Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jhalda: আবাসের টাকা পাইয়ে দিতে কাউন্সিলরকে কাটমানি! তদন্তে গঠিত হল কমিটি

    Jhalda: আবাসের টাকা পাইয়ে দিতে কাউন্সিলরকে কাটমানি! তদন্তে গঠিত হল কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কিস্তির টাকা পাইয়ে দিতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই এই অভিযোগের সত্যতা জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন ঝালদার পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল। সোমবার তিনি দাবি করেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আগে এক বাসিন্দা হাউজ় ফর অল প্রকল্পে কিস্তির টাকা পাইয়ে দিতে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেছিলেন। এ দিন ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আরও চার উপভোক্তা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে একই অভিযোগ করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jhalda)

    ঝালদা (Jhalda) শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জবা কান্দু ২০২৩ সালের জুন মাসে অভিযোগ করেন, আবাস যোজনায় তাঁর বকেয়া কিস্তির টাকা পাইয়ে দিতে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার ওরফে রঞ্জন তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। পরে তাঁর দাবি মতো আরও ২০ হাজার টাকা মেটাতে না পারায় পরবর্তী কিস্তির টাকা আটকে দেন। তখন চেয়ারম্যান ছিলেন কংগ্রেস-নির্দল জোটের শীলা চট্টোপাধ্যায়। জবার অভিযোগ, তিনি ঝালদার মহকুমাশাসক এবং ঝালদার চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সম্প্রতি কংগ্রেসের সমর্থনে অনাস্থা ভোটে শীলাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে পুরসভা দখল করেছেন সুরেশপন্থীরা। সেই প্রেক্ষিতে সোমনাথের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে শহরে। যদিও কাউন্সিলর সোমনাথবাবু বলেন,“ভিত্তিহীন অভিযোগ। তদন্ত হলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    সুরেশ বলেন, ” ভাইস চেয়ারম্যানকে মাথায় রেখে তিনজন কাউন্সিলরকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটি তদন্ত শেষে পুরসভায় রিপোর্ট জমা দেবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দুদিন আগেই জবার বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, তাঁর আটকে থাকা কিস্তির টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ভাবে আর কাউকে টাকা না দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ বসিরহাট, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ বসিরহাট, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি-র এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বসিরহাট। এমনিতেই বিজেপির কর্মসূচিকে বানচাল করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। এসপি অফিস যাওয়ার অনেক আগে থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। এদিন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দিতেই পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়।

    ট্রেনে করে বসিরহাটে, বাইকে অলিতে-গলিতে এসপি অফিস (Sukanta Majumdar)

    সড়ক পথে বাধা দিতে পারে আশঙ্কা করেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে বসিরহাটে যান। মূল রাস্তা ধরে গেলে বাধার মুখে পড়তে পারেন জেনে সুকান্ত বাইকে চড়ে অলি-গলি ধরে বসিরহাট এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। আগে থেকে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত ছিলেন। মিছিল করে এসপি অফিসের দিকে রওনা দিতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। মহিলা কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এমনকী কাঁদানে গ্যাসের একাধিক সেল ফাটানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, দুহাজার কর্মী জমায়েত করে ওরা। পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ইট, পাথর ছোড়া হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। বহু কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের পা ভেঙে গিয়েছে। মহিলারা জখম হয়েছে। মমতার পুলিশ এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। শাহজাহানের কথায় পুলিশ এসব করছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় মমতার পুলিশ। আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে আমিও জখম হয়েছি। পুলিশের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করার পর বহু কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এসবের প্রতিবাদে আমরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। দলীয় কর্মীদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের যুব বনাম মাদারের গোষ্ঠী সংঘর্ষে চলল গুলি, উদ্ধার বন্দুক!

    South 24 Parganas: তৃণমূলের যুব বনাম মাদারের গোষ্ঠী সংঘর্ষে চলল গুলি, উদ্ধার বন্দুক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল গভীর রাত্রে বেলেগাছি এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে হামলা করে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে। ইতিমধ্যে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী। আহত ব্যক্তির নাম শহিদুল মোল্লা। এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয় এবং সেই সঙ্গে গুলিও চালানোর চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল।

    আহত তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    এলাকায় (South 24 Parganas) গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলির আঘাতে আহত তৃণমূল কর্মী শহিদুল মোল্লা বলেন, “এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু আমাকে টার্গেট করে গুলি করতে আসলে আমি হাত দিয়ে ধরে ফেলি। তাতে আমিও আহত হই। ওরা সকলে যুব তৃণমূলের কর্মী। রেজাউল এবং কুতুব মিস্ত্রি মূলত আক্রমণ করে। আমিও নিজে তৃণমূল করি।” আবার আক্রান্তের দাদা আরও বলেন, “এলাকায় আমার ভাই প্রধানের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। মূলত মাদার এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে একটি রাস্তা নিয়ে বিবাদ। আগেও আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করেছিল বন্দুক নিয়ে। আজ কুতুব মিস্ত্রি যুব তৃণমূলের সভাপতি এলাকার তাঁর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। গুলি চালিয়েছিল কিন্তু লাগেনি শরীরে। তবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে ঘাড়ে এবং কোমড়ে। আমরা বন্দুকটি উদ্ধার করতে পেরেছি। পুলিশের কাছে জমাও দিয়েছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।”

    যুব বনাম মাদার সংঘর্ষ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা করিমুল্লা মোল্লা ও মাদার তৃণমূল কংগ্রেস সাইফুদ্দিন মোল্লার মধ্যে বিবাদ। সেই জেরে ব্যাপক হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত তৃণমূল কর্মীরা মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। পুলিশ এখন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। অপরে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সুপারের অফিসের আশপাশে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বর অর্থাৎ সংগ্রামপুর এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করে অবৈধ জমায়েত করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সড়কপথে গেলে পুলিশ আগেই আটকে দিতে পারে। তাই হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে বসিরহাটের উদ্দেশে তিনি রওনা দেন। মোট ৩০ জনের টিকিট কাটা হয়েছে। সুকান্ত বলেন, আইনভঙ্গ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু, পুলিশের হাত এড়িয়ে আমরা যে করে হোক বসিরহাট পৌঁছাব। তাই গাড়ির বদলে লোকাল ট্রেন। এদিন দুপুরে বসিরহাট স্টেশন পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্টেশন থেকে বাইক মিছিল করে এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। পুলিশের চোখ এড়াতে বড় রাস্তা নয়, বসিরহাট স্টেশন থেকে গলি দিয়ে এসপি অফিসের দিকে রওনা দেন সুকান্ত। 

    সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বসিরহাট যাওয়ার পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের দুই প্রতিনিধি। মহিলারাও শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা কমিশনের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।

    বসিরহাটে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মিছিল

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। সোমবার বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে যখন পুলিশ আদালতের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে তখন সেখানে উপস্থিত আইনজীবীদেরও ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং মহিলা আইনজীবীকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা। এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত যে, এই কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।

    আটকানো হল কংগ্রেসকে

    উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালির রামপুরে যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে আটকে  দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন যুব কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকেরা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যুব কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তার পরে বিক্ষোভকারীদের বাসে তুলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

    বসিরহাট আদালতে তোলা হল বিকাশ, উত্তমকে

    বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার সময় বিজেপি নেতা বিকাশ বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে বাঁচান, সন্দেশখালির মহিলাদের বাঁচান, আমাকে আবার ফাঁসানো হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ময়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু হল। সোমবার লালগোলার ময়া গ্রামে নৌবন্দর পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। নৌপথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয় সড়ক ও রেলপথ ব্যবহার। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহণ খরচ বেশি হত। এবার নৌবন্দর চালু হওয়ায় খুশি দু’দেশের মানুষ।

    ৫৯ বছর পর আবার চালু হল (Murshidabad)

    জানা গিয়েছে, এক সময় এই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ি-লালগোলা নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবার চালু হল নৌবন্দর পরিষেবা। নৌবন্দর চালু হওয়ায় ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দু’টোই কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতার সমস্যার কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী আনা হবে। এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশাবাদী এলাকার বাসিন্দারা।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী স্থাপনে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতেই এই দেশ থেকে পণ্য সহজেই পৌঁছে যাবে ওপারে। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাতেও সহজেই পণ্য পৌঁছবে। দূরত্ব কমবে অনেকটাই। ঠিক তেমনই ওপার থেকে পণ্য পৌঁছে যাবে ভারতে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে বাংলাদেশ নৌপথ পুনরায় চালুর ভাবনা শুরু হয়। সেই কারণেই চিঠি পাঠানো হয় দুই দেশকে। ২০১৮ সালে মার্চ মাসে জমি ও নদী পরিদর্শন করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মউ স্বাক্ষর করা হয়। মোট ২৫ বিঘা জমির ওপর ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বন্দর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তা বেহালের কারণে রাজ্য সরকারকে তিনি দায়ী করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গলা কেটে কচু পাতা দিয়ে ঢাকা বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ, থানা ঘেরাও লকেটের

    Hooghly: গলা কেটে কচু পাতা দিয়ে ঢাকা বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ, থানা ঘেরাও লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) পোলবায় এক বিজেপি কর্মীর মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জ্যোৎস্না জানা। তাঁর বয়স ৫৫ বছর। তাঁর ছেলে রাজকুমার জানা বিজেপির সক্রিয় কর্মী। সুগন্ধায় ছেলের কাছে এসেছিলেন মা। সোমবার দুপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে, একটি ইটভাটার কাছে থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার থানা ঘেরাও করল বিজেপি। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। লকেট বলেন, মৃতার স্বামীকে চাপ দিয়ে ভুল বয়ান টিপ সই দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা নতুন করে বয়ান লিখি। ওখানে দুজন ছিল, যারা এখন পলাতক। ওই দুজনই কিছু করছিল, সেটা দেখে ফেলাতেই গলা কেটে খুন করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথবাটি গ্রামে জ্যোৎস্না জানার দুই ছেলে রাজকুমার ও রবি জানার বাড়ি। ছেলেরা গয়নার কাজ করেন। এদিকে জ্যোৎস্নার স্বামী একটি ইটভাটা চালাতেন। জ্যোৎস্না স্বামী পূর্ণচন্দ্রের শরীর ভালো নেই। স্বামী-স্ত্রী সেখানেই থাকতেন। তবে প্রায় ছেলেদের বাড়িতে আসতেন মা। জ্যোৎস্না জানার ছেলের বউ পারমিতা জানা বলেন, সোমবার দুপুর থেকে শাশুড়িকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর ইটভাটা লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত কেমিক্যাল কারখানার ঝোপে মৃতদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। আমাদের আশঙ্কা, শাশুড়িকে খুন করা হয়েছে। খুন করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। খুনিদের অবিলম্বের গ্রেফতার করতে হবে। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সোমবার রাতেই জ্যোৎস্নার বাড়িতে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    মৃতদেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ বলেন, “আমাদের এক কর্মীর মাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর ছেলে আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। ছেলেই ফোন করে জানায় এই ঘটনা। আমরা খবর পেয়ে এসেছি। বলা হচ্ছে গলা কাটা, কচু পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। বিষয়টি জানার পরই তড়িঘড়ি পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে দেহ নিয়ে চলে গেল। সন্দেহ হচ্ছে আমাদের। তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, খুনের ঘটনা সঠিক তদন্ত হোক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত”, সরব নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত”, সরব নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজগার মেলার মাধ্যমে প্রায় এক লক্ষ ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল সোমবার। কেন্দ্রীয় সরকারের রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি নিয়োগ করার যে ঘোষণা দেশের প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, তা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার রাজগঞ্জের রাধাবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৭ জন যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জন্য নিয়োগপত্র তুলে দেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।

    রোজগার মেলা নিয়ে কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)

    এই বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে রোজগার মেলার মাধ্যমে কর্মসংস্থান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সোমবার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জন্য নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন। তারই অঙ্গ হিসেবে বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল।

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব

    এদিন এই অনুষ্ঠানে এসে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে।তৃণমূল কংগ্রেসের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ার পিছনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিনই সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাধাবাড়ি এলাকায় বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে রোজগার মেলায় যোগ দেন নিশীথ প্রামাণিক। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,”সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে তা দু:খজনক ঘটনা। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, অশালীন আচরণ করা হচ্ছে, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান ‘বেপাত্তা’ হওয়ার পরে হাজারো ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে গিয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপরে অত্যাচার সামনে আসছে বিভিন্ন অভিযোগ। অভিযোগ, গত সাত-আট বছরে এ ভাবেই সন্দেশখালি গ্রামে একরের পর এক জমি হাতিয়ে নিয়েছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর বাহিনী। ইদানীং এ সবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রামের মানুষ।

    জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষ! (Sandeshkhali)

    ইডি হানা দেওয়ার পর থেকে ফেরার সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  ডন শাহজাহান। তাঁর বাহিনী এসে এলাকা দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, লাভ কিছু হয়নি। এলাকার মানুষের প্রতিরোধে শাহজাহান বাহিনী পিছু হটেছে। এলাকার অত্যাচারিত মানুষ একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, জেলিয়াখালি ৬ নম্বর স্লস গেট চত্বরে বছর পাঁচেক আগে ৭-৮টি পরিবারের কাছ থেকে খুব অল্প দামে প্রায় ৮ একর জমি কেনেন শিবপ্রসাদ। সে সময়ে তিন লক্ষ টাকা বিঘা সেই জমির দাম শিবপ্রসাদ দিয়েছিলেন মাত্র এক লক্ষ টাকা করে। এই এলাকারই ৬ নম্বর পাড়ায়, যেখানে শিবপ্রসাদের পোলট্রি, সেই জমির পরিমাণও নয় নয় করে আট একর। এখানে কিছু পরিবারের বাস ছিল। তাঁরা জমি ছাড়তে চাননি। অভিযোগ, জোর করে জায়গা-জমি লিখিয়ে নিয়ে, মারধর করে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতের ভাঙা তুষখালি মৌজায় প্রায় ৭০০ বিঘা জমি লিজ়ে নিয়ে শিবপ্রসাদ মাছের চাষ করেন। বছর তিনেক ধরে চলছে সেই কারবার। বহু মানুষকে লিজ়ের টাকা দেননি, টাকা চাইলে উল্টে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শিবুর বাহিনীর বিরুদ্ধে। বহু জমি এভাবে দখলে রেখেছে।

    জলাভূমি ভরাট

    সন্দেশখালি-২ ব্লক অফিস ও থানার সামনে একটি জলাভূমি ভরাট করার অভিযোগ আছে শিবুর বিরুদ্ধে। মালিককে সামান্য কয়েক হাজার টাকা হাতে ধরিয়েছিলেন। শিবুর দাপটে কেউ মুখ খোলেননি সেই সময়ে। ওই জমি ভরাট করে দরমার বেড়া দিয়ে স্কুল তৈরি হচ্ছে। গ্রামের এক মহিলার কথায়, “স্কুল তৈরি তো বাহানা। আসলে জায়গাটা নজরে পড়েছে শিবুর, তাই যে ভাবে হোক দখলে রাখতেই এমন কাজ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদে পদে তৃণমূলীদের বাধা পেয়ে সন্দেশখালি পৌঁচ্ছাতে হয়। সেখানে গিয়ে তিনি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দলের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। বসে করেই তাঁরা রওনা দেন। সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে তাঁদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    পুলিশি বাধা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়করা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন তিনটি বাসে করে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। কিন্তু, পুলিশ সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে ব্যারিকেড করে বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেয়। সেখানে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, অগ্নিমিত্রা পল বলেন, সন্দেশখালিতে ৬০ কিলোমিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হল। এখানে ১৪৪ ধারা নেই। তারপরও তৃণমূলের দলদাস পুলিশ এটা করল। আমাদের কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? মহিলা বিধায়কদের তো যেতে দিতে পারে, সেটাও তারা দিচ্ছে না। আসলে শাহজাহানদের এই সরকার মদত দিচ্ছে। মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হত তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেখানকার মানুষদের কথা শুনতেই আমরা সন্দেশখালি যেতাম। সেটাও পুলিশ করতে দিল না। শাহজাহানকে ধরতে পারছে না পুলিশ। আর আমাদের আটকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন অগ্নিমিত্রা?

    ইডি ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তাঁর এক শাগদের উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে শাহজাহানের হদিশ দিলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, রবিবার হেমনগর এলাকায় শাহজাহানকে দেখা গিয়েছে। ৬জন সঙ্গে নিয়ে স্পিড বোটে তাঁদের দেখা গিয়েছিল। তাঁরা জঙ্গলের দিকে তিনি চলে যান। আমরা সব জানতে পারছি, অথচ মমতার পুলিশ কিছুই জানতে পারছে না। আসলে শাহজাহানকে পুলিশ বাঁচাতে চাইছে। আর এসবই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Nadia: ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) করিমপুর থানার গোপালপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল বিশ্বাস (৬০)। তিনি তেহট্ট উত্তর এরিয়া কমিটির গোপালপুর শাখার সদস্য ছিলেন। প্রকাশ্যে এভাবে ব্যবসায়ীকে খুন করার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে পুলিশের টহলদারি গাড়ি থাকে। রাস্তার মধ্যে এভাবে একজনকে খুন করে দিয়ে চলে গেল পুলিশ টের পর্যন্ত পেল না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলালবাবু সুদের ব্যবসা করতেন। প্রতিদিন পাওনা টাকা আদায় করে বাড়ি ফিরতেন। অন্যদিনের মতো রবিবারও তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপরই রাতের দিকে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। এরপরেই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে নদিয়ার (Nadia) করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে করিমপুর থানার পুলিশ। পরবর্তীকালে পুলিশ মৃতদেহটি হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যায়। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও কারণে বচসার জেরে খুন হতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। যদিও এই ঘটনায় এখন কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

    ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    এ বিষয়ে মৃত দুলাল বিশ্বাসের ভাইপো বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, রবিবার  রাতে আমাদের কাছে খবর আসে রক্তাক্ত অবস্থায় কাকা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। আমরা তারপরেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে, কাকাকে উদ্ধারের সময় যেটুকু মনে হয়েছে ওর সঙ্গে কয়েকজন ধস্তাধস্তি করেছে। পরবর্তীকালে ভোজালি দিয়ে কাকার গলায় কোপ মেরেছে। তিনি আরও বলেন, বহু মানুষের কাছে কাকা ধারের টাকা ফেরত পেত। সেই টাকা তাগাদা করতে গিয়েই এই খুন হতে পারে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share