Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BSF: পাচারের আগেই সীমান্তের গ্রামে হানা দিয়ে উদ্ধার সাপের বিষ, বাজারমূল্য ১২ কোটি!

    BSF: পাচারের আগেই সীমান্তের গ্রামে হানা দিয়ে উদ্ধার সাপের বিষ, বাজারমূল্য ১২ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁটাতার পার করে পাচারের আগে ফের সাপের বিষভর্তি জার উদ্ধার করল বিএসএফ (BSF)। উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ১২ কোটি বলে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করেছে বন দফতর। এদিন হিলি থানার ভীমপুর বিওপির উত্তর জামালপুর এলাকায় কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় গ্রামে এদেশের নাগরিক মমিনুল মণ্ডলের বাড়ি থেকে সাপের বিষভর্তি জার উদ্ধার করেন বিএসএফের ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ধৃতের নাম তপন অধিকারী (৫০)। বাড়ি হিলির ত্রিমোহিনীতে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মমিনুলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি সাপের বিষ দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। বিএসএফের তরফে উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ ও আটক ব্যক্তিকে বালুরঘাট বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রায় ছ’মাসের ব্যবধানে আবারও হিলিতে উদ্ধার হল সাপের বিষ। তবে এবার উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ তরল প্রকৃতির ছিল।

    কোন প্রজাতির সাপের বিষ? (BSF)

    বিএসএফের ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, হিলির উত্তর জামালপুরে কাঁটাতারের ওপারে এক ভারতীয়র বাড়িতে রাখা রয়েছে সাপের বিষ। যে কোনও সময় তা কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকবে। সেই খবর পেয়ে এদিন মমিনুল মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন বিএসএফ জওয়ানরা। সেই খবর পেয়ে পালিয়ে যান বাড়ির মালিক। তবে ধরা পড়ে যান সাপের বিষ দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা তপন অধিকারী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাড়ির খড়ির মাচার নীচে লুকিয়ে রাখা সাপের বিষের জার উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের আধিকারিকরা।বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ সেমি উচ্চতাবিশিষ্ট জারটি ফ্রান্সে নির্মিত। সেখান থেকে চোরাপথে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। যার ওজন ২ কেজি ৩৫০ গ্রাম। ওই সাপের বিষভর্তি জারের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ১২ কোটি টাকা। তবে ওই জারে কোন প্রজাতির সাপের বিষ রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি বিএসএফ (BSF) কর্তারা।

    কী বললেন বন দফতরের রেঞ্জার?

    বালুরঘাট বন দফতরের রেঞ্জার সুকান্ত ওঝা বলেন, ‘বিএসএফের (BSF) ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের তরফে সাপের বিষভর্তি একটি জার আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকেও আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। ধৃত ব্যক্তি ও সাপের বিষ বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হবে। আদালতের নির্দেশ পেলে সাপের বিষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মুম্বইয়ে পাঠানো হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এদিকে তপন অধিকারীর দাবি, তিনি সাপের বিষ পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষ কী জিনিস, তা বৃহস্পতিবারই দেখিয়ে দিয়েছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমেই ছিল। পুলিশি ধড়পাকড় বা অন্যান্য কারণে বাসিন্দাদের কিছুটা ভীত এবং সন্ত্রস্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই দেখা গেল অন্য চিত্র। সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    উল্লেখ্য, এই শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআরও করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, শাহজাহানের দলবল একালায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে। রাতে মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টি অফিসে। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। বোঝাই যায়, অত্যাচারের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাঁদের দেওয়ালে পিঠ থেকেছে। এবার এলাকার ‘বাঘে’দের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছেন অত্যাচারিতরা।

    আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম (Sandeshkhali)

    এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাইকে চেপে এসে তারা নাকি মারমুখী হয়ে ওঠে। 

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল অনেক আগে থেকেই। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    Jalpaiguri: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসা কতটা নৃশংস হতে পারে, তা তৃণমূল নেতার আচরণে স্পষ্ট হল। এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খাওয়ার ঘটনা ঘটল। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে জলাপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মহকুমা ধূপগুড়ি এলাকায়। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছাপ্পা, লুট, মারধর, বোমাবাজির পাশপাশি গননা কেন্দ্রে ব্যালট গিলে খেয়ে নিজের জয়কে সুনিশ্চিত করেছিলেন এক তৃণমূল প্রার্থী। এবার ফের মানুষের কান খেয়ে নেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে। বিজেপির বক্তব্য, “আগে বালি, কয়লা, ব্যালট খেত, এখন মানুষের কান কামড়ে খাচ্ছে। দোষীর শাস্তি চাই।”

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় (Jalpaiguri) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি স্টেশন মোড়ের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হয়েছেন এলাকার এক তৃণমূল কর্মী রাশিদুল রহমান। স্টেশনের পাশে থাকা এক চপের দোকানে এসেছিলেন অপর এক যুবক। এরপর এই যুবককে নানা ভাবে উত্যক্ত করেছিলেন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ এটাও ছিল যে তাঁকে উলঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এরপর পাশেই বিনয় রায় নামে এক ব্যক্তি রশিদুলকে এই আচরণ করতে বাধা দেন। বিনয় নিজে এলাকায় বিজেপি করেন। এরপর ঘটনায় লাগে রাজনৈতিক রঙ। উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঠিক এরপর পরস্পরের মধ্যে মারামারি বাধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিনয়ের কান কামড়ে ছিড়ে খান রশিদুল। এরপর অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে স্থানীয় হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    ঘটনায় আহত বিজেপি কর্মী বিনয় জানিয়েছেন, “একজনের প্যান্ট জোর করে খুলে দেওয়া হচ্ছিল। আমি বাধা দিতেই আমার কানের অংশ কামড়ে ছিড়ে খেয়ে নিয়েছে। আগে এই তৃণমূল নেতা হকারি করত, এখন এই সব করছে। আমি বিজেপি করি, তাই এই আচরণ করল।” আবার এক স্থানীয় (Jalpaiguri) প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “কানের একটা অংশ ছিল না। কান সেলাই করার মতো অবস্থায় ছিল না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Jalpaiguri) তৃণমূল নেতা বিপুল ইসলাম বলেন, “ওরা কী খেয়ে নিজেদের মধ্যে মজা করছিল আমি জানি না। আমার জানার কথাও নয়।” তবে ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতা এখন পলাতক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালিতে বন্ধ দোকানপাট, এফআইআর-পাল্টা এফআইআরে চাপা উত্তেজনা

    Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালিতে বন্ধ দোকানপাট, এফআইআর-পাল্টা এফআইআরে চাপা উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। মহিলারা যেভাবে ঝাঁটা এবং লাঠি হাতে পথে নেমে  বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাতে এরকম ঘটনা আগে কোথাও ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করতে পারছেন না। শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, মহিলারা প্রকাশ্যে শাহজাহান এবং তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তোলেন। সব মিলিয়ে দিনভর উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলারা যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে অনেকেই অবাক।

    থমথমে এলাকা, দোকান বন্ধ (Sandeshkhali)

    সেই সন্দেশখালি শুক্রবার ছিল থমথমে। বৃহস্পতিবারের সেই বিক্ষোভ, উত্তেজনা কিছুই ছিল না। কিছু দোকান খোলা থাকলেও অধিকাংশই বন্ধ। রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যাও বেশ কম। বোঝা গেল অশান্তি বা নতুন করে হাঙ্গামার ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একটি করেছেন অভিযুক্ত শিবু হাজরা। তিনি শতাধিক মহিলার নামে ভাঙচুর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা  এফআইআর করেছেন তার বিরুদ্ধে। সেখানে শিবু হাজরার সঙ্গে তৃণমূলের কয়েকজন মাতব্বরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ (Sandeshkhali) জানিয়েছে, গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। একই দিনে তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়।  স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজার

    Arabul Islam: গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজার

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে একাধিক ঝামেলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভাঙড়ের এই দাপুটে নেতা। বোমাবাজি, তোলাবাজি, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। লোকসভা ভোটের আগে আরাবুলের গ্রেফতারি নিয়ে জোর চর্চা শুরু।

    কেন গ্রেফতার আরাবুল? (Arabul Islam)

    সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে ঝামেলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনাতেও আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দু’টি ঘটনাতেই আরাবুলের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার সময় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে যে ঝামেলা হয়েছিল তাতেই এই গ্রেফতারি বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বৈদিক ভিলেজে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বামনঘাটায় রেজ্জাক মোল্লাকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে খুন হয়। তাতেও নাম জড়ায় তাঁর। গত বছর ১৫ জুন বিজয়গঞ্জ বাজারে গন্ডগোলের ঘটনায় খুন, অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর কাশীপুর থানায় তাঁকে ডাকা হয়। আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসেন উত্তর কাশীপুর থানায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ। মূলত, ১৫ জুন সেই পুরানো মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। গ্রেফতারের পর লালবাজারে আনা হয় তাঁকে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে।

    নিছক লোক দেখানো গ্রেফতারি, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আরাবুল (Arabul Islam) প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। বরং, তিনি বলেন, “এই গ্রেফতারিকে নিছক লোক দেখানো। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একটু বিরিয়ানি দেবে, ভাল কম্বল দেবে। ও ওখানে ভালভাবেই থাকবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মেয়ের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে মার! অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা

    Hooghly: মেয়ের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে মার! অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রৌঢ়া মা এবং দুই মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা। নিচুজাত বলে গালি দিলে প্রথমে থানায় ডায়েরি করা হয়। এরপর পুলিশ কোনও তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় পালাটা তৃণমূল নেতারা অত্যাচার শুরু করে ওই পরিবারের উপর। এমনকী থানায় ডায়েরি তুলে নেওয়ার জন্য প্রথমে হুমকি, এরপর ধর্ষণ করার চেষ্টাও করা হয়। বাড়িতে ঢুকে মাকে সন্তানদের সামনেই বিবস্ত্র করা অত্যাচার করা হয়। একই ভাবে দুই মেয়েকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে হুগলিতে (Hooghly)।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Hooghly)

    স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়া নিজের হুগলির বাড়িতে থাকতেন। ১২ বছর ধরে তাঁর স্বামী নিখোঁজ। মহিলা পরিচারিকার কাজ করতেন। এলাকায় তাঁকে নিচু জাত বলে খোঁটা দেওয়া শুরু করে এলাকারই তিন তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি অত্যাচার বাড়ে, এলাকায় জল নেওয়া বন্ধ করে দেয় তৃণমূল নেতারা। এরপর একদিন অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে বিবস্ত্র করে ব্যাপক মারধর করে। সন্তানদেরও মারধর করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া দুই মেয়েকে গণধর্ষণ করে মারার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথমেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    প্রৌঢ়ার বক্তব্য

    চুঁচুড়া (Hooghly) আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে প্রৌঢ়া বলেন, “অত্যাচার থেকে বাঁচতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের পায়ে ধরি। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ না করে বিষয় নিয়ে মজা করেন। আমি সুবিচার চাই। এই সব মামলা করার সামর্থ নেই।” আবার প্রৌঢ়ার এক মেয়ে বলেন, “বাড়ি ফিরতে ভয় লাগে। শ্লীলতাহানি করেছে বাড়িতে ঢুকে। বোনের সঙ্গে আমারাও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, কীভাবে দেবো সেটা জানিনা।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, “হুমকি বা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। জাত তুলে গালাগাল দেওয়া হয়নি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।” আবার এলাকার উপপ্রধানের বক্তব্য, “এই বিষয় খুব একটা গুরুতর কিছু নয়। আমার কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন বিষয়টি, বড় কিছু ঘটেনি।”

    বিজপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা ঘটনায় জানিয়েছে, “দলের নেতার না চাইলে এমন ঘটনা ঘটতে পাড়ে না। তৃণমূল এই নির্যাতনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: দিঘার পর হাওড়া! রেল লাইন ধরে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা

    Howrah: দিঘার পর হাওড়া! রেল লাইন ধরে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তায় হোটেল দেখে দেওয়ার নামে বন্ধুকে গাছে বেঁধে রেখে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে এক তরণী পর্যটককে গণ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ফের এক নাবালিকার গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটল হাওড়ার (Howrah)  উলুবেড়িয়া এলাকায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা পলাকত। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জামাইবাবুর সঙ্গে হাওড়়ার (Howrah) উলুবেড়িয়া স্টেশনে দেখা করতে এসেছিল নির্যাতিতা নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সাক্ষাতের পর রেললাইন ধরে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী কিশোরীকে রাস্তা আটকায়। আশপাশে কেউ না থাকায় দুষ্কৃতীরা তাকে টেনে নিয়ে যায়। এরপরই গণধর্ষণ করে। রেল লাইনের পাশে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় রেললাইনের ধারেই পড়ে থাকে সে। এর ঘণ্টাখানেক পর নাবালিকার জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে যায় সে। সেখানে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। রাতেই উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রাতেই পুলিশ তদন্তে নেমে এক যুবককে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ও জামাইবাবুর সঙ্গে দেখা করে ফিরছিল। জামাইবাবু বাইরে থাকেন। ও ডেকেছিল বলে গিয়েছিল। জামাইবাবুর সঙ্গে কথা বলে ফিরছিল। রেল লাইনের পাশে একটি অন্ধকার জায়গায় পাঁচ-ছ’জন ধরে ওকে ধর্ষণ করেছে। এমনকী ওর হাতের মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার পরেই বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন এসআরপি খড়গপুরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সহ একধিক পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা জানিয়েছেন, গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। খড়গপুরের সুপারিন্টেনডেন্ট অফ রেলপুলিশ দেবশ্রী সান্যাল বলেন, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কালচিনির অনাহারে শ্রমিকমৃত্যুর ঘটনায় কি আমলাশোলের ছায়া?

    Alipurduar: কালচিনির অনাহারে শ্রমিকমৃত্যুর ঘটনায় কি আমলাশোলের ছায়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অমানবিক আচরণের কারণেই কি মৃত্যু হল কালিচনি ব্লকের মধু চা বাগানের শ্রমিক ধানী ওরাওঁয়ের? এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে (Alipurduar)। বাগানের শ্রমিকদের অবশ্য দাবি, প্রশাসনের মানবিক হওয়া উচিত ছিল, অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করেছে প্রশাসন। গত ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে এখনও তাঁর স্ত্রী আশারানী হাসপাতালে রয়েছেন চিকিৎসায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশাসন থেকে এখনও কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য ২০০৪ সালের বাম আমলে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে অনাহারে বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছিল। এবার এই ঘটনায় ফের অনাহারে ম্রত্যুর ঘটনার পর রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ (Alipurduar)?

    এলাকার (Alipurduar) মানুষের অভিযোগ, সরকারি কোনও রকম প্রকল্পের সুবিধা পেতেন না ওই দম্পতি। ছিল না কোনও রকম রেশন এবং ভাতা। বাগানের স্থায়ী শ্রমিক হলেও কাজে যেতে পারতেন না ধানী। মজুরি সত্যিই পেতেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বাগানে তাঁদের প্রতিবেশীরা বলেছেন, “ধানীর আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করা ছিল না। অসুস্থ হাওয়ায় তিনি করতে যেতে পারেন নি। ফলে রেশন মিলত না তাঁদের। ফলে রাজ্য প্রশাসনের কোনও সুবিধা পেতেন না তাঁরা।” একই ভাবে পাশের এক শ্রমিক বলেন, “ধানী নিজে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিজেও নানান সমস্যায় ভুগছেন। রাজ্য প্রশাসন যদি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এই সব প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিত, তাহলে এই ভাবে মরতে হত না।”

    ২০১১ সাল থেকেই বঞ্চিত এলাকা

    এলাকায় (Alipurduar) মানুষের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। থাকার মতো ঘর নেই। ত্রিপল খাটিয়ে কোনও রকম চলছে দিন। বৃষ্টি এলেই মাথায় হাত। শ্রমিকদের অভিযোগ, দুর্দশার কথা জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানালেও সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি। একই ভাবে আমলাশোলের অনেক বাসিন্দা এখনও রেশন পান না। রাজ্য সরকারের নানান ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নেতারা এলাকায় আসলে এলাকাবসীরা অভিযোগ জানালে কোনও রকম ভাবে সমস্যার সমাধান ঘটছে না। ২০১১ সালের পর একবার-দুবার কিছু রাজ্য সরকারের সাহায্য এলেও তারপর থেকে কেউ ঘুরেও থাকায় না।

    জেলাশাসকের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলাশাসক আর বিমলা বলেছেন, “অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয়। মৃতের পরিবার থেকেও এমন অভিযোগ করা হয়নি। বাগানে একাধিকবার শিবির হয়েছে। বাগানে ত্রাণের কাজ করা হয়। শ্রমিকদের সমস্যার কথা শোনা হয়। আধারের সমস্যা দূর করতে ব্লকে দ্রুত শিবির করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২ সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ২ সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা চিটফান্ড কায়দায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, বিচারপতির নির্দেশ মতো আজই পাঁচজন ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাঁচ ডিরেক্টরকে হাইকোর্টেরই শেরিফের অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ইডির পাশাপাশি, সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এসএফআইও) আধিকারিকদেরও এই ঘটনার তদন্ত করতে বলেছেন বিচারপতি। 

    কেন এই  মামলা

    ডেল্টা লিমিটেড এবং ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড-এই দুই সংস্থার ৫ ডিরেক্টরকে আদালতে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ ওই দুই সংস্থার কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী আদালতের দ্বারস্থ হন টাকা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছুই জানেন না এঁরা। সংস্থার আয়-ব্যয় বা কার্যপ্রণালী নিয়েও বিচারপতির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। এঁরা সবাই জুট মিলের সুপারভাইজার থেকে ডিরেক্টর হয়েছেন। এমনকি কে এঁদের ডিরেক্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাও জানেন না।’’

    এঁদের পিছনে বড় মাথা রয়েছেন

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) আরও বলেন, ‘‘এঁদের সাজিয়ে রেখে কেউ পিছন থেকে কাজ করছে। এঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। এঁরা চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন। এখন এঁদের গ্রেফতার করার কোনও প্রয়োজন নেই। এঁদের সম্মানহানি যেন না হয়।’’ লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘দুই সংস্থার পাঁচ ডিরেক্টরকে এখন থেকে হাইকোর্টের শেরিফের অফিসেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেখানে কোনও আইনজীবী প্রবেশ করতে পারবেন না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মোবাইল ফোন ফেরত পাবেন না। প্রাথমিক ভাবে কী পাওয়া গেল, আমাকে জানাতে হবে। এর নেপথ্যে পাট শিল্পের বড় বড় মাথা রয়েছেন। তাঁরা আমার বদলিও করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। এ সব আমি বরদাস্ত করব না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: রাজ্যে সক্রিয় ওটিপি প্রতারণাচক্র, চিন-পাকিস্তান যোগ! কীভাবে জালিয়াতি?

    Fraud: রাজ্যে সক্রিয় ওটিপি প্রতারণাচক্র, চিন-পাকিস্তান যোগ! কীভাবে জালিয়াতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় হয়েছে প্রতারণাচক্র। প্রতারকরা নিত্যনতুন কৌশল প্রয়োগ করে প্রতারণার (Fraud) ছক কষে। এবার ওটিপি কেনাবেচার একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্র চালানোর অভিযোগে মূল পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই চক্রের জাল পাকিস্তান এবং চিনে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ থেকেই এই চক্রের হদিশ মেলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণার ছক? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাধারণত প্রতারকরা সিম ক্লোন করে ওটিপি সংগ্রহ করে। ধরা যাক একটি ফোন নম্বরের সিম ক্লোন করা হল, তারপর থেকে ওটিপি যাবে ওই ভুয়ো নম্বরে। ফলে, সহজেই গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। একদল লোক সিম ক্লোন করার কাজে যুক্ত থাকে, আবার আর একদল ওটিপি বিক্রি করে বলে জানা যায়। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশে তথ্য পাচার করে দেওয়া হত। প্রতারকরা বিদেশে কী কী তথ্য পাচার করেছে তা জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    পাকিস্তান-চিন যোগ!

    দু সপ্তাহ আগে মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওটিপি কেনাবেচার অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নকল সিম কার্ড বানিয়ে ওটিপি তৈরি করা হয়, তারপর ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম পুলিশ জানতে পারে। জানা যায়, ওটিপি কেনাবেচার আন্তর্জাতিক প্রতারণা (Fraud) চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৌরব শর্মার। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে ওটিপি সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফোন নম্বর সহ ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের লোকজনের লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share