Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদাধিকার অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁচরাপাড়া পুরসভা। অথচ তিনি সেই পুরসভাতেই আর যান না। কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে মুকুলপুত্রকে। পুরসভায় কেন যান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি নিজেই।

    ঠিক কী বলেছেন শুভ্রাংশু? (Subhranshu Roy)

    শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বলেন, আমি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আমাকে ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাসেসমেন্ট দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দফতরে বেশিরভাগই অনলাইনে কাজ হয়ে যায়। ফলে, পুরসভায় আমার কোনও কাজ নেই। পুরসভায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয়। এমনকী বিল্ডিং-এর অনুমোদনের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তবে, সেটা দোতলা পর্যন্ত। তার ওপরে বিল্ডিং হলে তার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের ওপরে রয়েছে। ফলে, এই দফতরে আমার বিশেষ কোনও কাজ নেই বললেই চলে। থাকল পড়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব। তবে, এই কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেখানেও আমার কোনও স্বাধীনতা নেই। অথচ পুরসভাকে আরও অনেক ভালোভাবে চালানো যেতে পারত। অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যেত। কিন্তু, কোনও কিছুই করা হচ্ছে না। আর পুরসভায় গিয়ে ঠুঁটো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে আমি রাজি নই। আমি এসবের কোনও তোয়াক্কা করি না। আর কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না। বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কমল অধিকারী। তিনি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।

    অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সোমনাথ-সুবোধকে তুলোধনা

    দিন দুয়েক আগে অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধনা করেছিলেন। দলের অনুমতি পেলে দুজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর অর্জুনের বিরুদ্ধে বারবার সোমনাথ শ্যাম মুখ খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সাংসদ তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্বের কথা মতো দলে এসেছেন। যা বলার তা দলের ভিতরে বলা উচিত। সবমিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের এই কোণঠাসা নিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সন্ধ্যা হলেই বাড়ে আতঙ্ক! ডায়মন্ড হারবারে অজানা জন্তুর হানায় জখম ৮

    South 24 Parganas: সন্ধ্যা হলেই বাড়ে আতঙ্ক! ডায়মন্ড হারবারে অজানা জন্তুর হানায় জখম ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে আতঙ্ক! রাত হলেই বাড়ছে জন্তুর আনাগোনা! আঁচড়-কামড়ে জখম হচ্ছেন এলাকার মানুষ। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। কিন্তু কেন ঘটছে এমন ঘটনা, এখনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর বক্তব্য, কোনও অজানা জন্তু রাতের অন্ধকারে ঘুরছে এবং হামলা করছে। ইতিমধ্যে আহত হয়েছেন ৮ জন। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার এলাকার সরিষা ও মশাট এলাকায়।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    স্থানীয় (South 24 Parganas) মানুষের বক্তব্য, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে জন্তুর হামলায় এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন কুকুর, কেউ বলছেন শিয়াল, আবার কেউ বলেছেন বিশেষ জন্তু। তবে ঠিক কোন প্রাণী আক্রমণ করছে সেই বিষয়ে এখনও জানা যাচ্ছে না। এলাকার মানুষ বর্তমানে বন দফতরের কাছে খবর দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, অহেতুক আতঙ্কিত যেন কেউ না হন এবং সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারে যেন শিশুদের বাইরে না ছাড়া হয়।

    বনদফতরের ভূমিকা

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্তুকে ধরতে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের পক্ষ থেকে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে মোট ৮ জনকে জখম করেছে জন্তু। ইতিমধ্যেই তাঁদের সরিষা ব্লক হাসপাতাল এবং ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    বনদফতরের বক্তব্য

    এই ঘটনায় দক্ষিণ পরগনার (South 24 Parganas) ডিএফও বলেছেন, “বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, শিয়াল জাতীয় কোনও প্রকার প্রাণী আক্রমণ করছে হয়তো। তাকে ধরতে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। রাতে এবং দিনে বন দফতর থেকে এলাকায় টহল দেওয়া চলছে। খুব দ্রুত ধরা পড়বে আমাদের বিশ্বাস। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।”

    এলাকায় বাঘেরও আতঙ্ক

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা তিন মাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে। গ্রামের মধ্যে বন্যপশুর রক্তের দাগের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এলাকার ধনচির জঙ্গলকে জাল দিয়ে আটকে দেওয়ার পরে বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া গিয়েছে। বাঘের আতঙ্ক কাটাতে এলাকায় গণস্বাক্ষরের অভিযান চালানো হচ্ছে। বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, “গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। জনবসতি এলাকায় বাঘ ঢুকছে না।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের বাজেটে বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করল রেলমন্ত্রক। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ মূল্য বরাদ্দের পরেই চলতি বাজেট  বরাদ্দ দিয়ে লাইন পাতার কাজ করবে রেল। ওই অর্থ বরাদ্দের পরে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বরাত প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎপর হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ সংস্থা। তবে ওই প্রকল্পে ফের ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতেই উচ্ছ্বসিত সব মহল। বিশেষ করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা খুশি।

    এই প্রকল্পে মোট কত টাকা বরাদ্দ করল রেলমন্ত্রক (Balurghat)

    ২০১০ সাল বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে ওই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে জমিজটে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ থমকে যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগী হতেই ২০২২ সাল থেকে পুনরায় ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৩৩ কোটি লক্ষমাত্রা ধার্য করে রেল। ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে ২০ কোটি ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে পুনরায় ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যদিও ওই অর্থ বর্ষেই ওই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩১০ কোটি খরচ করে রেল। তারপরেই চলতি বছরের বাজেটে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।

    রাজ্য সরকারের সহযোগিতা দাবি

    এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, ‘এই বাজেটে বালুরঘাট-হিলি রেলের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। ২০১০ সালে এই প্রকল্পের খরচ ছিল ২৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। যুগের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আর্থসামাজিক কারণে দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করব।

    এই প্রকল্পে আরও টাকা দিতে প্রস্তুত রেল

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিকাংশ টাকাই বরাদ্দ হয়ে গেল। রাজ্য সরকারকে দ্রুত জমি দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি। ওই প্রকল্পে টাকার কোনও খামতি নেই। আমি নিজে রেলমন্ত্রক থেকে টাকা আনার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আরও টাকা লাগলে রেল দিতে প্রস্তুত রয়েছে।‘

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘এই বছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কথাটি সঠিক নয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের জন্য ধার্য করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার ও অশোক কুমার লাহিড়ী রাজনৈতিক কারণে কথাবার্তা বলছে। সামনে লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করা হচ্ছে। প্রচুর মানুষ টাকা পেয়েছেন। নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। উন্নয়নের কাজে রাজনৈতিক অভিপ্রায় অনভিপ্রেত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রেলে চাকরির নামে ফের প্রতারণা, এবার ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ধনেখালির এক ব্যক্তি

    Hooghly: রেলে চাকরির নামে ফের প্রতারণা, এবার ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ধনেখালির এক ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে হুগলির (Hooghly) ধনেখালিতে। উল্লেখ্য ৬ মাস আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। গতকাল রাতে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Hooghly)

    স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি। এরপর থেকেই ওই প্রতারক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেক দিন নিখোঁজ ছিল এলাকায়। গতকাল রাতে মোবাইলের সূত্র ধরে প্রতারক নিশিকান্ত জানাকে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে হুগলির চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয় আজ।

    সরকারি দফতরে চাকরির নামে টাকা 

    সরকারি দফতরে চাকরি করে দিতেন প্রতারক নিশিকান্ত জানা। অন্যদিকে ধনেখালি (Hooghly) থানার দশঘড়ার বাসিন্দা শেখ জাকির। তাঁর ছেলের রেলের চাকরির জন্য ধাপে ধাপে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে টাকা দিয়েছিলেন আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও মেলেনি চাকরি। জাকিরের দশঘড়া বাজারে বাসনের দোকান রয়েছে। এই দোকানেই আলাপ হয় নিশিকান্ত এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে। এই দম্পতি চাকরি করে দিত বলে জানা গিয়েছে। চাকরি না মেলায় টাকা ফেরত চাইলে বার বার এড়িয়ে যেত প্রতারক নিশি। এরপর একটা সময় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান জাকির। আর এরপর থেকেই এলাকা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় প্রতারক নিশি।

    ভুক্তভোগীর বক্তব্য

    হুগলির (Hooghly) ভুক্তভোগী এবং প্রতারণার শিকার জাকির বলেন, “স্নাতক ছেলের চাকরির জন্য নিশিকান্তকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেম। আমরা এভাবে প্রতারিত হব বুঝতে পারিনি। বর্ধমানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে সাক্ষী রেখে টাকাটা দিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে ওভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরির চেষ্টা করাটা অত্যন্ত ভুল হয়েছে।”

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পর পর কন্যাসন্তান, তিন মাসের শিশুকে তুলে আছাড় মেরে খুন করল বাবা

    Murshidabad: পর পর কন্যাসন্তান, তিন মাসের শিশুকে তুলে আছাড় মেরে খুন করল বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ায় এক দম্পতি কন্যাসন্তান হওয়ার খুশিতে মাতৃযানটিকে বেলুন দিয়ে সাজিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টি মুখ করিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যান। কয়েকদিন আগে এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়ার বাসিন্দারা। এবার সেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পর পর তিনটি কন্যাসন্তান হওয়ায় মেনে নিতে পারেনি গুণধর বাবা। তাই, তিনমাসের শিশুকে আছাড় মেরে খুন করেছে সে। মর্মান্তিক এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ডোমকলের ভাতশালার রিন্টু শেখের বিয়ে হয়েছিল ডোমকলের কামুড়দিয়াড়ের বাসিন্দা বেলুয়ারার সঙ্গে। চার বছর আগে তাঁদের প্রথম সন্তান জন্মায় মেয়ে। পরের সন্তানটিও মেয়েই। রিন্টু কেরলে কাজ করেন। মাস তিনেক আগে তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সেই খবর পাওয়ার পর সপ্তাহখানেক আগে গ্রামে ফিরেছিলেন রিন্টু। রবিবার দুপুরে তিনমাসের শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে, বাড়ির লোকজন দেখেন, ঘরে লেপের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সে। সন্তানের মাকে চেপে ধরা হলে তিনি বলতে থাকেন, “মেয়েকে খাটে শুইয়ে আমি দাওয়ায় রান্না করছিলাম। কী হয়েছে, জানি না।” জানা গিয়েছে, রিন্টু তার তিনমাসের সন্তানকে তুলে আছাড় মেরে খুন করেছে। রিন্টুর বাবা সে কথাই বার বার দাবি করেন। তিনি বলেন “তৃতীয়বার মেয়ে হওয়ার পর থেকে ছেলে-বউমার ঝামেলা লেগেই থাকত। ছেলে নিয়মিত নেশা করে। ছেলেই ছোট নাতনিকে খুন করেছে। পুত্রবধূ সব জেনেও ওকে আড়াল করছে।” এর পরেই রিন্টু ও বেলুয়ারা বিবিকে পুলিশ প্রথমে আটক করে। পরে, রিন্টুর বাবা বাবা দবির শেখ নিজের ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরে দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    রিন্টু আগেও এই কাণ্ড করেছিল!

    তিনমাসের কন্যাসন্তানকে আছাড় মেরে ‘খুন’ করাই প্রথম নয়। এর আগে দ্বিতীয় মেয়েকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল ডোমকলের ধৃত দম্পতি। বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল বড় মেয়েকেও! দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও স্থানীয়দের বয়ান সংগ্রহ করে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পড়শিদের একাংশের দাবি, রিন্টু মাদকের নেশায় আসক্ত। তার খরচ জোগাতে একবার নিজের বড় মেয়েকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এক মহিলার কাছে। পরিযায়ী শ্রমিক কলোনির লোকেরা তা জেনে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় মেয়েকেও এক বার মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রিন্টু ও বেলুয়ারার বিরুদ্ধে। সেই কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ীও ছিল মেজ মেয়ে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, “রিন্টু নিয়মিত মাদক নিত। চুরির অভিযোগে সে আগে গ্রেফতারও হয়েছে। শুধু কি সংসারে টানাটানি, না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। মালদায় (Malda) নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। এবার পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও সুরক্ষিত নয় কোনও নাবালিকা। ঠিক এই ভাবেই সরব হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

    কী বলল জাতীয় কমিশন (Malda)?

    মালদা (Malda) শহরে নাবালিকা খুনের ঘটনায় এবার রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে। গতকাল রবিবার মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য এবং জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। জাতীয় কমিশনের সদস্যরা ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের সদস্যা দিভিয়া গুপ্তার বক্তব্য, “নাবালিকা খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে আশ্বাস নেই। গত ২৯ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল নাবালিকা। তিন দিন ধরে পুলিশ কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। এমনকি ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় পরিবারের সদস্যরাই। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। খুন করার অস্ত্র কেন এখন উদ্ধার হয়নি?”

    কী বলল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মালদা (Malda) শহরের নাবালিকা খুনের ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা যশবন্ত শ্রীমানি বলেছেন, “অভিযুক্ত সুনু কেশরী তদন্তে পুলিশের সঙ্গে ঠিক ভাবে সহায়তা করছে না। আমরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিতে বলেছি। বিচার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে। অপরাধ প্রবণতাকে আটকাতে আরও সচেষ্ট হতে হবে। আমরা একাধিক সংশ্লিষ্ট জায়গায় চিঠি পাঠাবো।”

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, যে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গতকাল মালদায় (Malda) গিয়েছিলেন এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “ঘটনার দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জেলা সফরে মালদাতেই ছিলেন। অথচ ঘটনা নিয়ে একটি বাক্য খরচ করেননি কেন? রাজ্যের নাবালিকাদের সুরক্ষা কোথায়?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয়দের কাজে নিয়োগের দাবিতে রবিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডাল বিমানবন্দরের প্রবেশপথের পাশে সমাবেশ করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, কালোবরণ মণ্ডল, কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক মণ্ডল সহ অন্যরা। সেই সভায় তৃণমূলের একাংশ কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে বলে সরব হন ব্লক নেতৃত্ব। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে তৃণমূল! (Durgapur)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা শ্রমিক নেতা কালোবরণ মণ্ডল বলেন, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক (Durgapur) ও অন্ডাল ব্লকের একাধিক মৌজার জমি অধিগ্রহণ করেই অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সেভাবে হয়নি। কর্তৃপক্ষ নিজের ইচ্ছেমতো বাইরে থেকে লোক এনে কাজে নিয়োগ করেছে। আগামী দিনে এই জিনিস আর মানা হবে না, নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে উক্ত দুটি ব্লকের বেকার যুবক, যুবতীদের নিয়োগের দাবিতে সংগঠন কাজ করবে বলে জানান কালোবরণবাবু। পাশাপাশি কালোবাবু বলেন, একশ্রেণির নেতা কাটমানির বিনিময়ে এই প্রজেক্টে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করছেন। নিজেদের পকেট ভরছেন। মঞ্চে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের সামনে কালোবরণ মণ্ডল নাম না করেই দলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি বলেন, দলের জেলা নেতৃত্বদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন, না হলে আগামী দিনে এই বিমান বন্দর এলাকায় সামগ্রিকভাবে আন্দোলন হবে।

    শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    অভিজিৎবাবু বলেন, বিমানবন্দরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন থাকলেও তা সক্রিয় নয়। সংগঠনকে সক্রিয় করে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির নেতৃত্বেই সংগঠন শ্রমিক স্বার্থের কাজ করবে। আগামী দিনে বিমানবন্দর এলাকায় অনুসারী শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কর্মী নিয়োগ ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই বিষয়ে সংগঠনকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন অভিজিৎবাবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব”, শুভেন্দুর ঘোষণায় জোর জল্পনা

    Paschim Medinipur: “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব”, শুভেন্দুর ঘোষণায় জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব অধিকারী। ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেছেন, “সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।” ২০১৪ সালে লোকসভায় ঘাটাল কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একটি ভাইরাল ভিডিওতে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দেবের ভোটে দাঁড়ানোর কোনও ইচ্ছে ছিল না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। সাংসদের এই প্রশাসনিক পদত্যাগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি এবার তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করবেন? প্রশ্ন উঠেছে।

    দেব সম্পর্কে শুভেন্দু ঠিক কী বললেন?

    দেব গতকাল রাজ্য সরকারের তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনটি পদ হল, বীরসিংহ (Paschim Medinipur) উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি। জেলাশাসকের কাছে চিঠি লিখে ইস্তফা দেন দেব। এরপর কাঁথির এক দলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব। এ তো সবে সকাল, এখনও দুপুর হয়নি। অপেক্ষা করুন না, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন দেখে নিন।” এখন এই মন্তব্যে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। আবার বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগের কারণে দেবকে সিবিআই ডেকেছিল। আবারও ডাকবে। দুর্নীতি থেকে বাঁচতে বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ করছেন।”

    সুকান্তের বক্তব্য

    ঘাটালের সাংসদ (Paschim Medinipur) দেবের সরকারি পদে পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গরু ও কয়লা পাচারের টাকা দেবের ফিল্মে লগ্নি হয়েছিল বলে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন যা বলেছিলাম সেটাই আবার বলছি। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস। দেব ভালো ছেলে। কথাবার্তাও ভালো। লোকসভায় আমার সঙ্গে কথা হয়। আমি তাঁকে শুধু এটুকুই বলব, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। তাহলে নরকবাসের চান্স অন্তত থাকবে না। স্বর্গবাস হবে কী, জানি না। অন্তত নরকবাসের সম্ভাবনা থাকবে না। দেবের সঙ্গে কথা বলে আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে আগামী দিনে ওঁর ভোটে দাঁড়ানোরও ইচ্ছা নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার পর থেকে পাঁশকুড়া (Paschim Medinipur) বাসস্ট্যান্ড-সহ কলেজ মোড় এলাকায় দেবের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “দুর্নীতি ঢাকতে বিজেপির ভয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন দেব।” সাংসদের এই পদত্যাগের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দোলই বলেন, “দেব একজন ভালো মানুষ। বিজেপি কুৎসা রটাচ্ছে। বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় নামবো।” আবার একই বিষয়ে ফালাকাটা থেকে রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দেব আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন।” সাংসদ ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে দেব পদত্যাগ করেছেন। তবে এই বিষয়ে সাংসদ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে সরাতে তৎপর কাউন্সিলরদের একাংশ। দলীয় মিটিংয়ে কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি জানান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি উঠল (Panihati)  

    একদিকে ভাগাড় সমস্যা, অন্যদিকে রাস্তাঘাট, নিকাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ দৈনন্দিন পরিষেবা প্রদানে নাজেহাল অবস্থা পানিহাটি (Panihati) পুরসভার। পুর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কথা এখন পানিহাটির মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। পুরসভার পরিষেবা অব্যাহত রাখতে রবিবার সোদপুর সরকারি কোয়ার্টারে তৃণমূলের অফিসে দলের ৩৩ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধায়ক নির্মল ঘোষ। বৈঠকের শুরুতে কাউন্সিলরদের একটা অংশ পানিহাটি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান মলয় রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, পুরসভা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান পরিবর্তনের দাবিও তোলেন তাঁরা। যদিও সৌগত রায় তাঁদের থামিয়ে দেন। সাংসদ তাঁদের উদ্দেশে বলেন, চাইলেই চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা যায় না। তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে দলকে সেটা জানাতে হয়। তারপর দল যদি মনে করে তবেই চেয়ারম্যান বদল সম্ভব। তখনই কাউন্সিলরদের তরফে কয়েকজন বলে ওঠেন দু-একদিনের মধ্যেই আমরা সেই চিঠি দলের কাছে পৌঁছে দেব। তাঁকে সামনে বসিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলরদের একের পর এক উক্তিতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কাউন্সিলরদের বিরত করেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এরপরই পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এদিনের বৈঠক থেকে উঠে আসে।

    নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে

    নতুন কমিটিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পাঁচ সিআইসি সদস্য সহ দলের দুই কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্য এবং সম্রাট চক্রবর্তী রয়েছেন। এই দুজন আবার পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সভাপতি। দলীয় স্তরে ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই সাংসদ এবং বিধায়কের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানকে। নির্মল ঘোষ বলেন,  ‘পুরসভা যাতে ঠিকঠাকভাবে চলে তা নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। ভাগাড়, রাস্তাঘাট সহ একাধিক ইস্যু এদিন আলোচিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের শারীরিক সমস্যার কারণে কাজ পরিচালনায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর পছন্দ মতো কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি করার। ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করতে বলা হয়েছে। যাতে পুরবাসী কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন’। 

    বৈঠকের বিষয়ে জানেন না দলের জেলা সভাপতি

    চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে নিশ্চিত আলোচনা হয়েছে। এটা দলের ভিতরের বিষয়। বাইরে কিছু বলব না’। তবে দলের ব্যাপার হলেও রবিবারের বৈঠকের বিষয়ে দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায়কে বিষয়টি না জানানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এদিনের বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। দলীয় ব্যাপারে  দলের জেলা সভাপতিকে নিশ্চিতভাবে জানানো উচিত ছিল। সৌগত রায়, নির্মল ঘোষ আমাকে কিছু জানাননি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার, তদন্তে গিয়ে মার খেল পুলিশ

    South 24 Parganas: নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার, তদন্তে গিয়ে মার খেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আক্রান্ত হল পুলিশ। নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর মহামায়াতলায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অপ্রতিম দাস। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি অপ্রতিম বাড়ির পাশেই একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে কয়েকজনের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন। তারপর বাথরুম পেয়েছে বলে তিনি নীচে নেমে আসেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে এলাকার বাসিন্দা এবং পরিবারের বক্তব্য। অপ্রতিমকে খুঁজে না পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁর মোবাইল ফোন থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সেটি সুইচ অফ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে। রবিবার দুপুরে বাড়ির কাছাকাছি একটি জলাশয়ে তাঁর দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এলে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগও ওঠে। এলাকার পুরুষ ও মহিলারা পুলিশ কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে, খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আগামীকাল দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ দায়েরের পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এলাকায় গিয়ে তদন্তের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন থানাতেও জানানো হয়। এছাড়া রাজ্য পুলিশের যে মিসিং পোর্টাল রয়েছে, সেখানেও তথ্য-ছবি সহ দেওয়া হয়েছিল। তাই, গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share