Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পুলিশের কাছে বহুবার অভিযোগ জানাতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। পরে, সন্দেশখালিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্রামে ক্যাম্প করেছিল পুলিশ। এবার বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে হাইকোর্টের আইনজীবীরা সন্দেশখালিতে শিবির করলেন।

    শিবিরে অভিযোগ জানাতে ভিড় (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে শিবির করতে চেয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশে এই শিবির করছেন প্রিয়ঙ্কারা। মূলত শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানতে শিবির করল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারাটি বিটপোল বাজার এলাকায় শিবির করেছেন। শনিবার সকাল থেকে সেই শিবিরে ভিড় দেখা গিয়েছে। কারও অভিযোগ সরাসরি সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কারও আঙুল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের দিকে।

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জমি দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতনের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানতে রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফেও শিবির হয়েছে সন্দেশখালিতে। অভিযোগ জানতে দুয়ারে সরকার শিবিরের মতো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও অভিযোগ-অনুযোগ নথিবদ্ধ করেছেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের শাসকদলের তরফে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিও শিবির করল সন্দেশখালিতে। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। সন্দেশখালিতে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা আমরা দেখতে চাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস যে, আমরা তাঁদের জন্য কিছু করব।”

    শাহজাহানের সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন এক বাসিন্দা

    শনিবার ওই শিবিরে পৌঁছে নানা অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তবে বেশির ভাগই জমি দখলের অভিযোগ। মালতি মাহালি নামে এক মহিলা বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের একটি জমি দখল করে নেন শাহজাহানের অনুগামীরা। আমার স্বামী দুলাল মাহালি সেই জমি উদ্ধার করতে শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল ট্যাংরামারি স্কুলে দেখা করতে। কিন্তু, তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামীর খোঁজে একাধিক বার শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানায় অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিন ফের অভিযোগ করলাম এই শিবিরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের জন্যই দেশে তৈরি হয় সরকার। সেই সরকার মানুষের উন্নয়নেই কাজ করে। তাই এবার দেশের সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজেদের এলাকায় কী ধরনের উন্নয়নের আশা করেন, বা তাঁদের চাওয়া-পাওয়া জানতে বিজেপি-র উদ্যোগে চালু করা হল “পরামর্শ বাক্সের”। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা বিজেপি কার্যালয়ের বাইরে এই বক্সের উদ্বোধন করেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা জেলা বিজেপির সভাপতি মনোজ টিগ্গা।

    “পরামর্শ বাক্সের” কাজ কী? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের চা-শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ শুরু করা হচ্ছে। এই বাক্সগুলিতে সাধারণ মানুষ নিজেদের এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। যা রাজ্য দফতর হয়ে পৌঁছে যাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আগামীদিনে সেই সমস্ত পরামর্শ বিচার বিবেচনা করেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) উন্নয়নের কাজের রূপরেখা তৈরি করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “ পরামর্শ বাক্সে মানুষ কি চাইছেন সেই বিষয়ে আমরা মতামত নেব। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই মতামত নেওয়া হবে। জেলার সব মণ্ডলে এই পরামর্শ বাক্স থাকবে।“ এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেন শুক্রবার থেকে বিজেপির মণ্ডল চলো অভিযান শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচীতে জেলা বিজেপির কার্যকর্তারা প্রত্যেক মণ্ডলে গিয়ে রাত্রি যাপন করবেন। সেখানকার মানুষদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। এছাড়া আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কারা প্রচারে আসতে পারেন?

    আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির ঘোষিত দুই প্রার্থীর কাছেই এবারে লড়়াই জমে উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা একদিকে বিধানসভার পরিষদীয় দলের মুখ সচেতক তথা মাদারিহাটের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রচারে আসবেন বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গার হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, যোগী আদিত্যনাথ এর মত নেতাদের প্রচারে চেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের কাউন্সিলররা ভোটে আন্তর্ঘাত করবে”, আশঙ্কা মালদার তৃণমূল প্রার্থীর

    Malda: “দলের কাউন্সিলররা ভোটে আন্তর্ঘাত করবে”, আশঙ্কা মালদার তৃণমূল প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে রাজ্যের সব কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। অন্যান্য জেলার মতো মালদা (Malda) দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ করার কথা তৃণমূল প্রার্থীর। এই আবহে মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহান দলের কাউন্সিলর এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Malda)

    দক্ষিণ মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহান বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলররাই ভোটের আগে সমর্থন করেন অন্য দলকে। মালদার ইংরেজবাজারের তৃণমূল কাউন্সিলররা দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর বিষয়ে কোনও উদ্যোগই গ্রহণ করছে না। বরং, দলের মধ্যেও হয়ে থাকে অন্তর্ঘাত করার চেষ্টা চলছে। এমনকী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। আসলে এই সব কাউন্সিলররা ভোটে দাঁড়ানোর সময় নিজেরা ভোট করিয়ে নেয়। তখন জেতার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালান। আর অন্য ভোটে তাঁদের ভূমিকা ঠিক নয়। বিশেষ করে লোকসভা ভোটে দায়সাড়া কাজ করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররাই নয়, সুজাপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক আবদুল গণির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ভোটের কাজে বিধায়কের কোনও সাহায্য ঠিকমতো পাচ্ছেন না বলে তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ। ভোটের মুখে তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সার্বিক বিষয় নিয়ে অভিষেকের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলছেন না কোনও তৃণমূল নেতা। এলাকার কাউন্সিলররাও কেউ কিছু বলতে চাননি। তবে, এই ঘটনায় তৃণমূল বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাইদুল সেখ (৩৭)। তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাইদুলসাহেব সক্রিয়ভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে খেটেছিলেন। মিটিং, মিছিলে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে তিনি দেওয়াল লিখন শুরু করেছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতোই কাজে গিয়েছিলেন সাইদুল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপর শুক্রবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হন। বাড়ির অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, সাইদুলের সারা শরীরে ক্ষত ছিল। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। সাইদুলকে দ্রুত উদ্ধার করে নতিডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় কংগ্রেস আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, পুরনো কোনও শত্রুতাতেই খুন হয়ে থাকতে পারেন সাইদুল। দলের কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার আগের দিন লাখ লাখ টাকা উদ্ধার শহরে, গ্রেফতার ৩

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার আগের দিন লাখ লাখ টাকা উদ্ধার শহরে, গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ১৬ মার্চ বাজতে চলেছে ভোটের দামামা (Lok Sabha Election 2024)। ঠিক তার আগেই  শহরের বড়বাজার, বৌবাজার এবং পোস্তা এলাকা থেকে ৫৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার, দু’দিনেই তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওয়ালার মাধ্যমে ওই টাকার লেনদেন চলছিল।

    গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে (Lok Sabha Election 2024) ওই তিন এলাকায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। বড়বাজারের মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রোডে জনৈক সৌরভ সিংহের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। পোস্তায় চন্দ্রমোহন ঠাকুরের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত চন্দ্রমোহন আসলে বারুইপুরের বাসিন্দা। অন্যদিকে বৌবাজারে প্রদীপ সিংহের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকাগুলি হাওয়ালার টাকা বলে সন্দেশ করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

    তদন্ত করবে পুলিশ

    কলকাতা পুলিশের তরফে (Lok Sabha Election 2024) এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই টাকা আয়কর দফতরের কাছে পাঠানো হবে। এত টাকার উৎস ঠিক কী? তারই খোঁজ চলছে আপাতত। চুরি বা অন্যকোনও কোনও অপরাধের মাধ্যমে এই টাকা অভিযুক্তেরা জোগাড় করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। এই টাকা লোকসভা ভোটে ব্যবহার করা হতো কি না। তারও তদন্ত চালাবে পুলিশ ও আয়কর দফতর। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জায়গায় ব্যাগে করে এই তিনজন টাকা পাচার করতে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ হতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর প্রত্যেকটি ব্যাগ থেকেই লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়।

     

  • Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের দাড়িভিটকাণ্ডে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর কেটে গিয়েছে ১০ মাস। কিন্তু সিআইডি এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি এখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয়নি। এর পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও পালন করেনি রাজ্য। তাই শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল ইস্যু করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার

    এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দেন, আগামী শুনানিতে ওই অফিসারদের এজলাসে হাজির হয়ে জানাতে হবে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট পদক্ষেপ করবে না। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের মে মাসে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। ওই নির্দেশ দিতে গিয়ে ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘‘পুলিশের রিপোর্টেই সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত প্রয়োজন।’’ সেদিনই তদন্ত সংক্রান্ত নথি এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এর পরে দাড়িভিটে গিয়ে নিহত ২ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে আসেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। কিন্তু ১০ মাস পার হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য।

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা

    ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটের একটি স্কুলে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়া এবং এলাকাবাসী। অভিযোগ ছিল, ওই স্কুলে বাংলা শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও নিয়োগ করা হয়েছে উর্দু শিক্ষক। আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্রের। মৃতদের পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশের গুলিতেই এই মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)।

    আরও পড়ুুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: নাগরাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নেই ওষুধ, নেই ডাক্তার, প্রতিবাদে গেটে তালা দিলেন এলাকাবাসী

    Jalpaiguri: নাগরাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নেই ওষুধ, নেই ডাক্তার, প্রতিবাদে গেটে তালা দিলেন এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতারা উন্নয়নের কথা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বললেও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা কঙ্কালসার, সেই কথা আরও একবার প্রমাণিত হল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল অবস্থার ঘটনায়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ডাক্তার ঠিক সময়ে আসেন না। নেই ন্যূনতম চিকিৎসার উপকরণ। আর তাই বিক্ষোভ দেখিয়ে রোগীর পরিজন এবং এলাকাবাসী হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

    চিকিৎসা পরিষেবা লাটে (Jalpaiguri)?

    জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিষেবা একেবারে লাটে উঠেছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, “নাগরাকাটা ব্লকের লুকসান গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকদের একদম দেখা মেলে না। জরুরি পরিষেবা বলে এখানে কিছু নেই। প্রয়োজনীয় কোনও রকম চিকিৎসা নেই। এখানে কোনও রোগের ওষুধ পাওয়া যায় না।” আজ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসকদের সামনেই বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা ঘটে।

    রোগীর বক্তব্য

    সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা না পেয়ে এক রোগী বলেন, “এখানে (Jalpaiguri) ইমার্জেন্সি কোনও শয্যা নেই। ডাক্তারেরা এখানে নিয়মিত আসেন না। বাইরে নিজেদের চেম্বার খুলে চিকিৎসা করেন। যদি চিকিৎসার পরিষেবা দিতে না পারেন, তাহলে হাসপাতাল বন্ধ করে দিন।” আবার নাগরাকাটার (Jalpaiguri) ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইফরান মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “দু’জন চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন। এখানে মাত্র চারজন রয়েছেন। আমাদের টেলি মেডিসিনও দিতে হয়। লোকের অভাব একটা বড় সমস্যা। তবে পরের সপ্তাহ থেকে ডাক্তার চলে এলে সব সমস্যা মিটে যাবে।”

    বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা

    রাজ্য জুড়ে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল, আগেও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ঠিক মতো হাসপাতলে কর্তব্য পালন না করে বাইরে চেম্বার করার অভিযোগে একাধিক ডাক্তারকে শো-কজ করা হয়েছে। তাঁদের বেতন বন্ধের কথাও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছিল। এই রাজ্যে মা-মাটির শাসনে সরকারি হাসপাতালে কুকুরের ডায়লেসিসের অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এসএসকেএম-এর চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা যে অত্যন্ত বেহাল তা আরও একবার প্রমাণিত হল এই নাগরাকাটা (Jalpaiguri) গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রার্থী ঘোষণা না হলেও লোকসভার প্রচার শুরু করে দিলেন ভোজপুরী তারকা দীনেশলাল

    Asansol: প্রার্থী ঘোষণা না হলেও লোকসভার প্রচার শুরু করে দিলেন ভোজপুরী তারকা দীনেশলাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই বিজেপির প্রচারে নেমে গেলেন ভোজপুরী তারকা তথা সাংসদ দীনেশলাল যাদব। আজ শুক্রবার আসানসোল রামবন্ধুতলা থেকে গড়াই রোড হয়ে সুকান্ত ময়দান পর্যন্ত রোড-শো করেন তিনি। একই সঙ্গে ঘাগর বুড়ি মন্দিরে পুজো দেন ভোজপুরী তারকা। আসন্ন লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে এলাকার প্রচুর বিজেপি কর্মী-সমর্থক অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, তিনি বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের সাংসদ। পবন সিং প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে।” 

    কী বললেন দীনেশলাল (Asansol)?

    আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে তৃণমূল প্রার্থী করেছে শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে। ২০১৪ সালে বিজেপির বাংলায় জেতা দুটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছিল আসানসোল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার প্রসঙ্গে ভোজপুরী তারকা তথা সাংসদ দীনেশলাল যাদব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তাঁর এই বয়সে মেডিটেশন যেমন করা উচিত, ঠিক আবার তেমনি জিম করা উচিত। তবে সেটা অবশ্য নিজের বয়সের দিকে নজর রেখে করতে হয়। সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। আরোগ্য কামনা করি।”

    আরও একবার মোদি সরকার হবে

    ভোজপুরী গায়ক দীনেশলাল যাদব নিজের প্রচারের বিষয়ে আসানসোলে আরও (Asansol) বলেন, “পার্টির আমি একনিষ্ঠ সৈনিক, একদিনের কর্মকাণ্ড ছিল তাই এসেছি। দেশকে শক্তিশালী করতে মোদিজির নেতৃত্ব একান্ত প্রয়োজন। আসানসোলে রেলের তরফ থেকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেই জমিতে চার লেনের রাস্তা হবে। দেখুন নির্বাচনে লড়াই করা, জয়-পরাজয় এক বিষয় এবং দেশের উন্নতি প্রসঙ্গে কাজ করা অন্য বিষয়। সারা বিশ্ব প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের দিকে নজর রেখেছে। ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন পাবে। আর একবার দেশে মোদির সরকার গঠন হবে। এই বাংলায় সিএএ লাগু হবেই। মমতা সরকারকে এই আইন কার্যকর করতে হবেই। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব বাতিলের আইন নয়।”

    দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ

    উল্লেখ্য বিজেপির প্রচার কর্মসূচিতে শুক্রবার সকালে আসানসোলে (Asansol) আসেন এই বিজেপি তারকা দীনেশলাল যাদব। শুক্রবার দিনভর দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration scam: কাকদ্বীপে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার সময় ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা, মিলল তৃণমূল যোগ

    Ration scam: কাকদ্বীপে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার সময় ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা, মিলল তৃণমূল যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাচারের অভিযোগ তুলে প্রায় দুশো বস্তা রেশন (Ration scam) সামগ্রী হাতেনাতে ধরলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় আটক ২। রেশন সামগ্রী ধরার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার বাপুজি দশ নম্বর চ্যাটার্জিচক এলাকায়। উল্লেখ্য, রাজ্যে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। একই দুর্নীতির মামলায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ যোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে পাকড়াও হল (Ration scam)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোডাউন থেকে ভ্যান বোঝাই রেশন (Ration scam) সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি ভ্যান খারাপ হয়ে যায়। তা দেখেই এলাকার বাসিন্দা দীননাথ নাইয়ার সন্দেহ হয়। এপপর তিনি এবং আরও গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে জানতে চান, ভ্যানে মাল কীসের? বস্তা বোঝাই সামগ্রীর সাথে থাকা লোকজন জানায় এই মাল রেশন সামগ্রী, এক গোডাউন থেকে অন্য গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়, এগুলি পাচার করা হচ্ছে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকাবাসী সুস্মিতা হালদার অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ওই রেশন ডিলার আমাদের কোনও রেশন (Ration scam) দিচ্ছে না। ফলে এই রেশন সামগ্রীগুলো এল কোথা থেকে? গত লক ডাউনের পরবর্তী সময় থেকেই আমাদের প্রাপ্য রেশনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই আজকে আমরা আটক করে প্রতিবাদ জানালাম।” এরপরেই রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে এলাকার মানুষ মালবোঝাই ভ্যান আটক করে খবর দেয় কোস্টাল থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মাল বোঝাই ভ্যান সহ দুজনকে আটক করে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে জানা যায়, রেশন ডিলার দীননাথ নাইয়া বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ফলে এলাকার মানুষের দাবি, শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে এই দুর্নীতিতে।

    বিজপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এলাকার বিজেপি নেতা সুদীপ হালদার বলেন, “এলাকায় বহুদিন ধরে চাল-গম দিচ্ছিল না রেশন ডিলার। আর রাস্তা দিয়ে রেশন নিয়ে যেতেই সাধারণ মানুষ ধরে ফেলে। তৃণমূলের নেতা এই রেশন পাচারের (Ration scam) সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত করলেই মাথা খুঁজে পাওয়া যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: বিলাসবহুল ভলভো বাস যেন আস্ত গোয়ালঘর! অভিনব কায়দায় গরু পাচারের পর্দা ফাঁস?

    Purba Bardhaman: বিলাসবহুল ভলভো বাস যেন আস্ত গোয়ালঘর! অভিনব কায়দায় গরু পাচারের পর্দা ফাঁস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলাসবহুল ভলভো বাস থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ল গরু! বাসে উঠেই এলাকাবাসীর চক্ষু চড়কগাছ। দেখা গেল আরও বহু গরু বাঁধা রয়েছে বাসেই। বাস যাত্রীশূন্য। ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল বাসে কীভাবে এল এত গরু? এই প্রশ্নে বাসকে আটক করেছে এলাকার মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল বাস

    যে বিলাসবহুল বাসে মানুষ যাতায়াত করে, সেই বাসে করে কীভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল? ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারিতে জিটি রোডে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিলাসবহুল বাসের দুই পাশই ভিতর থেকে পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল। পর্দা রঙিন হওয়ায় বাইরে থেকে বাসের ভিতরের অংশ দেখা সম্ভব নয়। আর তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গরু পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

    কীভাবে আটক হল?

    মেমারির (Purba Bardhaman) চকদিঘি মোড় এলাকায় বাসটি আসতেই স্থানীয়রা দেখেন, বাসের নীচে মাল রাখার ডিকি থেকে একটি গরু মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে বাসে রাখা আরও গরু সেই সময় ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। গরুর ডাক কানে আসতেই এলাকায় উপস্থিত মানুষের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। গোটা এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সকলে মিলে বাসকে আটক করেন। তারপর বাসে উঠতেই দেখা যায় ভিতরে একজনও যাত্রী নেই। কেবল গরু আর গরু। এটা কি অভিনব কায়দায় বিলাসবহুল বাসে গরু পাচারের নয়া কৌশল? এলাকার মানুষের কাছে এখন এই প্রশ্নই আলোচনার কেন্দ্রে।

    বাসচালকের বক্তব্য

    বাস চালক রাজু অবশ্য দাবি করেছেন, “বাসের কাগজপত্র সবই রয়েছে। এখানে কোনও চোরাকারবারের বিষয় নেই। বিহার থেকে পাণ্ডুয়ায় আনা হচ্ছিল বাস।” যদিও তাঁর এই কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদে, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share