Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah: দেড় বছরের সন্তানকে খুন করে ব্যাগে ভরে ফলকনামায়! আদালতে দোষী সাব্যস্ত মা ও প্রেমিক

    Howrah: দেড় বছরের সন্তানকে খুন করে ব্যাগে ভরে ফলকনামায়! আদালতে দোষী সাব্যস্ত মা ও প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করার অপরাধে মা ও তাঁর প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করল হাওড়া জেলা আদালত। মঙ্গলবার হাওড়া (Howrah) জেলা আদালতের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সন্দীপ চক্রবর্তী শিশুপুত্রকে হত্যা করা ও প্রমাণ লোপাট করার অপরাধে তার মা হাসিনা সুলতানা ও তার প্রেমিক ভান্নুর শা-কে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন।

    নৃশংসভাবে শিশুকে খুন, ব্যাগে করে ফলকনামায় (Howrah)

    সরকার পক্ষের তরফে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ঘটনার সুত্রপাত অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায়। সেখানকার টেনালী থানার রাইস মিল কলোনিতে মা রশিদা বিবির-র কাছে দেড় বছরের ছেলে সেখ জিশান আহমেদকে নিয়ে থাকতেন হাসিনা সুলতানা। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে, ছোট্টবেলার প্রেমিক ভান্নুর শায়ের হাত ধরে হায়দরাবাদে ওঠেন তাঁরা। দেড় বছরের জিসানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু, সন্তানের সামনে প্রেমিকের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করা যাচ্ছিল না। পথের কাঁটা সরাতে দুধের শিশুকে খুন করার ছক কষেন তাঁরা। ২০১৬ সালে ২২ জানুয়ারি রাতে দেড় বছরের সন্তানকে মা আর তাঁর প্রেমিক মিলে একপাতা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেঘোর করে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করেন। পরে, ব্যাগের মধ্যে শিশুটিকে রেখে সেকেন্দ্রাবাদে ফলকনামা এক্সপ্রেসে রেখে আসেন। ২৪ তারিখ ফলকনামা এক্সপ্রেস এসে পৌঁছায় হাওড়া স্টেশনে। নিয়ম মোতাবেক ট্রেন পরীক্ষা ও পরিষ্কার করার সময় রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে সিটের নীচে রাখা ব্যাগটি। ব্যাগটি খোলা হলে উদ্ধার হয় একটি অজ্ঞাতপরিচয় বাচ্চার মৃতদেহ। যার শরীরে ১২টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাওড়া (Howrah) জিআরপি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

    ব্যাগের সূত্র ধরে তদন্ত

    তদন্ত চলাকালীন পুলিশের নজরে আসে অন্ধ্রপ্রদেশের টেনালী থানার জারি করা লুক-আউট নোটিশটি। ব্যাগের সূত্র ধরেই মৃত শিশুটির ছবি নিয়ে পুলিশ রওনা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের টেনালী থানার উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় যে, মৃত ও নোটিশে, একই শিশুর ছবি। খুঁজে বার করা হয় শিশুটির বাবা শেখ রিয়াজকেও। সেও শিশুটিকে নিজের ছেলে বলে সনাক্ত করে। পুলিশ এরপর শিশুটির দিদা, মিসিং ডায়েরি করা রোশন বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, দেখানো হয় মৃত শিশুটির ছবি। তিনিও শিশুটিকে সনাক্ত করেন। ইতিমধ্যে দেখা যায় শিশুটির মা হাসিনা তার মায়ের বাড়িতে ফিরে এসেছে। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তিনি পুলিশের কাছে সমস্ত দোষ স্বীকার করেন। হাসিনাকে নিয়ে পুলিশ পাড়ি দেয় ভান্নুর এর বাড়ির উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তিনিও পুলিশের কাছে সমস্ত দোষ স্বীকার করেন। দুজনকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ আইন মোতাবেক হাওড়া আদালতে হাজির করে।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    হাওড়ার (Howrah) সরকারি আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, দেড় বছরের অসহায় সন্তানকে যেভাবে নৃশংসভাবে দুজনে মিলে হত্যা করেছে এবং তার পরে খুব ঠান্ডা মাথায় উভয়ে মিলে ট্রেনে করে সন্তানের মৃতদেহ ভিনরাজ্যে পাচার করেছে, তা সত্যই বিরলের মধ্যে বিরলতম। সরকারপক্ষের তরফ থেকে এই মামলাতে সর্বোচ্চ সাজা, অর্থাৎ ফাঁসির সাজা শোনানোর প্রার্থনা আদালতের কাছে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ থেকে বাদ গেল না স্কুলও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bomb Blast: ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ থেকে বাদ গেল না স্কুলও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার পরও শান্তি ফিরল না ভাঙড়ে। ভাঙড় যে ভাঙড়েই আছে, তা আরও একবার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। এবার রাজনৈতিক কোনও হিংসার ঘটনা নয়। বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটল স্কুল চত্বরের ভিতরে। তাও আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনেই। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় হাইস্কুলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    ভাঙড় হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। মঙ্গলবার ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাত্র ১০ মিনিট আগে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বেরোচ্ছেন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে। এক পরীক্ষার্থী বাথরুমে গিয়েছিল। সেখানে একটি বোমায় আগুন জ্বলতে দেখে সে। এরপরই ছুটে এসে বাইরে সকলকে চিৎকার করে বলতেই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। আচমকা প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা স্কুলবাড়ি। শুরু হল দৌড়ঝাঁপ। পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন বলে, মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই একটি বোমা ফাটে শৌচাগারে। ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, একটি সুতলি বোমা রেখে গিয়েছিল কেউ বা কারা। সেটাই ফেটেছে। কিন্তু, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের শৌচাগারে কে বিস্ফোরক রেখে গেল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানাচ্ছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর নেপথ্যে কোনও পরীক্ষার্থীও থাকতে পারে। এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    শুরু রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “আরাবুল ইসলাম গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন। ভাঙড়ে এখনও শান্তি ফেরেনি। তৃণমূল জমানায় বোমা, বন্দুক, গুলি সর্বত্র পাওয়া যায়। স্কুলও ছাড় পাচ্ছে না। এরজন্য পুলিশ-প্রশাসনই দায়ী। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে শাসকদল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রামনবমী হিংসায় এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার ১৬, ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রামনবমী হিংসায় এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার ১৬, ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ায়। এই ঘটনায় রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। গ্রেফতারি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা কলকাতা হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলকে এই ঘটনার কারণে নিশানাও করেছেন তিনি। শুভেন্দুর অধিকারীর দাবি, মমতার সরকার এবং পুলিশের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের বোঝা উচিত যে আইন তাঁদের রেয়াত করবে না।

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন শুভেন্দু? 

    ২০২৩ সালের রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর, রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের বেশ কিছু এলাকা। ঘটনার ঠিক পরদিনই আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেসময় এনআইএ তদন্তের দাবি জানান। হাইকোর্টও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি মেনে নেয়। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমীর মিছিলে সহিংসতা মামলার এনআইএ তদন্তের ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমি এনআইএ তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলাম। এরপরই এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার এনআইএ তদন্ত রোধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল, তবে সুপ্রিম কোর্ট এনআইএ তদন্তে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।”

    তাঁর আরও সংযোজন, “জাতীয় তদন্ত সংস্থার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে যে ডালখোলায় রাম নবমী মিছিলের সহিংসতার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি আশাবাদী হাওড়ার শিবপুর, হুগলির শ্রীরামপুর, রিষড়া থেকেও রাম নবমীর মিছিলে অংশগ্রহণকারী শান্তিপূর্ণ ভক্তদের উপর হামলাকারীদেরও গ্রেফতার করা হবে।”

    মিছিলে পেট্রোল বোমা ছোড়ার অভিযোগ 

    গত বছর রামনবমীর দিন অসংখ্য হিন্দু সংগঠন মিছিল বের করেছিল। মিছিলের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, শিবপুর, রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরে যখন রামনবমীর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, সেই সময় মিছিলকে লক্ষ্য করে প্রথমে কাচের বোতল, ইট ও পাথর উড়ে আসে। পরবর্তীতে পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয় মিছিলে। আহত হন বেশ কিছু রামভক্ত। প্রতিটি এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রিষড়াতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার জিটি রোড চত্বর। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি বাস, টোটোতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলেন বিচারপতি, কী উত্তর দিলেন আইনজীবী?

    Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলেন বিচারপতি, কী উত্তর দিলেন আইনজীবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সাল থেকেই একটা প্রশ্ন ঘুরছে। পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কী? এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মিম ছড়িয়ে পড়েছে। অবেশেষে মিলল উত্তর। অর্পিতা নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ভাইঝি, আদালতে মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। ভাইঝি অর্পিতার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমনটাই দাবি আইনজীবীর।

    পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক জানতে চান বিচারপতি

    মঙ্গলবারই পার্থর জামিনের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক জানতে চান বিচারপতি। তখনই তাঁদের কাকা-ভাইঝি বলে উল্লেখ করেন পার্থর আইনজীবী। শুনানি চলাকালীন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী আদালতে জানান, এমনটা নয় যে অর্পিতাকে চিনতেন না তাঁর মক্কেল। ব্যবসায়িক সূত্রেই তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর বাইরে অর্পিতা কী করেন, তা তাঁর মক্কেলের জানা ছিল না। নিজের যুক্তির স্বপক্ষে পার্থর আইনজীবী আদালতে আরও দাবি করেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে তদন্তকারীরা বিমা সংক্রান্ত যে নথি উদ্ধার করেছেন, সেখানেও ‘নমিনি’ হিসেবে পার্থর পরিচয় রয়েছে ‘কাকু’!

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ-অর্পিতা

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় একদা তৃণমূলের মহাসচিবকে। সেসময় পার্থর (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। পার্থ এবং অর্পিতার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে পার্থর আইনজীবী বুধবার আদালতে জানালেন, ব্যবসায়িক সম্পর্কই ছিল দু’জনের মধ্যে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) দিকে দিকে তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক জায়গায় ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের মুখে বীরভূমে একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার কে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এর আগে নির্বাচন হোক বা সাধারণ বিষয় রাজনৈতিক হানাহানিতে তপ্ত হয়েছে বীরভূম। তাই, একাধিক থানা এলাকায় এত বোমা বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    নানুর, কীর্ণাহার, ইলামবাজারে বোমা উদ্ধার (Birbhum)

    ভোটের আগে বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা। বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই, মারগ্রাম, দুবরাজপুর, লাভপুরের পর এবার কীর্ণাহার। বোমা উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য। বীরভূমে ফের বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রাম। কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রামের মাঠের ধার থেকে ৪০-৪২ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত নেমেছে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানার তাখোরা এবং ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে চার ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ইলামবাজার থানার নাচুনসা গ্রামে নদীর ধারে এক ব্যাগ ভর্তি তাজা উদ্ধার করা হয়। এলাকার মানুষ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে, পুলিশ ব্যাগ ভর্তি বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এত বিপুল পরিমাণ বোমা কোথায় থেকে এল? কারা কি উদ্দেশ্যে মজুদ করেছিল? সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আকাল মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছে থেকে একটি ওয়ান সাটার এবং গুলি পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nadia: শান্তিপুরে কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি! নয়া উদ্যোগ দিশা দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানেরও

    Nadia: শান্তিপুরে কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি! নয়া উদ্যোগ দিশা দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিত্যক্ত কিংবা অব্যবহৃত জিনিসকে কাজে লাগিয়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার আন্তর্জাতিক চিন্তাভাবনার ওপর ভর করে এখন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প হচ্ছে। একদিকে যেমন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নানা কাজ করা হচ্ছে, তেমনি বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যেরও প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে সরকারি তত্ত্বাবধানে। কেন্দ্রীয় সরকারের এ ধরনের নানা ক্ষুদ্র, কুটির কিংবা হস্তশিল্পের প্রকল্প রয়েছে। মহিলা হোক বা পুরুষ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে তাদের মধ্য দিয়ে উৎপাদন এবং বিপণন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় (Nadia)।

    কীভাবে এই ভাবনা মাথায় এল?

    আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বনগাঁর এরকমই এক উদ্যোগী কৌশিক মণ্ডল নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার বেশ কিছু তাঁতি এবং বাংলার বিভিন্ন জেলার পরিবেশ রক্ষা এবং নতুন ধরনের চিন্তাভাবনাসম্পন্ন মানুষকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (Nadia)। যদিও সে সময় নদী পরিষ্কার তাঁদের অন্যতম প্রধান কাজ ছিল। আর তা করতে গিয়ে তাঁরা প্রথম লক্ষ্য করেন, কোনও কাজে না লাগা কচুরিপানা মাছচাষের ক্ষেত্রেই হোক বা নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা, সবকিছুতেই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য কৃষকদের অযথা অর্থ ব্যয় হয়। অন্যদিকে সেগুলি পুকুর কিংবা জলাশয়ের পাড়ে পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হয়। এর পরই কচুরিপানা দিয়ে কিছু করার চিন্তাভাবনা তাঁর মাথায় আসে।

    কীভাবে হচ্ছে শাড়ি তৈরির কাজ? (Nadia)

    পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয়। শান্তিপুরের বিভিন্ন ডোবা, পুকুর পরিষ্কারের পর কচুরিপানার গোড়া এবং পাতা ফেলে দিয়ে, প্রধান কাণ্ড কিংবা পাতার মোটা ডাটা থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। পরে তা শুকানো হয়। তবে এক্ষেত্রে মাত্র দু’কেজি তন্তু পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে স্পিনিং মিলের সংখ্যা কম থাকার কারণে তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের এ ধরনের মিলে সুতো তৈরি করে নিয়ে আসেন। যেগুলি কখনও টানায়, কখনও পোড়েন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ২৫ শতাংশের বেশি কখনই নয়। কারণ হিসেবে কৌশিকবাবু জানান, টেকসই এবং ক্রেতাদের ক্ষমতার দিকে নজর রেখেই এটা করা হয়ে থেকে। এভাবেই প্রায় ৪০০ শাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে (Nadia)। যা সাড়া ফেলে দিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশগুলিতে। তাদের সংগঠনকে পুরস্কৃতও করা হয়েছে। আগামী দিনে অত্যন্ত কম মূলধনের এই ব্যবসায় অনেকেই আগ্রহী হবেন বলে তাঁর আশা। তবে পরিবেশের কথা ভেবে এবং পরিত্যক্ত জিনিসকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বিষয়টিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয় সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    কাজ দেখতে আসছেন দূরদূরান্তের গবেষক ছাত্রছাত্রীরা (Nadia)

    নদীয়ার শান্তিপুর মহাপ্রভু পাড়ায় এই কাজ দেখতে এসেছিলেন ছত্তিশগড় রাজ্যের জব্বলপুর এলাকা থেকে সোয়েতা স্যোনি। তিনি জানান, তাঁরা পুরুষ ও মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের হস্তচালিত কুটির শিল্প কিংবা ব্যবসায়িক স্বনির্ভরতার কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কচুরিপানার এই শাড়ি দেখার পর নিজে এসে স্বচক্ষে দেখে গেলেন শাড়ি উৎপাদন। আগামী দিনে রাজ্যে ফিরে গিয়ে সেখানে এ ধরনের একটি প্রকল্প করার চিন্তাভাবনা আছে। সুদূর মুম্বই থেকে অর্পনা গাইকোড-এর নেতৃত্বে ৮ ছাত্রছাত্রীর একদল ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়ন সংক্রান্ত পড়াশোনা করা গবেষক ছাত্রছাত্রীরা একইভাবে স্বচক্ষে দেখতে এসেছিলেন শান্তিপুরে (Nadia)। তাঁরাও জানাচ্ছেন, অত্যন্ত যুগোপযোগী এই প্রকল্পে আগামী দিনে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে শুধু শাড়ি নয়, এই ফাইবার বা তন্তু নানান কাজে লাগানো সম্ভব। অন্যদিকে এই কচুরিপানা সংগ্রহের ফলে বর্ষাকালে উপকৃত হবেন বহু মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নদী এবং বিভিন্ন জলপথে যাতায়াত মাধ্যমের কর্মীরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha vote: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সন্দেশখালি? বুধবার ৪ জেলাকে নিয়ে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

    Loksabha vote: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সন্দেশখালি? বুধবার ৪ জেলাকে নিয়ে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার কথা রয়েছে ৩ মার্চ। তার আগেই আবারও বৈঠকে বসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার চারটি জেলার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এমনটাই জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। সব জেলা নিয়ে বৈঠক ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে (Loksabha vote)। তবুও আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সন্দেশখালির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন চারটি জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

    চিন্তার কারণ সন্দেশখালি

    সূত্রের খবর, দুই  ২৪ পরগনা বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে (Loksabha vote) জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই আলাদা করে এই চারটি জেলার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক। ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসার কথা রয়েছে বাংলায়। এরপর ৭ মার্চ আরও ৫০ কোম্পানিও বাহিনী চলে আসবে। সন্দেশখালির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, বিশাল এই বাহিনীকে উত্তর ২৪ পরগনায় মোতায়েন করা হতে পারে। মূলত ভোটের আগে এরিয়া ডোমিনেশন এবং ভোটারদের মধ্যে মনোবল বাড়াতেই নির্বাচন ঘোষণার আগে বাহিনী পাঠাচ্ছে কমিশন।

    ৩ মার্চ রাজ্যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    জানা গিয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে সমস্ত এজেন্সির নোডাল অফিসাররাও উপস্থিত থাকবেন। আয়কর থেকে শুরু করে সমস্ত এজেন্সিকে নিয়ে বৈঠক হবে। কারণ ফুল বেঞ্চ আসার আগে যাতে কমিশন প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না। জেলাভিত্তিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট ইতিমধ্যে চাওয়া হয়েছে। প্রতিদিনেরই রিপোর্ট হাতে আসছে কমিশনের। আগামী ৩ মার্চ বাংলায় আসছে নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে ফুল বেঞ্চ। সেদিন সন্দেশখালি সহ একাধিক বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হবে (Loksabha vote)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, কেষ্টর বুলি জটিলের গলায়

    Birbhum: বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, কেষ্টর বুলি জটিলের গলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল গুরু পাচার মামলায় এখন তিহার জেলে রয়েছেন। ভোটের আগে যে ভাবে কু-কথা বলে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতেন কেষ্ট, সেই ঢঙে এবার বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের এক তৃণমূল নেতা। নাম জটিল মণ্ডল। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। তিনি আবার কেষ্টর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। জটিলের বক্তব্য নিয়ে কেষ্ট গড়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    মেরে হাড়গোর ভেঙে দেওয়ার নিদান (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের উলকুণ্ডা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রতি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, সেখান থেকেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত জটিল মণ্ডল বলেন,’আমাদের খাচ্ছে আর আমাদের সর্বনাশ করছ? ভদ্রভাবে না হলে ডাং পিটা করে পিটিয়ে দিতে হবে। কেন্দ্র বাহিনী তোর বাবার বন্ধু লয়, ভোট হলেই চলে যাবে আর তখন তুই থাকবি না। কারণ গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের। পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের। জেলা পরিষদ আমাদের। বিধানসভা আমাদের। ভদ্রভাবে যা বলছি শোন, তুই ভোট দিস আর না দিস, তুই ঘর থেকে বেরোবি না। ভোটে বেইমানি’ সইব না। তৃণমূলকে ভোট না দিলে বা দলের নামে কোনওরকম ‘অপপ্রচার’ হলে মেরে হাড়গোরও ভেঙে দেওয়া হবে। হাত কেটে নেওয়া হবে। এই কথাটা এখনই একটা রাউন্ড বলে দিতে হবে।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও জটিল মণ্ডল তাঁর এই বক্তব্যে আসলে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন সেটার আর ব্যাখ্যা দেননি। তবে, বিজেপি সহ বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের কার্যত তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপি তাঁর এই বক্তব্যকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, যদি কারও হাত কাটতে পারেন, তাহলে এমন মানুষও থাকবে যে তাঁর হাত কাটতে পারে। তৃণমূল নেতার ওই বক্তব্যকে সামনে রেখে আইনের দ্বারস্থ হব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড বাতিল ইস্যুতে বালুরঘাটের এক সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাংসদ বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল ‘বাংলা সহায়তাকেন্দ্র’ তৈরি করেছে। এই সব কেন্দ্র তৈরির আসল কারণ, বাংলায় রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করা। বিজেপি কিছুতেই তা হতে দেবে না।’ সাংসদ এও বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি তাঁরা যেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বাংলায় আইনের শাসন নেই বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্থাপন করেন সন্দেশখালির ঘটনা। তিনি বলেন,আদালত থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছে যেভাবে হোক শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্য পুলিশ সেই নির্দেশ কার্যকর করছে না। উলটে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করেছে। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে মহিলারা। শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী সন্দেশখালিতে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তৃণমূল নেতাদের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়বে। আর বেশি দিন নেই, এরপর একের পর এক নেতাদের গাছে বেঁধে রাখবে।’

    আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল

    আধার কার্ড নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ খোলেন সন্দেশখালি নিয়েও। আধার কার্ড নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকদিন ধরে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। জলঘোলাও কম হয়নি। আধার কার্ড বাতিল করার চিঠি পেয়েছেন অনেকে। তৃণমূলের তরফ থেকেও শুরু হয় পাল্টা প্রচার। খোদ সুপ্রিমোকে মুখ খুলতে দেখা যায়। এদিকে আবার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্ব এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও আবার মুখ- খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মিথ্যে কথা বলতেই ওই প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে। আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল। কারও কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা হওয়ার কথাও না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী বহু ক্ষেত্রে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত জমা নিত না। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট-পরবর্তী হিংসায় সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ৩ বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। ন্যাজাট থানায় খুন ও অস্ত্র আইনে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই থানায় এফআইআর করেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে শাহজাহানের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে! এটা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীর দেহ মেলেনি

    সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ভোট-পরবর্তী সংঘর্ষে ২০১৯ সালে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল। সেই সময় পুলিশের কাছে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত তাদের পরিবার। এখনও পরিবারের লোকজন এখানে বসবাস করে না। তাঁর মা বাড়িতে আছেন। এতটাই আতঙ্কিত তাঁরা কথা বলতে চাইছেন না। প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও এত বছর পরও দেবদাস মণ্ডলের মৃতদেহ মেলেনি। নিহত বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডলের বোন বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। দাদা নিখোঁজ। তার আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কাউকে ধরেনি।

    সন্দেশখালি নিয়ে আদালতে কী বললেন সরকারি আইনজীবী

    সোমবার হাইকোর্টে সন্দেশখালি সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, শেষ ৪ বছরে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টিতে চার্জশিট হয়েছে। ধর্ষণের ধারাও যুক্ত আছে। বাকি তদন্ত চলছে। জমি দখলের অভিযোগে ৭টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলিতে চার্জশিট হয়েছে। ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪টি এফআইআর হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। যেখানে ১৪৪ ধারা ছিল, সেখানে যাননি রাজ্যের মন্ত্রীরা।

    ৪২টি মামলার চার্জশিটে ৪ বছর সময় লাগল

    প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তার মানে ৪ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজ্য বলছে, যে জমি দখল করা হয়েছে, সেগুলি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার মানে কিছু একটা ঘটেছে। আর কী প্রমাণের দরকার, সরাসরি সাজা দিতে হবে। আদালত বিস্মিত যে, ৪২টা মামলার চার্জশিট দিতে ৪ বছর কেন লাগল? পরে আমরা চার্জশিটও খতিয়ে দেখব। ক্রমাগত মানুষ ওখানে যাচ্ছেন, তার ফলে ভালোও হতে পারে, আবার খারাপও হতে পারে। আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share