Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলায় বাড়ির পাশ থেকেই ফোনে নির্দেশ দিচ্ছিলেন শাহজাহান, দাবি সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলায় বাড়ির পাশ থেকেই ফোনে নির্দেশ দিচ্ছিলেন শাহজাহান, দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার সময় বাড়ির কাছ থেকেই নির্দেশ দিচ্ছিলেন শেখ শাহজাহান। ফোনে এভাবে নির্দেশ দিয়েই রেশন-দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। পরিকল্পিত এই ছকের পিছনে ছিলেন এই তৃণমূল নেতাই। ঠিক এমনটাই আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির করা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। আদালত চত্বরকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

    সিবিআই-এর বক্তব্য (Sandeshkhali)

    ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই আদালতে ফের তোলা হয় শাহজাহানকে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি নিজেই বাড়ির পাশের লোকজনকে একত্রিত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।” একই সঙ্গে সুকমল সর্দার এবং মেহবুর মোল্লাকে এদিন হাজির করা হয়েছিল। তাঁদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সন্দেশখালি থানার পুলিশ ৭৬ নম্বর মামলায় তাঁকে ৭ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল। উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অজিতকে দুর্নীতি এবং জমি দখলের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে মারধর করতে উদ্যত হয় এলাকাবাসী। এরপর একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। টানা ছয় ঘণ্টা আটকে থাকার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

    ৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তিন ইডির অফিসার সহ কেন্দ্রীয় জওয়ানদের উপর আক্রমণ করা হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান পলাতক। সেই সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারের ঘটনায় এলাকার মানুষ ব্যাপক আন্দোলন করেন। চাপে পড়ে শিবু-উত্তমের মতো ঘনিষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়। হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Central Force: রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, খবর কমিশন সূত্রে

    Central Force: রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, খবর কমিশন সূত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে (Central Force) সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম দফার রাজ্যের তিনটি আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি আধাসেনা প্রয়োজন, যা পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে কমিশন। প্রসঙ্গত, প্রথম দফার ভোটে উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় কত বাহিনী থাকবে তাও জানা গিয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন জানিয়েছে, কোচবিহারে থাকবে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৬ কোম্পানি বাহিনী থাকবে আলিপুরদুয়ারে। জলপাইগুড়িতে মোতায়েন থাকবে ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে গড়ে প্রয়োজন ১৬ কোম্পানি বাহিনী

    প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। ওই দিন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি আসনে ভোট রয়েছে। কমিশনের হিসাব বলছে, একটি বিধানসভা কেন্দ্রে  সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিতে হলে গড়ে কমপক্ষে ১৬ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন। এর ফলে একটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য দরকার পড়বে ১১২ কোম্পানি বাহিনী। ওই হিসাব অনুযায়ী, ৩৩৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন পড়বে তিনটি আসনের জন্য।

    ২০১৯ সালেও প্রথম দফার ভোটে সব বুথে ছিল না বাহিনী 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রথম দফার দু’টি আসনে সব বুথে কেন্দ্রীয় দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। কমিশনের একটি সূত্র আবার এও জানিয়েছে, রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, ওই দুই দফায় দেশের বাকি অংশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। কারণ প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোট রয়েছে।

    এপ্রিলের শুরুতে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী

    ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে। প্রথম দফায়, ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিল আরও ৫০ বাহিনী (Central Force)। জেলায় জেলায় বাহিনী রুটমার্চও করছে। সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ নির্মাণ ও সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে  শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির সমস্যা এখনও মেটেনি। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ওর সাগরেদরা এখনও গ্রেফতার  হয়নি। সাগরেদগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্তর দিনাজপুরের জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মতো ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি।  কিন্তু, এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।”

    ইউসুফ পাঠান নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

     ইউসুফ পাঠান প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ইউসুফ পাঠান বাংলা জানেন না বোঝেন না। গুজরাট থেকে এসেছেন। রাজনীতির ‘র’ জানেন না। ভেবেছেন এখানে ভালো পয়সা কড়ি কামাই হবে। তাই চলে এসেছেন এখানে। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। জানেনই তো না যে নির্বাচনী বিধি কি! ভোট কীভাবে হয় সেটাও জানেন কিনা সন্দেহ আছে।” অপরদিকে গার্ডেনরিচে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, ” বাড়ি ভেঙে কি হবে? বাড়ি ভাঙতে পারবে নাকি গার্ডেনরিচে? ওখানে বাড়ি ভাঙতে গেলে পুরসভার টিমকে ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানে সব বাড়িই তো অবৈধ। সব তো পুরসভার কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে হয়েছে। কটা বাড়ি ভাঙবে?

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে পরে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।” এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতবর্ষের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? ভারতবর্ষে তো মোদির সরকার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড তৈরি করবে না? তৃণমূলের কোন নেতার আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) কড়া নজর রাখতে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অনিল শর্মাকে নিয়োগ করেছিল কমিশন। এবার ভোটে নজরদারির জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক আইএএস আধিকারিক অলোক সিনহাকে নিয়োগ করা হল। বৃহস্পতিবার কমিশন এ কথা জানিয়েছে। 

    কেন বিশেষ পর্যবেক্ষক

    সাধারণভাবে, ভোটের (Lok Sabha Election) সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে কমিশন, তবে নির্বাচনের এতটা আগে থাকতে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয় না। তবে এবার লোকসভা ভোট শুরুর আগে থেকেই বাংলার আইন-শৃঙ্খলার উপর বাড়তি জোর দিতে চাইছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শর্মার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক শর্মার রিপোর্ট করার কথা বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহার কাছে। 

    কেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই অনিল শর্মাকে চণ্ডীগঢ় থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট পর্ব শুরু হচ্ছে রাজ্যে। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) ঘোষণার আগে থেকেই বঙ্গের বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গ্রেফতারি বা টাকা উদ্ধারের মতো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করাই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের মূল কাজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে মোট ২১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক, পুলিশ ও সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক

    প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল বাংলায় তিনটি আসনে ভোট (Lok Sabha Election) রয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। ইতিমধ্যেই এই তিনটি জায়গার জন্য তিন জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। কোচবিহারের জন্য আইআরএস সঞ্জয় কুমার, জলপাইগুড়ির জন্য মদনমোহন মীণা ও আলিপুরদুয়ারের জন্য শালম কে দুর্গেশ যাদবকে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ভোটে এই রাজ্যে অশান্তির ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তাই এই বছর সরকার এই ব্যাপারে আগাম সতর্ক বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    Malda: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূলের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করলেন উত্তর মালদার বিজেপি-র বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু। বৃহস্পতিবার কয়েকশো বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশি নিরাপত্তা অটুট থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিন বিক্ষোভ স্থলে খগেন মুর্মু অভিযোগ তোলেন, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী পূজন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা সাহেব দাস, দুর্জয় দাস সহ আরও অনেকে পিপল কাশিমপুর এলাকায় বিগত দুই দিন ধরে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাসের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল এলাকার বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কমল থোকদারের পরিবারের সঙ্গে। অভিযোগ আর এই গন্ডগোলের জেরে মঙ্গলবার গভীর রাত্রে শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাসের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা পূজন দাস ধারালো অস্ত্রশস্ত্র সহ দলবল নিয়ে বিজেপি নেতা কমলের বাড়িতে হামলা চালায়। সেখানে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এই মারধরের জেরে গুরুতর আহত হয়ে কমলবাবুর মা তুলি থোকদার হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়েই হরিশ্চন্দ্রপুরের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পোহাতেই আবার সেই গন্ডগোল মাথাচাড়া দেয়। বুধবারও ফের হামলা চালায়।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরির জন্য তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখায়। এদিকে এ প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ওরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীর বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ওই গ্রামে বিগত ১০ বছর ধরে তৃণমূল জয় লাভ করছে। এখন সামনে ভোট। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই এই সমস্ত অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া! ট্রাফিক পুলিশকে তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া! ট্রাফিক পুলিশকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতার এক ট্রাফিক গার্ডের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম পলাশ দাস। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক আইনজীবীর কাছ থেকে তিনি টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাতেই অভিযুক্ত ওই ট্রাফিক গার্ডকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিংহ। বৃহস্পতিবারই এমন নির্দেশ দেন অমৃতা সিংহ। তাঁর নির্দেশ, আগামী ২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে ট্রাফিক গার্ডকে।

    এক হাজার টাকা দাবি করা হয়

    অভিযোগ, গত মঙ্গলবারই দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডা। অভিযোগ, সেসময়ই তাঁর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন ট্রাফিক গার্ড পলাশ দাস। আইনজীবী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দেন ওই পলাশ দাস। আইনজীবী জানান, এ ভাবে টাকা নেওয়া যায় না। এ সংক্রান্ত দীপঙ্কর দত্ত বনাম রাজ্য সরকারের মামলার রায় ওই ট্রাফিক কর্মীকে দেখানো হয়।

    বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নাম উল্লেখ

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি। আইনজীবীর অভিযোগ, ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মী পাল্টা দাবি করেন, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। আইন শেখানোর দরকার নেই। আইন ভাল করেই জানেন তিনি। তাঁর অনেক ক্ষমতা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সমাদ্দার বর্তমানে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘ বাগ্‌বিতণ্ডার পরে ওই পুলিশকর্মী আইনজীবীর লাইসেন্স জোর পূর্বক কেড়ে নেন বলে অভিযোগ।

    এমন কাণ্ড আগেও করেছেন ওই ট্রাফিক পুলিশ

    বৃহস্পতিবার ওই আইনজীবীর কাছে পুরো ঘটনা শুনে কার্যত বিস্মিত হন বিচারপতি সিংহ। তারপরেই তিনি ওই ট্রাফিক পুলিশকে আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে এমনটা প্রথম নয়, শুভ্রাংশুর দাবি, এর আগেও বিচারপতি সমাদ্দারের নাম করে দেবোত্তম দাস নামের এক আইনজীবীর (Calcutta High Court) কাছ থেকে ওই পুলিশকর্মী ৫০০ টাকা নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat) তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দলে পাত্তা পাচ্ছেন না বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে নয়, অনুগামীদের নিয়ে তৈরি ‘টিম বিপ্লব’ই এই নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে নেমে পড়েছে।

    নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না (Balurghat)  

    জেলাজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, দলের অভ্যন্তরে এই অবিশ্বাসের বাতাবরণে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ফেসবুক যুদ্ধ। এরই মধ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি টি-শার্টের বুকে লেখা, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লবের সঙ্গে মৃনালের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।সম্প্রতি যে নির্বাচনী কমিটি করা হয়েছে, সেখানেও বিপ্লব অনুগামীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ অনুগামীরা। এই অবস্থার মধ্যে জেলার প্রচুর নেতা- কর্মীরা তাঁদের অবস্থান ঠিক করতে পারছেন না, চুপ করে রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু, এর মধ্যে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছে। এই পোস্ট প্রসঙ্গে মৃণাল সরকার এদিন বলেন, ‘দলের নির্বাচনী কোনও পরিকল্পনা বা প্রস্তুতিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমি তাই নিজের বুথেই কাজ করছি।

    বিপ্লব অনুগামী তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    ‘টিম বিপ্লব’ তত্ত্ব মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতারা। বিপ্লব অনুগামী বলে পরিচিত জেলা কমিটি ও নির্বাচনী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘আমাদের দলে টিম বিপ্লব বলে কোনও শব্দ নেই। আমরা সবাই টিম মমতা, টিম তৃণমূলের। যাঁরা এই দল করে তাঁরা সকলেই আমাদের দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। তবে, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরও প্রচার শুরু না করায় অনেকে রেখাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার থেকে তিনি শুরু করেন প্রচার। রেখাকে নিয়ে সন্দেশখালি জু়ড়ে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। তাঁকে এক পলখ দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, আবেগের কাছে হার মানতে হয় রেখাকে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি করা হাসপাতালে।

    বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানলেন রেখা! (Sandeshkhali)

    বিজেপি প্রার্থী নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রার্থী  হওয়ার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি। আর প্রচার শুরুর পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।   বুধবার বিকেলেই অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী এইমস হাসপাতালে। বুধবার রেখা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পা রাখতেই ভিড় উপচে পড়ে। কারও বাড়ির মেয়ে, কারও দিদির মতো করে তিনি কথা বলেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে সকাল থেকে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা পাত্র। তাঁর শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। কল্যাণী এইমসে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর সবরকমের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হয়, স্যালাইনও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    চিকিৎসকরা কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসকরা বলেন, রেখার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এবার কবে ফের প্রচারে নামবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা নিয়ে অভাব বোধ করায় তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তিনি ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার এনআইএ তলব করল। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এবং স্থানীয় থানার ওসিকে তলব করল এনআইএ (NIA)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের শিরোনাম ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ড। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে? (NIA)

    ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রাম। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ (NIA) তদন্ত শুরু হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে তলব করেছিল এনআইএ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূল নেতাদের তলব করল এননআইএ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় সংস্থা বেছে বেছে তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠাচ্ছে বলেই দাবি শাসক দলের নেতৃত্বের।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী সাফাই?

    এনআইএ সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতাদের বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ (NIA) দফতরে তলব করেছে। শাসক শিবিরের নেতারা নোটিস পাওয়ার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, “পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। বিজেপি হারছে। তাই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাদের নতুন করে এনআইএ নোটিস পাঠানো শুরু করেছে। যাতে ভোটের আগে প্রচারের সময় মাঠ ফাঁকা করা যায়। গোটাটাই ভোটের লক্ষ্যে চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠবে। আমাদের কোনও কর্মী বা নেতা এই নোটিসে সাড়া দেবে না। আইনি পথে পদক্ষপ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনগাঁ লোকসভায় তৃণমূলের থেকে গতবার ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রটি বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি। কল্যাণী (Kalyani) বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নাম ঘোষণার পর থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও কর্মীসভা করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। বুধবার কল্যাণীর গয়েশপুরে প্রচারে আসেন তিনি। সেখানে প্রচারে বাধার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কল্যাণী (Kalyani) থানার গয়েশপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লির মাঠ থেকে বিজেপির মিছিলের কথা ছিল। সেই মতো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই আনন্দপল্লি মাঠে আসেন শান্তনু ঠাকুর। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ‘বিজেপি চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শান্তনুকে উদ্দেশ্য করে ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। পালটা চোর স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। বিজেপি কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কল্যাণীর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সান্যাল।

    আরও পড়ুন: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই ওদের হাজার হাজার হার্মাদদের প্রচারে বাধা দিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে আমিই জিতব। সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। এই বাধায় ভয় পাওয়ার ছেলে আমি না। ৩৬ ইঞ্চি বুকের পাটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।” গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এসেছেন শান্তনু ঠাকুর। সাধারণ মানুষ শান্তনু ঠাকুরকে আর চাইছে না। তাই বাধা দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share