ৩০ হাজারের বেশি। এবার বালুরঘাট থেকেই অন্ততপক্ষে পঞ্চাশ হাজার ভোটে লিড নেবেন বলে আশাবাদী সুকান্ত মজুমদার। একদিকে রেলের  একাধিক প্রকল্প, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত নানা সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাংসদকে সংসদে বলতে দেখা গেছে বারবার। যে কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বতে তিনি কোনওরকম খামতি রাখেননি বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

    বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হতে খুশি এলাকাবাসী

    রবিবাসরীয় প্রচারে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে দেখা যায়নি বালুরঘাটে। বিপ্লব মিত্র তৃণমূল প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিটিং করেছেন তাঁর বাসভবনে। বামফ্রন্টের তরফ থেকে আরএসপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও এখনও বামপন্থীদের সেভাবে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনেছি। তাঁদেরকে আশ্বস্ত করি বালুরঘাটে যে সমস্ত সমস্যা আছে সবগুলো সমাধান করার। এছাড়া বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হবার পর মানুষের মধ্যে আলাদা আনন্দ এসেছে।

    তৃণমূলের ঢোল ফেটে গিয়েছে!

    সারা দেশের মধ্যে বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ৭ দফায় ভোট। ৭ দফা ভোট প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৭ দফা ভোট তো কম হয়েছে আমার মতে আট, দশ দফায় ভোট হলে আরো ভালো হতো। এক একটি লোকসভা একটা দফায় ভোট হলে পশ্চিমবঙ্গে  ঠিক মতো ভোট করানো সম্ভব হতো। তবে, ৭ দফায় ভোটে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। তৃণমূল তো পুলিশ ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা করবে। ৭ দফায় হলে অতটা তারা পারবে না। আমরা ভোট লুট হতে দেব না। আমরা লড়াই করবো। লোকসভায় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে একাধিক তৃণমূল নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,বাংলায় একটা গান আছে ফেটে গেলো কালিরামের ঢোল। তৃণমূলের ঢোল ফেটে গেছে। কোনও কিছু আর সুরে আর তালে মেলে না। সবই এখন বেসুরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: টায়ার জ্বালিয়ে ফের বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে, উঠল তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবি

    Sandeshkhali: টায়ার জ্বালিয়ে ফের বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে, উঠল তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখ সহ তিনজনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। সেই গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার ফের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর বাজারের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও তিনজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন তাঁরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আন্দোলনকারীরা।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তিন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি (Sandeshkhali)

    ইডি-র ওপর হামলার পর বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জমির জবরদখল থেকে শুরু করে মহিলাদের নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সেই আন্দোলন কিছুটা থিতিয়েছিল। পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ, সরবেড়িয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জি এবং দিদার বক্স মোল্লাকেও। শনিবার শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখ এবং শাহজাহানের আরও দুই সঙ্গী মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লা গ্রেফতার হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার সন্দেশখালির বেড়মজুরে নতুন করে শুরু হয় বিক্ষোভ। এদিন যে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা, তাঁরা হলেন, বেড়মজুর দুই নম্বরে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা, তৃণমূল নেতা হাশেম মোল্লা এবং জুলফিকার মোল্লা। এঁদের বিরুদ্ধেও জমিদখল এবং মানুষের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠ। এলাকায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।

    বসিরহাট আদালতে তোলা হল আলমগীরকে

    অন্যদিকে, শনিবার শাহজাহানের ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করার পর রবিবার তাঁকে বসিরহাট আদালতে তোলে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে আনা হয় শাহজাহানের আরও দুই সঙ্গী মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লাকে। এঁদেরকে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হওয়া হামলা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলার সূত্রেই আদালতে তোলা হয় তাঁদের।

    বিজেপি-র শিবির সন্দেশখালিতে

    শনিবার থেকেই বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের অভিযোগ নেওয়ার শিবির শুরু হয়েছে। শনিবার শিবিরের প্রচুর মানুষ অভিযোগ জানাতে ভিড় করেছিলেন। রবিবারও সন্দেশখালির ত্রিমোহিনী এলাকায় শুরু হয় অভিযোগ গ্রহণ শিবির। প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও সেখানে রয়েছেন ২০ জন আইনজীবীর প্রতিনিধিদল। এদিনও ভিড় বাড়তে শুরু করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বাকি আসনের প্রার্থী ঘোষণা শীঘ্রই? রাজ্যের ৪ শীর্ষ নেতাকে দিল্লি তলব বিজেপির

    Lok Sabha Election 2024: বাকি আসনের প্রার্থী ঘোষণা শীঘ্রই? রাজ্যের ৪ শীর্ষ নেতাকে দিল্লি তলব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই কমিশন বাজিয়েছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ঘণ্টা (Lok Sabha Election 2024)। ভোট ঘোষণা হতেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে দিল্লি ডেকে পাঠাল গেরুয়া শিবির। সেই মতো রবিবার রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য সোমবার দিল্লি রওনা হবেন। রবিবার দিল্লি রওনা হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ঘোষণা হতে পারে বাকি আসনগুলির প্রার্থী তালিকা।

    সোমবারের বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই বাংলার বিজেপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হবে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অন্যান্য শীর্ষনেতার। সোমবার (Lok Sabha Election 2024) থেকে হতে চলা বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকের পরেই দেশের বাকি আসনগুলিতেও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলবে গেরুয়া শিবির। তারপর মঙ্গলবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    বাংলায় পাল্লা ভারী বিজেপির

    প্রথম পর্যায়ে বিজেপি রাজ্যে ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই সবগুলি আসনেই জোর কদমে চলছে প্রচার। বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ে তৃণমূলের নিশ্চিহ্ণ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী। একই কথা শোনা গিয়েছে একদা তৃণমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের মুখেও। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ৪টি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিটি জনসভাতেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, গেরুয়া শিবিরের পাল্লা যথেষ্ঠ ভারী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সম্প্রতি, বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে (Lok Sabha Election 2024) যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, তমলুক আসনে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। আবার বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও ফিরে এসেছেন বিজেপিতে। এখন দেখার দল তাঁকে ওই আসনে টিকিট দেয় কিনা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত তাপস রায়ও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে গেরুয়া ব্রিগেডে যোগ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁকেই দল উত্তর কলকাতা আসনে প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে জেলায় জেলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে। ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল এসব করছে বলে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ।

    বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন (BJP)

    পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে পাণ্ডবেশ্বরের ১৯ নম্বর বুথের জামাই পাড়ার এবিপিট এলাকায় পাণ্ডবেশ্বর মণ্ডল- ১ এর মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রীনা ঠাকুরের দোকানে আগুন লাগানো হয়। রীনা দেবী বলেন, ছয় মাস আগে বিজেপি যোগদান করেছি। তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। অন্যথায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং প্রাণেও মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত। তৃণমূলের সেই দাবি না মানায় আমার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    ১০০দিনের কাটমানি নেওয়ার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। মালদার চাঁচলে যে সব জবকার্ড প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে, সেখানকার চাঁচলের রায়পাড়া বুথের তৃণমূলের সভাপতি তাপস নুনিয়া কাটমানি দাবি করতে থাকেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সন্তোষ রায় এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান। এরপরই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এমনকী ধারালো অস্ত্রে মাথায় কোপ মারা হয়। আক্রান্ত বিজেপি নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, এই হামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share