Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির কাবিলপুর এলাকায়। সাধারণ মানুষ কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তুমুল বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকের কাবিলপুর গ্রামে বহুদিন ধরে একটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিধায়ক কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ। ফলে, সাধারণ মানুষ রাগে ফুঁসছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় প্রচারে আসতেই সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়েছেন। আমরাই তাঁকে ভোট দিয়েছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি পাঁচ পয়সার কাজ করেননি। তাঁর ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, আমাদের সামান্য দাবি,  এলাকার রাস্তাটা ঠিক করার। তৃণমূল সেটা করেনি। ভোটের আগে প্রতিবার রাস্তা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে আর কেউ মনে রাখে না। এবারও ভোট চাইতে আসায় আমরা ক্ষোভের কথা তৃণমূল প্রার্থীকে বলেছি।

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    প্রচারে ব্লক সভাপতি ছিলেন না, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এলাকায় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করছেন, অথচ সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নেই। যা নিয়ে দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নূরে মেহবুব আলম বলেন, আসলে তৃণমূল প্রার্থী দেরিতে আসায় আমি যেতে পারিনি। আর আমার এদিন শরীর খারাপ ছিল। তাই, এদিন আমি বের হতে পারিনি। তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিক্ষোভ নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থীর খলিলুল রহমান কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতদিন কেন হয়নি তা জানা নেই। তবে, মানুষ যদি ফের আমাকে জিতিয়ে নিয়ে আসেন, এই এলাকার বেহাল রাস্তা তৈরি করা হবে আমার প্রথম কাজ। আর ব্লক সভাপতির প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমি ব্লক সভাপতিকে খুঁজছি। ফলে, তিনি যে ব্লক সভাপতির ওপর বেজায় চটেছেন তা বলা বাহুল্য।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়ে যে কিছু করেননি তার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে গেল এদিনের ঘটনা। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। আসলে এই সব প্রার্থীকে কেউ ভোট দেবে না। এখন থেকে মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat:”যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে, তারাই তৃণমূলের স্টার!” ভোটপ্রচারে আক্রমণ সুকান্তের

    Balurghat:”যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে, তারাই তৃণমূলের স্টার!” ভোটপ্রচারে আক্রমণ সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার নিজের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন। বুধবার সকালে প্রথমে সন্ধ্যা সিনেমা হলের সামনে “চায়ে পে চর্চার” মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনলেন। তারপর দেওয়াল লিখন করে এলাকায় প্রচার শুরু করলেন। শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ড ও ২১ওয়ার্ডের প্রতিটি ভোটারদের সঙ্গে মিলিত হন। বয়স্কদের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেন তিনি। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে হাতজোর করে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিলি করেন। জনসংযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমার ওয়ার্ডে প্রায় ৪০০ বাড়ি আছে। আমরা সবার বাড়িতে গিয়ে এলাকায় যা উন্নয়ন করেছি, তা  তুলে ধরবো।

    যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে তারা তো তৃণমূলের স্টার (Balurghat)

    ভোটের আগে ফের গুলি চলার ঘটনা প্রসঙ্গে বালুরঘাটে (Balurghat) প্রচারে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,ভাটপাড়া তো এখন ফাটপাড়া হয়ে গিয়েছে। ওখানে কথায় কথায় এখন বোমা ফাটে। তৃণমূলেরই তো অবদান গোলাগুলি, বোমা এইসব। এইটাকে ঠিক করতে হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট অম্বরীশ সরকার চাকরি দুর্নীতির পান্ডা শান্তনুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এইটা তো হবেই, যারা চাকরি করবে, যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে তারা তো তৃণমূলের স্টার হবে। তৃণমূলের তো ওটাই পয়েন্ট। চুরি, ধর্ষণ এগুলো না থাকলে তৃণমূলের নেতা কেমন করে হবে।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ”, বিস্ফোরক অর্জুন, ফিরে পেলেন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    সন্দেশখালির মানুষ এবার ভোট দিতে পারবেন

    এতদিন সন্দেশখালিতে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেননি সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা এইবার আশা করছি নির্বাচন কমিশন বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। সন্দেশখালিতে মানুষ ভোট দিতে পারবেন। আর সন্দেশখালিতে মানুষ ভোট দিতে পারলে বিজেপি সেখানে ১ লক্ষ ভোটে লিড পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: জুন মালিয়ার নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে! অস্বস্তিতে দল

    Paschim Medinipur: জুন মালিয়ার নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে! অস্বস্তিতে দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) জুন মালিয়ার নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল কর্মীদের দলীয় বিক্ষোভের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোলের চিত্র ধরা পড়ল আজ। তাঁর প্রচার গাড়ির সামনেই দেখা দিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরাট দ্বন্দ্ব। কার্যত প্রচার গাড়িতে প্রতিবাদে সোচ্চার হেলেন ওয়ার্ডের নেতারা। দলীয় প্রচারে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনায় তৃণমূলের মধ্যেই ব্যাপক অস্বস্তি দেখা দিল। তবে তৃণমূল প্রার্থী দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলেননি।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Paschim Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন জুন মালিয়া। বুড়ো শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করেন রোড শো। এরপর সেই সময় হুড খোলা গাড়ি নিয়ে প্রচার শুরু হলে সেই সময় নির্দল থেকে সদ্য যোগ দেওয়া কাউন্সিলর অর্পিতা রায় নায়েক গাড়িতে উঠে পড়েন। এরপর তাঁকে দেখে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অন্য তৃণমূল সমর্থকেরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গোলমাল।

    আরও পড়ুনঃ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য, আমেরিকাকে ‘সমঝে’ দিল ভারত

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    ঘটনায় স্থানীয় (Paschim Medinipur) বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা কৌশিক পাল বলেন, “আসলে অর্পিতা বার বার তৃণমূল করেন আবার ছেড়েও দেন। তাই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ অনেক বেশি। তাঁকে দলে নেওয়াতেই এতো বিক্ষুব্ধ হয়েছেন।” আরেক তৃণমূল নেতা বলেন, “আগেও দলে এসেছিলেন অর্পিতা। টিকিট না পেয়ে নির্দল হন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন নির্দলদের দলে নেওয়া হবে না। কিন্তু ফের দলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের পুরাতন কর্মীদের গাড়িতে নেওয়া হচ্ছে না।”

    অর্পিতার বক্তব্য

    অপর পক্ষে ঘটনা সম্পর্কে মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বক্তব্য দেননি। এদিকে নির্দল থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা বলেন, “জুনদি বলেছিলেন অর্পিতা তুমি গাড়িতে উঠুন। আর তাই আমি গাড়িতে উঠেছিলাম। কিন্তু অশান্তি যে হচ্ছে, সেটা আমি তো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোনও ক্ষোভ নেই। আমরা দলের হয়ে কাজ করছি। নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ”, বিস্ফোরক অর্জুন, ফিরে পেলেন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    Arjun Singh: “দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ”, বিস্ফোরক অর্জুন, ফিরে পেলেন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরই মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। দোলের দিন ভাটপাড়ায় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপরই বুধবার বিকেলে অর্জুন সিং কে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছেই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। রাজ্য পুলিসের যে নিরাপত্তা তাঁর সঙ্গে রয়েছে তা এবার তিনি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগেও তাঁর এই নিরাপত্তা ছিল। তবে, তৃণমূল চলে যাওয়ার পর তিনি তা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফের আগের নিরাপত্তা ফিরে পেলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা”।

    সাধারণ মানুষ নয়, দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ (Arjun Singh)

    ভাটপাড়ায় রং খেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ যদি দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দেয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা যা হওয়ার তাই হচ্ছে। বারাকপুরে পুলিশি ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    ভাটপাড়া প্রকাশ্যে গুলি চলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন

    জানা গিয়েছে, ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার হোলি উৎসবের দিন হিন্দি ভাষী প্রধান এলাকা ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর কলোনি এলাকায় দুই গোষ্ঠী  মধ্যে রং খেলা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনার জেরে পরপর ৩ রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও পালানোর সময় একটি বাইক এলাকাতেই ফেলে যায় তারা। পরে, ঘটনাস্থলে এসে ভাটপাড়া থানার পুলিশ বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বুধবার এলাকা থমথমে ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল দেয়। ভাটপাড়া থানা ও বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে এলাকায় শান্তি ফেরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। গুলি কাণ্ডে রোহিত সাউ ও সানি বর্মা নামে দুই দুষ্কৃতীকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তাদেরকে বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে।  ঘটনার জেরে বুধবারও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, হোলির মতো উৎসবের দিনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কিছু করতে পারছে না। এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছে। তাই, লোক দেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা বললেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছেড়ে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর মিটিং! কমিশনে লিখিত অভিযোগ খগেন মুর্মুর

    Malda: জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর মিটিং! কমিশনে লিখিত অভিযোগ খগেন মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের প্রশাসনিক পদে থেকে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। মালদা জেলার ১০ জন প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনায় মালদা জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

    খগেনের বক্তব্য (Malda)

    মালদা (Malda) উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বুধবার এই লোকসভা কেন্দ্রে তিনি সরকারি প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। জেলাশাসক এবং পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, “জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনে কাজ করছেন। এই সমস্ত আধিকারিকেরা নির্বাচনে যুক্ত থাকলে নির্বাচন একদম নিরপেক্ষ হবে না। তাই সকলের অপসারণ দাবি করি।”

    আর কী বললেন খগেন?

    তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী আধিকারিকের বৈঠক প্রসঙ্গে উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন (Malda) মুর্মু আরও বলেন, “নির্বাচন ঘোষণার পর একটি বেসরকারি হোটেলে মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ, ব্লক আধিকারিক এবং জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন তৃণমূল প্রার্থী। আর তাই এই সকল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুনঃ ওয়াশিং মেশিনে লুকনো কোটি কোটি টাকা! ভোটের মুখে বিরাট সাফল্য ইডির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মালদা (Malda) উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। নির্বাচনের হতাশা থেকে এই অভিযোগ তুলেছেন।” উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ গনি খান চৌধুরীর পরিবারের মৌসম নুর বেনজিরের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে খুব একটা অংশ গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে জেলার স্থানীয় তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের যোগদান না করার অভিযোগও রয়েছে। প্রার্থী নিজে বহিরাগত, এমন অভিযোগও উঠছে। ফলে জন সমর্থন এবং দলীয় সমর্থনের ভয়ে প্রশাসনকে কাজে লাগাতে চাইছেন না তো? ওয়াকিবহল মহল এমনটাই মনে করছেন বলা যায়।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কথা রাখলেন জগন্নাথ, কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেল লাইনে শুরু হল ট্রেনের ট্রায়াল রান

    Nadia: কথা রাখলেন জগন্নাথ, কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেল লাইনে শুরু হল ট্রেনের ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জঘাট পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণ করার কথা বলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সাংসদ হওয়ার পর রেল সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেললাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বুধবার পরিদর্শনে এলেন পূর্ব রেলের ডিআরএম দীপক নিগম। এই প্রথম কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে।

    কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেললাইনের কাজ পরিদর্শনে ডিআরএম (Nadia)

    বহু বছর আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ধাম পর্যন্ত ন্যারোগেজ ট্রেন চলাচল করতো। পরবর্তীকালে তা বন্ধ হয়ে যায়। রেল দফতরের উদ্যোগে আবারো নতুন করে কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত ব্রডগেজ ট্রেন চালু করার চিন্তাভাবনা করা হয়। সেইমতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল দফতরের পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়। জমি জটে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অবশেষে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত ট্রেন চালু করার চিন্তা ভাবনা নেয় রেল দফতর। সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে। এদিন আমঘাটা রেললাইন পরিদর্শনে যান পূর্ব রেলের ডিআরএম দীপক নিগম। তিনি বলেন, এদিন প্রথম ট্রেনের ট্রায়াল রান করা হয়। ইলেকট্রিক সিগন্যাল, রেলগেট সহ যা প্রযুক্তি রয়েছে তা সব ঠিকঠাক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যাবে ট্রেন চলাচল। যারা এই দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ রিপোর্ট রেল দফতরের কাছে পেশ করবেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সাধারণ মানুষের জন্য যত দ্রুত সম্ভব চালু করা হবে পরিষেবা। তবে, লোকসভা ভোটের আগে এই ট্রেন চালুর প্রশ্ন নিয়ে তিনি বলেন, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। এটা দীর্ঘদিন আগে থেকেই চালু করার চিন্তা ভাবনা চলছিল। কিছু সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার দিকে। পাশাপাশি রেললাইন তৈরিতে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াত সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে অভিযোগ এসেছে। সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সে দিকটাও আমরা চিন্তা ভাবনা করব।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    এ বিষয়ে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ২০১৯ সালে সাংসদ হওয়ার পর আমার প্রথম টার্গেট ছিল কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করার। সেই মতো বারংবার আমি সংসদে এবং রেল দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি। পরবর্তীকালে রেল দফতরের তরফে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।  আমি সাধারণ মানুষকে কথা দিয়েছিলাম, সেই কথা রাখতে পেরেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sajal Ghosh: বরানগরে বিজেপি প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে সজলের হুঙ্কার, “চোরেদের কেউ ভোট দেবে না”  

    Sajal Ghosh: বরানগরে বিজেপি প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে সজলের হুঙ্কার, “চোরেদের কেউ ভোট দেবে না”  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে শাসক দলকে হুঙ্কার দিলেন সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বলেন, “চোরেদের কেউ ভোট দেবে না।” ১লা জুন সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের দিনেই বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচন। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনী কেন্দ্রে আগের বিজয়ী বিধায়ক ছিলেন তাপস রায়। সম্প্রতি তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলে বিধানসভা কেন্দ্রের আসন ফাঁকা হয়। তাপস বাবু আবার উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন।

    কী বলেছেন সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)?

    বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) বলেন, “তাপস বাবু আমার কাকা, আমি তাঁর ভাইপো। তৃণমূলের ক্ষমতা থাকলে এই ভাইপোকে আটকে দেখাক। আমি দায়িত্ব নিয়ে সামলে নেবো। মানুষ আমার উপর ভরসা রেখেছেন। আমি বিশ্বাস করি চোরেদের দলকে কেউ ভোট দেবে না। বাংলার তরুণদের স্বপ্ন ভঙ্গ করেছে তৃণমূল। ৭০ বছরের পার্থর টুকটুকে ৩০ বছরের গার্ল ফ্রেন্ড। তাঁর খাটের নিচে লাল নোটের বান্ডিল, সব সাধারণ মানুষের টাকা। সন্দেশখালির মায়েদের যারা ইজ্জত নিয়ে খেলেছেন, তাদের কোনও মানুষ ভোট দেবে না। কোনও ভদ্রলোক এই তৃণমূলকে ভোট দিতে পারে না। তাবে কেউ কেউ তৃণমূলকে ভোট দেবেন শুধুমাত্র পেটের দায়ে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    নো ভোট টু মমতা (Sajal Ghosh)

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র। তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায় ৩৬ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন এখানে। এই এলাকার মানুষ এক সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন। বিজেপি নেতা সজলের (Sajal Ghosh) দাবি, “মোদিজির উন্নয়নের হাওয়া এবং নো ভোট টু মমতা, মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলবে। যেহেতু লোকসভার ভোট, তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ভোটের সময় তৃণমূলের চোরেরা ভোট লুট করতে পারবে না। বাহিনীর লাঠিতে তেল মাখানো চলছে। দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এইবারের ভোট অন্য রকম হবে।” ভোটের মুখে এই কেন্দ্রে বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিজেপি-র সক্রিয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম নিমাই হালদার। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত।

    আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মী নিমাইবাবুর নেতৃত্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) কৃষ্ণচন্দ্রপুর বুথে ২৫০ ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছিল। আহত নিমাই হালদারের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বুথে বিজেপি লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে নিমাইবাবুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আর এতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তাঁর ওপর রাগ ছিল। আর তাই, গত সোমবার সামান্য বিষয় নিয়ে তৃণমূল কর্মী মধু ঘোষের সঙ্গে নিমাই হালদারের বচসা বাধে। এরপরই মধু ঘোষের ছেলে নন্দন ঘোষ সহ আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক পেটায়। গুরুতর জখম বিজেপি কর্মীকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জখম ওই বিজেপি কর্মী নিমাই হালদারের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করতে যান মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত। তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত বলেন, বিজেপি বুথে ভাল ফল করেছে বলে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় অস্বীকার করেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপি হালদার। তিনি বলেন,পারিবারিক গন্ডগোল কে বিজেপি রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তাঁকে মারধর করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    Nadia: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে বাড়ির গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার আরবান্দি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আরবান্দি দক্ষিণ পাড়া এলাকায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকা বিজেপির বুথ সভাপতির ভাইঝি। তৃণমূল নেতা ছেলে রিন্টু বিশ্বাস এই অপকর্ম করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা বেঁচে নেই। মায়ের সঙ্গে থাকে সে। এক আত্মীয়কে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকার মা। বাড়িতে একা ছিল নাবালিকা। অভিযোগ, আচমকা শোওয়ার ঘরে ঢুকে নাবালিকাকে গোয়ালঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন তৃণমূল নেতার ছেলে। শারীরিক নির্যাতনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। ঘটনার পর থেকেই ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং ওই নাবালিকার শরীর থেকে অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। এরপর পরিবারের লোকজনেরা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাদকুল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করে নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে। কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে ওই নাবালিকার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে। বর্তমানে ওই নাবালিকা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে রিন্টু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “শুধু পরিবার বিজেপি করে বলে এক নাবালিকাকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ করেছেন তৃণমূল নেতার ছেলে। শুধু ওই অভিযুক্তই নন, তাঁর পরিবারের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে। প্রশাসনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।” শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাই দেবনাথ বলেন, “এখানে ধর্ষণের কোনও গল্পই নেই। ওই তরুণ-তরুণীর দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক। শুধু তৃণমূল সমর্থক বলেই যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    Sandeshkhali: কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত সন্দেশখালি (Sandeshkhali) আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন রেখা পাত্র। রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, সেই প্রতিবাদী মহিলাদের মুখ হলেন বসিরহাট লোকসভার এই বিজেপি প্রার্থী ।

    লোকসভা নির্বাচনে বাংলার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে চমক দিয়েছে বিজেপি। এবার প্রার্থী সন্দেশখালির ভূমি কন্যা রেখা পাত্র আজ প্রথম সন্দেশখালিতে ভোটের প্রচারে এলাকায় পা রাখলেন। শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। পাশাপাশি রেখা পাত্রের সমর্থনে দেয়াল লিখন শুরু হয়েছে সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালিতে একটি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে রেখা পাত্র প্রচারও শুরু করে দেন। গোটা এলাকা জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হয়।

    দেওয়াল লিখনে প্রচার শুরু (Sandeshkhali)

    এদিন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দেওয়াল লিখনে অংশ গ্রহণ করেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। সেখানে লেখা রয়েছে, “কয়লা খেলি, গরু খেলি, খেলি নদীর বালি, মা বোনেদের বাদ দিলিনা বলছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালি দিচ্ছে ডাক তৃণমূল নিপাত যাক।”

    আরও পড়ুনঃ লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে স্থানীয় মহিলা বুলা দাস বলেন, “তৃণমূল ইচ্ছে করে বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। প্রত্যেক বার বাইরের লোকদের এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়। জয়ী হওয়ার পর সাংসদেরা বসন্তের কোকিল হয়ে যান। তাঁদের দেখা যায় না এলাকায়। এবারের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আমাদের ঘরের মা-বোন এবং আমাদেরই মেয়ে রেখা। আমাদের নারী সমাজের প্রতিবাদী মুখ রেখা। রেখা পাত্র সুন্দরবনের গর্ব। আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে তিনি জয়ী হবেন। সকলে মিলে আমাদের এই আন্দোলনকে বড় মাত্রা দেবো।”  

    উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রতিবাদী রেখাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। আবার রেখাও জানিয়েছেন, “আমি বাংলার নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করব। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দুস্কৃতীরা অনেক অত্যাচার করেছে। তাই সময় এসেছে এই সরকারের পতন ঘটানো। এলাকার মানুষ এবং নির্যাতিতা মহিলাদের ঘরের মেয়ে হিসাবে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share