Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Holi 2024: দোলের দিনেই চন্দ্রগ্রহণ, কখন করবেন হোলির পুজো?

    Holi 2024: দোলের দিনেই চন্দ্রগ্রহণ, কখন করবেন হোলির পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের দোল পূর্ণিমা পড়েছে সোমবার। দোল পূর্ণিমার তিথি হল গুরুত্বপূর্ণ তিথি। এই দিন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি। বাড়িতে নিতাই-গৌরাঙ্গের আরাধনা করা হয়। একই সঙ্গে রাধা-কৃষ্ণের বসন্ত রাস পালিত হয়। কেউ কেউ আবার বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজোও করে থাকেন। এই দোল পূর্ণিমার হোলিতেই (Holi 2024) হতে চলেছে চন্দ্রগ্রহণ।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় কখন?(Holi 2024)

    দোল পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণের সময় শুরু হবে সকাল ১০ টা ২৩ মিনিটে, আর গ্রহণ ছাড়বে বিকেল ৩ টে ০২ মিনিটে। মোট ৪ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট সময় ধরে চন্দ্রগ্রহণ চলবে। তবে এই হোলিতে (Holi 2024) গ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে না। দেখা যাবে উত্তর এবং পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। তবে প্রশান্ত মহাসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু কিছু জায়গা থেকে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ।

    বাড়িতে কোন সময়ে পুজো করবেন?

    ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছিল মাঘী পূর্ণিমা। এবার পরের ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা হল ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে। এই দিনেই পড়ছে দোল পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ। এই গ্রহণের সময় পুজো না করার কথা বলা হয়েছে শাস্ত্রে। তাই হোলিতে (Holi 2024) গ্রহণের সময়কে বাদ করে যে কোনও শুভ কাজ করতে হবে। এই দিন সত্যনারায়ণের পুজো করতে গেলে সন্ধ্যে ৫ টা ৪৫ মিনিট থেকে ৭টা ২১ মিনিটের মধ্যে ব্রতের পুজো করতে হবে।

    কোথায় কোথায় দেখা যাবে গ্রহণ?

    হোলির (Holi 2024) দিন চাঁদের গ্রহণ দেখা যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, দক্ষিণ নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড থেকে। হোলির দহন উৎসব পালন হবে ২৪ মার্চ এবং হোলির রঙের উৎসব পালিত হবে ২৫ মার্চ। হিন্দু শাস্ত্রের পঞ্জিকা অনুসারে পূর্ণিমা লাগবে ২৪ মার্চ সকাল ৯ টা ৫৪ মিনিট আর পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে ১২ টা ২৯ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের দিনেই দোল পূর্ণিমা এবং হোলি পালিত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতারা। এই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্যাতিতারা। এই লড়াই চেনা ঠেকছে নন্দীগ্রামের রাধারানি আড়ি, কল্পনা মুনিয়ান, হৈমবতী দাসদের। দেড় দশকের ব্যবধানে রাজ্যের দুই প্রান্তের নির্যাতিতাদের স্বর মিলে যাচ্ছে।

    সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব নন্দীগ্রামের নির্যাতিতারা (Nandigram)

    ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে (Nandigram) গুলি চালনার পরে রাধারানিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের ‘হার্মাদ বাহিনী’র বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরে ফিরেছেন গোকুলনগরের বাড়িতে। ৬৬ বছরের রাধারানি বলেন, বাড়িতে টিভি নেই। লোকজনের মুখে শুনছি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। তবে তারাও আমাদের মতো আন্দোলন করছে জেনে ভাল লাগছে। তবে, কেউ আর আমাদের খোঁজ রাখে না। যা বুঝলাম, যে যখন শাসক,দুর্বৃত্তরা তার ছত্রছায়াতেই থাকে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে সোনাচূড়ার কল্পনা মুনিয়ান এবং হৈমবতী দাসকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। নিশানায় ছিল সেই ‘হার্মাদ বাহিনী’। পরে স্থানীয়রাই তাঁদের এগরার কাছে উদ্ধার করে। কল্পনাও বলছেন, “এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে সন্দেশখালির শাহজাহানদের গ্রেফতার করা উচিত।” কল্পনার বাড়ির কাছেই থাকেন হৈমবতী। তিনি বলেন, “বরাবর শাসকদের লক্ষ্য মহিলারা। বয়স হয়ে গিয়েছে। তবু সন্দেশখালিতে গিয়ে অত্যাচারিত মা- বোনেদের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দু’দিন আগেই দাবি করেছেন, “দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে সন্দেশখালি।” একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গলাতেও।  নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, এসবের পিছনে রাজনীতি আছে। সন্দেশখালি আর নন্দীগ্রাম এক নয়।  বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন,  “নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবার থেকে অত্যাচারিত মায়েরাও তৃণমূলের দ্বিচারিতা বুঝে এখন তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই তাঁদের গায়ের রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজার, উত্তম সর্দার ও সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামবাসীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬ বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার এক গ্রামবাসী। অপর দিকে জানা গেল, শাহজাহান-সিরাজের অত্যাচারে স্নাতক হয়ে উঠতে পারেননি বেড়মজুর এলাকার প্রতিবাদী মৌ কোয়েলি সর্দার।

    গত শুক্রবারের পর শনিবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। এরপর দুইজন গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে এডিজি সুপ্রতিম সরকার টহল দেন। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক স্পষ্ট করে জানান, “শাহজাহানের নামে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ নেই।” আর এই মন্তব্যে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।

    বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল!

    কর্ণখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দাস অভিযোগ তুলে বলেন, “শাহজাহান বাহিনী আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বন্দুকের সামনে বাবা একদম ভয় পাননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপর আমাকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমাদের পরিবার এই চাষের উপর নির্ভর করে চলে। সমস্ত জমি দখল করে জল ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওরা। প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ৪ দিন জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছিল ওরা।” এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালিতে গেলে এই ভাবেই এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষ। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরও বলেন, “মন্ত্রীরা নিয়ম করে আগে এসে নিপীড়িত মানুষের কথা শুনলে আজকের মতো পরিস্থিতি হত না।”

    সিরাজের অত্যাচারে বন্ধ হয়েছে পড়াশুনা

    ২০২১ সালের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে (Sandeshkhali) ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল সিরাজের বাহিনী। এই সময় কোয়েলির মোবাইল লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। অপরদিকে সেই সময় করোনাকালে পড়াশুনার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মোবাইল এবং অনলাইন। মোবাইল না থাকায় আর পড়াশুনা করা হয়ে ওঠেনি তার পক্ষে। কোয়েলি জানিয়েছেন, “শেখ শাহজাহান এবং সিরাজ সেই সময় আমাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলাম। তখন আমাদের অনলাইনে পড়াশুনা এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপার ছিল। ফোনটা লুট করে নিয়েছিল তাই আর পরীক্ষা দিতে পারিনি। যারা পড়াশুনা করছিল তাদের সকলের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অধ্যাপকদেরও নামে কেস দেওয়া হয়েছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে এবার বাধাপ্রাপ্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধা দিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটেই কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকে দিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তি দেখিয়ে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। ডিসি সৈকত ঘোষ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের অনুরোধ করে জানান, এই মুহূর্তে সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তাতে সেখানে এখন যাওয়া সম্ভব নয়। আইন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু, টিমের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা দু’জন যাবেন সেখানে। যদিও পরে পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় (Sandeshkhali)

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর জন্য রাজ্য পুলিশেরক পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ভোজেরহাটে ইস্ট ডিভিশনের ডিসি আরএস বিলাল ও ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। টিমে রয়েছেন পাটনা হাইকোটের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, রজপাল সিং, ওপপ্রকাশ ব্যাস, সঞ্জীব নায়ক, ভাবনা বাজাজ এবং চারু আলি খান্না। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকজন আইনজীবী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় যাবেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। আইনজীবী তথা এনসিড্বলু-র  সদস্য চারু আলি খান্না জানান বলেন, “আমরা পুলিশকে বললাম দুজন যাব। বাংলার পুলিশ দুই মহিলাকে ভয় পাচ্ছে? কীসের ভয় পাচ্ছে ওরা? আমি কী করব ওইখানে গিয়ে। আমি তো ফিরব না। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমের মহিলাদের আটক করার জন্য গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। সেই সময় বাধা হয় সিআরপিএফ এর জওয়ানের সঙ্গে। তারা বাধা দেয়। চলে ধস্তাধস্তি।

    প্রতিনিধি দলকে গ্রেফতার

    ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বলেন,”স্যর আপনাদের আটক করব? আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের অনুরোধ করছি ফিরে যাওয়ার জন্য।” পাল্টা প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “ওইখানে ১৪৪ ধারা জারি। এখানে তো ১৪৪ ধারা নেই। যেতে দিচ্ছেন না। আমাদের বারণ আছে।”১৪৪ ধারার যুক্তি দিয়ে তথ্য অনুসন্ধানকারী দলকে আটকাল পুলিশ। পরে, পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCW: ডিজিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের, মালদার ঘটনায় ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ

    NCW: ডিজিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের, মালদার ঘটনায় ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদাকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে চারদিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। এর পাশাপাশি অভিযুক্তদের তাড়াতাড়ি গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। প্রসঙ্গত, মালদায় এক মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অনুমান, ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেন রেখা শর্মা (NCW)।

    জাতীয় মহিলা কমিশনের বিবৃতি

    শনিবারই জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘‘এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। একটি নতুন ঘটনা জানতে পেরেছি। মালদায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ডিজিপিকে চিঠি দিয়েছেন। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।’’

    নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি মালদা?

    মালদায় একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে চলতি বছরে। ৩১ জানুয়ারি ইংরেজবাজারে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী খুন হয়। আলাদা আলাদা জায়গায় উদ্ধার হয় দেহের বিভিন্ন অংশ। ৮ ফেব্রুয়ারি মালদার মানিকচকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসে। অচৈতন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলার মোথাবাড়িতে একটি ভুট্টার ক্ষেতে যুবতীর বিবস্ত্র ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আগের দিন রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। ধর্ষণের পর খুন বলে অভিযোগ ওঠে। এরইমধ্যে শুক্রবার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে এক গৃহবধূর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। অন্যদিকে, পুরাতন মালদায় ভাবুক অঞ্চলের বিষনপুর এলাকায় পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সবমিলিয়ে গোটা মালদা জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: দুই মন্ত্রীর কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: দুই মন্ত্রীর কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। যত দিন যাচ্ছে শাহাজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন একের পর এক গ্রামবাসী। শক্ত জমি ক্রমশ আলগা হচ্ছে তৃণমূলের। এটা বুঝতে পেরেই বারবারই ছুটে আসছেন মন্ত্রীরা। দিনভর মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন সন্দেশখালিতে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছেন। শনিবারও রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। দিনভর এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলে ক্ষোভ কতটা রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। এতকিছু কি করার পরও ছিঁড়ে কতটা ভিজল তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    ইডির ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহান বেপাত্তা। তাঁর অন্যতম সাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাতেও সন্দেশখালীবাসীর (Sandeshkhali) ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে পারেনি প্রশাসন। বরং যত দিন গিয়েছে ক্ষোভ তত বেড়েছে। দুদিন আগেই শাহজাহানের ভাইকে তাড়া করেছে এলাকার মানুষ। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তাঁর ওপর চড়াও হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সন্দেশখালি অত্যাচারের নায়ক শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দুই মন্ত্রীর কাছেও তাঁরা শাহজাহানের গ্রেফতারির জন্য দরবার করেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কতটা ক্ষোভ রয়েছে শাহজাহানের উপর সেটা টের পান রাজ্যের দুই মন্ত্রী।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, উত্তম ও শিবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শাহজাহানের বিষয়টি ইডি। ইডি রাজ্য সরকারের অধীনে নয়। কেন্দ্রের অধীনে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইডি। এর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহান গ্রেফতারি প্রসঙ্গে একই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, মন্ত্রীদের এই ধরনের কথাতে সন্তুষ্ট নন সন্দেশখালিবাসী।

    বসিরহাটের পুলিশ সুপার কী বললেন?

    দুদিন আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি এসেছিলেন। আইন হাতে না তোলার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে তুই চলে যাবার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পুলিশ। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধেও খুব উপড়ে দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। বিক্ষোভাতে ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে মজুর গ্রামে। একাধিক জায়গায় পুলিশ কাম করা হয়েছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হাসান মেহেদি রহমান বলেন, ক্যাম্পে ভালো সাড়া মিলছে। অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের জমি ফেরানো ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি অভিযোগ খতিয়ে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election: ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Loksabha Election: ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশন। ভোট করাতে কমিশন আগেই চেয়েছে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী। সূত্রের খবর, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট (Loksabha Election) প্রকাশের আগেই আসছে ১০০ কোম্পানি বাহিনী। ১ মার্চ আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর ঠিক ৭ দিনের মাথায়, ৭ মার্চ আসছে আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী। কোনও কোনও মহলের মতে, রাজ্যে এসেই এরিয়া ডমিনেশন শুরু করবে বাহিনী। সাধারণ ভাবে ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই যে কোনও রাজ্যে বাহিনী যায়। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আগে ভাগেই আসছে বাহিনী। এক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা হল, বিগত বছরগুলিতে ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে যে ধরনের সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, তা সারা দেশ দেখেছে। সম্প্রতি, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ঝরেছে প্রচুর রক্ত। লোকসভা ভোটে যাতে বাংলার মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, তাই কমিশনের তরফে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলাকে।

    আরও পড়ুন: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসছে ৩ মার্চ 

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসছে ৩ মার্চ। সেদিনই সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা তাদের। ভোটপ্রস্তুতি নিয়ে কমিশনের বৈঠক হবে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে। একইসঙ্গে এ রাজ্যের নির্বাচনী ব্যবস্থাও খুঁটিয়ে (Loksabha Election) দেখবে তারা। সেইমতোই  যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেদিন।

    ৮০ হাজারেরও বেশি বুথ রয়েছে রাজ্যে

    লোকসভা ভোটে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে বুক বাঁধছেন বিরোধীরাও। বুথ থেকে গণনাকেন্দ্র সব কিছুই দখলে নেয় তৃণমূলের গুণ্ডারা। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে শাসক সন্ত্রাসকে ঠিকই মোকাবিলা করবে বলে মনে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মার্চের শুরুতেই ভোট ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই তা ঘোষণা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ৮০ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে ভোট হবে এবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের দাদাগিরি! দোকান ভাঙচুর করে ক্ষমতা দেখালেন নেতা

    Balurghat: তৃণমূলের দাদাগিরি! দোকান ভাঙচুর করে ক্ষমতা দেখালেন নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল শ্রমিক নেতার দাদাগিরি। রাতের অন্ধকারের বালুরঘাট (Balurghat) বাস স্ট্যান্ড চত্বরে বাস মালিকের টিকিট কাউন্টার ভাঙার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির আইএনটিটিইউসির জেলা সহ সভাপতি তথা প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের বিরুদ্ধে। বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাস কাউন্টারের মালিক তনু সরকার। অন্যদিকে, ওই তৃণমূল নেতার তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী তনু সরকার মিনতি জোয়াদ্দার নামে একজনের কাছ থেকে বালুরঘাট (Balurghat) বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১৫-১৬ বছর আগে ঘরটি ভাড়া নেন। তারপর থেকে সেখানে তিনি দোকান করছেন। তিনি বাসের টিকিট কাউন্টার করেন ওই দোকানঘরে। এদিকে বছর তিনেক আগের রাকেশ শীল সেই বাড়িটি কেনেন। দোকান ঘর সারানোর জন্য চাপ ও হুমকি দেওয়া তাকে। অন্য জায়গার জন্য দোকানের কোন পজিশন দেওয়া হচ্ছিল না। রাকেশ শীল নিজের দোকান ঘর বিক্রি করতে চাইছিলেন। সেটার জন্য তিনি বেশি টাকা চাইছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়। এই বিষয়ে অভিযোগকারী তনু সরকার বলেন, আমার দোকান তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের লোকেরা ভাঙচুর করেছে। আমার দোকান আমি ভাড়ায় নিয়েছিলাম। কিন্তু সে ভাড়ার দোকানটা কিনতে চাইলে তিনি বেশি দাম চান। অত টাকায় আমার পক্ষে কেনা সম্ভব না। সকালে এসে দেখি তাঁরা দোকান ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। এই বিষয়ে ডিএসপি হেডকোয়াটার বিক্রম প্রসাদ জানান, দুই পক্ষের অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা রাকেশ শীল বলেন, ওই জায়গার সঙ্গে লাগানো বাড়ি আমি কিনে নিয়েছি। বিকল্প জায়গা দেখতে বললেও তাঁরা দেখেননি। আমার জায়গায় কাজ করাতে গেলে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। কাউন্টার ভাঙার যে অভিযোগ তুলছে তা পুরোপুরি মিথ্যে। নিজেই দোকান ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে। এ নিয়ে আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! মুর্শিদাবাদে হদিশ মিলল আক্রান্তের

    Murshidabad: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! মুর্শিদাবাদে হদিশ মিলল আক্রান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এবার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হদিশ পাওয়া গেল করোনা আক্রান্তের। আক্রান্তের বাড়ি মুর্শিদাবাদ- জিয়াগঞ্জ ব্লকের একটি গ্রামে। অন্য রোগ নিয়ে ভর্তি ওই তরুণের শ্বাসকষ্টের কারণে বৃহস্পতিবারই চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথমে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। তাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পরে, আরটিপিসিআরেও রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিষয়টি জানতে পারার পরই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরফে। গুরুতর অসুস্থ ওই রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আক্রান্ত যুবক (Murshidabad)

    প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, আক্রান্ত যুবক দিদিমার কাছে থাকতেন। বাড়িতে দিদিমা ছাড়া কেউ নেই। ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজও করতেন। পরে, কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পরে তিনি অসুস্থ হন। তাঁকে ৫-৬ দিন আগে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে তাঁর বাড়ির আশপাশে বা দিদিমা কেউই অসুস্থ হননি বা তাঁদের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ নেই। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, “ওই যুবক মেনিনগো এনসেফেলাইটিস রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর করোনা পজিটিভ হয়েছে। আমরা সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।”

    জেলাজুড়ে আতঙ্ক!

    নতুন করে বছরখানেক পরে করোনা পজিটিভ রোগী মেলায় উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। কারণ মুর্শিদাবাদের বহু লোকজনের কলকাতায় যেমন যাতায়াত রয়েছে, তেমনই বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে কাজে যান। তাঁরা বাড়ি ফিরলেও করোনা পরীক্ষা হয় না। ফলে উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, “কোভিডের প্রোটোকল মেনে যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে। যে সব চিকিৎসক নার্স বা অন্য হাসপাতাল কর্মী তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছে। তাতে করোনা নেগেটিভ এসেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮টি শয্যার করোনা রোগীদের জন্য ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে। শুধু জোর করে দখল নয়, বর্গা রেকর্ড পর্যন্ত করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই সিরাজ। একের পর এক জমি দখল করে এলাকার জমির চরিত্রটাই বদল করে দিয়েছে এই নেতারা। সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে ভেড়ির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    জমিহারা মহিলার বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার কাছে জামিহারা বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী হালদার বলেন, “সিরাজুদ্দিন এলাকায় (Sandeshkhali) সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত। শেখ শাহজাহানের ভাই। এই বাহিনী আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘা কৃষিজমি দখল করে নিয়েছে। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, শ্বশুরকে ব্যাপক মারধর করেছে। সেই সঙ্গে আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণনাশ করতে পারে, এই ভয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি।”

    আর কী অভিযোগ?

    শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৌসুমী হালদার আরও বলেন, “আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আমার কেনা জমি ছিল। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে, প্রাণের ভয়ে সিরাজের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল জমি। রেজেস্ট্রি অফিসেই জোর করে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সিরাজের কাছে যাওয়ার কথা বলে। থানার মধ্যেই সিরাজের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। এলাকায় বিজেপি সমর্থক সন্দেহে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়। বাড়িতে এসে সিরাজের নির্দেশে অমিত হালদার, বিনয় সর্দার, পঙ্কজ গায়েন, লিয়াকতরা হামলা করে। জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। এমনকি লাথি মেরে ভাতের হাড়ি পর্যন্ত উলটে দেয়। সেই সঙ্গে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।”

    ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা গোপাল হালদার বলেন, “শাহজাহান-সিরাজকে গ্রেফতার না করলে এলাকায় শান্তি ফিরবে না।” আবার স্থানীয় প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় মার খাওয়ার ভয় নেই। কিন্তু জমি ফেরত পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share