Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nusrat Jahan: ‘নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলেন’, নুসরতকে তীব্র কটাক্ষ সন্দেশখালিবাসীর

    Nusrat Jahan: ‘নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলেন’, নুসরতকে তীব্র কটাক্ষ সন্দেশখালিবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি জুড়ে গত দেড় মাস অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল। তৃণমূলের স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) একবারের জন্যও সেখানে যাননি। ভোটের সময় সন্দেশখালিতে এসে এলাকায় মহিলাদের নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেছিলেন, “বিপদে পড়লেই ফোন করবেন। পাশে থাকব।” সন্দেশখালি উত্তাল হতেই বহু মহিলাই সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর ফোন ‘নট রিচেবল’ ছিল। ফলে, সন্দেশখালির মহিলারা স্থানীয় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার নুসরতের নতুন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সন্দেশখালির মহিলারা তাঁকে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন।

    কী বলেছেন নুসরত? (Nusrat Jahan)

    সন্দেশখালির গন্ডগোল সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় ১৪৪ ধারা করা হয়েছে। আর এই ১৪৪ ধারা নিয়ে সম্প্রতি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে নুসরতকে সেখানে বলতে শোনা গিয়েছে, “সন্দেশখালিতে ১৭৪ ধারা রয়েছে।” এরপর নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং। আর সেই ভিডিওবার্তা দেখে সন্দেশখালির মহিলারা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। অনেকে সেই ভিডিও নিজেদের মধ্যে শেয়ারও করেছেন।

    এবার সাংসদকে খোঁচা দিলেন সন্দেশখালির মহিলারা

    বৃহস্পতিবার শাহজাহান গ্রেফতারের পরই সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে রং-আবির খেলা শুরু হয়। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমরা দারুণ খুশি। তাই হইহই করে রাস্তায় নেমেছি, আবির খেলছি।” এরপর সাংসদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমরা নায়িকা তো তাই নাচতে বেরিয়েছি। নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলছেন। ওনারা তো শেখানো পড়ানো বুলি বলতে পারেন। নিজেদের তো সাধারণ জ্ঞান নেই। এতই যদি শিক্ষিত, তাহলে ১৪৪ কে ১৭৪ বলতেন না। সন্দেশখালিতে গত দেড় মাস ধরে এত ঘটনা। বসিরহাট সাংসদের এলাকার মধ্যে পড়ে এই ব্লক। তবে একদিনও এলাকায় যাননি সাংসদ নুসরত জাহান।” যদিও ইতিমধ্যেই নুসরতও জানিয়েছেন, দলের নির্দেশ মেনে যা যা করার তা তিনি করেন। সাংসদের এসব কথায় খুশি নন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, মহিলা সাংসদ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের, শোরগোল

    TMC: সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার, কয়লা পাচারে অনেক তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল তো গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে রয়েছেন। এবার সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়ার মুরলিগছে সাপের বিষ-সহ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের ‘ঘনিষ্ঠ’। ফজলে রব্বি পেশায় ঠিকাদার। তিনি আগডিমঠি খুন্তি অঞ্চল কমিটির সদস্য।

    তৃণমূল নেতার ভাইয়ের গাড়িতেই সাপের বিষ পাচার! (TMC)

    গাড়ি এবং একটি স্কুটার থেকে কাচের দু’টি জার উদ্ধার হয়। বন দফতরের বাগডোগরা রেঞ্জ, কার্শিয়াং ডিভিশনকে নিয়ে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র তরফে যৌথ অভিযান চালানো হয়। দুটি কাচের জারে সাপের বিষ পাচারের আগে, মুরলিগছ এলাকা থেকে ধরা পড়েন মহম্মদ শাহানওয়াজ, তৌহিদ আলম এবং মহম্মদ আজমল। তিনজনই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা। মহম্মদ তৌহিদ আলম নামে ধৃত ওই যুবক তৃণমূল নেতার ভাই রব্বি সিদ্দিকের গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে বাড়ির বাজার-সহ রোজকার কাজকর্ম করতেন। ঘটনার দিন অভিযুক্তের কাছেই তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতির ভাইয়ের গাড়িটিও ছিল। সেই গাড়িতেই সাপের বিষ পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ‘ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র এক আধিকারিক বলেন, কয়েক দিন ধরে অভিযুক্তদের উপরে নজরদারি চলছিল। বহুমূল্য সাপের বিষ আগেও পাচার করেছে কি না, চক্রে আরও কারা জড়িত, সব দেখা হচ্ছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও তাঁর ভাই কী সাফাই দিলেন?

    শাসক দলের ব্লক সভাপতি জাকির বলেন, গাড়ি যাঁর, তিনি বলতে পারবেন। তৃণমূল (TMC) নেতার ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের কথায়, আমার বাড়ির তিনটি বাড়ি পরেই তৌহিদের বাড়ি। আমার গাড়ি চালায়, বাজার করে, বাড়িতেও থাকে। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। স্ত্রীর কাছ থেকে ও গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। এমন কাজে জড়িত বুঝতেই পারিনি। আমাকে বদনাম করে দিল। আমি এসবে কোনওভাবে জড়িত নই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তো দূরের কথা। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই সন্দেশখালি জুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস হয়। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মেতে ওঠেন সন্দেশখালির মানুষ।

    জয় শ্রীরাম বলতে দিত না শিবুরা

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাত্রপাড়া, বেড়মজুর, কর্ণখালি, পুকুরপাড়া-সব জায়গা থেকেই এই ভাবে বেরিয়ে এসেছে জমা রাগ। কখনও মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে, কখনও ছেলেদের মারধরের বিরুদ্ধে, কখনও আবার ভিটেমাটি দখলের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি দ্বীপের ভিতরে যত যাওয়া যায়, এমনই সব ঘটনা পরতে পরতে খুলে আসে। চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে রাগও। ৮ নম্বর কর্ণখালির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বরাবর জানি, রাম আমাদের আরাধ্য দেবতা। কিন্তু, ত্রিমণি বাজারে গিয়ে আমরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে পারি না। বললে শিবুর (শিবপ্রসাদ হাজরা) লোকজন ধাওয়া দিত।” আমাদের তো ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অধিকার আছে। সেটা এতদিন বলতে পারিনি। পাত্রপাড়ার এক মহিলা বলেন, ওরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না আমাদের ছেলেদের। ধামাখালির খেয়াঘাট দিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে গেরুয়া রং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর এতদিন জয় শ্রীরাম বলতে না পারার জ্বালা মিটিয়েছেন এলাকাবাসী।

    সন্দেশখালি জু়ড়ে বাড়়ছে ক্ষোভ

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ক্ষোভের আগুন বেড়েই চলেছে। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালি জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মহিলারা। তাঁরা সাফ বলেন, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামে অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহজাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Bengal: ২ দিনের বঙ্গ-সফরে মোদি, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ রয়েছে জোড়া সভা

    PM Modi in Bengal: ২ দিনের বঙ্গ-সফরে মোদি, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ রয়েছে জোড়া সভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দু’দিনের বঙ্গ সফরে রাজ্যে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। দুপুরে হুগলির আরামবাগের সরকারি মঞ্চ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদি। এর পাশাপাশি রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ রেল, সড়ক, হলদিয়া-বারাউনি তেলের পাইপ লাইন-সহ বাংলার জন্য একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

    মোদির বঙ্গ সফরেই বাজতে চলেছে লোকসভা ভোটের দামামা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি-সন্ত্রাস ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরামবাগে বিজেপির জনসভা মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। 

    প্রধানমন্ত্রীর ২ দিনের কর্মসূচি

    কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিও প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ১মার্চ আরামবাগে ও ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন। রাত্রিবাস করবেন রাজভবনে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সফরসূচি অনুযায়ী, ১ মার্চ সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন মোদি (PM Modi in Bengal)। বেলা ১০টা ১০ মিনিটে দুর্গাপুর বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। সকাল সওয়া ১০টায় হেলিকপ্টারে চেপে রওনা দেবেন ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে। সেখানে কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কর্মসূচি সেরে বেলা পৌনে ২টোয় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চেপে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে তাঁর পৌঁছানোর কথা আরামবাগ হেলিপ্যাডে। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে আরামবাগ হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে যাবে তাঁর কনভয়। ৩টের সময় পৌঁছবেন আরামবাগের সরকারি অনুষ্ঠানস্থলে। জানা গিয়েছে, সেখানে আধঘণ্টার সেই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৩৫ মিনিটে জনসভার জন্য সড়কপথে রওনা দেবেন মোদি। ৩টে ৪০ মিনিটে তাঁর পৌঁছানোর কথা জনসভার মঞ্চে। সেখানে পৌনে ৪টে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Bengal)। বিকেল পৌনে ৫টায় কপ্টারে চড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। সাড়ে ৫টায় তাঁর পৌঁছানোর কথা রাজভবনে। এদিন সেখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। শনিবার ২ মার্চ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বের হবেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষ্ণনগরের পৌঁছবেন ১০টা ২০ মিনিটে। এরপর আধঘণ্টার অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। তাঁর জনসভা রয়েছে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। এরপর কপ্টারে চড়ে যাবেন পানাগড়ে। ১টা নাগাদ পানাগড় বিমানবন্দর থেকেই বিহারের গয়ার উদ্দেশে উড়ানে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি ম্যাজিকের অপেক্ষায় বঙ্গ বিজেপি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Bengal) আসছেন। উনি রাত্রিবাসও করবেন। ১ এবং ২ তারিখ এখানে সভা তাঁর। ১ তারিখ আরামবাগে সভা করবেন। দুপুর ৩টে থেকে সেই সভার সময় দেওয়া আছে। পরদিন সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা আছে প্রধানমন্ত্রীর। আমার কাছে যা খবর উনি আবার ৫ তারিখে আসবেন। কলকাতায় রাত্রিবাস করতে পারেন। ৬ তারিখ বারাসতে সভা।” গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ আসনটিতে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী। ৩৫টি আসনের যে টার্গেটকে সামনে রেখে এগোচ্ছে বঙ্গ বিজেপি, তার মধ্যে আরামবাগ আসনটিও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে সুকান্ত বলেন, “আগের বার অল্পের জন্য আরামবাগ ফস্কে গিয়েছে। এবার লক্ষাধিক ভোটে জিতে এই কেন্দ্র উপহার দেব নরেন্দ্র মোদিকে। শুক্রবার আপনারা দেখবেন ম্যাজিক কাকে বলে। এর নাম মোদি ম্যাজিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই নিয়োগ-দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি চলাকালীন ইডির তরফে দাবি করা হয়, ‘‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৫৪ কোটি টাকার জন্য দু’জন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে এবং দু’জনেই দাবি করছে, এটা তাঁর নয়, অপর জনের।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৫৪ কোটি টাকা যেন ফুটবল হয়ে গিয়েছে। কখনও পার্থর কোর্টে তো কখনও অর্পিতার কোর্টে। অথচ মালিকানা কেউ নিতে চাইছে না। সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানিতে অর্পিতা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি নন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অর্পিতার দুটি বাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা এবং সোনার গয়না উদ্ধার করে ইডি।

    দুর্নীতির কিংপিন পার্থ, দুর্নীতির রানি অর্পিতা

    আদালতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও দাবি করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই চলত যাবতীয় ব্যবসা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তিকে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি ইডির (ED)। ইডির দাবি, অর্পিতা অতীতে দাবি করেছেন, যাবতীয় দুর্নীতির কিংপিন হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তবে অর্পিতাও যে দুর্নীতির সঙ্গে সমানভাবে যুক্ত, সে কথাও এদিন আদালতে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। ইডির তরফে এদিন বলা হয়, ‘‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কিংপিন। আমরা বলছি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষে এই দুর্নীতির রানি।’’

    ৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি

    বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে ইডি আদালতে জানায়, পাঁচটি মামলায় ১৬৫ জন সাক্ষী রয়েছে। সেই শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।’’ তখন ইডির (ED) তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে প্রত্যেকদিন নিম্ন আদালতে শুনানি করতে প্রস্তুত।’’ আগামী ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? আদালতে ইডি

    Recruitment Scam: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? আদালতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই মামলার শুনানিতে (Recruitment Scam) অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা আদালতে অস্বীকার করেছিলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, অর্পিতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নয়, বরং ভাইঝির মতো! কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাল, দুজনে সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? নিজেদের দাবির স্বপক্ষে এদিন উচ্চ আদালতের তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বিভিন্ন যুক্তিও খাড়া করে ইডি।

    পার্থ-অর্পিতা সম্পর্ক, উচ্চ আদালতে ইডির যুক্তি

    ১. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে এদিন জানায় ইডি (Recruitment Scam)। সেই কারণেই নাকি দুজনে সন্তান দত্তক নিতেও সম্মত  হন। আদালতে এমনটাই দাবি ইডির।

    ২.  পার্থ কীভাবে অর্পিতার কাকা হয়ে গেলেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির (Recruitment Scam) মতে, অর্পিতার ৩১ টি এলআইসি পলিসিতে পার্থর নাম উল্লেখ রয়েছে।

    ৩. ইডির আরও দাবি, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর অর্পিতার নাম রাখা হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, তাঁদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ঠিক কতটা।

    ৪. পার্থ-অর্পিতা গোয়া ও থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। ইডির দাবি, সেসময় জনৈক স্নেহময়ও তাঁদের সঙ্গে যান। স্নেহময়ের বয়ানে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের কথা বলা  আছে বলে জানিয়েছে ইডি।

    ৫. কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অপা নামে পার্থ-অর্পিতার যৌথ কোম্পানি রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কাকা-ভাইঝির সম্পর্কের নাম এভাবে অপা হতে পারে না।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির আইনজীবী এদিন উচ্চ আদালতে বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতে শুনানির সময় অর্পিতা বার বার দাবি করেছেন, এই দুর্নীতির ‘কিংপিন’ (Recruitment Scam) পার্থ। এর স্বপক্ষে তিনি কিছু তথ্যও দিয়েছিলেন। তাতে বোঝা যায়, দুর্নীতিতে অর্পিতাকে ব্যবহার করেছিলেন পার্থ। অর্থাৎ দুর্নীতিতে তাঁরা দু’জনেই জড়িত। তাঁদের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, আমরা জানি না। কিন্তু তথ্য বলছে, একে অপরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক অবশ্যই ছিল। আমরা বলছি, অর্পিতা এই দুর্নীতির রানি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: গ্রেফতার হতেই শাহজাহানকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, এও কি লোক দেখানো ‘শাস্তি’?

    Sheikh Shahjahan: গ্রেফতার হতেই শাহজাহানকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, এও কি লোক দেখানো ‘শাস্তি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর তা তাঁকে জামাই আদর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সন্দেশখালির মহিলারা। এবার শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর  জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয়েছিল তাঁকে। এতদিন ধরে ফেরার থাকার সময় দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু, গ্রেফতার হওয়ার পর ঘটনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে,তাঁকে দল থেকে শুধু নয়, জেলা পরিষদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ লোক দেখানো বলেই সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা চলছে।

    শুধু দল নয়, কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে! (Sheikh Shahjahan)

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বলেন, দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হত কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও। সেই মতোই কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে জেলা পরিষদের আসনে জিতে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে আজ তাঁকে ছয় বছরের জন্য সাসপেনশনের কথা জানিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মুহূর্তে গ্রেফতার হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনও পদে থাকছেন না সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান।

    সন্দেশখালির বাসিন্দারা কী বললেন?

    সন্দেশখালিবাসীর বক্তব্য, তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে ও এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছি। লোকদেখানো সাসপেন্ড করে লাভ নেই। শাহজাহানের কড়া শাস্তি দিতে হবে। দল পাশে আছে বলেই পুলিশও তাঁর কোমরে দড়ি পড়াতে পারছে না। তাঁর গায়ে স্পর্শ করতে পারছে না। পুলিশি হেফাজতে ও জামাই আদরের মতো থাকবে। শাহজাহান এলাকায় যা অত্যাচার করেছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় মহিলারা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে জনরোষ কমাতে গ্রামে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিল করে শাহজাহান বাহিনীর অন্য সদস্য সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজ মাস্টারদের গ্রেফতারের জানানোর জন্য অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরই আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। আবির খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা।

    শাহজাহানের ফাঁসির দাবি উঠল! (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামের অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় য়ে তাণ্ডব চালিয়ে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহ জাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    ভোট দিতে দিত না শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী!

    এই শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর দাপটের কারণে বছরের পর বছর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর আবার কেউ ১১ বছর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কী হত ভোটের দিনগুলো এই সন্দেশখালিতে? মাঝেরপাড়ার এক মহিলার ভোটার বলেন, ভোটের দিন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভিতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নখে কালি লাগিয়ে দিত শাহজাহানের লোকজন। এরপরই ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত ওরা। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না। ওরা সব করত। আমরা কথা বলতে পারতাম না। তাঁরা বলছেন, যতদিন না শেখ শাহাজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা একটু ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ। পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর সভা

    Suvendu Adhikari: ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর সভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার হওয়ার খুশিতে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া বাজার, শেখ শাহজাহান মার্কেটসহ একাধিক জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে বিশেষ সভা করবেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, “পুলিশ যদি সভার অনুমতি না দেয় তাহলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” রেশন দুর্নীতি, জোর করে জমি দখল এবং হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌননির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের পুলিশি গ্রেফতারে  তীব্র শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    হাইকোর্টের অনুমতিতে ফের সন্দেশখালিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালি-মিনাখাঁ বিধানসভায় দুটি জায়গায়কে ঠিক করেছে নিজেপি। সকাল ১০টায় এই সভা হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে গিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাস্তায় রামপুর ফেরিঘাট থেকে লঞ্চে করে সন্দেশখালি বাজারে পৌঁছান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং অর্চনা মজুমদার। তিনি পৌঁছে হালদার পাড়া সহ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করে মানুষের অভাব, অভিযোগের কথা শুনেছেন। সেই সঙ্গে এলাকার মানুষ শঙ্খ, উলু ধ্বনি, এবং পুষ্প বর্ষণ করে গ্রামের মহিলারা বরণ করে নেন। বেশ কিছু জায়গায় পায়ে হেঁটে আবার টোটোতে চেপে ঘুরে দেখেন তিনি। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    আজ বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “একজন বলেছিলেন সন্দেশখালিতে এলে আমার ছাল আর চামড়া ছাড়িয়ে নেবেন। তাই আজ এসে মিষ্টি খেয়ে গেলাম। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি বাড়িতে বসে থাকতে পারিনা। মানুষ নিজের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাইছে। তাই মানুষের দাবিকে সমানে রেখে আমাদের আন্দোলন চলবে। মানুষ অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন, দোষীদের শাস্তি হবে তো? বিচার পাবো তো? ফের এলাকায় ফিরে এসে শাহজাহান অত্যাচার করবে না তো। তাই মানুষকে ভয় মুক্ত করা আমাদের একমাত্র কাজ। সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ এই দুই বিধানসভাকে নিয়ে আমরা ৩০ হাজারের মানুষের সভা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলার ঘটনা আদালতে কার্যত স্বীকার করে নিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহানের মতো এক তথাকথিত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে এক কথায় স্বীকার করে নিলেন নিজের অপরাধ! অবাক রাজনৈতিক মহল। শাহজাহানের স্বীকারোক্তিই তো পুলিশের কেস শক্ত করে দিল। সহজেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের ‘অজুহাতে’ পুলিশের হেফাজতে চলে গেলেন শেখ শাহাজাহান। তিনি কি নিজেই চাইছেন পুলিশের কাছে থাকতে, বা বলা ভালো, রাজ্যে থাকতে?

    পুলিশের দাবি

    মিনাখাঁ থেকে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সোজা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।

    নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। যে সমস্ত সমাজবিরোধী গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে ইডি আধিকারিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটে যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে শাহজাহানই পথ বলেও নথিতে দাবি করেছে পুলিশ। লুট হওয়া মালপত্রের কিছুই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। তাই পুলিশ হেফাজতেই থাক শহজাহান। 

    শাহজাহানের স্বীকারোক্তি

    এদিন আদালতে মাত্র ১০ মিনিট সওয়াল জবাব হয়। শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তখনই শাহজাহান বলেন, ‘‘সাত সকালে কোনও নোটিশ ছাড়া ইডির আধিকারিকরা আমার বাড়তে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই অনুগামীদের ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা করার নির্দেশ দিই। তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিতে বলি।’’ এত সহজে দোষ স্বীকার করে নিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা! প্রশ্ন উঠছে ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এই স্বীকারোক্তি নয় তো? রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকলে অন্তত কিছুদিন ঠেকানো যাবে ইডিকে।

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সেফ কাস্টোডিতে শাহজাহান!

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের মামলা আপাতত সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে। তারাই এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শাহজাহানকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থেকে বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের গোয়ান্দারা শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, বলে খবর। পুলিশের আনা অভিযোগ এক প্রকার মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির নেতা। পুলিশকে  সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সামনে লোকসভা নির্বাচন রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শাহজাহানকে ইডি-র হাত থেকে বাঁচাতে চাইছে মমতার পুলিশ? ভোটের আগে ইডি ছুঁলে রক্ষে নেই তাই অন্তত কিছুদিন পুলিশের সেফ কাস্টোডিতে থাকাই ভাল! প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই গ্রেফতারি সত্যিই ফেক, এই কাস্টোডি মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। যেমনটা বলছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share