Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধরনা, অবস্থান-বিক্ষোভ এই সমস্ত কিছুর পরেই গ্রেফতার হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের পরে সোজা তিনি আসেন রাজভবনে। রাত সাড়ে নটা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমেত অন্যান্যরা। কী কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? তা নিজেই জানালেন রাজভবন থেকে বের হয়ে। বালুরঘাটের সাংসদ বললেন, ‘‘আমাকে টেনে হিঁচড়ে (Sandeshkhali) পুলিশ আজ যা করল, সঙ্গে আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশ আজ যে ব্যবহার করেছে, পুরো বিষয়টি রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেছি।’’

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালি

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আপনি ভাবলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার নামে জমি, কিন্তু আপনার কোনও অধিকার নেই সেই জমির উপর। আমি নিজের চোখে দেখে এলাম। সেখানে অন্য একজন ভেড়ি বানিয়ে মাছ চাষ করে খাচ্ছে, এক পয়সাও পরিবর্তে দিচ্ছে না। কলকাতা থেকে যেতে দু’ঘণ্টাও সময় লাগে না। রাজ্যের রাজধানীর উপকণ্ঠে যদি এই অবস্থা হয়, কোন জায়গায় আমরা বাস করছি!’’

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে অবস্থানে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘণ্টা দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল সেখানে। এরপরই থানার ভিতর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনীকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। টেনে হিঁচড়ে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও নেতা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে পারে না। যেভাবে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসা হল… এই পুলিশ এটাই পারে। শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর, বিজেপির উপর এই ধরনের অত্যাচার করতে পারে। শেখ শাহজাহানকে ধরার সময় পুলিশের এই সক্রিয়তা দেখা যায় না।’’ 

    লঞ্চে করে সুকান্তকে নিয়ে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ

    গ্রেফতারির পরে সুকান্ত মজুমদারকে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ চলে আসে ধামাখালি ঘাটে। সেখানেই পুলিশের একটি লঞ্চে চাপানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমভি বাগদাদ নামের ওই লঞ্চে সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের নিয়ে মাঝ নদীতে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ছাত্রীদের ছবি তুলে জনরোষের মুখে শিক্ষক, তালাবন্দি করে সাইকেলে আগুন

    Hooghly: ছাত্রীদের ছবি তুলে জনরোষের মুখে শিক্ষক, তালাবন্দি করে সাইকেলে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের বলা হয়ে থাকে মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ তাঁদেরই কারও কারও আচরণ যে কী ন্যক্কারজনক হতে পারে, তার উদাহরণ মিলল হুগলিতে। ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, তাদের ছবি তোলা, শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহ নানা অভিযোগ উঠল পোলবার আটপু্কুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এইসব অভিযোগ ঘিরে স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই শিক্ষককে স্কুলেই তালাবন্দি করে রাখা হয়। আগুন দেওয়া হয় তাঁর সাইকেলেও। পোলবা থানার পুলিশ (Hooghly) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। জনরোষ থেকে কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    শিক্ষক স্কুলে আসতেই শুরু বিক্ষোভ (Hooghly)

    বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে পোলবা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির হন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্কুলের মিড ডে মিলের কর্মী এক মহিলা জানান, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। একজন শিক্ষিকা আছেন, তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। গতকাল অভিভাবকদের ডেকে বিষয়টি জানান শিক্ষিকা। আজ ওই শিক্ষক স্কুলে আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযুক্ত শিক্ষক অঙ্কন পালকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ।অভিযুক্ত শিক্ষকের সাইকেল পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি (Hooghly) বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। গ্রামবাসীদের সরিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

    কী বললেন প্রধান শিক্ষক? (Hooghly)

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ কুমার বৈদ্য জানান, তিনি ৩০ ডিসেম্বর স্কুলে যোগ দিয়েছেন। এই স্কুলে (Hooghly) মোট ২৮ জন ছাত্রছাত্রী আছে। শিক্ষক বলতে তিনি ছাড়া আরও ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ নেই। তিনি নিজেও কিছু দেখেননি। তবে পুলিশ-প্রশাসন আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিক। ডিএসপি বলেন, একজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। আমরা দেখছি, আইনগত যা ব্যবস্থা, তা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এবার প্রতিবাদে বিস্ফোরক ঝুপখালির মহিলারাও। এলাকায় পুলিশি পাহারা এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের উপেক্ষা করেই ফের জনরোষের চিত্র লক্ষ্য করা গেল বৃহস্পতিবার। জোর করে চাষের জমি, মাছচাষের ভেড়ি এবং ফসলের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ যেমন শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে উঠেছিল, ঠিক তেমনই জেলিয়াখালি, ঝুপখালির মানুষও অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন একই অভিযোগে। এবার অভিযোগ শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজ ডাক্তার ওরফে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। শাহজাহানের পর কাঠগড়ায় ভাই সিরাজ! ভাইও নাকি ছিল কীর্তিমান।

    শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে জনরোষ (Sandeshkhali)

    আজ ফের একবার জনরোষের চিত্র ধরা পড়ল ঝুপখালিতে (Sandeshkhali)। এলাকার এক মহিলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “শাহজাহানের ভাই সিরাজ ওরফে সিরাজউদ্দিন আমার দোকানের জায়গা দখল করে নিয়েছে। শুধু আমার জায়গা নয়, গোটা এলাকা দখল করে নিয়েছে। ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে গায়ের জোরে। আমাদের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করে নিয়েছে ওরা। শুধু তাই নয়, ভেড়িগুলিকে লোকের কাছে চড়া দামে বিক্রিও করে দিয়েছে। এলাকায় এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে নতুন করে আর যাতে ভেড়ি নির্মাণ না হয়, সেই দাবি জানাই।”

    আগুন সিরাজের আলাঘরে

    এই সব অভিযোগ তুলে আজ ময়দানে ফের নামেন এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভ আর প্রতিবাদ গিয়ে পড়ে সিরাজের উপর। তাঁর ভেড়ি এবং অফিস আলাঘর পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নেমেছে।

    পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল?

    ঝুপখালির (Sandeshkhali) উত্তেজিত সাধারণ মহিলাদের সামাল দিতে গেলে পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামের আরও এক মহিলা বলেন, “সিরাজের ফাঁসি চাই। ওর হাতেপায়ে ধরে বলেছিলাম, আমার বাপের বাড়ির জমি নিও না। কিন্তু সব দখল করে নিয়েছে। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে। পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল যখন আদিবাসীদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হত?”

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের দেড় মাস পর রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শনে গেলেও পালতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কার্যত প্রশ্নের ভয়ে কি সাংবাদিক সম্মেলন না করে চলে এলেন? প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করা, মাছচাষের জলাশয় দখল করা এবং বাড়ির সুন্দরী বউ থাকলে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে রাতভর অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তাঁদেরই অভিযোগ এবং আন্দোলনের চাপে শেখ শাহজাহানের নামে দখল করা খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্লাজ শুরু করল প্রশাসন। খেলার মাঠ দখল করার পর অনুগামীরা নাম রেখেছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নামের উপর চুনকাম করে দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে এদিনই ফের আগুন জ্বলল সন্দেশখালিতে। শাহজাহানের ভাই সিরাজের ভেড়ির আলাঘরে আচমকাই কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় আলাঘর। কারণ শাহজাহানের মতো তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও নাকি অন্যের জমি জোর করে দখলে ছিল সিদ্ধহস্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা। যদিও কেউ কেউ বলছেন, আগুন লাগিয়েছে শাহজাহানেরই অনুগামীরা। 

    পুলিশের উপস্থিতিতে মাঠ ফেরানো হয় (Sandeshkhali)

    একটা সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সব থেকে বড় মাঠের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দান। এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এই মাঠ ছিল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু টুর্নামেন্টের নাম করে বিরাট মাঠকে দখল করে নেয় শেখ শাহজাহানের বাহিনী। এলাকার মানুষের আন্দোলনের চাপে অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার, পুলিশের উপস্থিতিতেই মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নাম মুছে দেওয়া হয়। এলাকার মাঠ আবার ফিরে পাওয়ার আশায় অত্যন্ত খুশি এলাকাবাসী।

    এলাকার মানুষের দাবি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের দাবি, “শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করে রেখেছে। সরকারি জমি, খেলার মাঠ, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি দখল করে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার ভেড়ি নির্মাণ করেছে তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তোলাবাজি এবং অত্যাচারের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে তারা।” তবে আজ মাঠ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকার মানুষ একত্রিত হন। সেই সঙ্গে মাঠে লাগানো হয় চারাগাছ। গ্রামের মানুষ বলেন, “ছিল খেলার মাঠ, কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা দখল করে নেয়। মাঠে কেউ ঢুকতে পারত না, সব সময় তালা মারা থাকত।” এবার এই মাঠ দখলমুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: এবার দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন পেতে চলেছে বালুরঘাট, আশ্বাস সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের

    Balurghat: এবার দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন পেতে চলেছে বালুরঘাট, আশ্বাস সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের আওতায় এসেছে৷ সারা দেশে আরও নতুন ৫০টি অমৃত ভারত ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। সেই রেল প্রকল্পের কাজের সূচনা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করতে পারেন। তার আগে বালুরঘাট থেকেও অমৃত ভারত নতুন ট্রেন দক্ষিণ ভারতের জন্য চালানোর আর্জি নিয়ে দিল্লিতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন এখানকার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই আর্জি মেনে নিয়েছেন৷ নতুন ট্রেন বালুরঘাট (Balurghat) থেকে চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদারের দেওয়া এই খবর জেলাতে আসতেই খুশি ছড়িয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে।

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি বা কলকাতাগামী কয়েকটি ট্রেন চলাচল করলেও, ভিন রাজ্যের সাথে যোগাযোগকারী কোনও ট্রেন এই জেলা থেকে এখনও চালু হয়নি। অথচ দেশের রাজধানী দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতের সাথে রেল যোগাযোগের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন জেলাবাসী। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হওয়ার পর থেকে জেলাবাসীর নতুন ট্রেন পাবার স্বপ্ন আরও বেশি বাস্তবায়নের আশা জেগেছিল। সুকান্তবাবু সাংসদ হওয়ার পরে এই নতুন ট্রেনগুলি চালু করার জন্য উদ্যোগীও হয়েছিলেন। কিন্তু পরিকাঠামার অভাবে তিনি তা করতে পারেননি বলে বারবার আক্ষেপ করেন।

    বালুরঘাট স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় (Balurghat)

    বালুরঘাট রেল স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর জন্য পিট ও সিক লাইনের ব্যবস্থা ছিল না। সুকান্তবাবুর তৎপরতায় এই কাজগুলি শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থেকে বালুরঘাট-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন দেওয়া হয়েছে। আরও একাধিক নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রেল। বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতের নতুন ট্রেন চালানোর দাবি আগেই ছিল। এছাড়াও গুয়াহাটির ট্রেন চালুর কথাও রয়েছে। এদিকে বালুরঘাট রেল স্টেশনকে সম্প্রতি অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের আওতায় এনেছে রেল মন্ত্রক। ওই প্রকল্পের ডিজাইন ইতিমধ্যেই তৈরি করেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। সেই কাজের সূচনা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়ালি করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বালুরঘাট অমৃত স্টেশন থেকে যাতে দক্ষিণ ভারতগামী একটি ট্রেন দেওয়া হয়, সেই দাবি নিয়েই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে দেখা করেন বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত? (Balurghat)

    সুকান্তবাবু বলেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে জেলার একাধিক রেল ইস্যু নিয়ে দেখা করেছি। বালুরঘাট থেকে অমৃত ভারত নতুন ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছি। দক্ষিণ ভারতের জন্য এই নতুন ট্রেন চালানোর কথা আমি রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি এই ব্যাপারে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে নতুন ৫০ টি অমৃত ভারতের কাজ চলছে। সেই ট্রেন তৈরি হয়ে গেলেই এই বালুরঘাট (Balurghat) থেকে একটি নতুন ট্রেন তিনি দেবেন। এছাড়াও আরও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারিতে অমৃত ভারত স্টেশনের কাজের সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের? (Balurghat)

    এদিকে নতুন ট্রেন নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাটের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকী বলেন, সুকান্তবাবুর যদি ইচ্ছে থাকতো, তাহলে তিনি আগেই নতুন নতুন ট্রেন চালুর জন্য উদ্যোগ নিতে পারতেন। আর কয়েকদিন পরেই লোকসভা ভোট (Balurghat)। তার আগে এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আসলে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টায় রয়েছেন। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Sandeshkhali: দেড় মাস পর সন্দেশখালিতে রাজীব কুমার, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব

    Sandeshkhali: দেড় মাস পর সন্দেশখালিতে রাজীব কুমার, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ফিরে এলেন কলকাতায়। তাঁর দু’দিনের সন্দেশখালি সফর শেষ হল। কিন্তু যে প্রশ্নে গোটা রাজ্য উত্তাল, যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায়নি কলকাতা হাইকোর্টও, সেই শাহজাহান শেখ (Sandeshkhali) নিয়ে রা কাড়লেন না। আশ্বাসও দিতে পারলেন না যে, তাঁকে খুব শিগগির গ্রেফতার করা হবে। সাংবাদিকরা যতবারই জিজ্ঞাসা করেছেন, তাঁর উত্তর সেই একই, দোষীরা গ্রেফতার হবে। এদিন তিনি পিডব্লিউডি’র বাংলো থেকে লঞ্চ পেরিয়ে ধামাখালি জেটিঘাটে আসেন। সেখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি সেই একই কথা বলেন, “এলাকায় এলাকায় ঘুরলাম, অভিযোগ শুনলাম, যারা দোষী তারা সবাই গ্রেফতার হবে।”

    কী করলেন দু’দিন ধরে?

    সন্দেশখালিতে ইডি’র ওপর হামলা হয়েছিল প্রায় দেড় মাস আগে। তারপর সেখানে কত ঘটনাই না ঘটেছে। মহিলাদের বিক্ষোভ থেকে নেতাদের যাতায়াত, বিরোধীদের বাধাদান ইত্যাদি। কিন্তু রাজ্য পুলিশের মাথায় বসে থাকা এই কর্তার সেখানে যাওয়ার সময় হয়নি। অবশেষে গেলেন ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কিছুই বলতে পারলেন না। সন্দেশখালিতে রাজীব কুমারের সঙ্গে ছিলেন এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সুপ্রতীম সরকার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি থানায় বৈঠক বসেন ডিজি। সেখান থেকে তিনি কিছু এলাকা ঘুরেও দেখেন।

    বুধবার দুপুরে ধামাখালি থেকে লঞ্চে করে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পৌঁছন ডিজি-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারা। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতেও নাকি ডিজির এই সফর। গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। তবে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে কোনও গোলমালের খবর ছিল না। সন্দেশখালির ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তারপর থেকে সামনে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন একাংশ গ্রামবাসী। সম্প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে শিবু এবং উত্তমের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগও আনে পুলিশ। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। তবে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে ঘটনার পর থেকেই। কিন্তু ডিজি’র কাছে তার উত্তর মিলল না। 

    সাংবাদিক সম্মেলন করলেন না

    বুধবার রাত পর্যন্ত সন্দেশখালির আনাচে কানাচে টহল দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফের সন্দেশখালি টহল দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন সকালে পূর্ত দফতরের বাংলো থেকে বেরিয়ে ধামাখালি লঞ্চের দিকে যান তিনি। আবার ফিরে আসেন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, মানুষ যেন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। যাঁরা আইন ভেঙেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে। এদিন তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বোধহয় বিতর্কিত প্রশ্ন এড়াতে সে পথেও গেলেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাওড়া (Howrah) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পাঁচলায় জমি মাফিয়াদের রাজ চলছে। সেখানে জমি চুরি হচ্ছে, লুট চলছে। তার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। সেই কারণে তাঁদের মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায় বিজেপি। মঙ্গলবার থানার সামনে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের মনোভাব ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আসলে সন্দেশখালি থেকে মানুষের চোখ ঘোরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ ‘বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ’।”

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর (Howrah)

    এক আক্রান্ত মহিলার গোপন জবানবন্দির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে পুলিশের পেশাগত বিষয়কে কটাক্ষ করেন তিনি (Howrah)। এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান যতদিন না গ্রেফতার হবে, ততদিন চলবে আন্দোলন। ‘শেখ শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ধর্না চলবে বিজেপির।” এছাড়াও তিনি সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) প্রসঙ্গেও বলেন, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস।”

    মমতাকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার (Howrah)

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে দিদির কেউ নেই। তাই তিনি সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। তিনি হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি রিয়্যালিটি শো-এ এসেছেন। যদি কালীঘাটে দিদির পরিবারের কারোর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কি তিনি চুপ থাকতেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে রাতের বেলায় মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিদির কেউ নয় ওরা। দিদির কালীঘাটে পরিবার আছে, অভিষেক আছে, অভিষেকের স্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তখন দিদি কি চুপ থাকতে পারতেন।” প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে সবাই বিজেপিকে চেয়েছিল। সবাই বলছে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু সরকার তৃণমূলের। কারণ বুথে বুথে দিদির গুন্ডাবাহিনী ছিল।” বুধবার হাওড়া হাসপাতালে হাওড়ার পাঁচলাকাণ্ডে (Howrah) আহত মানুষদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ভুয়ো জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে ‘তোলাবাজি’! গ্রেফতার তিন যুব তৃণমূল নেতা

    Siliguri: ভুয়ো জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে ‘তোলাবাজি’! গ্রেফতার তিন যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অনেক জায়গায় এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী সরব হন। তবে, এবার জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করতে গিয়ে তিনজন যুব তৃণমূলের নেতা গ্রেফতার হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ি-সহ ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জিএসটি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি এবং তোলা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছিল তিনজন যুবক। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ি বাইপাস টোলগেট এলাকায় একটি সাদা গাড়িতে জিএসটির বোর্ড লাগিয়ে তিন যুবক যানবাহন দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছিল। এমন সময় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের সাদা পোশাকের টিম ওই তিন যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাঁরা যুব তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে (Siliguri)। অভিযুক্ত তিন যুবকের বাড়ি বাগডোগরাতে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম শুভজিৎ ঘোষ, রুপেশ তিরকি ও পার্থ ঘোষ। ধৃতদের নিয়ে আসা জিএসটি বোর্ড লাগানোর সাদা রংয়ের একটি চারচাকা গাড়িও আটক করা হয়েছে। ধৃতরা এর আগেও এমন কাজ করেছে বলে স্বীকারও করেছে। ধৃত তিনজনই দলের জেলা সভানেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁরা বাগডোগরায় নেতৃত্ব দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা তৃণমূলের মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, আমরা এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। যদি কেউ এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, চুরি, তোলাবাজি তৃণমূলের সংস্কৃতি। তাই লুটে খাচ্ছে। পুলিশ বুঝতে না পেরে ধরে ফেলেছে। এখন গ্রেফতার পর তাদের পরিচয় সামনে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ করা হল। বুধবার শিলিগুড়ির (Siliguri) ঝংকার মোড় এলাকার একটি মন্দিরে মা ভবানীর আরাধনায় এলাকার নারী-পুরুষকে নিয়ে এই যজ্ঞের উদ্যোক্তা বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ। মন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে দু’জন পুরোহিত এই হোম-যজ্ঞ করেন। তাতে অংশ নেন প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষ।

    কেন এই যজ্ঞ? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু সমাজের সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অসুর বাহিনী মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় নোয়াখালির পর সন্দেশখালির নাম উঠে এসেছে। এটা আমাদের সকলের লজ্জা। এই ঘটনায় সন্দেশখালি মহিলারা অবশেষে তৃণমূল নেতা শাহজাহান অসুর বধে ঝাড়ু-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সাহস নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততদিন এ লড়াইয়ে জয় আসবে না। যখন কোনও কিছুতে ভরসা পাওয়া যায় না তখন আমরা ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই। সেই জায়গা থেকে আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করলাম। যাতে সন্দেশখালির শাহজাহান অসুর বাহিনী বধে সেখানকার ‘ দুর্গা’দের অর্থাৎ নারীশক্তির শক্তিবৃদ্ধি হয়, তাঁরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে সন্দেশখালির মা-বোনেদের জয় হয়। শাহজাহান ‘অসুর’ বাহিনীর কঠোর শাস্তি হোক আমরা চাই।

    যজ্ঞের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাইছে বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ?

    গোটা রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নয়। আদিবাসী সহ সাধারণ মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে তৃণমূলের রাজত্বে। একথা জানিয়ে বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, এই যজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমরা এই বার্তা দিতে চাইছি, সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার নিরাপত্তার জন্য আমরা পাশে রয়েছি। সর্বত্র নির্যাতিতারা যেন সন্দেশখালির মা-বোনেদের মতো সাহস নিয়ে তৃণমূলের অসুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির জন্য আমরাও আন্দোলনে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share