Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Waqf Protest in Kolkata: চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিচার্জ! ওয়াকফের বিরোধিতায় রাস্তা-দখলে কেন চুপ করে দাঁড়িয়ে মমতার পুলিশ?

    Waqf Protest in Kolkata: চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিচার্জ! ওয়াকফের বিরোধিতায় রাস্তা-দখলে কেন চুপ করে দাঁড়িয়ে মমতার পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অফিস টাইমে শহর কলকাতায় (Waqf Protest in Kolkata) নাভিশ্বাস নিত্যযাত্রীদের। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নেমেছেন বহু সংখ্যালঘু মানুষ। থুড়ি! বেলা ১০টার শিয়ালদা-মৌলালি চত্বর বলছে, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির ফলে এরাই এখন ‘সংখ্যাগুরু’। কলকাতা না করাচি বোঝা দায়। বাসে লাগানো পাকিস্তানের পতাকা! চৈত্রের কাঠ-ফাটা রোদে স্কুল থেকে মায়ের হাত ধরে ২ কিমি পথ হেঁটে চলেছে ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েরা। শিয়ালদা মৌলালির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দুধারে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে। গন্তব্য এনআরএস হাসপাতাল। বেজে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্সের ঘণ্টা। তবু পথ ছাড়তে নারাজ মিছিলকারীরা। রোগীর পরিবারের লোকেদের আর্তি পুলিশ কোথায়? সত্যি পুলিশ তো চোখে পড়ছে না, যে-কয়েকজন রয়েছে তারা নীরব দর্শক। চাকরিহারা শিক্ষকরা ন্যায্য দাবি জানালে তাদের উপর লাঠিচার্জ করা যায়। কিন্তু এখানে?

    অবরুদ্ধ মৌলালি চত্বর

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তীব্র যানজট শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ৷ ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে এদিন মৌলালির রামলীলা ময়দানে জমায়েত কর্মসূচি ছিল ৷ সেখানে যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে এদিন বাস বোঝাই করে শহরমুখী বিক্ষোভকারীরা ৷ এর ফলে পার্ক সার্কাস, মৌলালি, লেনিন সরণি, এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার প্রায় অবরুদ্ধ ৷ যান চলাচল খুব ধীরগতিতে চলছে মল্লিকবাজারমুখী সব রাস্তা, এমনকি পার্ক সার্কাসমুখী মা ফ্লাইওভারেও। লালবাজার ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় সিআইটি রোড। আর তার জেরে তীব্র যানযট হয় গোটা কলকাতা জুড়ে। এদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মৌলালিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল যায় মৌলালির রামলীলা ময়দান পর্যন্ত। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আয়োজক সংগঠনের বহু সদস্য উপস্থিত হয়েছেন শহরে। বাইরে থেকে বহু গাড়ি ঢুকেছে কলকাতায়। ফলে মধ্য কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে মন্থর হয়ে গিয়েছে যান চলাচলের গতি।

    গরিব মুসলিমরা কী চান!

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে দুই ছেলে ও এক মেয়ের হাত ধরে কলকাতায় এসেছেন সংখ্যালঘু পরিবারের এক মহিলা। ছোট ছেলের পাঁচদিন ধরে জ্বর। শিয়ালদায় ট্রেন থেকে নেমে কোনওরকমে এগিয়ে চলেছেন এনআরএসে ডাক্তার দেখাবেন বলে। কিন্তু ভিড় ঠেলে এগোতে পারছিলেন না। তাঁর কথায়, ‘‘এসব বিল-টিল বুঝি না, গরিব মুসলিমরা সরকারের বিলের বিরোধিতা করছে না।’’ তাহলে যারা রাস্তায়, তারা কারা? তারা রাজনৈতিক মুসলিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট-ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভায় এই ওয়াকফ বিল উপস্থাপনের দিনও দিল্লি এবং ভোপালে বহু মুসলিম মহিলাদের মোদি বন্দনা করতে দেখা গিয়েছিল।

    বাংলায় ওয়াকফের পরিমাণ

    উল্লেখ্য, ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি আছে। ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। দেশে সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে উত্তরপ্রদেশে (২,৩২,৫৪৭, দেশের মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশ)। তারপরই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গ। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৮০ হাজার ৫৪৮টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফের বার্ষিক আয় নাকি মাত্র ১৬৩ কোটি টাকা। এই আবহে বিজেপি ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই এই সংশোধনী বিল আনা হয়েছিল। এর ফলে উপকৃত হবে গরিব মুসলিমরা।

    পাশে মমতার সরকার

    সব ইসলামি দেশে ওয়াকফ ব্যবস্থা নেই। তুরস্ক, লিবিয়া, মিশর, সুদান, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডন, তিউনিসিয়া, ইরাকের মতো অনেক ইসলামি দেশের নাম করা যেতে পারে, যেখানে ওয়াকফ বলে কিছু নেই। কিন্তু বাংলায় মোদি বিরোধিতা না করলে দিদি-কে তুষ্ট করা যাবে না। তাই চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলকে গৌণ করতেই সকাল থেকে ওয়াকফ নিয়ে পথে নেমে পড়া। তাতে বন্ধ হোক, স্কুল-কলেজ-অফিস। ব্যহত হোক চিকিৎসা পরিষেবা। প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো (Mamata Banerjee) বলেছেন, “দিদি যতদিন আছে আপনাদের সম্পত্তি সুরক্ষিত।”

    ঘুরিয়ে দেওয়া হল চাকরিহারাদের মিছিল

    এদিনই বেলা ১২টা নাগাদ শিয়ালদা থেকে শুরু হয় চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মিছিল (SSC Jobless Rally)। কালো ব্যাজ পরে মিছিলে হাঁটেন শিক্ষাকর্মীরাও। কিন্তু ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে মিছিলের জেরে মৌলিতে তৈরি হয় প্রবল যানজট। যানজটের জেরে বদলে দেওয়া হয় মিছিলের রুট। চাকরিহারাদের মিছিলের রুট পরিবর্তন করে দেয় পুলিশ। কোলে মার্কেট হয়ে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে কলেজ স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলা যান চাকরিহারারা। যোগ্য চাকরিহারাদের বিচার চাই। মিরর ইমেজ প্রকাশ করুক এসএসসি (SSC)’। ওএমআর-এর মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হোক’, বুধবারের ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। মিছিল থেকে দাবি চাকরিহারাদের। কিন্তু তিনি তো চাকরিহারাদের পাশে নেই। ব্যস্ত রয়েছেন তাঁর ভোট-ব্যঙ্ক গোছাতে।

  • SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের একাংশ গতকাল বুধবার থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বেলা ১১টা থেকেই শুরু হয়েছে অনশন। জানা যাচ্ছে, আপাতত চার শিক্ষক অনশনে বসেছেন। চাকরিহারাদের সাফ কথা, এসএসসি-কে মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে ‘এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের বৈধ চাকরিহারা সমাজ’ মঞ্চের তরফে সুমন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, আত্মত্যাগের জন্য আমরা প্রস্তুত। তাই আমরা লাগাতার অনশন শুরু করতে চলেছি। আপনারা আসুন, সহযোগিতা করুন।’’

    মিরর ইমেজ প্রকাশ না করা পর্যন্ত চলবে অনশন

    বুধবারই কসবার ডিআই অফিস অভিযানে শিক্ষকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের। লাঠি থেকে লাথি, চড়-ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি। চাকরিহারাদের বক্তব্য, এসএসসি বলেছে যে তাদের কাছে মিরর ইমেজ আছে, আর তারা তা প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু কবে তা প্রকাশিত হবে সেনিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তাই যতদিন না পর্যন্ত মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে, ততদিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারই কসবা কাণ্ডে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কসবা ডিআই-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, অপরটি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি অভিজিতের

    চাকরিহারাদের অন্য একটি একটা অংশ ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ এদিনই পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এবং যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবারই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএসসি দফতরে গিয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পর এসএসসিকে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশের জন্য দু’দিন সময় দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যথায় শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

  • Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন ১০ হাজার ৩২৩ জন। তার জেরে কুর্সি খোয়াতে হয়েছিল ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারকে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। কেলেঙ্কারি হয়েছিল তাঁর আমলেই, দু’দফায়। তারই মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের। পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যায় বামেরা।

    দুর্নীতির পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে তৃণমূল! (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গেও সেই দুর্নীতির গন্ধ। যে পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। গরু পাচার, বালি পাচার, এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি – একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের কেষ্ট-বিষ্টুদের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘ঢাকি সমেত’ বিসর্জন হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার চাকরি। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গদি খোয়ানোর আশঙ্কায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে দেশের শীর্ষ আদালতকে যা-নয়-তা-ই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কয়েকজন তাঁবেদারও আস্থা হারিয়েছেন দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কেলেঙ্কারির জেরে গদিচ্যুত হতে হয়েছিল ত্রিপুরার বাম সরকারকে, সেই একই ‘পাপে’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। আর যদি তা হয় তাহলে দেশের আর কোথাওই অস্তিস্ত্ব থাকবে না তৃণমূলের।

    ত্রিপুরায় পালাবদল

    ‘শিবের গীত’ বন্ধ করে ফেরা যাক খবরে। ত্রিপুরায় তখন বাম শাসন। রাজ্যের যে দিকেই চোখ যায়, সর্বত্রই লালে লাল। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে সিপিএমের মানিক সরকার। ২০১০ ও ২০১৩ সালে দু’দফায় স্কুল শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক পদে ১০ হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগ করেছিল মানিকের সরকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ওই নিয়োগ নিয়ে মামলা হয় ত্রিপুরা হাইকোর্টে। গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে (Tripura) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ত্রিপুরার বাম সরকার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে হাইকোর্টের রায়ই। তার পরের বছরই ছিল ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটেই কার্যত ত্রিপুরা থেকে মুছে যায় বামেরা। লাল রং বদলে ত্রিপুরা হয়ে যায় পদ্মময়। সরকার গঠন করে বিজেপি।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি

    প্রসঙ্গত, ২০১০-’১৩ সালের মধ্যে কেবল মৌখিক (Supreme Court) পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ করেছিল ত্রিপুরার তৎকালীন বাম সরকার। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েকজন প্রার্থী হাইকোর্টে যান। রায় দিতে গিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি স্বপন দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ সামগ্রিক নিয়োগ পদ্ধতিকেই অবৈধ ঘোষণা করে নতুন ও স্বচ্ছ পদ্ধতি তৈরি করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, নিয়োগ করতে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে।

    তৃণমূলের লাফালাফি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের সেই রায়ের পর লাফালাফি করতে শুরু করে দেয় তৃণমূল। সর্বভারতীয় দল হওয়ার লক্ষ্যে তখন ত্রিপুরায় পায়ের নীচে মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। সেরকম একটা সময়ে চাকরি বাতিলের মতো একটা হাতিয়ার হাতে পেয়ে যারপরনাই উল্লিসিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের তৎকালীন (Tripura) চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। রাজ্যে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নীতি আদতে শাসক দলের দুর্নীতিকে এতদিন ধরে প্রশ্রয় দিয়েছে। আজ আদালতে সেটাই প্রমাণিত হল।”

    বাংলায় মুখ আমশি!

    ত্রিপুরায় একলপ্তে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলে হওয়ার পর তৃণমূল যেমন উল্লসিত হয়েছিল, তেমনি বাংলায় ২৬ হাজারের চাকরি যেতে মুখ আমশি হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের! ত্রিপুরার ক্ষেত্রে তারা বলেছিল, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আর বাংলায় তারা বিজেপি এবং আলাদতের ‘ষড়যন্ত্রের’ (ষড়যন্ত্র শব্দটি অবশ্য উল্লেখ করেননি তৃণমূল নেতারা, তবে তাঁদের আকার-ইঙ্গিতে তেমনই অনুযোগের জল্পনা) গন্ধ পাচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করেছিলেন। সেখানে ‘আমরা যোগ্য’ লেখা কার্ড ঝুলিয়ে অনেককে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সেই সভায় তিনি এবং তাঁর স্তাবকদের দল কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করেন এবং আদালতের নির্দেশের সমালোচনা করেন বলে অভিযোগ।

    কাজ করতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধিতা!

    উত্তর-পূর্বের (Supreme Court) পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁদের রাজ্যে বাম সরকার পতনে যেভাবে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল ১০ হাজার ৩২৩ জনের চাকরি বাতিল, সেই একই ঘটনা ঘটবে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গেও। ত্রিপুরা বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “বাংলা আর ত্রিপুরার মাটি আলাদা।” তবে একটা মৌলিক মিল রয়েছে। তা হল, দুই রাজ্যেই দীর্ঘ বামশাসনের পরে মানুষ সরকার বদলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে মানুষের ক্ষোভ হিমালয়সমান জায়গায় পৌঁছেছে। চাকরি বাতিল-সহ যা যা হচ্ছে, তাতে সামনের ভোটে তাদের বিদায় আসন্ন।”

    কী বলছেন ত্রিপুরার বাম নেতা?

    ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা আবার ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টিকে এক করে দেখতে চাননি। তিনি বলেন, “ত্রিপুরা আর বাংলার বিষয়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে। আমাদের রাজ্যে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়েছিল। কিন্তু বাংলায় টাকা-পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে। দুটো বিষয় এক নয়।” ত্রিপুরা সিপিএমের প্রবীণ নেতাদের একাংশের দাবি, শুধু চাকরি বাতিলের জন্য বাম সরকারের পতন হয়নি। দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও। বছর ঘুরলেই বাংলায়ও বিধানসভা নির্বাচন। তখন মমতা সরকারের ১৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই নিদারুণ উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে তলব করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী এবং সরকারি আমলাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন, এই মামলায় তো তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) জেলে রেখে দেওয়া হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল! একজনের অপরাধে কতজনের শাস্তি হয়?

    বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে? তাঁর দলের যেসব নেতা কিংবা তাঁদের (Supreme Court) নিয়োজিত এজেন্টরা টাকার বিনিময়ে চাকরি ‘বিক্রি’ করেছিলেন, পার্থকে বলি দিয়ে তাঁদের গায়ের কেলেঙ্কারির কালি মুছে ফেলতে চেয়েছেন মমতা! রাজনৈতিক মহলের অন্য অংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার নানা চেষ্টা করবে তৃণমূল সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো হয়তো ‘সিভিক শিক্ষক’ও নিয়োগ করে ফেলতে পারে মমতার সরকার! কিংবা ‘শ্রী’যুক্ত কোনও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারে রাজ্য সরকার। মোট কথা, যেন-তেন প্রকারে ফের ক্ষমতায় ফিরতে চাইবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একবার ক্ষমতায় আসার পর যে ‘রসে’র সন্ধান পেয়েছেন তৃণমূল নেতারা, সেই রসের ভাগ যাতে দীর্ঘদিন ঝোলায় পড়ে, সেই ব্যবস্থা করতে প্রাণপাত করবেন তৃণমূল নেতারা।

    তবে গণতন্ত্রে তো (Supreme Court) শেষ কথা বলে জনতা জনার্দন। তারা কী বলে, সেটাই দেখার (Tripura)!

  • SSC Jobless Teachers: ‘এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব’, রণহুঙ্কার চাকরিহারাদের! শিক্ষকদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের

    SSC Jobless Teachers: ‘এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব’, রণহুঙ্কার চাকরিহারাদের! শিক্ষকদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের উপর্যুপরি বিক্ষোভে উত্তাল বাংলা। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র চাকরিহারাদের প্রবল বিক্ষোভ (Teachers Protest) চলল দিকে-দিকে। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও জেলায়-জেলায় চলল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। রাজ্যজুড়ে গণ-আন্দোলন চাকরিহারাদের (SSC Jobless Teachers)। এর মধ্যেই প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হলেন চাকরিহারারা। বুধবার রাজ্য জুড়ে ডিআই অফিস ঘেরাও অভিযানে নামেন চাকরিহারারা। আর তাতেই ধরা পড়ে বিপন্নতার ছবি। পেটের অন্ন কেড়ে নিয়ে তাদের উপরেই লাঠি চালাল পুলিশ-প্রশাসন। এরপর আর নিজেদের শান্ত রাখতে পারেননি চাকরিহারারা। রণংদেহী মূর্তি নেন তাঁরা। এক চাকরিহারা বললেন, ‘‘মিলিয়ে নেবেন, এ সরকার টিকবে না, লিখে দিলাম। সরকারকে আমরাই টেনে নামাব।’’

    কসবায় ধুন্ধুমার

    কসবায় চাকরিহারা (SSC Jobless Teachers) মিছিল করে ডিআই অফিসের উদ্দেশে আসছিলেন। ডিআই অফিসের কাছে আসতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। কসবার ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকতে চাইছিলেন চাকরিহারারা। স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন চাকরিহারারা। তবে শিক্ষকরা ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে চাকরিহারাদের সরানোর চেষ্টা করে। পড়ে যান বেশ কয়েকজন। ওই অবস্থাতেই লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন লাঠির আঘাতে গুরুতর চোট পান। মহিলাদেরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে (Teachers Protest) ডিআই অফিসের সামনেই শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরিহারারা। এক চাকরিহারা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক চাকরিহারা ক্ষোভে ফেটে বলেন, “মিলিয়ে নেবেন, এ সরকার টিকবে না, লিখে দিলাম। সরকারকে আমরাই টেনে নামাব। আমরাই তো সমাজের মুখ।” তিনি প্রশ্ন তুললেন, “একজন শিক্ষিকাকে নীচে নামিয়ে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারছে পুলিশ! এটা কীসের আইন? কোথাকার আইন? আইন শেখেনি ওরা? লজ্জা নেই, হাসছে।” চাকরিহারাদের দাবি, “আমাদের একটাই দাবি, মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হোক। এসএসসির কাছে আছে, কিন্তু সেই মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

    শিক্ষকদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা পুলিশের

    চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC Jobless Teachers) অভিযোগ, কসবার ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা করে পুলিশ। কখনও ঘাড়ধাক্কা তো কখনও সপাং-সপাং করে লাঠি চালায় তারা। আবার কখনও বুট পরা পায়ে সজোরে লাথি। রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন একাধিক শিক্ষক। আহত হন ২ শিক্ষক, অভিযোগ চাকরিহারাদের। লাঠিচার্জে আহত শিক্ষকদের বক্তব্য, পুলিশ কেন এভাবে অমানবিক ভাবে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করল? তারা শুধুমাত্র নিজেদের অধিকারের দাবি জানাতে এসেছিলেন। পুলিশ নিজে হেলমেট পরে শিক্ষকদের লাথি, কিল মেরেছে, গলা ধাক্কা দিয়েছে। কসবায় এক শিক্ষক বলেন, ‘‘পেটে আগুন জ্বলছে। সারা বাংলায় এবার আগুন জ্বলবে।’’ অপর এক শিক্ষিকা বলেন, “ওখানে উনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আর এখন পুলিশ লাঠিপেটা করছে। আমাদের ন্যায্য দাবি চাইতে এসেছি।” আর এক শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের ক্লাসরুমে থাকার কথা ছিল। সেই জায়গায় আমাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদেরই তো পড়াই। আমাদের লাথি মারছেন!”

    সরকারি নির্দেশেই লাঠিপেটা!

    পুলিশের মারে আর্তনাদ বিক্ষোভকারীদের (Teachers Protest)। “এরা পুলিশ নয়, এরা পার্টির দালাল। এরা পার্টির দালাল, কোন অর্ডারে এরা মেরেছে…আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করিনি। আমরা শিক্ষক, যোগ্য শিক্ষক।” বারবার চিৎকার করেও লাভ হয় না। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এসে ঘা দেওয়া হয় সজোরে। সহকর্মীকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেন যাঁরা, তাঁরাও রেহাই পেলেন না। এক মহিলা চাকরিহারার (SSC Jobless Teachers) আর্তনাদ “সেনসিটিভ জায়গা দেখে দেখে লাঠি মারছে। ভীষণ রকম অসভ্য, বর্বরের মতো আচরণ! এটা কি সরকারি নির্দেশ ছাড়া হয়। উনি ওখানে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, আর এখানে লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দিচ্ছেন!” পুলিশের মার খেয়ে তখন রক্ত ঝরছে। গলা ভেঙে গিয়েছে। চোখে ক্ষোভের আগুন। এক চাকরিহারার চিৎকার “লাঠিপেটা করে কী হবে, গুলি করুন গুলি, কপালে গুলি করে মেরে দিন।” কেউ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর যদি দম থাকে, আমাদের সঙ্গে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভাসা ভাসা বক্তব্য নয়, ওয়ান টু ওয়ান বক্তব্য করতে বলবেন, আমাদের সঙ্গে। উনি কতটা আইন জানেন, আমি তাই দেখব। আমাদের সমস্ত কিছু শেষ। এবার ওঁরা আমাদেরকে যদি না তুলে ধরেন তাহলে আমাদের আর কিচ্ছু হাতে নেই। সব হারিয়ে ফেলেছি। রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি।”

    কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বুধবার চাকরিহারাদের ভবিষ্যত নিয়ে বিকাশভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠি ব্রাত্য বসুর হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কসবায় বিক্ষোভরত শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। অভিজিৎ জানিয়েছেন, বিক্ষোভরত চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিকাশভবন যাবেন না তিনি। তার আগে, বুধবার এসএসসি দফতরে গিয়ে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অভিজিৎ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী।

    জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভ

    বুধবার, জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকরা (SSC Jobless Teachers)। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাতে দিকে দিকে ধুন্ধুমার কাণ্ড। হুগলি, বীরভূম সহ একাধিক জেলাতেও শিক্ষকদের আন্দোলনে তুলকালাম পরিস্থিতি। কোচবিহার, বারাসত কৃষ্ণনগর, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, সর্বত্র এই অশান্তির আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অভিযান ও ডি আই কে ডেপুটেশন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ ডিআই অফিসের সামনে জড়ো হয় জেলার চাকরিহারা বঞ্চিত শিক্ষকরা। এদিন শিক্ষক শিক্ষিকারা ডিআই অফিসে এসেই অফিসের মূল গেটে চেন ও তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারা বিক্ষোভ অভিযান শুরু করে। এরপরে তারা ডিআই অফিসের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ আন্দোলন করে।

    শিলিগুড়ি থেকে নদিয়া পথে শিক্ষকরা

    হুগলিতে ডিআই অফিসে গিয়ে গেটে তালা মারেন শিক্ষকরা (SSC Jobless Teachers)। শিলিগুড়িতেও ডিআই অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে। মালদাতেও চাকরিহারাদের ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। বালুরঘাটেও পথে নামেন চাকরিহারারা। সকালে রঘুনাথপুর এলাকা থেকে বিক্ষোভ (Teachers Protest) মিছিল শুরু করেন তাঁরা। তবে সেই মিছিল ডিআই অফিসের সামনে যেতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ডিআই অফিসের সামনে জড়ো হন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তার পর তাঁরা অফিসের মূলগেটে তালা ঝুলিয়ে সেখানেই রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান। পশ্চিম মেদিনীপুরে ডিআই অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। অভিযোগ, সেখানেও জেলা স্কুল পরিদর্শককে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নদিয়াতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। কৃষ্ণনগরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দফায় দাফায় বিক্ষোভ চলে।

    বিজেপির লালবাজার অভিযানেও ধুন্ধুমার

    কসবায় চাকরিহারাদের (SSC Jobless Teachers) ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়কদের ‘লালবাজার অভিযান’ ঘিরেও চলে তুলকালাম। বিজেপি বিধায়কদের প্রবল বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পালরা। তাঁজদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শঙ্কর ঘোষ একসময় রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে চ্যাংদোলা করে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে এদিন তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের। কসবার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটক হন বিজেপি বিধায়করা।

  • Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের উমরপুরে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জঙ্গিপুরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতির ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য পুলিশ একেবারে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। জঙ্গিপুরকাণ্ডে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অমিত মালব্যর মতে, অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্য আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। এই নিয়ে রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতেই রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে, বুধবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে চলে। জাতীয় সড়কে আন্দোলন চলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। যানজটের সৃষ্টি হয়।

    উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে, বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) হিংসা নিয়ে নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী মিটেছে, তা থেকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে প্রশাসন হিংসা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আর মানুষও কোনও ভাবে অশান্তি চায় না। শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টাকে তাই কঠোর হাতে দমন করা উচিত।’’

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর ওয়াকফ সংশোধনী বিল ইতিমধ্যে দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে ফের তাণ্ডব শুরু করেছে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের মতো ফের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। এটা অসহমতি জানানোর পদ্ধতি নয়। এটা অসহমতি জানানোর নামে ধ্বংসলীলা যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।’’

    পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা শাসকদলের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘আমি মুখ্যসচিব ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে অনুরোধ করব আপনারা রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানান। কারণ পুলিশ যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তা স্পষ্ট। এটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লেখেন, ‘‘অন্য রাজ্যে হিংসা (Jangipur Violence) ছড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি কুমিরের কান্না শুরু করে দেন। তবে যখন মুর্শিদাবাদে তাঁর ভোটব্যাঙ্করা হিংসা ছড়ায়, তখন তিনি নীরব হয়ে যান। তিনি তখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেন সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে। এই একই মমতা যখন অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সরব হন, নিজের রাজ্যে সেন্সরশিপের মাধ্যমে তথ্য চাপা দিচ্ছেন। জঙ্গিপুরের মতো জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নয়, সত্যিটাকে ধামাাপা দেওয়ার জন্যে। সেখানে ওয়াকফের নামে রেললাইনে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই তথ্য চাপা দিতে চাইছে সরকার।’’

    সংবিধানের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মমতার, তোপ মালব্যর

    অমিত মালব্য আরও লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা হল সংবিধানের প্রতি তাঁর বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, সুপ্রিম কোর্টকে তিনি মানেন না। তাঁর পুলিশ মিথ্যা দাবি করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই ফাঁকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকআউট জারি করা ছাকে। যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই থাকে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকোতে চাইছেন? নাকি যে মানুষটা সিএএ প্রতিবাদের সময় ‘কা কা ছি ছি’ গেয়েছিলেন, ওয়াকফের বিরুদ্ধে গান গাওয়ার জন্যে তাঁর আর কণ্ঠস্বর নেই?’’

    জঙ্গিপুরে হিংসা (Jangipur Violence)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে একদল উন্মত্ত জনতা। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় অবরোধকারীদের। এর আগের দু’দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। সেসময়ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। উন্মত্ত জনতার আক্রমণে ২ জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে খবর মিলেছে। এর ফলেই দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। সন্ধ্যার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাণ্ডবকারীদের রাস্তা থেকে কোনওভাবে সরানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ।

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল। তার পরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হতে থাকে অসন্তোষের আগুন। সেই আগুনের আঁচ যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে, তাই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারানো শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata SSC Jobless Meet)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তর বক্তব্য

    তিনি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চাইলে যোগ্য-অযোগ্যদের অনেক আগেই আলাদা করতে পারত।” তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দুধ আর জলকে মিলিয়ে দিতে হবে। আজকের মিটিংয়ের উদ্দেশ্যও তাই। কোনওভাবেই যেন আলাদা করা না যায়। গন্ডগোলটা তো ওখানেই হচ্ছে। যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও ডাকা হয়েছে (Mamata SSC Jobless Meet)। এই অযোগ্যরা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “সরকার চাইলে কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে আর কারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, সেই তালিকা আদালতের সামনে আনতে পারত। সরকার এখনও তা আনেনি। তাদের উদ্দেশ্য, হয় ব্যাপারটাকে ঘেঁটে দাও, যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দাও, যাতে কেউ ধরা না পড়ে। অথবা পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়ে যাক, যাতে কারও ঘাড়ে দোষ না পড়ে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করলেই বিপদ। তাহলে যারা টাকা দিয়েছে, তারা টাকা ফেরত চাইবে।”

    গেট পাস নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে দেখাতে হয়েছে গেট পাস। তাতে লেখা ‘আমরা যোগ্য’। কোন নিরিখে যাদের গেট পাস দেওয়া হয়েছে তারা যোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেমন প্রশ্ন উঠছে, এই গেট পাস কে ইস্যু করেছে? কারাই বা দিয়েছে? গেট পাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪৪জনকে। অথচ চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে হাইকোর্ট যাদের অযোগ্য বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তারাই কি এদিনের বৈঠকে (Mamata SSC Jobless Meet) ডাক পেয়েছিলেন? পেয়েছিলেন ‘আমরা যোগ্য’ লেখা গেট পাস? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এরা কেউ প্রকৃত মেধাযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী নয়। এরাই চব্বিশে ভোট করেছে, ভোট লুটের কাজও করেছে। ডায়মন্ড হারবারে তো টেন্টেড শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। ওখানে সাত লক্ষ ভোট পাওয়া নিয়ে তো আমি আরটিআই-ও করেছিলাম। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি। এবার আমি ভোটে আদালতে যাব।”

    তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে পাস বিলি!

    শুভেন্দুর (BJP) দাবি, “তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিহারাদের সভার পাস বিলি হয়েছে।” এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৭ হাজার পাস বিলি হয়েছে। তার মানে ১৮ হাজারকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন মমতা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারও জড়িত। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নন, উনি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে ২৬ হাজার জনকেই বৈঠকে ডাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক নন। উনি ৭ হাজার জনের জন্য পাস জারি করেছেন। কাদাপাড়ায় তৃণমূল দফতর থেকে পাস বিলি করা হয়েছে। এরা সবাই তৃণমূলের গুন্ডা।” শুভেন্দু বলেন, “৭ হাজার পাস বিলি করে বলছে আমরা যোগ্যদের ডেকেছি (Mamata SSC Jobless Meet)। তার মানে ১৮ হাজার অযোগ্য। এই তালিকাটা কেন সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে দিল না?”

    দম্ভ না দেখালে ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না! 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার অবৈধ বলেছিলেন। সেদিন যদি দম্ভ-ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে স্বীকার করে নিত, তাহলে আজ ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না।” তিনি বলেন (BJP), “কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে করের ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এই টাকা খরচ করা হয়েছে এই সাড়ে ৫ হাজার অযোগ্যকে বাঁচাতে। সেই টাকা তুলেছে ভাইপো। সেটা বলে দিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এমডি। এই সংস্থারই অন্যতম ডিরেক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    প্রসঙ্গত, যোগ্যদের ভিড়ে যে অযোগ্যরাও লুকিয়ে রয়েছে, এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেন, “আগে যোগ্যদের বিষয়টি মিটে যাক। তারপর যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। সব কাগজপত্র তদন্ত করে দেখব। সত্যি যদি তারা অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়, তখন (BJP) আর আমার কিছু করার থাকবে না (Mamata SSC Jobless Meet)।”

  • Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ধাতব অস্ত্র ছাড়াই সম্পন্ন হয় হাওড়ায় রামনবমীর (Ramnavami 2025) মিছিল। মিছিলের আয়োজন করেছিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মিছিল থেকেই বিরোধীদের কার্যত হুঙ্কার দিলেন তিনি। তিনি বললেন, অতীতে যাঁরা তাঁদের মিছিলে বাধা দিয়েছিল, আজ তাঁদেরই বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী পালন করছেন তাঁরা!

    সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি (Ramnavami 2025)

    প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে রামনবমীর মিছিল বের হয়। সব মিলিয়ে রবিবার কার্যত গেরুয়া রঙে ছেয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। অনেক জায়গার মতো হাওড়াতেও এদিন রামনবমীর মিছিল হয় এবং তাতেই যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। গতবারই এই অঞ্চলে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘‘গতবার যারা পাথর মেরেছিল, এবার তাদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে আমরা রামনবমী করেছি। আমাদের যারা বাধা দেবে তাদের উচিত শিক্ষা এভাবেই দেওয়া হবে।’’

    নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসকে

    অন্যদিকে রামনবমীর মিছিলে এবারেও সওকত মোল্লা ও কুণাল ঘোষদের হাঁটতে দেখা যায়। এনিয়ে সুকান্তর কটাক্ষ, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য রামনবমী পালন করতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে। এমনি সময় তো জয় শ্রীরাম স্লোগানে তাঁদের সমস্যা হয়। তবে আমরা শুরু থেকেই হিন্দু এবং রামনবমী পালন করে আসছে।’’ বিজেপি (Ramnavami 2025) নেতার কথায়, তিনি পাগল হিন্দু! যতদিন শরীরে শক্তি থাকবে, প্রতিবছর রামনবমী পালন করবেন।

    পুলিশের ওপর ভরসা নেই সুকান্তর (Sukanta Majumder)

    সুকান্ত অবশ্য পুলিশের ওপর বিশেষ ভরসা রাখতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আমাদের থামাতে চায়। অথচ আমরা দেশের আইন মেনেই চলি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই মিছিল হচ্ছে। তবুও অনেক জায়গায় পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছে তাঁদের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে।’’ প্রসঙ্গত, রামনবমী নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে। এই আবহে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলে ঢল নামতে দেখা গেল।

  • Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবার রামনবমী (Ram Navami) পালনের অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর এবার অনুমতিই মেলেনি। তবে রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন হিন্দু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন ঘটা করে। রীতিমতো রামচন্দ্রের প্রতিমা বসিয়ে পুজোও হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নীচে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’। তার পাশেই ব্যানার টাঙিয়ে দিল ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত হল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগানে।

    রামের পুজো (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রামনবমী পালনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। উপাচার্য নেই, এই ‘অজুহাতে’ অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তখনই হিন্দু ছাত্রগোষ্ঠী প্রশ্ন তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন? সেই সময়ই তারা জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে হবে রামের পুজো। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় করেছিলেন পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সবার উপস্থিতিতেই পুজো হয় রামের।

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, “ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন?” তাঁর অভিযোগ, ‘ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদিন আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা তো শুধু আমাদের আরাধ্য ভগবান রামের (Ram Navami) আরাধনা করেছি। যাদবপুর তো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এখানে যদি ইফতার বা সরস্বতী পুজো হতে পারে, তাহলে রামের পুজো নয় কেন?” এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “এর আগের বছরও আমরা শোভাযাত্রা করতে গিয়েছিলাম। বামেরা হামলা করেছিল। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, যা-ই হোক না কেন, এবার আমরা করবই। করেওছি।”

    বামঘেঁষা যাদবপুরে সফলভাবে রামের পুজো হওয়ার ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন (Jadavpur University)। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের (Ram Navami) একটা অংশের মধ্যে এবিভিপির প্রভাব রয়েছে। এবার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে পেরেছে তারা।

  • Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা রাজ্যে। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মিছিল বেরনোর কথা। এদিন মধ্য হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা (BJP) বের হয়। এই শোভাযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

    অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল সজলের (Ram Navami)

    রামনবমীতে অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। বলেন, “কোনও কোনও সময় ধর্মকে রক্ষা করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।” তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, “মানুষের মনে দাঙ্গার বীজ বপন করে দেওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই তিনি বলেন, “তোষণের রাজনীতিই ওঁর কাল হবে। প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না।” এদিন সকালে মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকা থেকেও একটি মিছিল হয় রামনবমী। মিছিল আসে রামরাজাতলায়, রামমন্দির পর্যন্ত।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরলে কোনও সমস্যা নেই বলেই মনে করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরবো, এতে সমস্যা কোথায়…ভগবান রামের ছবি তো অস্ত্র ছাড়া হয় না। ভগবান অস্ত্র নিয়ে না বেরলে এত রাক্ষসকে মারলেন কীভাবে?” তিনি বলেন, “নতুন রাক্ষসরা অস্ত্র দেখে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বিনা কারণে অস্ত্র বেরোবে না।” তিনি বলেন, “রামের নামেই মুক্তি। তাই সকলে জয় শ্রীরাম বলুন। রামনবমী হলে অনেকের বুক দুরদুর করে। যাদের বুক দুরদুর করে, তারা যেন রাস্তায় না বের হয়।” দিলীপ বলেন, “রামের ইচ্ছেতেই এই জাগরণ।”

    অন্যদিকে, রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে এদিন দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছোটবড় মিলিয়ে এদিন রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজার শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০ পুলিশ জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটকে। এই সব এলাকার দায়িত্বে থাকছেন ২৯ জন আইপিএস। বড় মিছিলগুলির ওপর নজরদারি চালানো হবে ড্রোন দিয়ে। বিশেষ কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি তদারকি (Ram Navami) করবেন খোদ এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (BJP)।

LinkedIn
Share